এক আশ্বিনের সকাল। নদীর ছলাত ছলাত জলে তখনও রোদের ঝিলিমিলি। তাকিয়ে থাকলে একটু ঝিম ধরে। এতই সুন্দর। এখনও তাকিয়ে থাকা যায়। মানে সূর্যদেব ততটাও তেতে ওঠেন নি। জাহাজখানা নদীর পার থেকে একটু দূরত্ব রেখেই এগোচ্ছিল। এখানে পাড়ের কাছাকাছি জলে বাঘ নেমে আসা বিচিত্র না। দুপারেই ঘন জঙ্গল। তবে এবার পারে জাহাজ ভেড়াতে হবে। এসে গেছে চাঁদপাল ঘাট। তেরচাভাবে জল কেটে ঘাটের দিকে এগোচ্ছে নৌকা। সেখানে একটা দুটো করে গাড়ী জমতে শুরু করেছে। বিলেতের জাহাজ তো নয়, তাই ভিড় কম অবশ্য। জাহাজের ডেকে দাঁড়িয়ে পাড়ের গাড়ীর জমায়েতের দিকে দেখছেন এক সাহেব। বয়স ছেচল্লিশ-সাতচল্লিশ তো বটেই। এর আগে দাক্ষিণাত্যে ছিলেন অনেক বছর। সেখান থেকে এই শহরে। সঙ্গে আছে বৌ আর শিশুপুত্র। ১৭৫৮’র ২৯শে সেপ্টেম্বর।
সবে শেষ হয়েছে পলাশীর যুদ্ধ। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মাথায় উঠেছে যুদ্ধজয়ের পালক ।দু’বছর আগের নবাবী আক্রমণে প্রায় গুঁড়িয়ে যাওয়া কলকাতাকে আবার গুছিয়ে তোলার কাজ চলছে। শোনা গেছে, কোম্পানি নাকি অনেক টাকা ক্ষতিপূরণও পেয়েছে। বাড়ি-ঘর সারিয়ে তোলা চলছে। আবার একটু একটু করে সেজে উঠছে কলিকাতা। নতুন করে দুর্গ বানানোর কাজ চলছে। লাল দিঘির আশেপাশে গুটিকতক সাহেবের বাস। সব কোম্পানির লোক। সব মিলিয়ে শহরে বোধহয় তখন হাজার দুয়েক ইউরোপিয়ান। দূরে দূরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা। মাঝে মাঝে জঙ্গল, জলা, নলখাগড়ার বন। বাঘ শেয়ালের রাজত্ব। কাঁচা মাটির সরু পথ চলে গিয়েছে দিকে দিকে। ঘোড়ার গাড়ি, পালকি, টাট্টু ঘোড়ার পাশে পাশে পায়ে-চলা লোকের দল। উত্তরে চিৎপুরের দিকটায় নেটিভদের ঘরবাড়ি। সে দিকে অবশ্য লোকজন, ভিড়ভাট্টা বেশি। শহরের উত্তর আর পূর্ব দিক বেড় দিয়ে রয়েছে মারহাট্টা ডিচ। তার ওপারে ঘন জঙ্গল। এই হল ক্লাইভের কলকাতা। কোম্পানির নয়নমণি।
কোম্পানির খাস-নিয়ম, যেখানেই আস্তানা গাড়বে সেখানেই যাজক আর স্কুলমাস্টার থাকতে হবে। তাই কোম্পানির কলকাতায় আছেন রেভারেন্ড বাটলার আর রেভারেন্ড কেপ। কিন্তু কলকাতায় তখন গির্জা কোথায়? একটা ঠেকনা-দেওয়া আস্তানায় প্রভু যীশুর ভজন-পূজন চলছে। সেও আবার আদতে পর্তুগীজদের গির্জা। মুর্গিহাটার আওয়ার লেডি অব দ্য রোজারি। কোম্পানির এলাকায় ফ্রেঞ্চ বা পর্তুগীজ পাদ্রীদের ঢোকা মানা। আর্মেনিয়ান চার্চ আছে একটা। কলকাতার প্রথম চার্চ। কিন্তু প্রটেস্টান্ট ইংরেজ সাহেবরা সেখানে যান কি করে? এর আগে লোকজনের থেকে চাঁদা তুলে একখানা গীর্জা বানানো হয়েছিল বটে, আজকের রাইটার্স বিল্ডিং এর জায়গাতেই। পর পর দুটো বিপর্যয়, ১৭৩৭ সালের বিধ্বংসী ঝড় আর বন্যা আর ১৭৫৬ য় সিরাজ-উদ-দৌলার আক্রমণে সে গির্জা আর নেই।
সেই কলকাতায় পা রাখলেন কিয়েরনান্ডার। কলকাতার প্রথম প্রটেস্টান্ট মিশনারি। ‘সোসাইটি ফর প্রোমোটিং ক্রিস্টিয়ান নলেজ’ এর মিশনারি। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অবশ্য তখনও দেশজ মানুষদের মধ্যে মিশনারি কাজকর্ম চালানোর বাবদে খুব একটা রাজি নয়। তবে তাতে কিয়েরনান্ডারকে স্বাগত সম্ভাষণ জানাতে ত্রুটি হয়নি। আর কিয়েরনান্ডার স্বপ্ন দেখলেন, কলকাতায় একটা চার্চ তৈরি করতে হবে। নিজের পয়সায় জমি কিনে সেই জমিতে ১৭৭০ সালে একটা চার্চ বানিয়েই ফেললেন এই জন্ম-সূত্রে সুইডিশ যাজকমশাই। আজকের বিবাদীবাগ চত্বরের ওল্ড মিশন চার্চ, চার্চ অফ ইংল্যন্ডের অনুমোদিত । কলকাতার দ্বিতীয় চার্চ। সাহেব অবশ্য এদেশেই মারা গেলেন, ১৭৯৯ সালে। আর রোমানিস্টদের চার্চ অব ইংল্যন্ডের অধীনে নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ২০৯ জন হিন্দুকেও খ্রিস্টান বানালেন।
সেই সঙ্গে আর একটা বড় কাজ করলেন। পৌঁছনোর মাত্র দুমাসের মাথায় শুরু করে দিলেন একটা স্কুল। গরীব ছেলেদের জন্য - ইংরেজ, পর্তুগীজ, আর্মেনিয়ান আর বাঙ্গালী সবাইকে নিয়ে । শুধুই খ্রিস্টানদের জন্য হলেও, নেটিভদের জন্য প্রথম স্কুল। শুধুই যে ধর্মকথা পড়াতেন তাই না, লিখতে পড়তে আর অঙ্ক কষতেও শেখাতেন। তখন আসলে নিয়মটা ওই ধাঁচেরই ছিল। ওইটুকু জানলেই কাজও মিলত। গরীবের বাচ্চা বা অনাথ বাচ্চার আর কি-ই বা লাগে! ইউনিভার্সিটি বা কলেজ বড়লোকদের, জমিদারদের ব্যাপার। আর কলকাতায় তখন কলেজ, ইউনিভার্সিটি কোথায়! এরও আগে ইউরোপিয়ান মিলিটারির অনাথ ছেলেদের জন্য বেলামী সাহেব ১৭৩১ সালেই একটা চ্যারিটি স্কুল খুলেছিলেন। তবে তিনি নিজেই নবাবের কলকাতা আক্রমণের সময় মারা যান।
স্কুল খোলার মাত্র এক বছরের মধ্যেই কিয়েরনান্ডার সাহেব জানাচ্ছেন একটি বাঙ্গালি ছেলে গোটা ইংলিশ বাইবেল পড়ে ফেলেছে। তবে আরও ইন্টারেস্টিং খবরটা জানা যায় দ্বিতীয় বছরের রিপোর্ট থেকে। ১৭৬০ সালের শেষের মধ্যে তাঁর স্কুলে রয়েছে উনিশটি মেয়ে। ইংরেজ এবং পর্তুগীজ। বাংলার মাটিতে মেয়েদের স্কুলে গিয়ে বই পড়তে শেখার এই শুরু। নাই বা হল বাঙ্গালির মেয়ে।
মেয়েদের জন্য এরপর সার দিয়ে প্রাইভেট বোর্ডিং স্কুলের খবর মেলে। তবে বিভিন্ন সুত্রের খবর আলাদা। আর সব তথ্যের ঠিক-ভুলও বোঝা দায়। তাই ঠিক ঠিক ছবিটা মেলে না। কিছু কিছু স্কুলের নাম শোনা যায় - মিসেস হেজেসের স্কুল ( ১৭৬০ নাকি ১৭৮০) , মিসেস পিটের স্কুল – দুজনেই প্রথম মেয়েদের স্কুল খোলার কৃতিত্বের ভাগিদার। এছাড়াও ছিল মিসেস ডারেলের বা রেভারেন্ড লওসনের স্কুল। তবে ওই নামটুকুই মেলে, ব্যস। বিশদ বিবরণ মেলে না তেমন। জানা যায়, মিসেস হেজেসের স্কুলে মেয়েদের ফ্রেঞ্চ আর নাচ শেখান হত। এই স্কুলের মেয়েরা নাকি বড্ড নাকউঁচু, মেয়েলি ছলা-কলায় পটু। তবে বিয়ের বাজারে তাদের ভারি কদর! অনুমান করা যায় যে এগুলো সব ফিনিশিং স্কুল ধাঁচের, ইউরোপীয় মেয়েদের জন্য । অবশ্য ভারতীয় মেয়েদের তখন স্কুলে দেখা যাবে কি করে? তাদের তো তখন দুধের বয়সে পরাতে চাপিয়ে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়।
এ জমানা প্রাইভেট স্কুলের। ক্যালকাটা গেজেটে ১৭৮৫ সালে জন স্টান্সবেরো বিজ্ঞাপন দিয়েছে তেমনই একটি স্কুলের, যেখানে ছেলেদের ও মেয়েদের লিখতে , পড়তে আর অঙ্ক করতে শেখানো হবে। মেয়েদের সেলাই ও লেস বুনতেও শেখানো হবে। মেয়েদের মাসিক থাকা-খাওয়া-পড়ার খরচ মাসে তিরিশ টাকা, ছেলেদের অবশ্য ২৫ টাকা। তখন এক টাকায় ১১ সের চাল মেলে। টাকার পরিমাণ থেকেই বোঝা যায়, এই স্কুলে সাধারণ ভারতীয়দের এমনিতেও ঠাঁই মিলত না।
সাধারণ ঘরের মেয়েদের তবে পড়াশোনার কি হাল? একটা বড় শূন্য। তবে একথা মনে করার কোন কারণ নেই যে এই সময় বাঙ্গালী বাড়ির সব মেয়েদেরই ক-অক্ষর গোমাংস ছিল। তা ঠিক নয়। কোনও কোনও ভদ্রবাড়ীর মেয়েরা পড়তে পারতেন। এমনকি অষ্টাদশ শতাব্দীতে দু চারজন সংস্কৃত বিশারদ মেয়ে পণ্ডিতের নামও পাওয়া যায়। কিন্তু সব মেয়েদের তা মোটেই আয়ত্তে ছিল না।
বাঙ্গালী মেয়েদের কপালে তাহলে কবে শিকে ছিঁড়ল? সে খুঁজতে হলে এগিয়ে যেতে হবে ১৭৯৯ সালের অক্টোবর মাসে। ক্রাইটেরিয়ন জাহাজে করে একদল ব্যাপিস্ট মিশনারি এসে পৌছালেন ভারতে। তাঁদের দলে রয়েছেন জোশুয়া আর হানা মার্শম্যান, আর তাদের দুটি সন্তান। প্রায় সাড়ে চার মাসের জাহাজের দুলুনিতে ক্লান্ত। ভাগ্য মানুষকে কোথায় নিয়ে ফেলে! মাত্র আটবছর আগে বিয়ের সময় জোশুয়াকে দিয়ে হানা কড়ার করিয়ে নিয়েছিলেন, নিজের দেশ, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব ছেড়ে হানাকে বিদেশ যেতে বলবেন না কখনো। জোশুয়া তখন স্বপ্ন দেখছিলেন আমেরিকায় যাওয়ার। অথচ সেই হানা মাত্র ক’বছর পরেই স্বামীর সঙ্গে কোন দুরের ভারতে থাকতে এসেছে। এদেশে কোম্পানি তখনও মিশনারিদের উপর সদয় না বিশেষ। তার উপর তালেগোলে কাগজে প্রকাশ হয়েছে ওঁরা প্যাপিস্ট মিশনারি। সামান্য ছাপার দোষ, অথচ সেই কারণে কলকাতায় ঠাঁই মিলল না। চলে গেলেন কাছেই ফ্রেডরিকনগরে, তৈরি হল শ্রীরামপুর মিশন। এসে যোগ দিলেন উইলিয়াম কেরীও।
সেখানে তখন বাচ্চা বুড়ো মিলিয়ে প্রায় উনিশজন মানুষ। খরচ চালানোর জন্য হানা চালু করে দিলেন একটি বোর্ডিং স্কুল। তবে সে শুধু ইউরেসিয়ান বাচ্চাদের জন্য। অল্প কিছুদিনের মধ্যে পুরো দমে মিশনের কাজকর্ম চালু হয়ে গেল। নেটিভ ধর্মান্তরীদের জন্য স্কুল খুললেন। ইতিমধ্যে ২০০৯ সালে শ্রীরামপুর মিশন কলকাতায় বেনেভলেন্ট ইন্সটিটিউট খোলে গরীব খৃস্টান বাচ্চাদের জন্য । মেয়েদের জন্য তারা দরজা খোলে ১৮১১ সালে। আর বছর ছয়ের মধ্যে তাদের ১২ টা স্কুলে ২৮০ জন ছাত্রী হয়ে যায়।
অবশেষের ১৮১৩ সালে ইংল্যন্ডের চাপে পড়ে কোম্পানি বাধ্য হয়ে তার এলাকায় মিসনারিদের নেটিভদের মধ্যে ধর্মপ্রচার করা মেনে নিলেন। শিক্ষার মাধ্যমে হিদেনদের যীশুর পায়ের কাছে টেনে আনার জন্য এবার স্কুল খোলার হিড়িক পড়ল। মেয়েদের শিক্ষা নিয়েও ভাবনা চিন্তা শুরু হল। ১৮১৬-১৭ সালে শ্রীরামপুরে হানা নেটিভ হিদেন মেয়েদের জন্য স্কুল খুললেন। লিখতে পড়তে শেখানো ছাড়াও তাঁর স্কুলে মেয়েদের ইতিহাস, ভূগোল, অঙ্ক, বিজ্ঞান পড়ানো হত। সেই সঙ্গে অবশ্যই বাইবেল পড়ানো। তবে সেখানে বোধহয় একই স্কুলে ছেলেদের সঙ্গে পর্দার আড়ালে মেয়েদের বসানো হত। ১৮২৪ সালে তাঁর স্কুলে ২৩০ জন ছাত্রী পরীক্ষায় বসেছিল। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা খুব বেশি না হলেও একেবারে ফেলনা নয়। দুঃখ এই যে হানা বা হানার মত অনেক মিশনারিদের বৌদের কথা আমরা খুব বেশি শুনি না বটে, ইতিহাসে হানার পরিচয় মার্শম্যানের ‘ ডমিনীয়রিং ওয়াইফ’ ।
ফিমেল জুভেলাইন সোসাইটি অফ কলকাতা (১৮১৯ ) র গৌরিবাড়ি, জানবাজার ইত্যাদি শহরের বিভিন্ন জায়গার চারটে স্কুলে ১৮২২ এর গোড়ায় ৯৬ জন নেটিভ মেয়ে। প্রসঙ্গত এই সোসাইটির একজন হর্তা কর্তা হলেন মিসেস ইয়েটস। তিনি ছোট থেকে হানার কাছে বড় হয়েছেন । এই সময়ে রাধাকান্ত দেবের নির্দেশে গৌরমোহন বিদ্যালঙ্কার লিখে ফেলছেন স্ত্রীশিক্ষাবিধায়ক।
১৮২১ সালে কলকাতায় এসে পৌছালেন চার্চ মিশনারি সোসাইটির মিস মেরি অ্যান কুক ( পরে মিসেস উইলসন )। লেডিস সোসাইটি ফর নেটিভ ফিমেল এডুকেশনের ( লেডি আর্মহার্স্ট এর পৃষ্ঠপোষক ) সাহায্যে ঠনঠনিয়া, মল্লিকবাজার, শোভাবাজার ইত্যাদি সব জায়গা জুড়ে মেমসাহেব দেশি মেয়েদের জন্য স্কুল খুলতে লাগলেন। ১৮২৫ সালে শুধু লেডিস সোসাইটি ফর নেটিভ ফিমেল এডুকেশন ২৪ টা মেয়েদের স্কুল চালাচ্ছে , মোট ছাত্রী সংখ্যা ৪০০। এছাড়াও আরও অনেক মিশনারি সোসাইটিই নিজের নিজের মত করে চেষ্টা চালাচ্ছিলেন।
মেমসাহেবদের যদিও স্কুল খোলার উৎসাহের ঘাটতি নেই, আর এই সব স্কুলে ভর্তি হতে গেলে খ্রিস্টান হওয়াটা বাধ্যতামূলকও না, তবু সম্ভ্রান্ত হিন্দু ভদ্রলোকদের কিন্তু তাতে কোন উৎসাহ নেই। একে তো মেয়েরা পড়াশোনা করলে বিধবা হবে। তার উপর মেমসাহেবরা ছলে-কৌশলে মেয়েদের খ্রিস্টান করতে চায়। রিপোর্টে এও বলা হচ্ছে, নিচু জাতের মেয়েরা জামা-কাপড়-উপহারের লোভে এই স্কুলগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে। শেষে কি অজাত-কুজাতের সঙ্গে একসঙ্গে বসে বাড়ির মেয়েরা পড়বে নাকি?
এদিকে দেশীয় বাবুরা বুঝতে পারছেন যে হাওয়া বদলাচ্ছে। মেয়েদের পড়াশোনার বাবদে কিছু একটা করা দরকার। অবশেষে কলকাতার কাছেই বারাসাতে বাবু কালীকৃষ্ণ মিত্রের সহায়তায় প্যারীচরণ সরকার একটি মেয়েদের স্কুল খোলেন। ১৮৪৭। ভারতের প্রথম নেটিভদের খোলা মেয়েদের ইংরেজি মতে শিক্ষার স্কুল। কালীকৃষ্ণের ভাই নবীনকৃষ্ণের মেয়ে কুন্তীবালা ( ভাল নাম স্বর্নলতা) সেই স্কুলের প্রথম মেয়েদের একজন। কুন্তীবালার পরীক্ষা নিয়ে সন্তুষ্ট হাইকোর্টের স্যার জেমস কেলভিন তাঁকে বই প্রাইজও দেন। অবশ্য এহেন শাস্ত্রবিরুদ্ধ কাজ করার জন্য প্যারীচরণ ও কালীকৃষ্ণকে সমাজচ্যুত করা হয়, তাদের বাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনা করা হয় ইত্যাদি ইত্যাদি। তারপর তো বেথুন সাহেব ইস্কুল খুলে ফেললেন কলকাতাতেও। ঘোষণা করলেন, শুধু সম্ভ্রান্ত হিন্দু ঘরের মেয়েদের জন্য স্কুল। শহুরে বাবুরা খুশি। প্রথম ভর্তি হওয়া মেয়েদের মধ্যে ইতিহাসের পাতায় ঢুকে গেল মদন মোহন তর্কালঙ্কারের মেয়ে ভুবনমালা, কুন্দমালার নাম। ধীরে ধীরে বেণী দুলিয়ে খড়খড়ি দেওয়া ঘোড়ার গাড়ী চেপে ইস্কুলে যাওয়া কলকাত্তাই বিবিদের নতুন ‘ফ্যাশন’ হয়ে গেল। মেয়ে-শিক্ষার রাশ ফিরে এল সম্ভ্রান্তদের হাতে।
রাম-শ্যাম-যদু-মধুদের অবশ্য তখনও আড় কাটে নি। পঞ্চাশ বছর পরে আরেক বিদেশিনী নিবেদিতার ইস্কুলে তাই মেয়ে ভর্তি করানোর জন্য বিবেকানন্দকে নাম ধরে ধরে ডেকে ডেকে প্রায় জবরদস্তি মেয়ে দিতে রাজী করাতে হয়। তারপরও কত জল গেল, তবে সাধারণ মেয়েদের স্কুলের পথ দুরস্ত হল সে অন্য গল্প।
কুন্তীবালার আগের স্কুলের মাটি-ছোঁয়া বাঙ্গালি মেয়েদের কিন্তু কোন নাম নেই। তাঁরা শুধু সংখ্যা মাত্র। আর এর পরে এক সময় মিশনারি মহিলাদেরও আসা কমে গেল। তাদের করা স্কুলগুলোরও বেশিরভাগেরই স্বর্গপ্রাপ্তি হল। নিট ফল, হানার এদেশে আসার প্রায় দেড়শ বছর পরে যখন ভারত স্বাধীন হল, দেখা গেল শিক্ষার আলোটি মূলত একটা প্রিভিলেজড শ্রেণীর মেয়ের হাতেই আটকে আছে।
( তথ্য গুলি চেষ্টা করেছি বিভিন্ন সে আমলের এ আমলের বই ঘেঁটে যতদূর সম্ভব নিখুঁত করার। তবে মূলেও অনেক গোলযোগ আছে। তাই কোথাও চেষ্টার পরেও ভুল থেকে গেলে দুঃখিত। )
চমৎকার।
এটা সিরিজ হবে তো?
চমৎকার লাগলো পড়ে।
সিরিজ হোক, সিরিজ হোক,
আশায় বাঁচে চাষালোক।
ভালো লাগলো। এবার বিটউইন দ্য লাইনস গল্পগুলোও আসুক। সেগুলো আরও দামি,
একটানে পড়ে ফেললাম। বেশ স্বাদু গদ্য, উপস্থাপন ভঙ্গিও চমৎকার।
তবে কি না লেখাটায় তিনটে মোটা দাগের তথ্যগত ভুল আছে।
১. //অবশ্য ভারতীয় মেয়েদের তখন স্কুলে দেখা যাবে কি করে? তাদের তো তখন দুধের বয়সে পরাতে চাপিয়ে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়।//
১৯২৯ সালের আগে ইংল্যান্ডে মেয়েদের বিয়ের বৈধ বয়স ছিল ১২, ১৮৯০ পর্যন্ত ১০। তবে পাঁচ-ছয় বছরে মেয়েদের হামেশাই বিয়ে হত।
২. //সাধারণ ঘরের মেয়েদের তবে পড়াশোনার কি হাল? একটা বড় শূন্য।//
বিপিন পালের সত্তর বৎসর পড়লে এই ভ্রান্ত ধারণাটা চিরকালের জন্য ঘুচে যাওয়ার কথা।
৩. //রাম-শ্যাম-যদু-মধুদের অবশ্য তখনও আড় কাটে নি।//
এই যে বেথুন থেকে দুম করে নিবেদিতাতে চলে গেলেন, এখানে বাদ পড়ে গেল নারীশিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়টা। বাদ পড়ে গেলেন দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায় এবং চন্দ্রমুখী বসু। এঁদের উল্লেখ ছাড়া ভারতবর্ষের নারীশিক্ষার চিত্র অসম্পূর্ণ থাকে।
আর খুব দুঃখ পেলাম লেখাটায় একবারের জন্যও সাবিত্রী ফুলের উল্লেখ না থাকায়। আর কতদিন এঁকে ব্রাত্য করে রাখবেন আপনারা?
এলেবেলে,
এই লেখাটার ফোকাস বঙ্গে মেয়েদের মধ্যে আধুনিক বা ইউরোপীয় শিক্ষাপ্রসারের গোড়ার দিনগুলি।
সেখানে মহারাষ্ট্রের দলিত আন্দোলন তথা তার অঙ্গ হিসেবে জ্যোতিবা ফুলের স্ত্রী সাবিত্রীবাঈ ফুলের কথা আসবে কেমন করে?বলতে চাইছি-- উললেখ করলে ভালো, কিন্তু এই স্বল্প পরিসরে উল্লেখ করতেই হবে?
@এলেবেলে অনেক ধন্যবাদ। ইংল্যন্ডের মেয়েদের তথ্যটা চমকপ্রদ। জানতাম না। আরও ঘাঁটতে হবে। তবে সাম্প্রতিক কিছুটা পড়াশোনায় যেসব তখনকার ( ধরুন ১৭৬০ র ধারে কাছে জন্ম ) ইংল্যন্ডের মেয়েদের পাচ্ছি যারা একেবারে গ্রামের মেয়ে তাঁদের কিন্তু বছর কুড়ির আগে বিয়ে হতে দেখছি না। এটা নিয়ে আরও পড়ার কোন রেফারেন্স পাব?
প্যারীচরণ সরকারের বইতে যেমন পাচ্ছি তাঁর ঠাকুমারা ধর্মগ্রন্থ পড়তে পারেন,তেমনই আবার ব্যক্তিগত বংশতালিকায় ( পুর্ববঙ্গের স্বচ্ছল গ্রামীন পরিবার) দেখছি বিংশ শতাব্দীর আগে পড়তে পারা মহিলারা দুর্লভ। বিপিন বাবুর বইতেও বলা আছে লিখতে পড়তে জানতেন মুলতঃ বৈষ্ণবীরা আর কিছু কিছু ব্রাহ্মণ কায়স্থের ঘরের মেয়েরা। এর বাইরেও একটা বড় বৈশ্য শুদ্র শুদ্রেতর মেয়ের দল রয়েছে,সেখানে কি প্রথাগত পড়াশোনার চল ছিল? নাকি আমি কিছু মিস করলাম?
আসলে এই লেখার উদ্দেশ্য ছিল বাংলার মেয়েদের ইউরোপিয়ান শিক্ষার সূচনাটি তুলে ধরা। এবং সেই সঙ্গে শিক্ষার গতি প্রকৃতির একটি সূক্ষ্ম বদল সূক্ষ্ম ভাবে তুলে ধরা। ভৌগোলিক পরিসীমার কারণেই জ্যোতিবা ফুলে বা আর একটু পরের পেন্টেলু কেউই আসেন নি। এমনকি আসে নি মাদ্রাজের বা ট্রাবাংকোরের মিশনারি স্কুলের কথাও।
অবশ্য এমনিতেও ফুলে দম্পতির জয়গাথা গাওয়ার অনেক লোক আছে। সারা ভারত জানে ,এমনকি উইকিপিদিয়া থেকে যাবতীয় টেক্সট বুক - তাঁদের স্কুলই ভারতে প্রথম মেয়েদের স্কুল - এক বছর আগে চালু হওয়া বারাসাতের স্কুলের কথা বেমালুম ভুলে যায় সকলে। সবাইকে বলে বলে মুখের ফেনা উঠে যায়। কাজেই আমি একা তাঁদের ভুললে ততটা দোষের নেই। না হলে ফুলে দম্পতির প্রতি আমার ব্যক্তিগত শ্রদ্ধার পরিসীমা নেই।
বেথুন থেকে দুম করে নিবেদিতায় চলে আসা ও সেই লেখার উদ্দেশ্যের কারণেই। এটা পুরো সময়ের স্বয়ংসম্পুর্ণ ইতিহাস নয়। আর নিবেদিতা এখানে প্রক্ষিপ্ত, এসেছেন কথার টানে। নাহলে আমার সাধ্য কি কাদম্বিনী চন্দ্রমুখী অবলা কামিনী দের অবহেলা করি! ...যদি সময় সুযোগ পাই, তাহলে চেষ্টা করব আরও গভীরে যেতে ,আরও সময়কে জুড়তে।
রঞ্জনবাবু, আপনি যেটাকে 'আধুনিক বা ইউরোপীয় শিক্ষাপ্রসারের' কথা বলে চিহ্নিত করছেন, আমার মূল আপত্তি ওই আধুনিক শব্দটায়। আসলে এই শিক্ষাকে আধুনিক মনে করা আমাদের প্রায় মজ্জাগত। কিন্তু বেথুনের উদ্বোধনী ভাষণ যদি পড়েন (যেটা আমার লেখার অষ্টম অধ্যায়ে বিশদে আসবে), তাহলে বুঝতে পারবেন এই শিক্ষাটা কেমন ছিল বা কতটা 'আধুনিক' ছিল। সেই ভাষণ কেমন মুসলমান বিদ্বেষ ও পুরুষতান্ত্রিকতার সুরে ভরপুর ছিল। মেনস্ট্রিম ইতিহাস এই বেথুনকে প্রায় ভগবানের আসনে বসায় এবং সেটাই স্বাভাবিক।
দ্বিতীয়ত একই ভাবে বেথুনের সঙ্গে মদনমোহনের দুই কন্যা ভুবনমালা ও কুন্দমালা উপস্থিত থাকেন। মদনমোহনের একটি বিখ্যাত প্রবন্ধ তুলে আমি দেখাব, তিনি কী বিশ্বস্ততার সঙ্গে বেথুনের সুর আত্মস্থ করে নিয়েছিলেন। অথচ এখানে ব্রাত্য থেকে যান তারানাথ তর্কবাচস্পতি, যিনি তাঁর কন্যাকে বেথুন স্কুলে ভর্তি না করলে একজন হিন্দু ভদ্রলোকও বেথুনের স্কুলে মেয়েদের ভর্তি করতেন না বলে খোদ বিদ্যাসাগর-সহোদর শম্ভুচন্দ্র জানিয়েছেন।
এই আধুনিকতার সুর ধরেই স্বাতীদির লেখাটায় ভারতীয় মেয়েদের কত অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যেত আর বিলেতের খুকিরা কত শিক্ষা পেত, এই সহজ বাইনারিতে আটকে গেছেন। আমি এই তথ্য তুলেছি পাণ্ডুরং বামন কানে থেকে। কানে বলেছেন ইংল্যান্ডে আজ থেকে দুশো বছর আগে মেয়েদের দু-তিন বছর বয়সে বিয়ে দেওয়াটা প্রায় জলভাত ছিল।
আর যদি ইউরোপীয়দের শিক্ষাপ্রসার লেখাটার মূল ফোকাস হয়, তাহলে বলব স্বাতীদি মেরি অ্যান কুককে খুবই বিশ্বাসযোগ্যরূপে উপস্থাপিত করেছেন, কিন্তু আমার খেদ থেকে গেল মেরি কার্পেন্টারের উল্লেখ না থাকায়। কারণ এই ভদ্রমহিলা ভারতের নারীশিক্ষাকে এক ঝটকায় শুঁয়োপোকা স্টেজ থেকে প্রজাপতিতে রূপান্তরিত করেছিলেন।
স্বাতীদির সঙ্গে খুব একটা পরিচিতি না থাকায় আপনাকে সম্বোধন করেই লিখলাম। আশা করি, তাতে রাগ করবেন না!
হ্যাঁ, বারাসতের স্কুল অবশ্যই প্রথম কিন্তু গুণগত দিক থেকে সাবিত্রী ফুলের স্কুল পাথব্রেকিং।
আমি অপেক্ষায় থাকলাম এই লেখাটা একটা সিরিজের আকারে আসবে এবং আমাদের অনেকের মনের আঁধার দূর হবে।
"১৯২৯ সালের আগে ইংল্যান্ডে মেয়েদের বিয়ের বৈধ বয়স ছিল ১২, ১৮৯০ পর্যন্ত ১০।"
আমার দৌড় নেট পর্যন্ত। সেখানে এইটার সাপোর্টিং পাওয়া যাচ্ছে।
"তবে পাঁচ-ছয় বছরে মেয়েদের হামেশাই বিয়ে হত।"
"ইংল্যান্ডে আজ থেকে দুশো বছর আগে মেয়েদের দু-তিন বছর বয়সে বিয়ে দেওয়াটা প্রায় জলভাত ছিল।"
এই গুলোর উল্টোটাই নজরে আসছে।
দুটি বাবদে আত্মপক্ষ সমর্থন করি। প্রথমত ইংল্যন্ডের মেয়েদের বিয়ের বয়স নিয়েই বলেছিলাম মাত্র ( কানের বই পড়ব ) তাঁদের শিক্ষা নিয়ে বিশেষ কিছু বলি নি। কারণ পড়েছি যে উইলিয়াম কেরির প্রথমা স্ত্রী বিয়ের সময় বছর পঁচিশেক বয়সে অক্ষরজ্ঞানহীন ছিলেন। যদিও পরে কেরির কাছে পড়তে শিখেছিলেন ।) এবং তিনি একা না,সেই সময়ের ধারে কাছে সেই প্যারিশের অনেক মেয়েই অশিক্ষিত ছিলেন। অবশ্য ইন জেনেরাল গ্রামের দিকে পড়ার ব্যবস্থা খুবই করুণ। গ্রামের স্কুলে অনেক জায়গায় রিডিং ছাড়া আর কিছু শেখানোর ব্যবস্থা ছিল না। কাজেই সবাই দিগগজ হত এমন ভাবি নি। আর এমনিতেও তো তখন কলেজ এডুকেশন ব্যাপারটা ল্যান্ডেড জেন্ট্রিদের মধ্যেই বোধহয় প্রচলিত ছিল মূলতঃ । গরীব দের জন্য শুধু থ্রী আর আর একটু স্ক্রিপচার পড়তে পারা।
আর যখনকার কথা আমি বলতে চেয়েছি মেরি কার্পেন্টার তখনও ভারতে আসেন নি। পরে তিনি আসবেন বৈকি। তবে আমি একটু ঊনবিংশ শতকের গোড়ায় আটকে গেছি। সেখান থেকে আগে বেরোই ।
বেথুনের বক্তৃতা পড়ে আমার সব চেয়ে গায়ে লেগেছিল ওই "সম্ভ্রান্ত হিন্দু" কথাটা । এক খোঁচাতে যে কতজন বাদ চলে গেল।
আর এবার আমাদের পরিচয় হয়ে গেল কিন্তু।
ইংল্যান্ডে এখন কত? ১৬? ভারতে কত? ১৮? তাতে কি প্রমান হয়? কিসুই না।
ইংল্যান্দে ১৬য় বিয়ে করে দুরন্ত প্রেমে পড়া কিছু টিনেজার। ভারতে ১৮ ঠেকলেই বেশিরভাগ মেয়েদের ঘাড় ধরে পার করে দেয়।
সোজা কথায় বেল কার্ভ আঁকলে দেখবেন মিনিমাম থেকে মীনের দূরত্ব ইংল্যান্ডে ভারতের তুলনায় অনেক বেশি। পেটগরম না হলে লোকে এরকম ডেটা দিয়ে তক্ক করেনা!
ইন্ডিয়া বা ইংল্যান্ড বা কোথাওই সমাজ বলতে হোমোজেনাস কিছু এনটিটি নয় সব জায়গায় ক্লাস ডিফারেন্স প্রিভিলেজেড ক্লাস , ডিসক্রিমিনেশন সব জায়গায় আছে বা ছিল। এমনও নয় যে ইংল্যান্ডের সভ্যতা অন্য গ্রহ থেকে এসে হটাৎ করে ইন্ডিয়ার ওপর চাপানো হয়েছে। একই সাথে দুটো সমাজই ইভল্ভ করে চলেছে তখন. বাকি দুনিয়াতেও তাই। ১৭-১৮ শতকে ব্রিটেনে মেজর ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভোলুশন চলছে , একটা মেজর লেবার ফোর্স এগ্রি থেকে খনি বা ইন্ডাস্ট্রিতে শিফট করছে , নতুন সব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউন বা পোর্ট বা বিসনেস হাব তৈরী হচ্ছে।
সেখানে তখন শ্রমিকদের দুরবস্থা চরমে। এরকম অস্থির সময়ে হয়তো ওখানেও আন্ডার এইজ বিয়ে হতেই পারে, কিন্তু সেসবের প্রপার ভেরিফাইড রেফারেন্স আছে ? ২-৩ বছরে বিয়ে হওয়াটা জাস্ট হাস্যকর লাগছে। ১৭-১৮ সেঞ্চুরির বাংলায় গৌরীদানের চরমেও মনে হয় মেয়েদের ৭-৮ বছরে বিয়ে হতো. ২-৩ বছরে নয়. কদিন আগেই ন্যাশনাল জেওগ্রাফিক এ ছিল ইয়েমেন , ওমান মরক্কো এসব দেশে কিছু ট্রাইবের মধ্যে এখনো মেয়েদের ৫-৬ বছরে জোর করে ২৫-৩০ বছরের ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। ইভেন এখনো ইন্ডিয়াতে ১/৩-% বিয়ে আন্ডার এইজ হয় যতই আইন থাক কাগজে কলমে.
পাণ্ডুরং বামন কানে র নাম শুনিনি , কিন্তু ওনার সময়কাল টা কি ?উনি কি ২-৩ বছরে বিয়ে দেওয়া নিজে দেখেছেন ওখানে গিয়ে ?কোনো প্রপার রেফারেন্স দিয়েছেন ? নাকি আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখেছেন ? আর ওই সময়ের অন্যান্য ব্রিটিশ বা ইন্ডিয়ান লেখকদের থেকে ওনার ক্রেডিবিলিটি কেন হটাৎ করে এতো বেশি হতে যাবে যে এখানে আলাদা করে লেখার দরকার ?
ইন্ডিয়াতে ১/৩-র্ড বা ৩৩ -% বিয়ে হবে।
অমিত, পাণ্ডুরং বামন কানে একজন অথরিটি। হিস্ট্রি অফ ধর্মশাস্ত্র এই বিজেপির রমরমার যুগে সবার অবশ্যপাঠ্য হওয়া উচিত। উনি নিজে দেখতে যাবেন কেন? রেফারেন্স দিয়েছেন ২-৩ বছর বয়সে বিয়ের। হার্ড ডেটা। স্বাতীদি সেটা পড়বেন বলেছেন।
@অমিত
Child marriage in early modern England
http://www.auswhn.org.au/blog/child-marriage/
আর বৃটিশ-্কলোনীতে,
The five-year-old bride, Saradamani Mukhopadhyaya (later known as Sarada Devi) (she is also considered as an avatar) was found and the marriage was duly solemnised in 1859. Ramakrishna was 23 at this point, but this age difference for marriage was typical for 19th century rural Bengal.[28]
https://en.wikipedia.org/wiki/Ramakrishna#Marriage
নিউ ইংল্যান্ডে এখনও অভিভাবকের অনুমতি থাকলে বালিকার ১২ বছর, আর বালকের ১৪ বছরে বিয়ে হতে পারে।
https://www.law.cornell.edu/wex/table_marriage
ঠিক আছে। উনি নিশ্চয় পড়ে দেখুন তাতে আমরাও আরো জানতে পারবো । আমার হাতের কাছে ওনার বই কিছু নেই । তাই উইকি ই ভরসা . তাতে যেটুকু দেখছি , উনি পন্ডিত মানুষ , ভারত রত্ন প্রাপক ,তাতে সন্দেহ নেই। . কিন্তু ওনার জীবনের টাইম লাইন হলো : ১৮৮০ থেকে ১৯৭২ . সুতরাং তিনি নিজে সেই সময়ে ইংল্যান্ডে গিয়ে নিশ্চয় ২-৩ বছরের মেয়ের বিয়ে দ্যাখেন নি। তিনি অন্যান্য রেফারেন্স এর থেকেই সেসব লিখেছেন(যদি স্পষ্ট করে সেটাই লেখেন )। এবার সেসব রেফারেন্স ও ভেরিফাইড কিনা দেখা যাক.
https://en.wikipedia.org/wiki/Pandurang_Vaman_Kane
তার ওপর ওনার সাবজেক্ট এরিয়া অথরটি হলো গিয়ে ধর্মশাস্ত্র আর সংস্কৃত। ইন্ডিয়ান কনস্টিটিশন নিয়েও তেনার অনেক এন্টি - ওপিনিয়ন ছিল। আরো মজা হলো প্রাচীন ভারতে গোমাংস খাওয়া হতো কিনা সেবিষয়ে প্রো এবং এন্টি -দু দলই ওনার নিজেরই লেখা ব্যবহার করেছে। সুতরাং এই একটা বিষয়ে তিনি যে একটা স্পষ্ট, পরিষ্কার উত্তরের বদলে কয়েকটা ভাসা ভাসা ওপিনিয়ন দিয়েছিলেন সেটা নিশ্চয় আন্দাজ করা যায়-?
সুতরাং তিনি যে ওয়েস্টার্ন সিভিলাইজেশন কেও আর্য ভারতের সোনার যুগের রঙিন চশমা পড়ে দ্যাখেন নি বা ওরকমই সিমিলার ভাসা ভাসা কিছু ওপিনিয়ন দেননি সেসব প্রপার ভেরিফিকেশন ছাড়া বলতে পারছিনা.
আর র লিঙ্ক গুলো দেখলাম। এতো আরো অনেক আগের টাইম লাইন ১৪-১৬ শতকের , পুরো ফিউডাল সিস্টেম , ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভোলুশন আসতে ঢের দেরি । তখনকার দিনে কটা বিয়ে ছেলে মেয়েরা নিজে পছন্দ করে করতো ? সেতো অনেক ফ্যামিলিতে এখনো চাইল্ড ম্যারেজ হয় , সেটা কি নরমাল নাকি ? আমারই এক UP- এর বন্ধুর হয়েছে। ওর যখন পাঁচ বছর তখন ওর দাদু প্রায় পটল তোলে তোলে অবস্থা। তো তেনার সাধ জাগলো বাড়ির বড়ো নাতির বিয়ে দেখে তিনি স্বর্গে যাবেন। গ্রামের বড়ো ঠাকুর ফ্যামিলি ,, প্রবল প্ৰতিপত্তি . তো জলদি জলদি ঘটক এসে এক হপ্তায় বিয়ে পাকা হয়ে গেলো পাশের গ্রামেই দু বছরের মেয়ের সাথে। আর সেই বিয়ের দাওয়াত খেয়ে সেই দাদু যে খাড়া হয়ে বসলো গেলো আরো তিরিশ বছর পরে.
তো পান্ডুরঙ্গ এর যদি সেই টাইম লাইনের কথাই বলে থাকেন এই লেখায় তার রেলেভেন্স কোথায় ? আর আমি তো লিখেছি ইংল্যান্ড এর বা কোথাকার সমাজ ই কোনো হোমোজেনাস বা কনস্ট্যান্ট কোনো এনটিটি নয়। অলওয়েজ চেঞ্জিং এন্ড ইভলভিং। সেটা কোথাও আগে হচ্ছে কোথাও পরে। যাদের আগে হচ্ছে বা যারা রুল করছে ন্যাচারালি তাদের কাছে বেশি সুযোগ এসেছে তাদের জিনিস বাকিদের ওপর চাপানোর , সেটা জোর করে হোক বা ন্যাচারাল এডাপটেশন । এতে ভালো -খারাপ, ঠিক -ভুলের কোনো প্রশ্নই নেই। সবই পাওয়ার প্লে।
অমিত, উইকি পড়ে পি ভি কানেকে জাজ করা চরম ভুল হবে। পি ভি কানে আনপ্যারালাল এবং প্রায় চূড়ান্ত। এখনও অবধি ওই লেভেলের গবেষণা কেউ করেননি। ভারতেও না, বিদেশেও না।
কানে এই বিষয়ে লিখেছেন --- Winternitz in ‘Die Frau’ p. 135 refers to a work of F, J. Furnivall on ‘Child Marriages, Divotces&c’ between 1560-66 A. D. in England from which it is clear that marriages of children of 9 or 10 (and rarely of even 2 or 3 years) took place in England only about 300 years ago.
ভিন্টারনিৎজ কে, সেটা আবার জিজ্ঞাসা করে বসবেন না যেন!
আর ওয়েস্টার্ন সিভিলাইজেশনকে সোনার যুগের রঙিন চশমা পড়ে দেখলেও ভুল করবেন!!
পিভি কানে ঠিক রেফারেন্সই দিয়েছেন হয়তো। কথাটা সেটা নয়। ওয়েস্টার্ন সোসাইটি নিয়েই তো লিখলাম যে সেটাও কন্টিনুসলি ইভলভিং এন্ড চেঞ্জিং। মেয়েদের সম্পত্তি হিসেবে দেখা বা আর্লি ম্যারেজ বা মেয়েদের বিক্রি করে দেওয়া বিয়ের জন্যে -বহু দেশেই ছিল , এখনো আছে । তাদেরকে ফুল সিটিজেন হিসেবে ধরাই হতনা অনেক দেশেই এই সেদিনও । ইভেন আম্রিগায় মেয়েদের ভোটিং চালু হয় ১৯ শতকের প্রথম দিকে।
এমন ও নয় যে ব্রিটিশরা যখন কলকাতায় মেয়েদের স্কুল চালু করার ইনিশিয়াটিভ নিচ্ছিলেন , তখন ব্রিটেনে ১০০-% মেয়ে রা অলরেডি দারুন ভাবে শিক্ষিত হয়ে গেছিলো বা সবকিছুতে ছেলেদের সাথে পাল্লা দিচ্ছিলো । সেটাও ওয়ার্ক ইন প্রগ্রেস , হাজারটা ডিসক্রিমিনেশন আজও আছে । কিন্তু রুলিং ক্লাস হওয়ার সুবাদেই হোক বা জোর করে ওয়েস্টার্ন শিক্ষা চাপানোর জন্যেই হোক বা সত্যি কেও কিছু সমাজের জন্যে করতে চাওয়ার জন্যেই হোক , কয়েকজন সেই যুগে নানা স্টেজে , নানা ভাবে সেই সময় সেই বেসিক ইনিশিয়াটিভ গুলো নিয়েছিলেন।
এবার একটা বাড়ি বানানো হলে পরে তার ডিসাইন এর খুঁত ধরাই যায় বা সেটা সম্পূর্ণ অন্যভাবে বানানো হলে কি ধরণের হতো সেনিয়ে স্পেকুলেশন ও করা যায়। কিন্তু যে বাড়ি অলরেডি বানানো হয়েছে, তার ভিত গড়তে অনেকের পরিশ্রম আছে সেটাকে অস্বীকার করা যায়না। তারা সেই সময় সেই ইটগুলো না গাঁথলে পরের তলাগুলো তোলাই যেতোনা.
হ্যাঁ, কিন্তু যে বাড়ি অলরেডি বানানো হয়েছে, তাতে যদি সবার ঠাঁই না হয় কিংবা বেছেবুছে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির বাসিন্দাদের থাকার উপযোগী করে বানানো হয় - তবে তা প্রশ্নচিহ্নের সামনে পড়বেই। স্বাতীদিও এই লেখাটায় সেই প্রবণতাকে যথেষ্ট সমালোচনাই করেছেন।
@এলেবেলে এই বাক্য টার একটু রেফারেন্স দেবেন?
"হ্যাঁ, বারাসতের স্কুল অবশ্যই প্রথম কিন্তু গুণগত দিক থেকে সাবিত্রী ফুলের স্কুল পাথব্রেকিং।" গুণগত মানে কি? কিভাবে এই সিদ্ধান্তে এলেন?
স্বাতীদি, আমার বিদ্যাসাগর লেখাটার নবম অধ্যায়ে চোখ রাখবেন। এখনই বলছি না! সামান্য সাসপেন্স রাখছি আর কি!
সরি দিদি, সামান্য ভুল বলেছি। সাবিত্রী ফুলে সপ্তম অধ্যায়েই আসবেন। নারীশিক্ষা আসবে নবম অধ্যায়ে। দুটো অধ্যায় মিলিয়ে পড়লে আমার কথার রেফারেন্স আপনি নিজেই পেয়ে যাবেন।
হ্যা , বাড়ি যদি একটি শ্রেণীর বাসিন্দাদের জন্যেই বানানো হয় , বাকিদের জোর করে প্রবেশ না করতে দেওয়া হয় তাহলে সেটা নিশ্চয় নিন্দার , সেটা যদি যুক্তির মাধ্যমে উঠে আসে এবং প্রমাণিত হয় , তাহলে 100-% এগ্রি। কিন্তু ওনাদের বায়াস এর প্রমাণটা সরাসরি হওয়া র দরকার , সার্কামফেরেনটিয়াল নয়। তাহলে মেনে নিতে কোনো আপত্তি নেই। ইন ফ্যাক্ট আমি এনাদের কাউকেই দেবতার আসনে বসাতে রাজি নয় . এনারা সবাই দোষে গুনে মানুষ , জাস্ট নিজেদের সময়কালের থেকে একটু এগিয়ে ভাবার সাহস দেখিয়েছিলেন - যেটাও ইটসেলফ অনেক কৃত্বিতের।
সঙ্গে এটাও দেখার দরকার আমরা যে শিক্ষাকে একটা পার্টিকুলার শ্রেণীর জন্যে প্রিভিলেজেড করে রাখার কথা বলছি , সেই সময়ের প্রেক্ষিতে সেটা কতটা ইচ্ছে করে করা হয়েছে , তাতে এনাদের ডাইরেক্ট রোল কতটা বা কতটা সেকালের সমাজের বা রাজনৈতিক সমীকরণের চাপে পড়ে এনাদের বাধ্য হয়ে করতে হয়েছে। আফটার অল শুধু শিক্ষা তো নয় , রাজনীতি , ব্যবসা বাণিজ্য , ধর্ম , পুলিশ -আদালত মানে সমাজের যাবতীয় ক্ষমতা কেন্দ্র -সবকিছুতেই চিরকালই উচ্চবর্ণের আনপ্রোপোর্শনাল আধিক্য দেখা যায় ইন্ডিয়ায় , ইভেন আজকের দিনেও সেটা প্রিভেলেন্ট । ইন্ডিয়ান সোসাইটি ইস এন্ড ওয়াস অলওয়েজ ক্লাস বায়াসড।
এঁরা যেটুকু যাই করেছিলেন, সেইটুকু না থাকলে আজ আমি লিখতে পারতাম না। তাই কারোর কৃতিত্ব খাটো করার প্রশ্নই আসে না। তবে প্রত্যেকেই তো ব্যক্তি মানুষ তাই তাঁদের নিজস্ব ভাবনা চিন্তা দিয়ে কাজ কর্ম প্রভাবিত হয়েছিল বলে আমার মনে হয়েছে। যেমন ধরুন কেরি ছিলেন গ্রামের মুচি, পরে নিজের চেষ্টায় শিক্ষিত। আর বেথুন ছিলেন কেমব্রিজের ছাত্র। আর সেই সঙ্গে ছিল এ দেশের শ্রেণী ও জাতিগত বায়াস। দুয়ে মিলে যা হওয়ার। তবে যেটুকু হল সেটাও না হলে যে কি হত!
//এঁরা যেটুকু যাই করেছিলেন, সেইটুকু না থাকলে আজ আমি লিখতে পারতাম না। ... যেমন ধরুন কেরি ছিলেন গ্রামের মুচি, পরে নিজের চেষ্টায় শিক্ষিত। আর বেথুন ছিলেন কেমব্রিজের ছাত্র।//
এই কৃতজ্ঞতাবোধটাই তো আদ্যন্ত বায়াসনেসে ভর্তি। কেরি জাহাজে চেপে ভারতে পা দিতে না দিতেই বাংলা শিখে ফেলছেন, লিখে ফেলছেন সেই ভাষার ব্যাকরণ! পাগল না হলে এই কথা কেউ বিশ্বাস করে না। জোন্সের সংস্কৃতে পণ্ডিত হওয়ার মতোই অবিশ্বাস্য। সঙ্গে বাংলা ভাষাটার সাড়ে সর্বনাশ করাটা উপরি। আপনারা এই বাক্যগুলো অবলীলায় লেখেন কীভাবে?
আর বেথুন? মানে রাধাকান্ত দেবদের ভাড়া করা উকিল যিনি সতীদাহ রদের বিরুদ্ধে প্রিভি কাউন্সিলে ওকালতি করেছিলেন? ওই যে বলেছি নবম অধ্যায়। ওখানেই যাবতীয় জারিজুরি ও কারিকুরি খতম হয়ে যাবে। অনেক হয়েছে, আর নয়।
উহু । এখানে একটু গন্ডগোল হচ্ছে। বেথুন উকিল হিসেবে কি কি করেছিলেন আর শিক্ষার বিস্তারে কি করেছিলেন , দুটোকে সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে দেখতে হবে গোলালে হবেনা। একজন উকিল হিসেবে তার কাজ তার ক্লায়েন্ট এর স্বার্থ রক্ষা করা , সেটা তার প্রফেশনাল অব্লিগেশন বা কমিটমেন্ট । তার সাথে ওনার বাকি কাজের কোনো কিচ্ছু সম্পর্ক নেই।
আমার স্কুলের এক ক্লাসমেট ছিল ঠাকুর পরিবারের। তার বাড়িতে অনেকবার গেছি। তার দাদু কথা প্রসঙ্গে দুএকবার বলেছিলেন ঠাকুর বাড়ির কিছু শরিকি মামলার কথা - মেনলি সম্পত্তি রিলেটেড যাহয় আরকি। এবং এটাও বলেছিলেন সেসব মামলায় রবীন্দ্রনাথ এর ভূমিকা বেশ স্বার্থপর ছিল। বাকিদের থেকে তিনি নিজের প্রাপ্য একটু বেশিই টেনেছিলেন। কিন্তু আজকে যদি আমি শান্তিনিকেতন বা রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে আলোচনা করি কোথাও , সেখানে তার মামলার ভূমিকা দেখবো না। শুধু সেই সাবজেক্ট নিয়েই দেখবো।
আরে না। বেথুন উকিল হিসেবে কী করেছিল সেটা কোনও বিষয়ই নয়, স্রেফ কথাপ্রসঙ্গে বলা।
Darun lekha.....porer seriese er opekkhay roilam
কেরি র লেখা বাংলা ব্যাকরণ কত সালে বেরোয়? আর কেরি ভারতে আসেন ১৭৯৩ তে। ১৮০০ সালের মধ্যে তার বাইবেলের একটা অংশ অনুবাদ করা শেষ। ওয়ার্ডের ডায়রি বলছে, তিনি ও মার্শম্যান জাহাজে বাংলা শেখা শুরু করেন আর তারপর এদেশে পা দেওয়ার এক বছরের মধ্যে বাংলায় প্রচার শুরু করেন। ধরে নিতেই পারি সে বাংলা বিশুদ্ধ না। কিন্তু তাতেও কৃতিত্ব কমে না। মার্শম্যান তো এদেশে বসে চৈনিক অনুবাদ ও করেছেন। যদিও তার মানে র বিষয় জানা নেই।
কেরির বাংলা ব্যাকরণ আমি পড়ি নি। তবে অন্য লেখা একটা দুটো পড়েছি। এঁদের লেখা বাংলা hymn তো বাজারেই পাওয়া যায়। ভাল না হলেও বাংলা বলে চেনা যায় বেশ। আর মাানের কথা না ভেবে কাজটা শুরু করাও বড় কাজ।
কারোর সেটা অবিশ্বাস্য মনে হতেই পারে। তবে অবিশ্বাস্য বলার সঙ্গে সঙ্গে সাক্ষ্য প্রমাণ দিলে ভাল হয়।
তবে আমার কৃতজ্ঞতা র কারণ এঁরা আমার স্কুলে যাওয়ার পথটি সুগম করেছেন বলে। সেটা বায়াসড মনে হলেও আমার কৃতজ্ঞতা কমছে না আপাতত।