এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সূর্যগ্রহণ ও ছেঁড়া পরোটা

    Anirban Dutta Choudhury লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ৩১ মার্চ ২০১৯ | ২৭৬৫ বার পঠিত
  • কিছু কিছু মানুষ বিজ্ঞানের প্রতি নিবেদিত প্রাণ হন। স্কুলের স্যারেরা পড়তে বলেছেন বলেই সায়েন্স পড়েছেন অথবা মাধ্যমিকে বেশী নম্বর পেয়েছেন বলেই বিজ্ঞানমনস্ক হয়েছেন এরকম নন। মাধ্যমিক ব্যাপার’টা অবশ্য উঠে যাচ্ছে (বা গেছে)।

    এরকম একজন মানুষ হলেন আমার বাবা। আমার বাবা বৈজ্ঞানিক নন, কিন্তু নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার কিনে ফেলা এবং অত্যন্ত উৎসাহের সাথে ঘাঁটাঘাঁটি করা আমার বাবার স্বভাব। বহুদিনের স্বভাব।

    ক্লাস সিক্সের আমি একজোড়া ওয়াকিটকির একটা নিয়ে ডক্টর’স কোয়ার্টারের সামনের মাঠ পেরিয়ে একদম শেষে চলে গেছি। তিনতলার কোয়ার্টারের বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাবা অন্য ওয়াকিটকিটায় জোরে জোরে বলে যাচ্ছে, “শোনা যাচ্ছে? কি রে, শুনতে পাচ্ছিস? দোকানে বলেছে মিলিটারি গ্রেড। এক কিলোমিটার অব্দি কাজ করবে।”

    শোনা যাচ্ছে, এবং আমি প্রাণপণ চেল্লিয়ে (যদিও দরকার ছিল না, ওয়াকিটকি কাজ করছিল) সেটা জানান দেওয়া মাত্র নির্দেশ এলো – আরো দূরে যা। মুশকিল হচ্ছে আড়াআড়িভাবে মাঠ পেরোনোর পরে কচুরিপানার জঙ্গল।

    মফস্বল থেকে এটাও উঠে যাচ্ছে। মশার যেমন গুড নাইট, কচুরিপানার প্রোমোটার।

    যাগ্‌গে, কার্গিলে কম্যান্ডারকে পরিস্থিতি জানানোর মত তৎপরতায় (স্যালুট ছাড়া) বাবাকে জানালাম যে আর এগোনো সম্ভব নয়। সামনে ওয়াটার ফ্রন্ট।

    "হুম্‌, তাহলে আর কি। ফেরত চলে আয়। কিন্তু ব্যাপারটা বেশ হল কি বলিস ... বেতার ফোন। তুই এবার পাড়ার মধ্যে কোথাও গেলে এটা নিয়ে যাবি। মুদীর দোকানে গিয়ে কত গ্রাম বেগুন মনে না পড়লেই মাকে ওয়াকিটকিতে - ওভার অ্যান্ড আউট।"
    বলা বাহুল্য – ঘটনা আর এগোয় নি। ওয়াকিটকির সেই শুরু আর সেই শেষ – পঁচানব্বই সালে কেনা সাত হাজার টাকার ওয়াকিটকির প্রথম ও শেষ ব্যবহার।

    ওই সময় নাগাদ আরেকটা ব্যাপার ঘটেছিল, যেটা এক্ষুণি লিখে ফেলা দরকার। সূর্য গ্রহণ। পূর্ণ গ্রহণ।

    ডায়মন্ড রিং বলে একটা ব্যাপার দেখা যাবে যেটা জৌলুসে পি সি চন্দ্র কে বলে বলে দশ গোল দেবে।

    কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হল সেই অঙ্গুরীয় আমাদের খড়দার কোয়ার্টারের ছাদ থেকে দেখা যাবে না। বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে বারুইপুর হচ্ছে এই শো’র ব্যালকনির সিট। খড়দা থেকে গ্রহণ দেখা নিশ্চয়ই যাবে, কিন্তু ওই ড্রেস সার্কেল মার্কা দেখা হবে।

    সুতরাং শুভ দিনে আমরা মেন লাইনের ট্রেনে চেপে শিয়ালদহ এবং সাউথের ট্রেন পাকড়ে বারুইপুর চেপে এলাম। ট্রেনে আসা শুধু মাত্র সুবিধেজনক ছিল না, বাধ্যতামূলক ছিল। কারণ আমার চারচাকা সংক্রান্ত মোশন সিকনেস।

    ক্লাস নাইন অব্দি আমার একটা ঈশ্বরপ্রদত্ত ক্ষমতা ছিল – বাসে উঠে ঠিক সাত মিনিটের মাথার হড়হড় করে বমি করা। উইদাউট ফেলিওর। ওপেন করে সচিনের সেঞ্চুরির মত। বা ক্লাবের হয়ে মেসির গোল করার মত। তার থেকেও নির্ভুল, নিশানায় অভ্রান্ত।

    পেটে খাবার নেই, মানে বাড়ি থেকে না খাইয়ে আনা হয়েছে ব্যাপারটা আটকানোর জন্য। কোই পরোয়া নেই, সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে বেরোনো হর্মোনগুলো, আমার পাকস্থলী সার্চ করে কিছু না পেয়ে পিত্ত তুলে আনত। সেই প্রথম জানা পিত্তি জ্বলে যাওয়া কাকে বলে। আক্ষরিক অর্থে।

    শুরুর দিকে বাবা-মা কি করে সামলাতেন সেটা আমার মনে নেই। ক্লাস ওয়ান-টু থেকে যেটা শুরু হয়েছিল – বাসে উঠেই মা জানালার ধারে বসা কাকু-কাকিমাকে বলতেন, “ওকে জায়গাটা ছেড়ে দেবেন প্লিজ, মোশন সিকনেস আছে। একটু পরেই বমি করবে।” কেউ কেউ বিশ্বাস করে, দয়া-পরবশ হয়ে ছেড়ে দিতেন। আর যাঁরা দিতেন না, মা তাঁদেরকে সতর্ক করতেন, “দেখুন ও কিন্তু সত্যিই করবে, জানলার পাশে বসলে বাসের বাইরে, নইলে ......”
    এই পৃথিবীতে কোনো কোনো মানুষ অসম্পূর্ণ কথার মানে বুঝতে পারেন না। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখেছি তাঁরা পস্তান। এক্ষেত্রেও অন্যথা হত না। তাঁরা গোঁ ধরে জানলার ধারে বসে থাকতেন। এবং ঠিক ছয় মিনিট বাদে (কথাবার্তায় এক মিনিট কেটে গেছে) ব্যাপারটা ঘটত।

    বহু অভিশাপ সংগ্রহ করেছি আমি এই পদ্ধতিতে। পার্টিতে মদে অচেতন বন্ধু/বান্ধবীকে উদ্ধার করার সময় একটা একটা করে অভিশাপ কাটাই। কিন্তু জন্ম থেকে ক্লাস নাইন পর্যন্ত সব অভিশাপ কাটাতে গেলে আমাকে যে পরিমাণ পার্টি অ্যাটেন্ড করতে হবে, সেটা ঠিক ...

    বেশ খানিকটা বাজে বকে দিলাম। ব্যাক টু বারুইপুর। বিজ্ঞান সংসদের চশমা জোগাড় করে হয়েছে সূর্য গ্রহণ দেখার জন্য। কিন্তু চশমা’টা কি সত্যিই পর্যাপ্ত পরিমাণে কালো? মানসিক শান্তির জন্য শেষ মুহূর্তে হাসপাতালের নষ্ট হওয়া নিকশ কালো এক্স রে প্লেটেই ভরসা রাখা হল।

    তারপর দেখা গেল – ডায়মন্ড রিং। কালো এক্স রে প্লেটের মধ্যে দিয়ে অন্ধকার হয়ে যাওয়া আকাশকে আরো কালো করে দিয়ে, হঠাৎ চারপাশে ঝটফটিয়ে পাখি উড়ে যাবার শব্দ। কিন্তু ওই বিশেষ দিনটির কথা আমার হীরের আংটির জন্য মনে নেই।

    মনে আছে ছেঁড়া ছেঁড়া পরোটার জন্য।

    আমার বদ্ধমূল ধারণা ছিল, ছোটোবেলা থেকে চারপাশ দেখেই সেই ধারণা গড়ে উঠেছিল – পরোটা সংখ্যা গুণে বিক্রী হয় – এবং অর্ধেক বা ছেঁড়া বিক্রী হয় না। এটা যেন একটা থিওরেম। পরোটা থিওরেম।

    আংটি দেখে যখন আমি আর বাবা বারুইপুর স্টেশনে তন্নতন্ন করে খাবার-দাবার খুঁজছি – তখন দেখা গেল রাশি রাশি পরোটা ছিঁড়ে ওজন করে বিক্রি হচ্ছে। রীতিমত দাঁড়িপাল্লার একদিকে ওজন আর অন্যদিকে পরোটা। পরোটার দিকে ওজনে বেশী হয়ে গেছে। দোকানি একটু ছিঁড়ে কমিয়ে দিলেন।
    আমার এখনও স্পষ্ট মনে আছে আমি আর বাবা মিলে তিনশো (গ্রাম) পরোটা খেয়েছিলাম। আমার পরোটা থিওরেম চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছিল।

    ঠিক পরের স্কুলের বাংলা পরীক্ষায়, রচনায় তিনটে অপশন ছিল - রবীন্দ্রনাথ, বর্ষাকাল আর সূর্য গ্রহণ। সেফ রবীন্দ্রনাথ এবং ততোধিক সেফ বর্ষাকাল ছেড়ে সূর্য গ্রহণের মুখোমুখি হয়েছিলাম – ভালো নম্বরের আশায়। আনকমন টপিক লিখলে স্যারেরা বুঝতেন যে খাতায় উগরে দেয় নি, নিজে লিখেছে। নম্বরটাও ঢেলে দিতেন।

    কিন্তু তিন পাতার রচনার মধ্যে এক পাতা পুরোটাই ছেঁড়া পরোটার বর্ণনা থাকায় স্যার রচনায় ভালো নম্বর দিতে পারেন নি। ডেকে বলেছিলেন, “দ্যাখ্‌ পরোটার সাথে সূর্য গ্রহণের সরাসরি সম্পর্ক নেই। তুই লিখেছিস্‌ ভালোই, কিন্তু তাও নম্বর দিতে পারলাম না!”

    আজো পৃথিবীর যে কোনো কোথাও, অথবা ইন্টারনেটে সূর্য গ্রহণের ছবি দেখলেই আমার মনে পড়ে – শরতের পেঁজা তুলোর মতন নরম ছেঁড়া ছেঁড়া পরোটা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ৩১ মার্চ ২০১৯ | ২৭৬৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শঙ্খ | ***:*** | ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০১:০১49447
  • বাহ খুব ভালো লাগল
  • b | ***:*** | ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৪৭49448
  • এখন সেই খিচুড়ি খাওয়াতে গেলে বোধ হয় দাঙ্গা বেদে যাবে।
  • | ***:*** | ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:২৬49443
  • হা হা দিব্বি লেখা।
  • r2h | ***:*** | ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০৭:০৪49444
  • হাহাহা!!! চমৎকার লাগলো, সত্যি স্যরের কোন দোষ তো কিছু নেই, যথেষ্ট সহমর্মিতার সঙ্গেই ব্যাপারটা বিচার করেছেন।
    মুদি দোকানে ওয়াকিটকির আইডিয়াও খুব ভালো ও বাস্তবসম্মত ছিল, আজকাল তো দোকান পাটে গিয়ে আর্ধেক নির্দেশ মোবাইলেই নেওয়া হয়! একটুখানি সময়ের থেকে এগিয়ে ছিল, এই যা।

    জ্ঞানগম্যি হওয়ার পর দু তিন বার কলকাতা এসেছি বেড়াতে বা ট্র্যানজিট পয়েন্ট হিসেবে, উত্তরপূর্ব থেকে ভারতের বাকি অংশে যেতে কলকাতা ছুঁয়ে যেতেই হতো তখন, সে সময় হোটেল টোটেলে অভিভাবকের ছত্রচ্ছায়ায়, কৃচ্ছ্রবিহীন।
    একা একা কলকাতায় আসা তো নয়, চলে আসার পর আউপাথালি ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে যেসব জিনিস দেখে অবাক হয়েছিলাম তার মধ্যে একটা হলো যাদবপুর স্টেশনের ধারে দোকানে এই ওজন করা ছেঁড়া পরোটা! সাউথ লাইনের মোটামুটি সব বড় স্টেশনেই দেখলাম তারপর।

    আগে কি বাসের ডিজেলের গন্ধ টন্ধ এইসব মিলিয়ে ব্যাপারটা বেশি অসুবিধেজনক ছিল? জানিনা অবশ্য এখনো কেউ কেউ বাসে উঠলেই বমি করে কিনা, তবে আমাদের ছোটবেলায় এটা অহরহ হতো - আর আমি তৎকালীন রেললাইন বর্জিত রাজ্যে বড় হওয়ায় কারোরই ঐ লজঝড়ে বাস ছাড়া গতি ছিল না!
  • de | ***:*** | ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০৭:২২49445
  • সেকালের বাসে উঠলেই একটা ডিজেলের গন্ধ আসতো - তাতে আমারো বমি পেতো - করিনি যদিও কখনো। বাড়ি থেকে মা রুমালে লেবুপাতা বা লেবুর টুকরো জড়িয়ে নাকে চেপে শুঁকতে বলতো।

    কলকাতায়ও কিছু জায়গায় এরকম পেটাই পরোটা ওজন করে বিক্রি হোতো -

    আমি আর বাবা ভোর তিনটের সময়ে উঠে দু কিমি হেঁটে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে ডায়মন্ডহারবারের বাস ধরেছিলাম সূর্য্যগ্রহণ দেখবো বলে। সঙ্গে আগের দিন বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম থেকে লাইন দিয়ে সংগ্রহ করা চশমা। ওই স্পেশ্যাল দিনটা কখনো ভুলবো না। ডায়মন্ডহারবারে অজস্র বিজ্ঞানমঞ্চ থেকে ক্যাম্প করে রীতিমতো মাইকে ডিরেকশন দিয়ে সূর্য্যগ্রহণ বুঝিয়ে দেখিয়েছিলো। যতটুকু সায়েন্টিফিক রিসার্চ আজ ভালোবেসে করি তার জন্য ওই দিন গুলোর কাছে আর বাবার কাছে কৃতজ্ঞ। আমার বাবাও ঠিক এই লেখার মতনই - এখনো, আশি বছর বয়সেও -

    লেখাটা খুবই ভালো -
  • r2h | ***:*** | ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০৭:৩৯49446
  • আগরতলায় সেদিন কুসংস্কার দূরীকরণের জন্যে সূর্য গ্রহণের সময় সরকারী উদ্যোগে খিচুড়ি খাওয়ানো হয়েছিল।
  • Atoz | ***:*** | ০২ এপ্রিল ২০১৯ ১২:৪৬49449
  • পেটাই পরোটা বলে একরকম পরোটা হয়। গোটা পরোটা খুব পিটিয়ে ছিঁড়েবিড়ে ফ্যাৎরাফাই করে তারপরে ক্রেতাকে দেয়। ঃ-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন