এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা  শনিবারবেলা

  • মধুবাতা ঋতায়তে

    শারদা মণ্ডল
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ১৭ মে ২০২৫ | ৭৯৮ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • ছবি - Imagen 3


    গাড়িতে বসে বা হাঁটতে হাঁটতে আমি কেবল কান পেতে জঙ্গলের শব্দ শুনি। আর সুযোগ পেলেই চলভাসে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করি। অল্পবয়স থেকে চাকরি, কেরিয়ার, জীবন যুদ্ধ, এসব অনেক হল। জীবনের এই অর্ধটা প্রকৃতির মাঝে নিজেকে অন্যভাবে অনুভব আর আবিষ্কার করতে ইচ্ছে করে। বিভিন্ন ধরণের মানুষ দুর্গ অভিমুখে চলেছেন। গিটার ও বাদ্যযন্ত্র কাঁধে এক তরুণদল দেখলাম। আমরা যতটা গাড়িতে এসেছি, ওঁরা তার আগে থাকতে হাঁটছেন। একজন আদিবাসী মানুষ একাকী চলেছেন, পিঠে তলোয়ারের মতো করে কুকরি বাঁধা। জঙ্গলের সাবধানবাণী মনে করে চমকে উঠি, এখানে একা হতে নেই। সেইজন্যই বোধহয় অস্ত্র জরুরী। কিন্তু এমনই আশ্চর্য, জঙ্গল প্রকৃতির এমনই টান, যে ভীষণ একা হতে ইচ্ছে করে। এক বাঙালি পরিবারের সঙ্গে গাইডের উচ্চগ্রামে মতান্তর চলে। ট্রেকিং এ তাঁদের আপত্তি, দিনটাই নষ্ট। ছেলেমেয়েরা তাড়াতাড়ি হাঁটে, তারা পাহাড়ের পথে মিলিয়ে গেছে আগেই। ফিরে আসতে ঘন্টা দেড়েক হল। ঘড়িতে সময় দেখছি। হঠাৎ এক ঝাঁক প্রজাপতি এসে আমার চারপাশে উড়তে থাকে। প্রজাপতিরা কথাও বলে, --ম্যাম, ম্যাম আমরা ছেলেদের হারিয়ে দিয়েছি, সবার আগে উঠেছি, সবার আগে নেমেছি, একটুও কষ্ট হয়নি। এখন আবার যেখানে যেতে বলবেন, সেখানেই যেতে পারব। ভীষণ ভালো লেগেছে। বছর কুড়ি আগে, যখন আমি উইমেন্স ক্রিশ্চান কলেজে অস্থায়ীভাবে পড়াতাম, তখন থেকে মনীষাদি আমার অসমবয়স্ক বন্ধু ও গুরু। মনীষাদি সবসময় মজার মজার কথা বলেন। তিনি প্রায়শই বলতেন যদি একা একাও কোথাও যাই, সবসময় কানে ম্যাম-ধ্বনি বাজতে থাকে। এই বোধহয় ছাত্রীরা ডেকে কিছু বলছে। কি উপায়ে এই ম্যামধ্বনির থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, সেই বিষয়ে তিনি সবার সঙ্গে পরামর্শ করতেন। এমনকি দেহত্যাগ করা যেতে পারে কিনা সে বিষয়েও তিনি যুক্তি করতেন। আমরা হেসে লুটোপুটি খেতাম। আজ যদি মনীষাদি কাছাকাছি থাকত, তবে পাহাড়ের ওপর থেকে হেঁকে বলতে পারতাম, ম-নী-ষা-দি আজকের ম্যামধ্বনিটা আমার ভী-ষ-ণ ভা-লো লা-গ-ছে। ম্যাম, মম, মা শব্দগুলো কেমন কাছাকাছি তাই না। ধীরে ধীরে আমাদের পুরো দলটাই ফিরতে থাকে। আমার ডাস্ট অ্যালার্জি আছে। এখানে গাড়ি চললে ডলোমাইটের সূক্ষ্ম ধুলোয় চারপাশ ঢেকে যায়। তাই বল্লরীদি আদর করে পাহাড়ের ওপরে মণিহারী দোকান থেকে আমার জন্য একটা নাক ঢাকা মাস্ক কিনে এনেছে। মাস্ক থাকার জন্য আমার ফেরার রাস্তাটা আরও মসৃণ লাগে। জঙ্গলের পথে ফিরতে ফিরতে চালক মুকুল জানান, বক্সাদুর্গ থেকে আরও তিন কিলোমিটার হেঁটে উপরে উঠতে পারলে একটি অপূর্ব গ্রাম আছে, নাম লেপচাখাঁ। সেখানে কয়েকটি হোমস্টে -এর বন্দোবস্ত আছে। আরও ওপরে উঠতে পারলে পাক্কিবস্তি নামে একটি স্থান আছে। সেখানে মানুষের বসতি নেই। অত্যুৎসাহী অভিযাত্রীরা পাহাড় টপকে সেখানে পৌঁছান। তাঁবু ফেলে কয়েকদিন কাটিয়ে আসেন। সে জায়গার বিশেষত্ব হল, হাজারে হাজারে পাখি সেখানে মানুষের পরোয়া না করে মাথার উপর দিয়ে, কানের পাশ দিয়ে উড়ে বেড়ায়। ওর কথা শুনে দৃশ্যগুলো যেন দেখতে পাই। বক্সা দুর্গ মেঘের মধ্যে, তার মানে পাক্কিবস্তি মেঘ যেখানে চলাচল করে তার থেকে উঁচুতে। এর একটা অর্থ আছে যেটা মুকুল না বললেও আমি আন্দাজ করতে পারছি। ওখানে আকাশ পরিষ্কার থাকার কথা। পাক্কিবস্তি তবে দিনে পাখিরালয় আর রাতে হয়ে ওঠে গ্রহ তারা ছায়াপথ নীহারিকা দেখার খনি। মুকুল গাড়ি চালাতে চালাতে জঙ্গলের গল্প বলেন। তাঁর ব্যাখ্যা শুনে মনে হয় বনকে তিনি প্রাণ দিয়ে ভালোবাসেন। তাঁর একটি গল্প এখানে উল্লেখ না করে পারছিনা।

    মুকুলের গল্প:

    কলকাতা থেকে, মধ্যবয়স্ক এক শৌখিন অ্যাডভোকেট একবার সস্ত্রীক বক্সা জয়ন্তী বেড়াতে আসেন। দুদিন ঘোরার পরে, তাঁর তরুণী প্রগলভা স্ত্রী মুকুলকে বলেন তোমাদের জঙ্গল ফালতু, একটাও জন্তু দেখা যায়না। কথাটা মুকুলের আঁতে লাগে। সে বোঝানোর চেষ্টা করে, জন্তুরা আড়ালে থাকতে পছন্দ করে, তাদের কথা বেশি না ভেবে ঘন গাছপালা, যারা আশ্রয় দেয়, অক্সিজেন দেয়, তাদের সঙ্গ উপভোগ করুণ। তরুণী সে কথায় আমল না দিয়ে তর্ক চালিয়ে যান। তাঁর শিক্ষিত স্বামীও সে কথা সমর্থন করেন। মুকুলের জেদ চেপে যায়। অরণ্যের সম্মান রাখতে সে হস্তী পারাপার হয়, এমন বিশেষ স্থানে সন্ধ্যের মুখে গাড়ি রাখে। তরুণী গাড়ি থেকে নেমে হাতির সন্ধানে দু চার পা এগিয়ে যান। কয়েক লহমা পরে তিনজন আবিষ্কার করে যে বুনো হাতির দল গাড়িটাকে নিঃশব্দে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে। চারিপাশে পর্বত সদৃশ হাতির দল দেখে মৃত্যুভয়ে তরুণী হাপুস নয়নে কাঁদতে থাকেন। আর তাঁর স্বামী মুকুলকে অনুরোধ উপরোধ করতে থাকেন, যে করে হোক প্রাণ বাঁচাও, যত টাকা লাগে তিনি দিতে রাজি আছেন। মিনিট পনের পরে অন্ধকার গাঢ় হয়। ঈশ্বরের নাম করে মুকুল গাড়ির হেডলাইট জ্বালায়। হাতি অভিজাত প্রাণী, মেজাজ খারাপ না থাকলে সে অন্যকে সরে যাওয়ার সময় দেয়। হেডলাইটের আলো দেখে হাতির দল রাস্তা ছেড়ে সরে দাঁড়ায়। প্রাণ হাতে করে মুকুলের গাড়ি বেরিয়ে আসে। কলকাতার দম্পতি পরদিনই ফিরে যান। পরে ফোন করে মুকুলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। শিক্ষিত মানুষের ফোঁপরা জ্ঞানের অহঙ্কার নিয়ে আর কী বা বলা যায়! গরুমারা জঙ্গল যাবার পথে অনেকবারই অবশ্য আমাদের জীপের সঙ্গে দলছুট বা একাকী হাতির মুখোমুখি হয়েছে। হাজারবার আগে থেকে সাবধান করা সত্ত্বেও কোন ছাত্রী অতি উত্তেজনায় চেঁচিয়ে উঠেছে, কিন্তু হাতি বাবা নিজের কাজে ব্যস্ত থেকেছেন, আমাদের দিকে পাত্তা দেননি। তবে জোর করে বারবার হুলা পার্টি দিয়ে স্বাভাবিক যাতায়াতটা বন্ধ করে দিলে ওরা খুব ক্ষেপে যায়।

    আমাদের ট্যুর প্ল্যান অনুযায়ী এবারে বাফার সাফারির পালা। বিকেলে হবে মাথা খোলা জিপ গাড়ি চেপে বক্সা জঙ্গল সাফারি। সাফারি এখানে দুধরণের হয়। একেবারে গভীরে কোর জঙ্গল সাফারি। বনদপ্তরের চারটি জিপসি গাড়িই কেবল ঐ কোর সাফারিতে যেতে পারে। কারণ বিপদসংকুল অরণ্যে পর্যটক নিয়ে গিয়ে সুস্থ দেহে ফিরিয়ে আনার গ্যারান্টি কেবল তারাই দিতে পারে। কোনো বেসরকারী গাড়ির ওখানে যাওয়ার অনুমতি নেই। তাই দলে চব্বিশ জনের বেশি থাকলে কোর সাফারি করা যাবেনা। তখন বেসরকারী গাড়ি ভরসা। তারা যেতে পারে কেবল অগভীর জঙ্গলে। তাকে বলে বাফার সাফারি। এখানে চলাচল করা কিঞ্চিৎ সুবিধাজনক, ঝুঁকি কম। ছটা গাড়ি চড়ে আমরা চললাম বাফার সাফারিতে। রাস্তা এককালে একটা ছিল, এখন নদী সবই গিলে খেয়েছে। তাই নুড়ি পাথরের উপর দিয়েই গাড়ি চলে। তীক্ষ্ণভাবে লক্ষ্য করার চেষ্টা করি নদীগ্রাসের চিহ্নগুলি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওমরফোলজির তিন স্তম্ভ অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র মুখোপাধ্যায় (এস. সি. এম.), সুভাষ রঞ্জন বসু (এস. আর. বি.) আর মনোতোষ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় (এম. কে. বি.), এঁদের কাছে ভূগোল শিখেছি আমরা। হিমালয়ে এলে স্যারেদের জন্যে মনটা বড্ড হুহু করে। আর একটা সমস্যা হল স্যারেরা যতদিন বেঁচে ছিলেন, ততদিন এক দুদিন ছাত্র ছাত্রীদের কাছে পড়া করে না গেলেও তাঁরা দেখতে পাবেননা এই ভরসা ছিল। কিন্তু এখন তো আর লুকোচুরির অবকাশ নেই। আকাশ থেকে তাঁরা সবই দেখতে পান। তাই ফাঁকি দিলে স্যারেদের বকুনি খাওয়ার ভয়টা আরও বেশি করে মনের মধ্যে চেপে বসে। সি বি সি এস মানে ক্রেডিট বেসড চয়েস সিস্টেমের সিলেবাসে অথবা সি সি এফ মানে কারিকুলাম এন্ড ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক সিস্টেমে কত কী নতুন জিনিস ঢুকেছে। তবে সদ্য স্কুল থেকে আসা ছানাপোনারা নতুন টপিকে আমার অগভীর জ্ঞানের কিনারা চট করে করতে পারবেনা সেটাও জানি। কিন্তু মানচিত্র বিদ্যার সুপণ্ডিত হিমাংশু রঞ্জন বেতালের ছাত্রী আমি। আমার কি সাজে ডব্লু জি এস 84 বোঝাতে গিয়ে আমতা আমতা করা। ইউনিভার্সাল ট্রান্সভার্স মার্কেটর যদি অভিক্ষেপই হবে তার অঙ্কটা কোথায়? ট্রান্সভার্স মার্কেটরের অর্ধবৃত্তাকার দ্রাঘিমাগুলো ইউনিভার্সাল সিস্টেমে কোন মন্ত্রে উল্লম্ব সরলরেখা হয়ে গেল? প্রশ্ন তো অনেক। কিন্তু স্যার আজকাল আর কোনো উত্তর দেননা। কেবল চোখের ভাষায় বুঝিয়ে দেন, সব উত্তর আমাকেই খুঁজে বার করতে হবে। সামনাসামনি বা ফোনের ওপারে যাকে পাই, উন্মাদের মতো তাকেই প্রশ্ন করে বসি। উত্তর না পেলে বেতালবাবু ভীষণ বকবেন। সে বকুনি যে একবার জীবনে খেয়েছে সেই জানে কেমন হৃৎকম্প হয়। কলেজে প্রেসিডেন্সির আশিস সরকার স্যার ক্লাস নিতে এসেছেন। বন্ধ ক্লাসের দরজা ঠেলে ঢুকে প্রশ্ন করে ফেলি। স্যার হেসে ক্লাস থেকে বেরিয়ে আসেন। বারান্দায় দাঁড়িয়ে শূন্যে ছবি এঁকে উত্তরটা বলে দেন। উফ্ শান্তি! বুকের ভিতর থেকে পাথর নেমে যায়। একটা বকুনি থেকে তো বাঁচা গেল। আশিস স্যার জয়ন্তীর কথা শুনে বলেছিলেন, বালা নদী ধরে ইতস্ততঃ হাঁটতে হাঁটতে তিনি একটা জায়গা আবিষ্কার করেছিলেন, যেখানে হাজার হাজার প্রজাপতি ছিল। এছাড়া ডুয়ার্সের মেদলা ফরেস্টের বাটারফ্লাই পার্কে তিনি হাতে করে সদ্যোজাত প্রজাপতি বনে ছেড়েছিলেন।

    আমাদের গাড়ি এখন জয়ন্তী পেরিয়ে তার উপনদী পার করছে। নাম বাজেখোলা। নেপালি ভাষায় এর মানে হল পুরোনো নদী। এখান দিয়ে হাতি জঙ্গল পারাপার করে। সামনে আসছে চুনিয়াখোলা। ডলোমাইটের গোল নুড়ি আর বিকেলের রোদ মনটাকে অতীতের দিকে টানে। জিওমরফোলজির বেদ হল মার্কিন ভূবিজ্ঞানী থর্নবেরির লেখা বই। তার দ্বিতীয় অধ্যায়ে ছিল ভৌগোলিক নিরীক্ষণের দশ নীতি। থর্নবেরির সরাসরি ছাত্র মনোতোষ বাবু দশ দিনেরও বেশি সময় নিয়ে এই নীতিগুলি আমাদের পড়িয়েছিলেন। কিন্তু বইএর লাইন ধরে নয়। আমেরিকার রকি, ইউরোপের আল্পস এ তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে। হিমালয়ের জয়ন্তী শ্রেণী থেকে অনেক ঝোরা জয়ন্তী নদীতে মিশেছে। বেশিরভাগই তৈরি করেছে পলল ব্যজনী। এত সুন্দর অ্যালুভিয়াল ফ্যান আগে আমি ককখনো দেখিনি। উচ্ছসিত হয়ে ছেলেমেয়েদের ডেকে ডেকে দেখাই। এম. কে. বি. র গলা কানে ভেসে আসে, Whatever is in Books, you can easily study it from those books, but there are something which are not in the books and I have the duty to teach those things in the class. হ্যাঁ স্যার মনে আছে, এই কর্তব্য আমাদেরও পালন করতে হবে।



    চলবে...
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ১৭ মে ২০২৫ | ৭৯৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • হীরেন সিংহরায় | ১৮ মে ২০২৫ ১৬:৩০731457
  • অসাধারণ! ধন‍্যবাদ। আমার জলপাইগুড়ি প্রবাস কালে গোরুমারা ফরেস্ট বাংলোয় রাত্রি বাস , অনেক নিচে জলের ধারে বন বিহারী পশুদের সমাবেশ দেখা, ডুয়ারসের রাস্তায় ব্যাংকের জীপে নীরবে প্রতীক্ষা- কখন হাতি গা তুলবে! এককালে  ব‍্যাংক থেকে চা বাগানে শনিবার টাকা যেতো শ্রমিকদের মাইনের জন‍্য। কোনদিন ডাকাত পড়ে নি ! আমার ডুয়ারসের দিনগুলো কখনো ভোলার নয় - প্রথম চাকরি!
  • Sara Man | ১৮ মে ২০২৫ ১৬:৫৬731459
  • বনের সরলতার স্মৃতি সতত সুখের হীরেন বাবু। 
  • kk | 172.58.***.*** | ১৮ মে ২০২৫ ২০:১৬731461
  • আমি কখনো বক্সা যাইনি। একবার যাবার ইচ্ছে আছে। আর যেখানে হাজারে হাজারে পাখি মানুষের পরোয়া না করে উড়ে বেড়ায় এমন জায়গার কথা শুনলেই মনটা কেমন শান্ত প্রলেপে ঢেকে যায়। পৃথিবীতে এরকম জায়গার সংখ্যা যদি আরো বাড়তো কী ভালোই না হতো।
  • Sara Man | ১৮ মে ২০২৫ ২৩:০৮731466
  • হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন kk। 
  • ঝতব্রত মুখোপাধ্যায় | 103.7.***.*** | ১৯ মে ২০২৫ ০৭:৩২731484
  • ব্যবহারিক জীবনে ও ভূমিরুপবিদ্যার মধ্যে সম্পর্কের এক অসাধারণ বিশ্লেষণ। ১৯৯২-৯৪ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের ক্লাসে শোনা এই সম্পর্ক আবার লেখার মধ্যে উঠে এলো। এইজন্য লেখিকাকে ধন্যবাদ জানাই। পরের অংশের জন্য অপেক্ষা রত হলাম।
  • Sara Man | ১৯ মে ২০২৫ ১৮:০১731502
  • হ্যাঁ, অবশ্যই হীরেন দা, আর ভুল হবে না। 
  • Sara Man | ১৯ মে ২০২৫ ১৮:০৩731503
  • ঋত মনে আছে স্যার বলতেন, থর্নবেরির কথা, women are good geomorphologist, because they are good to find faults. 
  • Kuntala | ২০ মে ২০২৫ ১৭:১৮731530
  • বড়ই মধুর এই পাঠ, ধন্যবাদ। সুভাষ বাবু, মনোযোগ বাবু, ও বেতাল বাবুর কথা এতদিন পরে কেউ লিখছেন। এটাই একটা বিরাট পাওয়া। অনেকদিন ধরে একটা গূঢ় অভিমান লালন করেছি - কেন ইতিহাস ও অর্থনীতির মতো ভূগোলের বিষয়বস্তু নিয়ে লেখালেখির হয়না সাধারণের জন্য।  আপনি সেই দুঃখ ঘুচিয়ে দিলেন। 
  • Kuntala | ২০ মে ২০২৫ ১৭:২৩731531
  • এত বিচ্ছিরি লাগে না। এই অটো কারেক্টের জ্বালা। মনোতোষকে মনোযোগ করে ছেড়েছে। উনি নিশ্চয়ই ওনার সেই বিশাল দন্তরুচিকৌমুদী বের করে খ্যাঁক খ্যাঁক করে হেসে উঠেছেন আমার এই অর্বাচীনতায়।
  • Sara Man | ২০ মে ২০২৫ ২০:১৯731535
  • আমাকে আপনি বলছেন কুন্তলাদি আমি আপনার অনেক ছোট একজন গুরুবোন।  স্যার শুনতে পেলে মনোতোষকে জানতে হলে যে মনোযোগ দরকার সেই বিষয়ে একটা কুটুস করে ছোট্ট মন্তব্য করে চিরে দিতেন, পালিয়ে বাঁচার পথ পেতামনা। ওপর থেকে তো দেখছেন নিশ্চয়ই, পরে যখন দেখা হবে ঐ সময়টার জন্য জমিয়ে রেখেছেন।  
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন