Siddhartha Mukherjee লেখকের গ্রাহক হোনব্লগ | ৩০ আগস্ট ২০২১ | ২৩৮৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
নব্বই দশকের প্রথম দিক। তখন রবীন্দ্র সরোবরের জলে পদ্ম আর শাঁপলার মধ্যে কম্পিটিশন হতো পাড়ের কাছাকাছি ফুটে থাকার জন্য... রোয়িং ক্লাবের বোটগুলির পরিমার্জিত ত্বকে সোনা আলো ললন্তিকার বাহার নিত... চিল্ড্রেনস কর্ণারের দোলনার ছায়া পড়ত পায়ের নীচে... আর "আমাগো" লেক ক্লাবের দোতলায় ছিল টানা এক-লপতে "জল-বারান্দা" !
তুমুল বর্ষায় সেখানে বসতে পারলে ওমর খৈয়াম যে কালি-কলম-মন উজাড় করে রুবাইয়াৎ লিখে যেতেন -- এ নিয়ে আমার মতো Lake Club Old Boys দের বিন্দুমাত্র সন্দেহ কক্ষনো ছিলনা... এখনো নেই।
***
সেই রকম জলের ওপর দিয়ে ছুটে আসা এক বর্ষা-সকাল। বেতের গোলগাল আরাম কেদারাগুলো, চার পাঁচটি একসাথে করা টেবিলকে প্রায় বাহুপাশে জড়িয়ে রেখেছে। দশ বারো জন মেম্বারের মধ্যমণি হয়ে বসে আছেন -- বাবু বুদ্ধদেব গুহ। সকলের "লালাদা"।
বাবু বুদ্ধদেব গুহ থাকলে শিকার থাকবে... গান থাকবে... পান তো থাকবেই আর থাকবে সুখাদ্য সমাচার।
বৃষ্টির ছাঁট আড্ডা-ফিকেশন কে (এটি অবশ্য coin করেছিলেন সিনিয়ার বুদ্ধদেব -- বুদ্ধদেব বসু) ভাসিয়ে নিয়ে গেল ক্যাস্পিয়ান সাগরের সোনাবেলায় .... যেখানে নিরালা নীরে খেলা করে বালুগা মাছের দল... তারা তীরে পাড়ে ডিম !
Caviar !!
(ক্যাভিয়ার হল গে বেলুগা আর স্ট্রাটজিওন মাছের কাঁচা ডিম। ক্যাস্পিয়ান আর ব্ল্যাক সি-তে এই মাছগুলি খুব কম সংখ্যায় ডিম ছাড়ে আর এই ডিম শ্যাম্পেন (বা উমদা white wine) অথবা ভদকার সাথে 'নাকি' জমে ভাল। মুখেভাতের ছোট্ট বাটির মতো রূপোর ডাব্বায় রূপোর চামচ সহ পরিবেশিত হয়। পান মশলা খাবার ভঙ্গিতে মুখে একটু একটু করে চালান দেওয়াই দস্তুর। অন্তত জেমস বন্ড ভদকার সঙ্গে সেভাবেই খান। কালো অথবা হালকা কমলা রঙের মিহিদানা সদৃশ বস্তু। সাপ্লাই কম, তাই দাম প্রচুর। এবার সোয়াদ। আমার মতো বাঙালের কাছে ভাল লাগে নি। স্বাদে পানশে এবং সৌরভে আঁশটে। একটু সেদ্ধ করলে গন্ধ কমে বটে, তবে স্বাদে কাঁচা সুজির পিতৃব্য সুলভ। তার বেশি নয়। বেঁচে থাক আমাদের ইলিশের ডিম। তেলে-ঝোলে থাক।)
বিলেত ফেরত গোষ্ঠী সেই ক্যাভিয়ার নিয়ে শুরু করলেন উচ্ছসিত স্মৃতিরোমন্থন। বাঙ্গালের তো সবই উদ্ভতুরে! খোদ ইরাণের অসিত-বরণ সেই মাছের-ডিম আর উমদা শ্যাম্পেইন আম্মো খেয়েছিলাম দু-একবার বিলাইতি ঠিকানায় বসে। 'বিলাইতে ভালোবাসেন' এমন বান্ধব এখনও পাওয়া যায় গো!
তেমন বাহুল্যপূর্ণ ভালো লাগেনি -- সত্যি কথা মিথ-মুক্ত হয়ে বললে।
তার চেয়ে ঢের ঢের ভালো আমাদের "জলের রূপোলি শস্য" ইলিশ ঠাকরুনীর ষষ্টি-গুঁড়ির সোয়াদ! আহা.... আহা এবং আ--হা!
সেই সকালে সাহস করে তা বলতেই শুরু হলো জাঁদরেল সিনিয়ারদের টেংরি-খিচন!
হঠাত শুনি বাবু বুদ্ধদেব গুহ সস্নেহে বলছেন : আমি কিন্তু ডাক্তারের হয়ে ছাপ্পা ভোট দেব। খেয়েছেন কখনও তেমন করে? দাঁড়ান দেখি -- কি করা যায়। :
ডাকা হলো শেফ-কে। বুদ্ধদেববাবু আর্জি পেশ করলেন -- : এক্ষুনি গড়িয়াহাট বাজারে গিয়ে নিতাই-গৌরের কাছে আমার নাম করে বলো ইলিশের ডিম যোগাড় করে দিতে - যতটা পারে... যা দাম লাগে লাগুক। তাজা ধনে-পাতা আনবে বেশী করে - শোনো ডাঁটাগুলো আলাদা করে দেবে..... তোমার ছেলেদের বলো বাগানের থেকে গন্ধরাজ লেবুর পাতা নিয়ে আসতে। কাঁচা লংকা চেরা, ধনে-পাতা-ডাঁটা আর লেবুপাতায় জড়িয়ে ইলিশ ডিমের ভাপা করে আনো তো দেখি ! আর আসবার সময়, দাশু (মাটির দোকানের সেই টুকটুকে ফরসা দাদু) কুমোরের দোকান থেকে বড় সাইজের মাটির দোয়াতদানি আনবে দেড় ডজন। একেবারে বড় দোয়াতদানি। :
সমবেত হাঁ-হাঁ ধ্বনির মধ্যে সেই বিরাট হাতের তালু ভরা সবুজ-লালচে নোট গুঁজে দিলেন হেড-পাচকের হাতে।
তারপর বসলেন গান গাইতে।
***
সেই প্রথম রূপচাঁদ পক্ষীর টপ্পা গানটি শুনেছিলাম : এতো গয়না বেটি কোথায় পেলি? : আরোও বেশ কিছু গান -- প্রচুর উচ্চঘরের মৎসগন্ধা রসিকতাচারিতার পরে এলো - বাঙ্গালের ক্যাভিয়ার।
ইতিমধ্যে লেক ক্লাবের সেলার ঢুঁড়ে পাওয়া গেল বেশ খানিকটা Australian Sparkling Wine (তখন সেসব পাওয়া যেত, মশাই) !
বাবু বিলাসের মধ্যমণি রায় দিলেন : দোয়াতদানি বরফ জলে চুবিয়ে আনা হোক... তারপর সেই বিকচ স্ফটিক-সম দ্রাক্ষারিষ্ট ঢেলে দেওয়া হলো তাতে।
সেই মাটির পাত্র যখন স্বাদে-আনন্দে-সুরে আর সুরায় উচ্ছল, লালাদা কেন জানি গেয়ে উঠেছিলেন -- : বেদনায় ভরে গিয়েছে পেয়ালা -- পিয়ো হে পিয়ো :
গান শেষে চোখ মুছে বললেন : এটা কেন গাইলাম? ইলিশ মাছের "এলিজি" !
এই মানুষ "কোয়েলের কাছে" লিখবেন না তো কে লিখবে?
****
ভাপা ইলিশের ডিম আর Sparkling Wine এর এই যুগলবন্দীর স্বাদ আর কখনো আমি পাইনি। পেতে চাইও নি। Unique শব্দটির একটা সম্মান আছে তো!
★
পরিশিষ্ট : "দ্রিঘাংচুর দিগ্ দর্শন" বইটি লালাদার হাত ধরেই প্রকাশ করার ব্যবস্থা করেছিলাম। আমাদের অনুরোধে উনি সেদিন অনেক গান গেয়েছিলেন। তার মধ্যে সেই বহুদিন আগের বর্ষার দুপুরের গান দুটিও ছিল। হঠাৎ জিজ্ঞেস করেছিলেন : "লেক ক্লাবের হেড শেফের নামটা দাওনি তোমার লেখায়?"
আমার অজ্ঞতায় আশকারার ব্লটিং পেপার চাপা দিয়ে বললেন : "দিনমণি। তোমার মনে রাখার কথাই নয় -- সবে মেম্বার হয়েছ তখন।"
তারপর, হাসলেন.... লালাদার মতো।পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
ভুদেব সেনগুপ্ত | 2405:201:800b:c8dd:7407:5a2f:c89d:***:*** | ৩০ আগস্ট ২০২১ ১০:৩৮497371
এই আখ্যান পড়েছিলাম আগেই বন্ধুবরের বইয়ে। বুদ্ধদেব গুহর প্রয়াণের পর এই লেখা আরও অর্থবহ। মানুষ বুদ্ধদেব বা লালাদাকে খুব ভালো ভাবে চেনা যায় এইরকম জীবন্ত স্মৃতিচারণে। কি সব মাপের মানুষ ছিলেন এরা। এই যুগে আর তো হবে না।
aranya | 2601:84:4600:5410:5987:47b1:ea4a:***:*** | ৩০ আগস্ট ২০২১ ১০:৪৩497372
বাঃ
Kumarda | 2409:4042:4e8b:2101:3259:559a:6a2e:***:*** | ৩০ আগস্ট ২০২১ ১১:০৫497373
বাহ্ অদ্ভুত সুন্দর
প্রজ্ঞাপারমিতা | 103.42.***.*** | ৩০ আগস্ট ২০২১ ১২:১২497378
আজ আজই প্রিয়জন সবাই পড়ুক। প্রিয় রসিককে হারানোর বিষাদে, চিরকালীন করে রাখার হরষে।
banibrata basu | 171.79.***.*** | ৩০ আগস্ট ২০২১ ১৪:০৮497381
দারুন সুন্দর !!
শম্পা শুচিস্মিতা। | 2409:4060:38f:8560:a4de:9011:2a9d:***:*** | ৩০ আগস্ট ২০২১ ১৪:৫০497384
অমূল্য স্মৃতিচারণ! ক্যাভিয়রের মতই দামী।
সমীর রায় | 2402:3a80:abb:d855:6e1f:75b8:593c:***:*** | ৩০ আগস্ট ২০২১ ১৭:৪৭497385
সিদ্ধার্থর কলমে যে কোনো লেখাই যতটা সরস ততোটাই তথ্যসমৃদ্ধ। বুদ্ধদেব গুহর প্রয়াণ স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে কত সুন্দর ভাবে অনেক অজানা তথ্যের সঙ্গে লালাবাবুর মজলিশি মেজাজএর চিত্র পেলাম। রসিক, ভাবুক সাহিত্যপ্রেমিক বাঙালী নতুন করে দরিদ্র হলো।
সমীর রায়।
Subhra Kumar Nandy | 42.***.*** | ৩০ আগস্ট ২০২১ ২১:২৪497389
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর, ভাটিয়া৯, হরিদাস পাল(ব্লগ) এবং খেরোর খাতার লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই। | ♦ :
পঠিত সংখ্যাটি ১৩ই জানুয়ারি ২০২০ থেকে, লেখাটি যদি তার আগে লেখা হয়ে থাকে তাহলে এই সংখ্যাটি সঠিক পরিমাপ নয়। এই বিভ্রান্তির জন্য আমরা দুঃখিত।
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন
গুরুচন্ডা৯ বার্তা
গুরুতে নতুন?
এত নামধাম দেখে গুলিয়ে যাচ্ছে? আসলে আপনি এতদিন ইংরিজিতে সামাজিক মাধ্যম দেখে এসেছেন। এবার টুক করে বাংলায়ও সড়গড় হয়ে নিন। কটা তো মাত্র নাম।
গুরুর বিভাগ সমূহ, যা মাথার উপরে অথবা বাঁদিকের ভোজনতালিকায় পাবেনঃ
হরিদাসের বুলবুলভাজা : গুরুর সম্পাদিত বিভাগ। টাটকা তাজা হাতেগরম প্রবন্ধ, লেখালিখি, সম্ভব ও অসম্ভব সকল বিষয় এবং বস্তু নিয়ে। এর ভিতরে আছে অনেক কিছু। তার মধ্যে কয়েকটি বিভাগ নিচে।
শনিবারের বারবেলা : চিত্ররূপ ও অক্ষরে বাঙ্ময় কিছু ধারাবাহিক, যাদের টানে আপনাকে চলে আসতে হবে গুরুর পাতায়, ঠিক শনিবারের বারবেলায়।
রবিবারের পড়াবই : পড়া বই নিয়ে কাটাছেঁড়া সমালোচনা, পাঠপ্রতিক্রিয়া, খবরাখবর, বই নিয়ে হইচই,বই আমরা পড়াবই।
বুধবারের সিরিয়াস৯ : নির্দিষ্ট বিষয় ধরে সাপ্তাহিক বিভাগ। ততটা সিরিয়াসও নয় বলে শেষে রয়ে গেছে ৯।
কূটকচা৯ : গুরু কিন্তু গম্ভীর নয়, তাই গুরুগম্ভীর বিষয়াশয় নিয়ে ইয়ার্কি ফুক্কুড়ি ভরা লেখাপত্তর নিয়েই যতরাজ্যের কূটকচা৯। কবে কখন বেরোয় তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই।
হরিদাস পাল : চলতি কথায় যাদের বলে ব্লগার, আমরা বলি হরিদাস পাল। অসম্পাদিত ব্লগের লেখালিখি।
খেরোর খাতা : গুরুর সমস্ত ব্যবহারকারী, হরিদাস পাল দের নিজের দেয়াল। আঁকিবুঁকি, লেখালিখির জায়গা।
টইপত্তর : বিষয়ভিত্তিক আলোচনা। বাংলায় যাকে বলে মেসেজবোর্ড।
ভাটিয়া৯ : নিখাদ ভাট। নিষ্পাপ ও নিখাদ গলা ছাড়ার জায়গা। কথার পিঠে কথা চালাচালির জায়গা। সুতো খুঁজে পাওয়ার দায়িত্ব, যিনি যাচ্ছেন তাঁর। কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।
লগিন করে থাকলে ডানদিকের ভোজনতালিকায় যা পাবেনঃ
আমার গুরুঃ আপনার নিজস্ব গুরুর পাতা। কোথায় কী ঘটছে, কে কী লিখছে, তার মোটামুটি বিবরণ পেয়ে যাবেন এখানেই।
খাতা বা খেরোর খাতাঃ আপনার নিজস্ব খেরোর খাতা। আঁকিবুকি ও লেখালিখির জায়গা।
এটা-সেটাঃ এদিক সেদিক যা মন্তব্য করেছেন, সেসব গুরুতে হারিয়ে যায়না। সব পাবেন এই পাতায়।
গ্রাহকরাঃ আপনার গ্রাহক তালিকা। আপনি লিখলেই সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকরা পাবেন নোটিফিকেশন।
নোটিঃ আপনার নোটিফিকেশন পাবার জায়গা। আপনাকে কেউ উল্লেখ করুক, আপনি যাদের গ্রাহক, তাঁরা কিছু লিখুন, বা উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটুক, জলদি পেয়ে যাবেন নোটিফিকেশন।
বুকমার্কঃ আপনার জমিয়ে রাখা লেখা। যা আপনি ফিরে এসে বারবার পড়বেন।
প্রিয় লেখকঃ আপনি যাদের গ্রাহক হয়েছেন, তাদের তালিকা।