এ হে মাইরি, ওই গাঁজাগোপাল নামক বোকা বোকা খিল্লি ছাড়া ভাঁড়ে যে মা ভবানী সেটা আগেই বোঝা উচিত ছিল। মানে আশীষ লাহিড়ীকে খিল্লি না করতে পারি, তাই বলে গাঁজাগোপালকে খিল্লি করব না, করব না গাঁজাগোপালকে খিল্লি?
বেশ, তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া গেল ১৮৮৯ কেন বিবেকানন্দ আজীবন বাতের ব্যথায় ভোগেননি। কিন্তু না, তার পরেও অঙ্ক মিলছে না।
১. সেই ভাবনামুহূর্তের আগে সাঁতার কেটে সমুদ্রের বুকে জেগে থাকা শিলাখণ্ডটিতে যাওয়ার প্রশ্নটি খোদ ওই গ্রন্থের লেখকরাই নাকচ করে দিচ্ছেন এ কথা লিখে --- After worshipping the Mother in the temple, it was to this holy rock that the Swami wanted to go for meditation. এখন এঁরা গাজার ছিলিমে টান দিয়ে লিখেছিলেন কি না জানি না।
২. গাঁজার আরও বাকি আছে। ১৯৬০ সালে এই গ্রন্থটির ষষ্ঠ সংস্করণে লেখা হচ্ছে --- He thought of the sacredness of India and of the deep, deep spiritual life of which Badarikâshrama and Kanyakumari were the towering landmarks. He was eager as a child to see the Mother; reaching the shrine he fell prostrate in ecstasy before Her image. Worship finished, he crossed to a rock which was separate from the mainland. About him the ocean tossed and stormed, but in his mind there was even a greater tempest. And there, sitting on the last stone of India, he passed into a deep meditation upon the present and future of his country. অর্থাৎ এখানেও আগে কুমারী মাতার দর্শন এবং পরে জলে ভাসে শিলা।
৩. কিন্তু সবচেয়ে উৎকৃষ্ট গাঁজা লুকিয়ে আছে এইখানে --- Worship finished, he crossed to a rock which was separate from the mainland. About him the ocean tossed and stormed, but in his mind there was even a greater tempest.
যাচ্চলে! ১৯১২ এবং ১৯৭৯ সংস্করণের swam across কোন যাদুমন্ত্রে উধাও হয়ে গেল? আর হাঙরগুলোই বা কোথায় মুখ লুকিয়ে রইল? হলদি নদীতে!
তার মানে কখনও হাঙর দেখা দিচ্ছে, কখনও বা হাঙর সম্পূর্ণ উবে যাচ্ছে হাওয়ায়। গাঁজার কী মহিমা বাওয়া! গাঁজাগোপাল এর কাছে তুশ্চু।
৪. 'মা কুমারীর মন্দিরে বসে, ভারতবর্ষের শেষ পাথর-টুকরার উপর বসে' - বিবেকানন্দর এ কথা লেখার প্রকৃত তাৎপর্য হল কন্যাকুমারীর মা কুমারীর মন্দিরটি ভারতবর্ষের শেষ পাথর টুকরোর ওপর অবস্থিত যেটা কিনা জলে ভাসে শিলা না হয়েই যায় না।
তো এ প্রসঙ্গে আমারও ওই এক কথা --- লেখা একটা চাতুর্যের বিষয়। প্রামাণ্য হিরণ্ময় তত্ত্বটির স্বার্থে ভাসাভাসা ভাষার সাহায্যে এসব যুক্তিনয়ছয় সিদ্ধ। তবে তাকে ওপরচালাকি বলে, এই আর কি।
৫. গোটা বিষয়টার যখন এহেন পাথুরে প্রমাণ হাতের কাছেই ছিল, তাহলে মিশনের লোকজন ওখানকার মন্দির প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে অত ছুঁই মুই লজ্জাবতী ভাব দেখিয়েছিলেন কেন? কেনই বা আর এস এস তার হর্তাকর্তা সেজে বসে?
অ, বুয়েচি! তখন মিশনের সন্ন্যাসীরা গুরুচণ্ডা৯-র হদিশ পাননি। আহা রে। এমন একটা জিনিস হাত ফসকে বেরিয়ে গেল।