পড়ার টেবিল গোছানো হয়নি দিনকতক।সামনে দাঁড়িয়ে ভাবছিলাম কীভাবে গোছানো যায়?
কতোটা নতুন করে সাজিয়ে তোলা যায় বইপত্রগুলোকে?
বাঁদিকের উঁচু করে রাখা বইখাতার স্তুপ যদি গুছিয়ে তুলি তবে কি দক্ষিণাচারী খাতার উপর থেকে সরে যাবে ধূলোর আস্তরণ?
স্কুল অ্যাটলাস যদি ডানদিক থেকে একটু সরিয়ে রাখি,
তাহলেই কি বিশ্বমানচিত্রের পাতা থেকে ধূলিকণা উড়ে গিয়ে সাতরঙা ইন্দ্রধনুর পথে পাড়ি জমাবে মহাকাশে?
বাঁদিকের মোটা ইতিহাস বইটাতেও তো ধূলো জমতে বাধ্য কালের নিয়মে!
তবে এই ডানদিক আর বাঁদিকের অনর্থক পরিশ্রম ছেড়ে
পুরো টেবিলটা নতুন করে সাজিয়ে তুলতে হয়!
পুরোনো ছেঁড়া কাগজ, চুনের গুঁড়ো-মেশা ধূলো, ফিলোসফির গলিত পাতা
সময়ের ঝাড়ন দিয়ে সব সরিয়ে নতুন করে পেতে দেবো
টুকটুকে রাঙা টেবিলক্লথ।
কিন্তু তারপর?
নতুন করে বইগুলো সাজাবো কোনদিকে?
ক্লান্ত লাগে।
আমার পড়ার টেবিলের ইতিহাস আমাকে বলে যেকোনো একটা দিক বেছে নিতে।
পুরোটা কি সাজিয়ে তোলা যায়?
ক্লান্তি এসে ভিড় করে।
তাই ডানদিকের খাতাপত্র সাজিয়ে রাখি বাঁদিকে।
আবার বিরক্ত হয়ে বাঁদিকের বইয়ের ধুলো মুছে দিই হাত দিয়ে।
তবু.... টেবিলটা সাজানোর ইতিহাস থেকে যায় একই।
ক্লান্ত লাগে ভীষণ।
পারলে আমায় ক্ষমা কোরো।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।