এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • অরণ্যর দিনরাত্রি 

    Indrani Chakraborty লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৩ মার্চ ২০২৫ | ২৬৮ বার পঠিত
  • অরণ্য সারাদিন মেতে থাকে কাফকা, কাম্যু, নীটসে, দেরিদা, ফুকোর জগতে। স্বভাবে বাউণ্ডুলে, একমাথা এলোমেলো চুল, একমুখ দাড়ি। ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের ইকনমিক্সের ছাত্র। পোশাকের ব্যাপারে উদাসীন, মাঝে মাঝে ছেঁড়া শার্ট পরেও ক্লাসে আসে। কথাবার্তায় খুব ধারালো ও খুব আকর্ষণীয়। পড়াশোনায় তুখোড়। ক্লাসের অনেক মেয়েই আকর্ষণে পড়ে কাছে আসে। কিন্তু সম্পর্ক গভীর হয় না। ক্লাসের সবচেয়ে চুপচাপ মেয়ে বৃষ্টির সঙ্গে কথা হয় বন্ধুদের ভিড়ে। খুব গভীর কথা বলে মেয়েটা। আর তেমনি দুর্দান্ত গানের গলা। ডিপার্টমেন্টের বার্ষিক অনুষ্ঠানে বৃষ্টি দুটো গান করল, অরণ্য আবৃত্তি, আর একটা নাটক হল অনেকে মিলে। এরপর থেকে যেন কোন এক আকর্ষণে বাঁধা পড়ে গেল অরণ্য বৃষ্টির টানে। আস্তে আস্তে প্রেম গভীর হল দুজনের। একজন যখন বলে পোস্টমডার্ন কথাবার্তা, আরেকজন তখন আবৃত্তি করে বিদ্যাপতির পদাবলী -
     
    লাখ লাখ যুগ, হিয়ে হিয়ে রাখল
    তদয় হিয় জুড়ন না গেল ।।

    অরণ্য বোঝায় পোস্টমডার্ন তত্ত্বের কথা বৃষ্টিকে। অরণ্য বলে, “দেরিদা, ফুকোর হাত ধরে পোস্টমডার্ন তত্ত্বের অগ্রগতি। এঁদের মতে বাস্তবটা সামাজিক স্তরের প্রতিফলন। আর সেজন্য বাস্তবটা কী হবে তা নির্মিত হয় একজন ব্যক্তি মানুষের অভিজ্ঞতা দ্বারা। বিভিন্ন ব্যক্তির যেমন বিভিন্ন অভিজ্ঞতা, বাস্তবটাও সেরকম বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যেতে পারে। তাই কোনও কিছুই স্বতঃসিদ্ধ নয়। সব যুক্তিকেই বিশ্লেষণ করে দেখা দরকার, তার পেছনে কী অনুমান বা পূর্বধারণা আছে। এভাবে বিশ্লেষণ করলে যে কোনও ঘটনার ক্ষেত্রে একাধিক দৃষ্টিকোণ পাওয়া যাবে, যার কোনও একটিকে বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দেওয়ার কোনও কারণ নেই”।  

    অরণ্য বলে চলে, “এপিস্টোমোলজিক্যালি সন্দিগ্ধ হওয়াটা সর্বাগ্রে দরকার কোনও ধারণায় উপনীত হওয়ার আগে। লিওতারের মতে সর্বজনীন সত্য বলে কিছু হয় না। বহুমাত্রিক জ্ঞানের মধ্যে দিয়েই আরও অর্থবহ জ্ঞান তৈরি হয়। বাস্তবে এই বহুমাত্রিকতা দিয়ে বিশ্লেষণ করাটাই জরুরী। একপেশে দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করলে ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হয়”।
    এসব শুনতে শুনতে বৃষ্টির সামনে যেন কোন নতুন জগৎ খুলে যায়। বাস্তবকে অন্যভাবে বুঝতে চেষ্টা করে সে, বহুমাত্রিকতার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে।
     
    কখনও আবার তারা আলোচনা করে প্রকৃত প্রেম বলতে কী বোঝায়!
    অরণ্য বলে, “প্রেম বলতে বোঝায় কোন ব্যক্তির প্রতি গভীর আকর্ষণ বোধ হওয়া। প্রেম ব্যাপারটা সাময়িক হতে পারে বা চিরন্তন হতে পারে। রোলাঁ বার্থ তাঁর বই “এ লাভার্স ডিসকোর্স“-এ প্রেমের ভাষার বিশ্লেষণ করেছেন একজন প্রেমিক বা প্রেমিকার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। প্রেম আবার শুধু যে অন্য মানুষের জন্য হয় তা নয়। প্রেম হতে পারে ঈশ্বরের জন্য। আবার নিজেকে ভালবাসাও প্রেমের একটা রূপ”।
    অরণ্য বলে, “ভালবাসার সময় আমরা যে সব শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করি তা আমাদের কথ্য ভাষা নয়। এগুলো আসলে নির্জনতা বা নৈঃশব্দ্যের ভাষা। কখনও বা পুরাণের বা কাব্যের ভাষা”। আরও বলে সে, “প্রেমে পড়েছে সেই, যে অপেক্ষায় আছে। যে প্রেমে পড়েনি সে কখনও অপেক্ষা করে না। প্রেমে আনন্দ আছে, বিষাদ আছে, সবচেয়ে বড় কথা প্রেম রহস্যময়”।
    অরণ্য বলে আমার কাছে প্রেমের অর্থ তাই –“আই লাভ দ্য আদার, নট অ্যাকরডিঙ টু হিস (অ্যাকাউনটেবেল) কোয়ালিটিস, বাট অ্যাকরডিঙ টু হিস এক্সিসটেন্স; বাই এ মুভমেন্ট ওয়ান মাইট ওয়েল কল মিষ্টিক্যাল, আই লাভ, নট হোয়াট হি ইজ, বাট দ্যাট হি ইজ”।

    অরণ্যর কথার পিঠে বৃষ্টি বলে তার অনুভুতি প্রেম নিয়ে - “প্রেম হচ্ছে আবেগ আর তার অভিব্যক্তি ভাষার মাধ্যমে। ভাষার মধ্যে দিয়েই ভাবের প্রকাশ হয়। এর বড় দৃষ্টান্ত আমাদের বৈষ্ণব পদাবলী। মনে কর বিদ্যাপতির সেই পদাবলী –
     
    জনম অবধি হাম রূপ নিহারল
    নয়ন ন তিরপিত ভেল ।।

    কিংবা চণ্ডীদাসের সেই পদাবলী -
     
    জনম অবধি ভাবি নিরবধি
    না জানিয়ে রাতিদিন।।
    পিরিতি পিরিতি সব জনা কহে
    পিরিতি কেমন রীত।।

    বৃষ্টি বলে চলে, “কি চমৎকার ভাবের প্রকাশ ভাষার মধ্যে দিয়ে এই সব পদাবলীতে। পড়তে পড়তে চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেই দ্বাপর যুগের দৃশ্য, রাধা প্রেমে পাগলিনী হয়ে ছুটে যাচ্ছেন কৃষ্ণের কাছে। আবার কখনো কৃষ্ণের বিরহে কাতর রাধা, যার কথা মনে পড়িয়ে দেয় এই পদটি –
     
    কানুর পিরিতি চন্দনের রীতি
    ঘষিতে সৌরভময়
    ঘষিয়া আনিয়া হিয়ায় লইতে 
    দহন দ্বিগুন হয়।।

    অরণ্য বলে, “আমার মতে প্রেম চিরন্তন। প্রেমের ভাষা যুগে যুগে পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু ভাব রয়ে গেছে একইরকম। প্রেম আবেগের প্রকাশ। এই যে সাহেবরা কথায় কথায় প্রেমিকাকে বলে “আই লাভ ইউ”, তাতে ভাবের আবেগটা প্রকাশ পায়। এদেশে আমরা হয়ত এরকম বলি না সবসময়, তাতেও আবেগ প্রকাশের ঘাটতি হয় না কোনও। তাই দেশ-কাল ভেদে প্রেমের ভাষা ভিন্ন। যেমন ধরো স্প্যানিশরা বলে প্রেমের আবেগে “তে ক্যুয়েরও”। এটা একটা বিশেষ ভাবে রোম্যান্টিক আবেগের প্রকাশ। এটা এদেশে কেউ বললে কোনও বিশেষ অনুভূতি হয়ত হবে না। কিন্তু স্প্যানিশদের কাছে এটা একটা ম্যাজিকের মত কাজ করবে। আবার লন্ডনের কোনও সাহেবের কাছে এটার আক্ষরিক অর্থ “আই ওয়ান্ট ইউ“, যেটা সর্বদা গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু স্প্যানিশে এই কথাটার মধ্যে ভালবাসা ও যত্নের সংমিশ্রণ আছে। আবার বেশি রোম্যান্টিক হলে ওরা বলবে “তে অ্যামও”।
    অরণ্য বলতে থাকে, “তাই আবেগের প্রকাশ সামাজিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। সামাজিক পরিস্থিতি বলে দেয় আবেগের প্রকাশ কেমন হবে বাস্তবে”।
     
    এরকম আলোচনায় মশগুল হয়ে ওঠে দুজনে নানা বিষয়ে। সময় কোথা দিয়ে কেটে যায় টের পায় না তারা।  দেখতে দেখতে দু’বছর কেটে যায় খুব তাড়াতাড়ি। প্রচুর ফিসফ্রাই, চিকেন পকোড়া, কফির সদব্যবহার করে ইউনিভার্সিটি শেষ করল দুজনে। এম এ পাশ করে দুজনে কলেজে চাকরি নিল। অরণ্য পেল কলকাতার একটা কলেজে আর বৃষ্টি পেল হাওড়ার একটা কলেজে। যথাসময়ে তাদের বিয়ে হল। বিয়েটা একটু অন্যরকম করে হল। বিয়ের দিন বৃষ্টি গলায়, মাথায় পরল চাঁপা ফুলের মালা আর একটা জামদানি শাড়ি। অরণ্য প্যান্টের ওপর পাঞ্জাবি চাপিয়ে এল বিয়ে করতে। মাথায় নেই কোনও টোপর, গলায় নেই কোনও মালা, কপালে নেই চন্দনের ফোঁটা। চিরদিনের বাউণ্ডুলে অরণ্য বিয়ে করল বৃষ্টিকে কোনও মন্ত্রপাঠ ছাড়াই। সরোদে বাজল দরবারি কানাড়া। কাগজে কলমে সইসাবুদ হল আর হল কাছের আত্মীয় বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া।
     
    বিয়ের পরে দুজনে একটা বাড়ি ভাড়া নিল। দিন কাটে আনন্দে দুজনের। দুজনের আগ্রহের বিষয় আলাদা হলেও কোথাও একটা দুজনের গভীর মিল। ছুটির দিনে কথা বলে বলেই দুজনের সময় কেটে যায়। বয়স বাড়ে দুজনের, কিন্তু সংসারে জনসংখ্যা বাড়ে না। ওরা চায়নি আর কেউ আসুক ওদের দুজনের মধ্যে। একটা স্বপ্নের জগতে যেন বাস করে দুজনে।
     
    “কে আগে পৃথিবী ছেড়ে যাবে বলো তো?“ বৃষ্টি বলে।
    “আমিই আগে যাব। তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচব না”, অরণ্য বলে।
    “না, আমি আগে যাব”।
    “না, দুজনেই এক সঙ্গে যাব। তাহলে আর কাউকে একা থাকতে হবে না”।
    “একজন চলে গেলে, আরেকজন টুপ করে নদীতে ডুবে যাব”।
    এরকম কত কথা হয় দুজনের মাঝে মাঝে। কৌটোর ঢাকা যেমন আঁট করে লেগে যায়, ওদের সম্পর্কটাও তেমনি বন্ধ কৌটোর মত, ঠিক খাপে খাপে লেগে গেছে। একচুলও ফাঁক নেই যেন ওদের সম্পর্কে।
     
    এখন ওদের বয়স ৫৫। চুলে পাক ধরেছে দুজনেরই। হঠাৎ সেদিন কলেজ থেকে ফেরার পথে বাস থেকে নামতে গিয়ে একটা অ্যাকসিডেন্ট হয় বৃষ্টির আর সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। অরণ্য তখন কলেজে। খবরটা পেয়ে নির্বাক হয়ে পড়ে অরণ্য। মেনে নিতে পারে না কিছুতেই বৃষ্টির মৃত্যুকে। স্বপ্নের খেলাঘর কেউ যেন ওলট পালট করে দিল।
     
    তারপর থেকে অরণ্যর কলেজে যাওয়া অনিয়মিত হয়ে পড়ল। গভীর অবসাদে ডুবে যেতে থাকল সে। জীবনের মানেটা যেন হারিয়ে গেছে হঠাৎ। আবার সে এলোমেলো। সারাক্ষণ পড়ে ইন্ডিয়ান ফিলসফির বই। কখনও পড়ে শঙ্করভাষ্য, কখনও বা বেদান্ত কিংবা গীতা। ঠিকমতো খায় না, ঘুমোয় না। সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে নিয়ে যায় বন্ধুরা। কিছু ওষুধ দেন ডাক্তার। একটু একটু করে সেরে ওঠে অরণ্য। তবু গভীর বিষণ্ণতা ঘিরে থাকে তাকে। ইন্ডিয়ান ফিলসফি পড়তে পড়তে অরণ্য ডুবে যায় মনের গভীরে।
     
    নিজেকে প্রশ্ন করে অরণ্য নানাভাবে। জীবনের মানে কী? উদ্ধেশ্যই বা কী? সুখে থাকা নয়, আনন্দে থাকা। উত্তর মেলে শাস্ত্রে। এই আনন্দের উৎস কোথায়? আনন্দের উৎস লুকিয়ে আছে নিজের মধ্যেই। মনের গভীরে ডুব দিয়ে আনন্দস্বরূপকে জানতে হবে ।
    এই আনন্দস্বরূপ কে? তিনি কি ঈশ্বর? তিনি কি সর্বনিয়ন্তা? আমাকে কেন এই দুঃখের সাগরে ঠেলে ফেলে দিলে, হে ঈশ্বর? তোমার কী উদ্দেশ্য? সবই নশ্বর এই পৃথিবীতে। শুধু চিরন্তন সত্য সেই আনন্দস্বরূপ, যিনি সর্বব্যাপী। তাঁকে খোঁজো মনের গভীরে। মনের মধ্যে উত্তর আসে।
     
    অরণ্য ছুটে ছুটে যায় নানা সাধুসন্ন্যাসীর কাছে। খোঁজার চেষ্টা করে তার দুঃখের সান্ত্বনা। সবাই একই কথা বলেন, “মনের গভীরে গিয়ে সেই পরমপুরুষকে খোঁজো”।
     
    অরণ্য অভ্যাস করতে থাকে যোগসাধনা। মনকে শান্ত করতে চেষ্টা করে। এভাবে কাটে আরও এক বছর। ঘুরে বেড়ায় বিভিন্ন তীর্থে – কাশী, পুরী, কেদারনাথ, বদ্রিনাথ, হরিদ্বার, কনখল। মনের নিঃসঙ্গতা তবু কাটে না। বাইরের লোকজন ভাল লাগে না। সারাক্ষণ মনে পড়ে বৃষ্টি নেই কাছে। মনে মনে বলে অরণ্য, “বৃষ্টি, তুমিই আমার ঈশ্বর। তুমি ছাড়া আমার অস্তিত্বের কোন অর্থ নেই। আমাকে নিয়ে চলো তোমার কাছে। আমি যে আর এই একাকিত্বের বোঝা বইতে পারছি না।  দেখো, ঠিক চলে যাব তোমার কাছে একদিন”।  
    কেউ যেন ভেতর থেকে বলে, “আমি আছি পাশেই তোমার। একবার ভেতর দিকে চোখ মেলে দেখো। দেখতে পাবে আমাকে”। অরণ্য খুঁজে পায় না বৃষ্টিকে। অরণ্য মনে মনে বলে, “বৃষ্টি, আমি তোমার আপেক্ষায় বসে আছি, কারণ আমি যে তোমার প্রেমে পড়েছিলাম। যে প্রেমে পড়ে, সেই তো অপেক্ষায় থাকে!”
    অরণ্য মাঝে মাঝে আবৃত্তি  করে –
     
    সেহ মধু বোল শবনহি শুনল
    শ্রুতিপথ পরশ না ভেল।
    কত মধু যামিনী রভসে গমাওন
    ন বুঝল কৈসন গেল।।  

    অরণ্য স্বপ্ন দেখে বৃষ্টিকে প্রায়। অনেক কথা হয় তাদের স্বপ্নে। অরণ্য অস্থির হয়ে ওঠে দিনে দিনে। সেদিন বৃষ্টির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। হঠাৎ দুপুরে একটা ফোন আসে পুলিশের থেকে অরণ্যর কলেজে। কলেজের বন্ধু অমিত থানায় গিয়ে শোনে অরণ্য সুইসাইড করেছে দুঘণ্টা আগে, হাওড়া ব্রিজ থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো যায়নি। অরণ্য ফিরে গেছে বৃষ্টির কাছে। অমিত স্বগতোক্তি করে –
    ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে...।।
    ভাবে, অরণ্য আর বৃষ্টি নন্দনকাননে হাত ধরাধরি করে হয়ত ঘুরছে এখন গভীর প্রেমে।
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বাসুদেব বর্মণ | 103.2.***.*** | ০৩ মার্চ ২০২৫ ২০:৪৭541469
  • লেখাটি ভাল লাগলো: সত্যিকারের প্রেমের কাহিনী। বাস্তববাদীরা ব'লবেন, অবাস্তব। প্রকৃত প্রেমিক-প্রেমিকারা ব'লবেন, কাহিনী ঠিক পথেই এগিয়েছে! তবে দুজনের মৃত্যুতে বড় কষ্ট পেলাম। ছোটবেলায় যেমন প'ড়তাম: অতঃপর রাজা ও রানী পরম সুখে কালাতিপাত করিতে থাকিলেন - শেষটা এমন হ'লে কেমন হ'ত! 
    এটি যিনি সৃষ্টি ক'রেছেন তাঁর প্রতি উষ্ণ অভিনন্দন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন