প্রথমেই মৃত্যুকে লিখো না, হত্যা হলেও না! মৃত্যু বড় নেতির কথা বলে, সমস্ত চেতনাকে নেই করে দেয়। এতো লেখা, এতো পড়া, এতো কাজ, চেতনার উদ্ভাস, সব বুদবুদ হয়ে এক পাতাল গহবরের মুখ উন্মোচিত করে। সীমাহীন বিস্মৃতির লাভা পূর্ণ সে কৃষ্ণ গহবর ! সে বড় ভয়াবহ! তার অল্প ছোঁয়া, অল্প আঁচ-ই পারে প্রাণরসের ভান্ডারকে স্ট্র লাগানো কোকোকোলার বোতলের মতো এক টানে নিঃশেষ করে দিতে। তাই প্রথমেই মৃত্যু লিখতে নেই। তা খুন হলেও না।
বরং ভাবো তাঁর অসীম প্রাণশক্তির কথা। তার কর্মচাঞ্চল্যের কথা। মাত্র বিশ বছরের এক ধর্মপ্রাণ তরুণ নিজের স্বজন স্বভূমি, পরিত্যাগ করে চলে এলেন শোষিতের মধ্যেও যে শোষিততম তার সেবা করবেন বলে। যেখানে গেলেন সেই জায়গা সম্বন্ধে এইটুকু মাত্র শুনেছিলেন যে সেখানে মাটির ওপরে ও বাইরে সাত রাজার ধন ফলে আছে, অথচ সরল আন্তরিক ভূমিপুত্র-কন্যারা বড় গরীব আর নির্যাতনের শিকার। মধ্যভারতের আদিবাসী অধ্যুষিত ভূখণ্ড, ছত্তিশগঢ়।
তাদের হৃদয়-ঐশ্বর্যে ছেলেটি ছিল চির আত্মহারা। যে আদিবাসী স্কুলে শিক্ষকতা, তারই এক ছাত্রের বাড়ির গাছতলায় বসে আছে একদিন। এতো আম ফলে আছে গাছে, যেন অমৃতের ভান্ড সাজানো প্রকৃতির আপন হাতে। ছাত্রের বাবা বললেন, বাঁ-দিকের ডাল থেকে সব আম নামিয়ে আনো। তাই হলো। আর কী চমৎকার, তার স্বাদ!
কিন্তু ডানদিকের শাখা, সেও তো ভরভরন্ত! ওগুলোর কী হবে? বাড়ির কর্তা বললেন, পাখপাখালি খাবে, কাঠবেড়ালি খাবে। প্রকৃতি সবার জন্য দেয়, শুধু বুদ্ধি বেশি বলে অন্যকে ঠকিয়ে খেতে পারব না।
নিজের মূল্যবোধকে প্রশ্ন করা শুরু সেই থেকে। শহুরে মূল্যবোধকে, যা শেখায় এমন গোলমাল থেকে শতহস্ত দূরে থেকো যা তোমার স্থিতাবস্থার ক্ষতি করতে পারে। দেবদূতেরা যেখানে পা রাখতে ভয় পান, বোকারাই সেখানে ছুটে যায়। তুমি বোকা হবে, না চালাক দেবদূত সে ভাবনা তোমার।
বেশি বুদ্ধিমান হলে ফাদার স্ট্যান স্বামী এতো শত গোলমালে জড়িয়ে পড়তেন বলে মনে হয় না। আদিবাসী তরুণদের নকশাল নাম দিয়ে বিনা বিচারে জেলে পুরে রাখা হয়েছে, কোয়েল কারো নদীতে বাঁধ দিলে ডুবে যাবে অনেক গ্রাম, মিত্তলরা স্টিল প্ল্যান্ট তৈরি করবে হাজার হাজার একর জমি থেকে আদিবাসীদের উচ্ছেদ করে, সবেতেই তার জড়িয়ে থাকা কেন! বিস্থাপন বিরোধী জন বিকাশ আন্দোলন কি তাঁরই তৈরি করা নয়? সহায় সম্বলহীন গরীব মানুষগুলোকে ভিটেমাটি ছাড়া করবার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণার সাহস পায় কি করে ঐ কপর্দকহীন জেসুইট পাদ্রি! বাগাইচা নামে সংগঠন গড়ে ঝাড়খন্ডের আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় লড়ে যাওয়া স্ট্যান স্বামী উন্নয়নের পথে বিশাল কাঁটা, ওকে বরং মিথ্যে মামলায় জেলে পুরে দাও। ও এ দেশের সব চেয়ে বেশি বয়সী আতংকবাদী, সব আতংকবাদীর পিতা!
৮৪ বছরের ফাদার কী এখন খতরনাক ছিলেন এই মহা শক্তিধর রাষ্ট্রের জন্য, যে তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হলো? যে সীমাহীন নিষ্ঠুরতা প্রশাসন দেখিয়েছে এই বন্দীর প্রতি তাতে অন্য দেশ হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর গদি টলে যেতো। পার্কিন্সনস ডিজিজ ছিলো, জল খাবার জন্য একটা গ্লাস আর স্ট্র চেয়েছিলেন, আবেদন মঞ্জুর হতে লেগেছিলো পাক্কা ২০ দিন। লাম্বার স্পনডিলাইটিসের তীব্র ব্যথা ছিল শরীরে, দুবার হার্ণিয়া অপারেশন হয়েছিল। জীর্ণ শরীর, তবু জামিন যাতে না হয় তার জন্য সচেষ্ট ছিল সরকার ও এনআইএ। মৃত্যুই চেয়েছিল তারা, খুন করতে হলেও পরোয়া নেই, তাই কোভিডের বিরুদ্ধে কোনো সুরক্ষা দেওয়া হয়নি তাকে, না ভ্যাক্সিন, না কোভিড টেস্ট। একেবারে শেষে, ২৮ শে মে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাবার পর তার কোভিড টেস্ট হয়।
গতমাসেও আদালতে এনআইএ জানিয়েছিলো তাদের কাছে এমন কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই যাতে বোঝা যায় ফাদারের শারীরিক অবস্থার লাগাতার অবনতি হচ্ছে। তাই মরে গিয়ে প্রমাণ করতে হলো যে ভীমা কোরেগাঁও মামলার মতোই,(ভীমা কোরেগাঁওতে তিনি জীবনে কখনো যাননি) তাঁর সম্বন্ধে রাষ্ট্র যা যা বলেছে সমস্তটাই ভুল, সমস্তটাই সাজানো?
তাই মৃত্যু বলতে চাই, মৃত্যু লিখতে চাই। শুরুতে না হয় শেষে, সমস্ত চেতনা জুড়ে থাকার মতো এই মৃত্যুর নিদারুণ অপচয়। যতো জীবনে লগ্ন হবার স্বপ্ন দেখবো, ততোই মৃত্যুর অধিক যন্ত্রণা নিয়ে আসবে স্ট্যান স্বামীর এই অনর্থক মৃত্যু, নির্দয় হত্যা। ভারত রাষ্ট্রকে এই হত্যার দায় নিতে হবে। জবাবদিহি করতে হবে। জানাতে হবে কেন সাজানো মামলায় তাঁকে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল, কেনই বা মাওবাদী যোগের মিথ্যা অপবাদ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। কর্পোরেটের পথ নিষ্কন্টক করার জন্য আর কতো বলিদান চাই, উত্তর দিতে হবে।
ততোদিন মৃত্যু বলো, হত্যা বলো, মন!
দিতে হবে, উত্তর দিতে হবে।
আরেকটি সংগ্রামী তরুণের কথায়, "য়াদ রখা যায়গা. সব কুছ য়াদ রখা যায়গা." এই মানুষটির পাশে দাঁড়াতে এক সমগ্র রাষ্ট্র অপারগ হল. মনে থাকলেও, ইতিহাস কি আমাদের কখনও ক্ষমা করবে?
মূর্খ বড়ো, সামাজিক নয় - এমন মানুষকে না সরালে রাষ্ট্র নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।বেঁচে থাকতে গ্লানিবোধ হয় আজকাল।
আমরা জানতামই তাঁকে খুন করা হবে। আমরাও তো সেভাবে ফেটে পড়ি নি রাগে।
স্ট্র সিপার দেওয়ার আবেদন মঞ্জুর হয়েছিল ৫০ দিন বাদে। ২০ নয় বোধয়।
আমরা এই মৃত্যু কে মৃত্যু মনেকরবো না ।..এই মৃত্যু ""হিমালয়ের থেকেও ভারী """!!একজন খুনি মন্ত্রী।.. আরেকজন মুসলমান দের রক্তে হাত রাঙিয়ে গদিতে আসীন ।..কিন্তু ইতিহাস অন্য কথা বলে ।..বলে ""পাপীর ভবিষ্যৎ অন্ধকার ""!!ফাদার স্বামী কে ভুলবো না ।..ভুলবো না এই জন্য যে তার হত্যাকারী বেঁচে আছে আর আমাদের চার পাশে ঘুরছে !!!
তবুও হত্যাকারীরা এখনো নির্লজ্জভাবে ঘুরিয়ে হত্যার সাফাই দিয়ে যাচ্ছে।
যাঁর ভারতরত্নে ভূষিত হওয়ার কথা তাঁকে ভারতের জনপ্রিয় সরকার চিকিৎসাহীন মৃত্যু উপহার দিলো। আজ গান্ধী বেঁচে থাকলে তিনি আর যাই হোক বর্তমান ভারতের শ্রেষ্ঠী-পোষিত সরকারের আদিবাসী জীবনের উপর নামিয়ে আনা অত্যাচার আর নির্বিচার তছনছ সহ্য করতেন বলে মনে হয় না, আদিবাসীদের পাশে দাঁড়িয়ে নিশ্চিত প্রতিবাদে সরব হতেন। সে প্রতিবাদের পথ কি স্ট্যান স্বামী প্রতিরোধ স্বক্রিয়তার রাস্তার থেকে খুব দুরে হতো? তবে কি তাঁরও হাল এই করে ছাড়তো এরা?
এই নির্লজ্য হত্যাকারীদের বিচার চাই. বিচার একদিন হবেই তখন রাজার কাপড় ধরার কেউ থাকবেনা.
হত্যাই বলা যাক, সরাসরি রাষ্ট্রের হাতে খুন।
বাজারের জুলাই পাঁচের খবর।
https://www.anandabazar.com/india/activist-stan-swamy-died-in-the-age-of-84-years-dgtl/cid/1290997
স্ট্র আর সিপারের ব্যাপারটা সচেতনভাবে বাদ দেওয়া গেছে!!
Stan Swami: প্রয়াত জনজাতি অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের মুখ স্ট্যান স্বামী
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি ০৫ জুলাই ২০২১ ১৬:০৩
অধিকার রক্ষা আন্দোলনের অন্যতম মুখ স্ট্যান স্বামী প্রয়াত। বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। রবিবার রাত থেকে তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়। গত ২৮ মে আদালতের নির্দেশের ভিত্তিতে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয় মুম্বইয়ের হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালে। সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনে গ্রেফতার হওয়া স্ট্যানের শারীরিক অবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর আত্মীয় পরিজনেরা সরব হচ্ছিলেন। জেলে ক্রমে স্ট্যানের শরীর আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে, এমনও বলেছিলেন অনেকে। তারপরেই আদালত তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
সুধা ভরদ্বাজ-সহ বেশ কয়েকজন বন্দিমুক্তির দাবিতে যে আন্দোলন তৈরি করেন, স্ট্যান তাঁর অংশ ছিলেন বলেও অভিযোগ করা হয়। পাশাপাশি, ভীমা কোরেগাঁও মামলায় নাম জড়ায় স্ট্যানের। ২০২০ সালে ৮ অক্টোবর এনআইএ গ্রেফতার করে স্ট্যান স্বামীকে। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে অভিযোগ আনা হয়। গ্রেফতারির প্রতিবাদ করে একাধিক বামপন্থী সংগঠন, কংগ্রেসও। স্ট্যানের মুক্তি চেয়ে চিঠিতে সই করেন শশী তারুর, সীতারাম ইয়েচুরিরা। কিন্তু জেলে স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে স্ট্যানের।
স্ট্যানের পারকিনসন্স-সহ একাধিক রোগ ছিল। জেলে একাধিক বার তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। কানে শুনতে পেতেন না একটা সময়, অস্ত্রোপচারও হয়। এই বছর ১৮ মে মুম্বই হাই কোর্টে বলা হয়, স্ট্যান গুরুতর অসুস্থ। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞ কমিটি। মে মাসে তাঁর করোনা ধরে পড়ে। শেষে ৪ জুলাই তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে দেওয়া হয়। পরের দিন ৫ জুলাই জনজাতির অধিকার রক্ষার আন্দোলনের এক অন্যতম মুখ স্ট্যান স্বামী বেলা দেড়টা নাগাদ প্রয়াত হন।
লেখাটি আমাদের অনেক কিছুই মনে করিয়ে দেয়। আমাদের দুঃসময়ের দলিল। শ্রদ্ধেয় স্ট্যান স্বামীকে নিয়ে এখন কিছু বলছি না। তিনি সারা জীবন কাটিয়েছেন, কাজ করেছেন, যে জায়গাগুলিতে, চাইবাসা, জামশেদপুর বা রাঁচি, সেগুলি ব্যক্তিগত ভাবে আমাদের গ্রাম। তাঁকে নিয়ে আমরা গর্বিত।
@ar,
আনন্দবাজারের সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়েছে। কিছু প্রাসঙ্গিক বিশ্লেষণও রয়েছে,
ক্রোধ ও বেদনাময়। প্রতিভা সরকারকে ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।
অরুন্ধতী রায়ের একটি ছোটো লেখা পড়লাম আনন্দবাজার সংবাদপত্রে । লিখেছেন, " পুলিশের হেফাজতে থেকে ধীরে ধীরে এক তীব্র যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু হল ৮৪ বছর বয়সি ফাদার স্ট্যান স্বামীর। আমাদের চোখের সামনে। ঠিক যেমন কোনও দোকানের জানলায় পসরা সাজানো থাকে, আর সেগুলো এ-পার থেকে দেখি আমরা, ঠিক তেমনভাবেই দেখলাম অশীতিপরের এই মৃত্যু। গণতন্ত্র নামক 'বিপণি'তে।"
যথার্থ।
@শিবাংশু,
ধন্যবাদ!
যদিও "বাজারী নিদান", ঘটনার "প্রধান দায়টি লইতে হইবে বিচারবিভাগকেই", এর সাথে সহমত নই।
এর পুরো ঘটনাটাই নিয়া প্রধান, এবং গুজরাত-রায়ট তদন্ত-কমিটির প্রক্তন সদস্য ওয়াই সি মোডির সুপারভিশনে ঘটেছে।
https://www.thehindu.com/news/national/do-not-have-a-straw-and-sipper-to-give-stan-swamy-nia-tells-court/article33185647.ece
বিচার ব্যবস্থা প্রহসন মাত্র। সব কিছু লেখা হয় ইতিহাসের পাতায় ।
ফাদার স্ট্যান স্বামী সম্পর্কে প্রথম জানলাম। লেখাটি ভাল, তবে প্রশ্ন, তিনি কি শুধুই সমাজসেবা বা সামাজিক আন্দোলন করতেন, নাকি তার সাথে আদিবাসীদের ধর্মান্তরিত করে খ্রিস্টান করতেন?
এই লেখা একইসঙ্গে ভয় আর লজ্জাবোধ জাগিয়ে তোলে। ভয়টাই আগে,কারণ এই যে নয়া পোষাকের রাজা তারা ইচ্ছে করলেই যাকে তাকে গারদে পুরে দিয়ে সিস্টেমেটিক পন্থায় মরতে দিতে পারে। সাপ মরে,লাঠি ভাঙ্গে না! প্রতিবাদ-প্রতিরোধ উধাও হয়ে শিরদাঁড়া বেয়ে নামতে থাকে ভয়ের স্রোত। মিনমিন করলে পাড়ার নয়া গেরুয়া দাদা চিবিয়ে চিবিয়ে শোনায়,কী? বিনামূল্যে চাল পাচ্ছ তো!
আমি এবং আমাদের মত হরিদাস পালদের এসব চরম দৃষ্টান্ত দেখিয়ে মূল্যবৃদ্ধি আর ট্যাক্সের বোঝায় ঘরমুখো করাটা চমৎকার স্ট্র্যাটেজি,যাতে ধর্মতলা মুখো না হই। আমরা তা-ই হচ্ছি। ঝামেলায় জড়াচ্ছি না আমার ঘরে তো আর আগুন লাগছে না!
এটাই লজ্জা।
@সুপ্রিয়বাবু , আগে জেনে নিন আফ্রিকায় সেউফল পাওয়া যায় কি না । তাহলেই আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন।
জরুরী লেখা, ধন্যবাদ প্রতিভা। গত ৭ বছর, খুবই অত্যাচারী, ফ্যাসিস্ট একটি দল ক্ষমতায়
শামীমের পোস্টের প্রেক্ষিতে - স্ট্যান স্বামী -র মুক্তির জন্য আন্দোলন কতটা হয়েছিল, কেউ জানলে একটু লিখবেন । এই সরকারের আমলে প্রতিবাদ সত্যিই ঝুঁকির
প্রতিবাদের আগুন জ্বলুক। শ্যামাপ্রসাদকে হত্যার কথা মনে পড়িয়ে দিল এই ঘটনা।
[11/07, 18:06] Gopa Bosa: কেন এর প্রতিবাদ এ আমরা পথে নামতে পারলাম না.... কেন জীবন এমন স্বাভাবিক নিয়মে চলতে পারছে.... এরপরে ও....!! আমি ভাবি, আমাদের ই বা অমেরুদণ্ডী প্রাণী হয়ে বেঁচে থাকার মানে কী!
[11/07, 18:08] Gopa Bosa: হৃদয় বিদারক! এমন বিভৎস হত্যা.....!
"ভারত রাষ্ট্রকে এই হত্যার দায় নিতে হবে। জবাবদিহি করতে হবে। জানাতে হবে কেন সাজানো মামলায় তাঁকে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল, কেনই বা মাওবাদী যোগের মিথ্যা অপবাদ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। "
ওরা ভয় পেয়েছে রবসন!
লাল সেলাম