এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  ইতিহাস

  • আমার গৌরাঙ্গের গুণে

    Utpal Debnath লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | ইতিহাস | ১১ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৫২ বার পঠিত

  •  
    'আমার গৌরাঙ্গের গুণে নাচিয়া গাইয়া রে
    রতন হইল কত জনা'।
     
    এক সময়ে সতেন্দ্রনাথ দত্তের হাত হয়ে লেখাটি বের হলেও এখন বাংলায় এটা একটা প্রচলিত আপ্তবাক্য বা বলা ভালো বিশ্বাস হয়ে দাঁড়িয়েছে 'বাঙালীর হিয়া অমিয় মথিয়া নিমাই ধরেছে কায়া'। এবার যদি প্রশ্ন করা হয় কে এই চৈতন্য? তবে বোধ করি, একটি বাক্যও ব্যয় করতে পারবে না এমন বাঙালি খুব কমই আছে। কারন আর কিছুই নয় - পূর্ববঙ্গ সহ এ বৃহৎ বঙ্গদেশে শ্রীচৈতন্য নিছক মানুষ নন, তিনি 'ভগবান'। আর গৌড়ীয় বৈষ্ণব দর্শনের ভিত্তিভূমি এ বঙ্গদেশে বৈষ্ণবজন বিশ্বাসে 'শক্তির সর্বোত্তম প্রকাশরূপে ব্রহ্ম ও পরমাত্মার চেয়েও ভগবান শ্রেষ্ঠ সত্তা'। (বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবনাথ, ২০০৯ : xv) সাধারণ ভাবে বৈষ্ণব অর্থে বিষ্ণুর উপাসক বোঝালেও, বর্তমানে দাঁড়িয়ে - শুধু বর্তমানই বা বলি কেন দূর অতীতেই তো বৈষ্ণব শব্দের আড়ালে আবডালে এসে দাঁড়িয়েছেন কৃষ্ণ উপাসকরা। আর আজ থেকে ৫৩৭ বছর আগে নব্যন্যায়ের ভূমি নবদ্বীপে জগন্নাথ মিশ্রের ঘরে যে শিশুটি জন্মেছিল কালের গণ্ডি পেরিয়ে ভক্তদৃষ্টিতে সে তো 'অন্তঃকৃষ্ণ বহির্গৌর'। তাই তাঁর উপাসকেরাও বিনা আয়াসে দিব্য জায়গা করে নিতে পেরেছে বৈষ্ণব শব্দের ভিতর ঘরে। এ থেকেই আশা করি বোঝা চলে ধর্মপ্রাণ বাঙালির কাছে শ্রীচৈতন্যের অবস্থানটি ঠিক কোথায়।  
     
    আলোচনার গভীরে ঢোকার আগে আমাদের বিষয় স্বার্থে একটি প্রশ্নকে মাথায় রেখে খানিক গৌরচন্দ্রিকা সেরে রাখা প্রয়োজন - সেকালে ও একালে চৈতন্যের এই বিপুল জনপ্রিয়তার কারন কী? এই প্রশ্নকেই অবলম্বন করে আমরা প্রবেশ করব পদাবলী কীর্তনের আলোচনায়। 
     
    এক বাক্যে শিখা নেড়ে বলা যায় চৈতন্য একদিনে চৈতন্য হয়ে ওঠেননি। তার জন্য ছিল দীর্ঘ এক প্রস্তুতি। পঞ্চদশ শতকের প্রায় শেষ ভাগে চৈতন্য যখন জন্ম নিলেন তখন বাংলায় চলছে অত্যাচারী হাব্‌সী শাসন (১৪৮৭ খ্রীঃ - ১৪৯৩ খ্রীঃ)। এ এক অরাজকতার কাল। তবে এই অরাজকতার ইতিহাস তখন বঙ্গদেশের মানুষের একবারে নতুন কিছু নয়, চৈতন্য জন্মের ২৮৪ বছর আগেই অপদার্থ ও সাম্প্রদায়িক সেন রাজাদের ভুলের মাশুল হিসেবে বাংলায় ঘটে গেছে তুর্কী বিজয় (১২০২ খ্রীঃ)। এরপর থেকে ধারাবাহিক ভাবে উত্তর এবং পশ্চিম ভারত থেকে আসা মুসলমান শাসকরাই বাংলার শাসন ব্যবস্থা দখল করে রেখেছিলেন। ১২০০ সালের আগে যে বাংলায় মুসলমান অস্তিত্ব প্রায় ছিল না বললেই চলে, পরবর্তী সাড়ে পাঁচশ বছরে সেই বাংলাই হয়ে উঠল মুসলমান প্রধান। বলা বাহুল্য এত পরিমাণ মুসলমানরা বাইরে থেকে আসেননি। বরং সেন আমলে সংখ্যালঘু ব্রাহ্মণ শাসনে সমাজে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল তার জাতাকলে পড়ে বহু দরিদ্র হিন্দু জাতচ্যুত হয়েছিলেন। তাই অনতিপরে যখন মুসলমান শাসনকাল এল, তখন এই দরিদ্র ও নিপীড়িত হিন্দুরাই দলে দলে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছিলেন। আগেই বলেছি চৈতন্যের শৈশব কেটেছে হাব্‌সী রাজত্বকালে। মাত্র ছয় বছরের রাজত্বকালে চারজন হাব্‌সী শাসক সিংহাসনে বসেছিলেন। এর থেকেই সহজে অনুমান করা চলে সেই সময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতা। তবে ১৪৯৩ খ্রীষ্টাব্দে হুসেন শাহ বাংলার শাসন ক্ষমতায় আসেন। 
     
    বাংলার ব্রাহ্মণরা গুপ্তযুগ থেকে রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতার বিবিধ সুযোগ সুবিধা পেয়ে আসছিল। কিন্তু তুর্কি আমলে এসে মুসলমান শাসনে এই সুযোগ তাঁরা হারালেন। ফলে এতকাল যে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ভোগের সুযোগ তাঁদের ছিল তা আর রইল না। অন্যদিকে হিন্দু সমাজের বৃহত্তর নিম্নবর্গের মানুষ নতুন ক্ষমতায় আসা সম্পূর্ণ অপরিচিত ধর্ম ইসলামের আওতায় এসে নিজেদের সামাজিক অধিকার পাওয়ার আশায় ধর্মান্তরিত হচ্ছিল। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই অন্য পথের কথা ভাবতে হল ব্রাহ্মণ সমাজকে। এ প্রসঙ্গে আমরা দেখব "বাংলা সাহিত্যের রূপ-রেখা" বইতে গোপাল হালদার তুর্কি আক্রমণের ফলে বাংলার এই সামাজিক পরিবর্তনের যে অনিবার্য দিক সেইটে নির্দেশ করে বলেছেন, '(১) উচ্চ ও নিম্নবর্গের হিন্দুদের সংযোগ নিকটতর হল। (২) পরাজিত হিন্দু-সমাজ এক সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ রচনা করে আত্মরক্ষা করতে সচেষ্ট হল'। (হালদার, গোপাল, ১৪১৯: ৪৩) তারই প্রমাণ হিসেবে পাই উপরতলার হিন্দুদের মধ্যে নিম্নবর্গের মানুষদের পূজ্য মনসা, শীতলা, বনচণ্ডী ও ধর্ম ঠাকুরের মতো লৌকিক দেবদেবীর মাহাত্ম্যকে স্বীকার করে নেওয়ার ঘটনায়। 
     
    বস্তুত সাংস্কৃতিক ভাব বিনিময়ের এই কাজটি শুরু হয়েছিল চৈতন্য জন্মের আরও কয়েক দশক আগে থেকেই। কিন্তু সমাজের এই বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছাকাছি আসা বা ধর্ম পালনের স্বাধীনতা খুব যে সরলরৈখিক হয়ে পড়েছিল তা নয়। বর্ণবিভেদ তো ছিলই, তাছাড়া ছিল একই ধর্মের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে চলা রেষারেষি। আর শাক্ত-বৈষ্ণব রেষারেষি তো ছিল সর্বজনবিদিত। চৈতন্য ভাগবতের লেখক বৃন্দাবন দাসের লেখায় পাই -
     
    'সকল সংসার মত্ত ব্যবহার রসে
    কৃষ্ণপূজা বিষ্ণুভক্তি কারো নাহি বাসে॥
    বাসুলী পূজয়ে কেহো নানা উপহারে।
    মদ্য-মাংস দিয়া কেহো যক্ষ পূজা করে ॥
    নিরবধি নৃত্য গীত বাদ্য কোলাহল।
    না বুঝি কৃষ্ণের নাম পরম-মঙ্গল॥
    কৃষ্ণশূন্য মণ্ডলে দেবের নাহিক সুখ।
    বিশেষ অদ্বৈত মনে পায় বড় দুখ॥'
    (চৈতন্যভাগবত - আদিখণ্ড, দ্বিতীয় অধ্যায়)
     
    তবে সে যাই হোক না কেন অদ্বৈত আচার্যের এ দুঃখের অবসান খানিক হলেও ঘোচাবেন তাঁর 'কৃষ্ণ অবতার' শ্রীচৈতন্য। কিন্তু কেমন ছিল চৈতন্যের সেই যাত্রাপথ। কী উপায় তিনি অবলম্বন করেছিলেন। যার জন্য ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল শ্রেনীর, সকল বয়সের মানুষেরা তাঁর দেখানো পথে পাগল হলেন, ধুলায় গড়াগড়ি গেলেন। লালন তাঁর গানে বলেছেন - 'তিন পাগলে হলো মেলা নদে এসে' এবং কেউ যেন সে পাগলদের কাছটিতে না যায়। কারন -
     
    একটা পাগলামি করে
    জাত দেয় সে অজাতেরে দৌড়ে গিয়ে
    আবার হরি বলে পড়ছে ঢলে
    ধূলার মাঝে॥ (লালনগীতি)
     
    বাস্তবিক, চৈতন্য জাত-অজাত-কুজাত কোনও কিছুরই বাছ বিচার করেননি। সবাই তাঁর কাছে সমান। জন্মসূত্রে ব্রাহ্মণ বংশের সন্তান হলেও বৈদিক ব্রাহ্মণ্য ধর্মের মত ও রীতি-নীতির গোড়ামি তাঁকে স্পর্শ করেনি। সাদরে সবাইকে তাঁর প্রবর্তিত ধর্মে স্থান দিয়েছেন। প্রসঙ্গত পুরীর প্রথম রথযাত্রার সময় চৈতন্যের নিজের সম্পর্কে বলা কিছু কথাকে বাসুদেব সার্বভৌম একটি শ্লোকে ধরে রেখেছিলেন। কৃষ্ণদাসের চৈতন্যচরিতামৃতেও সে শ্লোকের উল্লেখ আছে - 
     
    নাহং বিপ্রো ন চ নরপতির্নাপি বৈশ্যো ন শূদ্রো
    নাহং বর্ণী ন চ গৃহপতির্নো বনস্থো যতির্বা।
    কিন্তু প্রোদ্যন্নিখিলপরমানন্দ পূর্ণামৃতাব্ধে-
    র্গোপীভর্ক্তুঃ পদকমলয়োর্দাস দাসানুদাসঃ॥
    (চৈতন্যচরিতামৃত, মধ্য-ত্রয়োদশ)
     
    অর্থাৎ - 'আমি ব্রাহ্মণ নই, রাজা নই, বৈশ্য নই, শূদ্র নই। আমি ব্রহ্মচারী নই, গৃহস্থ নই, বানপ্রস্থ নই, সন্ন্যাসীও নই। পূর্ণ রূপে প্রকাশিত হয়েছেন যিনি পরম আনন্দপূর্ণ অমৃতের সমুদ্রের মত-সেই গোপীণাথের পদকমলের দাস আমি- দাসের দাসেরও অনুদাস।' (মুখোপাধ্যায়, হরেকৃষ্ণ, ২০২২ : ২৭৪)
     
    চতুবর্ণ ও চতুরাশ্রমের গণ্ডি পেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন বলেই 'চৈতন্যের চারশ নব্বই জন পরিকরের মধ্যে দু'শ ঊনচল্লিশ জনই ছিলেন ব্রাহ্মণ, ঊনত্রিশজন ছিলেন কায়স্থ, সাঁইত্রিশজন ছিলেন বৈদ্য, দু'জন ছিলেন মুসলমান, এবং ষোলজন ছিলেন স্ত্রীলোক'। (চক্রবর্তী, রমাপদ, ২০২২ : ৩১) এই তথ্য থেকে সমাজের সব স্তরের মানুষের কাছে চৈতন্যের গ্রহণযোগ্যতাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আর যে কারনে এই বিপুল গ্রহনযোগ্যতা তৈরি হয়েছিল- তা হল চৈতন্য প্রচারিত বৈষ্ণব ধর্ম। এই বৈষ্ণব ধর্ম বা দর্শন চৈতন্য আমদানীকৃত নয়। তাঁর আগেও শ্রী, রুদ্র, ব্রহ্মা ও সনক - এই চার সর্বভারতীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায় ছিলেন। চৈতন্য প্রবর্তিত গৌড়ীয় সম্প্রদায় পঞ্চম সর্বভারতীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মান্যতা পেয়েছিল। এই নতুন ধর্মে তিনি সমাজের সব স্তরের মানুষকে তাঁর কাছে টেনে নিয়েছিলেন। বিশেষত তথাকথিত নীচু বর্ণের মানুষ যারা এতদিন অবহেলিত হয়ে এসেছে তারাও নিজেদের মত করে নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী আত্মসম্মানের সঙ্গে কাছে আসতে পেরেছিলেন, কারন- চন্ডালোপি দ্বিজ শ্রেষ্ঠ হরিভক্তি পরায়ন। 
     
    ধর্ম যখন আছে, গুরু যখন আছে আর গুরুর কথা মানার জন্য যখন অপ্রতুল ভক্তশিষ্য আছে তখন এক প্রকার বাধ্যতামূলক ভাবেই থাকবে সেই ধর্মের কিছু উপাসনা পদ্ধতি। চৈতন্য প্রচারিত গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মমতও এর বাইরে যাবে না এটাই স্বাভাবিক। যায়ওনি। গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের সার বৃন্দাবন পুরুষ শ্রীকৃষ্ণের প্রতি ভক্তি তো সহজ সরল, ভক্ত যেভাবে তাকে চায়, তিনি তার কাছে তেমন ভাবেই ধরা দেন। 
     
    * লেখায় ব্যবহৃত ছবিটি অভিজ্ঞান রায়-এর আঁকা

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১১ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ? | 192.42.***.*** | ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:২৮525928
  • বাংলার ব্রাহ্মণরা গুপ্তযুগ সেনযুগ থেকে রাজকীয়
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন