এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • Jhiki | ১১ আগস্ট ২০১১ ১২:০৮ | 182.253.0.98
  • বাঃ, বেশ মনের মত আলোচনা!

    আমি ৬ বছর বয়স থেকে ১৮ বছর অবধি টানা বর্ধমান বিবেকানন্দ স্কাউট গ্রুপ ও নিবেদিতা গাইড গ্রুপে যুক্ত ছিলাম। পরেও ছিলাম তবে আংশিক (কারণ BE College এ হোস্টেলবাস)। আমাদের টা ওপেন গ্রুপ ছিল, যেটা Eastern Railway র অধীন, মানে National Camp বা Jamboree তে আমরা রেল দল। তবে আমার ঝুলি তে একটাই Jamboree আছে, ৮৭ তে হায়দ্রবাদে Asia Pasific Jamboree
  • kc | ১১ আগস্ট ২০১১ ১২:০১ | 194.126.37.78
  • দুখের 10:42 AM র পোস্টটা সুপার লাইকিয়ে গেলাম।
  • dd | ১১ আগস্ট ২০১১ ১১:৪৬ | 124.247.203.12
  • আমি স্কাউটে ছিলাম, এন সি সি তেও। ওটা কম্পালসারী ছিলো।
    স্কাউটে তো বেশ মজার ছিলো circa 1960-62 AD। সিক্রেট কোড, নানান রকম দড়ির ফাঁস এই রকম আরো কি সব শিখেছিলাম।

    সিকির মতম বয়সে ধর্মগীতি শুনলে আমিও উৎখিঁচিয়ে উঠতাম। জাত গ্যালো জাত গ্যালো ভাব। এখন কেমন মিয়িয়ে গেছি।
  • kiki | ১১ আগস্ট ২০১১ ১১:৩১ | 59.93.201.123
  • শিবুদাআআআআআআ.............. উফ!

    তবে আমি এখন সোনার হরিন চাই শুনলেই লুঙ্গী ফেলে শুনতে পাই ক্ষী করে যেনঃ((
  • kum u | ১১ আগস্ট ২০১১ ১১:৩১ | 122.160.159.184
  • আমি এন সি সি তে ছিলাম,ফার্স্ট এড ইঃ শিখেছিলাম।
  • kiki | ১১ আগস্ট ২০১১ ১১:২১ | 59.93.201.123
  • ইসে ব্যায়লার অক্সফোর্ড
  • kiki | ১১ আগস্ট ২০১১ ১১:১৯ | 59.93.201.123
  • এইটি করতে হলে একটা গ্রুপে ঢুকে পরতে হবে।সেটা ওপেন গ্রুপে ও হতে পারে আবার স্কুলে ও থাকে,এনসিসির মতন।

    ওপেন গ্রুপে আমাদের কালে মাইনে ছেলো একটাকা।বেসিকালি ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো পাব্লিকেরা এই গ্রুপগুলো চালায়।আদর্শে ভরপুর মানুষজন। আমাদের যেমতি ছিলেন যুগোল দা। সারাজীবন বিয়েই করলেন না। আর নিজের টিচারির মাইনে দিয়ে অন্যের ছেলেপুলে মানুষ করে গেলেন।

    প্রচুর ক্যাম্প, কম্পিটিশন হয়।ন্যাশানাল, এমনকি ইন্টারন্যাশানাল ও।কম পয়সায় প্রচুর ঘোরাঘুরি হবে।আর অনেক কিছু জানতে পারবে, মানে অন্যের কালচার ইত্যাদি। যদি জানতে চাও।

    সমাজ কল্যানমুলক বিস্তর কাজ কম্ম থাকে।

    আর খুব ইন্টারেষ্টিং কিছু জিনিস শেখানো হয়, যেমন, নট, যেখানে যেমন সেখানে তেমন থাকার জন্য নানান গ্যাজেট বানানো,কুকিং, হাইকিং, সাথে রোড ম্যাপ বানানো, ফার্স্ট এইড,তাঁবু টাঙানো,রেস্কিউয়িং,ইত্যাদি।

    আমাদের মুলমন্ত্রই হলো সর্বদা প্রস্তুত থাকা।

    তবে স্কাউট এবং গাইড রা যে প্রতিজ্ঞ গুলো নেয়, তাতে প্রতিদিন একটা করে ভালো কাজ করবোর সাথে ধর্ম বিশ্বাস কেসটাও থাকে বোধহয়। তবে ধর্মান্ধতাটা থাকেনা বরং সর্বধর্মসন্মেলন ধরনের অনুষ্ঠান গুলো সহিষ্ণু হতে শেখায়।

    আমাদের যেমন হতো অক্সফোর্ডে।খুব সকালে স্নান করে একটা বিরাট হলে সবাই লাইন করে(ও হ্যাঁ ডিসিপ্লিন মাস্ট, সর্ব ক্ষেত্রে)গিয়ে বসতাম।ধুপ জ্বলতো।খুব শান্ত একটা পরিবেশ হতো। আর নানান ধর্মের কথা বলা হত।
  • byaang | ১১ আগস্ট ২০১১ ১১:১৪ | 122.178.197.246
  • আমার দুঃখু নিয়ে ধাঁধাঁহেঁয়ালি করলে ভালো হবে না বলে দিচ্ছি নেতাই।
  • Netai | ১১ আগস্ট ২০১১ ১১:১১ | 121.241.98.225
  • ব্যাংদির প্রবলেম সলভ করতে আউট অব বক্স থিংকিং লাগব। ধাঁধাঁর টইতে ফেলে দেখতে পারো।
  • byaang | ১১ আগস্ট ২০১১ ১১:০২ | 122.178.197.246
  • আমার এই স্কাউট গাইডের ব্যাপারে প্রভূত জ্ঞানের প্রয়োজন। ঝিকি আর কিকি একটু আলো দেখাও প্লিজ?
    এইটি করলে কী কী করতে হয়?
    এবং তাতে কী কী সুবিধে হয় আর অসুবিধেই বা কী কী হয়?
  • Sibu | ১১ আগস্ট ২০১১ ১১:০১ | 71.103.149.170
  • jhiki kiki-র আগে না?
  • kiki | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:৫৭ | 59.93.201.123
  • আমার পর ঝিকিকে দেখলুম, যে কিনা স্কাউট গাইড এর দলে ছেলো।

    অ ঝিকি, তুমি ম্যাটাডোর এ বেডিং বোঝার এর উপর চেপে ক্যাম্পে গ্যাছো?

    আহা! দিনগুলি মোর, ইত্যাদি।
  • dukhe | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:৫১ | 122.160.114.85
  • আমাদের সময় সরকারি ইস্কুলের মাইনে ছিল বছরে বারো টাকা । এখনও বোধহয় তাই ।
  • lcm | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:৪৬ | 69.236.187.211
  • এক পয়সা না স্কুলে! ট্যাক্সো দিচ্ছি তো, ঐ যথেষ্ট।
  • byaang | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:৪৪ | 122.178.197.246
  • দুখের ১০ঃ৪২য়ের পোস্টটাকে লাইকিয়ে গেলাম।
  • Sibu | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:৪২ | 71.103.149.170
  • ব্যাঙের হাসির বাঁধ ভেঙেছে ...
  • dukhe | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:৪২ | 122.160.114.85
  • পাই, কার কোন গান ভালো লাগবে তো বলা মুশকিল । আমার যেমন মনে হয় মিশনের দৌলতে এমন গানের এবং স্তোত্র ইত্যাদির জগতে এক্সপোজার পেয়েছি, যেটা বাইরে থাকলে হতই না । তার মধ্যে কিছু গান খুব ভালো লেগেছে, কিছু বাতিল করে দিয়েছি - এ তো হয়ই ।
    ইস্কুলের অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে কিছুটা রেজিমেন্টেশন তো থাকবেই । অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসঙ্গীত হলেও আমার মনে হতে পারে জোর করে এই প্যানপ্যানানি না শেখালে কী ক্ষতি হয় ? কারো আবার গণসঙ্গীতে অ্যালার্জি থাকতে পারে । সেটা তো শেষমেষ রুচির প্রশ্ন ।
    আমার যদি মনে হয় জনগণমন গানটা খুবই বাজে, ঐটা না শিখে ঐ সময় অন্য কিছু শিখলে হত, ইস্কুল/ক্লাব দেবে ?
    জীবনে তো আমরা অনেক অপছন্দের কাজই করতে বাধ্য হই, পবনপুত একা পাপের ভাগী হবেন কেন ?

    হাঁপিয়ে গেলাম ! :)
  • byaang | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:৩৮ | 122.178.197.246
  • শিবুদা ঃ-))
  • byaang | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:৩৮ | 122.178.197.246
  • ঝিকির পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো।
  • Sibu | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:৩৭ | 71.103.149.170
  • তব্বে তো সস্যার সমাধান হয়েই গেল। টিকেটের দামের অর্ধেক দামে চয় জনকে লটারীর টিকিট বিক্কিরি কর। যে তিনজন জিতবে তাদের কাচ থেকে তিনটে টিকিট কিনে নে।
  • pi | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:৩২ | 72.83.100.43
  • জগন্ময় মিত্রের চিঠি কি নানা ভাষার গান শেখা নিয়ে আমার কোন বক্তব্য ই নাই। আপত্তি তো নাই ই।

    খালি হনুমানবন্দনা কি যীশুভজনা না শিখলে কোন একটা দিক বন্ধ করে দেওয়া হল, এটাও মনে হয় না।
  • pi | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:২৯ | 72.83.100.43
  • আরে দুখেদা আমাদের রামকৃষ্ণ মিশনের ইস্কুলে হেন দেব দেবী বন্দনা আর স্তোত্র মন্ত্র ছিল না , যা আমাদের শিখতে হয়নি।

    কীর্তন, ভজন আমি আলাদা গান হিসেবেই শিখেছি আর ওগুলো গাইতে খুব ভালো ও বাসি। এই 'গান' গুলো না শিখলে হয়ত দুঃখ থাকতো।

    কিন্তু ঐ বাধ্যতামূলক 'ধর্মীয় ভজনা' গুলো না শিখলেও কিছু এসে যেত বলে আজ মনে হয় না। ঐ সময়ে অন্য কিছু শিখলে আরো ভাল হত, বরং সেইটি মনে হয়।
  • byaang | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:২৯ | 122.178.197.246
  • শিবুদা, আসল সমস্যাটাই বুঝলো না। আমাকে এবং ছেলেকে এখনো অব্দি সব মিলিয়ে ছয়জন টিচার প্রস্তাব করেছেন তাদের থেকে কেনার জন্য। এবং সবারই দাবী, কিনলে শুধু তাঁর থেকেই কিনতে হবে, অন্য কারুর থেকে কেনা যাবে না। এবার যদি সবাইকে খুশি রাখতে একটি করে টিকিট কিনতে হয় সবার থেকে তাহলেও ৬টি টিকিট। এদিকে আমরা তিনজন! ঃ-(
  • Sibu | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:২৩ | 71.103.149.170
  • ব্যাং একটি আধুলি দিয়ে বলুক আমার পক্ষে এই ঢের। টিকিট দিলে দিন না দিলে নেই।
  • Jhiki | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:২৩ | 182.253.0.98
  • বাপরে ব্যাঙ, এখানে এইসব কোন চাপ নেই, স্কুলের annual function এর জন্য $৫৫ মত নেয়, তাতে দুজনের টিকিট, চেলের পোষাক, স্ন্যাক সবকিছু। আর স্কুল ফী ছাড়া (যেটা মাসে $৩৫০) আর কোন টাকা দিতে হয় না। এখানে পড়ালে International School এই পড়াতে হবে, আর তার ফী এর রেন্‌জ এইরকরম ই, তাই এটা আলাদা কোন চাপ নয়।

    পাই, আমি ছোটবেলাই মায়ের প্রিয় জগন্ময় মিত্রের 'চিঠি' etc. শুনতে শুনতে বড় হয়েছি, এখন ভুলেও ঐসব গান শুনি না, এছাড়া ১২ বছর bharat Scouts and Guides এ থেকে আর গুচ্ছের national camp করে কত ভাষার কত গান যে শুনেছি বা গেয়েছি তার হয়ত ভগ্নাংশ মনে আছে। কাজেই কোন দ্বার বন্ধ না রাখাই আমি উচিত মনে করি, এবং করবও।

    পুনশ্চঃ আমি খুব মন দিয়ে খালি হিন্দি ফিলিমের গান শুনি, 'আয়েগা আনেওয়ালা' থেকে 'শীলা কি.......'
  • pi | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:২২ | 72.83.100.43
  • মানে হলভাড়াও লাগবে না। দারুণ ব্যবসা তো !
  • dukhe | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:২১ | 122.160.114.85
  • পাই, আগমনী কীর্তন হনুমানবন্দনা - এসব কেউ কেউ শেখে, তবে না শিখলে ক্ষতি নাই ।
    আগে কার্তিকমাসে আমাদের পাড়ায় ভোরে একজন কীর্তন গেয়ে ঘুরতেন । তিনি আর নেই । রীতিটি উঠে গেছে । এই তো ব্যাপার ।
  • byaang | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:১৮ | 122.178.197.246
  • হ্যাঁ, স্কুল অডিটোরিয়ামে। একজন টিচার তো প্রায় বিড়বিড় করেই বলে ফেললেন - আমাদের উপর টিকিট বিক্রির জন্য কী ভীষণ চাপ দেওয়া হচ্ছে, আপনারা ভাবতে পারবেন না! ওনাদের নাকি কীসব ক্রেডিট পয়েন্টের সিস্টেম করা হয়েছে।
  • byaang | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:১৬ | 122.178.197.246
  • * ছেলের বাবা
  • pi | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:১৬ | 72.83.100.43
  • টীচারদের কি ইস্কুলবিধাতা টিকিট বিক্রির কোটা ধরিয়ে দিয়েছেন, নাকি তারা কমিশন পাচ্ছেন ? হবে কোথায় ? স্কুলের হলেই ?
  • byaang | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:১৫ | 122.178.197.246
  • এদিকে ছেলের বাবাও কঠিন থ্রেট দিয়ে রেখেছে - যদি আমি চাপে পড়ে টিকিট কেটেই ফেলি, তাহলে ছেলে বাবা পরের দিন স্কুলে গিয়ে সর্বেসর্বার সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে, দেখা করে তার সামনে দাঁড়িয়ে টিকিটগুলো ছিঁড়ে ফেলে আসবে।
  • pi | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:১৩ | 72.83.100.43
  • তার জন্য আরো আগের পোস্ট পড়তে হবে ঃ)
  • dukhe | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:১৩ | 122.160.114.85
  • পাই যে কী বলেন ! এরপর শুনব - বানরেরা পড়ছে, তাতেও দুঃখ পাওয়া যাবে না !
  • pi | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:১২ | 72.83.100.43
  • যাইহোক, এটা আমারো প্রশ্ন। এগুলো ইস্কুল ?

    সেই নাইকের জুতো না পরার জন্য শাস্তি, ক্লাস টিচারদের প্রায় বাধ্যতামূলক খাওয়ানো, গিফ্‌ট দেওয়া, তারপর এই ব্যবসা !!
  • byaang | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:১২ | 122.178.197.246
  • পাইয়ের পোস্টের মর্মার্থ বুঝলাম না
  • byaang | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:১১ | 122.178.197.246
  • দুখে, ঃ-))।
    আমিও কাল ছেলেকে প্রায় এক কথাই বললাম - তোদের টিচারদের বলিস আমার মা বলেছে অরিজিনাল বিটলস, অরিজিনাল পিট সিগার, অরিজিনাল জ্যাকসন, অরিজিনল ডেনভার সবার গানের রেকর্ডিং স্কুল অডিটোরিয়ামে দেখাবে, আমার মাকে এক পয়সাও দিতে হবে না।
  • pi | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:১০ | 72.83.100.43
  • ধুর! দুঃখ পাও ক্যানো ? কাটলেই বা কী এল গেল ! ঃ)
  • dukhe | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:০৭ | 122.160.114.85
  • সাব্বাশ ! ব্যাং একটা পালটা কার্ড ছাপান - আমার ছেলে গান গাইবে । পিট সিগার ডেনভার থেকে হনুমান চালিশা - স-অ-ব । সুবর্ণসুযোগের দাম দশ হাজার টাকা । ক্লাসটিচার, গেমস টিচার সবাইকে মিষ্টি হেসে ধরিয়ে দিন ।
    এগুলো ইস্কুল ?
  • byaang | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:০৩ | 122.178.197.246
  • হুঁ। আমিও গত হপ্তা থেকে বিতিকিচ্ছিরি মেজাজে আছি। পামিতা, সিকি,অপ্পনের দুঃখু দেখে নিজেরটাও না প্রকাশ করে থাকতে পারলাম না।
    দিন দশেক আগে স্কুল থেকে ছাপানো চিঠি এল - স্কুলে নাকি এক ইন্টারন্যাশনাল গানের দল আসবে প্রোগ্রাম করতে, সেই অসাধারণ ব্যান্ড নাকি প্রিসলে, লেনন, বিটলস, মাইকেল জ্যাকসন, পিট সিগার, জন ডেনভার সবই গাইবে। গানের দলের নাম টোকাট্টা। আর সেই গানের দলের পরে আরো এক দেশি গানের দল তাদের গানের সুরের মুর্চ্ছনায় মাতিয়ে রাখবে শ্রোতাদের। অভিভাবকেরা নিশ্চয়ই এমন সুবর্ণসুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবেন না, স্কুলের অডিটোরিয়ামে বসে আন্তর্জাতিক গানের দলের গান শোনার। টিকিটের দাম যথাক্রমে দুইহাজার, পাঁচশো আর তিনশো। চিঠির নীচে স্কুলবিধাতার সই।
    আমি কিছু বাছা বাছা মন্তব্য করে সেই চিঠি দিয়েছি ফেলে। প্রোগ্রামের দিনক্ষণও গেছি ভুলে।
    পরশুদিন ছেলেদের ক্লাস গেছিল পিকনিকে। তো তাকে আনতে স্কুলে গেছি আমরা সব বাবা-মারা। গিয়ে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই এক শিক্ষক এলেন - ম্যাডাম, প্লিজ প্রোগ্রামের টিকিট কিনবেন আমার থেকে? এত সঙ্কোচের সঙ্গে কথাটা বললেন যে আমারই খারাপ লাগছিল ওনাকে না বলতে। তবুও যাই হোক বললাম - আজকে তো আমার সঙ্গে অত টাকা নেই। আমি খুবই দুঃখিত।

    কিছুক্ষণ বাদে দেখি ছেলের এক বন্ধুর মা পাগলের মত দৌড়াতে দৌড়াতে ছুটেছে কিন্ডারগার্টেন ব্লকের দিকে। আরো কিছুক্ষণ বাদে সে বেরিয়ে এল, কোনোদিকে না তাকিয়ে আবার দ্রুতপদে সে হেঁটে চলেছে। ডেকে থামালাম - কী রে নেহা আমাকে দেখতে পাস নি! এমন অবস্থা কেন রে তোর?
    আর বলিস না। আমার ছোটটার ক্লাসটিচার ছোটটাকে দিয়ে বলে পাঠিয়েছে- তোমার বাড়ি তো কাছেই, এক্ষুনি বল আমার সঙ্গে এসে দেখা করতে। আমি খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম রে যে না জানি কী করেছে! কোনোভাবে চোট পায় নি তো। এসে শুনি প্রোগ্রামের টিকিট কাটার জন্য এইভাবে ডেকে পাঠিয়েছে। আমি আর এক মুহুর্তও দাঁড়াতে পারব না রে। এরপর বড়টার টিচারও যদি ওনার থেকেও কাটতে বলেন, তাহলে আমি গেছি।
    সে পালাল। এদিকে আমাকে ততক্ষণে ডেকে থামিয়ে দিয়েছেন হাতের কাজের শিক্ষিকা। তিনিও এসে খুবই বিব্রতভাবে বললেন - আমি সবাইকে অ্যাপ্রোচ করতে পারছি না। তোমাকে চিনি, তাই তোমাকেই বলছি প্লিজ আমার থেকে টিকিট নাও। আজ যদি সঙ্গে টাকা নেই, তাহলে ছেলেকে বলে রাখ, কাল যেন ও টাকা নিয়ে এসে শুধু আমার থেকেই টিকিট নেয়, আর কোনো টিচারের থেকে না নেয়।
    ততক্ষণে মায়েদের নেটওয়ার্ক ভিতরের খবর বার করে ফেলেছে এই প্রোগ্রামের হোতা স্কুলবিধাতার কন্যা। তিনিই এই বিদেশি দলকে আনছেন এবং যে দেশি দলটিরও সঙ্গীত পরিবেশনের কথা, সেটি সেই কন্যারই গানের দল। সেই মুহুর্তেই সিদ্ধান্ত নিলাম - কিছুতেই এই টিকিট কিনবো না, কোনো চ্যারিটি শো বা স্কুল ফান্ডের টাকা তোলার ব্যাপার হলে অন্য কথা ছিল। কিন্তু এটা জানার পরে আর কিছুতেই নয়।
    এরপর একে একে আরো দুইজন টিচার একই অনুরোধ করলেন, তার মধ্যে একজন জুনিয়র স্কুলের সর্বেসর্বা।
    ইতিমধ্যে ছেলে এসে জানালো - ক্লাসটিচারও বলেছেন টিকিট কেনা কমপাল্‌সারি। আর কিনলে ক্লাসটিচারের থেকেই কিনতে হবে। কিন্তু গেমসটিচারও বলে রেখেছেন কিনলে গেমসটিচারের থেকেই কিনতে হবে। এর সঙ্গে ছেলের মনে ভয় - গেমসটিচারের থেকে না কিনলে আর কখনো স্কুলে ব্যাটিং বা বোলিংএর চান্স পাওয়া যাবে ন।
    আমি কালকেও টাকা পাঠাই নি। কাল ছেলে এবং ছেলের বন্ধুরা সবাইই বললো প্রায় প্রত্যেক ক্লাসটিচারই নিজের নিজের ছাত্রদের বলেছেন - আজকে টাকা আনতেই হবে এবং কিনতেই হবে। তার সঙ্গে এট্টুআধাটু মগজধোলাইয়েরও চেষ্টা হয়েছে জন ডেনভারের গান নিয়ে। ছেলেকে বললুম - তুই বললি না কেন যে তুই এমনিই বাড়িতে ডেনভারের গান শুনিস, কিছু কিছু গানের কথাও জানিস!
    ছেলের উত্তর - তারপর ম্যাম যদি বলতেন যে কেমন গান শোনো দেখি? গেয়ে শোনাও তো? তখন আমি কী করতাম?

    আমার এখন জিদ চেপে গেছে। আজও টাকা পাঠাই নি। ছেলে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে গেছে। করুণ অনুরোধ করে গেছে - আজ তুমি প্লিজ আমাকে নিতে এস। আর সঙ্গে টাকাও রেখ।
  • dukhe | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:০২ | 122.160.114.85
  • উপস! কি নয়, কী । তবে তাতেও কিছু যায় আসে না ।
  • dukhe | ১১ আগস্ট ২০১১ ১০:০১ | 122.160.114.85
  • কোনকিছু না শিখলেই ক্ষতি নাই । এই যে এত খেটেখুটে আফ্রিকার জলবায়ু শিখলাম, তাই বা কোন কাজে লাগল ? আবার কোবল শিখলাম না, তাতেই বা কি এল গেল ?
  • pi | ১১ আগস্ট ২০১১ ০৯:৫৬ | 72.83.100.43
  • কারুর যদি ধর্মের রং, গন্ধে অ্যালার্জি থাকে ?
    আর যীশুবন্দনা কি জয় পবনপুত হনুমান না শিখলে ক্ষতি আছে কোন ? এগুলো না শিখলে কীসের সাথে পরিচিত হওয়া যাবে না?
  • Jhiki | ১১ আগস্ট ২০১১ ০৯:৪৯ | 182.253.0.98
  • সিকি সমস্যাটা কোথায়? 'পবনপুত হনুমান' গানে, না সারাক্ষণ (মানে যতক্ষণ বাড়ীতে থাকেন আর কি) কানের কাছে একই গান শুনে?
    'পবনপুত হনুমান' হলে চাপের কি আছে তা আমার অকাট মগজে ঢুকছে না। আমার ছেলে তো চাইনিজ নিউ ইয়ার এ 'শান তেই তাই' গেয়ে গেয়ে কান ঝালা পালা করে, কিন্তু আমাদের কোন চাপ নেই। ১৭ তারিখে এদের স্বাধীনতা দিবস, তো এখন শুনছি 'ইন্দোনেশিয়া আ আ মারডেকাআআআআ', এটা শেষ হলেই ইদ celebration এর নাচ-গান রিহার্সাল শুরু হবে, তার কাদিন বাদে ক্রিসমাস। এর মাঝে সে দূর্গাপুজোর অনুষ্ঠানের বাংলা নাচ-গানেও অংশ নেবে। এতে তার ও চাপ নেই, আমাদের ও না। এছাড়া সকালে গাড়ীতে সে রোজ গায়ত্রী মন্ত্র, আর 'জয় জগদীশ হরে' শোনে, সেগুলো নিজের মত করে গায় ও।
    সব রং, সব রূপ, সব গন্ধের সাথে শিশুকে পরিচিত করে দেওয়া বাবা মায়ের দায়িত্ব, স্কুলের ও,তাই না? যাতে একটু বড় হলে সে নিজে বুঝতে পারে কোনটা তার ভালো লাগে।
  • I | ১১ আগস্ট ২০১১ ০৯:৪১ | 14.99.81.155
  • আমার সাজানো রেইনি ডে শুকিয়ে গেল!
  • ppn | ১১ আগস্ট ২০১১ ০৯:১২ | 112.133.206.22
  • সেই ট্রাডিশন এইখানেও সমানে চলিতেছে। মেয়ে সারাক্ষণ গান গেয়ে ভয়ঙ্কর বোর করে যায় ঃ

    "টেলিফোন টু জিসাস
    টেলিফোন টু জিসাস
    টেলিফোন টু জিসাস এভ্রিডে

    হ্যালো!'

    ঃ(
  • siki | ১১ আগস্ট ২০১১ ০৯:০২ | 123.242.248.130
  • ১। মুখবই।

    আমি হুলিয়ে মোবাইল থেকে নেট ব্রাউজ করি, ঐ যে স্মার্টফোং না কী বলে। গুরু পড়ি, জিমেল চেকাই, ফেসবুকও খুলি মাঝে মাঝে, তবে ফেসবুকের তেমন ভক্ত নই বলে রোজ খুলি না। কাল গুরুর ডিসকাশন ফলো করি নি বলে ফেসবুকে গিয়ে ভেরিফাই করা হয় নি। আজ বাড়ি গিয়ে দেখব।

    ২। দুঃখের কথা কী বলব পামিতাদি, উত্তরাখণ্ড বা আসামের ড্রেস পরাতে হলে আমি একটুও দুঃখ পেতাম না।

    ভূতোর স্কুলে রেগুলার গানের রিহার্সাল হচ্ছে, চুন চুন কে নাকি ছটা বাচ্চাকে নিয়েছে, তার মধ্যে ভূতো একজন। কবে নাকি ফাংশন হবে। চাপ নিই নি, খবরও নিই নি।

    গেল রোববার ভূতোর দাদু স্কাইপে অনলাইন হয়ে আবদার করেছেন, দিদিভাই, অনেকদিন গান শোনাও নি, একটা গান শোনাও। দিদিভাই এমনিতে বাংলা বা হিন্দি যখন যেমন মনে আসে গান শোনায় দাদুকে, কিন্তু এই রোববার বলল ফাংশানের জন্য যে গানটা শেখাচ্ছে, সেইটা শোনাবে। তারপরে শুরু করল, জয় পবনসূত নন্দন জয় হনুমান। ওদের নাকি হনুমানজীর গান শেখানো হচ্ছে ফাংশানে গাইবার জন্য।

    তার পর থেকেই খুব চাপ খেয়ে আছি। স্কাইপের অন্যপ্রান্তে দাদু কতটা চাপ খেয়েছেন সেটা জানা হয় নি অবশ্য।
  • I | ১১ আগস্ট ২০১১ ০৮:২০ | 14.99.81.155
  • এ কী ! সারারাত ঘুম !
  • SG | ১১ আগস্ট ২০১১ ০১:৫৯ | 128.151.71.18
  • http://www.youtube.com/watch?v=9q-x76J46FQ
    এই লিঙ্ক টি দিলাম। দাড়িবুড়োকে রেহাই দেওয়া নেই আর।অ। :P
  • I | ১১ আগস্ট ২০১১ ০১:০৫ | 14.99.80.176
  • ক্ষি ক্ষান্ড !! ইস্কুলে পড়ানোর এত ল্যাঠা!
  • Paramita | ১১ আগস্ট ২০১১ ০০:৫৩ | 198.95.226.40
  • না না, এবার নাচতে বা নাচ শেখাতে (!) হয় নি। তবে পনেরো তারিখে উত্তরাখন্ডের ভাষায় তিন লাইন মুখস্ত করে আর ওখানকার পোশাক পরিয়ে পাঠাতে বলেছিল। বলে দিয়েছি আসাম বা বেঙ্গল ছাড়া আর কিছু পারবো না। আসামে রাজী হয়েছে। ভাগ্গিস বেড়াতে গিয়ে মেয়েদের জন্য এক পিস করে মেখলা কিনেছিলাম, নইলে আবার পোশাক ভাড়া করতে ছুটতে হোতো।
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত