হুইচ ইজ ফাইন। কিন্তু যারা মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে পছন্দ করে তাদের নিচু চোখে দেখার কোন যুক্তিযুক্ত কারণ নেই। আমার বই কিনে টাকা খরচ করতে ভালো লাগে, কারুর বারিস্তায় গিয়ে - তাই সে নিচু, আমি মহান ?আমার সঙ্গে মূল্যবোধ না মিললেই অন্যের মূল্যবোধ ব্যাপারটাই খারাপ, এই টা মনে হয় ঠিক না।
মধ্যবিত্তের মূল্যবোধ জিনিসটাকে আমি বড়ই ভয় পাই। নিজে যদিও মধ্যবিত্তই ;-)
siki | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৩:২২ | 203.122.26.2
টাকা অনেকেরই থাকে, আমার অসহ্য লাগে টাকার শো-অফ্টা। টাকা দেখানোটা। অক্ষ বোধ হয় সেটাই বলেছে।
হস্টেলে এক বড়লোকের বাচ্চা ছিল আমাদের ব্যাচে, খাস নিউ আলিপুরিয়া, সে একদিন আমাকে জিগ্যেস করেছিল, আমার সকালের জলখাবার করতে মাসে মোট কতো খরচ হয়। পরিমাণটা শুনে চোখ কপালে তুলে জিজ্ঞেস করেছিল, " ওই টাকায় তোর জলখাবার হয়ে যায়? এ তো ডেলি দশ টাকাও হয় না! আমার তো দৈনিক মিনিমাম পঁচিশ টাকার কমে ব্রেকফাস্ট হয়ই না।'
এই শো-অফ্টা আমার অতি অসহ্য লেগেছিল।
siki | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৩:১৯ | 203.122.26.2
স্যান, ও সব তো পরিণত মনের ভাবনা। তখন তো স্টুডেন্ট ছিলাম। আমাদের খাবার ক্ষমতা ছিল না। আমাদের সামনে দিয়ে লোরেটোর মেয়েগুলো লাইটহাউসের ব্যালকনির টিকিট কাটত। আমরা কাটতাম ফ্রন্ট রো-তে। একটা চিড়বিড়োনি রাগ হত, ঐ অক্ষমতার রাগ। আমার পয়সা নেই, ওর আছে।
বাপের তুলনা করলে, আমার বাবার ক্ষমতা ছিল না আমাকে সেই পরিমাণ হাতখরচা দেবার, এমন নয় কিন্তু। ছিল। কিন্তু আমি কোনওদিন ভাবতে পারি নি ঐভাবে পয়সা ওড়ানোর কথা। ছাত্রবয়েসে।
পরে ফুটানি করেছি, অবশ্যই। নিজের পয়সায়। কিন্তু ঐ যে মধ্যবিত্ত টাইপ্স একটা ব্যাপার, গায়ে লেগে রয়ে গেছে, চামড়ায় সেঁটে গেছে। আজও তাই দেড়শো টাকার টিকিট কেটে মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে যেতে পারি না। এই তো কিছুদিন আগেও দশ টাকার টিকিট কেটে দিল তো পাগল হ্যায় দেখেছিলাম অরো সিনেমাহলে। উপভোগ করতে তো অসুবিধে হয় নি! সিনেমা দেখার জন্যে দেড়শো টাকার টিকিট! আমার কাছে অভাবনীয়। তার মানে এই নয় যে আমার দেড়শো টাকায় সিনেমা দেখার সঙ্গতি নেই। আছে। কিন্তু পারবো না। জাস্ট পারবো না।
lcm | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৩:১৬ | 71.132.137.6
হাতে টাকা থাকা তো ভালো। আইসক্রিম থাকাও ভালো। সেলফোন-ও ভালো, একটু ভারী এই যা। তবে হাতে টাকা থাকলে হাত গরম হয় না, আমি -১০ ফাঃ তে হাতে টাকা নিয়ে দেখেছি, কোনো লাভ হয় নি, গোব্দা গ্লাভস পরতেই হয়েছে। পকেটে রেখেও দেখেছি গরম হয় না।
stoic | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৩:১৪ | 160.103.2.224
অক্ষ, মেইল করছি শিগ্গিরি। ঃ) লাইফে ইদানিং ধকলের অ্যামাউন্ট প্রচুর বেড়ে গেছে। আর পোশাচ্ছে না। এবার একটা রেভোলিউশ্যন দরকার। ঃ)
san | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৩:১৩ | 12.144.134.2
এইবারে কল সেন্টার। কল সেন্টার নাহলেও আমরা অনেকেই বিপিও/কেপিওতে কাজ করি। এবং চাইলে নির্ঘাৎ আশি টাকার কফি ওড়াতেও পারি। 'বেঙ্গালুরুর মধ্যবিত্ত' হয়েও। সমস্যা হল আমরা যারা লেখাপড়ায় দারুণ কিছু নই , তাদের দেশে চাকরির অপশন এমন কিছু নেই।সকলে তো অ্যাকাডেমিয়ায় থাকার মত ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়না। তো আমরা করব কি? বেকার হয়ে থাকবো না আড়ঘোমটা দিয়ে রান্নাঘরেই সারাজীবন কাটাবো? এমন নয় আমরা সকলেই টাকার লোভে, ফুটানি মারার জন্য এই জীবন কাটাই ।কিন্তু অল্টারনেট চাকরি দিচ্ছে কে ?সকলের পড়াশুনো ভালো লাগেনা যে ।অক্ষ সিস্টেমের উপরে রাগ করতে গিয়ে ভিক্টিমের উপরে করে ফেলেছেন না কি ?
d | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৩:১২ | 203.143.184.10
অথবা অর্পণ কি আসলে "আমি'?
lcm | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৩:০৯ | 71.132.137.6
টিম, দেশ/বিদেশ আমার কোথাও কাজ করতে ভালো লাগে না। কিন্তু কাজ না করলে চলবে কি করে। এখানে কম কাজ করে মাইনে পাই, তাই এখান ছেড়ে যাই না। তাহলে, যদি অন্য জায়গায় আরও কম কাজ করলে মাইনে দেয় সেখানে কি যাবো? কিন্তু যাওয়াটাও তো একটা কাজ। এদিকে আমার কাজ ভালো লাগে না। তাই যাওয়া হয় না। অবশ্য গু চ-তে টাইপ করাটাকে আমি কাজের মধ্যে ফেলি না ঃ-)
san | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৩:০৬ | 12.144.134.2
গ্যাপ আনফেয়ার মনে হওয়া আর কিছু বাচ্চা ছেলেমেয়েকে ( যারা গ্যাপএর জন্য কোন ভাবেই দায়ী হতে পারেনা) ধর্মতলার ভিখিরি বলে রেফার করার অনেক তফাৎ। আমি ওটা শুনে অবাক হয়ে লিখলাম।
a x | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৩:০৩ | 75.53.194.212
নিন্দে না, স্যান। একটা ওয়াইডেনিং গ্যাপ। এবং সেটাকে আনফেয়ার মনে হওয়া। এবং পুরো ব্যপারটাই শহরকেন্দ্রিক হওয়াতে চোখে পড়ে আরো বেশি করে।
কিন্তু ঐ যা বললাম। মধ্যবিত্তের মধ্যে বনেদী বড়লোকদের প্রতি কিঞ্চিত নমোহ নমোহ আর উঠতি বড়লোকদের প্রতি নাক কুঁচকানো ভাব আছে। ফিউডাল ব্যপার বোধহয়। আমার মনে হয় আমারও আছে এটা। এই যারা কল সেন্টারে চাকরি করে বারিস্তায় ৮০টাকা দামের কফি ওড়ায় তাদের দেখলে না চাইলেও কেমন একটা রাগ রাগ হয়। এটা বোধহয় শিক্ষার হায়ারআর্কিয়াল পাওয়ার চলে যাবার ক্ষোভেও হয়।
প্রচুর বাজে বকলাম। কাটি।
স্টৈক, আওয়াজ টাওয়াজ দেবেন দাদা মাঝে মধ্যে ওদিকে ঃ-)
stoic | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৩:০০ | 160.103.2.224
অর্পণ ঃ) আমার আবার গুচ তে আসলেই নস্টালজিয়া বেড়ে যায়। তাই মাঝে মাঝে ডুব দিয়ে নিজেকে রি-ক্যালিব্রেট করতে হয়। ঃ)
Tim | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৩:০০ | 24.127.39.26
অপ্পন, ঃ-)
সবকিছুরই ভালোদিক-খারাপদিক আছে। এবার, ব্যক্তিবিশেষের প্রায়োরিটির ওপর নির্ভর করে। আমার তো দেশে ফিরতে ইচ্ছে করে কিন্তু কাজ কত্তে ইচ্ছে করেনা। চাকরিহীন (রোজগারহীন না) হলে দেশে থাকার মত কিছু জাস্ট হতে পারেনা।
Arpan | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:৫৯ | 202.91.136.71
কিন্তু দমের কেন অমন মনে হয়???
lcm | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:৫৪ | 71.132.137.6
ওহো, ঐ কানেক্ট। সে তো আমি সব সময়ই কানেক্টেড ঃ-) আর গপ্পো, কত গপ্পো আছে, আমি/আমরা/তুই/তোরা বাদে কত গপ্পো, ভাট।
a x | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:৫৪ | 75.53.194.212
আরে দময়ন্তী, আমাদের মত লোকের জন্যই তো নেট দ্বার খুলে রেখেছে। আমার ধারণা বেশির ভাগ লোক যারা ইন্টারনেটে কাটায় তারা বাকি লোকেদের ঠিক এমনটাই বেশ অসহ্য বলে মনে করে ;-)
san | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:৫৩ | 12.144.134.2
এই ব্যাপারটা আমি আদৌ বুঝিনা। যে কাঠি আইসক্রিম খায় সেও তো বাবার পয়সাতেই খায় রে ভাই। যে যার বাড়ির আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী চলবে সেটাই তো স্বাভাবিক। কি আশ্চর্য। বড়লোকের ছেলেমেয়েরা দামি জায়গায় খেলে এত মুখ বাঁকানোর কি আছে? আমিও তো আমাদের রান্নার মাসির মেয়ের থেকে বেটার জামাকাপড় পরতাম বেটার জায়গায় খেতাম। ফুটানি মারার জন্য নয় তো সেটা। স্কুপেও খেয়েছি অনেক। এতে নিন্দেমন্দ করার আছেটা কি সেটাই বুঝিনা।
Arpan | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:৫৩ | 202.91.136.71
আমার আবার প্রশ্ন পাচ্ছে।
পুজো আসলেই কি গুচ-র জনতার এই হু হু নস্টালজিয়া প্রবল হয়?
a x | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:৪৯ | 75.53.194.212
আমার আবার দেশ বা পরিবারের কনসেপ্ট নিয়ে কোনোরূপ ব্যথা বেদনা নাই ঃ-) বরঞ্চ এখানে যে আমি বেশ নিজের মত থাকতে পারি, সেটা আমি ভরপুর উপভোগ করি।
খালি একটাই ফেরার কারণ দেখতে পাই। এই লেগোল্যান্ডে থাকতে থাকতে ডাল হয়ে যাবো। কোনো রকম অ্যাওয়ারনেস আর আসবেনা। সেটার জন্যই যদি ফিরতে হয়, তাহলে অ্যাকাডেমিয়ার মায়া ত্যাগ করতে হয়, নইলে বহুত ফ্রাস্ট্রেশন।
Tim | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:৪৭ | 24.127.39.26
টালিগঞ্জ ট্রামডিপো বন্ধ হয়ে গেছে? যাত্তারা! ভেবে রেখেছিলাম বাড়ি গেলে চড়বো। ঃ-(
পিপির কথাই ঠিক। সাতচল্লিশ কেজির সুপুরি স্যানের জন্য একেবারেই বেমানান। কিন্তু স্যানের তো শিষ্যও থাকতে পারে। তাকেই দেবো রে পিপ্পি। এখন না অবশ্য, লেখা শেষ না হলে, তখন। ঃ)
stoic | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:৪৫ | 160.103.2.224
অরিজিত একটা পোস্টে লিখেছিল 'কোথায় যেন তাল কেটে গেছে', এক্স্যাক্ট ঐ ফিলিং টা আমারো হয়, পুরোনো বন্ধু, বাড়ি, আত্মীয়, অনেকের সাথেই। এবং এক মাসের ফুর্তির সময় ও হয়। মজার ব্যাপার হল, পুরোনো বন্ধু দের সাথে গপ্প করার সময় বেশির ভাগ গপ্প পুরোনো দিনের ঘটনা নিয়েই হয়, কারণ এখনকার গপ্প করতে হলে মনে হয় উই হ্যাভ ড্রিফটেড অ্যাপার্ট।
siki | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:৪৪ | 203.122.26.2
এই "কিছু লোকের হাতে প্রচুর পয়সা, অল্পবয়েসী বাচ্চাদের হাতে সেলফোন' ব্যাপারটা আমাদের সময়েও তো ছিল। তখন না হয় সেলফোন ছিল না। কিন্তু অন্যকিছু ছিল। নিউ এম্পায়ার লাইটহাউসের চত্বরে প্রচুর বড়লোকের বাচ্চাকে দেখতাম ফুটানি মেরে বেড়াচ্ছে। এই ৯৯ সালের কথা। আমরা ওদের রেফার করতাম ধর্মতলার ভিখিরি বলে। সব ফুটানিই তো বাপের পয়সায়। নিজের তো পয়সা নেই। লোরেটো থেকে দলে দলে মেয়ে স্কুল ইউনিফর্মেই আসত লাইটহাউস বা এম্পায়ারে সিনেমা দেখতে, আর দামি দামি আইসক্রিম খেত স্কুপে। তাদেরও ভিখিরি বলতাম।
এটা চিরদিনই ছিল।
d | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:৪৪ | 203.143.184.10
অক্ষকে, হ্যাঁ হয়ই তো।
আমার এই গুচ করে করে আরও একটা কেলো হয়েছে। আমি পুরানো বন্ধু তো বটেই, এমনকি আত্মীয়স্বজন বা আপিসের লোকজন, যাদের আগে তত অসহ্য লাগত না --- তাদের অনেককেই এখন আর সহ্য হয় না। আর হয় যে না -- সেটা আবার বডি ল্যাঙ্গুয়েজে প্রকাশও পেয়ে যায়। কি বিপদ! আরও খারাপ হল, লোকে তাতে দুঃখটুঃখ পেলেও তেমন কোন বিকার হয় না।
san | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:৪২ | 12.144.134.2
কিছু লোকের হাতে টাকা হয়েছে তো হয়েছে। এমন তো নয় বেঙ্গালুরুর মত সবকিছু দুর্মূল্য দুÖপ্রাপ্য হয়ে গেছে। কোলকাতায় এখনো অনেক কম টাকায় অনেক আনন্দেই থাকা যায়। রাগারাগি কিসের?
siki | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:৪১ | 203.122.26.2
অপ্পন,
সে-ই। গুঠা।
san | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:৪০ | 12.144.134.2
কিন্তু পিপির পোস্ট পড়ে থেকে আমার শুধু মায়ের কাছে যেতে ইচ্ছে করছে। ভাগ্য ভালো আজ সকালে অফিসে আসার আগেই বাড়িতে গুরু খুলে পড়েছিলাম। নয়তো খুবই ভুলভাল ব্যাপার হত ।
a x | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:৩৮ | 75.53.194.212
না না কাঁদিনি। নিজের চোখে না দেখে ট্রামের ব্যপারে এই গুজব আমি কিছুতেই কানে তুলবনা অরিজিত!
তবে পিপি যা বলল আমারও বহুত রাগ হয়েছিল আগের বার দেশে গিয়ে। কিছু লোকের হাতে যেন টাকা উড়ছে। মিউজিক ওয়ার্ল্ড, বারিস্তা, পার্ক স্ট্রীট এলাকা। অল্প বয়সী বাচ্চাদের হাতে সেলফোন। কিন্তু এটা র্যশানালি ভাবলে ওপাড় বাংলার মধ্যবিত্তের "উঠতি বড়লোক"দের দেখলেই একটা যে থু থু ভাব ছিল, সেটারই একধরণের প্রকাশ।
Arpan | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:৩৫ | 202.91.136.71
প্রচুর বাসরুট উঠে গেছে। নিতাইদার দোকানে রোজ বিকেলে হয় সাইকেল অথবা ফুটবলে হাওয়া ভরতাম, দশ পয়সা দিয়ে, সে দোকানসমেত কোথায় হাওয়া হয়ে গেছে। পুরোনো পার্কটাতে এবার মেয়েকে নিয়ে গেলাম। সে একটু দৌড়োদৌড়ি করেই ঘুমিয়ে পড়ল। বেড়ে গেছে স্বাস্ত্যসচেতন মানুষদের শরীরচর্চা। ফুটবল বোধহয় কেউ খেলে না আর। সাহাজেঠুদের মুদির দোকানটা এখনো চলছে। ব্লকের ভেতরে বলেই বোধ হয়। এখন ছেলেরা বসে। গানের স্কুল উঠে গেছেরাস্তার মোড়ে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর হয়েছে একটা। তার সামনে পার্কিং পাওয়া দায়। যাঁরা এককালে দাঁড়িয়ে থেকে এই অঞ্চলে নিজের সাধের বাড়িটি বানিয়েছিলেন, তাঁরা বিকেল হলে পাশাপাশি চেয়ারে বসে থাকেন। বাড়িগুলির দেওয়ালে শেওলার আস্তরণ। বাগান ভরে গেছে আগাছায়।
এইতো।
sinfaut | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:৩৫ | 165.170.128.65
আমার তো পুরোনো বলেই কিছু লাগেনা। কারন স্মৃতি তেমন তাড়া করেনা বা স্মৃতি নিয়ে বেশি ফ্যাঁচফোঁচ নেই বা ইসে, স্মৃতিই নেই।;-)
a x | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:৩৩ | 75.53.194.212
কানেক্ট করা মানে কথা টথা বলা যায়, মন খুলে। বলে বেশ আনন্দ হয়, এরকম মনে হয়না যে আমি এখানে বসে কি করছি! এরকম লোক আমার এক্সাকটলি একটি কি দুটি আছে দেশে ঃ-)) আর আমি ঠিক জানি যদি আমি দেশেই থেকে যেতাম তাহলে হয়ত আরো দীর্ঘ সময়ের গ্যাপে দেখা হত তাদের সাথে।
Arijit | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:৩২ | 61.95.144.123
অক্ষ কি সত্যিই কাঁদতে গেলো? টালিগঞ্জ ট্রামডিপোর হালত দেখলে অবশ্য তাই পাবে - ট্রামগুলো যেভাবে পড়ে আছে...মনে হয় স্ক্র্যাপ ইয়ার্ড।
san | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:৩১ | 12.144.134.2
এই গল্পটা আমারও হয়। স্কুল লাইফে এ ওর পার্সোনাল ডায়রি নিয়ে পড়তাম সেই বন্ধুর সঙ্গে দশ বছর বছর পরে যোগাযোগ হল - আর কানেক্ট করতে পারিনা। এমন কি এখন আর যোগাযোগ করতেও তেমন কিছু উৎসাহ হয়না। জানি এখন পাশে বসে কিছু খেজুরে কথা বলা ছাড়া কোনো কমিউনিকেশনই হবেনা। হয়না আরকি। সে রকম পরিচিত তো একগাদা আছে - স্কুলের প্রাণের বন্ধুত্বটা ঐখানেই রেখে দিতে ইচ্ছে করে। এমনি না হোক স্মৃতিতেই থাক তবু বন্ধু যেন পরিচিত না হয়ে যায়। অথচ আমার স্কুলের ক্লাস থ্রির যে বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল এখন তার সঙ্গে একই ভাবে কানেক্ট করতে পারি - কারণ আমাদের যোগাযোগ টা বরাবর একইরকম ছিল - দুজনেই পাল্টেছি , কিন্তু তখন সম্পর্কটাও প্যাটার্ন রেখে পাল্টেছে।
আমরা যথা হইতে আসি আর তথায় ফিরিয়া যাইনা। দমদির কথাটা একেবারে .....
h | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:২৯ | 125.18.104.1
আমি দু এক পিসের সঙ্গে পারি। বাকিগুলোর সঙ্গে পারি না। তারাও পারে না। ক্ষতি কি?
lcm | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:২৯ | 71.132.137.6
কানেক্ট করা ব্যাপারটা কি? ২০ বছর আগে যে সব গল্প করতাম, কথা বলতাম, এখন তো সেরকম হবে না।
Arijit | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:২৬ | 61.95.144.123
টালিগঞ্জ থেকে কোন ট্রামই এখন চলে না। ট্রামডিপো বন্ধ। এটা অবশ্য মনে হয়ে টেম্পোরারি - লাইনের ওপর কাজ হচ্ছে অনেকদিন ধরে। নতুন করে লে-আউট করছে।
অক্ষ-র এই কথাটা আমারও মনে হয় - আমিও সেভাবে এখন আর কলেজের বন্ধুদের সাথে কানেক্ট করতে পারি না - অথচ একটা সময় ছিলো যখন তাদের সাথে দিনের পর দিন ওঠাবসা ছিলো।
a x | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:২৪ | 75.53.194.212
গতবছর অবধি তো ছিল! এবার নেই বললে আমি ভেউ ভেউ করে কেঁদে উঠব!
h | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:২৪ | 125.18.104.1
না অস্বাভাবিক নয়। এই যে আমি কিসুই খুঁজি টুজি না, এটাও অস্বাভাবিক নয়। মানে এ দুটো ই আমার ব্যক্তিগত মতামত।
lcm | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:২৩ | 71.132.137.6
২৪/২৯ কি আছে, টালি থেকে বালি ?
h | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:২২ | 125.18.104.1
যে সব লোকজন এখানে আসে না, চান্স নাই, তাদের নিয়ে নিন্দে মন্দ করিস না। খার থাকলেও করিশ না। কাটিয়ে দে না।
lcm | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:২২ | 71.132.137.6
অরিজিৎ/শুভজিৎ, ওয়েবস্ফিয়ার নিয়ে কথা হবে না। ঐ ভাঙ্গিয়েই তো চলছে, আর বছর দশেক টেনে দিতে পারলেই, মোটমুটি এ যাত্রায় বেঁচে গেলাম। তবে ইদানীং, বড় তাড়াতাড়ি নতুন ভার্শান লঞ্চ করছে, আইবিএম কিরকম যেন নন-লিগ্যাসি হয়ে যাচ্ছে। কোথায় ছিল সেই সব সুদিন, দুটো ভার্শানের মাঝে বছরের তিন-চারের নিশ্চিন্ত গ্যাপ।
a x | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:২১ | 75.53.194.212
আচ্ছা এই তোমরা যারা পুরোনো লোকজনের মায়ায় থাকো, তারা পুরোনো বন্ধুদের সাথে একই রকম ভাবে কানেক্ট করতে পারো? করতে পারাটা আমার খুব অদ্ভূত লাগে। আমি ১০-১২ এমন কি ১৮-১৯এ যা ছিলাম, আমি আজ তা নেই, সেও নেই, সাধারণত তার সাথে আমার কিছু বলার নেই, দুজনেই বয়সের সাথে অনেক বেশি জাজমেন্টাল হয়ে গেছি, শুধুই দুবছর পাশাপাশি বসার সৌজন্যে তখন যে প্রাণের চেয়ে প্রিয় বন্ধুত্ব হয়েছিল, সেটা এখন একেবারেই অর্থহীন। এরকমটাই হওয়াটা স্বাভাবিক না? পুরোনো লোকের মায়া মানে পুরোনো সময়টাকে রিলিভ করতে চাওয়া তো। সেটা তো মনে মনেই করা ভালো, কেননা এখনকার লোকটার সাথে তো সেই লোকটার কোনো মিল বোধহয় নেই। আমি একটা পুরোনো সময়কে ফিরে পেতে চাই বললে তো সময় পেছনে ফিরে যাবেনা। আমার দেশে গেলে মানুষজন নিয়ে খুব একটা প্রবলেম হয়না। বরঞ্চ অজৈব জিনিস খুঁজি। রাস্তা ঘাট, গলি, গন্ধ, দৃশ্য। আমার মনে হয় যদি গিয়ে শুনি কোনো পুরোনো বন্ধু আর নেই, তার চেয়ে বেশি দুঃখ হবে যদি শুনি ২৪/২৯ ট্রাম উঠে গেছে। এটা কি অস্বাভাবিক?
h | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:২০ | 125.18.104.1
হয়েছে।
Arpan | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:১৯ | 202.91.136.71
গুঠা?
Arpan | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:১৮ | 202.91.136.71
উঁহু, মনে পড়ছে না।
siki | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:১৭ | 203.122.26.2
ওফ্ফ্, প্রিন্স অফ বেলদা!! আরে এটা বলবে তো! আমি ভাবছি ওটা কারুর আসল নামের অ্যাব্রিভিয়েশন।
ওর সাথে তো এই সেদিনও কথা হল, ছাড়ার আগে। জানো কি, আমাদের ব্যাচের আরও এক পাব্লিক কলকাতা আইবিএমে রিসোর্স ডিপ্লয়মেন্ট ম্যানেজার হয়ে গেছে? আমি শুনে চমকে চুয়াল্লিশ হয়ে গেছিলাম। জিটি-কে চিনতে?
Arpan | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:১৪ | 202.91.136.71
কেন মনে হয়!!
শমীক, প্রিন্স অব বেলদা নামে পরিচিত ছিল সে। এইবার তো বোঝা উচিত।
যাঃ, অমন নস্টালজিক হবার কিছু নেই। সেদিন ৩০০ টাকা বুঝি কম ছিল? কতকিছু হয়ে যেত ৩০০ টাকায়!
lcm | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১২:০২ | 71.132.137.6
সিকি, সত্যি দিনকাল বদলে গেছে। কালে কালে এ কি হল। ১৯৯১-৯২-তে এতটা ছিল না। কিন্তু তখন তো অনেক কিছুই ছিল না। আমার এক বন্ধু কেজিপি থেকে বিটেক (মেকানিক্যাল) করে দু বছর মাসে ২২০০ মাইনেতে সেইল-এ ছিল (এম পি-তে)। ছেড়ে দিয়ে কলকাতা এসে সফটওয়ার কোম্পানীতে জয়েন করল, মাস গেলে হাতে ২৮০০ চেকে, প্লাস, ২৫০ ক্যাশ। মাইনের দিন , খুশির দিন। সল্ট লেকে ছিল শুধু মিশ্রস, সেখানে দুপুরে লাঞ্চ, বাড়ি ফেরার পথে সন্ধে বেলা গোলপার্ক-এ বেদুইন-এ বিরিয়ানি বা বাদশা-র রোল। টেনশন হীন লাইফ। কয়েকটা মোটে কোম্পানী, আর কটাই বা লোক। ৩০০ টাকা বেশী মাইনে বলে একজনকে দেখেছি কোম্পানী চেঞ্জ করতে। এখন বড় চাপ।
siki | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১১:৫৬ | 203.122.26.2
না, ঠিক চিনতে পারলাম না। প্রি. অ. বে.? কোন ব্যাচ? ইনফির ব্যাচ? বেহেরা?
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন