এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • san | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ২১:৩৭ | 12.144.134.2
  • কোলকাতায় যখন ফিরবো, জানি সব হবে - গোয়ালে গরু, পুকুরে মাছ, জমিতে সোনার ধান - খালি জীবনের প্রাইভেট স্পেস বলে বস্তুটি স্রেফ গ্যাসবেলুনের মত মহাশূন্যে বিলীয়মান হয়ে যাবে। তিন বছর বেঙ্গালুরু থেকেই যদি আমার এই ফিলিং হয়, ভাবতেও ভয় লাগে যে মেয়েরা বিদেশ থেকে ফেরে তাদের কি মনে হয় ।
  • san | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ২১:৩২ | 12.144.134.2
  • পামিতাদির লাস্ট পয়েন্টটি , কি আর বলবো - যে বিবাহিত মেয়ে একবার পরিজন পরিজন ছেড়ে অন্য শহরে কিছুদিন অন্তত থেকেছে - তার হাড়ে হাড়ে মজ্জায় মজ্জায় না বুঝে উপায় নাই। সে দেশের মধ্যে অন্য শহর হলেও তাই।
  • Arpan | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ২১:২৯ | 122.252.231.206
  • সত্যি কথা বলতে কি যে যা সিস্টেমে কমফোর্ট ফিল করে। খেপ খেলতে বিদেশে গিয়ে আমার অবস্থাও ওই ডাঙ্গায় কইমাছের মতই হয়। ঃ)
  • san | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ২১:২৭ | 12.144.134.2
  • আমারও ঈশানের মতই মনে হয় , লোক পাল্টেছে, না চোখ ?
  • Arpan | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ২১:২৭ | 122.252.231.206
  • আরো দুটো জিনিস অ্যাড কর। কোন কিছুতেই খুব বেশি এক্সপেক্টেশন না রাখা আর একটু ধৈর্য ধরতে শেখা।

    বাকি সব এর পরে আসবে।
  • Paramita | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ২১:২৪ | 64.105.168.210
  • কতগুলো বাস্তব পদক্ষেপ দেশে ফেরাকে সহনীয় করে তুলতে পারে। ফিজিবিলিটির কথা বলছি না।

    - পুরো ফ্যামিলির কমিউট (ওয়ান ওয়ে) আধঘন্টার মধ্যে রাখা
    - এমারজেন্সি ব্যাতিরেকে উইকেন্ডে কর্মক্ষেত্রের ডাক উপেক্ষা করা, খুব বেশী লেট আওয়ার না করা - প্রোডাকটিভিটি না কমিয়েও যে এটা করা যায় সেটা "দেখিয়ে দেওয়া" - এক কথায় হবে না কিন্তু শুরুটা আমিই করি না কেন মনোভাব
    - পরিবারের অন্যান্য সদস্য কি কাজের লোকের ওপর খুব বেশী ডিপেন্ডেন্সি না রাখা
    - প্রাইভেট স্পেস মেন্টেন ও এক্সটেন্ডেড পরিবার/বন্ধুবর্গের সঙ্গ উপভোগের মধ্যে ব্যালান্স আনা (এইটা আমার সবচেয়ে শক্ত মনে হয়)
  • Arpan | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ২১:১৭ | 122.252.231.206
  • ঈশানকে সাপোট করলাম। কিন্তু তার সাথে এইটাও ভুলো না লোকসংখ্যা দেড়গুণ হয়েছে, গাড়ির সংখ্যা চারগুণ আর লোকের তাড়া বেড়েছে দশগুণ। গত দশ বছরে। কিন্তু রাস্তা সেই একই আছে।
  • c | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ২১:১৩ | 131.95.121.107
  • আহা, আর শ্যামল সেদিন বল্লে কলকতাসহ গোটা ভারত স্বর্গ হয়ে গেছে,লোকে লাখ লাখটাকা কার্ডে ভরে ফুরফুর করে বাতাসে নাচতে নাচতে মলে গিয়ে জামা কিনে,আইনক্সে সিনিমা দেখে,ফুডমলে গিয়ে খেয়ে হরিনাম কত্তে কত্তে ফিরছে ফ্ল্যাটে,সেখানে সুমধুর পবনে পদ্ম থুরি লোটাস ফুটেছে পন্ডে!
  • arjo | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ২১:০৩ | 168.26.215.54
  • এই প্রসঙ্গে একটা ছোট্ট গল্প। বোস্টনে মেট্রো করে রোজ যাতায়াত করি। সব্বাই কি ভদ্র, দরজা খুল্লে কম্পিটিশন চলে কে পরে গাড়িতে উঠবে। আমিও শিখছি। আসতে আসতে শিখে গেলাম দরজা খোলার পর কাছাকাছি বয়স্ক বা মহিলা থাকলে বলতে হয় "আফটার ইউ"। এই করতে করতে একদিন কি একটা গন্ডগোল। ট্রেন পরপর আটকে আছে। আর বোস্টন শহরতলীতে বাস সার্ভিস থাকলেও তেমন কিছু না। তাই পাব্লিক ট্রান্সপোর্ট বলতে ট্রেন। সেই ট্রেন প্রায় ৩ ঘন্টা আটকে আছে। আমেরিকার রেফারেন্স ফ্রেমে সেটা অনেক অনেকক্ষণ। আমিই বোর হয়ে যাচ্ছি। স্টেশনে নেমে পায়চারী করছি এদিকে কোটি কোটি লোক জমেছে। বিড়িও খেতে পারছি না। আম্রিগাবাসীরা প্রথমে কাঁধ ঝাকালো, ঘন্টা খানেক বাদে বল্লে হোয়াট দ্যা হেক? আর যখন আড়াই ঘন্টা পেরিয়ে গেল তখন এফ ওয়ার্ড। হঠাৎ অ্যানাউন্স করলে ট্রেন ছাড়বে। বিশ্বাস করুন আমার শান্তিপুর লোকালে ওঠার রিফ্লেক্স নিয়েও আমি সেই ট্রেনে উঠতে পারি নি। তখন একজন আমাকে জায়গা দেবার চেষ্টা করছে দেখে তাকে বললুম "আফটার ইউ"।
  • Abhyu | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ২০:৫৯ | 97.81.111.254
  • "আবার কতদিন পরে - তখন কি আর কি দেখা হবে?" - এটা সত্যি বড্ড ব্যথা দেয়।
  • Ishan | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ২০:৫০ | 12.163.39.254
  • হ্যাঁ, জিনিসের দাম বেড়েছে। এফ এম আর নিউজ চ্যানেল হয়েছে। শপিং মল হয়েছে। লোকের পয়সা হয়েছে। ব্রডব্যান্ড হয়েছে। কিন্তু অসহিষ্ণুতা? খুব বেড়েছে বলে মনে হয়না।
  • Ishan | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ২০:৪৭ | 12.163.39.254
  • ইকিরে ভাই। কলকাতাকে কি গাল দেয় লোকে। ঃ)

    গতবার কলকাতায় আমার বন্ধুর গাড়ি চলেছিলাম। গাড়িটা একটা সিগন্যালে আটকালো। সিগনাল খোলার পরেও সামনের গাড়িটা নড়েনা। সে আসলে ডানদিকে যাবে, ভুল করে বাঁদিকে চলে এসেছে, বা এরকম কিছু হবে। কিসুই না। ১০ সেকেন্ডের মামলা। বা একটা সিগনাল আমরা মিস করব। পৌঁছতে হয়তো ২ মিনিট বেশি সময় লাগবে। কোথাও কিছু নেই, বন্ধু জানলা খুলে "গাড়ি চালাতে পারিসনা, রাস্তায় নেমেছিস কেন' এই এরকম কি একটা বলে চিল্লাতে শুরু করে দিল। ঠিক মনে নেই, শুয়োরের বাচ্চা ফাচ্চাও বলেছিল নির্ঘাত।

    আমার কানে খট করে লাগল। এতো অসহিষ্ণুতা কেন? কিন্তু তাপ্পরে মনে পড়ল, আজ থেকে দশ বছর আগে আম্মো তাইই করতাম। ট্রেন থামলে ধাক্কা মেরে সবার আগে ওঠার চেষ্টা করতাম। সামনে গাড়ি দেখলেই প্রবল হর্ন দিতাম। আজকে আমি হেবি "সভ্য' হয়েছি। আমার চোখ বদলেছে। কলকাতা ভয়াবহ কিছু বদলায়নি কিন্তু। মানে চাকচিক্যে বদলাতেই পারে, বা পয়সার মাপে। কিন্তু ভিতরে সে যে পাঠান সেই পাঠানই আছে (অজ্জিতকে খুশি করার জন্য দেশে বিদেশের রেফরেন্স দিলাম ঃ) )।

    কলকাতা জাহান্নমে যাচ্ছে কথাটা বোধহয় ঠিক না। এখন বাজে হলে আগেও বাজেই ছিল।
  • Satya | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ২০:৪৪ | 63.192.82.30
  • আম্রিকান কোংএ কম্প-অফ বলে একটা বক্তব্য আছে, আজকাল হয়ত সর্বত্র ব্যবহার হয় ওটা। এদিক ওদিক ছুটিগুলো ওটা ভাঙ্গিয়েই হয়ে যায়। লম্বা ৩-৪ সপ্তাহ ছুটি চাইলে তবে দরখাস্ত লেখা।
    তবে ৩-৪ সপ্তাহ ছুটি কাটাতে দেশে ল্যাদ খাওয়ার মানে হয় না। সবাই ব্যস্ত, কারো সময় নেই, প্রথম সপ্তাহের পরে আমি একা - এই সুদূর দেশেও একা, নিজের দেশে নিজের বাড়িতে ফিরেও একা। তাই চলে যাওয়া অন্য কোথাও, একটু বেড়িয়ে নেওয়া - একটু খালিতে নিঃশ্বাস নেওয়া -
    খালি ব্যাথা দেয় যখন প্রায় অন্ধ দিদিমা মুখে গায়ে হাত বুলিয়ে বলে - দাদুভাই, আবার অদ্দিন পরে আসবা! আর বোধহয় তোমার লগে দেখা হইব না।
  • santanu | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ২০:৩৮ | 217.196.19.45
  • আমারই বা আর সিস্টেমের মধ্যে কোথায় থাকা হয়, বছরে মেরে কেটে ১২০ টা দিন। তাও এই একবছর, আগে তো মাত্র ৭৫-৮০ দিন কলকাতায় থাকা হতো।
  • Abhyu | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ২০:৩৫ | 97.81.111.254
  • পিপি, এখনই নয়, কিন্তু পরে হয়তো আমি জার্মানি যাবো (দীর্ঘমেয়াদী) আর সেই জন্যে একটা জিজ্ঞাস্য ছিল। সেটা এইখানে করার কোনো মানে নেই - তাই সময় পেলে আমাকে একবার যদি মেল করো ... amandal অ্যাট stat.uga.edu
  • Satya | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ২০:৩১ | 63.192.82.30
  • সবাই ভাগ্যবান নয়, আবার অনেকে ভাগ্যবান হতেও চায় না।
  • pp | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ২০:১৮ | 141.80.168.31
  • স্যান, বছরে গড়ে দেড় মাস বলাটা সত্যি অতিশয়োক্তি হয়ে গেছে কারণ হিসেব করে দেখলাম এখনো অবধি একবারই দেড় মাস পুরো ছিলাম বাকী সময়গুলো ৩৫ থেকে ৪০ দিন। তবে ছুটিছাটার ব্যাপারে আমি বোধহয় ভাগ্যবান কারণ বিদেশের সব জায়গায় ছুটি নিয়ে এত উদারতা আছে বলে মনে হয় না। আমার আম্রিগা বাসী এক বান্ধবী যে রিসার্চ ফিল্ডেই আছে সে এখান থেকে পিএইচডি করে ওদেশে গেছে। তা সে কমপ্লেন করে যে আম্রিগায় ছুটি ছাটা খুব কম মানে লম্বা ছুটি পাওয়া যায় না কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বস রাজী হয় না। এদিক দিয়ে জার্মান কূল বেঁচে থাকুক। বছরে ২৯ দিনের ছুটি সকলের পাওনা তারপর বয়স বাড়লে ছুটিও বাড়ে। লোকে প্রচ্চুর ছুটি ছাটা নিয়ে বেড়াতে যায় তবে পাওনা ছুটির মধ্যেই। সব থেকে ভাল হল আগের বছরের ছুটি ডিসেম্বরের মধ্যে খরচা না করতে পারলে সেটা পরের বছর ডিসেম্বর অবধি ভ্যালিড। লোকে পরিবারকে, পরিবারের সাথে সময় কাটানো এগুলোকে খুব গুরুত্ব দেয়। কাজেই আমি যখন এক মাসের জন্য দেশে যাব বলি বস আপত্তি করে না কারণ বাকী সময় তো আমি খুব বেশি ছুটি নেই না। ঐ ২৯ দিন x ২ প্রায় খরচই হয় না তার সাথে শনি রবি বার গুলো যোগ করলে দিব্যি দিন ৩৮ দেশে থাকা যায়ঃ-)
  • a x | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ২০:১১ | 75.53.194.212
  • বাবা হানুর প্যাঁকেরও কি লেভেল মাইরি! এ ছেলে বড় হলে কি করবে?!
  • san | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৯:৩৪ | 12.144.134.2
  • অ্যাঁ প্রতি বছর গড়ে দেড় মাস ! ভ্যাঁ !!

    আমি যে দেশে থেকেও বছরে পনেরো দিনের বেশি কোলকাতায় থাকতে পাইনা ! ভ্যাঁ ভ্যাঁ !!!

    বাকিটা, তাইলে হয়তো আমি দেখতে পাইনি। কোলকাতায় পাকাপাকি ফিরলে দেখতে পাবো এমনও হতে পারে ঃ-(((

    কিন্তু এর থেকে তো বিদেশে থাকাই ভালো ছিল। বছরে দেড় মাস ,ভ্যাঁ ঃ-(((
  • pp | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৯:২৩ | 141.80.168.31
  • স্যান, দমদির কথাটা বিশাল খাঁটি যে কোন জায়গা একবার ছেড়ে চলে গেলে ঠিক সেই খানটায় আর কখনো ফেরা যায় না বা অন্য ভাবে বলতে গেলে ফিরে পাওয়া যায় না। সেটা আমি বুঝি এবং মানি। কিন্তু রাতারাতি মানসিকতার বদল??? নাহ এটাকে ডিফেণ্ড করতে পারি না। তিন চার বছর পরে দেশে ফিরলে যে বদলটা চোখে পড়ত সেটাকে অনুপস্থিতি জনিত সমস্যা বলে কটিয়ে দিলেও দিতে পারতাম কিন্তু আমি তো ফি বছর দেশে যাই, গড়ে দেড় মাস কাটিয়ে আসি। এক বছরের হিসেবে দেড় মাস হয়তো কিছুই নয় কিন্তু তাতেও যখন প্রতি বছর বদলগুলো অত্যন্ত প্রকট ভাবে চোখে এসে খোঁচা দেয় তখন নিজের মনেই প্রশ্ন করি তাহলে কি আরো কিছু আছে, আরো বিকৃতি যা এই এক দেড় মাসে চোখে পড়ছে না কিন্তু আছে, নীচেই আছে। তাতে আতঙ্ক জাগে। কেন জান? কারণ মনে মনে ইচ্ছে একদিন ফিরে যাবার। পামিতাদি খুব সত্যি কথা বলেছে যে এখন একটা পালাবার জায়গা আছে - দেশ; কিন্তু দেশে ফিরে যদি দেখি আমার আতঙ্ক গুলো সব খাঁটি তখন কোথায় পালাব? তখন হা হুতাশ করা স্বাভাবিক যে কেন এলাম, কি করতে এলাম, বেশ তো ছিলাম, এর জন্য কি এলাম.... আর আমি হা হুতাশ নিয়ে বাঁচতে চাই না। মনে হয় না কেউই চায়।

    শান্তনু,
    আপনি হয়ত সিস্টেমের মধে বাস করছেন বলে পরিবর্তনটা দেখতে পারছেন না। আমি, আমরা যারা বাইরে থেকে যাচ্ছি, ক দিনের জন্য হলেও যেহেতু আমরা ঐ সিস্টেমের সাথে স্যাচুরেটেড হয়ে যাই নি তাই হয়ত পরিবর্তন আমাদের চোখে পড়ছে। আমিও যখন ঐ সিস্টেমের মধ্যে গিয়ে থাকতে শুরু করব যথা নিযুক্তহস্মি তথা করোমি বলে ধীরে ধীরে সব সইয়ে নেব, সয়ে যাবে তখন আর বদলটা ধরতে পারব না।
  • Arijit | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৮:০৬ | 61.95.144.123
  • আম্মো গান্ধীগিরি চেষ্টা করি মাঝে মাঝে। সবসময় হয় না - যখন দেখি একটা বাস বা একটা শাটল এসে ঘাড়ের ওপর চড়তে চাইছেঃ-(
  • santanu | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:৫৬ | 82.112.6.2
  • আমারও কলকাতায় লোকজনের শো অফ মনে হয় না, তবে রাস্তা চলতি লোকজন একটু তিরিক্ষে। তবে তাদেরও দিব্বি ম্যানেজ করা যায়। আমি দু একজনকে বলেছি, "আরে আপনি এত রেগে যাচ্ছেন ক্যানো?" তাতে বেশ লজ্জাও পেয়েছে।

    প্রচুর লোকজন তাড়াতাড়ি বাড়ি এসে ক্লাবে যায়, ছেলেমেয়েকে পড়ায়, টুক করে বউকে নিয়ে সিনেমা মেরে আসে - সব হয়।
  • san | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:৫৬ | 12.144.134.2
  • আমাদের দেখার চোখ ও তো পাল্টে যায়। এক্সপোজারও একটা বিশাল ব্যাপার।
  • Arijit | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:৫৪ | 61.95.144.123
  • তার একটা কারণ দমু বল্ল না - কখনোই তুমি কোথাও "ফিরে' যেতে পারবে না - কারণ তুমিও পাল্টেছো, সেই জায়গাটা বা লোকগুলোও পাল্টেছে। আরেকটা কাল সিঁফো বলেছে - এক্সপেক্টেশন - সকলের এক এক রকম।
  • san | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:৫৪ | 12.144.134.2
  • পিপি, প্লিজ, না না ,খবরদার - অন্যভাবে নিওনা কিন্তু আমার কথা। আগের কথা বা এই কথাটা। এই সব যে পাল্টানো , এগুলো হয়তো হতোই। কোলকাতা বলে নয়, এমনকি দেশ বলেও নয়। হয়তো তুমি কোলকাতায় তিন বছর কাটিয়ে জার্মানি ব্যাক করে দেখলে সেই জায়গাটাও আর খুঁজে পাচ্ছোনা। কোন জায়গাই কি কখনো একই রকম থাকতে পারে ? বা মানুষজন?
  • pp | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:৫০ | 141.80.168.31
  • আমারও মনে হয় অজ্জিত তুমি ওয়ার্ক ফ্রম হোম বা আপিসের কাছাকাছি মুভ করতে পারলে সময় নিয়ে যে সমস্যা সেটা অনেকটাই সমাধান করতে পারবে।
    কিন্তু এর বাইরেও কিছু কিছু জিনিস আছে যা হয়ত ডাইরেক্টলি আমাকে ভোগাচ্ছে না কিন্তু যা আমার চোখে পড়ছে, কড়কড় করছে কারণ আমি যে দেখেছি আগে এমনটি ছিল না, আমি যে জানি এমনটি হত না সেইগুলো খচখচ করে। এটা আর কারোর হয় কিনা জানি না, আমার হয়, দেশে ফিরলে হাজার আনন্দের মধ্যেও নিরানন্দের সুর কিছু বাজে, খটকা লাগে।
  • Arijit | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:৪৮ | 61.95.144.123
  • একদমই ফিজিবল নয়। সেই জন্যেই এক বছর ধরে গাল দেবো।
  • stoic | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:৪৪ | 160.103.2.224
  • হম্‌ম্‌ম, সে ক্ষেত্রে আপিসের কাছকাছি ফ্ল্যাট নিলে মনে হয় অ্যাট লিস্ট এই প্রবলেম গুলো অনেকটা অ্যাভয়েড করা যাবে। তবে সেটা কতটা ফিসিব্‌ল, সেটা জানিনা। নতুন জায়গায় মুভ করা মানে আবার ছেলেমেয়ের স্কুল, নতুন সোশ্যাল সার্কল, ইত্যাদির ব্যাপার আছে।
  • Arijit | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:৪৩ | 61.95.144.123
  • হুঁ। দিদিও বলে তাই। এক বছর এই রকম খিস্তি মারবো। যদি ধৈর্য টেঁকে।
  • san | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:৪৩ | 12.144.134.2
  • কিন্তু আমাদের মত যাদের কমিউট করতে পাঁচ দশ মিনিটের বেশি সময় লাগেনা - তাদেরও এটা খুব সম্ভব হয়না তো - বেঙ্গালুরুতেও হয়না। দিল্লিতেও হতনা। ব্যাপার হল বেঙ্গালুরু বা দিল্লিতে তো আর চাকরিজীবনের আগে থাকিনি তাই পুরোনো স্মৃতির সঙ্গে খটাখটি লাগেনা। এই যদি কোলকাতাতে থাকতে যাই চাকরি নিয়ে - সময় নেই বলে ঢের বেশি খারাপ লাগবে, খালি মনে হবে আগে কত ভালো ছিলাম - কেননা ওখানে তো হাত-পা ছড়িয়ে থাকতাম, স্ট্রেস তো মাবাবার উপর দিয়ে যেত ঃ-)
  • pp | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:৪৩ | 141.80.168.31
  • সিকি,
    এটা তো পরিবর্তন আর পরিবর্তনই নিয়ম। প্রকৃতি, সমাজ কোন কিছুই থেমে থাকে না তাকে বদলাতেই হয়। সে বদল ভাল কি মন্দ সেটা সেই ট্রানসিশন পিরিয়ডে থেকে ধরা হয়ত মুশকিল তবে আমার মনে হয় সম্পূর্ণ ভাল বা সম্পূর্ণ মন্দ হতে পারে না, দুটোয় মিলিয়ে মিশিয়ে আসে বদলের আফটার এফেক্ট। কিন্তু মানুষের ব্যক্তিসত্তা, সেটা কি স্ট্যাটিক হতে পারে না? নাকি হওয়া উচিত নয় সেটাও? এই প্রশ্নগুলো বড্ড ভাবায়।
    আমার মনে হয় চাহিদা থাকা উচিত কারণ ওটাই মানুষের ড্রাইভিং ফোর্স। একটা অ্যাচিভমেন্টের লক্ষ্য না থাকলে কোন পরিবর্তনই আসতে পারে না, না সামাজিক, না মানসিক। আমার বাবাদের সময়ে কারোর বাড়ি কালার টিভি পাড়ার লোকে ভাবত পয়সা হয়েছে তো, তাই দেখাচ্ছে। আমরা আবার কালার টিভিতেই অভ্যস্থ, প্লাজমা টিভিকে ভাবি আঙুল ফুলে কলাগাছের লক্ষণ। আমাদের ছেলেপুলেরা হয়ত অন্য কিছুকে ভাববে। কিন্তু এই যে বদল এটা তো খারাপ নয়। এর পিছনে সাইন্স অ্যাণ্ড টেকনোলজির যে বিকাশ বা ডিসকভারি সেটা অস্বীকার করা যায় না। এবং এই বিকাশ আমাদের মত অনেকের পেটের ভাতও জোগাচ্ছে কাজেই বদলকে পুরোপুরি খারাপ বলতে বাধছে।
    কিন্তু আগে যেমন ডোনেশন দিয়ে অ্যাডমিশন নিতে হয়েছে শুনলে লোকে অবাক হত বা বাঁকা হাসত (মেধার প্রতি কটাক্ষে) এখন ডোনেশনটাই নিয়ম এবং শুধু তাই না কে কত হাজার ডোনেশন দিল তার উপর নির্ভর করছে তার সামাজিক প্রতিপত্তি এবং আমরা এগুলো খাচ্ছি কারণ প্রতিপত্তি কে না দেখাতে চায় হোক না সে যে কোন মূল্যেই তায় যদি হয় টাকার গরমে তো সোনায় সোহাগা। ঘুরে ফিরে সেই দেখানোপনা, শো-অফে চলে এলাম। মানসিকতার এই ডেরোগেটরি বদলটা কেন এল প্রগতির হাত ধরে, এরও কি দরকার ছিল/আছে আজকের বদলে যাওয়া সমাজে, যুগভাবনায়? পরিবর্তন চাইনা বলা সম্ভব নয় কিন্তু দিন বদলের সাথে এই বদলগুলোকে কি আটকানো যায় না?
    ধুর, আমি নিশ্চয়ই ইউটোপিক দুনিয়ার কথা ভাবছি।

    হানুদা,
    আগে বহুত শান্তি ছিল, কনজুইম্যারিজমই যত নষ্টের গোড়া, গাঁয়ের লোকে শহুরে লোকের চেয়ে বেশী শান্তিপ্রিয় এগুলোর কোনটাই আমার মনে হয় না। আমার মনে হয় বদল একইভাবে এসেছে, শহর গ্রাম প্রতিটি লোকের মানসিকতায়। এর জন্য বর্ধিত ক্রয়ক্ষমতা বা জীবণযাত্রার মানোন্নয়নকে দোষ দিয়ে খুব লাভ নেই। আমার মনে হয়েছে লোকে আগের তুলনায় অনেক বেশী অসহিষ্ণু, বদমেজাজী, উদ্ধত, বেপরোয়া। আমি আবারও রিপিট করছি শব্দগুলো। এখন অনেকের তা নাও মনে হতে পারে যেমন স্যানের মনে হয় না। আপনার নিজের কি মনে হয়? যদি সহমত হন তবে বলুন এর পিছনে কারণ কি বলে আপনার মনে হয়?? আপনার মতটাও শুনি।
  • Arijit | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:৪২ | 61.95.144.123
  • আমি সকাল আটটায় বেরিয়ে কম্প্যারেটিভলি ফাঁকা রাস্তায় আসি এক ঘন্টায়। সন্ধে সাড়ে ছটায় বেরিয়ে ভয়ে ভয়ে এদিক ওদিক দেখে বাড়ি পৌঁছই সওয়া আটটা থেকে সাড়ে আটটা নাগাদ। পুরো ডুমড হয়ে। চোখে সর্ষেফুল দেখতে দেখতে (সব্বাই তেড়ে হাই বীম-এ যায় কিনা)। তাপ্পর আর কার এন্থু থাকে ছেলের সাথে রেলগাড়ি নিয়ে খেলার বা চ্যাম্পিয়নস লীগের খেলা দেখার? ইউরো কাপের গ্রুপ স্টেজের পর একটাও খেলা দেখিনি - কারণ ভোর সাড়ে পাঁচটায় উঠতে হয়।
  • santanu | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:৩৯ | 82.112.6.2
  • বছরখনেক কাটিয়ে দিতে পারলেই, কলকাতা খাসা লাগবে। আর অরিজিত তো স্বইচ্ছায় এসেছো, কিছু আশা নিয়ে, তাই হয়তো আর একটু বেশী সময় লাগবে।

    আমি ৭ বছর দিল্লিতে কাটিয়ে গাড়ি, ফ্ল্যাট সব বেচে দিয়ে মালয়েসিয়া গেসলাম, সেখান থেকে দেড়্‌বছরের মাথায় লাথি খেয়ে ব্যাক (Great south east asia economic crisis)

    দিল্লিতে ফিরে যাবার কিছুই নাই, কলকাতায় জমে গেলাম। প্রথমে খারাপ লেগেছিল, এখন মনে হয় কলকাতার মতো জায়গা নাই।
  • Arijit | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:৩৮ | 61.95.144.123
  • অনেকটাই তাই। দূরত্বটা বড় নয়, সময়টা বিরাট। আর ওই সময়টা পুরোটাই অতি বিচ্ছিরি রকমের স্ট্রেসফুল। এই কেউ ঘাড়ে চাপলো বা ওই কেউ এসে তোমার গাড়ির তলায় পড়লো, বা এই বাসে ঝুলতে হবে - অন্য বাস দেখি, পরের বাসেও বসতে পারলে না - সেক্টর ফাইভ থেকে টালিগঞ্জ দাঁড়িয়ে যাও, তাপ্পর লাইন দিয়ে অটোতে ঝোলো, কাটা তেলের ধোঁয়া খাও, বাঁশদ্রোণীর জ্যামে আটকাও...
  • stoic | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:৩৪ | 160.103.2.224
  • সন্ধ্যেবেলা বাড়ি ফিরে কয়েক ঘন্টা ছেলে মেয়ের সঙ্গে সময় কাটানো, রান্নাবান্না করা, বন্ধুদের সঙ্গে পাবে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ দেখা, এগুলো কি কলকাতা (বা অন্যান্য বড় শহরে) করা একেবারেই অসম্ভব? যদি হ্যাঁ তাহলে কেন অসম্ভব ? কমিউট করতে সময় বেরিয়ে যায় বলে ?
  • Arijit | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:৩০ | 61.95.144.123
  • আমি চাইলে তো বেরোতে পারি, কিন্তুক আমার বউয়ের আপিসে কঠিন খাতা - সওয়া নটায় ঢুকেছি, পৌনে সাতটার আগে হবে না। তাই আমাকেও থাকতে হবে। আমার ইদিকে কোনও কাজ নাই, একটা ড্রাফ্‌ট আর্কিটেকচার দিয়ে দিয়েছি, সাথে এস্টিমেশন - এতগুনো লোক আর এই হার্ডওয়্যার না হলে কিস্যু হবে না - এবার পোম্যা সেই নিয়ে লড়ুক গে। এরা হার্ডওয়্যার নিয়ে বহুত কিপটেমি করে। দুইখান মেশিনে কিসু হয় নাকি? কবে থেকে সেই আরো দুইখান দিচ্ছে - যদিও আইডিয়ালি আরো চাই।
  • sinfaut | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:২৫ | 165.170.128.65
  • আম্মো যাই। কিন্তু গিয়েই বা কী করবো। ঃ-(
  • Arpan | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:২৪ | 202.91.136.71
  • ঘড়ি ধরে ঠিক সাত ঘন্টা আপিসে থাকছি। চিত্রগুপ্তের খাতা থেকে একটু আধটু চুরি ধম্মে বোধহয় সয়ে যাবে।

    আঃ কঃ বা ....
  • Arijit | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:২৩ | 61.95.144.123
  • যাঃ শালা আমি একা বসে বসে চোঁয়া ঢেকুর তুলি...
  • Arijit | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:২৩ | 61.95.144.123
  • শীতকালটা প্যাথেটিক ছিলো - নটায় সকাল হত, তিনটেয় সন্ধে হত, সমানে বৃষ্টি আর ঠাণ্ডা হাওয়া - ওইগুলোতে কষ্ট হত। কিন্তু আরো অনেক কিছু ছিলো যে - কফিরুমে আড্ডা, বন্ধুদের সঙ্গে সেন্ট জেমস পার্কে যাওয়া বা পাবে চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনাল দেখতে যাওয়া, টেনশন-ফ্রী কমিউটিং, গরমকালে উইকেন্ডে ইচ্ছে হল তো এদিকসেদিক বেরিয়ে পড়া, রাস্তায় কখনো এটা মনে না হওয়া যে ওই গাড়িটা আমার ঘাড়ে চাপতে চাইছে...
  • Arpan | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:২৩ | 202.91.136.71
  • আমিও চল্লাম। বাই বাই।
  • h | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:২১ | 125.18.104.1
  • কিস্যু মাইনরিটি দর্শন চেতনা নয়, দিব্য মেজরিটি ঃ-)))

    অলরাইট অনেক ভাট হল চল্লাম। আজ একটু বেশি হয়ে গেলঃ-)
  • sinfaut | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:১৭ | 165.170.128.65
  • আহা ভয় দেখাচ্চি কোতা? আমি তো মামুর জন্য বেস তৈরী করচি।
  • san | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:১৬ | 12.144.134.2
  • সিফো, ভয় দেখাস না।
  • sinfaut | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:১১ | 165.170.128.65
  • বেসিক্যালি ফাদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে যে ডিসেন্ট তৈরী হচ্ছে তার পাশাপাশি টুকি মেরে জেগে উঠতে চাইছে মাইনরিটি এক দর্শনচেতনা। এখন পারবে কি অশ্রুত তার কন্ঠস্বর পৌঁছে দিতে জ্যোতির্বলয় যুক্ত রেকোগনাইজ্‌ড ক্ষমতার বর্গের কাছে? এই মেইনস্ট্রীম নস্টালজিয়া ও কন্ট্যাক্টহীনতার দারুন কোলাহলের মধ্যে?

    ভাটিয়ালি পর্যবেক্ষন।
  • Arijit | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:০৮ | 61.95.144.123
  • বোধি কি বলতে চাইলে রাস্তার ৯৫% লোক ছাগল? কি কাণ্ডওওওওওও।
  • h | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:০৭ | 125.18.104.1
  • আগে লোকের কেনার মত জিনিস কম ছিল বলে লোকে খুব শান্তিপ্রিয় ছিল এইটা জাস্ট মানতে পারলাম না। কনজিউমারিজম শান্তিরক্ষক নয়, কিন্তু অশান্তির অনেক কারণ থাকতে পারে। বিংশ শতকের আগে কি লোকে ঝগড়া করে নাই? এটা কোন কথা হল?

    আর শহুরে মানুষ স্ট্রেসের কারণে খারাপ ব্যবহার করে এটাও মানলাম না। যারা ছাগল তারা খারাপ ব্যবহার করে রাস্তায় ঘাটে। ছাগল মনুষ্য বা মনুষ্যরুপী অজ যথেষ্ট প্রাচীন একটি সোশাল ফেনোমেনন। আগে লোকে রাস্তায় বেরোলে সকলেই প্রচন্ড শান্ত থাকতো এটা , আর শহরের চেয়ে গ্রামের লোকের শান্তি বেশি, এই সব কোনো কথাই যুক্তি সঙ্গত মনে হচ্ছে না।

    বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে লোকে হিস্টিরিক হয়। কি আর করা যাবে।
  • siki | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:০৫ | 203.122.26.2
  • নিউক্যাসলেও স্ট্রেস ছিল। ঠিক। কিন্তু সেই সব দেশ কিছু জিনিস এনশিওর করে। আমার মেয়ের শিক্ষা। আমার চিকিৎসা। সেখানে গঙ্গাদাস পাবলিক স্কুল আর ডেলহি পাবলিক স্কুল জাতীয় কম্পিটিশন বোধ হয় চলে না। সত্তর হাজার টাকা আর মাসে মাসে তিন হাজার টাকা দিয়ে বোধ হয় সেখানে বাচ্চাকে নার্সারিতে পড়তে হয় না।

    আমার দেশ আমার বাচ্চার ভালো শিক্ষা এনশিওর করে না, আমার ভালো চিকিৎসা এনশিওর করে না, আমার সামাজিক নিরাপত্তা এনশিওর করে না, যার কাছে যত বেশি টাকা, তার কুক্ষিগত তত ভালো স্কুল, তত ভালো হাসপাতাল। এর পর এই দেশ এক্সপেক্ট করে আমি দেশের জন্য জীবন দেব, দেশপ্রেমিক হব।

    বালের দেশ।
  • Arijit | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:০২ | 61.95.144.123
  • না পিপি - এই বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচাগ্র মেদিনী - রাস্তাঘাটে চলাফেরার মধ্যে এ জিনিস নিউক্যাসলে খুব রেয়ার - অল্প কিছু হুডিদের মধেয় এটা ছিলো। সকালবেলা আরামসে ছেলেকে ইস্কুলে পৌঁছে হেঁটে বা সাইকেলে ইউনি যেতুম, ছটায় ফিরতুম, টিভি দেখতুম, রান্নাবান্না করতুম, ছেলের সাথে খেলতুম - এভাবে আমরা দুজনে ছয় বছর কাটিয়েছি। হ্যাঁ, নিজের কাজ নিজেদের করতে হত। কিন্তু ওই যে স্বচ্ছন্দে রাস্তা দিয়ে হেঁটে বা সাইকেলে যাওয়া, সন্ধেবেলা ফিরে কয়েক ঘন্টা নিজের মতন থাকা - এগুলো স্ট্রেসকে ভাগিয়ে দেয়।
  • sinfaut | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৭:০২ | 165.170.128.65
  • আর আগের প্রশ্নটা? যেটা এখন ১১৭১ পাতায়, দূরে আরো দুরে চলে যাচ্ছে?
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত