এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • Ishan | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৮:৪৬ | 173.26.17.106
  • ১০ বছর আগে যেখানে থাকতে সেখানে তাকাতো। এখন যেখানে থাকো সেখানে তাকায়না। তোমার অবস্থান বদলেছে কমরেড।

    আমি পনেরো বছর আগে সিঙ্গুরে থাকতাম। এখন আমেরিকায় থাকি। আমি এখন নিজেকে গাঁয়ের ছেলে বললে লোকে খ্যাখ্যা করে হাসবে।

    অবস্থান বদলায়। সময় বদলায়। জেল থেকে বেরিয়ে জ্যোতিবাবু মুখ্যমন্ত্রী হন। নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে উইনির ডিভোর্স হয়। ইত্যাদি।
  • a x | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৮:৪৫ | 75.53.198.45
  • ইইইক্‌ চুঁচ না! ছূঁচ।
  • a x | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৮:৪৪ | 75.53.198.45
  • G, এটা কোনো লেখা/পেপার/লিংক ইত্যাদি দিতে পারবেন? আমি খবরের কাগজ থেকে যা পড়েছিলাম, তাই বললাম। ভুল জানতে পারি। হ্যাঁ ক®¾ট্রালড ডাবল ব্লাইন্ড এক্সপেরিমেন্ট যদি করা যায় এই নিয়ে, হোক না।
  • a x | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৮:৪০ | 75.53.198.45
  • ঈশান, আমি যে সমাজে ১০ বছর আগে থাকতাম, সেখানে রাত ১১টায় বাড়ি ফিরলে, হ্যাঁ ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাত। আমি আমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ফিরলে আরো বেশি ডিগ্রি ঘুরত। আমি আমার বিবাহিত স্বামীর সাথে যদি ফিরতাম, আমার ধারণা কম ঘুরত। এই যেমন অনি যে গল্পটা বললেন, যেখানে ওর বাবা বলেছেন, একই মেয়ের সাথে দেখেছে কিনা। আমার ক্ষেত্রেও এমন হয়েছে, মানে বাড়িতে এসে বলেছে, আপনর মেয়েকে তো দেখলাম, "বলাই বাহুল্য" রিয়াকশান একেবারেই অন্য হয়েছে। তাই আমি বলছি ভুল বললে। অনেক পড়াশোনা করলি এবার একটা বিয়ে কর, এটাও ঐ সমাজেই শুনেছি। আরও মজার, বিয়ে করলি না কেন, ছেলেটা বুঝি করতে চাইছেনা, এটাও। মানে বিয়েটা আমার প্রিভিলেজ, এবং ছেলেটির ডিসক্রেশন। আমার লিভড্‌ ইন রিয়ালিটি একটু বোধহয় আলাদা তোমার থেকে।
    যুক্তিপরম্পরাতে তোমার টেকনিক যদি হয় যুক্তির ফাটলগুলো দেখাতে তাকে আরো আরো এক্‌স্‌ট্‌রাপোলেট করা হোক, তাইলে তো চুঁচ দিয়ে হাতি গলে যাবে।

    পাই, এই একই কথা তাইলে তো বোধহয় বিয়েতে পণ, মেয়েদের বাইরে কাজ করতে না দেওয়া, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে থাকতে বাধ্য করা সব ক্ষেত্রেই খাটে। মানে আদতে ওগুলো মেয়েদেরই দোষ। এদেশে এত যে অ্যানরেক্সিক মেয়ে, এও ১০০ ভাগ তাদের দোষ। সমাজ বেচারীকে খামোকা টানা কেন। ও হ্যাঁ যেহেতু গ্রামের মেয়েটির বাবাকে ঘড়ি, টিভি দিতে হয়, শহরের মেয়েটির বাবাকে মারুতি, কি আর মিল, আইডেন্টিটি পলিটিক্স ব্যপারটাই না গোদা। হ্যাঁ মেয়েরা ভালোবেসে করে না কি। মা রা ভালোবেসেই মেয়ের জন্ম হলেই সোনার গয়না বানানো শুরু করেন। একটু বড় হলে রান্না বান্না শেখানো শুরু করেন, ভালোবেসেই তো করেন, নাকি?
    অ্যাকচুয়ালি তোমার এই পজিশনটাই একটি প্রিভিলেজড পজিশন। এবং শুধু প্রিভিলেজডই না, হাইলি কন্‌জার্ভেটিভ পজিশন। কনজার্ভেটিভিসমের একটা ট্রেট হল, ব্লেম ইট অন দ্য ইন্ডিভিজুয়াল। "তুমি গরীব, কেননা তুমি অলস, তুমি পরীক্ষায় ফেল করছ, কেননা তুমি বোকা, তুমি চাকরি করবে, আমি কেন সংরক্ষণে সায় দেব" এইরকমই।
  • G | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৮:৩২ | 72.95.243.207
  • না, সামার্স এ কথা বলেন নি। কদাচ না।
    বিশেষ ক'রে যে সেন্টেন্সটা আপনি লিখেছেন।
    হাই এন্ড সায়েন্সে মহিলাদের কম পাওয়া যায় কেন, সেইটে খুঁজতে গিয়ে উনি বলেছেন যে এর সঠিক উত্তর ভালোভাবে জানা নেই। কারণ সাধারণভাবে আমরা যা ভাবি বা বলি (যেমন এই ফোরামেও বলছি) তাই দিয়ে ডেটা পুরো এক্সপ্লেন করা যায় না। এবং এও বলেছেন যে innate difference in variability of aptitude দিয়ে খানিকটা পার্থক্য এক্সপ্লেন করা যেতে পারে। innate difference কি? না ছেলেদের মধ্যে অতি চালাক এবং অতি বোকার প্রপোর্শন বেশী। এবং উনি কোন কিছু ফাইনালিটি নিয়ে ক্লেম করেন নি।
    নিজেই বলেছেন, প্রোভোক করছেন। প্রয়োজনটা কি? প্রয়োজনটা এই যে - difference in achievement টা open question - রিসার্চ দরকার।
    কি রকম রিসার্চ? একটা কনক্লুশন থেকে শুরু করে তার সাক্ষ্যপ্রমাণ জড়ো করা নয় - পারমিতা 4.54 am এর পোস্টে যে চরম, অপার, নিখাদ সত্যের কথা বলেছেন তার খোঁজ।
    যদি বলেন, সেরকম ধ্রুব সত্য কিছু হয় না - কাজেই খোঁজাটা ভুলভাল জিনিষ, তাহ'লে সক্কলে আমরা বসে থাকি নিজের নিজের বিশ্বাস আঁকড়ে - শুধু তাহলে কাউকে fact distort করছে বলে দোষ দেবেন না, কারণ fact বলে কিছু হয় না।
    আর যদি মানেন সত্যি বলে কিছু আছে, তাহলে সেটার খোঁজটাকে চলতে দিন। আমার পছন্দমত উত্তর হলে খেলব, নয়তো না - এইটি করবেন না। আর - যদি কোনদিন উল্টো উত্তর বেরোয়? অর্থাত সত্যিই জিনের ভূমিকা আছে? তাহলেও কিন্তু জাস্টিসের লড়াইটা চলছে চলবে। আন্দোলনটা সত্যের উপর ভিত্তি করেই হোক না!
  • arjo | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৮:৩১ | 24.42.203.194
  • আরে এসে পড়েছি।

    একটা বিষয় খুব পোস্কার হল আর যাই হোক মেয়েদের নিয়ে ফুটবল খেললে সেমসাইড হবার চান্স পোব্বোল। ;)

    ১। দুবেলার ভাত ডাল, উইকেন্ডের রসগোল্লা, সহজিয়া পোলাও, পাঁঠার সিম্পল কারি, চিকেন চাঁপ,""উইকেন্ড ফান"", চাকরি, ঘন্টার পর ঘন্টা ড্রাইভের পরেও ২৪ ঘন্টা গুরু করতে পারলে সেটা বিপক্ষীয় কমরেডদের এফিশিয়েন্সি সম্বন্ধে খুব ভাল কিছু বলে কি? ঃ))

    ২। কর্মক্ষেত্রে শুধু নয়, যেকোন জায়গায় মাইনরিটিদের কোন না কোন ডিসক্রিমিনেশনের সম্মুখীন হতে হয়। কালোদের বাস্কেট দলে সাদাদের, সাদা ইস্কুলে কালোদের, ছেলে অধ্যুষিত অফিসে মেয়েদের, আমেরিকান অধ্যুষিত অফিসে ভারতীয়দের। এটা মাইনরিটি ডিসক্রিমিনেশন। এই নিয়ে পেপার আছে। একটু খুঁজতে হবে। কিন্তু পেয়ে যাব। মাইনরিটিদের নিজের জায়গায় কিছু করে দেখাতে হলে তার পিয়ারদের থেকে অনেক অনেক ভালো করে দেখাতে হয়।
  • tkn | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৮:১৮ | 122.173.176.23
  • বিরক্তিকর কথা** শুনে
  • tkn | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৮:০৮ | 122.173.176.23
  • আর, কেউ বিদেশে থাকেন, একা বা সহৃদয় সঙ্গীর সঙ্গে থাকেন, তাই তাদের রাত দুটোয় বাড়ি ফেরা নিয়ে অসুবিধা হয় না বলেই দুনিয়ার বাকি মেয়েদের রাত দুটোয় বাড়ি ফেরার অসুবিধা নিয়ে তারা মাথা ঘামাবে না এমন তো না! তাই হয়ত যাদের নিজের লাইফে সে অসুবিধা নেই তারাও বক্তব্যের খোঁচাটাতে চট করে রিঅ্যাক্ট করেছে, করছে।
    ঠিক কতজন মেয়ে রাত দুটোর ফেরায় অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখের পড়ে না? কতগুলো ইন্ডিভিজুয়্যাল মিলিয়ে আসলে জনতা হয়? কিভাবে এই পারসেন্টেজে পৌঁছন যায় যে "এতজন"কে যদি অসুবিধায় পড়তে হয় তো বলা যাবে "হ্যাঁ, সত্যিই এটা অসুবিধাজনক পরিস্থিতি"। কতজন মেয়ে ঠারে ঠোরে ইঙ্গিতে "মেয়েতো, তাই..' বা 'বলাই বাহুল্য' শোনার পরে বলা যেতে পারে যে হ্যাঁ তারা এই বিরক্তিকর শুনে রিয়্যাক্ট করার যোগ্যতা অর্জন করল?
    মেয়েরা আজ গতকালের থেকে অনেক বেশি ভালো অবস্থানে আছে, একথা যেমন সত্যি, তেমনই সেই অবস্থানে পৌঁছনোর জন্য যা যা সিঁড়ি ভাঙা চলছে সমাজে সেটাও মিথ্যে না। আবার সেই সিঁড়ি তৈরী করাতে ছেলেরাও এখন অনেক বেশি এগিয়ে আসেন সেটাও ঠিক। আসলে আমরা যারা এই জায়গায় আছি, পেটের ভাতের পরেও মনের শাকের খোঁজে এ পাতা সে পাতা এ বই সে ম্যাগ ইত্যাদিতে চলে ফিরে বেড়াচ্ছি সে নেহাতই একমুঠো পাবলিক। সেই একমুঠো আমরা শুধু এর শিকার নই বলেই যে কেউ এর শিকার হলে সেটা জানব না বা ফিল করব না তাও না। আমায় যদি শুনতে হয় আমি "ম্যাডামজী" বলেই আমার ক্লাসে ছেলেরা টাইমলি আসে তো বিরক্ত হবই। তাই বলে কি তাকে কামড়ে দিচ্ছি? নাঃ ইগনোর করছি। কিন্তু সে ব্যথা তো রইলই, পরে কখোনো কোথাও আর কারুর কাছে ওধরনের কথা শুনলে আরো বিরক্তি.. এই আর কি..
    আমার জীবনে হচ্ছে না মানেই ইটস নান অফ মাই বিজনেস এমন ভাবতে পারা কঠিন। সিংহদূয়ার থেকে খিড়কির দূরত্ব যতটাই হোক তাতে খিড়কির ভিজিবিলিটি কমতে পারে, তার অস্তিত্ব মুছে যায় না।
  • Ishan | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৭:৫৪ | 173.26.17.106
  • রিমি বা পারমিতার কথা যখন সিরিয়াসলিই নেওয়া হচ্ছে, তখন পরিষ্কার ভাবেই বলি। এঁরা বা এঁদের কত্তারা সকলেই মেনলি আপিস থেকে গুচ অ্যাকেস করেন। লিঙ্গবৈষম্যের জন্য এঁরা গুরু অ্যাক্সেস করতে পারেন না, কথাটা তাই খুব ভ্যালিড না।
  • Ishan | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৭:৫১ | 173.26.17.106
  • অক্ষ। একই কথা বারবার বলে সত্যিই লাভ নেই। তুমি বা আমার বৌ রাত ১১টায় বাড়ি ফিরলে আর তোমার বা আমার বাড়ির কাজের লোক ১১টার সময় বাড়ি ফিরলে যে রিয়্যাকশন হবে, তাদের মধ্যে অ্যাবসলিউটলি কোনো মিল নেই। থাকবেনা। আমরা এখানে থাকলেও থাকবেনা, দেশে ফিরলেও যে উন্নততর ফ্ল্যাটবাড়িতে বসবাস করব, সেখানেও থাকবেনা। রাত্তির ১১টায় তুমি-আমি বাড়ি ফিরলে "সমাজ' ঘাড় ঘুরিয়েও দেখবেনা। এবং এখানে বঞ্চনার একটা কমন সেট খুঁজে বার করাটা একটা শৌখিন মজদুরি। এক্সট্রাপোলেট টোলেট করার কিচ্ছু করলাম না। তুমি নিজেই বলনা, কিচ্ছু ভুল বললাম কি?

    আর যুক্তিপদ্ধতি নিয়ে সোজা কথা সোজা করে বলি। আপনি একটা যুক্তি দিলেন, সেই যুক্তিপরম্পরা আমি অন্যত্র প্রয়োগ করে দেখালাম, সেটা অ্যাবসার্ডিটিতে পৌঁছে দিচ্ছে, এটা খুবই চালু পদ্ধতি। এতে করে যুক্তির যে ফাটলগুলো চোখে পড়ে। যেগুলো আমরা দেখতে চাইনা। এই যে ধরো, আমি এই বিতর্কের একদম শুরুতে জানতে চাইলাম, যে, কেউ যদি পুং দের পুঙ্গব বলে সেটাকে আমি কি অবমাননাকর বলে মনে করব না? তার উত্তর পেলাম, পুঙ্গব মানে তো শ্রেষ্ঠ। যেন আমরা জানিনা, যে, ওটাকে ব্যঙ্গাত্মক ভাবে ঠিক উল্টো অর্থে ব্যবহার করা হয়। এই উত্তরটা আমার ট্যারাব্যঁকা করে কথা ঘোরানো মনে হয়েছে। এবং জেগে ঘুমোনো ঘোচানোর জন্য এক্সট্রাপোলেট করাই একমাত্র ওষুধ বলে আমার মনে হয়।
  • tkn | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৭:৪৫ | 122.173.176.23
  • তর্কে খিল্লির ফোড়ন দিতে হলে -
    মেয়েরা ঘুড়ি ওড়ায় না- এটাও জেন্ডার বায়াস স্টেটমেন্ট হল না কি?

    তবে সে নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করছে না। কারণ ওটা খিল্লিই। কিন্তু ঐ "বলাই বাহুল্য"-টা প্রথমেই শরবিদ্ধ করেছে "মেয়েদের" এবং সেটা করা কিছু দোষের না, কারন তারা এটা অনেকবার অনেক ভাবে শুনেছে। কখোনো অ বাবু বলেছে, কখোনো আ বাবু কখোনো খ বাবু তো কখোনো ণ বাবু।

    আর এই যে আমাদের কাজের মেয়ের অবস্থান আর আমাদের অবস্থান নিয়ে বলা হচ্ছে, সেখানেও একটা ছোট্টো বক্তব্য আছে। আমার বিল্ডিং-এ সম্ভবতঃ ৮টা ফ্যামিলি আছে যারা স্বামী স্ত্রী দুজনেই ডাক্তার। দুজনেই প্র্যাকটিস করে বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু সবচেয়ে ওপর তলায় এক বিখ্যাত ডাক্তার থাকেন। তাঁর লেখা বইটই আছে প্রচুর। বাড়ির ভেতরে ঢুকলে মনে হয় আর্ট গ্যালারীতে ঢুকেছি। ওনার স্ত্রীকে আমরা দিদি বলি। খুব হাসিখুশি মহিলা। একদিন ওনার বাড়িতে একটা কাজে গিয়ে দেখি টেবিলে স্তুপাকার কাগজ, নোটস ছড়ানো। আমি জিগালাম "কাজ চলছে কোনো বইয়ের?"
    "হ্যাঁ, ওনার অমুক বইটার নতুন এডিশন বেরোবে, তাই.. মানে ওগুলো আমিই দেখে দিই"
    "তুমি? বুঝতে পারো? মানে এসব..'
    খুব লজ্জা লজ্জা মুখে তিনি জানালেন যে তিনি ও তাঁর ডাক্তার স্বামী একই সঙ্গে পাশ করেছেন ক্যালকাটা মেডিকেল কলেজ থেকে। কিন্তু উনি প্র্যাকটিস করেন না।
    হতেই পারে। কিন্তু একটা জিনিস অবাক করল আর আমার ঘুড়ি ওড়ানো মন সেদিকেই আমায় ঠেলতে লাগল "তুমি প্র্যাকটিস না করতে পারো, কিন্তু নেমপ্লেটে তোমার নামের আগে মিসেস কেন? ডক্টর নয় কেন?"
    উনি আলতো করে বললেন "কি হবে? আমি তো আর প্র্যাকটিস করিনি কখোনো"
    "তোমার ইচ্ছে করে নি কখোনো প্র্যাকটিস করতে?"
    "তুমি কফি খাবে? নাকি ঠান্ডা কিছু দিতে বলি? "
    আমি আর প্রশ্ন করিনি। এঁদের নাম বলতে অস্বস্তি হচ্ছে কারণ জানিনা ওঁরা বা ওঁদের বিদেশে থাকা ছেলে গুচ পড়ে কিনা। কিন্তু এটা ১০০% সত্যি ঘটনা। অথচ সেই বাড়িরই বাকি ৭টা ডাক্তার ফ্যামিলি চুটিয়ে নিজেদের প্রফেশনে নাম ও টাকা কামাচ্ছে।
    রিমি বা পারমিতা যখন বলেন যে কর্তা গিন্নী দুজনেই যদি গুচ পড়ুয়া/লিখিয়ে হয়, তাহলে কর্তা বেশি সময় সেটা করতে পারে, তখন ঐ ৭টা ফ্যামিলির বাইরে গিয়েও ঐ দিদির মুখটা মনে পড়ে।
    তর্কের খাতিরে বলাই যায় যে বাবা টিকেন, তোমায় তো তিনি বলেন নি যে তিনি বাধ্য হয়েই নিজের নামের আগে ডক্টর বসান না, তখন হাসি পেয়ে যেতে পারে টিকেনের। কারণ টিকেন মেয়ে হয়েও ঘুড়ি ওড়াতো ঃ-)
  • pinaki | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৭:৩০ | 131.151.102.250
  • পাইদি ফেভারিট টপিক পেয়ে গেছে। আর দেখতে হবে না। ঃ-))
  • pi | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৬:৩৫ | 128.128.250.98
  • ল্যাব থেকে রাত এগারোটা কি দুটোয় এখানে ফিরতে পারি। দেশেও ফিরতাম তো। হ্যাঁ, বিয়ের পরের কথা ই বলছি। দেশে ফিরে গিয়েও আবার তাই ফিরবো হয়তো, দরকার পড়লে।
    ফেরাটা তো আমার হাতে, তাই না ? সে নিয়ে কথা শুনি কি না শুনি, শোনা কথাকে পাত্তা দিই কি না দিই। কথাটা শুনতে হবে এমন কোন মাথার দিব্বি তো কেউ দ্যায় নাই। দিলেও শুনতাম না। ঃ)
    আর না ই যদি শুনি ( সেটা আপত্তি করে হোক কি পাতা না দিয়ে হোক, কি বুঝিয়ে হোক ) , তাহলে আমি ফাইনাল আউটকামে ডিসক্রিমিনেশনের শিকার ও হলাম না। যে বলছে, তার মনোভাব প্রকাশ পাচ্ছে, আমার তো লবডঙ্কা। তাই না ? ঃ)
    এবার,বাড়িতে যিনি কাজ করেন তাঁর মেয়েও সেই অন্যের কথা না শোনার, নিজের কথা বলার জায়গাটায় আদৌ আছেন কি ? একটু ভেবে বলুন কমরেড। থাকলে আর নিজেকে প্রিভিলেজ্‌ড বলবো না। কালেক্টিভ ডিসক্রিমেনেশনের শিকার হিসেবে নিজেকে সামিল করবো। ঃ)

    শুধু মেয়েদের ফ্যামিলি ফার্স্ট বলে কথা শোনানোটা যে বলছে তার দিক থেকে জেন্ডার ডিস্ক্রিমিনেশন হতে পারে, আবার 'ডিস্ক্রিমিনেট' করবো বলেই ভেবেচিন্তে করা হচ্ছে ব্যাপারটা, এমন তো না ও হতে পারে, এমনি ই চলে আসছে, এটাই স্বাভাবিক এমন ভাবনা থাকতে পারে। আর থাকেও।
    সেটা যে ঠিক তা বলছি না, কোনো ডিস্ক্রিমিনেশন কোন পুরুষ করেন না, এমনটাও মোটে বলছি না। কিন্তু এটার বাইরেও আছে কিছু সেট। তাদেরকেও স্পেস দেওয়া উচিত। সবকিচু ঐ কালেক্টিভ ব্যাপারস্যাপারে না ঢুকিয়ে।

    অন্যদিকে তেমনি আবার এটাও ঠিক , এই ফ্যামিলি ফার্স্ট কিন্তু অনেক মহিলা নিজেও মনে করেন, ভালোবেসে ই মনে করেন, হ্যাঁ হয়তো কেউ কেউ সো কলড পুরুষতান্ত্রিক সমাজ দ্বারা কন্ডিশনড হয়ে মনে করেন (এখানে আমার ধারণ, কিছু কিছু/অনেক পুরুষ ও কিন্তু নিজেদের বেলায় এই ফ্যামিলি ফার্স্ট ব্যাপারটা বলতে পছন্দ ই করবেন, বা করতে পারতেন, যদি না পরিবারের অর্থোপার্জনের দায় টা তাঁদের ই ফার্স্ট, সেই প্রচলিত ধারণা এবং চাপ টা না থাকতো। হ্যাঁ এটাকেও আমি চাপ ই বলবো। ফ্যামিলি ফার্স্ট চাপ হলে এটাও চাপ। কারো কারো জন্য। আবার কারো কারো জন্য নয়। আর সেটা পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে)।

    তো, যাই হোক, নিজে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে স্বেচ্ছায় ভালোবেসে হোক, কি কন্ডিশনড হয়ে পরের ইচ্ছয় , কিন্তু আদতে একটা ভালোল্গার জায়গা থেকে যিনি এটা করছেন , তিনি ও তাঁর মর মহিলারাও একটা সেট। তাঁদেরকেও স্পেস দেওয়া উচিত।
    সেটা না দিয়ে সবকিছু গোদাভাবে কালেক্টিভের পালে ঢোকাতে গেলে গাদাগদি ভীড়, ছড়ানো ছিটানো একটা দশা হবে আর কি।
  • a x | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৫:৪২ | 143.111.22.23
  • G, আপনার প্রশ্নটা আগে দেখিনি। হ্যাঁ ল্যারি সামার্সের কথা ভেবেই ওটা বলা। women do not have the innate ability to work in high end fields এরকম কিছু বলেছিলেন না? এক্স্যাক্ট কথাটা মনে নেই।

    এনিওয়ে, ল্যারি সামার্স নিজে বলেছেন উনি প্রোভোকেটিভ হওয়া পছন্দ করেন। এই প্রসঙ্গে উনি বলেছিলেন, যে আগে লোকেরা পরিবেশকে, সামাজিক কারণ গুলোকে বেশি গুরুত্ব দিত, বায়োলজির চেয়ে (নেচার ভার্সাস নার্চার) কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, তা উল্টো।
    এটির স্বপক্ষে উনি কি উদাহরণ দেন? না আগে অটিসম কে ভাবা হত frigidaire motherএর কারণ বশতঃ এখন দেখা যাচ্ছে, তা আসলে জেনেটিক্স জনিত।

    কাজেই সব ডিস্ক্রেপান্সিই এবার জেনেটিক্স দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া যায়? ওয়াটসন আর কি ভুল বলেছিলেন? উনিও তো জেনেটিক্সের ব্যাখ্যা নিয়ে এনেছিলেন কালোরা আসলে বোকা প্রমাণ করতে। কজেই উনিও এই অটিসমের গল্পটা বলতে পারেন।
  • a x | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৫:২৩ | 143.111.22.23
  • হ্যাঁ অমুক লোক তেল দিয়ে পেল, অমুক লোকে তমুকের জামাই এগুলোর জন্যও একটা নাম আছে তাকে ইংরেজিতে বলে নেপোটিসম। বাংলায় স্বজনপোষন। আর আমি মেয়ে বলে এরকম কিছু হলে তাকে জেন্ডার বায়াসই বলে।
  • a x | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৫:২১ | 143.111.22.23
  • তার প্রিভিলেজের অভাব হবে ওটা।
  • a x | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৫:১৮ | 143.111.22.23
  • আর তোমার অফিসের সেই মহিলার বিরুদ্ধে তুমি খুব ভালো ভাবেই জেন্ডার বায়াসের অভিযোগ আনতে পারতে। না আনার কি আছে? আমার চেনা একটি মেয়ে সেক্সুয়াল হ্যারসমেন্টের জন্য চাকরি হারিয়েছে।
  • a x | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৫:১৫ | 143.111.22.23
  • ঈশান, আমার কথায় অলংকার জুড়লেই সেটা ভুল হয়ে যায়না। আমি এবং আমার বাড়ির কাজের মেয়ে এক আসনে যে নেই, সেটা আমাকে কেন, এখানে কাউকেই বলে দিতে হবেনা। তোমার তর্কের এই একটা রিপিটিটিভ বিহেভিয়ার আছে। তুমি, যে বলল, তার কথাটা একস্ট্রাপোলেট করে, তারপর সেখানে নিজের বক্তব্য নিয়ে গিয়ে খন্ডন কর। এটাকে কি অলংকরে ভূষিত করা যায় নিজেই সাজেস্ট কর।

    আমি লিখেছিলাম দুজনের দেরী করে রাতে বাড়ি ফেরার মধ্যে সমাজের রিয়াকশনের মধ্যে যে সাদৃশ্য। একটা ওভারল্যাপিং সেটের কথা বলা হয়েছে। তার ক্ষেত্রে আরো অনেক অনেক অনেক অসুবিধে জুড়বে তার সাথে। তার প্রিভিলেজ লিঙ্গ ছাড়িয়ে আরো অনেক দূর অবধি। কিন্তু হ্যাঁ মিল আছে। একটা সোশ্যালি অপ্রেসিভ পরিবেশে মিলটা আরো প্রকট।
  • Tim | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৫:১২ | 71.62.121.158
  • অক্ষ,
    বুঝলাম। এরকম এখানে আগে কাউকে বলতে শুনিনি। তবে দেশে থাকতে এগুলো খুব ঘনঘন শুনতাম।
  • Ishan | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৫:০১ | 12.163.39.254
  • দুইটি কথা বলে বাড়ি যাই।

    এক। আমি তক্কো করার জন্য উদ্ধৃতি তুলিনি। আপনি দাবী করলেন, একটা কথা কেউ বলেনি। দেখান দেখান। তাই বাধ্য দেখালাম। "কেউ বলেনি' টা এরপরেও কিভাবে এসটাবলিশ করবেন, সে আপনার ব্যাপার। ঃ)

    দুই। আপনার সিদ্ধান্তের স্যাম্পল সাইজ কতো? দুই? বেচারি ব্রতীনেরও এর চেয়ে বেশি ছিল। ঃ)
  • G | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৫:০০ | 136.142.104.70
  • একটা প্রশ্ন - হার্ভার্ডের কোন অধ্যাপক আবার বলতে গেলেন মেয়েরা ইনেফিসিয়েন্ট হয়?
    ল্যারি সামার্স কিন্তু বলেন নি।
  • Paramita | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৪:৫৪ | 63.82.71.141
  • অক্ষ যে কনটেক্সটে বলেছে তাতে ওটার মানে ঝোঝা যায়। কনটেক্সট না বলে ঝপ করে একটা অসংগতিতে ভরা লাইন তুলে তর্ক করা পুরোনো পদ্ধতি। কিন্তু শুধু জেতার জন্যই কি তর্ক? সত্য, মহান, চরম, অপার, নিখাদ সত্য তবে কেউ না, কিছু না?
  • Paramita | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৪:৫০ | 63.82.71.141
  • লাস্ট একটা কথা। ঈশেন বলেছে "এখানে অনেক মহিলাই লেখেন যাদের বরদের টিকিটিও দেখা যায় না"। বরদের টিকি দৃশ্যমান থাকে না বলেই হয়তো মহিলারা লিখতে পারেন (বা পারতেন)। যবে থেকে বরদের টিকি(বা টাক) গুচতে দৃশ্যমান হতে শুরু করে তবে থেকে সংশ্লিষ্ট মহিলাদের টিকির অনুরূপ দশাপ্রাপ্তি ঘটে।

    অর্থাৎ একই পরিবারের পুরুষ ও নারী দুজনেই যদি গুরুর হোলটাইমার হতে চায় পুরুষের ভাগ্যেই শিকে ছেঁড়ে।
  • Ishan | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৪:৩৯ | 12.163.39.254
  • অক্ষ বলেছে। না বললে এতো কথা বকছিই বা কেন? :)

    "কি আশ্চর্য। নতুন কথা বলছ। একটা কোনো কালেক্টিভ ডিস্ক্রিমিনেশন নেই মেয়েদের?! আমি সোশ্যালি প্রিভিলেজড?! আমি রাত ১১টায় বাড়ি ফিরলে যা হবে, আমার বাড়িতে যিনি কাজ করেন, তার মেয়ে ফিরলে যা হবে তার মধ্যে কোনো সাদৃশ্য নেই? আর তুমি বাড়ি ফিরলে যা হবে, তার সাথে কোনো তফাত নেই?"

    Date :17 Sep 2009 -- 01:14 AM

    কিন্তু এসবে জড়িয়ে পড়লে আমি ম্যানিফেস্টো রচনা করব কখন? :(
  • vikram | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৪:৩২ | 83.71.238.44
  • কদিন বাদে খাতা খুঁজে পাই না। করেছি্‌হ। লাভ হয় না। খরচ কমিয়ে কি আর সেভিংস বাড়ানো যায় রে পাগোল!
  • Paramita | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৪:৩০ | 63.82.71.141
  • একজন বলেছিল মাইনে কমে গেলে বা চাকরি না থাকলে হিসেবের খাতা রাখতে। ঘুমোনোর আগে সেটা বারবার দেখতে ও আত্মস্থ করতে। তাহলে নাকি খরচ কমে যাবে অটোমেটিকালি। সেল্ফ হিলিং সিস্টেম।
  • Paramita | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৪:২৫ | 63.82.71.141
  • বাড়ির কাজের মেয়ে আর আমি একাসনে এটা কেউ বলে নি তো। দেখান দেখান।
  • Paramita | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৪:২৩ | 63.82.71.141
  • এখন হবে না। রিমিবর্ণিত সেম সেম বৈষ্যম্যের হাত থেকে মুক্তি পেলে বাড়ি থেকে কখনো পরে লিখবো।

    শেষ পোস্টের জবাবে ঃ হ্যাঁ, পারতেই তো।
  • vikram | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৪:২২ | 83.71.238.44
  • মাঝে মাঝে ছবিতে রং করে।

    আমার আবার প্রত্যেক বছর মাইনে কমে যায়। এইটা যে কি বায়াস সেইটা আমি জানি না।
  • Ishan | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৪:২১ | 12.163.39.254
  • এই বলতে মনে পড়ল। আমার এক মহিলা ম্যানেজার ছিলেন একদা। সব ভালো, কিন্তু সর্বক্ষণ মেয়েদের গুণ গাইতেন আর ছেলেদের নিন্দে করতেন। তাঁর কিছু কাজ আমার পছন্দ হয়নি। কিন্তু সেটা হলেই আমি কি তাঁর বিরুদ্ধে জেন্ডার বায়াসের অভিযোগ আনতে পারি?
  • Paramita | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৪:১৮ | 63.82.71.141
  • আর্কিটেক্টরা আর্কিছু করে না? এআর্কি?
  • Ishan | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৪:১৮ | 12.163.39.254
  • কমরেডস। ওমুক লোক অযোগ্য হয়েও আমার আগে প্রোমোশন পেয়ে গেল, ওমুক কাজটা করতে চেয়েও পেলাম না, ওমুক লেঙ্গি দিল, এ জিনিস বলছেন, ছেলেদের ফেস করতে হয়না? মেয়েদের হলেই আমি সেটাকে জেন্ডার বায়াস কেন বলব?

    ধরুন, আমেরিকায় বিজনেসের উঁচু পদে শুধু মেয়ে কেন, ভারতীয়দেরই খুব একটা দেখা যায়না। তারা কোডিং ইত্যাদিই করে। সেটাকে ফ্ল্যাটলি রেসিজম বলব? আপনিও জানেন আম্মো জানি, জিনিসটা অতো ফ্ল্যাট না। এখানে পার্সোনাল রিলেশন ইত্যাদি প্রভৃতি বহু কিছুই রোল প্লে করে।

    আবার তার মানে এই নয়, যে, পৃথিবীর কোত্থাও জেন্ডার বায়াস নেই। আছে ভীষণ রকম আছে। কিন্তু সমস্ত সমস্যাকেই জেন্ডারের বা রেসের ঘাড়ে চাপানোটা অন্যায়। (এই যেমন অক্ষ যে উদাহরণ টা দিয়েছে, এর সঙ্গে জেন্ডারের কোনো সম্পর্ক খুঁজে পেলাম না)।

    আর অক্ষকে। জারোয়াদের প্রবলেম একরকম, মেয়েদের প্রবলেম আরেকরকম, থার্ড ওয়ার্ল্ডের প্রবলেম আরো একরকম। সে নিয়ে কেউই তক্কো করছেনা। কিন্তু বাড়ির কাজের মেয়ে আর আর আমি, দুজনেই মেয়ে বলে একই আসনে বসে আছি বললে, একটা মেকী বিপ্লবী চেতনা আসে, নিজের প্রিভিলেজড পোজিশনটা ঢাকা যায়। একই ভাবে আমি থাকি বহুতলে কিন্তু "প্রগতিশীল' বলে আমি রাস্তার খেটে খাওয়া প্রান্তিকদের সঙ্গে একই আসনে বসে আছি বললেও সেই একই রকম বিপ্লবীয়ানার আত্মসুখ আসে। এই দুটোকে ইকুয়েট করা হচ্ছে। অন্য কিছু না।
  • vikram | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৪:১৫ | 83.71.238.44
  • আর্কিটেক্ট রা তো ছবি আঁকে, মানে বলে তাই! কোড করবে কেন?
  • Paramita | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৩:৪৪ | 63.82.71.141
  • আরে ঐ আর্কিটেক্ট একদম ভোলেভালা কোড- লিখিয়ে-নাথিং-এল্‌স-ম্যাটারস টাইপ ছিল না। কূট শিরোমণি, ম্যানেজারের যাবতীয় ডিসিশনকে প্রভাবিত করত।
  • a x | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৩:৪৩ | 143.111.22.23
  • এক্স্যাক্টলি দু, ইন্দ্র নুইয়াকে নিয়ে এই কথাটা আমিও শুনেছিলাম, এবং যে বলেছিল, তাকে একই প্রশ্ন করেছিলাম।
  • vikram | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৩:৩৮ | 83.71.238.44
  • আর্কিটেক্টদের কথা ধরতে নেই।
  • Paramita | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৩:৩৬ | 63.82.71.141
  • আমেরিকার সফটওয়ার আপিশে ঈশানের দেখার বাইরে অনেককিছু রয়ে গেছে। লিঙ্গ বৈষম্য সর্বত্র, সব লেভেলে আছে। একই জায়গায় উঠতে এক কর্মদক্ষতা কি মেধা নিয়ে মেয়েদের অনেক বেশী পরিশ্রম করতে হয়। একটা লেভেলের পরে খুব কম মেয়ে যেতে পারে। থরো কাজগুলো নাকি মেয়েদের দিয়ে হয় আর অ্যাগ্রেসিভনেস দেখাতে ছেলে চাই ম্যানেজমেন্টে - এসব খুব চেনা ছক। এক ধরনের সূক্ষ্ম বৈষম্যের শিকার হয়ে যখন আমি একটা বেশ নামকরা মাল্টিন্যাশনাল ছেড়েছিলাম, "আই হেট টু সে দিস বাট আই মাস্ট অ্যাডমিট জেন্ডার বায়াস ওয়ার্কড সামহোয়ার" এই স্বীকারোক্তি পেয়েছিলাম আমার তখনকার গ্রুপের এক আর্কিটেক্টের কাছ থেকে। বিভিন্ন কারণে আমি ফলো আপ করিনি আর সেই কনভার্সেশন প্রমাণ করারও উপায় ছিল না। মেয়েদের স্যালারি পাওয়া যেন সংসারে আসা একটা উপরি টাকা, তার জন্য কম্পিটিটিভ না হলেও চলে, বহুক্ষেত্রে এমন হিন্ট পাই। আমার তো বেশ সন্দেহ আছে একই গ্রেডে ছেলেরা বেশী বোনাস টোনাস পায় ঐ কারণে। প্রমাণ নেই যদিও।
  • a x | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৩:৩২ | 143.111.22.23
  • আর ঈশান, থার্ড ওয়ার্ল্ডের প্রবলেম এক রকম, মেয়েদের প্রবলেম এক রকম, বয়স্কদের প্রবলেম এক রকম, থার্ড ওয়ার্ল্ডের মেয়েদের প্রবলেম আরেক রকম, থার্ড ওয়ার্ল্ডের বয়স্ক মেয়েদের প্রবলেম অন্যরকম, এ নিয়ে তো কেউ তর্ক করছেনা।
  • Du | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৩:২৩ | 65.124.26.7
  • আর তো আর, ইন্দ্রা নুইয়ের গল্পই শুনেছি যে তার ছেলেমেয়ের সাথে সম্পর্ক খুব খারাপ - তাদের অবহেলা করেছে চিরদিন - যে বলেছে সে কস্মিনকালে ইন্দ্রা নুইয়ের ফ্যামিলি ফ্রেন্ড নয় । সুতরাং এই গল্প বহুদুর ট্র্যাভেল করেছে এবং শুরুটা কতদুর অথেন্টিক কেউ যাচও করেনি । আর কোন সি ই ও সম্পর্কে এরকম গল্প কেউ শুনেছ?
  • pi | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৩:২২ | 128.128.250.98
  • কর্মক্ষেত্রে, বাড়িতে ডিস্ক্রিমিনেশন ?
    কই, টের পাই নাই তো।
    তার মানে নেই কী ? তাও না।
    কিন্তু আমি কি কালেক্টিভ ডিসক্রিমিনেশনের পার্ট
    রাত এগারোটায় বাড়ি ফেরার জন্য যদি ডিসক্রিমিনটরি ব্যবহার পেতে হয় ( রাতে একা ফেরা জনিত সিকিউরিটি প্রসঙ্গ আনছি না এখানে) , আর সেটা আমি, আমার এই জায়গায় থেকেও অনিচ্ছা সঙ্কেÄও অ্যাকসেপ্ট করে নি, তাহলে সেটা আমার একরমের ব্যর্থতা বটে। নিজেকে ডিসক্রিমিনেশনের শিকার, কালেক্টিভ ডিস্ক্রিমিনেশনের অঙ্গ মনে করে চলাটা কেমন এক ধরণের বিষাদবিলাসিতা লাগে। কখনো কখনো।
    ডিসক্রিমিনেশনের শিকার মেয়েরা হয়না, এমন তো না। খুব ই হয়। আবার পুরুষ প্রজাতি মানেই ইনহেরেন্ট শত্রুপক্ষ, এমনটিও না।
    এবং মেয়েদের ডিস্ক্রিমিনেশন নিয়ে বলতে গেলে, ফিল করতে গেলে আজন্ম নিপীড়িত হয়ে চলা জগতের আপামর নারীজাতি এক হও আহ্বান তুলে তাদের সাথে নিজেকে একাত্ম বোধ করতে হবে, নিজেকে তাদের প্রতিভূ মনে করতে হবে,এমনটিও বোধহয় না করলেও চলে।
    কেউ করতেই পারে। আমার করতে অস্বস্তি হয়।

    শুধু অস্বস্তি না, এটাও মনে হয়, তার থেকে ও বড় কথা, এই কালেক্টিভ ডিসক্রিমিনেশনের লিস্টি বানানিয়ে তাতে নিজেদের নাম ঢুকিয়ে ভীড় বাড়ানোর চক্করে যে ডিসক্রিমিনেশন গুলো সত্যি অনেক বেশি অ্যাটেনশন, প্রতিবাদ দাবী করে, সেগুলো কেমন যেন ডাইলিউট হয়ে যায় মনে হয়।

    ব্রতীনবাবু যা কথা বলেছেন , তা নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে ই পারেন।
    হ্যাঁ, হ্যাঁ, 'বলাই বাহুল্য' কানে লেগেছিলো, বলায় বাহুল্য। কিন্তু উনি তো স্বীকার ই করেছেন,লুজলি বলেছেন। সেটা কোন গুরুতর অপরাধ তো মনে হয় না।
  • a x | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৩:১২ | 143.111.22.23
  • আমি বলতে তুমি আমি-ই বোঝাচ্ছ এটা তো আমি বুঝিনি। আমি বলতে তুমি আমাদের অর্থনৈতিক শ্রেণী বোঝাচ্ছ ভেবেছিলাম। হ্যাঁ আমি এখন যেখানে, সেখানে রাত ২টোতেও ফিরতে পারি। এই আমিই যদি দেশে চলে যাই, পারবনা, তুমি এখনও পার, পরেও পারবে।

    কিন্তু এখানেও "বাচ্চার মাকেই বেশি দরকার, তাই এখন ক বছর একটু কম কাজ করলে কিছু হবেনা, family first" এই গল্প শুনেছি। ফ্যামিলির কো-ফাউন্ডারকে শুনতে হয়নি। ঐ যে রিমি বলল, মানসিকতা। আমি নিজেকে নিপীড়িত মনে করিনা, যদিও সারা ছোটবেলা চোখের সামনে দেখেছি, বড় হয়েছি অজস্র ডিস্ক্রিমিনেশনের মুখোমুখি হয়েই, আর বাস-ঘাটের গল্প তো ছেড়েই দিলাম নিজের আত্মীয় স্বজনেই যা করেছে, তার কিছু ছাপ কোথাও রয়ে গেছে। কিন্তু অমি একা, আমার জীবনে কি মনে করি, সেই কথাটা এখানে হচ্ছেনা, তুমি কালেক্টিভটা কাটিয়ে ইন্ডিভিজুয়ালে চলে যাচ্ছ, এবং সহজ টার্গেটে চলে যাচ্চ।

    টিম, হ্যাঁ, সায়েন্সে আমি দেখেছি। বহুবার। এরমধ্যে একটি বলছি। আমাদের চেয়ারপার্সন রিক্রুটের সময়। অবশেষে একজন মহিলাই হয়েছিলেন, কেনন এঁরা যে ভদ্রলোককে বেছেছিলেন তিনি আল্টিমেটলি অফার রিজেক্ট করেন। সেই ভদ্রমহিলার কেন অত পাব্লিকেশন তার একটা বিশেষ কারণ পেয়েছিলাম। এবং একাধিক লোকের কাছ থেকেই। সবই যদিও অনুমানের ওপর। মানে তাঁদের অনুমান।
  • Tim | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৩:০১ | 198.82.28.207
  • উফ্‌হ এতক্ষণে ছুটি হলো। ঃ-)
  • tkn | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০২:২১ | 122.173.176.23
  • ঃ-))
    টবে কি টার নিজেরই বোঝা উচিট না?? ঃ-))
  • Tim | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০২:১৮ | 198.82.28.207
  • টবে আর বলছি কি! ঃ-)
  • tkn | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০২:১৭ | 122.173.176.23
  • অ ঃ-) তাই মামুর নামে ট আছে? ঃ-)))
  • Tim | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০২:১৬ | 198.82.28.207
  • আমাদের সাথে একটা ছেলে ফুটবল খেলতে আসে, প্রথমদিন এখানকার ছেলেরা তার নাম উচ্চারণ কত্তে গিয়ে হিমসিম। শেষকালে একটু পাল্টে say cat! বলতে শুরু কল্লো। বল্লে বিশ্বাস করবে না, এখন ওকে ভারতীয় বন্ধুরাও ঐ নামে ডাকে।
  • tkn | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০২:১৬ | 122.173.176.23
  • তবে ঘুড়ি ওড়ানো মেয়ে কখোনো না দেখাটা তেমন দোষের কিছু নয়। পুরুষ অনেক কিছুই দেখেও দেখে না আবার অনেক কিছুই দেখে যা না দেখলেও চলে ঃ-))
  • tkn | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০২:১২ | 122.173.176.23
  • তাই আর বলে না..
  • tkn | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০২:১১ | 122.173.176.23
  • ইয়ে, একটা গান গাই?

    আ দেখে জরা.. কিসমে কিতনা হ্যায় দম
    জমকে রাখনা কদম.... ঃ-)))

    মেয়েরা সবই পারে, বরং কিছু কিছু বেশি পারে, যা মেয়েরা নেহাত মেয়ে বলেই বলে পুরুষকে লজ্জা দেয় না
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত