এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • হিন্দুত্বের মুখে রুজিরুটি দাবি উর্ধ্বে তুলুন, সন্ত্রাসী বৃহৎ পুঁজি গোষ্ঠীর সমস্ত চক্রান্ত ব্যর্থ করুন

    Bhattacharjyo Debjit লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ০৬ এপ্রিল ২০২৩ | ১০৮৭ বার পঠিত
  • একটি মিথ চারিদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কী সেই মিথ? “রাজ্যে হচ্ছে দাঙ্গা”। এর পাশাপাশি আরেকটি গতে বাধা মিথ তৈরি হয়ে আসছে। কী তৈরি হয়ে আসছে? সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বার্তা এবং তার স্বার্থে ‘শান্তি’ মিছিল করা জরুরি। যা পুরোপুরি শাসকশ্রেণী পরিচালনা করছে। এই দুটোই পারস্পরিক ভাবে একে অপর কে আঁকড়ে ধরে পরিপূরক ভাবে এগিয়ে চলছে। আচ্ছা দাঙ্গা কোনটাকে বলে? সু-পরিকল্পিত ভাবে একতরফা আক্রমনকে কখনো দাঙ্গা বলে নাকি! সেটাকে আর দাঙ্গা বলে না। বলে নিধন! হ্যাঁ। মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষকে নিধন করতে চাইছে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলি। এই নিধনের মধ্য দিয়ে তারা সমাজের বৃহত্তর অংশে ভয় সৃষ্টি করছে। 
     
    হিন্দুত্ববাদী’দের যত আক্রমন তত নাকি কেবল ‘সম্প্রীতির বার্তা’ দেওয়ার প্রয়োজন। এতদিন এমনটাই হয়ে এসেছে। এর ফলেই আজ বেমালুম ভাবে হিন্দুত্ববাদী'রা যা ইচ্ছা তাই করছে। আর 'হিন্দুত্ববাদ বিরোধী' সেকুলার-মানবতাবাদী'রা সব হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডায় পা পিছলিয়ে পড়ে ভাঙা ঠ্যাং হাতে করে নিয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ আর এতটুকু করারও সাধ্যে কুলাচ্ছে না এদের। ফলত: হিন্দুত্ববাদী'রা আজ পাড়ার পাগলা কুকুরের মতন হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই এক জিনিস আর কতদিন চলতে পারে? এই করতে করতে তো হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলি এক একটা গাবদা খাসিতে পরিণত হয়েছে। তাই না? এবারের হিন্দুত্বের বিশৃঙ্খলতায় তারা প্রতিটা শ্রমজীবী অঞ্চলে মিছিল সংগঠিত করে একটি সম্প্রদায়ের মানুষকে লক্ষ্য বানিয়েছে এবং সেখান থেকে গোটা রাজ্য তথা দেশের সমস্ত শ্রমজীবী মানুষের রুজিরুটির জায়গায় লাথি মেরেছে। বিশেষত: এই সুযোগের ফায়দা তারা মূলত বন্ধ কারখানার অঞ্চল গুলি থেকে নিয়েছে। শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সন্তানদের পেটের জ্বালার রাগ-ক্ষোভ কাজে লাগিয়ে। 
     
    আমরা যদি ধরে নি – শ্রমজীবী মানুষের একটি বস্তিতে ১০০ জন মানুষ থাকেন। তাঁদের মধ্যে ৬০ জন হিন্দু আর ৪০ জন মুসলমান রয়েছে। এই হিন্দুত্ববাদী বিশৃঙ্খলতার ফলে হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সবার মনেই অবিশ্বাস এবং একে অপরের প্রতি ভয় ও আতঙ্ক জন্মেছে। এক সম্প্রদায়ের মানুষ আরেক সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়ি তো দূর দোকানেও যেতে চাইবে না। ফলত: তাঁদের ভেতরকার ঐক্য নষ্ট হবে এবং বৃহত্তর ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র পুঁজির ব্যবসার ক্ষতি হবে। একই রকম ভাবেই বন্ধ কারখানা খোলার দাবিতে কিংবা মালিকশ্রেণীর বিরুদ্ধে ডাকা যেকোন আন্দোলনে-বিক্ষোভেও সামিল হবে না আর একে অপরের। এরফলে সেই আন্দোলন সু-সংগঠিত হওয়ার আগেই ভেস্তে যাবে। রুটিরুজি'র বিষয় দুই সম্প্রদায়ের শ্রমিকের’ই সমানভাবে ক্ষতি হতে থাকবে। আর মালিকশ্রেণী'র মুনাফাখোরি দিনদিন আরো বাড়তে থাকবে। বাড়তে থাকবে শ্রমিকের উপর শোষণের চাকার গতি মালিকের। 
     
    যে বৃহৎ পুঁজির মালিকেরা এতোদিন আড়ি পেতে রয়েছিল ওই অঞ্চলগুলিতে বড় বড় বহুতল মল, আবাসন, ফ্যাশানি পার্লার বানাবে বলে - তাদের স্বার্থ পূরণ হওয়ার দিকেও আরো একধাপ এগিয়েছে; হিন্দুত্ববাদী'দের সৃষ্ট এমন বিশৃঙ্খলতার ফলে সেখান থেকে বেশির ভাগ মানুষই (হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে) পালাতে বাধ্য হবেন। কেউ আর একটাও দিন কাটাতে চাইবেন না এমন আরজকতার মুখে দাঁড়িয়ে। ঝুটঝামেলা অশান্তির ভয়ে পালাবে থাকবার জায়গা-জমি ছেড়ে। এরফলে ওই জায়গাগুলি অনায়াসেই কারখানার বৃহৎ পুঁজির মালিকের হাতে গিয়ে উঠবে কিছুদিন পরে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই কোর্টে কেস চলছে বহুদিন ধরে। কারখানার বৃহৎ পুঁজির মালিকশ্রেণী শ্রমিক বস্তি, কারখানার গঙ্গা পাড়ের আশেপাশের জায়গা-জমির অঞ্চলগুলিতে কু-নজর দিয়ে বসে আছেন প্রথম থেকে। এছাড়াও এই অঞ্চলগুলিতে ঢুকে পড়েছে রিলায়েন্স-মোর-স্পেন্সার-এর মতন বহুজাতিক সংস্থাগুলি। যাদের ব্যবসাপাতিও খুব একটা ভালো হয় না এই শ্রমজীবী অঞ্চলগুলিতে। শ্রমিকের পকেট ফাঁকা থাকবার কারণে, খুব বেশি উচ্চবিত্ত-উচ্চমধ্যবিত্ত অংশের মানুষের বাস নেই বলে। এরাও চাইছে ওই অঞ্চলগুলি বড় বড় আবাসন বানিয়ে বড়লোকদের ঠাঁই দিতে। ওখানে শ্রমিক তথা শ্রমজীবী মানুষের বসবাস ও ক্ষুদ্র পুঁজির মার্কেট পুরোপুরি হটিয়ে নিজেদের মার্কেট ঢালাও সাজাতে। এদের থেকে আবার হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলির ফান্ড টাও ভালো পরিমাণে মেলে।
     
    অর্থাৎ আসলে হিন্দুত্ববাদী’রা সমাজে তাদের এই বিশৃঙ্খলতা তৈরি করে আসলে হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সমস্ত শ্রমজীবী মানুষের রুজিরুটি’তে হাত বসিয়েছে। তারা আসলে বর্তমানে হিন্দুরাষ্ট্রের খোলোস ব্যবহার করে মুসলমান সম্প্রদায়ের খেটেখাওয়া মানুষ নিধনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী গণআন্দোলনের চাকার গতি বাড়িয়ে দেশী-বিদেশী বৃহৎ পুঁজির মালিকশ্রেণীকে সাহায্য করছে। যেমনটা ঠিক তাদের প্রভু -বিদেশী আক্রমনকারী সাম্রাজ্যবাদী শক্তি গুলি চেয়েছে। যাদের জন্যে আজ ইউরোপ-আফ্রিকা-লাতিন আমেরিকা-এশিয়ার খেটেখাওয়া সমস্ত মানুষ’কে মরতে হচ্ছে। কোথাও বা যুদ্ধের ফলে আবার কোথাও বা অনাহারে।

    এমত অবস্থায় দাঁড়িয়ে কখনোই সম্ভব না সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে কেবল হিন্দু-মুসলমান ঐক্যের কথা বলা। শ্রমজীবী অঞ্চলে। এদেশের বুকে। আর তা রাখতে কেবল শান্তির মিছিল করা। স্পষ্ট কথায় - এই শব্দ গুলিই আজ কাল্পনিক জগতে ঠাঁই নিয়েছে। শ্রমজীবী মানুষের মনে আর এসবের কোন জায়গা নেই। তাঁরা এসবের মানেই কী বা বুঝবে? জন্ম থেকেই তো শোষণ-নিপীড়ন-অত্যাচার দেখে বড় হয়েছে। দেশের সংখ্যাগুরু শ্রমজীবী মানুষের যতই রুজিরুটি অভাব হবে, সমাজে বেকারত্ব বাড়বে ততই মানুষ অশান্তির দিকে ঝুঁকবে। ধর্মের নেশায় মাতলামি করবে। কারণ, ‘যার কেউ নেই তার ঈশ্বর আছেন’- এমন বেদবাক্যে’ই আমাদের সমাজ বেড়ে উঠেছে। আর সাম্রাজ্যবাদের পোষ্য হিন্দুত্ববাদী'রা ধর্মের প্রতি শ্রমজীবী মানুষের এই বিশ্বাস-নির্ভরশলতার জায়গাগুলি ধরে নিজেরা এসি রুমে বসে খেটেখাওয়া মানুষের মধ্যেকার বিবাদগুলি খুবই সূক্ষ সূক্ষ ভাবে বাড়িয়ে তুলে সমাজে আগুন জ্বালিয়েছে - জ্বালাবে। পুড়বে শ্রমজীবী মানুষের সম্পদগুলি। পোড়াবে শ্রমজীবী মানুষই। সব দিক থেকে মরবে শ্রমিকশ্রেণী। মালিকের সাথে শ্রমিকের দ্বন্দ্ব ঘুরে শ্রমিকের সাথে শ্রমিকের দ্বন্দ্ব বাড়বে। যে বা যারা বিশ্বাস করে আগুন জ্বালাচ্ছে -তারাও আসলে দীর্ঘদিনের শোষণ-নিপীড়ন থেকে মুক্তি পেতেই এই আগুন জ্বালাচ্ছে। 

    আগুন জ্বালিয়েই মানব সভ্যতা সমাজ বিকাশের পথে এগিয়েছে। মানবমুক্তি সু-নিশ্চিৎ করেছে। আগুন সৃষ্টি এবং ধ্বংস দুই দিয়েছে। এক্ষেত্রে পথ ভুল হওয়ার কারণে অবশ্যই ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে আমাদের সমাজকে। কিন্তু তাঁদের এই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগুন জ্বালানোর প্রয়াস ইতিবাচক দিক নির্ধারণ করছে। তাঁদের মধ্যে কোন অসৎতা নেই। যার থেকে বোঝাচ্ছে – তাঁরা এখনো জ্যান্ত অবস্থাতেই আছে মরে যায়নি। হৃদয় এখনও বেঁচে আছে। তাঁরা লড়তে চাইছে। কেবল লড়াইয়ের প্রকৃত পথ এবং সেই পথে সংগঠিত হওয়ার জোর শক্তি না পেয়ে এই কাল্পনিক ধ্বংসাত্মক পথ বেছে নিয়েছে। এসময় দাঁড়িয়ে আমাদের একটাই কাজ হওয়া উচিৎ - এই আগুনের গতির দিক বদলের। ধর্মের জায়গায় মানুষের রুজিরুটি প্রকৃত পথে দাঁড় করিয়ে দেওয়া। ধর্মের আগুন কে ভুখা পেটের আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া। ধ্বংসাত্মক আগুনের বিরুদ্ধে সৃষ্টির আগুন জ্বালানো কেবলমাত্র। হয়তো এসব একদিনে হবে না। তবে লক্ষ্য স্থির হলে একদিন অবশ্যই হবে। 
     
    চীনের বোকাবুড়োর তিনটি উঁচু উঁচু পাহাড় সরানোর গল্প নিশ্চই আমাদের জানা আছে? 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৬ এপ্রিল ২০২৩ | ১০৮৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Kuntala | ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ১০:৩৫518322
  • আহারে, বেশ তো শ্রেণী বিশ্লেষণ দিয়ে শুরু হয়েছিল। শেষটায় আবেগ উথলে পড়ে সব কিছু গোল পাকিয়ে গেল। যে কোনও একটা আইডিয়া বা যুক্তিকে ডানা মেল দিন।
  • Ranjan Roy | ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:০৫518328
  • যতদিন সমাজে ধর্মের " বস্তুগত ভিত্তি" (material basis)  বজায় থাকবে ততদিন জনতার কাছে ধর্মের আবেদন থাকবে। শ্রমিক শ্রেণীর কাছেও।
    নইলে সত্তর বছরের কথিত সমাজতান্ত্রিক দেশ রাশিয়ার আজ ধর্মের এত বোলবোলাও হত না।
    আর ধর্ম নিয়ে মার্ক্সের বক্তব্য পুরোটা দেখলে বোঝা যায় কেন শুধুই রুটিরুজির কথা বলে উগ্র হিন্দুত্বের আগ্রাসনের ঠেকানো সম্ভব নয়।
    নইলে 1992 সালে , বামপন্থীরা এবং ট্রেড ইউনিয়ন যখন শক্তিশালী ছিল,  তখনই যেত।
     
    চাই পাল্টা  গ্র্যান্ড ন্যারেটিভ। শুধু নির্বাচনী আঁতাত করলে ত্রিপুরা ও বঙ্গের হাল হবে।
  • অভিভূষণ মজুমদার | 2402:3a80:4144:245f:378:5634:1232:***:*** | ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:৪৪518336
  • সঙখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মীয় মৌলবাদী রাজনীতি ও ফ্যাসিবাদ পৃথিবীর সমস্ত দেশের সমস্যা, এদেশে হিন্দু মৌলবাদী রাজনীতি,ও দেশে মুসলিম মৌলবাদী রাজনীতি,সে দেশে খৃষ্টান। এই ভারতেই এক স্বাস্থ্য মাফিয়া কর্পোরেট তাদের চিকিৎসা ব্যাবসায় বিজ্ঞাপণে হিজাব পরিহিত চিকিৎসকে ব্যাবহার করে চিৎকার করে প্রচার করছে এথনিক ভ্যালুর সন্মান করা হয়। এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পরিবর্তে চিকিৎসক গবেষক সমাজের নিরবতা সন্দেহের অবকাশ আছে।এ ভাবেই এগিয়ে চলেছে ধর্মীয় মৌলবাদী রাজনীতি ও কর্পোরেট বানিজ্য। লড়াই কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন