কল্লোলবাবুর মতো মানুষকেও এভাবে আক্রমনের শিকার হতে দেখে খারাপ লাগে। এটা সত্যি দুঃসময়।
কল্লোলদা, দুটো ব্যাপার আছে।
১) মানুষের সাইকোলজি। সে একটা জিনিস বিশ্বাস করলে সেটাকে নিজের অস্তিত্বের অংশ বানিয়ে ফেলে। অস্তিত্বের সংকট কীভাবে সে ডিল করবে সেইটা সমস্যাজনক হয়। ধর্মগুলিতে তাই দ্বিন, বিনয়, সত্ত্বগুণ ইত্যাদির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। যাতে ডগমা নিয়ে ব্যক্তিমানুষ সমস্যায় না পড়ে
২) রাজনীতি জিনিসটার নিজস্ব সমস্যা প্রচুর। মানুষ সামাজিক জীব, রাজনৈতিক না।
একদম। কিন্তু আমরা আবেগে ভেসে ভুলে যাই।
বিরুদ্ধ মতকে “ছাগল” বলে দাগিয়ে দেওয়ার ফ্যাসিবাদী মানসিকতাকে ধিক্কার জানাই।
হেঁ হেঁ হুমকি টুমকি দেয়া এ মানুষের বহুতদিনের অভ্যেস। বাংলালাইভের মজলিশের এক সর্বজনপ্রিয় লেখিকাকে বেনামীতে হুমকি চিঠি লিখেছিল এই লোক। সেই লেখিকা তখন সিপিএম ছিল আর এরা তখন ছিল অ্যান্টি বুদ্ধ। এক নাট্যকারের ভাইপোর নাম নিয়ে মেল করেছিল নিজের অফিশিয়াল আইডি থেকে। সেই নিয়ে সাইক্লোন বয়ে যায় মজলিশে। নাট্যকারের আত্মীয় তার নাম ব্যবহারের জন্য লেখিকার কাছে ওপেন ক্ষমা চায়। গুরু লঞ্চ হতে এর বন্ধুরা একে নির্দোষ প্রমাণ করতে ভাটের পাতায় ম্যালা পস্ট নামাচ্ছিল। যেই দেখা গেল অফিশিয়াল আইডি থেকে করা দুটো মেলের মধ্যে তফাৎ ১ সেকেন অমনি বন্ধুরা চেপে গেল। আর এগোয় নি। তার আগে অবধি বন্ধুরা বলে চলেছিল এর অফিশিয়াল আইডি হ্যাক হয়েছে। আরে ভাই হ্যাক হলে অফিস স্টেপ নেয় না?ভারতের অন্যতম বড় আইটি কোম্পানি অমনি ছেড়ে দেয় হ্যাক হলে? লোকে কিচ্ছু বোঝে না? বন্ধুরাও বুঝেছিল ১ সেকেন্ডের তফাতে হ্যাক হবার গল্প চলে না তাই চেপে গেছিল।
এবার ২০১১ ভোটে হেরে সিপিএমরা দুখি তখন এ লোক এসে বেনামে খিস্তি মেরে গেছিল বিদেশ থেকে সিপিএমকে ভোট দিতে আসা লোকেদের। ততদিনে চ্যা ভ্যারাও আইপি ট্র্যাক করতে শিখে গেছে,যেই ধরেছে আবার অস্বীকার। আবার বোঝানোর চেষ্টা যে ও হুমকি দেয় নি ওকে নকল করেছে কেউ। নতুন লোকজন যারা আগের কথা জানত না তারা বিশ্বাসও করল।
এখন আবার সিপিএমের হয়ে হুমকী দিচ্ছে?এতদিন যারা হুমকির রিসিভিং এন্ডে থাকত তারা আবার সাপোর্টও করছে। একটা ভোটের লোভে না ওদের হয়ে অন্যদের খিস্তি করে দেবে সেই লোভে?
এই লোকই ঋতুপর্ণকে নিয়ে কুচ্ছিত কথাবার্তা লিখেছে,গৌতম দেবের শারিরীক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কুচ্ছিত কথা লিখেছে। অনিল বিশ্বাস মারা গেলে পিজা খেয়ে সেলিব্রেট করেছে,জ্যোতিবোস মারা গেলে আনন্দ করেছে এখন সিপিএমের হয়ে খিস্তি দিচ্ছে হুমকি দিচ্ছে। নর্দমায় ঘোঁত ঘোঁত করা শুয়োরেরও এর থেকে বেশী বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে।
আর এ লোকের এখানকার বন্ধুদেরও বলিহারি সমানে নোংরামি দেখেও চুপ থেকেছে, বই ছাপিয়েছে এখন দ্যাখ কেমন লাগে।
কল্লোলদার খারাপ লাগা বুঝতে পারছি... কিন্তু আমার কাছে সামহাও এই আলোচনাটা অপ্রয়োজনীয় ও অবাঞ্ছিত। এক সময় বন্ধুত্ব ছিল, এখন নেই... এই সব উত্তেজিত বাক্য বিনিময়, এগুলি ব্যক্তি মানুষের প্রেফারেন্স ও অভিরুচি বলে মনে করি। বিরুদ্ধ মতের সঙ্গে কীভাবে কথা বলবো তা শিখিয়ে দেওয়ার মত সংগঠন দলের নেই।
আর ব্যক্তিকে নিয়ে আলোচনা করে কী লাভ? আমার চোখে এই লেখার সমস্যা হলো একদিকে এটা ব্যক্তি কেন্দ্রিক আলোচনার দিকে যাবে, আর তা থেকে বাইরে, দেখো চালচোরদের সাইটে কী হয় মূলক একটা ঘোঁট শুরু হবে। তাতে কিছু এসে যায় না যদিও, তবে সেটা নিতান্ত অপ্রয়োজনীয়।
শমীক নাকি?ও আবার সিপিয়েম সাপোর্টার হলো কবে?
এখন গর্ভিত সিপিএম। সিপিএমের ফেবুট্রোল বাহিনির রত্ন।
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে কোনো শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের সিপিএম হওয়া ছাড়া উপায় আছে? অল্টারনেট কী? বিজেপি আর তৃণমূল!
যারা একদা সিপিএম কে অন্তর থেকে ঘৃণা করেছে তারাই পারে সিপিএম জয়েন করে সেই ঘৃণার কারণ গুলোকে উপড়ে ফেলে আগামী দিনের জন্য একটা যোগ্য রাজনৈতিক প্রতিস্পর্ধী দল তৈরি করতে। পাঁচ বছর কম সময় নয়।
আত্মসমালোচনা করে, স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে ফোকাস করে কার্যপদ্ধতি ঠিক করে এগোলে ২০২৬ এ অন্তত প্রধান বিরোধী হয়ে ওঠা অসম্ভব নয়। প্রচুর তরুণ কর্পোরেট চষা, টেক স্যাভি, ম্যানেজমেন্ট পড়া টেকনোক্রাটরা রয়েছেন। সিপিএম এর বর্তমান স্ট্রাকচার, ডিসিশন মেকিং সব খোলনলচে বদলে একে একটা সত্যিকারের আধুনিক রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব মেধাবী ছেলেমেয়েরই নিতে হবে। সাতান্ন বছরের পুরনো একটা দলের গঠনতন্ত্র আর আভ্যন্তরীন পরিচালন কাঠানো সংস্কার না করে এগোলে অবশ্য এতদিন যেভাবে চলেছে সেভাবেই ক্রমশ জনসমর্থন থেকে দূরে সরে অপ্রাসঙ্গিক হতে থাকা আটকানো যাবে না। গোটা পার্টি সিস্টেমটাকে ভিগোরাসলি ঝাঁকানো উচিত। লক্ষ্য হওয়া উচিত পশ্চিমবঙ্গে অন্তত বিজেপিকে ঝাড়ে বংশে শেষ করে দেওয়া। ফেসবুকে আর অন্যান্য মিডিয়ায় অকারণ সময় আর শক্তিক্ষয় না করে পাঁচ বছরের পুরো প্ল্যান চক আউট করে নেওয়া। তবেই আবার ক্ষমতায় ফেরার আশা থাকে।
সিকি-র নিজেকে সিপিএম ঘোষনা করাটা আশাই জাগালো।
শুভবুদ্ধি ফেটে বের হচ্ছে।
দেরিতে সিপিএম হলে একটু বেশিই ফেটে বেরোয়। নতুন বৈরাগী, ভাতেরে কয় অন্ন।
পার্টিচালনার দুটো পার্ট- কর্মসূচী আর গঠনতন্ত্র। সিপিএম সমর্থকরা ভাবতে ভালোবাসেন কর্মসূচী বাম্পার ছিল, শুধু প্রবলেম তার স্ট্রাকচারে।
আরেকটা কথা বলি, কল্লোলদা, এই গুরু ফেসবুক হোয়াতে সব সময়েই ঝগড়া মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। মুখোমুখি তক্কাতক্কিতে অতটা হয় না। ঝগড়া করিয়েদের সাথে একদিন বসে খাওয়া দাওয়া গপ্প করুন, দেখবেন অকারণ তিক্ততা মিটে যাবে।
গুরুচাঁড়ালের ঘরেলু মামলা বাহার আ গিয়া।
খাওয়াদাওয়া গপ্পসপ্প এক তরফ চাইলেই ত হবেনি দুই তরফকেই চাইতে হবে। কাক নতুন গু খেতে শিখলে চাদ্দিকে ল্যাপ্টাবেই। ও পিরিয়ড শেষ না হলে কিচ্ছু হবে নি এই বলে দিলাম।