এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • | ০২ মে ২০২০ ২০:৫৯92921
  • বেশ।
    কিন্তু প্রতিকারের উপায় কী?

    আর 'কেয়া কর লেগা' বললে আদ্ধেক বলা হয় মনে হয়। আসলে বলে তো "কেয়া কির লোগে ভ্যাঞ্চো" :-))
  • সুকি | 162.158.***.*** | ০২ মে ২০২০ ২১:১৮92923
  • সেই কবেই ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট আক্ষেপ করে গিয়েছিলেন, “The trouble with this country is that you can’t win an election without the oil bloc, and you can’t govern with it.”

    ভালো লাগল লেখা

  • sm | 172.69.***.*** | ০২ মে ২০২০ ২১:৪৪92925
  • গুরুত্ব পূর্ণ লেখা।এই মুহূর্তে দেশের সবচে গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়। হ্যাঁ,করোনা কে মাথায় রেখেই বলছি।কারণ করোনা হয়তো একদিন বিদায় নেবে,কিন্তু অনাদায়ী ঋণ ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার কোমর ভেঙ্গে,দেশের অর্থনীতি কে চুর মার করে দেবে।
    দু তিন টি বিষয় নিয়ে আরো বেশি আলোচনা দেখতে চাই।
    এক,বিদেশে (ইওরোপ ও আমেরিকা)ব্যাংকিং সিস্টেম এতো সুদৃঢ় কেন?অর্থাৎ কজন শিল্পপতি এরম কোটি কোটি ডলার ঋণ পায় উপযুক্ত সিকিওরিটি ছাড়া?
    দুই,পি এম সি বা পি এন বি তে প্রচুর টেকনিক্যাল মিসটেক হয়েছে।যেমন প্রচুর লেটার অফ ক্রেডিট ইস্যু করা, লোন শোধ না হলেও কোর সিস্টেমে না তোলা।অডিট ব্যবস্থার দফা রফা।
    অন্য দিকে, পি এম সির ক্ষেত্রে প্রচুর ভুও লোন ইস্যু করা হয়েছে,যেটা আলটিমেটলি একটা বিল্ডার এর একাউন্টে ঢুকেছে।
    মালিয়ার ব্যাপার টা সবাই জানে।
    এগুলোতে টেকনিক্যাল ভ্রান্তি বিরাট ব্যাপার হয়ে দাঁড়াচ্ছে।যেটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত হলেও,এডমিন এর দিকে আঙুল তুলে ধরে।
    তাহলে প্রতিকার কি?ডেথ এর হিসাবে গরমিল হলে,ডাক্তার বাবুরা সোচ্চার হচ্ছেন।এক্ষেত্রে ভুলটা ধরিয়ে দেবে কে?কেন আগে থেকে ধরা পড়ছে না?
    তিন,আমার কাছে এক কোটি টাকা ঋণ নেওয়া স্বপ্নের ব্যাপার।আমাদের মতো দেশে হাজার হাজার কোটি টাকার লোন এক ব্যক্তি বা সংস্থা কে কিভাবে দেওয়া হয়?
    সে যতো বড়ই ব্যবসায়ী হোক।তারা হোক বা আম্বানি।
    কারণ অনিল আম্বানি ব্যাংক রাপট!সুতরাং যে কোন ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী সংস্থা মুখ থুবড়ে পড়তে পারে।
    এমতবস্থায়,এক এক জন ব্যক্তি বা সংস্থার ডিউ লোনের পরিমাণ এক লাখ কোটি টাকাও ছাপিয়ে যায় কি ভাবে?
    এর সল্যুশন হতে পারে ধরাযাক দশ হাজার কোটি টাকার ওপর ঋণ নিলেই সরকার কে মুখ্য অংশীদার করে নিতে হবে।
  • Prativa Sarker | ০৩ মে ২০২০ ১৬:১১92947
  • তবু আমরা মোসাহেবি করতে ঘর অন্ধকার করে মোমবাতি জ্বালাবো। 

    কঠিন কথা সহজ করে বলা। খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

  • রঞ্জন | 14.***.*** | ০৩ মে ২০২০ ১৭:০১92948
  •   এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিতে আমার দু'পহাঃ

    শ্রী সাকেত গোখলের দ্বিতীয় দফা আর টি আই আবেদনের উত্তরে রিজার্ভ ব্যাংকের দেওয়া পঞ্চাশ জন উইলফুল ডিফল্টারের সূচী-- যাদের সম্মিলিত আউট -স্ট্যান্ডিং ৬০০০০ কোটি রাইট অফ করে দেওয়া হয়েছে-- আপনারা সবাই দেখেছেন। প্রথম সংস্থাটির (গীতাঞ্জলি) মালিক হলেন শ্রীমেহুল চোকসে এবং এই সূচীতে তাঁর আরও তিনটি সংস্থা রয়েছে। উনি একসময় ভাইব্র্যান্ট গুজরাতের রত্ন ছিলেন । 

     কিন্তু আমি বলছি চার নম্বর নামটি দেখুন--রুচি সোয়া। এই সংস্থাটি বাবা রামদেব সরকারি অনুমোদনক্রমে গত বছরের শেষে কিনে নিয়েছেন। গত সপ্তাহে রুচি সোয়ার শেয়ার ভ্যালু বেড়েছে। রামদেব কিনেছেন প্রায় ৪২০০ কোটি দিয়ে । বলেছেন ৪০০০ কোটি দিয়ে পাওনাদারদের শোধ দেওয়া হবে। ভাল কথা । কিন্তু সরকারের মানে জনগণের যে টাকা দিয়ে সুচি সোয়ার বকেয়া ঋণ রাইট অফ করা হল-- সেটা বাবা ফেরত দেবেন না? এ কেমন কথা ?

    দুই, রাইট অফ করার মানে কার্পেটের নিচে ময়লা ঢুকিয়ে দেওয়া। যখন কোন এন পি এ ঋণের ফেরত পাওয়ার কোন আশা থাকে না-- প্রাইমারি/কোল্যাটারাল সব সিকিউরিট ডুবে গেছে বা ব্যাংকের নাগালের বাইরে , ঋণী ও জমানতদার হয় মৃত , নয়  তাদের টিকিটি ধরা যাবে না-- তখন ব্যাংক, শিবাংশু যেমন বলেছেন, লাভের একটা অংশ (প্রোভিজন) দিয়ে এডজাস্ট করে সেই একাউন্টটি ব্যালান্স শীটের বাইরে করে দেয় ।

    ব্যস, ব্যালান্স শীটে যখন নেই, তা নিয়ে অডিটর মাথা ঘামাবে না । না চাহিলে দেখিতে পাইবে না । ম্যানেজমেন্টও দেয়ালে মাথা না খুঁড়ে অন্য এন পি এ রিকভারি করোতে তাদের মানব সম্পদ এবং এনার্জি ব্যয় করবে। এইসব ময়লা বের করে দেওয়ায় ব্যাংকের ব্যালান্সশীটও ভদ্র দেখাবে।

    টেকনিক্যালি রাইট অফ একাউন্ট থেকে রিকভারি করার ব্যাংকের  লিগাল রাইট উপে যায় না । কিন্তু রিকভারির বাস্তব ভিত্তি গায়েব বলেই তো রাইট অফ করা হল।

    আর শিবাংশু যেমন বলেছেন রিজার্ভ ব্যাংকের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ এমন আঁটো হয়ে বসেছে যে ওর সুরক্ষা কবচ থেকে ১ ট্রিলিয়নের মতন টাকা সরকার তুলে নিল। বিরল আচার্যের মতন ডেপুটি গভর্নর বিরোধিতা করেছিলেন বটে! 

  • শিবাংশু | ০৩ মে ২০২০ ১৭:৪৬92951
  • ধন্যবাদ রঞ্জন।
    এই সামান্য লেখাটি তৈরি করার সময় সতর্ক ছিলুম যেন কোনও জার্গন, পরিসংখ্যান, লিংক ইত্যাদি দিয়ে পাঠককে ভারাক্রান্ত না করা হয়। কারণ সবাই জানে এই ধরনের গুলিয়ে দেবার কাজ করতে ব্যাংকাররা ওস্তাদ মাদারি।
    সাকেত গোখলের আরটিআইয়ের সূত্রে চারদিকে হুলুস্থূল। নিরানব্বইভাগ 'ভক্তগণ কর্তৃক প্রচারিত' বিজ্ঞাপনগুলি পড়লে মনে হবে ক্রাইম রিপোর্টারের তৈরি করা বটতলার গল্প পড়ছি। যেখানে শেষ পর্যন্ত দীপক চ্যাটার্জির হাতে গ্রেফতার হতে হবে নেহরুকে। যেসব লোকের অর্থনীতি, বিশেষত ব্যাংকিং বিষয়ে বিন্দুমাত্র জ্ঞান নেই, তাঁদের 'জাতীয়তাবাদী' 'সনসনিখেজ' কভারেজ দিতে বলা হয়েছিলো, তাঁরা পরমানন্দে তাই করেছেন। দেশপ্রেমী নায়ক, দেশদ্রোহী ভিলেন, ক্ষিপ্ত 'সাংবাদিক', পাগল 'হার্ভার্ড' টাইপের নানা চরিত্রদের দৌলতে নরক গুলজার। যাঁরা জানেন এসব লিখতে অর্থনীতি বা ব্যাংকিংয়ের প্রয়োজনই নেই। প্রথম অর্থমন্ত্রী ছিলেন একজন উকিল। বর্তমানে যিনি আছেন তিনি বছর চল্লিশেক আগে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়েছিলেন। তার পর শুধু পার্টি করেছেন। তিনি শুধু জানেন আমাদের কাছে 'রাইট টু রিকভারি' রয়েছে। এর সঙ্গে একটাই তুলনা চলে, 'মেরে পাস মাঁ হ্যাঁয়'। মা'কে দিয়ে যদি এইসব দুর্বৃত্তদের থেকে টাকা উসুল করা সম্ভবত হতো, তবে এদেশের অর্থনীতির ইতিহাসটাই অন্যরকম হতো। রিজার্ভ ব্যাংক চালান এক্জন ইতিহাস শিক্ষক, পেশায় আমলা। যাঁদের ধারণা অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, রঘুরাম রাজন, কৌশিক বসু অর্থনীতি জানেন না। এর থেকে উত্তম রামরাজত্ব আর কীই বা হতে পারে?

    এই বিপুল ঋণ কেলেংকারির জন্য কে দায়ী, নেহরু বা আর কেউ, সেটা স্থির করার সহজ বৈজ্ঞানিক উপায় আছে। অন্ধকারে হাতড়ানোর দরকার নেই। খুব সহজেই তা নির্ণয় করা যায়। সেটা বোঝার জন্য জন্য পুরো প্রসেসটা জানতে হবে। ঋণ কীভাবে দেওয়া হয়, কীভাবে তা খারাপ হয়, কখন হয়, তার প্রতিকার কী, কীভাবে তা আদায় করা যাবে, এ বিষয়ে আইনকানুন কী, কোন স্তরে কার দায়িত্ব, ইত্যাদি বিষয়ে কিছুটা ধারণা থাকা দরকার। খুঁজতে গেলে তো সাড়ে সর্বনাশ। এখন নীতি হলো সব গুলিয়ে দাও।
  • Somnath Roy | ০৩ মে ২০২০ ১৯:১৮92953
  •  অর্থনীতির একটা অংশ বিনিময়প্রথানির্ভর থাকা জরুরি। ওই একটা জায়গায় কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা সহজে হাত বসাতে পারে না।

  • Somnath Roy | ০৩ মে ২০২০ ১৯:১৮92954
  •  অর্থনীতির একটা অংশ বিনিময়প্রথানির্ভর থাকা জরুরি। ওই একটা জায়গায় কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা সহজে হাত বসাতে পারে না।

  • রৌহিন | ০৩ মে ২০২০ ২২:১২92964
  • ঋণমকুব বললেই শুনতে হয়, "মকুব আর রাইট অফ" এক নয়। আরে মশাই জানি এক নয়। শুধু ওটুকুই জানি। একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে আমাকে কে বুঝিয়ে দেবে এফেক্টিভলি কী ফারাক দুটোয়? আমার, আমাদের ধারণা কিছুই নেই - ওই যে যশোদাদুলাল, সেই যদুপতি
  • b | 172.68.***.*** | ০৩ মে ২০২০ ২৩:১৮92969
  • আমার মনে হয় সেই জন্যেই শিবাংশু-র এই লেখাটিকে আরেকটু বড় করা উচিৎ।
  • S | 162.158.***.*** | ০৪ মে ২০২০ ০০:০২92972
  • মুকুব মানে রাইট অফ। কিন্তু রাইট অফ মানেই মুকুব নয়। মুকুবটা পলিসি। রাইট অফটা অ্যাকাউন্টিঙ্গ।

    আমি আপনাকে লোন দিলাম। দেখছি যে আপনার অবস্থা এতটাই খারাপ যে আপনি কখনই ফেরত দিতে পারবেন না। আমি দয়াবশতঃ হয়ে বললাম যে আর ফেরত দিতে হবেনা। এটা মুকুব (এবং রাইট অফ)।

    কিন্তু দেখলাম যে আপনি কিছুতেই ফেরত দিচ্ছেন না। অনেকদিন হয়ে গেছে। আমি ধরে নিলাম যে এই লোন বোধয় আর কখনও ফেরত পাবোনা। তাই ওটাকে চিরকালিন লস ধরে নিলাম, মানে আমার বইতে রাইট অফ করে নিলাম। কিন্তু এর মানে মুকুব নয়। আপনার অবস্থা ভালো হলে আপনাকে কোর্টে নিয়ে গিয়ে সুদে আসলে তুলে নেব। অনেকসময় এগুলোকে ব্যাড লোন হিসাবে কম দামে কোনো লোন রিকভারিং এজেন্সিকে বিক্রিও করা হয়। তখন রিকভারিং এজেন্সি আপনার থেকে লোন ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করবে। পেলে লাভ, নইলে লোকসান - কিন্তু সেটা রিকভারিং এজেন্সির।
  • S | 108.162.***.*** | ০৪ মে ২০২০ ০০:১২92975
  • এটা ঠিক যে রেগুলেশান, নিয়ম কানুন মেনে চললে এইসব বড় লোন অনাদায়ী থাকার কথা নয়। কিন্তু এটা করা হয় রাজনৈতীক প্রভাব খাটিয়ে, নীচ থেকে উপর অবধি ঘুষ দিয়ে, এবং প্রচুর নিয়ম ভেঙে।

    সরকারি ব্যান্কের লোকসান মানে ট্যাক্সপেয়ারদের লোকসান, তাই কেউই ডাইরেক্টলি অ্যাকাউন্টেবল নয়। এই কারণেই বেসরকারি ব্যান্কে সমস্যা অপেক্ষাকৃত কম। ইয়েস ব্যান্ক ব্যতিক্রম, তারও কারণ আছে। প্রথ্মতঃ মোস্ট লাইকলি ওরা ক্যাপিটাল ড্রেইন করে নিচ্ছিল। আর নতুন ইকুইটি ক্যাপিটাল জোগাড় করতে পারেনি সময় মতন।
  • ধীমান মন্ডল | ০৪ মে ২০২০ ০০:১৩92976
  • সংসদ ভবনটা কবে বিক্রি হবে দেখা যাক 

  • S | 162.158.***.*** | ০৪ মে ২০২০ ০০:২১92978
  • ফাটকা খেলা মানে স্পেকুলেশানের কথা যেটা শিবাংশুবাবু লিখেছেন, সেটা বোধয় আংশিক সত্য। এটা আমেরিকাতে খুবই সত্যি, যেটা গত ক্রাইসিসের সময় দেখা গেছিল। কিন্তু ভারতের শিল্পপতি সমাজ নিজেদের পয়সা নিয়ে ফাটকা খেলেনা, খুবই কনজারভেটিভ। সেটাও এই সমাজের একটা বড় সমস্যা - অন্য আলোচনা।

    আমি যেটুকু দেখেছিলাম তা হল শিল্পপতিরা নিজেদের ব্যবসা থেকেই বিভিন্ন উপায়ে সময় ভালো থাকতে নিজেদের পুঁজিটা লাভ্সহ তুলে নেয়। যেটা আমার ধারণা ইয়েস ব্যান্কের ক্ষেত্রেও ঘটেছে। বলা হয়েছে যে ৪২,০০০ কোটি টাকার খারাপ লোনের একটা বড় অংশ (প্রায় ২০,০০০ কোটি) রানা কাপুরের নির্দেশে দেওয়া হয়েছে। এটা থেকে ব্যাড লোনের পরিবর্তে অন্যরকম ধারণা হয়।

    এছাড়া রাজনৈতীক দলগুলো প্রচুর ফিডব্যাক পেয়েছে এই খারাপ লোনগুলোর থেকে। যে কারণে মোদি সরকার এসেই ক্যাম্পেইন ফাইনান্সিং ল বদলে দিল। ফলে এখন কে কোন দলের ইলেকটোরাল বন্ড কিনছে, সেটা গোপন থাকছে।
  • অপু | 162.158.***.*** | ০৪ মে ২০২০ ০১:০৮92982
  • শিবাংশু দা ভালো লাগলো।
  • শিবাংশু | ০৪ মে ২০২০ ০১:৫০92984
  • @b,
    আপনি ঠিক বলেছেন। বিস্তৃত আলোচনায় আরও একটু প্রাঞ্জল হতে পারে। বিষয়টি এতোই বড়ো যে এ নিয়ে মস্তো মস্তো মহাভারত লিখেছেন পণ্ডিত ব্যক্তিরা। এই তুচ্ছ লেখাটিতে আমি এদেশের বর্তমান পরিস্থিতিটি সংক্ষিপ্ততম পরিসরে ধরতে চেয়েছি। টেকনিক্যালিটিতে যাইনি। কারণ গুগলের যুগে তাত্ত্বিক প্রশ্নগুলো আগ্রহীজন অনায়াসেই জেনে নিতে পারবেন।
    @S,
    আপনি একেবারে ঠিক লিখেছেন। আরও একটু সরল করে বলি, ঋণমাফ বা ঋণমকুব ব্যাপারটা মোটামুটিভাবে ভারতের দুর্ভাগা জনতার জন্য নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিশ্রুতি। রাইট অফের সঙ্গেও নির্বাচন জড়িত। তবে তার লাভ উপভোগ করেন ইণ্ডিয়ার লোকজন। অভিজ্ঞতায় দেখেছি কৃষি ও অন্যান্য কৃষিজাত ব্যবসার জন্য দেওয়া ঋণ প্রসঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা নির্বাচনের এক-দেড় বছর আগে থেকেই ব্যাপকভাবে ঋণীদের ধারশোধ না করতে বলেন। আশ্বাস থাকে, তাঁদের ভোট দিলে যেকোনও প্রকারে তাঁরা সেই সব ঋণ মকুব করে দেবেন। একেবারে প্রান্তিক স্তরের ঋণীদের কথা থাক। ট্র্যাক্টরের জন্য ঋণ নিয়ে কুলাক চাষীরাও ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও ধার শোধ করেন না। কারণ ঐ রাজনীতিকদের প্রতিশ্রুতি। অবশ্য সারাদেশে এই সমস্ত ঋণ সব মিলিয়েও হয়তো গোটা দুয়েক কর্পোরেট ডাকাতের কীর্তির থেকে কমেই থাকবে।

    খারাপ ঋণের সঙ্গে জড়িত সম্পদ নিয়ে সমান্তরাল ভাবে ব্যবসা করার রীতি আছে। অর্থাৎ স্ট্রেসড অ্যাসেটস ম্যানেজমেন্টের ব্যবসা। আগে ছিলো সারফেসি আইন, এখন ইনসলভেন্সি আইন। রাইট অফ হয়ে যাওয়া ঋণের তামাদি সম্পদ থেকে কতোটা উসুল হয় এই রিপোর্টটি থেকে কিছু অনুমান হবে। বারোটি কর্পোরেট অ্যাকাউন্টের সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকার অনাদায়ী রাইট অফ করা খাতায় দু বছরে উসুল হয়েছে মাত্র চল্লিশ হাজার কোটি টাকা। তাও ইনসল্ভেন্সি আদালতে এবং সুপ্রিম কোর্টের চাপে।
    https://economictimes.indiatimes.com/markets/stocks/news/record-rs-2-54-lakh-crore-bad-loan-write-off-gives-a-facelift-to-banks-npa-profile/articleshow/70492369.cm

    উর্জিত প্যাটেল পলায়ন করার পর বলেছিলেন সব ২০১৪ সালের আগের ঋণ। তাহলে তিনি পলায়ন করলেন কেন? ভায়রাভাইদের কোপে পড়তে চাননি কি?
    '' কিন্তু ভারতের শিল্পপতি সমাজ নিজেদের পয়সা নিয়ে ফাটকা খেলেনা, খুবই কনজারভেটিভ। সেটাও এই সমাজের একটা বড় সমস্যা - অন্য আলোচনা"।
    ভারতবর্ষের কর্পোরেট কালচার বা গভর্ননেনস সরলরৈখিক নয়। বৃহত্তম দুটি, টাটাগ্রুপ বা আম্বানি গ্রুপের বিজনেস এথিকস একেবারে আলাদা। বাকি সবার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। সরকারি ব্যাংকগুলি স্বভাবের দিক দিয়ে অত্যন্ত সংরক্ষণশীল। ছপ্পর ফাড়কে বাজে লোন করতে চাইছিলেন না বলে গত মাসেই গুয়াহাটিতে অর্থমন্ত্রী এসবিআইয়ের চেয়ারম্যানকে হাজার লোকের সামনে যা-তা বলে অপমান করলেন। 'হৃদয়হীন' ব্যাংকার সম্বোধন করলেন। এদেশের কর্পোরেট মডেলে 'কনজার্ভেটিভ' হতে চাওয়াটা বোধ হয় খুব মন্দ নয়। সব মূলত পারিবারিক প্রতিষ্ঠান। চিন্তাধারা সাহেবদের সঙ্গে মিলবেনা। এটাই স্বাভাবিক। বেসরকারি ব্যাংকগুলিও অর্থমন্ত্রক বা রিজার্ভ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়। তাদের নতুন ব্যবসা ছিলো বলে ব্যাডলোন লেগ্যাসি থেকে মুক্ত ছিলো দুয়েক দশক। এখন তারাও একই পথের পথিক। রানা কপুর বা চন্দা কোচর কোনও ব্যতিক্রম নন। তাঁরাও এই বিষয়ে মাত্র বিশ বছরের ব্যবসায় দুশ বছরের প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছাকাছি পৌঁছোচ্ছেন।
  • S | 162.158.***.*** | ০৪ মে ২০২০ ০২:১৯92986
  • একদম একমত। এমনিতেও ইন্ডিয়াতে খুব বেশি এগজিকিউটিভ বা শিল্পপতি নেই যারা ভাগ্য আর সরকারি বরাতের বাইরে ব্যবসা চালাতে পারে। তাছাড়া, ভারতের পশ্চিম দিকে এইরকম পাইয়ের দেওয়ার কালচার রয়েছে।
  • b | 162.158.***.*** | ০৪ মে ২০২০ ০৮:০৭92994
  • এটা শিবাংশুদা-রা ভালো জানবেন। ভারতের পূর্বপ্রান্তের একটি রাজ্যে এটা নাকি এখন চালু মডেল। সত্যাসত্য জানি না।
    *****************
    আমি ব্যাংক থেকে লোন নিলাম, ৮০ লক্ষ টাকা, ধরুন মিষ্টির দোকান (প্লেসহোল্ডার) খুলবো বলে।ধরুন দোকানের নাম সত্যনারায়ণ মিষ্টান্ন ভান্ডার (প্লেসহোল্ডার)। এছাড়াও প্রাইভেট ঋণ আছেই। কিছুদিন পরে আমি ব্যাংকে টাকা দিলাম না, জি এস টি তে বাদ পড়তে লাগলো, প্রাইভেট লোনদের নানা অছিলায় কাটিয়ে দিতে লাগলাম। কিছুদিন পরে ব্যাংক আমার সম্পত্তি দখল করল। এবার বেচতে হবে। কিন্তু অয়াসেট ভ্যালু মেরে কেটে ৩০ লাখের বেশি নয়।্হঠাৎ এক সহৃদয় ব্যক্তি এসে ঐ ৩০ লাখেই কিনে নিলেন। এবার কোর্টের নির্দেশ মতো ঐ ৩০ লাখ ভাগ হলঃ ব্যাঙ্ক, ট্যাক্স আর প্রাইভেট উত্তমর্ণের মধ্যে। বলা বাহুল্য, কেউ-ই তাদের প্রাপ্য পুরো টাকাটা পেলো না। ঠিক হ্যায়, নাকের বদলে নরুন, এই বলে বুড়ো আঙুল চুষতে চুষতে বাড়ি দেলো। সহৃদয় ব্যক্তি 'নিউ সত্যনারায়ণ মিষ্টান্ন ভান্ডার' নাম দিয়ে দোকান খুললেন।

    এবারে লোকমুখে শোনা যাচ্ছে, জনৈক ব্যক্তিটি আমারই ভায়রাভাই।
    *******
    @শিবাংশু, রঞ্জনঃ এরকম কি হতে পারে? হয়?
  • sm | 162.158.***.*** | ০৪ মে ২০২০ ০৮:৪৮92998
  • অনাদায়ী ঋণ বাড়ছে কেন?গত দুদশকেই সবচে বেশি বেড়েছে কেন?তার আগে কেন এতো বাড়ে নি?

    এতো অনাদায়ী ঋণ বাড়লে ও রাইট অফ চললে,নিশ্চয় ব্যাংক খরচা কমাচ্ছে।
    ব্যাংক গুলো শাখা বন্ধ করছে।সংযুক্তি করন ঘটছে।
    কর্মী সংখ্যা কমছে।নতুন নিয়োগ কমছে।
    এই কর্মী সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু লেখা হোক।
  • S | 162.158.***.*** | ০৪ মে ২০২০ ০৮:৫৬92999
  • ৩০ লাখের অ্যাসেট ভ্যালুর উপর নিয়মমতন ৮০ লাখ টাকা লোন পাওয়া যায়্না। আপনার নিজের বাড়ির লোনের কথাই ভাবুন। তার সঠিক ভ্যালুয়েশনের ৮০% ব্যান্ক দেয়। বাকি ২০% আপনার নিজের পকেট থেকে দিতে হয়। সেইভাবে ৮০ লক্ষ টাকার লোন পেতে গেলে অন্তত সব মিলিয়ে এক থেকে দেড় কোটি টাকার অ্যাসেট দেখাতে হয়। এর মধ্যে অবশ্য ওয়ার্কিং ক্যাপিটালও আছে। এবারে আপনি বলতেই পারেন যে মাছিতে সব মিষ্টি খেয়ে গেছে। তার পরেও যথেষ্ট সিকিউরিটি থাকার কথা। প্রপ্রাইটারিতে এজিনিস করাও যায়্না। অন্য ক্ষেত্রেও মালিকের কাছ থেকে পার্সোনাল গ্যারান্টি লেটার নেওয়া থাকে। যেমন কিংফিশারের ক্ষেত্রে মাল্য সাহেবের কাছ থেকে পার্সোনাল গ্যারান্টি নেওয়া আছে। তাই কোম্পানি না পারলেও মাল্য সাহেবের শেয়ার হোল্ডিং বেচে ক্ষতিপূরণ হওয়ার কথা।
  • b | 162.158.***.*** | ০৪ মে ২০২০ ০৯:০৪93001
  • মাল্য সাহেব নয়। নিতান্তই ছোটো বিজনেস।
  • sm | 172.69.***.*** | ০৪ মে ২০২০ ০৯:০৫93002
  • ধরা যাক অনিল বাবু পাঁচটা ব্যাংক থেকে পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে, শোধ দিচ্ছে না।এখন প্রথম ব্যাংক এক্স তাকে বললো,আপনি সব শেয়ার বেচে আমার লোন পরিশোধ করুন।বাস্তবে দেখা গেলো অনিলবাবুর সব শেয়ার বেচেও এক্স ব্যাংকের লোন পরিশোধ করা যাবে না।

    তখন কি অন্য ব্যাংক গুলো আঙ্গুল চুষবে?

  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 162.158.***.*** | ০৪ মে ২০২০ ০৯:১১93004
  • ছোটো ব্যবসা র সম্ভাব্য কোরাপশনের প্রশ্নের একটা সমস্যা হলো, এই এন পি এ র সমস্যাটা , ছোটো ব্যবসার, ছোটো ব্যাংকের কোরাপশনের সমস্যা বলে দেখানো। আনেকডোটাল এভিডেন্সে র এটাই সমস্যা। যাই হোক, শিবাংশু, রঞ্জন বলবেন, সারাদেশের মোট অনাদায়ী টাকার কতটা মিষ্টির দোকান, কতটা ভায়রাভাই, কতটা পূর্বাঞ্চল আর কতটা সব মিলিয়ে ছোটো ব্যবসার ছোটো ব্যাংক ম্যানেজারের কোরাপশনের দায়। এমনি তে যথোচিত সারল্য ও বিনয়ে ভরা প্রশ্নটির অন্য সমস্যা নেই, তবে এই ধরণের প্রবলেম স্টেটমেন্ট এর ভিত্তিতে সরকার ডিমনিটাইজেশনের দিকে এগিয়েছিল, পাশের বাড়ির খাটের তলার তাড়া তাড়া নোটের দিকে লক্ষ্য রেখে।

    বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
  • S | 162.158.***.*** | ০৪ মে ২০২০ ০৯:১২93005
  • একটা অ্যাসেট দেখিয়ে ৫টা লোন নেওয়া যায়্না। ব্যান্ক একটু খোঁজ নিলেই পেয়ে যাবে যে কেউ কত লোন নিয়েছে। শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রচুর মার্জিন রাখতে হয়।
  • শিবাংশু | ০৪ মে ২০২০ ১২:২২93011
  • @ b,
    'সত্যনারায়ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে'র মডেল আজ নয়, সেই জগৎ শেঠের সময় থেকে চলছে। আগেকার দিনে আমির- ওমরাহদের দাক্ষিণ্য থাকলে জনতা বেঁচে যেতো। নয়তো লেঠেল এসে পিটিয়ে টাকা তুলে নিতো। কিছুদিন আগে মুর্শিদকুলি খানের সময় রেভেন্যু ব্যবস্থার তোলপাড় প্রসঙ্গে পড়তে গিয়ে এই রকম কেসের খোঁজ পেলুম। তবে এই আলোচনাটি কর্পোরেট ঋণ বিষয়ক। তার প্রপঞ্চ একেবারে আলাদা।
    @ sm,
    কর্মীসংখ্যা কমার সঙ্গে কর্পোরেট ঋণ খারাপ হবার কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ সাধারণ কর্মীদের সঙ্গে এই সব ঋণের সম্বন্ধ নেই। তাঁরা মূলত রিটেল ব্যাংকিংয়ে কাজ করেন। প্রযুক্তি ও মানবসংসাধন একটি অন্য বিষয়।
    যদি কনজর্টিয়াম ফাইন্যান্স হয় তবে কোন ব্যাংক কতো পাবে তার বিশদ আগে থেকেই চুক্তির শর্তে থাকে। তা নিয়ে কথা হবেনা। আর যদি 'জালসাজি' করার ব্যাপার হয়, তবে এই মুহূর্তে তা খুব সহজ হবেনা। সংস্থা তো দূরের কথা, প্রতিটি একক ঋণীর ঠিকুজিকুলুজি মাউজের একটি ক্লিকে পাওয়া যায়। 'মার্কেট ক্রেডিবিলিটি' খুঁজতে এখন আর হিংলাজ যাত্রা করতে হয়না। হর্ষদ মেহতা এইটুকু উপকার করে গেছে। কোনও ব্যাংকারই সজ্ঞানে নিজের আঙুল পোড়ায়না। যদি না অলক্ষ্মী ধরে।
    @ S,
    '৩০ লাখের অ্যাসেট ভ্যালুর উপর নিয়মমতন ৮০ লাখ টাকা লোন পাওয়া যায়্না' , এই তত্ত্ব শুধু ব্যক্তিগত উপভোক্তা ঋণ বা কমজাম্পশন লোনের জন্য প্রযোজ্য। কর্পোরেট ঋণে কতো পাওয়া যাবে তার হিসেব হয় অন্য শর্তাবলী থেকে। হিসেবটি কিঞ্চিৎ জটিল, তার বিশদ লিখছিনা। অতি সংক্ষেপে বলতে গেলে কর্পোরেট ঋণ 'প্রয়োজন ভিত্তিক' ঋণ,
    'জামানত ভিত্তিক' ঋণ নয়।
    @ বোধিসত্ব দাশগুপ্ত,
    আপনার বিষয়টি নিয়ে এইখানে কিছু বলছিনা। 'ছোটো ও মাঝারি' ঋণের ধরনধারনের সঙ্গে কর্পোরেট ঋণের মেরুপ্রমাণ দূরত্ব। পেটি দুর্নীতির গপ্পোগুলো আলাদা। ওগুলো নেহাৎই 'চুনোপুঁটি' । এখানে তিমিঙ্গিলদের গপ্পো চলেছে।
  • sm | 172.69.***.*** | ০৪ মে ২০২০ ১৪:১৫93014
  • শিবাংশু বাবু,আমার বক্তব্য ছিল অন্যরকম।এন পি এর জেরে ব্যাংকের কর্মী সঙ্কোচন হবে।নতুন রিক্রুট কমে যাবে।শাখার সংখ্যা কমে যাবে।মার্জার হবে।

    আমরা চোখের সামনে দেখতে পারছি। 2000 -2009 এর মধ্যে ক্যাপিটাল গেইন ও এনপি এর অনুপাত এক এর অধিক ছিল।2010 সাল থেকে সেটি উল্টো দিকে যাচ্ছে।সুতরাং ব্যাংকের ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে,নিজস্ব সম্পদ বিক্রি করতে হচ্ছে আর সরকারের কাছে হাত পাততে হচ্ছে।

    সরকার ও ক্রমশ ক্যাপিটাল স্টিমুলাস কমিয়ে দিচ্ছে বা আরো দেবে।

    আলটিমেটলি কোপ পড়ছে সাধারণ ব্যাংক কর্মীর ওপর।যাদের সঙ্গে এই এনপিয়ের কোন যোগ ই নেই।

    এর সল্যুশন কি?

  • সল্যুশন | 162.158.***.*** | ০৪ মে ২০২০ ১৫:৩৫93016
  • এই যে সল্যুশন।

    সব ফাইল পুড়ে টুলে গেল।
  • শিবাংশু | ০৪ মে ২০২০ ১৬:৩২93017
  • 'ক্যাপিটাল গেইন' বলতে আপনি ঠিক কী বোঝাচ্ছেন? নেট প্রফিট না ক্যাপিটাল অ্যাডেকোয়েসি?

    কর্মচারীদের চাকরির সুযোগ কমে যাওয়াটি শুরু হয়েছে কোর ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম প্রযুক্ত হবার পর থেকে। আমাদের সংস্থায় শেষ বড়ো মাত্রায় নিযুক্তি হয়েছিলো ২০১০ থেকে ২০১২ সালে। আমাদের তৎকালীন চেয়ারম্যান একটি কনফারেন্সে কৌতুক করে আমাদের বলেছিলেন, মনে রাখবে অমুক ব্যাংকের সমস্ত কর্মচারীদের থেকে বেশি নতুন কর্মচারী আসছেন আমাদের এখানে। রিক্রুটমেন্ট ও ট্রেনিংয়ের চ্যালেঞ্জটি তোমাদের জন্য বিরাট হবে । 'অমুক' ব্যাংকটি তখন রাষ্ট্রীয়কৃত ব্যাংকগুলির মধ্যে অন্যতম বৃহৎ সংস্থা ছিলো। ঐ সময় আমি এই ব্যাপারটির সঙ্গে সরাসরিভাবে যুক্ত ছিলুম। সে অবশ্য অন্য একটি গল্প।

    টেকনিক্যালি যাকে বলে 'ব্রিক অ্যান্ড মর্টার ব্যাংকিং' তার সময় শেষ হওয়া শুরু হয়ে গিয়েছিলো তখন থেকেই। অল্টারনেট চ্যানেল ও নেট ব্যাংকিং প্রতিস্থাপিত করেছে পার্সোন্যাল ব্যাংকিংয়ের পরিসরটিকে। এই ধারার ব্যবসাটিই শতকরা নব্বইজন সাধারণ মানুষজনের কাছে ছিলো 'ব্যাংকের কাজকারবার'। কর্মচারীভিত্তিক শ্রমশক্তি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যেতে শুরু করে তখন থেকেই। সর্বশক্তিমান ব্যাংক কর্মচারীদের ইউনিয়নগুলিও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। অবসৃত কর্মচারীদের জায়গায় নতুন নিযুক্তি হচ্ছেনা আর।

    সরকার যদি সদিচ্ছার সঙ্গে অনাদায়ী ঋণ উসুলের জন্য এদেশের উপযোগী আইনকানুন ও তার প্রয়োগ করতে পারেন তবে ক্যাপিটাল ইনফিউজন বা স্টিমুলাসের কোনও প্রয়োজন নেই। আমি মানুষের শুভবুদ্ধির উপর আস্থা রাখি। চারদিকে 'ষড়যন্ত্র' খুঁজে শক্তি অপচয় করা নিরর্থক মনে করি। উপযুক্ত নেতৃত্বের উপর ভরসা রাখি। এশিয়ান টাইগার বা সাবপ্রাইম সংকট সাফল্যের সঙ্গে পেরিয়ে এসেছি আমরা। কিন্তু প্রথমেই যে আশংকাটির কথা বলেছি তার নিরসন হচ্ছেনা। 'সর্ষের মধ্যেই ভূত', সেটা থেকেই যাচ্ছে।
  • রঞ্জন | 162.158.***.*** | ০৪ মে ২০২০ ২২:০০93028
  • সত্যি কথা। করপোরেট লোনের এলিজিবিলিটি নির্ধারণ প্রত্যক্ষ ভাবে সিকিউরিটি বেসড নয়।

     দেখতে হবে টার্ম লোন কি ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল লোন। দেখতে হবে গ্রোথ এর প্রোজেকশন, প্রোডাকশন সাইকল, টার্ণ ওভার, ডেট -সার্ভিস ক্যাপাসিটি, ডেট ইক্যুইটি রেশিও  আরও অনেক কিছু। বেশি টেকনিক্যাল, এখানে সে আলোচনা অবান্তর।

          একই প্রপার্টি দেখিয়ে একাধিক লোন, বা অ্যাসেটের ভ্যালু বাড়িয়ে লোন নেওয়া, মাঝে ব্যাংককে না জানিয়ে মালিকানা বদলে যাওয়া এসব ৩৫ বছর আগে ঘটেছে। এখন এই ডিজিটাল ইনফরমেশন এবং কোর ব্যাংকিং এর জগতে --শিবাংশু যেমন বললেন-- অসম্ভব। 

     তবে রুচি সোয়ার কেস দেখুন। রামবাবা কিনে নিলেন অথচ রাইট অফ হয়ে রইল ।

  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন