আমি বর্ধমানে ছিলাম বছর চারেক। শেষ মেষ টাউন স্কুল থেকে হাঃ সেঃ পাশ করি ৬৯'এ। থাকতাম প্রথমে বীরহাটায় তারপর স্টেশন পারে সাধনপুরের গর্মেন্ট কোয়াটারে। চার দশক? হয়ে গ্যালো এরই মধ্যে!
আর ফিরে যাই নি।
ppn | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৪:৩৮ | 216.52.215.232
তা হবে। ভুলে গেছি। হেইচেসের কেমিস্ট্রির ফান্ডা। ঃ)
Jhiki | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৪:৩৩ | 182.253.0.98
ফটকিরি তে iron remove হয় না। আমাদের বর্ধমানের বাড়ীর জল নিয়ে বাবা -মা প্রায় বছর দশেক ভুগেছিল, এখন পুরসভার জলের লাইন এসে যাওয়ার পর মুক্তি।
ppn | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৪:২৮ | 216.52.215.232
ফটকিরি (অ্যালাম) দিয়ে। তাই না?
Jhiki | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৪:২৫ | 182.253.0.98
dd , soft water কিভাবে তৈরী করে????
Jhiki | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৪:২৩ | 182.253.0.98
৩/৪ ডে মানে three-forth day, তিন-চারদিন নয়!!!!
dd | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৪:১৯ | 124.247.203.12
আরে, এরা কিরম সংসারী। আরে সাদা জামা সাদা থাকে জলের গুনে। লোহা ভর্তি হার্ড ওয়াটারে যতোই না সাবুন দেও, সাদা জামা সাদা থাকবে না। ডাল ও ভালো সেদ্দো হবে না। এতো ভগমানের নিয়ম।
তুই সেভেন পর্যন্ত কৃষ্ণঠাকুরকে উদ্ধার করতে ডেকেছিলিস! আমি তো এখনও এখনো যখনতখনি যমঠাকুরকে ডাকি অন্যদেরকে উদ্ধার করার জন্য।
Jhiki | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৪:১৪ | 182.253.0.98
আমরা এখানে furnished falt এ থাকি, washing machine ত আগে থেকেই ছিল, automatic, LG. সাদা বলতে একদম প্লেন সাদা জামা কাপড়, বেড শীট এগুলো প্রথমে bleach দিয়ে মেশিনে ভিজিয়ে রাখি মিনিট ১৫ মত, তারপর রিন্স অর স্পিন করিয়ে দিই। এরপর আবার মেশিনে জল ভরতে দিয়ে তাতে সমস্ত সাদা জামা কাপড় (including printed) দিয়ে সাবান ও গরম জল দিয়ে ২-৩ মিনিটের জন্য চালিয়ে দিয়ে বন্ধ করে দিই। ..... ..... তারপর আমি অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ি.......... মেড কে বলে আসি atleast ১ ঘন্টা বাদে মেশিন টা চালাতে আর লাস্ট রিন্সে softener, নীল এসব দিতে..... তো তাতে বেশ ধবধবে সাদা হয়। Infact এখন আমি একটা সাদা শার্ট ই পরে আছি, এবং ৩/৪ ডে কেটে যাওয়ার পরও এটা ভালো ই উঙ্কÄল দেখাচ্ছে।
siki | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৪:১২ | 123.242.248.130
নিতান্তই ভক্তিমান ছিলাম। সেভেন পর্যন্ত ঝামে পড়লেই কৃষ্ণকে মনে মনে ডাকতাম। সৌজন্যে, একগাদা অমর চিত্রকথা। নাইনে পৈতে হল, ভক্তিভরে তিনদিনের দণ্ডীঘর এবং এক বছরের রেসট্রিকশন পালন করতে হল। ঝাঁট জ্বলার সেই শুরু। সেই সময়েই প্রবীর ঘোষের বইপত্র পড়ে ফেলে মাথা বিগড়ে যায়। ঃ)
অবিশ্যি পৈতে নেবার মূল কারণ ছিল, মামাদের দেওয়া নীল রঙের হিরো রেঞ্জার সাইকেল। তখন হট চলছিল। পৈতে হলেই দেবে, এই মর্মে ডীল হয়েছিল মামাদের সঙ্গে।
Du | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৪:০৭ | 14.96.220.248
হ্যঁ হ্যঁ ঝিকি বলো। পরে এসে পড়বো।
ব্যাং , বুঝলাম , আমাকেও ঐ পথই নিতে হবে ঃ)
byaang | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৪:০৬ | 122.178.197.246
মাইরি, অ্যাত্তো মন দিয়ে পড়েছিলিস ঐ বই! নাঃ নিতান্তই ভালোমানুষ তুই! আমার তো ছোটো থেকেই ঐসব পড়ে খিল্লি পেত। আর নীতিশিক্ষে ক্লাসে সিস্টারদের বিচ্ছিরি বিছিরি সব প্রশ্ন করতুম বিপাকে ফেলার জন্য।
kiki | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৪:০৬ | 59.93.201.123
আর পুজো আচ্চা , মন্ত্র টন্ত্র নিয়ে ইয়ে করবেন্না।জানেন আমার বিয়ের সময় নেহাত ই কেউ যখন আমায় পাত্তা না দিয়ে ছাদনাতলায় বসিয়ে দিলো আর আমার আর মানকের হাত গামছা দিয়ে বেঁধে দিয়ে পুরোহিত দাদু মন্ত্র পরছিলো, আর মানকের হাত কাঁপছিলো আর ঘামছিলো , আমি তখন একমনে গোছা গোছা পাতা একসাথে অন্যহাত দিয়ে উল্টে দিচ্ছিলাম।তার জন্য ঠাকুর পাপ দিয়ে মানকেকে আর আমাকে এই পনেরো বছরে একসাথে পনেরো মাস ও থাকতে দেয় নিকো। তাতে অবিশ্যি আমার চাপ হয়নি,নিজের বরকে বেশ পরপুরুষ টাইপ মনে হয়।কিন্তু মা বাবার হেবি চাপ হয়ে গেছে।
তবে এতেই কাছাকাছি যখন থাকি কাঁচের জিনিসরা প্রায় ই থাকেই না।আমার আরেক বান্ধবীর (তার বর ও ওরম, বেশিটাই জাহাজে থাকে)আবার বর আসলেই ডেস্কটপ নতুন হয়ে যায়।রাগ হলেই ভদ্রলোক আগেই সিপি ইউ ভেঙ্গে দেয়, কেন কে জানে!
siki | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৪:০৫ | 123.242.248.130
ব্যাংয়ের কী ভাগ্যি ব্যাংয়ের বিভীষণ একই সুরে বাজে। আমার সে উপায়ও নেই। সমস্ত অন্যায় টাকাপয়সার আবদার মুখ বুজে মেনে নিতে হয়। ঃ(
siki | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৪:০৪ | 123.242.248.130
ঢোঁ-চ-মা আমার পড়া তো!
ব্যাং, আমারও স্কুলে পথ নির্দেশ বলে একটা বই পড়তে হত সেভেন এইটে। ব্যান্ডেল চার্চ থেকে নগদ তিরিশ টাকা দিয়ে কিনে আনতে হত। সেখানে একটা মারাত্মক কথা লেখা ছিল, কেবলমাত্র মানুষেরই আত্মা থাকে, পশুপাখিদের আত্মা থাকে না, তাই পশুপাখিদের কোনও ভগবান হয় না, মানুষেরই আত্মা ভগবানের কাছে পৌঁছয়। সেই পড়ে থেকেই মনে কনফিউশন ঢুকে গেছিল।
byaang | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৪:০২ | 122.178.197.246
ডিডিদার ১ঃ৪৯ এর পোস্ট পড়ে খুব দাঁত কিড়মিড় করলুম ঃ-X
byaang | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৪:০০ | 122.178.197.246
দু য়ের প্রশ্নের উত্তর- ছেলের ইউনিফর্ম ঃ ১) সোমবার - সাদা জামা সাদা প্যান্ট, কালো বেল্ট, সবুজ টাই, কালো জুতো, কালো মোজা ২) মঙ্গলবার - খাকি জামা খাকি প্যান্ট, কালো বেল্ট, সবুজ টাই, সাদা জুতো, সাদা মোজা, একটা প্যাকেটে করে নীল-সাদারঙের হাউস শার্ট ৩) বুধবার - খাকি জামা খাকি প্যান্ট, কালো বেল্ট, সবুজ টাই, কালো জুতো, কালো মোজা ৪) বৃহস্পতিবার - নীল-সাদারঙের হাউস শার্ট সাদা প্যান্ট, কালো বেল্ট, সাদা জুতো সাদা মোজা ৫) শুক্রবার - খাকি জামা খাকি প্যান্ট, কালো বেল্ট, সবুজ টাই, সাদা জুতো, সাদা মোজা, একটা প্যাকেটে করে নীল-সাদারঙের হাউস শার্ট
সাদা জামা এবং সাদা প্যান্ট সপ্তাহে দুইদিন পরতে হলেও, বিশেষ করে প্যান্টটা তিন মাসের পর ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। আমি মেশিনেই কাচি সবকিছু, দুটো করে ওয়াশ দিয়েও সাদা প্যান্টের পিছনের কাদার ছোপ তোলা যাচ্ছে না। ভ্যানিশ লিকুইড ট্রাই করেও তুলতে পারি নি। আজকাল আর পারি না এত চাপ নিতে তিনমাস বাদে আরেকটা নতুন কিনে নিই।
kiki | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৩:৫৯ | 59.93.201.123
ইসে আজ একটু চাপে আছি, আমার সদ্য কিশোর ছেলে ঘোষনা করেছে সে একা স্কুল থেকে ফিরবে,আমায় সে বেরিয়েই হাসি হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছি দেখতে চায় না,রাস্তায় হঠাৎ হঠাৎ বেমক্কা চেঁচিয়ে ওঠা সহ্য করবেনা,কেবল আমি তাকে স্কুলে দিয়ে আসতে পারি, এমনকি হতচ্ছাড়া স্কুল পর্যন্ত্য বলে দিলো আমরা ক্লাস সিক্স থেকে স্টুডেন্টরা বড় হয়ে গেছে ধরে নি, আপ্নাকে অ্যাপ্লিকেশন পজ্জন্ত্য দিতে হবে না। তিনটে থেকে জানালায় সেট হয়ে যাবো।
Jhiki | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৩:৫৭ | 182.253.0.98
আমি সাদা কাপড়জামা কাচা নিয়ে বলব, বলবই বলব, না জিগ্গেস করলেও বলব।
ব্যাং এর কাছে আমার প্রশ্ন, ছেলের ইউনিফর্ম কি সাদা? এবং তা কি মেশিনে কেচে পরিস্কার করা যাচ্ছে । হলে কি পদ্ধতিতে। নীল আকাশের সাথে ধবধবে সাদা জামাকাপড়ও ইতিহাস হয়ে গেছে ঃ(
byaang | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৩:৫১ | 122.178.197.246
আর ধর্মশিক্ষের ব্যাপারে স্কুলকে কী দোষ দেব আমার ছেলের ঠাকুমাদিদিমাই কি কম চেষ্টা করে তাকে ভক্তিবান হয়ে তুলতে! ছেলে কোলকাতায় থাকলে ঠাকুমা-দিদিমারা ঠাকুরকে নকুলদানা দেবার বদলে ছেলের প্রিয় মিষ্টিগুলো ভোগ দিতে আরম্ভ করে, ছেলেকে প্রার্থনা করতে শেখায় - আমাকে ভক্তি দাও, বুদ্ধি দাও,বিদ্যা দাও। ছেলে ক্লাস ওয়ান অব্দি ঐসব করত। চোখ চিপ্পে বন্ধ করে হাতজোড় করে বসে থাকত, যতক্ষণ পুজোআচ্চা চলত। মাঝে মাঝে ফাজলামি করত - আমাকে কোক দাও, পিজা দাও, বার্গার দাও বলে। এখন পুজোর সময়ে হাজার ডাকলেও সে কিছুতেই গিয়ে বসতে রাজি হয় না।
kumudini | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৩:৫১ | 122.160.159.184
ব্যাঙ,আমি আমি জানি জানি-এইসব দিন। টিচাররা ও পেরেন্ট-নিজ নিজ জায়গায় অসহায়।
এনসিসি করে অসাধারণ মুক্তির স্বাদ পেয়েছিলাম,আর ঐ কিকি যা বল্লো,ঐ সব শিখতে যে কী ভাল লাগত!কিন্তু আত্মীয়/প্রতিবেশীরা মেয়েদের এসব করা কেন যে বিষদৃষ্টিতে দেখতেন!
dd | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৩:৪৯ | 124.247.203.12
বিভীষণ দাঁত কিড়মিড় করে করে আঙুল তুলে সমঝে দিচ্ছে "পহা দিয়েছো কি আমি প্রিন্সিপালের টাক খুলে নেবো" আর সেই শুনে ধর্ম সংকটে পিড়ীত,স্বামী থ্রেটে শিহরিত সেই মুহ্যমান ভয়াতুরা ব্যাঙের চ্যাহারা ভেবে আমার যে খুব হাসি পাচ্ছে।
সেটা তো উচিৎ নয়।
byaang | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৩:৪৬ | 122.178.197.246
সিকি, চিন্তা করিস না। তোর মেয়েকে যতই স্কুল ধর্মশিক্ষে দেবার চেষ্টা করুক, হনুমান চালিশা আর রামচরিতমানস পড়িয়ে, তোর মেয়েরও তত বেশি করেই অ্যালার্জি ধরবে। ঠিক যেমন তোর আমার ধরেছিল। ঃ-)
আমাদের স্কুলে কুড়ি পয়সা দিয়ে খ্রীষ্টের জয় বলে একখানা রঙ্চঙে প্রায় কমিকসবুক কিনতাম। তাতে যীশুর ত্যাগের কতই না গল্প পড়েছি। কিন্তু আজ সব ভুলে গেছি। শুধু একটাই গল্প মনে আছে এক টুকরো মাছভাজা আর এক গেলাস আঙুরের রস কীভাবে অসংখ্য মানুষকে খাইয়েছিলেন যীশু। আমি যদি এত হ্যাংলা না হতুম ঐ গল্পটাও মনে থাকত না।
siki | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৩:৪৩ | 123.242.248.130
কুড়ি বোধ হয় গুরুনানকের ভক্ত। অন্য ডোমেন।
I | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৩:৪১ | 14.96.203.116
সিকিপাজি-র।
byaang | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৩:৪০ | 122.178.197.246
ছেলের স্কুলে এক্সট্রা কারিকুলার ভীষণভাবে বিদ্যমান। ছেলে প্রায় প্রতিবছরই বিভিন্ন কারিকুলাম নেয়, কখনো স্কুলের পরে সুইমিং, কখনো ফুটবল, তো কখনো বাস্কেটবল, বেশ গণ্যমান্য কোচরাই এসে শিখিয়ে যায় এবং আজ অব্দি স্কুল তার জন্য একটাও টাকা চায় নি। সত্যি কথা বলতে কী যদি এগুলোর জন্য টাকা চাইতও আমার অতটা খারাপ লাগত না। কিন্তু এই প্রোগ্রামের জন্য এইভাবে চাপ দিয়ে টিকিট বিক্রি করচ্ছেন স্কুলবিধাতা এটা খুব বাড়াবাড়ি লাগছে।
I | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৩:৪০ | 14.96.203.116
আচ্ছা, কাগেমুশা দেখতে দেখতে নাক ঝাড়া কি স্যাক্রিলেজ?
dukhe | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৩:৩৯ | 122.160.114.85
কিন্তু কুড়ি কার ভক্ত ? গণপতিজি না মহাবীরজি ?
I | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৩:৩৭ | 14.96.203.116
আমি এসবের কিচ্ছু করি নাই। শুধু সরস্বতী পূজার দিন কুল খেয়েছিলাম। আর সন্তোষী মা-র দিন ফুচকা। আর কালকেই তো, খিচুড়ির সাথে খেলাম ডিম্ভাজা। আবার তাজ্জন্যে কোনো ব্যাদনাবোধও নাই। আমার ক্ষী হবে?
byaang | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৩:৩৫ | 122.178.197.246
অপ্পন এমন একেকটা আজব কথা বলে! বুঝি না ভদ্রতা করে, নাকি ন্যাকামি!! ব্যাঙ রাগতেই বা যাবে কেন আর দুঃখই বা পেতে যাবে কেন স্কুলের বাড়াবাড়ি বললে!!! ব্যাঙেরও তো বাড়াবাড়িই মনে হচ্ছে, তাই না ব্যাঙ মাথা ঠান্ডা করতে বাংলার কিংকংএর লিং পোস্ট করছে। ব্যাঙ পাত্তা দিতে চায় নি বলেই না চিঠিটা আসা মাত্রই বিনে ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু স্কুল নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছে কীভাবে, সেটা বলে হাল্কা হতেই না ব্যাঙ এত কথা লিখলো!
kiki | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৩:৩৩ | 59.93.201.123
ঝিকি, ঠিক, সর্বধর্মসন্মেলন বা অল ফেদ প্রেয়ার।
আমিও তাই বললাম, অক্সফোর্ডে হতো, মানে জায়গাটা। ঃ)
ডিডিদাদা, আমরাও জঙ্গলের সঙ্কেত, বাঁশি সঙ্কেত আর টরেটক্কা শিখেছিলাম। সেগুলো প্রয়োগ ও হতো তো। আসলে বিপি প্রথমে জুলু বালকদের দিয়ে স্পায়িং করাতেন, পরে যুদ্ধু জিতে ওদের কে মনে রেখে বয়েস স্কাউট শুরু করেন। কম্পাসের ব্যবহার আর এস্টিমেশনের উপর নির্ভর করে রোড ম্যাপ বানানো , এগুলো বোধায় সেসব দিন মনে করে।তবে আমরাও খুব আনন্দ পেতাম। এমনকি সিমলার পাহাড়ে ওঠার সময় আমাদের পেট্রল অনুযায়ী ছেড়ে দেওয়া হয়েছিলো,একেকটা পেট্রলকে বেশ অনেকটা সময়ের গ্যাপে ছাড়া হচ্ছিলো, তখন বোধায় ৮৭ ই হবে, ঝিকির জাম্বুরির কালে,(প্রসঙ্গত আমার ঝুলিতে একটাও জাম্বুরি নেই, ভেউ,একটা ইউথ উইক আর দুটো ন্যাশানাল কম্পিটিশন ছাড়া)আমরা জাঙ্গল সাইন দেখে দেখে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চুড়োয় উঠেছিলুম।
আমাদের স্কুলে আগে এন সি সি ছিল। কপালটা দেখুন। আমি যখন স্কুলে যাই, এক দুপুরে, দেখি এন সি সি আর নেই। তুলে দিয়েছে। কি দুঃখ। অথচ তার কদিন অগে পর্যন্ত খাকি জামা, হাফাপ্যান্ট আর উলের ফুল লাগানো টুপি পরে এন সি সি কেমন কদম কদম বাড়ায়ে যা স্টাইলে প্যারেড করত। আর ঐ বন্দুক। আমার কতদিনের সখ। বন্দুক পিস্তল কিছু একটা নিয়ে ধাঁই ধাঁই করে গুলি চালাবো। সে আর হইল কই। চোখের জল আর বাঁধ মানে না।
siki | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৩:২৮ | 123.242.248.130
তিল,
হেইচপি ভালো জিনিস। কিনে ফেলুন। ডেল জীবনে কিনবেন না।
অপ্পন,
আমার মেয়ের স্কুলে বছরে পঁচিশশো টাকা দিই, এক্সট্রা কারিকুলার শেখার জন্য। হয় সুইমিং নয় হর্স রাইডিং। বাঙালির বাচ্চা, সুইমিংয়েই দিয়েছি।
আমার মেয়ে সেই নার্সারি থেকে আজ ক্লাস ওয়ান, গত তিন বছর ধরে স্প্ল্যাশ পুলে নামে আর জল ছিটিয়ে আসে, আজ পর্যন্ত সাঁতার শেখে নি। তিন বছরে পঁচাত্তরশো টাকা খরচ হয়ে গেল।
আমি সাঁতার শিখেছিলাম সুইমিং ক্লাবে। ঠিক ষোল দিনের মাথায় ভাসতে শিখেছিলাম।
একটু একটু করে উত্তর দেবার চেষ্টা করি। পাই অনেকটাই বলে দিয়েছে। তার ওপর আমার টপিং।
হনুমান গণেশ জগাই মাধাই যাখুশি হোক, ওভারঅল ঠাকুরদেবতা ভজনায় আমার ভয়ানক অ্যালার্জি, ভদ্র ভাষায় বলতে গেলে ভজন পূজন দেখলে আমার ঝাঁট জ্বলে।
কচি করে ব্যাকগ্রাউন্ডটা বলে দিই, ছোট্টবেলা থেকে ভোরবেলার সঙ্গীতাঞ্জলী সুভাষিত ইত্যাদি শুনে ঘুম ভাঙিয়েছি, যতদিন না টিভি এসেছে বাড়িতে। একটা সময় ছিল রবি ঠাকুরের গান ভালো লাগত না, সেটা ভজন পূজনের কারণে নয়, মূলত প্যানপেনে লাগত, খালি মনে হত লোডশেডিংয়ের কবি, আমার জ্বলেনি আলো, দীপ নিভে গেছে মম, এইসব লিখে গেছেন ভদ্রলোক বলে মনে হত। মোদ্দা কথা, রবীন্দ্রসঙ্গীত উপলব্ধি করার মত ম্যাচিওরিটি ছিল না সেই বয়েসে। কিন্তু শোনায় ভাটা পড়ে নি। ইচ্ছের বিরুদ্ধেও শুনে গেছি অনুপ জালোটার ভজন, কীর্তন, যখন যেমন যা পেয়েছি আর কি ...
ভক্তিমার্গের অনেক অনেক গান আছে ভারতীয় সঙ্গীতে, যা সুরের বিচারে কালজয়ী। সেসব আজ আমার বড় প্রিয়। বারে বারে শুনি। কিন্তু গানে যখন সুর, গায়কীর থেকে ভক্তিরসটা প্রধান হয়ে যায়, এবং সেটা বাধ্যতামূলক করা হয়ে যায়, সেইখানটাতে আমার কাছে গানের সুর তাল কেটে যায়।
হনুমান ভজনা গানটা আমার মেয়ে ঘরে বিশেষ গায়ও নি, গাইলে তো আগেই শুনতে পেতাম। গানটা গান হিসেবেও একেবারে উৎকৃষ্ট কিছু নয়, নিকৃষ্টের থেকেও নিকৃষ্টতর। গান শিখিয়ে দর্শকদের এন্টারটেইন করার কোনও ভাবই স্কুলের তরফে প্রকাশ পাচ্ছে বলে আমার মনে হয় না, মূলত বাচ্চাদের সেন্টি খাইয়ে ভক্তিরসের বন্যা বওয়ানোটাই উদ্দেশ্য বলে আমার মনে হচ্ছে।
বাকি কিছুটা দেশজ কালচার তো আছেই। বাঙালিদের কাছে হনুমান একটা গালিবিশেষ, উত্তরভারতীয়দের কাছে তিনি একজন ভগবানবিশেষ। সেটা কাজ করেছে কিনা বলতে পারব না, তবে ঐ যে বললাম, হনুমানের বদলে শেরাওয়ালি বা হজরত মহম্মদ বা যীশুঠাকুর হলেও আমার একইভাবে জ্বলত। গানের সুর তাল ইত্যাদির চেয়েও স্কুলশিক্ষার মাধ্যমে এই যে ঈশ্বরবিশ্বাস ধর্মবিশ্বাস ইত্যাদির মিক্সচার চাইল্ড সাইকোলজির মাধ্যমে গুলে খাইয়ে দেওয়া হচ্ছে, এইটাতেই আমার ভয়ানক আপত্তি। ধর্মবিশ্বাস ঈশ্বরবিশ্বাস ইত্যাদি ব্যাপার যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার বলেই আমি মনে করি। স্কুল এইসব বিশ্বাস জাগানোর কাজ কেন করতে যাবে সেইটা আমার মাথায় ঢোকে না। যাতে কোনও মানসিক উন্নতি নেই, কেবল কিছু অন্ধ কুসংস্কার গেড়ে বসে, সেইগুলোকে "ইন্ডিয়ান কালচার'এর নাম করে স্কুলে শেখানো হয়। নর্থ ইন্ডিয়ার বেশির ভাগ স্কুলেই। বাচ্চাদের নিয়ে প্রোগ্রাম মানেই গণেশবন্দনা, সরস্বতীবন্দনা ইত্যাদি শেখানো হয়।
আমরা কি ছোটবেলায় স্কুলে সরস্বতীপুজো করি নি? করেছি। কিন্তু আমাদের বাঙালিদের পুজোর কনসেপ্ট উত্তরভারতীয়দের ভক্তিরসের কনসেপ্টের সঙ্গে মেলে না। এদের ভক্তি একেবারে শর্তহীন আত্মসমর্পণ। বাঙালিদের পুজোয় ভক্তি পনেরো পার্সেন্ট, মজা পঁচাশি। ভক্তিটাকে কাটিয়ে দিলেও পুজোর অনুষ্ঠানে ভাগ নিতে কারুর তেমন অসুবিধে হয় না। কিন্তু এখানে ভক্তি মাস্ট। অবশ্যকর্তব্য। এই ব্রেনওয়াশিংয়ে এখন এমন অবস্থা হয়েছে, আমার মেয়ে "গণেশ' শুনলে উত্তাল খচে যায়, তার দাবিমত "গণেশজি' বা "গণপতিজি' না বলা পর্যন্ত সে শান্ত হয় না। বাঙালির ঈশ্বরবিশ্বাসে ঠাকুরদেবতাদের নিয়ে অনেক চুটকি চালু আছে। উত্তর ভারতের বেল্টে বসে সেসব ভাবাও যায় না।
ppn | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৩:২৩ | 216.52.215.232
দুখের বক্তব্যের সাথেও মোটামুটি একমত। তবে ওই আর কি বাচ্চা আনন্দ করে গাইছে কিছু বলি না। যদিও প্রচণ্ড বোর হই। তবে মনে হয় বড় হলে বাচ্চার জ্ঞানচক্ষু খুলবে আর নিজেই ভালোমন্দ বুঝতে শিখবে। আর না শিখলেই বা কী গেল এল।
lcm | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৩:২০ | 69.236.187.211
এনসিসি করতে ইয়া দামড়া বন্দুক নিয়ে গুলি ছুঁড়েছিলাম, ঘাসের ওপর উপুর হয়ে শুয়ে, মাছির মধ্যে দিয়ে টার্গেট, হাত কাঁপে বন্দুকের ভারে... কোথায় গেছিল সে গুলি মনে নেই, সামনের দিকেই হবে নিশ্চয়ই।
ppn | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৩:১৯ | 216.52.215.232
ভয়ংকর সোসন চলছে। ব্যাঙের পোস্ট এতক্ষণে পড়লাম। ব্যাঙ রেগে যাবে বা দুক্কু পাবে কিনা জানি না তবু বলি যে এইটা ওই স্কুলের বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে। আমাদের মেয়ের স্কুলে চিঠি পাঠিয়েছিল যে মেয়ের জন্য ১৬০০ টাকা পাঠাতে কারণ মহেশ ভূপতি অ্যাকাদেমি থেকে নাকি বাচ্চাদের টেনিস শেখাবে। আমরা পাত্তা দিইনি। তাতে কিছু ক্ষতিবৃদ্ধি হয়নি। কারণ লেখাই ছিল এইটা পুরোপুরি অপশনাল।
ডিঃ
১। ১৬০০ টাকা এক বছরের জন্য। ২। এইটা মন্টেসরি লেভেলের অভিজ্ঞতা। প্রাইমারি লেভেলে কী হয় জানি না।
kumu | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৩:১৭ | 122.160.159.184
সেই এন সি সির ড্রেস,সক্কাল-প্যারেড,মুক্তির স্বাদ।
যে দিন গেছে---ইত্যাদি।
til | ১১ আগস্ট ২০১১ ১৩:০১ | 165.12.252.211
একখান Dell ডেস্কটপ কিনেছিলাম এপ্রিলে। প্রথম থেকেই ঝামেলা, এটা না সেটা লেগেই ছিল। কাস্টোমার সার্ভিস ফোনই ধরে না! কতবার যে সার্ভিস করতে এল। শেষে ওদের এক মালয়েশিয়ান কল সেন্টার টাকা ফেরৎ দিতে রাজী হল। রেফ নম্বর টম্বর দিল। তাকা আসেই না। ইন্ডিয়াতে ফাইনন্স নাকি! আবার ফলো আপ। সিডনীর Dell এর বড়কর্তা মানতেই চায় না। গুচ্ছের ইমেল চালাচালি। শেষে সরকারী ফেয়ার ট্রেডিং অথরিটিতে দাম + কম্পেন্সেশান চেয়ে আর্জি করি। গত কাল দাম ফেরৎ পেলাম। কম্পেন্সেশান নিয়ে আর ট্রাইবুনালে দৌড়োলাম না। এবার জনগণ বলুন কিং কর্তব্য? HP কেমন মাল? নাকি অন্য কিছু?
কিকি, তুমি যেটাকে oxford বলছ, আমি সেটাকে All faith Prayer বলে জানি। তাএ জুতো, চামড়ার বেল্ট ইত্যাদি ছাড়া ভোর ৫টার সময় যেতে হত। গানগুলো এখন ও আমর কানে বাজে, গুরুবন্দনা দিয়ে অনুষ্ঠানটা শুরু হত।
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন