কিন্তু এখনও পর্যন্ত বড়ো কিছু হয়নি। নন্দীগ্রাম নিয়ে মিছিল যারা অর্গানাইজ করেছিল তারা অনেকেই সরকারি কাজে ব্যস্ত। বাকিরা যারা ল্যালা, তারা এসেমেস করছে, আমরা কি চুপ করে থাকব? কিন্তু ব্যাপারটা এখনও সেই থ্রেশোল্ডে পৌঁছয়নি। দেখা যাক, আমাকেই বোধহয় মাঠে নামতে হবে। ঃ)
siki | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৬:১১ | 123.242.248.130
এই হল সিকির "ছোট' লেখার নমুনা। মালটা আর বড় হল না।
কলকাতা দেখিয়েছে কাল। হিন্দিতে ভ্রষ্টাচার হটাও টাইপের কী একটা লেখা কুশপুতুল পোড়াচ্ছিল। তবে লার্জ স্কেলে কিছু হয় নি। কেন্দ্রে এখন বন্ধু সরকার না?
আর সিপিএম যখন ক্ষমতায় থাকে না, তখন সিপিএমের মিছিল বের করারও ক্ষমতা থাকে না। ঃ)
kumu | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৬:১১ | 122.160.159.184
হ্যাঁ,ঠিক,সিকি বার্টার যায় না।
siki | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৬:০৯ | 123.242.248.130
ঝিকি অনেকগুলো প্রশ্ন করে ফেললেন। তার মধ্যে আবার কিছু অস্বস্তিকর।
আমি কেন যাই নি। না, এক কথায় এর উত্তর হয় না। অনেক বড় উত্তর।
ছোট করে বলতে গেলে, আন্নার স্টান্স আমি সমর্থন করি না। জনলোকপাল হয়ে লোকপালের থেকে বাড়তি কী বিশেষ উপকার হবে সেটা আমার মাথায় এখনও ঢোকে নি। দিনের শেষে সেই আমাকে পাসপোর্ট বের করতে গিয়ে পুলিশকে টাকা দিতে হবে, রিজার্ভেশন কাউন্টারে লাইন রাখতে গিয়ে দালালকে পয়সা দিতে হবে। মন্ত্রীরা আবার কোনও উপায় বের করে নেবে পয়সা খাবার। শীলা দীক্ষিতের কোনও শাস্তিই হবে না কংগ্রেস করার দৌলতে, কিন্তু ইয়েদিউরাপ্পার গদি চলে যাবে কারণ সে বিজেপি করে, যদিও দিল্লি আর কর্ণাটক দুই রাজ্যেই লোকায়ুক্ত বহাল তবিয়তে বর্তমান।
দিন বদলাবে না। লোকপালই হোক বা জনলোকপাল। কিন্তু এই আন্না হাজারে লোকটা হয় তো আমার থেকে বেশি বোঝে এ-সব নিয়ে। বেশি বোঝেন কিরণ বেদি, কেজরিওয়াল, প্রশান্ত ভূষণ এইসব লোকেরা। তো, সে তার মতন করে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবার জন্য আমরণ অনশনের রাস্তা বেছে নিতে গিয়েছিল।
এই পর্যন্ত আমি ইনডিফারেন্ট। তার নিজের মামলা। আমার কী? কিন্তু ব্যাপারটা ঘুরে যায় তারপর থেকেই। সংবিধানের বিশেষ একটি ধারা অনুযায়ী যখন এদের গ্রেফতার করা হয়, এবং জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এটা সরাসরি গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ। জন্তর মন্তরে প্রতিদিন সারা ভারত থেকে আসা বিভিন্ন সংগঠন ছোট ছোট ম্যারাপ বেঁধে অনশন ধর্না ইত্যাদি করে, করতেই থাকে, কেবল আন্নাকে কেন আটকানো হল সেই ব্যাপারটাতে আমাদের ইনভলভমেন্ট এসে যায়। আটকানোর দুটো কারণ হতে পারে, এক, সরকারপক্ষের অপরিসীম ঔদ্ধত্য। মুখে বলবে সংসদ সুপ্রীম, তার অপমান করা উচিত নয়, গণতন্ত্র জিন্দাবাদ (যাতে তাদের লুটেপুটে খাবার সুবিধা হয় সংসদ নামক ঢালের আড়ালে বসে), অন্যদিকে দ্যাখ কেমন লাগে, কর শালা কী ছিঁড়বি মনোভাব নিয়ে আন্নার পেছনে ছুঁচোবাজি লেলিয়ে দেওয়া, ঠিক যেভাবে করা হয়েছিল রামদেবের অধিবেশনে। ঘুমন্ত মানুষের ওপরে লাঠি চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছিল।
দুই, সরকার ভয় পেয়েছে। দমনপীড়নের পথ ধরে গণতান্ত্রিক অধিকার ছিনিয়ে নিতে পছন্দ করে যে শাসক, অহিংসার পথকে সে খুব খুব ভয় পায়। আমরা ইতিহাস বইতে পড়েছিলাম, আর আমরা, বিশেষত বাঙালিরা অবিশ্বাস করেছিলাম। ফুঃ, গান্ধিজির অহিংসায় ইংরেজরা পালিয়েছিল নাকি? পালিয়েছিল তো নেতাজির হুড়কো খেয়ে। আজ, দুহাজার এগারো সালে আমরা দেখলাম, হিংসা শেষ কথা নয়। সেদিন দিল্লি পুলিশ লাঠি চালিয়েছিল। রামদেবকে খুলে-আম বলাৎকার করে দিয়েছিল। আহত হয়েছিল অনেক অনেক নিরীহ মানুষ, প্রিয়জনকে চিরতরে হারিয়েছিল অনেক মানুষ। লোকে ভালো মনে নেয় নি সেটা।
দেশের মানুষ একদিনে জাগে না। জাগতে সময় লাগে, কিন্তু যখন জাগে, তখন হয় তো এইভাবেই জাগে। গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রয়োগ ঠিক এইভাবেই করে। সিপিএম যখন গ্রামে গ্রামে সন্ত্রাস চালিয়েছে, মানুষ নিন্দে করেছে পাড়ায় পাড়ায়, খবরের কাগজের পাতায়। তারপরে নন্দীগ্রাম সিঙ্গুরের ঘটনার পরে কলকাতা শহরে সেই বিশাল মিছিল মনে আছে? পুরোপুরি অরাজনৈতিক ছিল সেই মিছিল। সেই সময়ে বাম সরকারের মনোভাব যা ছিল, আজ কেন্দ্রে ইউপিএ সরকারের মনোভাবও ঠিক তাই। কোনও সঠিক বিরোধী পার্টি নেই। বিজেপি ছত্রভঙ্গ অবস্থায়। সহযোগী দল যারা আছে তারা আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। এই অবস্থায় ইউপিএ সরকারের তরফে এইরকম ঔদ্ধত্য আসা খুব খুব স্বাভাবিক। যা করছি বেশ করছি। কর শালা কী ছিঁড়বি।
আমজনতার থেকে বহু বহু দূর পর্যন্ত ডিসকানেক্ট হয়ে গেলে জনতার পাল্স বোঝা যায় না আর। সিপিএম দলও বুঝতে ফেল করেছিল, পতনের তাদের সেই ছিল শুরু। এইবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে ইউপিএ সরকারের ক্ষেত্রে। বিরোধীরা এর সুযোগ নেবেই নেবে। তবে বাংলার বিরোধী দল আর কেন্দ্রের বিরোধী দল এক চরিত্রের নয়, তাই কী হবে সেটা পরেই দেখা যাবে। তবে যা-ই হোক, সরকার যদি এর থেকেও শিক্ষা না নেয়, তবে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেই দেশের মানুষ এর উত্তর দেবে।
দেশের একশো একুশ কোটি মানুষের মধ্যে অন্তত ষাট কোটি মানুষ সরকারের এইসব কাজের নিন্দে করেছে। প্রকাশ্যে বা গোপনে। সব প্রতিবাদ তো রাস্তায় নেমে হয় না। তা হলে ষাট কোটি মানুষ রাস্তায় নামলে ভারত অচল হয়ে জেত। আমরা যারা দৈনন্দিন জীবনে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যুক্ত নই, তারা একটু দূর থেকেই আঁচ নিতে ভালোবাসি। আমি ব্যতিক্রম নই। আমার বৌ কেন্দ্রীয় সরকারি চাকুরে। তার পক্ষেও সরাসরি সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পা মেলানো সম্ভব নয়।
কিন্তু সকলে তো আমার বা আমার বৌয়ের মত ভাবে না। যারা রাস্তায় নেমেছে তাদের অনেকেই হয় তো লোকপাল জনলোকপাল বোঝে না, গণতন্ত্রে মানুষকে কী কী অধিকার দেওয়া হয়েছে সেটা বোঝে না। লোকে মেনলি এন্থু পেয়ে গেছে কারণ আজকের করাপ্টেড নেতায় ভরা সংসদীয় গণতন্ত্রের বাজারে লোকের সামনে সঠিকভাবে ফলো করার মত কোনও নেতা নেই। আন্না সেই ভ্যাকুয়ামটা পূর্ণ করেছেন অনেকের কাছে। গান্ধিজী সারা ভারতে এমনিতেই একটা অইকনিক চরিত্র। তাঁর অহিংসার মর্ম সঠিক উপলব্ধি না করেই "একটা হিরোয়িক মুভমেন্টের শরিক হয়ে থাকতে পারবো' এই মনোভাবও অনেককে ঘর থেকে বের করে নিয়ে গেছে। এদের অনেকেই কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে অহিংসার চর্চা করে না। আমিও করি না। অনেকে গেছে টিভিতে মুখ দেখানো যাবে বলে। অনেকে গেছে টিভি চ্যানেলগুলোর তৈরি করা বিশাল হাইপের মাথায় চড়ে।
এবং সর্বোপরি, যারা গেছে, তাদের সম্ভবত কেউই গুরুচণ্ডালী যাতীয় ফোরামে যাতায়াত করে না। এই ধরণের আন্দোলনের যে একটা পপুলিস্ট ইমেজ থাকে, সেই ইমেজের টানেই গেছে, ইমেজটা ভালো না খারাপ, ইমেজটা তাকে দৈনন্দিন করাপশান থেকে মুক্তি দেবে কি দেবে না ... এইসব আগাপাস্তলা চিন্তা না করেই। ঃ)
হ্যাঁ, আমার পরিচিত লোকজন বেশ কিছু গেছিলেন। তাঁদের এমনিতে কোনও পলিটিকাল ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। নিতান্তই সার্ভিস ক্লাস, আমার মতন। কীসের টানে গেছিলেন জানা নেই। তবে পরশু রাতে আমাদের সোসাইটির লিফটগুলোর সামনে নোটিস পড়েছিল কাল র্যালি বেরোবে, যারা যারা ইচ্ছুক বেলা পৌনে তিনটে নাগাদ বেরিয়ে পোড়ো। সেই মত যারা যারা পেরেছেন তারা তারা বেরিয়ে পড়েছেন। অনেকেই হয় তো রাতের কলসেন্টারে চাকরি করেন, বিকেল বেলা ফাঁকা ছিল, চলে গেছেন, অনেকেই হাউসওয়াইফ ছিলেন। কজন এক্স্যাক্টলি চাকরি আপিস কামাই করে র্যালিতে গেছিলেন, আমার জানা নেই।
মিডিয়ার হাত থাকতে পারে, লোকের জীবনের নেতাহীনতার অনন্ত ভ্যাকুয়ামে একজন গান্ধি-লাইক নেতার অবির্ভাব এর কারণ হতে পারে, লোকপাল হোক বা জোকপাল, ইউপিএ-র বাছা বাছা শুয়োরের বাচ্ছাগুলোর বিরুদ্ধে বহুদিনের পুষে রাখা রাগ উগরে দেবার জন্য হতে পারে, অন্য যে কোনও কারণ হতে পারে। কিন্তু গত দুদিনের এই বড় জনসমাবেশের পেছনে, আর যাই হোক, সিয়ার হাত নেই। কাল যিনি বললেন কথাটা, তাঁকে আমার গৌতম দেব বলে ডাকতে ইচ্ছে করছে। অপদার্থতার কোন লেভেলে পৌ১ন্ছলে লোকে এইসব অ্যালিগেশন নামাতে পারে, সেটা ভেবেই হাসি পাচ্ছে।
sayan | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৫:৫৩ | 160.83.97.83
সিকি "বার'গামী নয়।
Jhiki | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৫:৪৬ | 182.253.0.98
বারবার বার খেলে 'বারে'র উদ্দেশ্যেও বার হতে পারেঃ)
de | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৫:৩৭ | 203.197.30.2
সিকি কি আন্নার ধর্ণায় চলে গ্যালো? ঝিকির বার খেয়ে? :))
Jhiki | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৫:০৪ | 182.253.0.98
সেতো কালকে সংসদে 'ভ্রষ্টাচার কে বিরোধ মেঁ' লালু-ও লম্বা বক্তৃতা দিলো! এসব কি গায়ে মাখতে হয়!!
sayan | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৫:০১ | 160.83.97.83
এদিকে বরখাস্ত হওয়া মুখ্যমন্ত্রী ইয়েড্ডিইয়ুরাপ্পা ঘ্যানঘ্যান করছেন আন্না'র সমর্থনে তিনিও অনশন করবেন। তাও রেড্ডি-ভাইয়েদের সঙ্গে তাঁর আঁতাত জানাজানি হওয়ার পর! কী হাসাহাসিটাই না হচ্ছে ঃ-)
Jhiki | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৪:৫৭ | 182.253.0.98
'সাহারা সময়' এ কলকাতাও দেখাল তো! সব প্লাকার্ড ইংরেজী, হিন্দি তে লেখা, স্লোগান ও তাই!!
dukhe | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৪:৫০ | 122.160.114.85
অণ্না অনশন করবেন বলে গ্রেপ্তার হলেন আর সুশান্তবাবু গ্রেপ্তার হয়ে অনশন জুড়লেন !
ছাত্র ছাত্রীরা তো যাবেই কুমুদিদি, ঐ বয়সটাই তেমন। তাদের কথা বলছি না। আমি আমাদের মত খেটে খাওয়া ' শিক্ষিত মধ্যবিত্তদের' কথা বলছি। TV তে বেশ কিছু মুশকো মুশকো লোক দেখলাম নেচে নেচে স্লোগান দিচ্চে, তারা ছাত্র এটা মানা যাচ্ছে না, আবার বিনা interest এ, শুধু অণ্নার সাপোর্টে এসেছে এটাও মানতে পারছি না। বয়সের সাথে সাথে সন্দেহবাতিক হয়ে পড়ছি, সিয়া হোক কি টিয়া, পুরো আন্দোলনে যে অন্য কোন শক্তির পয়সা/ ,involvemnet নেই এটা মানতে পারছি না।
kumu | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৪:২০ | 122.160.159.184
ঝিকি,লোক ভাড়া করার ব্যাপারটা নাই,যদ্দুর শুনলাম।
আমার চেনা কিছু ছাত্রছাত্রী গিয়েছিল,একটি লেডিজ ক্লাবের সদস্যারাও।
Jhiki | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৪:১৮ | 182.253.0.98
আচ্ছা সিকি আপনি তো বললেন য আপনার সোসাইটি থেকে মিছিল গেছিল ইন্ডিয়া গেটের দিকে। তা বেশ। তার মধ্যে কজন আপনার বেশ ভালোরকম চেনা, মানে আপনি জানেন তার দেশের বাড়ী কোথায়, সে কোথায়/কি কাজ করে? এরকম কাউকে জানেন কি যে বাড়ী-অফিস-সপ্তাহান্তের ঘোরাঘুরি এই নিয়ে জীবন কাটায়, সে তার একটা CL নষ্ট করে অণ্না কে সাপোর্ট করতে India Gate/তিহাড় গেছিল?
আর একটা প্রশ্ন, দয়া করে ব্যক্তিগত ভাবে নেবেন না। আপনি কেন যান নি? আপনি কি সরকারের স্ট্যান্ড সাপোর্ট করেন না গ্যালারী তে দাঁড়িয়ে খেলা দেখছেন?
sayan | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৪:১৪ | 160.83.97.83
সিকিকে আপারকেস ক। আজ সকালে বৃষ্টির মধ্যেও ফ্রীডম পার্কে প্রচুর লোক দেখলাম। শুধু নিউজ চ্যানেলের গাড়িগুলোর প্রাচূর্য ব্যাপারটাকে হট্টমেলার রূপ দিয়েছে, তবুও এমন স্বতঃস্ফূর্ত্ত সমর্থন, সব রকম নষ্টামির বিরূদ্ধে কোনওদিন দেখিনি। শেষপর্যন্ত হয়ত কিছুই হবে না, কিন্তু এটা দরকার ছিল।
kc | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৪:১২ | 194.126.37.78
কলকাতাতেও তো নাকি অনশন হচ্ছে। ;-)
dukhe | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৪:০৭ | 122.160.114.85
কিন্তু কলকাতা ? অনশনে বাঙালীর উৎসাহ বরাবরই কম বোধহয় ।
siki | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৪:০৩ | 123.242.248.130
শুধু তো দিল্লি নয়!
সারা ভারত কাল রাস্তায় নেমেছিল। ভারতের ছোটবড় প্রতিটা শহর। সুরাতে হিরে কাটাইয়ের শ্রমিকরা তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছিল। লক্ষ্ণৌতে ডাক্তাররা মিছিল বের করেছিল। গুয়াহাটি, পাটনা, পুণে, চেন্নাই, লুরু, কোথায় হয় নি!
সংসদীয় গণগন্ত্রের প্রতি বিশেষ ভক্তিশ্রদ্ধা আর বেঁচে নেই ভারতের শিক্ষিত সমাজে। আন্না সেসবের কোনও বিকল্প নয় জেনেও কেবলমাত্র সংসদীয় গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে নিজেদের বিক্ষোভটা জানাতে গিয়েই লোকে আন্নাকে হিরো বানিয়ে নিয়েছে নিজেদের মতন করে।
Jhiki | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৩:৫৫ | 182.253.0.98
এটা যদি হয়ে থাকে তো hats off!! আমার চেনা দিল্লীর সাথে মেলাতে পারছি না।
siki | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৩:৪৯ | 123.242.248.130
ঝিকি,
কেউ ভাড়া করা নয়। সকলেই স্বতস্ফুর্ত গেছিল। আমাদের সোসাইটি থেকেও কাল র্যালি গেছিল ইন্ডিয়া গেটের দিকে। সকলেই নিজের অফিস ব্যবসা পড়াশোনা কামাই করে পড়ে ছিল ওখানে।
কালকে আমাদের ছুটি ছিল, তাই সারাদিন TV দেখার সুযোগ ও ছিল। তিহাড় জেলের সামনে দেখলাম অনেক লোক। আমার প্রশ্ন এই এত লোক সবাই নিজের নিজের কাজকর্ম,অফিস/ব্যবসা বাদ দিয়ে অণ্না কে সাপোর্ট করতে এসেছিল? নাকি অন্য সব র্যালির মত এদেরকেও ভাড়া করে আনা হয়েছিল। দিল্লী-NCR এ তো অনেক্কেই থাকেন, আপনাদের চেনা (first hand, অমুকের তমুক নয়) কেউ ছিল সেই জমায়েতে?
সেকেন প্যারায় বলছে, চাঁদি ফাটা রোদ অগ্রাহ্য করে ... কোথায় রোদ? পরশু রাতজুড়ে বিষ্টি হয়েছে। কাল সকালে বেলা নটা দশটা অবধি বৃষ্টি হয়েছে, তারপরে পরিষ্কার শরতের আকাশ, সুন্দর ঠাণ্ডা হাওয়া। গরমের নামমাত্র নেই। অথচ আবাপ-র সাংবাদিক হাত গুণে বলে দিলেন সেখানে নাকি "চাঁদি-ফাটা' রোদ্দুর ছিল।
শেষ থেকে তিন্নং প্যারা। রামদেব বাবাকে ঢুকতে দেখেছেন তাঁরা টিভির চ্যানেলে, কিন্তু থানার ফাটক থেকে যে রামদেবকে ফুটিয়ে দেওয়া হয়েছে, দেখা করতে দেওয়া হয় নি অণ্নার সঙ্গে, সেটা তারা আর কভার করে উঠতে পারে নি। বোধ হয় কারেন্ট চলে গেছিল। আবাপ দিব্যি লিখে দিল রামদেব ভেতরে ঢুকে গেল "অণ্না আন্দোলনের পরবর্তী নকশা তৈরি করতে।'
এরা কি ভাবে বাংলার বাইরে আর কেউ আনন্দবাজার পড়ে না?
ppn | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৩:১২ | 216.52.215.232
আনন্দবাজার তাদের অভিনব বানামরীতি "অক্ষুণ্ন' রেখেছে।
dukhe | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৩:০১ | 122.160.114.85
ও হ্যাঁ, বিষণ্ন । আর কিছু ?
dukhe | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১২:৫৮ | 122.160.114.85
আর আন্না নেই, আজ সকাল থেকে অণ্না হয়ে গেছেন । আর তিহার পালটে তিহাড় । ণ্ন দিয়ে আর কোন শব্দ জানেন কেউ ?
আর বেলান্দুরে গেলে সত্যি বোঝা যায় হরি ঘোষের গোয়াল কথাটির অর্থ কী। ঃ)
sayan | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১২:১৫ | 160.83.97.84
** অ্যার্পোট, অ্যার্পোট
ppn | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১২:১২ | 216.52.215.232
ওল্ড অ্যারপোর্ট রোড বহুদিন হল ব্যবহার করা ছেড়ে দিয়েছি। খুব দরকার না পড়লে।
আউটার রিং রোডে ওভারপাসগুলো শেষ হতে দে। মেট্রো আর পেরিফেরাল রোড কোনটা যে আগে আগে শেষ হবে জানি না। ঃ)
নাঃ, এইবার এককাপ কফি গিলে কাজাতে বসি।
sayan | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১২:০৯ | 160.83.97.84
স্পীডজোন বলে সত্যি একটা গো-কার্টিং রেস-ট্র্যাক ছিল, এখন যেখানে প্রেস্টিজ শান্তিনিকেতন, ঐখানে। ঃ-(((
আমার দৈনন্দিন পাপস্খালন ওল্ড এয়ারপোস্ট রোডে (ট্রিনিটি সার্কল থেকে মনিপাল পর্যন্ত); ওটি এড়াতে চাইলে আউটার রিং রোড ধরে ধৈর্য্যের সব পরীক্ষা একে একে দিয়ে আসতে হয় (বিটিএম-আগারা-বেল্লান্দুর-মারাথাহাল্লি বরাবর)। আর নাআআআআআআ .......
ppn | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১২:০২ | 216.52.215.232
কে আর পুরম থেকে গ্রাফাইট ইন্ডিয়াগামী গাড়ির স্রোত + বৃষ্টির জমা জল + হলুদ ব্লিংকিং ট্রাফিক লাইট = প্লুটো
একদিন রাতে আমার বাড়িতে থেকে পরদিন সকালে অফিস যাস। বুঝবি।
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন