এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • গরুরা থাকবে এপারে, বাংলাভাষীরা ওপারে

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ১১ অক্টোবর ২০২২ | ১৯৮৮ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৬ জন)
  • খবরে প্রকাশ, সরকারি কাজে পুরোদস্তুর হিন্দি চালুর সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। তাদের সুপারিশ মেনে নিলে, এবার সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজ হিন্দিতে হবে, রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের সরকারি ভাষা হিন্দি হবে, কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষদানের ভাষা হিন্দি হবে, হিন্দিভাষী রাজ্যে আদালতের কাজ হিন্দিতে হবে, সরকারি পরীক্ষায় বাধ্যতামূল ইংরিজির বদলে হিন্দি আনা হবে। না, হিন্দি, ভারতের রাষ্ট্রভাষা নয়। এখনও নয়। কিন্তু  অঘোষিতভাবে হিন্দিকে 'রাষ্ট্রভাষা'য় পরিণত করার চেষ্টা ছাড়া এটাকে আর কিছু মনে হচ্ছেনা। সেটা নতুন কিছু অবশ্য না। গত সত্তর বছর ধরে, বোম্বে-বলিউড, টিভি, অর্থনীতি, মাশুল সমীকরণ, কেন্দ্রীয় বরাদ্দ,  সবকিছু দিয়েই হিন্দি এবং দিল্লির আধিপত্যের  স্টিমরোলার চালানো হয়েছে। এবং এই সত্তর বছরের চেষ্টায় হিন্দি যে একটা উচ্চমানের 'সর্বভারতীয়' ভাষা, বাকি সব 'আঞ্চলিক', সেটা মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত। এখন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা বাঙালির ছানাপোনা হয়েও কর্মকর্তা না বলে কারিয়াকর্তা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী 'বাংলার মেয়ে' হয়েও শিক্ষা এবং চাকরিতে বাংলা বাধ্যতামূলক করার বদলে হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয় খোলেন। এখন বিরোধী দল আন্দোলন করে 'ইনসাফ' বলে। স্লোগান ওঠে 'ইনসাফ চাহিয়ে'। 

    আমাদের ছেলেমেয়েরা নেহাৎই অখাদ্য ফ্লপ হিন্দি সিনেমা নিয়েও পাতার পর পাতা লেখে, বলিউড তাদের মোক্ষ, শাহরুক খান-টানরা টাদের হৃদয়দৌর্বল্য। আমাদের রেডিওতে মাতৃভাষায় সর্বভারতীয় খবর শোনা যায়না, কবেই উঠে গেছে। আমাদের টিভি দিল্লির চ্যানেলকে 'জাতীয়', হিন্দি সিনেমাকে সর্বভারতীয়, হিন্দুস্তানকে ভারতবর্ষ, আর নিজেকে সহি হিন্দুস্তানি ভাবতে শেখায়। আমাদের দৈনন্দিন লব্জে মিশে যায় 'কেন কী', আমাদের সারেগামায় বলিউড, আমাদের স্লোগানে অমুকসে আজাদি, তমুকসে আজাদি। আমরা খাবার দোকানে ইংরিজিতে খাবার চাই, পরিষেবা চাই বা পাই হিন্দিতে। আর নিউইয়র্ক কি লন্ডনের কোনো এক কোনে চাট্টি বাংলা সাইনবোর্ড দেখে, যা আবার আমাদের দৌলতে নয়, বাংলাদেশীদের কারণে, আশ্চর্য হয়ে ভাবি, কী কান্ড। আমাদের এফএমএ বাংলা নেই, সিনেমা হল উঠে গেছে, মাল্টিপ্লেক্সে অন্য সিনেমার রাজত্ব, কলকাতাগামী বিমানে ঘোষণা হয় হিন্দিতে। এই নিয়ে আমাদের বিশেষ কোনো সমস্যাও নেই। একে ইংরিজিতে বলে হেজিমনি, বাংলায় আধিপত্য, সম্মতি নির্মাণের প্রক্রিয়া। আমরা সম্মতি তৈরি হয়ে গেছে, চেতনা বন্ধক রাখা হয়ে গেছে, বলিউডি বোম্বে আর অভিজাত দক্ষিণ-দিল্লিতে। 

    এর চেয়েও বাজে ব্যাপার হল, সামনে এখন কোনো আলোকবর্তিকাও নেই। নব্বইয়ের মতো গিটার হাতে সুমন নেই, নতুন বাংলা গান নেই, কবিতায় নতুন জোয়ার নেই। গান বলতে স্রেফ সিনেমা আর ওয়েব সিরিজ। ওটিটিতে বাংলা যা বিষয়বস্তু তৈরি হচ্ছে এপারে, তা চোখে দেখা যায়না। লেখালিখিতে ভূত ও রোমাঞ্চের প্রাবল্য। কেত করে নোয়াই বলুন আর উদ্ভটরসই বলুন, তা দিয়ে তো আর মাছ ঢাকা পড়েনা। ফলে, বাংলায় সাংস্কৃতিক বিপ্লব হয়ে যাবে, পরশু, এমন কোনো আশা নেই। আমরা, ওই, কে কার চটি চাটছে, এই নিয়ে পরচর্চা করেই সময় কাটাব, দিনগত গ্লানিক্ষয় করব। দোষ আলাদা করে কারো নয় গো মা, এসবই এক মরা সময়েরই অভিজ্ঞান, ঝরা সময়ে এরকমই হয়। সামনে একজন বন্দুক হাতে চে থাকলে তাও গায়ে কাঁটা লাগিয়ে চেগে ওঠা যেত। কিন্তু চে ওরকম ভাবে ম্যানুফ্যাকচার করা যায়না, ফলে এ ঠিক চেগে ওঠার পরিস্থিতি না। 

    পরিস্থিতি অবশ্য এরকমই হবার কথা। নিজের ভাষা, নিজের জাতীয়তাকে রক্ষা করা একটা রাজনৈতিক কাজ, সেটাকে দশকের পর দশক ধরে উপেক্ষা এবং দুচ্ছাই করে যাওয়া হয়েছে। কংগ্রেস দিল্লির ধামা ধরেছে, সিপিএম বামফ্রন্ট সরকারকে চোখের মনির মতো রক্ষা করতে গিয়ে ৭৭এর স্মারকলিপি গিলে ফেলেছে, অশোক মিত্র সরকার ছেড়েছেন, আর তৃণমূল ঠিক কী চায় নিজেই জানে কিনা সন্দেহ। সবার উপরে অবশ্যই বিজেপি, যাদের অ্যাজেন্ডা, বস্তুত, বাংলাভাষী ধর আর বাংলাদেশে পাঠাও। বাংলাদেশী হটাও আর গরু-পাচার বন্ধ কর। অস্যার্থ, গরুরাই এপারে থাকবে, বাংলাভাষীরা সীমানার ওপারে। 

    বিলাপ বেশি বাড়িয়ে লাভ নেই। কথা হচ্ছে, ব্যাপারটা আপাতত এরকমই থাকবে। অবস্থা বদলাবেনা। দীর্ঘকালীনভাবে নির্মিত সম্মতি ওভাবে একরাতে উবে যায়না। কিন্তু তার মধ্যেও বেসুরো সুর থাকে। হয়তো ছাইচাপা থাকে, হয়তো আধিপত্যের চাপে বলতে না পারা থাকে। ভিন্নমতকে জলহাওয়া দিলে, তারাও আগাছার মতো বেড়ে উঠতেই পারে, সর্বত্র। কাজেই, আপাতত, বিষমবাদী যে'কজন যেখানে মনে করছেন, যে, বিষয়টা জরুরি, তাঁদের একটাই কাজ। এটা যে একটা রাজনৈতিক বিষয়, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিষয়, জাতির অস্তিত্বের প্রশ্ন, এই কথা বলে রাজনৈতিক দলগুলোকে চাপ দিন। অর্থনীতি, চাকরি, এসবও এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তা আমি আপনি এমনিই জানি। সেটা বলে চাপ দিন। বাংলা বাধ্যতামূলক করার জন্য চাপ দিন। কাজে, শিক্ষায়, মাল্টিপ্লেক্সে, এফএম এ, সর্বত্র। আর এই বলিউড নিয়ে আদিখ্যেতা, আদেখলাপনা, রিল বানানো নিয়ে খিল্লি করুন। এর সবকটাই রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। রবীন্দ্রনাথের রাখিবন্ধন যেমন রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ছিল। ভাষা চাপানোটা যদি রাজনৈতিক হয়, তার প্রতিরোধও রাজনৈতিক হওয়া দরকার। এইটা মূলধারার দলগুলোকে বুঝিয়ে ছাড়া হোক। বোঝাতে পারলে ভালো, নইলে আর কি, ভবিতব্য। মহাবিশ্বে, মহাকাশে, মহাকাল মাঝে, ওসব হয়েই থাকে। এমনকি চেও তো জেতেননি, আমরা কোন হরিদাস পাল। 
     
    পুঃ হিন্দি নিয়ে বিগত বইমেলায় একটা সভায় কিছু বক্তব্য রেখেছিলাম। তার খানিকটা রেকর্ড করা হয়েছিল। ইউটিউবে তোলাও ছিল। এখন মনে হচ্ছে, সেটাও দেওয়া দরকার। দিলাম। 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১১ অক্টোবর ২০২২ | ১৯৮৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • santosh banerjee | ১১ অক্টোবর ২০২২ ০৯:৩৫512699
  • এটা একটা অসভ্য সরকারের অনৈতিক কাজ। হিন্দী ভাষা কতটা rich বা তার প্রভাব কতটা আমাদের জীবনে তার অন্য বিষয়।যেটা ‌‌‌‌‌‌আপত্তি জনক তার হলো এই চাপিয়ে দেওয়া নীতি।কে চাপিয়ে দিচ্ছে? অমিত শাহ নামে এক দুষ্কৃতী আর তাঁর বশঙবদ কিছু বদমাশ জিনিয়াস !! যে দেশের প্রতিটি গ্রাম জনপদ মহল্লায় প্রত্যেক এক কিলোমিটার অন্তর ভাষা ‌‌‌‌আর সংস্কৃতির পরিবর্তন হয় , যে দেশে একটা অংশ পুরোপুরি হিন্দী বিরোধী অবস্থানে আছে, যে দেশে এক প্রান্তে শুধু খৃষ্টান ধর্মী মানুষ যারা ইংরেজি তাঁদের মাতৃভাষা মনে করে,,,,,, সেই বৈচিত্র্যময় দেশের ভাষা হিন্দি ?? এবং প্রথম ভাষা? ধর্মীয় মেরুকরণ করে এখন ভাষা মেরুকরণ? মানছি না। 
  • Y | 2405:201:9002:382e:706d:d5f7:c19c:***:*** | ১১ অক্টোবর ২০২২ ২২:২৫512736
  • এক সময় বাংলায় আরবী ফারসী ঢুকেছিল, কোনো অসুবিধা হয়নি। তারপর ইংরেজী ঢুকলো, কিছুই যায় আসেনি। এবারে হিন্দি ঢুকবে কিচ্ছু যাবে আসবে না।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:f442:d1c5:336f:***:*** | ১৩ অক্টোবর ২০২২ ১৭:০৫512812
  • রাজ্যগুলো কি প্রতিক্রিয়া দিল? দক্ষিণের রাজ্যগুলো মেনে নিল? পশ্চিমবঙ্গ?
  • guru | 103.175.***.*** | ১৩ অক্টোবর ২০২২ ২১:৩৯512819
  • @পলিটিশিয়ান 
     
    বাঙালির কোমরের জোর নেই | মেনে নেবে দিল্লী যেটা বলবে সেটাই | না মানলে তো ED আছেই | তামিল আর অন্যরা মানবে না হয়তো | এইবারে তাদের জন্য অন্য ওষুধ আছে | নতুন পার্লামেন্ট ভবন উদ্ভোধন হলেই অ হিন্দিভাষী দক্ষিণী রাজ্যগুলির টোটাল আসন কমিয়ে তাদের নির্বিষ করে দেওয়া হবে |
     
     
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:f442:d1c5:336f:***:*** | ১৪ অক্টোবর ২০২২ ০৭:১৮512826
  • crying
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::71:***:*** | ১৪ অক্টোবর ২০২২ ০৮:২৯512827
  • বাংলার এই অবস্থার জন্য বাঙালীরা নিজে সবথেকে বেশি দায়ী। টার্মিনেটার ২ দেখা যায়, ভুল ভুলাইয়া ২ দেখা যায়, কিন্তু পাগলু ২ দেখা যায় না। তাইলে ঐসব হিন্দি ইংরেজী সিনেমাই দেখো।
  • দীপ | 42.***.*** | ০১ নভেম্বর ২০২২ ১৬:৩৩513389
  • শিলং এ বাঙালিদের তাড়াতে আবার আন্দোলন শুরু হয়েছে। কাছাড়ের বাঙালিরা প্রতিবাদে করলেও তৃণমূল - সহ পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দল গুলি নীরব! 
     
    --- প্রসূন আচার্য 
     
    বিগত এক সপ্তাহ ধরে শিলংয়ে বাঙালি, যাঁরা অধিকাংশই আবার হিন্দু তাঁদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছে খাসি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন এবং অন্য কয়েকটি উপজাতি যুব ও ছাত্র সংগঠন। 
     
    বাঙালিদের শুধু শিলং ছাড়া করার হুমকিই দেওয়া হচ্ছে না, তাদের একাধিক দোকান এবং ব্যবসা কেন্দ্রে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। বাঙালিদের বাংলাদেশী হিসেবে চিহ্নিত করে শিলং শহরে বহু পোস্টার এবং ফেস্টুন টাঙানো হয়েছে। অথচ, এই বাঙালিরা কেউই কিন্তু বাংলাদেশী নন। তাঁরা সকলেই ভারতীয়।
     
    শিলং এ বাঙালিরা বিগত কয়েক শত বছর ধরেই আছে। দার্জিলিং এর মতই শিলং এর সঙ্গেও বাঙালির সম্পর্ক বহু দিনের। রবীন্দ্রনাথ নিজেও দীর্ঘ দিন শিলং পাহাড়ে ছিলেন। ব্রিটিশ আমলে শিলং এ বাঙালিদের রমরমা ছিল। কিন্তু ১৯৭২ সালে অসমের থেকে বেরিয়ে গিয়ে আলাদা রাজ্য হওয়ার পরে ১৯৭৯ সালে "বঙ্গাল খেদার" নামে বাঙালিদের ঘর বাড়ি পুড়িয়ে চাকরি ক্ষেত্র থেকে বিতাড়িত করা হয়। 
     
    সেই সময় প্রায় ২০ হাজারের বেশি সম্ভ্রান্ত এবং আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল বাঙালি প্রাণ বাঁচাতে শিলং তথা মেঘালয় ছাড়তে বাধ্য হন। সরকারি আইন অনুযায়ী, পাহাড়ি উপজাতি অর্থাৎ খাসি ও জয়ন্তীয়া বা গারো ছাড়া কেউ মেঘালয় রাজ্যে কোনও সম্পত্তি কিনতে বা নতুন করে ব্যবসা করতে পারবে না।
     
    তবু অনেক বাঙালি পূর্ব পুরুষের ঘর বাড়ি এবং ব্যবসা আঁকড়ে পড়ে আছেন। বর্তমানে মেঘালয়ের রাজধানী শিলং এর বাসিন্দাদের প্রায় ২০% বাঙালি। কিন্তু এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দিনে তাঁরাও থাকতে পারবেন কিনা সন্দেহ। কারণ, লক ডাউনের সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া কোনও বাঙালির ব্যবসা আবার নতুন করে খোলার অনুমতি সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। 
     
    মেঘালয়ের বাসিন্দাদের মধ্যে বাঙালির সংখ্যা প্রায় ৭ শতাংশ। অধিকাংশই হিন্দু। কিছু মুসলিমও আছেন। রাজ্যে খ্রিস্টান জনসংখ্যা ৭০ শতাংশের বেশি। এবং এঁরা সকলেই প্রায় উপজাতি। 
     
    মেঘালয় সরকার বর্তমানে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। এই বাঙালি বিরোধী আন্দোলনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অসমের কাছাড়ের বাঙালিরা সরব হয়েছেন। তাঁরা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। প্রশান্ত কিশোরের মধ্যস্থতায় কংগ্রেস বিধায়করা দল ভেঙে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সরকারি ভাবে মেঘালয়ে বিরোধী দল এখন তৃণমূল। যদিও মাটিতে তাদের ক্ষমতা সীমিত। কিন্তু এখনও সাংসদ সুস্মিতা দেব ছাড়া তৃণমূলের কেউ সেই ভাবে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেনি। সুস্মিতা কাছাড়ের বাঙালি বলেই স্থানীয় চাপে পড়ে প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু আমাদের দিদি এখনও নীরব!
     
    বাংলার রাজনৈতিক দল গুলোর এর বিরুদ্ধে একযোগে প্রতিবাদে সরব হওয়া উচিত এবং শিলং এর বাঙালিদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। না হলে আবার তাঁদের নিজভূমে পরবাসী হতে হবে।
     
    C@ Prasun Acharya
  • দীপ | 42.***.*** | ০১ নভেম্বর ২০২২ ১৬:৩৫513390
  • কোনো রাজনৈতিক দল এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করবে না! সবাই তখন নিজেদের স্বার্থের হিসেব কষতে থাকবে!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন