এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  ইতিহাস

  • ইসকন ও রাকৃমি— দুই সঙ্ঘীর ইতিহাস বিকৃতি 

    এলেবেলে লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | ইতিহাস | ১৭ জুলাই ২০২৩ | ৭৬৬৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • আজ থেকে প্রায় একশো বছর আগে নদীয়ার তদানীন্তন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কেদারনাথ দত্ত নিজস্ব প্রভাব খাটিয়ে এবং সরকারি নথিপত্রে বদল ঘটিয়ে নবদ্বীপের গঙ্গার অন্য পারে বাঙালি মুসলমান অধ্যুষিত মিঞাপুরকে ‘মায়াপুর’-এ বদলে ফেলেন। শুধু তাই নয়, সুচতুরভাবে ওই মায়াপুরকে চৈতন্য জন্মস্থান বলে প্রচার করার প্রামাণ্য নথি হিসেবে তিনি বৃন্দাবনবাসী নরহরি চক্রবর্তীর ‘ভক্তিরত্নাকর’ গ্রন্থটিকে তুলে ধরেন।

    অথচ যে সময় নরহরি চক্রবর্তী তাঁর গ্রন্থটি রচনা করছেন, তার বহু আগেই চৈতন্যের জন্মভিটে গঙ্গাগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এই অবস্থায় তিনি চৈতন্যকালীন নবদ্বীপের একটি কাল্পনিক চিত্র আঁকেন, চৈতন্য জন্মস্থানের নামকরণ করেন ‘মায়াপুর’ এবং তার চারিদিকে নয়টি দ্বীপের কল্পনা করে ‘নবদ্বীপ’ নামের নতুন ব্যাখ্যা দেন।

    ইতিমধ্যে চাকরি ছেড়ে কেদারনাথ দত্ত ভক্তিবিনোদ ঠাকুর নামে সন্ন্যাসী হন। ১৯১৮ সালে, অর্থাৎ তাঁর মৃত্যুর চার বছর পরে, তাঁর পুত্র ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী মায়াপুরে ‘শ্রীচৈতন্য মঠ’ স্থাপন করলে কেদারনাথের প্রচারে ভক্তিবাদের সরকারি সিলমোহর পড়ে। এঁর শিষ্য অভয়চরণ দে ওরফে প্রভুপাদ এসি ভক্তিবেদান্ত স্বামী মায়াপুরে চন্দ্রোদয় মন্দির নামে ইসকনের হেড অফিস বানান, একই সঙ্গে চৈতন্য জন্মভূমির প্রচার তুঙ্গে ওঠে।

    মায়াপুরে প্রথম জমি কেনা হয় ১৯৭২ সালে এবং সেই প্রক্রিয়া আজও অব্যাহত আছে। সে হিসেবে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার হয় নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়েছে নতুবা জেগে ড্যাবড্যাব চোখে তাকিয়ে থেকেছে। আর মায়াপুরের মুসলমানদের বাস্তুচ্যুত করে ইসকনের জমি কেনার পরিমাণ ক্রমশ বেড়েছে।

    ধীরে অথচ অত্যন্ত সুকৌশলে চৈতন্য জন্মভূমির ইতিহাস হাতিয়ে নিয়েছে ইসকন, তবুও ‘ভদ্রলোক’ বাঙালির ঘুম ভাঙেনি। দিনের পর দিন ইসকনের জমি মাফিয়াদের অত্যাচারের শিকার স্থানীয় মুসলমান বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে মায়াপুরের উলটো দিকে মুসলমান-প্রধান তিওরখালিতে মাথা গোঁজার ঠাই খুঁজতে বাধ্য হয়েছেন, তবুও ‘ভদ্রলোক’ বাঙালির ঘুম ভাঙেনি। কারণ চৈতন্যের জন্মভূমির প্রকৃত ইতিহাস কিংবা গ্রামের গরিব মুসলমানদের উদ্বাস্তু হওয়ার বাস্তব ঘটনায় ভদ্রলোক বাঙালিদের সুখনিদ্রায় ব্যাঘাত ঘটে না।

    এই পরিস্থিতিতে ইসকনের এক হিন্দিভাষী শ্বেতাঙ্গ ‘প্রভু’ বাঙালির পরমপ্রিয় আইকন আর তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত শিষ্যকে গালাগাল দিতেই ভদ্রলোক বাঙালির কাঁচা ঘুম ভেঙেছে। তারা সদলবলে রে রে করে আক্রমণে নেমেছে। এত দিনের স্থিতাবস্থা হঠাৎই টলমল। এক সঙ্ঘীর হাত থেকে অন্য সঙ্ঘীকে রক্ষা করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় বাঙালি আজ নিবেদিতপ্রাণ! অথচ ইসকন যেমন চৈতন্য জন্মভূমির প্রকৃত ইতিহাস নির্বিবাদে আত্মসাৎ করতে মরিয়া, ঠিক তেমনই রাকৃমিও কন্যাকুমারিকায় বিবেকানন্দ শিলার অস্তিত্বের বিষয়ে নির্বিকল্প উদাসীন।

    রাকৃমির সঙ্গে সঙ্ঘের মাখামাখির ইতিহাস অনেক দিনের পুরনো। তবে সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা কে বি হেড়গেওয়ার বিবেকানন্দ বিষয়ে শ্রদ্ধাবান হলেও খুব বেশি আগ্রহী ছিলেন না। কিন্তু তাঁর উত্তরসূরী এম এস গোলওয়ালকর ছিলেন বিবেকানন্দে আপ্লুত। ১৯৩৬ সালে তিনি মিশনের তৃতীয় অধ্যক্ষ স্বামী অখণ্ডানন্দের কাছে দীক্ষা নিতে চান। যদিও অখণ্ডানন্দ তাঁকে রাকৃমি-তে যোগ না দিয়ে আর এস এস-এর কাজেই আত্মনিয়োগ করার পরামর্শ দেন।

    এই ঘটনার বেশ কিছু বছর আগে ১৯১২ সালে প্রকাশিত হয় বিবেকানন্দের প্রথম ইংরেজি জীবনী ‘The Life of the Swami Vivekananda’। বইটির প্রথম সংস্করণে লেখা হয়, “…He [Vivekananda] plunged into the ocean and in spite of numerous sharks swam across to the temple, his mind eager as a child to see the Mother. And reaching the shrine he fell prostrate in ecstasy before the Image of the Goddess…।” প্রসঙ্গত, পরিব্রাজক বিবেকানন্দ ১৮৯২ সালের একেবারে শেষভাগে কন্যাকুমারিকায় হাজির হন। এবং প্রকৃত ঘটনা হল, ১৮৮৯ থেকে কোমরের বাতের জন্য তিনি খুব একটা হাঁটতেই পারতেন না, সাঁতরানো তো দূরের কথা। এমনকি বইটির লেখকরা এটাও জানতেন না যে, কন্যাকুমারী দেবীর মন্দির সমুদ্র-মধ্যস্থ দ্বীপে নয়, বরং প্রধান ভূখণ্ডে অবস্থিত!

    এ বিষয়ে ১৮৯৪-এর ৯ মার্চ শিকাগো থেকে স্বামী রামকৃষ্ণানন্দকে লিখিত পত্রে স্বয়ং বিবেকানন্দ লেখেন, “Cape Comorin (কুমারিকা অন্তরীপে) মা কুমারীর মন্দিরে বসে, ভারতবর্ষের শেষ পাথর-টুকরার উপর বসে— এই যে আমরা এতজন সন্ন্যাসী আছি, ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছি, লোককে metaphysics (দর্শন) শিক্ষা দিচ্ছি, এ সব পাগলামি। ‘খালি পেটে ধর্ম হয় না’—গুরুদেব বলতেন না? ঐ যে গরীবগুলো পশুর মত জীবন যাপন করছে, তার কারণ মূর্খতা; পাজি বেটারা চার যুগ ওদের চুষে খেয়েছে, আর দু পা দিয়ে দলেছে।” অর্থাৎ তাঁর চিঠি থেকে স্পষ্ট, তিনি কন্যাকুমারীর মন্দিরে বসে এ কথা উপলব্ধি করছেন, হাঙরে ভর্তি সমুদ্র সাঁতরে দ্বীপে ওঠেননি।

    কিন্তু তার পরেও ওই একই গ্রন্থের ১৯৭৯ সালের সংস্করণে প্রথম সংস্করণটির ভাষ্য সামান্য সংশোধন করে লেখা হয়, “After worshipping the Mother in the temple, it was to this holy rock that the Swami wanted to go for meditation.  But how could he go? He had not a single pice for the boatman. Without more ado he plunged into those shark-infested waters and swam across.” আজ অবধি বিবেকানন্দ শিলার এহেন জোচ্চুরির বিষয়ে মিশন উচ্চবাচ্য করেনি।

    ইতিমধ্যে জীবনী গ্রন্থটির এই কাল্পনিক ঘটনাকে অবলম্বন করে বিবেকানন্দ শতবর্ষে অর্থাৎ ১৯৬৩ সালে, আর এস এস কন্যাকুমারীর এই বিবেকানন্দ শিলামন্দিরকে হিন্দু জাতীয়তাবাদের এক পবিত্র তীর্থে রূপান্তরিত করে। এই ঘটনাকে ঘিরে নানা রাজনৈতিক বিতর্ক ওঠায় মিশন শিলামন্দির প্রতিষ্ঠার প্রয়াস থেকে বাহ্যত নিজেদের সরিয়ে রাখলেও মিশনের তৎকালীন অধ্যক্ষ এর আনুষ্ঠানিক ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র শাস্ত্রীয় আচারক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

    আর ইসকন ও রাকৃমির দৌলতে এভাবেই নির্মিত হয় নয়া ইতিহাস।
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৭ জুলাই ২০২৩ | ৭৬৬৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 42.***.*** | ১৭ জুলাই ২০২৩ ২০:০৮521364
  • প্রণাম ঠাকুরমশাই! মন দিয়ে শ্রাদ্ধ করতে থাকুন! 
    বিদ্যাসাগরের শ্রাদ্ধ কতদূর গড়ালো?
  • দীপ | 42.***.*** | ১৭ জুলাই ২০২৩ ২০:১৩521365
  • ঠাকুরমশাই, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সবাই এসেছে। জগদীশচন্দ্র, অরবিন্দ, বাঘাযতীন, যাদুগোপাল, সুভাষচন্দ্র থেকে শুরু করে গান্ধী, নেহেরু সবাই এসেছেন। ইন্দিরা গান্ধী, জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, অন্ধ্রের নকশাল নেতা; সবাই এসেছেন। এতে কি প্রমাণিত হয় ঠাকুরমশাই?
  • দীপ | 42.***.*** | ১৭ জুলাই ২০২৩ ২০:১৯521366
  • ঠাকুরমশাই দেখি সাক্ষাৎ বিরিঞ্চিবাবা! বিবেকানন্দ নাকি হাঁটতেই পারতেন না? এক ছিলিমে গাঁজা খেতেন বুঝি?
  • দীপ | 42.***.*** | ১৭ জুলাই ২০২৩ ২০:২২521367
  • বিদ্যাসাগর নাকি উৎকোচ দিয়ে বিধবাবিবাহ চালু করেছিলেন!
    জোচ্চোর আদতে কে ঠাকুরমশাই?
  • b | 2405:8100:8000:5ca1::b9:***:*** | ১৭ জুলাই ২০২৩ ২১:১৭521368
  • হুতেন্দ্রর একটা ছবি হলে ভাল হত - মিসেস হেল মাথায় করে ঝাঁকায় বসিয়ে বিবেকানন্দকে ধর্মমহাসভায় নিয়ে যাচ্ছেন। পরে নিবেদিতা এভাবে ওঁকে অমরনাথ নিয়ে যান। বস্তুত নিবেদিতাকে সে কারণেই আনা - এ আর কে না জানে?
  • b | 117.194.***.*** | ১৭ জুলাই ২০২৩ ২২:৫১521370
  • আচ্ছা ১৭ জুলাই ২০২৩ ২১:১৭ : যিনি পোস্ট করেছেন তিনি অন্য কোনো একজন বি ।  
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:a743:9199:41e5:***:*** | ১৮ জুলাই ২০২৩ ০৬:২৭521382
  • 1889 থেকে বিবেকানন্দ বাতের ব্যথায় ভুগতেন সেটার রেফারেন্স পাওয়া যাবে? 
     
    বিবেকানন্দের আনকন্ট্রোলড ডায়াবেটিস ছিল। মৃত্যু সম্ভবতঃ ওই রোগের ফলস্বরূপ স্ট্রোক থেকে হয়। মৃত্যুর দশ বারো বছর আগে যদি ডায়াবেটিসের সূচনা হয়ে থাকে তো কোমরের যন্ত্রণা খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবু একটা রেফারেন্স পেলে ভাল হয়।
  • এলেবেলে | ১৮ জুলাই ২০২৩ ১৮:১২521399
  • ভদ্রলোক বাঙালি একই রয়ে গেল! তাই ইসকনকে সন্তর্পণে এড়িয়ে এবং জলে ভাসে শিলার গুলগপ্পোকে পাশ কাটিয়ে সোওজা কোমরের বাতে গিয়ে আটকেছে।
     
    বলি ও মশাই, মাত্র ৮ টাকায় একটা ভালো সিগারেট অবধি আজকাল মেলে না। এত কমে চলবে? আরও কিছু গার্বেজ এদিক-সেদিক থেকে তুলে এখানে ডাম্প করুন, তবে না নিজের সুনাম বজায় থাকবে!
     
    পলিটিশিয়ান, বিবেকানন্দের কেবল ডায়াবেটিসই ছিল না। সঙ্গে জুড়েছিল হৃদরোগ, কিডনির রোগ, ফুসফুসের রোগ, হজমের গণ্ডগোল, অম্বলের সমস্যা, কোমরের বাত, অন্ত্রঘটিত রোগ ইত্যাদি প্রভৃতি। রেফ - আশীষ লাহিড়ী, স্বামী বিবেকানন্দ ও বাঙালির সেকিউলার বিবেক
     
    ১৮৮৯ থেকে তিনি বাতের ব্যথায় ভুগতেন এটার রেফারেন্স হিসেবে রাজাগোপাল চট্টোপাধ্যায়ের মিথ্‌মুক্ত বিবেকানন্দ দেখতে পারেন। 
     
    তা ছাড়া তিনি নিজেই চিঠিতে জানিয়েছেন যে তাঁর উপলব্ধ কন্যাকুমারীর মন্দিরে বসে, সাঁতার কেটে দ্বীপে উঠে নয়।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:80c8:243f:f026:***:*** | ১৮ জুলাই ২০২৩ ২১:১৮521409
  • ধন্যবাদ এলেবেলে।
  • মুচকি | 223.29.***.*** | ১৮ জুলাই ২০২৩ ২২:৪১521416
  • রেফারেন্স বলতে ফার্স্ট হ্যান্ড কোনো কিসু নয়, সেই রাজাগোপাল!! ভাটে এই নামে সার্চ দিলে আগের সেই হাত্তালি আর হেরাল্ড এপিসোড উঠে আসবে।তাঁর বইতে খুঁজলেও অন্য সলিড রেফারেন্সের বদলে আবার খানিক আপন মনের মাধুরী পাওয়া যাবে।
    কন্যাকুমারী দেবীর মন্দির সমুদ্র-মধ্যস্থ দ্বীপে নয়, বরং প্রধান ভূখণ্ডে অবস্থিত! - ১৮৯২ সালে। এর রেফারেন্স তো আর চাইলেন না পলিটিশিয়ান?
  • মুচকি | 223.29.***.*** | ১৮ জুলাই ২০২৩ ২৩:২০521419
  • পলিটিশিয়ান আরও জিজ্ঞেস করতে পারতেন, মা-কুমারীর মন্দিরে বসে তিনি একটা কথা ভেবেছেন বললেই কীভাবে প্রমাণ হয় যে সেই ভাবনামুহূর্তের আগে বা পরে তিনি সাঁতার কেটে সমুদ্রের বুকে জেগে থাকা শিলাখণ্ডটিতে মোটেও যাননি, গিয়ে দুদিন বসে ধ্যান করা তো দূরের কথা?
    লেখা একটা চাতুর্যের বিষয়। প্রামাণ্য হিরণ্ময় তত্ত্বটির স্বার্থে ভাসাভাসা ভাষার সাহায্যে এসব যুক্তিনয়ছয় সিদ্ধ। তবে তাকে ওপরচালাকি বলে, এই আর কি।
  • :) | 2405:8100:8000:5ca1::3b:***:*** | ১৮ জুলাই ২০২৩ ২৩:৩৪521422
  • এলেবেলের মস্তিষ্ক গাঁজাগোপালের কারখানা।
  • এলেবেলে | ১৯ জুলাই ২০২৩ ০০:২৮521425
  •  এ হে মাইরি, ওই গাঁজাগোপাল নামক বোকা বোকা খিল্লি ছাড়া ভাঁড়ে যে মা ভবানী সেটা আগেই বোঝা উচিত ছিল। মানে আশীষ লাহিড়ীকে খিল্লি না করতে পারি, তাই বলে গাঁজাগোপালকে খিল্লি করব না, করব না গাঁজাগোপালকে খিল্লি? 
     
    বেশ, তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া গেল ১৮৮৯ কেন বিবেকানন্দ আজীবন বাতের ব্যথায় ভোগেননি। কিন্তু না, তার পরেও অঙ্ক মিলছে না।
     
    ১. সেই ভাবনামুহূর্তের আগে সাঁতার কেটে সমুদ্রের বুকে জেগে থাকা শিলাখণ্ডটিতে যাওয়ার প্রশ্নটি খোদ ওই গ্রন্থের লেখকরাই নাকচ করে দিচ্ছেন এ কথা লিখে --- After worshipping the Mother in the temple, it was to this holy rock that the Swami wanted to go for meditation. এখন এঁরা গাজার ছিলিমে টান দিয়ে লিখেছিলেন কি না জানি না। 
     
    ২. গাঁজার আরও বাকি আছে। ১৯৬০ সালে এই গ্রন্থটির ষষ্ঠ সংস্করণে লেখা হচ্ছে --- He thought of the sacredness of India and of the deep, deep spiritual life of which Badarikâshrama and Kanyakumari were the towering landmarks. He was eager as a child to see the Mother; reaching the shrine he fell prostrate in ecstasy before Her image. Worship finished, he crossed to a rock which was separate from the mainland. About him the ocean tossed and stormed, but in his mind there was even a greater tempest. And there, sitting on the last stone of India, he passed into a deep meditation upon the present and future of his country. অর্থাৎ এখানেও আগে কুমারী মাতার দর্শন এবং পরে জলে ভাসে শিলা।
     
    ৩. কিন্তু সবচেয়ে উৎকৃষ্ট গাঁজা লুকিয়ে আছে এইখানে --- Worship finished, he crossed to a rock which was separate from the mainland. About him the ocean tossed and stormed, but in his mind there was even a greater tempest.
     
    যাচ্চলে! ১৯১২ এবং ১৯৭৯ সংস্করণের swam across কোন যাদুমন্ত্রে উধাও হয়ে গেল? আর হাঙরগুলোই বা কোথায় মুখ লুকিয়ে রইল? হলদি নদীতে! 
     
    তার মানে কখনও হাঙর দেখা দিচ্ছে, কখনও বা হাঙর সম্পূর্ণ উবে যাচ্ছে হাওয়ায়। গাঁজার কী মহিমা বাওয়া! গাঁজাগোপাল এর কাছে তুশ্চু।
     
    ৪. 'মা কুমারীর মন্দিরে বসে, ভারতবর্ষের শেষ পাথর-টুকরার উপর বসে' - বিবেকানন্দর এ কথা লেখার প্রকৃত তাৎপর্য হল কন্যাকুমারীর মা কুমারীর মন্দিরটি ভারতবর্ষের শেষ পাথর টুকরোর ওপর অবস্থিত যেটা কিনা জলে ভাসে শিলা না হয়েই যায় না। 
     
    তো এ প্রসঙ্গে আমারও ওই এক কথা --- লেখা একটা চাতুর্যের বিষয়। প্রামাণ্য হিরণ্ময় তত্ত্বটির স্বার্থে ভাসাভাসা ভাষার সাহায্যে এসব যুক্তিনয়ছয় সিদ্ধ। তবে তাকে ওপরচালাকি বলে, এই আর কি।
     
    ৫. গোটা বিষয়টার যখন এহেন পাথুরে প্রমাণ হাতের কাছেই ছিল, তাহলে মিশনের লোকজন ওখানকার মন্দির প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে অত ছুঁই মুই লজ্জাবতী ভাব দেখিয়েছিলেন কেন? কেনই বা আর এস এস তার হর্তাকর্তা সেজে বসে? 
     
    অ, বুয়েচি! তখন মিশনের সন্ন্যাসীরা গুরুচণ্ডা৯-র হদিশ পাননি। আহা রে। এমন একটা জিনিস হাত ফসকে বেরিয়ে গেল। 
  • যাক | 2405:8100:8000:5ca1::159:***:*** | ১৯ জুলাই ২০২৩ ০৯:৫৩521430
  • হালকা চাপ খেতেই বাতের ব্যথা 'তর্কের খাতিরে' ভ্যানিশ হয়ে গেল।
  • এলেবেলে | ১৯ জুলাই ২০২৩ ১১:৩২521434
  • আজ্ঞে না। চাপের কোনও প্রশ্ন নেই। পলিটিশিয়ান সে ব্যাপারে জিগানোয় উপযুক্ত রেফ দিয়েছিলাম। কিন্তু গুরুর রেসিডেন্ট পাঠকবর্গ গাঁজাগোপালকে রেফ হিসেবে মানতে চান না। তা ছাড়া একটা প্রায় ৭৫০-৮০০ শব্দের লেখায় মূল গুলতাপ্পিটাকে পাশ কাটিয়ে যখন একটি মাত্র বাক্যে দাগা বুলিয়ে মাছ ঢাকার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চলছে, তখন সেই শাকটুকু তুলে ফেলে দিয়ে পচা মাছটাকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসাই সেরা সমাধান।
     
    লেসার ইভিলের থেকে ইভিলে ফোকাস করাই বাঞ্ছনীয়।
  • dc | 2401:4900:1f2b:a45a:9c10:ae56:73c1:***:*** | ১৯ জুলাই ২০২৩ ১৪:৩৭521436
  • এমনিতে আমি বিবেকানন্দ নিয়ে প্রায় কিছুই জানিনা। (ইস্কুলে পড়তে শুনেছিলাম উনি কোথায় কি উঠে যেন মারা গেছিলেন, সেটা বাদ দিয়ে)। তবে এলেবেলের লেখাটা পড়ে একটা পুরনো কথা মনে পড়লো, সেটা লিখি। 
     
    কন্যাকুমারী বেশ কয়েকবার ঘুরতে গেছি, ফেরিতে করে ঐ পাথরটাতেও গেছি। তো ফেরিতে করে ক্রস করার সময়ে মনে হয়েছিল, বিবুদা কি সত্যিই সমুদ্রে সাঁতার কেটে পাথরটায় গিয়ে উঠেছিল? মানে উনি তো আর সারাক্ষন সমুদ্রে সাঁতার কাটতেন না, কাজেই ওরকম হঠাত করে বেশ খানিকটা দূরত্ব সাঁতরে পেরনো বেশ টাফ। একবার বৌকেও ​​​​​​​বলেছিলাম, ​​​​​​​বৌ ​​​​​​​বলেছিল ​​​​​​​কে জানে, ​​​​​​​সত্যিই ​​​​​​​হোক ​​​​​​​বা ​​​​​​​মিথ্যাই ​​​​​​​হোক, ​​​​​​​অন্তত ​​​​​​​টুরিস্ট ​​​​​​​সেন্টার ​​​​​​​তো ​​​​​​​হয়ে গেছে! ​​​​​​​
     
    টইটা পড়ে এটা মনে পড়ে গেল। এলেবেলেকে ধন্যবাদ এইসব মিথবাস্টিং প্রচেষ্টাগুলোর জন্য। 
  • এলেবেলে | 202.142.***.*** | ১৯ জুলাই ২০২৩ ১৫:০৭521437
  • অজ্জিনাল লেখকের দাবিদাওয়া এই দুটো
     
    ১. 
     
    ২. 
  • এলেবেলে | ১৯ জুলাই ২০২৩ ১৬:২১521440
  • খুবই ল্যাদ লাগছিল। তবু সব বাদ দিয়ে ফাটা রেকর্ড যখন কোমরের বাতে গিয়েই ফেঁসেছে, তখন ল্যাদ কাটিয়ে খালি ৯০ সালে লিখিত চারটি চিঠির খানিকটা তুলে দিলাম। আগ্রহীরা খুঁজলে এমন নমুনা আরও অনেক পাবেন।
     
    ১. ১৩ ফেব্রুআরী, ১৮৯০
    আমারও কোমরে একপ্রকার বেদনা হইয়া রহিয়াছে, সম্প্রতি অত্যন্ত বাড়িয়াছে এবং যাতনা দিতেছে।

    ২. ১৪ ফেব্রুআরী, ১৮৯০
    আমার কোমরে একটা বেদনায় বড় অসুস্থ করিয়াছে।

    ৩. ২৫ ফেব্রুআরী, ১৮৯০
    Lumbago (কোমরের বাতে) বড় ভোগাইতেছে, নহিলে ইতিপূর্বেই যাইবার চেষ্টা দেখিতাম।
     
    ৪. ৩ মার্চ, ১৮৯০
    এ স্থানে থাকিয়া আমার ম্যালেরিয়া সম্বন্ধে সকল (উপসর্গ) সারিয়াছে, কেবল কোমরের বেদনায় অস্থির, দিন রাত কনকন করে এবং জ্বালাতন করিতেছে—কেমন করিয়া বা পাহাড়ে উঠিব, ভাবিতেছি। 
     
  • দীপ | 42.***.*** | ১৯ জুলাই ২০২৩ ১৭:০৮521444
  • "এমনিতে আমি বিবেকানন্দ নিয়ে প্রায় কিছুই জানিনা। (ইস্কুলে পড়তে শুনেছিলাম উনি কোথায় কি উঠে যেন মারা গেছিলেন, সেটা বাদ দিয়ে)। তবে এলেবেলের লেখাটা পড়ে একটা পুরনো কথা মনে পড়লো, সেটা লিখি। "
     
    কিন্তু সব ব্যাপারে মাতব্বরি না মারলে পেটের ভাত হজম হয়না!
     
  • হেহে | 2405:8100:8000:5ca1::17f:***:*** | ১৯ জুলাই ২০২৩ ১৯:০২521447
  • খিস্তিবাজ চুগলিখোর লাথখোর শুয়োরশাবক চাড্ডি স্প্যামারের পাশে ডিসির মত কন্ট্রিবিউটার যে কোন ফোরামে অনেক বেশী কাম্য।
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১৯ জুলাই ২০২৩ ২২:১৫521454
  • টই টা যদিও ইসকন, রা কৃ মি ছেড়ে অন্যদিকে ঘুরে গেছে, তবে বলতেই হবে এলেবেলে দারুণ দারুন পয়েন্ট তুলে এনে ডিফেন্স করেছেন। খুব ভালো আলোচনা । মিথবাস্টিং মানেই কাউকে অশ্রদ্ধা নয়। শুধু মাত্র ভগবান হিসেবে না দেখে রক্ত মাংসের মানুষ হিসেবে দেখা, যেখানে সে নিজের ভালো মন্দ দোষ গুন সব নিয়েই থাকে। ভক্তরা এসে আবেগ প্রবণ হয়ে গিয়ে অনেক সময় ব্যক্তিগত আক্রমণে নেমে পড়েন। এটা এভয়েড করলেই ভালো। নির্মোহ আলোচনা চলুক না, ক্ষতি কি।
  • Ranjan Roy | ২০ জুলাই ২০২৩ ১৫:৪১521465
  • এখানে অনেকেই হয়তো বিবেকানন্দ শীলা দর্শন করেছেন. 
    তাঁরা নিজেদের perception লিখুন  না!
  • মুচকি | 103.76.***.*** | ২১ জুলাই ২০২৩ ০১:৩৯521478
  • এইতো ব্যাপার। যত আই উইটনেস হচ্ছে concocted আর শীত ও হাওয়ার তীব্রতার পারসেপশন ও সহ্যশক্তির পার্সোনাল মেন্টাল ক্যালকুলেশন হচ্ছে পাথুরে প্রমাণ।
    এদিকে টুকতে গিয়ে ১৯১২, ১৯১৩, ১৯১৪, ১৯৩৩, ১৯৩৬, ১৯৬০, ১৯৬৩, ১৯৭০, ১৯৭৯ সব একাকার হয়ে যাচ্ছে। Lumbago আর rheumatism একাকার হয়ে যাচ্ছে। বাতের ব্যথার উল্লেখটুকু পাওয়ামাত্র তা পুষ্পেপত্রে পল্লবিত হয়ে ১৮৮৯ থেকে তিনি খুব একটা হাঁটতেই পারতেন না, সাঁতরানো তো দূরের কথা হয়ে যাচ্ছে। 
    কুমারী মন্দিরে বসে hit upon a plan এর সাথে rock which was separate from the mainland বসে ভাবনাচিন্তা করার বিরোধ যে থাকতেই হবে, কারণ রাজাগোপাল ওই চিঠিতে উল্লেখিত last bit of rock কেই সমুদ্রের মাঝের পাথরে যাওয়ার sole reference বলেছেন কিনা। এসব ভাবনা মন্দিরে ও পাথরে দুই জায়গাতে বিভিন্ন সময়ে করা সম্ভবই বা হবে কেন? আমরা বলে-কিনা তাঁর কন্যাকুমারী পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে উদগ্র উদগ্রীব হয়ে রয়েছি কখন চিঠিতে পড়া ভাবনামুহূর্তটাকে প্লেস করব!
    বইপত্রের প্রথম সংস্করনে ভুল থাকলে তা দ্বিতীয় সংস্করনে শোধরানো হয় বলেই তো জানি। সে করলেও আজকাল গালি খেতে হচ্ছে, কারণ তাতে পোবোন্ধো লিখে কয়েকশো শব্দ খচ্চা করতে সুবিধে হচ্ছে। যে লেখা ১৯১৩-র পর ১৯৩৩-এ শোধরানো হয় আর তারপরে শুধু রিপ্রিন্টই হয়ে চলেছে কোনও পরিবর্তন ছাড়াই, তাকে বিদ্রুপ করতে একবার ১৯৬০ একবার ১৯৭৯ কতভাবেই না হাতড়ে মরতে হচ্ছে। অথচ যেখান থেকে টোকা সেখানে এই হাতড়ানো একেবারেই নেই, আরেকটু মন দিয়ে পড়লেই বোঝা যেত।
    আর By his eastern and western disciples, The advaita Ashrama, Himalayas ওই বিশেষ জীবনী গ্রন্থটিই যে সমদ্রবক্ষে বিবেকানন্দ মন্দিরের স্থাপনার একমাত্র প্রণোদনা সে বিষয়েও সুনিশ্চিত না হলে আর পোবোন্ধ কীভাবে লেখা সম্ভব! ভক্তদের লেখা জীবনীগ্রন্থে ভক্তির আতিশয্য না-থেকে ঐতিহাসিকের পুঙ্খানুপুঙ্খতার আশাই বা লোকে কেন করে কে জানে। আবার এক্সপেক্টেশন মিসম্যাচের ফলে জীবনীকার না মন্দিরস্থপতি কাকে বস্তুত গালি দিতে হবে সেবিষয়ে কনফিউজড হয়ে গিয়েই যে শব্দসীমা ফুরিয়ে যাবে, সেও তো জানা কথাই।
     
    এদিকে রাজাগোপাল যা বলে গেছেন এবং বই লিখে যুক্তি প্রমাণ সাজিয়ে সাব্যস্ত করে গেছেন সেইগুলিকে টুকে শুধু তাঁর নাম না উল্লেখ করে মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে কেমন দিলুম কলার তোলার অর্থও বোধগম্য নয় নির্ভেজাল ইন্টেলেকচুয়াল ডিজঅনেস্টি ছাড়া।
  • মুচকি | 103.76.***.*** | ২১ জুলাই ২০২৩ ০২:৫১521479
  • উইকি 
    আর যা বুঝলাম, আর্কাইভ থেকে নামিয়ে বইটি নিজের কাছেই রয়েছে এমত ভাব দেখিয়ে বাতেলা মেরে কোটেশন টুকতে বসলে সাল তারিখ অমন গুলিয়ে যাবারই কথা।  The Life ... বইটার সংস্করণগুলি হল ঃ
    ১ম সং (দ্বিতীয় খণ্ড) - ১৯১৩
    ২য় সং (দ্বিতীয় খণ্ড) - ১৯৩৩
    ৪র্থ সং (১ম+২য়= ১ম খণ্ড) - ১৯৪৯
    ৫ম সং (১ম+২য়= ১ম খণ্ড) - ১৯৭৮
    ৬ষ্ঠ সং (১ম+২য়= ১ম খণ্ড) - ১৯৮৯
    একে অবশ্য ওপরচালাকি বলে না, ডিজঅনেস্টিই বলে।
  • আঁতেল | 209.58.***.*** | ২১ জুলাই ২০২৩ ০৪:৫৫521482
  • আরে এলেবেলেবাবুর ইতিহাস লেখার প্রশিক্ষণ নেই। এইটেই গোলমাল হচ্চে। আগেও বলিচি। সেই গান্ধী থেকেই দেখে আসছি উনি খেটেখুটে লেখেন কিন্তু একাডেমিক ট্রেনিং না থাকায় সবই হাতুড়ে পন্ডশ্রম হয়ে যায়। আপনি মোশাই হার্ভার্ডের অনলাইন কিছু কোর্স করুন। ইতিহাসের স্কলারদের কাছ থেকে শিখুন হোয়ট ইস হিস্ট্রি। কে হাততালি দিল, কে সাঁতার কাটল এগুলো বটতলা লেভেলের জিনিস।
  • cb | 2405:8100:8000:5ca1::e0:***:*** | ২১ জুলাই ২০২৩ ০৮:০৬521486
  • এলেবেলে ইতিহাস লেখক না, সেনসেশন লেখক। ওঁর টার্গেট মুরগিরা ওটাই ভাল খায়। বিবেকানন্দ সম্পর্কে যাদের জ্ঞান বলতে কোথায় কি উঠে মারা গেছিলেন। তারাই এই ফোরামের কাম্য কন্ট্রিবিউটার। তারাই এলেবেলের পাঠক। থার্ড পার্টি এসে ইতিহাস লেখার জ্ঞান দিলে উনি শুনতে যাবেন কেন?
  • :) | 2401:4900:3dcd:e0b9:6044:20ff:feee:***:*** | ২১ জুলাই ২০২৩ ০৯:২৫521487
  •  এলেবেলের সবচেয়ে বড় পাখা, না না এসি হলেন এই সাইটের হনু :)
     
    স্বঘোষিত বাম্পন্থী আর লিবারেল আঁতেলরাই বাড় খাইয়ে মাথায় তুলেছেন।
  • একক | ২১ জুলাই ২০২৩ ১৭:৩৮521495
  • এই বিদ্যাসাগরের সাঁতার - বিবেকানন্দর সাঁতার -- বাঙালির সাঁতার নিয়ে প্রচুর মিথ :)) নদীর দেশের লোক তো -- সাঁতারের মিথ জনতা ভালো খায়।
     
    এবার সত্যি এঁরা সাঁতার কেটেছিলেন কিনা - সেই আফ্রিকার সেউফল জেনে ইতিহাসচর্চা বা মিথচর্চা ( এটায় আমার আগ্রহ বেশি) কোনটাতেই কোন উপকার হবে কী??  
     
    ধর্মীয় সংগঠন মিথ কে বিশ্লেষণ বা অস্বীকার কিছুই না করে  বরং উলটে পালে বাতাস দেয়,  সে কথা সম্পূর্ণ  মানি। 
     
    তো আমার চোখে এলেবেলের এই লেখাগুলোয় ইতিহাসচর্চা মূল উদ্দেশ্যই নয়,  হী ইজ আ মিথবাস্টার। নিজের মত করে ঐতিহাসিক ডকুমেন্টস ব্যবহার করচেন মিথ বাস্টিং করতে গিয়ে। হোয়াটস রঙ উইথ দ্যাট??  
     
    ভাবতে হবে : ডু উই নীড আ মিথবাস্টার এমং আস?  আমি অন্তত চাই। সেটা ইতিহাস পাঠের অমনোনীত  ব্যখ্যা করলে তার জন্যে তো আমরা তর্ক করছিই। এলেবেলে ও সবাইকে যথাসম্ভব উত্তর দেন উইথ রেফারেন্স। মিথবাস্টার আউটসাইডার হওয়াই ভালো। একাডেমিক রা সব জেনে অর্হত্বপ্রাপ্ত হয়ে যান, বাস্টিং এর প্যাশন আর থাকে না। তর্ক চলুক। এলেবেলে ওয়েলকাম।
  • মহী | 2405:8100:8000:5ca1::ab:***:*** | ২১ জুলাই ২০২৩ ১৮:২১521498
  • সাধে কী রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় বেস্টসেলার!
     
    এবার সত্যি এঁরা সাঁতার কেটেছিলেন কিনা - সেই আফ্রিকার সেউফল জেনে ইতিহাসচর্চা বা মিথচর্চা কোনটাতেই কোন উপকার হবে কী??
     
    রবীন্দ্রনাথ বৌদির সঙ্গে শুয়েছিলেন কিনা - সেই আফ্রিকার সেউফল জেনে ইতিহাসচর্চা বা মিথচর্চা কোনটাতেই কোন উপকার হবে কী??
     
    যাদের মনে হবে উপকার হবে তারা এলেবেলেকে চাইবে। যে মুরগির যে দানা পছন্দ। আপ রুচি খানা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন