এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা  শনিবারবেলা

  • ক্যালিডোস্কোপে দেখি - জীবন নাটক

    অমিতাভ চক্রবর্ত্তী
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৭৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ছবি: রমিত চট্টোপাধ্যায়



    ক্যালিডোস্কোপে স্মৃতির চল না একমুখী না সরলরৈখিক, এগিয়ে পিছিয়ে ঘুরতে থাকে।

    আমাদের ছোটবেলায় আমাদের তিন ভাইকে যদি প্রশ্ন করা হত তোমাদের একটিমাত্র জায়গায় যাওয়ার বর দেওয়া হচ্ছে, কোথায় যেতে চাও, আমরা এক কথায় জানিয়ে দিতাম দত্তপুকুরে আমাদের মামাবাড়িতে। সু্যোগ পেলেই আমরা মামাবাড়ি গিয়ে হাজির হতাম। মামাবাড়ির দিক থেকে আমাদের বাড়ি এসে থাকা, খোঁজখবর নেওয়া, বেশিরভাগ সময়ে করত মা আর বাবার মাঝামাঝি বয়সের, আমাদের ছোটমামা। তার বিয়ের পরে মামিও এসেছে আমাদের বাড়ি। আমার বিয়ের পর যখন এই যুগল আমাদের বাড়ি এসেছে আমার স্ত্রীও তাদের অপার স্নেহের ধারায় সিক্ত হয়েছে। তাই বলে আমাদের ছোটবেলায় ছোটমামার উপস্থিতি কিন্তু বাকি মামাদের সান্নিধ্যের মতন সদা-সুখের ছিল না। যখন তখন আমাদের বাবা এইটা পারে না, ঐটা পারে না ইত্যাদি হাবিজাবি অভিযোগ অথবা ঘোষণায়, যেগুলি এখন আর একেবারেই মনে পড়ে না, সে আমাদের অস্থির করে ফেলত। আমরা রীতিমত প্রতাপশালী বাবা কিংবা স্নেহশীলা মা এমন কি আমাদের ঠাকুমার কাছে এই নিয়ে অভিযোগ করতে গিয়ে দেখতাম তারা মামাকে ত কিছু বলছেই না, বরং মুখ-টেপা হাসিতে পরিস্থিতিটা উপভোগ করছে। ঠাকুমা বললও একদিন, ‘হ্যায় ত তোমাগো বাপের শালা, হ্যায় ঠাট্টা করতেই পারে।’ বড়দের এই নাটকটা আমি কিছুতেই ধরতে পারতাম না। আজ অবশ্য অতীতে তাকিয়ে সেই হাসির শরিক আমিও। তবে সেদিনের সেই শিশু তিনটির জন্য মায়া হয় খুব।

    সেই সময় ছোটমামা মানেই নাটক। থেকে থেকে অভিনয় করে বা না করে নাটকের সংলাপ বলে যাওয়া। তার প্রিয় সংলাপ ছিল – হাসি কিসের এত? এইটা কি নাট্যশালা? (না কি নাইট্যশালা, এই বিশেষ বাচনভঙ্গীতে বলত কি? হায় স্মৃতি, তুমি বড়ই প্রতারক!) কোন গল্পের বা কোন নাটকের থেকে এই সংলাপ, জানতাম না আমি, কিন্তু ছোটমামা বাড়িতে এসেছে আর এই সংলাপ শুনিনি এমন ঘটেনি কখনও। একটা সময় বুঝেছি জীবন যথার্থই নাট্যশালা।

    অভিনয়ে কিভাবে নিজের অনুভবকে দর্শকের কাছে পোঁছে দেওয়া যায়, ছোটমামা ছিল তার আদর্শ উদাহরণ। আমাদের কোন আব্দার কি দাবি নাকচ করতে হলে এমন ভাবে জিভ বার করে, চোখ আধবোজা করে অল্প মাথা নাড়িয়ে সেটা মানা করত যেন আমরা একটা ভয়ানক লজ্জার কাজ করে ফেলেছি বা করতে বলছি। হঠাৎ হঠাৎ করে উপযুক্ত মুখভাব আর গলার স্বরের ওঠা-নামা সহ বিভিন্ন চরিত্রের মনোলগ বলে যেত। কখনো কখনো একাধিক চরিত্রের ডায়ালগ। সিরাজের ভূমিকায় জেলে বন্দি নবাবের অন্তিম মুহুর্তের দৃশ্যায়নে কথা বলতে বলতে সহসা এমন ‘আঁক’ করে থেমে গিয়ে চোখ বড় করে তাকাত যে আমরা পরিষ্কার বুঝতাম ঘাতকের ছোরা সিরাজের পেটে ঢুকে গিয়েছে। মুগ্ধ হয়ে ভাবতাম আমিও একদিন ছোটোমামার মত এমন অসাধারণ নাটক করব। কি কারণে জানা নেই, মঞ্চে মামার নাটক আমার কখনও দেখা হয়নি।

    আমার নিজের অবশ্য মঞ্চে ওঠার সু্যোগ অনেক ছোটবেলাতেই এসে গিয়েছিল। আমি তখন দ্বিতীয় শ্রেণীতে। ঠিক কি উপলক্ষে আজ আর মনে পড়ে না, আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়-এর একটা বড় অনুষ্ঠান হয়েছিল। রীতিমত মাঠ জুড়ে প্যান্ডেল বেঁধে। সেই উপলক্ষে প্রচুর বক্তৃতা আর নাচ-গান-আবৃত্তির সাথে একটা নাটকের আয়োজন করা হয়েছিল। রবিবুড়োর ডাকঘর থেকে একটা ছোট অংশ ছিল আমাদের পাঠ্যবইয়ে, অমল ও দইওয়ালা শিরোনামে। দিদিমণিরা সেটাই বেছে নিলেন মঞ্চস্থ করার জন্য। সম্ভবত: প্রচুর পটর-পটর করার যোগ্যতায় আমি মনোনীত হলাম অমল-এর ভূমিকায়। চতুর্থ শ্রেণীর এক শ্রীমান হল দইওয়ালা।

    সেই প্রথম জেনেছিলাম রিহার্সাল কাকে বলে। শেষ ক্লাস-এর পরে শুরু হত। ভাল লাগত, তবে একটু ক্লান্ত হয়ে যেতাম – আমার তো কবে সব মুখস্থ হয়ে গেছে, ভাব ভঙ্গী সহ! দিদিমণিরা মাঝে মাঝে আলোচনা করতেন কেমন করে মঞ্চসজ্জা করলে বা আর কি কি করলে নাটকটা একেবারে সত্যির মত করে তোলা যায়। সেই সব কিছু কিছু শুনে আমার ধারণা হয়েছিল যে আসল অনুষ্ঠানের দিন আমাকে দইওয়ালা ছেলেটির হাত দিয়ে একটা সত্যি দই-য়ের ভাঁড় দেওয়া হবে। আমার কাছে নাটকের আসল আকর্ষণ ছিল সেটা এবং সেই নিয়ে ভিতরে ভিতরে খুব উৎফুল্ল থাকতাম।

    এসে গেল দিনটা। আমরা কলা-কুশলীরা প্রথম থেকেই গ্রীনরুম-এ। মাঝে মাঝে উঁকি দিয়ে দেখে নিচ্ছি – সামনে মাথার পর মাথা, লোকের পর লোক। কালে কালে সম্ভাব্যতার যুক্তিতে সে সমাবেশের আকার ছোট থেকে ছোটতর হয়েছে, কিন্তু অন্তরের অন্ত:পুরে সেটা বিশাল-ই রয়ে গেছে। আমার চেতনায় সেটিই ছিল জনসমুদ্রের প্রথম ধারণা। মজার বিষয়, সেই জনসমুদ্র দেখে আমার কোন ভয় বা দ্বিধা হল না। বরং নিজের ভিতর থেকে একটা অজানা শক্তির জেগে ওঠা টের পেলাম। সেদিনের সেই অনুভূতিটা ফিরে এসেছে বারে, বারে – যতবার মঞ্চে উঠেছি ততবার। লাইম লাইটের আলোয় আমি অন্য মানুষ – আমি-ই তখন নিয়ন্তা।

    কুচো ফর্মাটের সেই নিয়ন্তা একসময় মঞ্চে এসে বসল, ঘরের ভিতর জানালার পাশে। বসেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেল তার। এটা একটা মঞ্চ সজ্জা হল! আমার সামনে হাঁটুর উচ্চতায় একটা ছোট কাপড়ের আড়াআড়ি বেড়া আর তার দু’ধারে দুটো কাপড়ের টুকরো মেঝে থেকে ছাদের দিকে উঠে গেছে, একটা সরু লম্বাটে চৌখুপী বানানো হয়েছে। এটা একটা জানালা হল! একসময় সেই জানালার পাশের দিক থেকে আমার মুখের সামনে একটি মাইক্রোফোন এল। আমাকে বলা হল মাইকে কথা বলতে। ওনারা মাইক টেস্ট করবেন। আমি ভাবলাম আমাকেই বলছেন টেস্ট করে নিতে। কি করে করব! মঞ্চের সামনে থেকে বড্ড আওয়াজ আসছে। গোলমালের সমুদ্র চলছে যেন। ভেবে দেখলাম, নিশ্চয়-ই ছোট বাচ্ছারা বেশী কথা বলছে। আগেও কয়েকবার এই অবস্থায় যে ঘোষণাটি শোনা গেছে এবার আমি-ই সেটি দিয়ে দিলাম, সঙ্গে দিলাম নাটক শুরু করার বার্তা – ছোট বাচ্ছারা গোলমাল না করে চুপ করে বসে পড়, আমাদের নাটক এখন-ই শুরু হবে।

    ব্যাস! জনসমুদ্র যেন হো হো হাসির গর্জন-এ ফেটে পড়ল। এক মাস্টারমশাই উইংসের আড়াল থেকে ছুটে এসে আমায় বললেন এখন আর যেন মাইকে কিছু না বলি। আমি ত হতবাক! দোষটা কি করলাম! পরে বুঝেছি, মহা দোষ করেছিলাম। শান্ত ভাবে, উচ্চকিত আড্ডার কলতানে চারিদিক মথিত না করে অনুষ্ঠানের জন্য অপেক্ষা করাটা আমাদের সংস্কৃতির সাথে মানানসই নয়। গোলমাল তো আর ছোটরা ততটা করছিলনা, যতটা করছিল বড়রা! তাই আমার তিরস্কার আসলে বিঁধেছে তাদের-ই। অতএব উপহাস আর মজার উল্লাসে আমার দোষের শাস্তি দেওয়া ছাড়া আর কি-ই বা তারা করতে পারতেন, এমন কি গোটা উপমহাদেশ জুড়েই আজো পারেন! আর একটা আঘাত-ও সইতে হল – দই-এর ভাঁড়-এ কোন দই ছিল না! দই-জনিত সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে বড়রা হয়ত ঠিক ব্যবস্থাই নিয়েছিলেন, কিন্তু নাটক শেষের হাততালির ঝড়-ও আমার ক্ষোভ আর অপ্রাপ্তির দু:খ মুছে দিতে পারে নি। সেই সন্ধ্যায় আমি প্রস্তুতি ছাড়াই একদফা বড় হয়ে গিয়েছিলাম!

    আর আশ্চর্যভাবে, আমার কোন শিক্ষা হয়নি। অনেক বছর বাদে আরেক বিদ্যায়তনে আবারো নাটকে অংশগ্রহণ করেছি, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে মঞ্চে সন্দেশের বদলে কলার টুকরো ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যদি সন্দেশ খেতে গিয়ে তাড়াহুড়োয় গলায় আটকে বিপদ বেধে যায় তাই এই সতর্কতা। খুবই সঙ্গত ব্যবস্থা। কিন্তু আমার যে কি বিপুল হতাশ লেগেছিল, সে আর বলবার নয়। তারপর থেকে অন্যের নির্দেশনায় মঞ্চে ওঠায় খানিকটা অনীহা হয়ে গিয়েছিল। বন্ধুরা মিলে যখন নাটকের দল তৈরী করেছিলাম, নির্দেশনা হত সবার মিলিত সিদ্ধান্তে, কোন পরিচালক ছিলনা আমাদের। অবশ্য বাদল সরকার বা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় কাজ করার যখন সু্যোগ এসেছে সেগুলো হাতছাড়া করিনি।

    ছোটবেলার যে সমস্ত ঘটনা স্মৃতির কন্দরে ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ অনুভবে রয়ে গেছে তার একটি ছিল এক মেলায় যাওয়া আর তার পরিণতি। সঠিক সময়কাল এখন খানিকটা ঝাপসা হয়ে গেছে। তবে তিন থেকে সাড়ে ছয় বছরের মধ্যে ঘটেছিল। বাবা আমি আর আমার পিঠোপিঠি মেজ ভাই তিন জনে মিলে মেলায় বেড়াতে গেলাম। মেলায় বেলুনওআলা বানিয়ে চলেছে নানা আশ্চর্য – কুকুর, মালা, মুকুট আরও কত কি! মুগ্ধ হয়ে দেখতে থাকি আমি। এক সময় আবিষ্কার করি – আমি হারিয়ে গেছি। বাবা-ভাই কাউকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। চিন্তায় পড়ে গেলাম। তবে ভয় করে নি আমার। চারপাশে এত লোক! উপায় হয়ে যাবে কিছু একটা। কিন্তু কি ভাবে! মাথায় যে কিছু আসছে না! এবার হতাশায় চোখে জল চলে আসে আমার!

    হঠাৎ এগিয়ে আসে এক কাকু। প্রশ্ন করে করে ...

    বাকিটুকু দুই মলাটের ভিতর। চলে আসুন গুরুচণ্ডা৯-র স্টলে সামনের বইমেলায়।






    ক্রমশ...




    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৭৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Prativa Sarker | ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:০৩530823
  • লেখাটার সঙ্গে আমার একটা যোগসূত্র, কোচবিহার। আর একটি, নাটক।
    এবার দেখি কোথাকার জল কোথায় গড়ায়! 
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:০৯530824
  • প্রতিভাদি, পড়ার জন্য ধন‍্যযোগ। 
    কোচবিহার লেখায় আরো আসবে। তবে নাটক করার গল্প কমই থাকবে, হয়ত আর নাও আসতে পারে।
  • মন্দিরা চক্রবর্তী | 103.15.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:২৮530825
  • খুব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে লিখেছো। পড়তে পড়তে চোখের সামনে যেন ঘটনা গুলো দেখতে পাচ্ছিলাম। তোমার ঠাকুমা, মেজো পিসেমশাই পিসি মনি সবাইকে আবার অনুভব করতে পারলাম। আর কাকুর বিবরণ তো দারুন 
    পরের টা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। 
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৩৭530826
  • নাটকীয় উপস্থাপনা। খুব সুন্দর লাগল। লেখাটা পড়ে স্কুলের নাটকের রিহার্সালের দিন গুলো মনে পড়ে গেল।
  • অঞ্জনা ঘোষাল। | 103.102.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৫৮530831
  • এতো সাবলীল লেখা শেষ না করে ওঠা যায় না। 
    আমি  ছোটবেলা থেকেই দেখতে খুব ভালোবাসতাম। করিনি কখনো। করিয়েছি। শিক্ষক জীবনের প্রথম দিকে পঞ্চম শ্রেণীর মেয়েদের দিয়ে অমল  ও দইওলার একটি ছোটোঅংশ করিয়েছিলাম। একজন অসুস্থ হয়ে পরায় আর একজন অমল তৈরী করতে হয়েছিল। জানালা বানানো হয়েছিল অদ্ভুত কায়দায়। থার্মোকল দিয়ে জানালা বানিয়ে চেয়ারের উপর বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মজার বিষয় হলো দুইজন অমল জানালা তৈরী করে এনেছিল। সে এক মজা হয়েছিল। দুইজন অমলকেই অল্প অল্প করে পাঠ বলতে দেওয়া হয়েছিল। তোমার লেখা স্মৃতিতে টান মারল। বড় ভালো লাগল। 
  • kk | 172.58.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৪০530833
  • ঠিক, বড়ই সাবলীল লেখা (এই উপযুক্ত টার্ম গুলো আমার মাথায় যে কেন কিছুতেই আসেনা সেটাই বুঝিনা!)। পড়তে পড়তে বেশ সহজেই ঐ বয়সী বাচ্চাদের মনের ভেতরটা দেখতে পাওয়া যায়। একেকটা প্যারাগ্রাফের শেষের লাইনগুলো এত গভীর যে পরে ফিরে আবার সেগুলো পড়ি। অনেকক্ষণ ধরে, হাতে নিয়ে, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখি -- তিনটি শিশুর জন্য মন খারাপ হওয়া, এক দফায় কিছুটা বড় হয়ে যাওয়া, একটা দিন মনে রাখতে না চেয়েও ভুলতে না পারা।
    সুপাঠ্য একটা সিরিজ এইটা। চলুক।
  • অভিজিৎ চক্রবর্তী। | 103.87.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০২৪ ২২:১৪530838
  • জীবন_নদীর ছোট_বড় ঢেউ গুলি শব্দ চিত্রায়নের ক্যানভাসে যেভাবে বর্ণিত হয়েছে। তা অনিন্দ্য সুন্দর। পরবর্তী ঢেউয়ে ভেসে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকলাম। 
  • অশোক সাহা | 2607:fb91:529:3e9:e4fc:d134:8996:***:*** | ২১ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:০৮530842
  • দারুন লাগল। নিজের ছেলেবেলায় ফিরে গেলাম।
  • | ২১ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:০০530847
  • হাসছ কেন খোকা এ কি নাইট্যশালা? এই সংলাপ তো পথের পাঁচালি - প্রসন্ন গুরুমশাই। 
     
    পড়ছি।
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২১ এপ্রিল ২০২৪ ২০:১২530863
  • @মন্দিরা, @অভিজিৎ
     ভালো লেগেছে দেখে খুব ভালো লাগে। সেই একই সময়ের টুকরোগুলো আমরা দেখেছি, যার যার নিজের মত করে। মিল পাওয়া স্বাভাবিক। কিছু কিছু পার্থক্যও।

    @রমিত, অঞ্জনা, কেকে, অশোকদা
    ভালো লাগা জানানোয় ভালো লাগল খুব।

    রমিত, সেই সব রিহার্সালের গল্প আসবে নাকি?

    অঞ্জনার স্কুলে দুই অমলের দুজনকেই পার্ট দেওয়ার ঘটনা খুব ভালো লাগল। পরিস্থিতির কারণে করা হলেও নাটক কিভাবে করা যায়/দরকার তার একটি ধারায় আমার কিছুদিন পথ চলার যে চর্চা ছিল, এটি তার সাথে চমৎকার মিলে যায়।

    কেকে, ঐ শেষের লাইনগুলো বলব বলেই কি লিখে যাচ্ছি! হয়ত। আবার, আসলে হয়ত ওগুলো এক ধরণের ভার চাপিয়ে দেওয়া। সংশয়ে থাকি।

    অশোকদা, নিজের ছেলেবেলায় ফিরে যাওয়া এবার কীবোর্ডে উঠে আসুক।

    @দ
    দমুদি, অবশ্যই এটি ওনার সংলাপ। যখন মামার মুখে শুনতাম, তখন জানতাম না, মামাও বলেনি। পরে জেনেছি। কিন্তু আমি যখন উল্লেখ করতে চাইলাম, স্মৃতি কিরকম জট পাকিয়ে গেল। ভাবলাম স্মৃতির এই দোলাচলের ছাপটুকুও এখানে ধরা থাক। নিকট কি দূর ভবিষ্যতে যদি এই দোলাচল ক্রমশ বেড়ে স্মৃতির বেশিটাই ঝাপসা হয়ে যায়, এই লেখায় তার প্রথম দিককার উপস্থিতির কথা ধরা থাক। এ লেখা ত আমার এখনকার যাপনের টুকরো ছবিও বটে।smiley
  • বিপ্লব রহমান | ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৫৮530968
  • দারুণ মুগ্ধতা নিয়ে পড়ছি। 
     
    পরান বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় নাটক! এ নিয়ে আলাদা করে লিখুন ভাই, বিনীত অনুরোধ রইলো। 
     
    এই লেখাটি পড়তে উস্কানি দেয়ায় নিবেদিতা ক্ষেপীকে ধন্যবাদ yes
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ২০:১০530981
  • ধন্যবাদ, বিপ্লবদা! আপনার ভালো লাগা আনন্দ দিল অনেক‌।
     
    পরানদা এবং বাদলদা দুজনের নির্দেশনায় দুই ভিন্ন ধারার নাটক ক‍রতে পারার সৌভাগ্য হয়েছিল। অল্পদিনের জন্য, কিন্তু হয়েছিল। সাধ‍্যে কুলোয় যদি অবশ‍্যই লেখার ইচ্ছে আছে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
  • টইপত্তর, ভাটিয়া৯, হরিদাস পাল(ব্লগ) এবং খেরোর খাতার লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই। | ♦ : পঠিত সংখ্যাটি ১৩ই জানুয়ারি ২০২০ থেকে, লেখাটি যদি তার আগে লেখা হয়ে থাকে তাহলে এই সংখ্যাটি সঠিক পরিমাপ নয়। এই বিভ্রান্তির জন্য আমরা দুঃখিত।
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন