সিএবি-তে এখন জগুদা না অন্য কেউ? জগুদা ছিপিয়েমপন্থী না বিরোধী? বুদ্ধবাবু তো প্রসুন মুখুজ্জেকে জগুদার উল্টোদিকে খাড়া করসিলেন। আমি ঝিঁঝিঁ নিয়ে কোনো খপর রাখি না - রেডিওতে বল্ল তাই শুনলুম।
Bratin | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:৫৭ | 125.18.17.16
সেকি সেই ৯৩ থেকে মাঠে যাচ্ছি। মাঠের ঐ electrifying atomosphere আর পাবে কোথাও? ইয়ে, কালকে ই BBQ এ গিয়ে প্রচুর খেলাম। পিলাম অল্প । ঐ এক পেগ শিভাস রিগাল
Bhuto | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:৫৬ | 203.91.201.56
ছিপিয়েমের চক্রান্ত বলছো?
Bhuto | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:৫৫ | 203.91.201.56
৮০০০ ? ফুঃ , বুনু শুনলে হাসবে। ১ হাজারে ওপিয়ামে ব্যপারটা মিটে যাবে। সাথে বুনু আর বোধিদাকে নিয়ে যেতে পারলে ওরা ফ্রী কমেϾট্র ও করে দেবে ;)
Arijit | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:৫৪ | 61.95.144.122
রেডিওতে যে বল্ল খেলাটা সর্বসাধারণের জন্যে নয়? কোনো ক্লাবের মেম্বর না হলে টিকিট মিলবে না। এই ইস্যুতে একটা ইডেন অবরোধ হয়ে যাক;-)
Bhuto | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:৫৪ | 203.91.201.56
ফ্রাস্টু খাবার কিছুই নাই। বরং যা খাবার তাই খাও। ওপিয়ামে যাও, মাল খাও , খেল দেখো। রিপ্লে,আÒট্রা স্লো মোশন , ক্লোস ভিউ কি চাও সব টিভিতে দেখাবে। সাথে রঙ্গীন গ্লাস টুং টাং করবে। পারলে বস-টস কেও নিয়ে যেতে পারো। খেলা দেখতে মাঠে আমরা ছোটোবেলায় যেতাম, এখন কেউ গেলে তাকে বুকা কয় ঃ) । একমাত্র বুকাননই মাঠে যান ;)
Bratin | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:৪৪ | 125.18.17.16
প্রচুর চেষ্টা করে ও ইডেনের টিকিট পেলাম না।তাই প্রচুর ফ্রাষ্টু খাচ্ছি। এখন এক জন বলল ৮০০০ দিলে ভেতর থেকে ব্যবস্থা করে দেবে। ও ত টাকা দিয়ে যাব না
a x | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:৩৫ | 99.165.171.94
ললকাড়না - ম্যাগোহ
স্টেডিয়াম খচাখচ ভরে হুয়ে হ্যায়ঁ - এহ্
aka | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:৩৪ | 24.42.203.194
রাজনীতির টইয়ের সবথেকে মজার ব্যপার হল সিপিএম সমর্থকরাও অন্য সিপিএম সমর্থকদের কাছে ঝাড় খেয়ে যাচ্ছে। কি দাপট। বাপস।
kc | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:৩১ | 213.132.250.2
নুনি হল অনেকটা নোনা ইলিশের মতন ব্যাপার, সামরানদি ভাল করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, আরো ভাল জানতে হলে সম্পাদককে জিগান, না হলে আমাকে বকা খেতে হবে। ঃ)
aka | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:৩০ | 24.42.203.194
চুপ চুপ, করছ কি।
a x | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:২৯ | 99.165.171.94
হুশ্শ্ নুনি নিয়ে একদম কোনো কথা না। সাইটই উঠে যাবে!
sinfaut | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:২৬ | 203.91.193.50
কিন্তু আমি নুনি বিষয়ে জ্ঞানলাভ করতে চাই। প্রকাশ্যে কিংবা কানে কানে।
kc | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:২৬ | 213.132.250.2
দুমুখোর আগেকার এডিশন হল দোগলা, এক্ষেত্রে আলোচ্য ব্যক্তির ভিন্নধর্মী কথা হয়তো আলাদা গলা দিয়ে উঠে একই মুখ থেকে নির্গত হয়। ঃ)
sinfaut | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:২৪ | 203.91.193.50
দোগলা - দুরকম গলা কাছাকাছি শব্দ - দুমুখো।
আন্দাজে বললাম।
দোনলা - দুটো নল যার। (তবে আপাতত অপ্রাসঙ্গিক)
ইত্যাদি।
aka | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:২২ | 24.42.203.194
কেউ কোন উত্তর দেয় না। আসলে কেউ কিস্যু জানে না।
aka | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:১৯ | 24.42.203.194
হোয়াট ইজ দা মিনিং অফ 'দোগলা'?
aka | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:১৭ | 24.42.203.194
ভালো হিন্দিতে হল 'ললকারনা'। যেমন দিদি তখন প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে বুবাবুকে বলিলেন 'ম্যায় তুঝে ললকারতা হুঁ, বাহার নিকাল'। (ডিঃ মাঝরাতে লিখলাম বলে কিছু মনে করবেন না যেন)
a x | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:১০ | 99.165.171.94
ধুস্ বাংলা ভাষাটা একদম ভাল্না। এমনকি হিন্দিতেও চুনৌতি হয়।
Samik | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:০৪ | 122.162.75.194
আমি পোথোম দলে পড়তে চাই। চাইইইইইইইইইইইইইইইইই।
kc | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:৫৮ | 213.132.250.2
ঈশান, ;-), ঃ))))
Ishan | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:৫৭ | 173.26.17.106
কিন্তু নুনি তো অত্যন্ত গোপন একটা ব্যাপার। যারা জানে তারা জানে এ নিয়ে রা কাড়তে নেই। আর যারা জানেনা তারা তো জানেইনা।
কেসি এ দুয়ের মধ্যে কোনোটাই নয় দেখে আমি পো ও ও ও চন্ড অ বা আ আক হচ্ছি।
kc | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:৫৪ | 213.132.250.2
নুনিকে নিয়ে ঈশান অনেক জানে, আরো অনেকেই জানে, কিন্তু তারা সেসব কথার ধারকাছ দিয়েও যায়না। ঃ))
Ishan | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:৫২ | 173.26.17.106
উরেত্তারা। এইটা হেবি দিল কিন্তু।
তবে সবক্ষেত্রে লাগানো যাবে কি?
Samik | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:৫১ | 122.162.75.194
চ্যালেঞ্জের বাংলা প্রতিস্পর্ধা।
Ishan | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:৫১ | 173.26.17.106
চ্যালেঞ্জের বাংলা নেই।
কিন্তু অক্ষদা কেবল বাংলা জিগায় কেন?
Arijit | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:৫০ | 61.95.144.122
নুনি আবার কে? রুনিকে চিনি, নানিকেও ছিনি। নুনি কি তাদের কেউ?
Ishan | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:৫০ | 173.26.17.106
নুনি নিয়ে একদম ইয়ার্কি না।
a x | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:৪৫ | 99.165.171.94
চ্যালেঞ্জের বাংলা কি?
kc | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:৪৫ | 213.132.250.2
টইগুলোতে নুনিকে নিয়ে লেখা এবার শুরু হল বলে ..... ঃ)))
Samik | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:৪৪ | 122.162.75.194
অ্যাকদম।
উরিবাবা। জমে যাচ্ছি ঠান্ডায়। দিল্লি নেমেছে পাঁচ ডিগ্রিতে। আরও নামিং।
a x | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:৪১ | 99.165.171.94
মানে "এইখানে প্রস্রাব করিবেন না" না লিখে, "এইখানে এবং এইখানে প্রস্রাব করুন" লিখলে বেশি কার্যকরী হবে বলছ?
Samik | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:৩৭ | 122.162.75.194
দ্যাখো, বেস্ট হয় দুটো টই খুললে।
১) এইখানে সিপিয়েমকে খিস্তি মারুন
২) এইখানে তৃণমূলকে খিস্তি মারুন
ব্যস। তা হলেই হবে।
a x | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:৩১ | 99.165.171.94
এতগুলো টইতে আঁটছেনা, এ বলে একটা টই খুলবে গলাবাজির!
Ishan | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:৫৯ | 173.26.17.106
আচ্ছা, রিমি, দীপু আর অপ্পনকে আগামী জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা।
আর গলাবাজি বলে একটা টই খুল্লে হয়। ঃ)
aka | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:২২ | 24.42.203.194
আরে এটা সাম্পান এখনো করে। আমাকে মাঝে মাঝেই মাম্মি বানিয়ে দেয়।
Arijit | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:১৯ | 61.95.144.122
আরো আছে। সারাদিন ধরে আমাকে বলা হল "তুমি মা' (কিছুতেই শোধরানো গেলো না)। রাতে মা আসতেই "এতা মা, টুমি মামি' (কিছুদিন আগে ওকে একটু খেপানো হয়েছিলো - যে ওটা মা না, ওটা মামি)।
aka | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:১৯ | 24.42.203.194
এই মেয়ের হবে। ঃ)))
pi | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:১৫ | 72.83.210.50
টোমার টাটেই টা টো যা-টা ঠিয়েছে ! ঃ)
Arijit | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:১৩ | 61.95.144.122
উরিবাবা - টেবিল চেয়ার বাক্সো সবের ওপরে খচরমচর করে উঠে দৌড়ে পালায় - সে খাওয়াতে যাই কি জল খাওয়াতে যাই কি চান করাতে যাই - সবেতেই। বারান্দায় খেলতে বসিয়ে চা বসাতে গেলুম - এসে দেখি বারান্দার গ্রিল বেয়ে চারফুট ওপরে উঠে ঝুলছে। খাওয়ার টেবিলে উঠে নাচতে গিয়ে দুবার পড়েছে - দুবারই ক্যাচ ধরেছি ভাগ্যক্রমে। এম্নিদিনে রীতা বলে একজন হেল্পার আছে মায়ের - তার সাথে একটু ঘুরতে যায় - এইকদিন তাকে ভাগিয়ে দিয়ে আমাকে বলছে "আমি টোমার টাটেই ঠাকবো বলে এসেঠি টো'।
একমাত্র দুটো জিনিসে চুপ থাকে - এক - খাতায় সাইকেল এঁকে দিলে - তবে সেটার মুশকিল হল একটা সাইকেলে হয় না। সমস্ত রকম রঙ দিয়ে গণ্ডায় গণ্ডায় আঁকতে হয়। আর দুই - স্মিগেল/গোলাম (লর্ড অব দ্য রিঙস) - ভয় পায় না, দিব্যি নকল করে বরং। ঋক এখনো ভয় পায়।
pi | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:০৪ | 72.83.210.50
ঃ)
আর তোমাকে অদ্ধেক করলো ক্যামনে ? দৌড় ঝাঁপের কিছু নমুনা দাও।
Arijit | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:০১ | 61.95.144.122
মেয়েটা বড় হয়ে ফিলিম স্টার হবে - নিগ্ঘাত। কাল দুপুরে খাওয়াতে বসেছি - দুদিন দিব্যি ঝোলভাত খেয়ে নিয়েছে লক্ষ্মীমেয়ে হয়ে। কালও খাচ্ছিলো - পাবদা মাছের ঝোল আর ভাত। শেষের দিকে আর খুব একটা ইচ্ছে ছিলো না - বারকয়েক না-না করলো, মুখে হাত চাপা দিলো - তো আমি তাও বেড়ালছানা দেখাবো, ভালুক দেখাবো ইত্যাদি বলে খাওয়ানোর চেষ্টা করছিলুম। হঠাৎ মুখে হাত দিয়ে ভ্যাঁ করে কান্না - চোখে জলটল এনে - নাকি কাঁটা লেগেছে (পাবদা মাছে!) - আমি তো ভয় পেয়ে ভালো করে দেখলুম আঙুল দিয়ে, টর্চ দিয়ে। শেষে একটু ভাত গেলাতে গেলুম, খেলো না - বল্ল জল খাবে। একঢোক জল খেয়েই বল্ল "ঠিট হয়ে গেঠে'। আমি বল্লুম তোর কাঁটা লেগেছিলো? বল্ল বিকেলে লেগেছিলো...
মানে বেসিক্যালি খাওয়াটা বাতিল্করার জন্যে এত কান্ড...
pi | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৯:৫১ | 72.83.210.50
আর হার্ড ড্রাইভ, পেন ড্রাইভেরা আমাকেও অনেক দুঃস্বপ্নের রাত,দুর্ভোগের দিন ইত্যাদি দিয়েছে। রেট্রোস্পেক্টে দেখলে আমিও তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করি নাই। আজ অনুতাপ হয়। কিন্তু , ঐ কমপ্যাটিবিলিটির সমস্যা, কি আর করা যাবে।
pi | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৯:৫০ | 72.83.210.50
ঃ)
আচ্ছা, আমরা কখনো মোরগের কিম্বা ছাগলের মাংস খাই, এরকমটা বলিনা কেন ?
Arijit | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৯:৫০ | 61.95.144.122
উফ্ফ্ফ্ফ্ফ তিনদিনে পুরো আদ্ধেক হয়ে গেছি। আজ আপিসে এসে এট্টু রেস্ট হবে।
Samik | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৯:৩৭ | 122.162.75.194
ঃ-)
কোনো মানে হয়! আমার বাড়ির সামনে আইম্যাক্সের জায়ান্ট স্ক্রিন আছে। সেখানে থ্রিডি এল না, থ্রিডি এল সেই ওডিয়নের পুঁচকি স্ক্রিনে, কারন ওটা কনট প্লেস আর এটা গাজিয়াবাদ!
মাইরি! স্ক্রিনটা এত্তো ছোটো আর এত্তো নোংরা ছিল, কী বলব। অত ছোটো স্ক্রিন আমি এর আগে দেখি নি।
a x | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৯:৩০ | 99.165.171.94
অ মানে ঐ কেএফসির মুরগীটাই এই গল্পের নায়ক বা নায়িকা?
Samik | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৯:২৩ | 122.162.75.194
একটি মুরগীর কাহিনি
গেঁড়ি তার আপিসে বলে এসেছিল, কিছু গেরস্থালির কাজ আছে, আপিস পৌঁছতে ঘন্টাতিনেক দেরি হবে। গ্যাঁড়ার তো এ সপ্তাহে ছুটি। অতএব, সক্কাল সক্কাল ব্যাগ গুছিয়ে টিফিনবাক্সো প্যাক করে গাড়ি নিয়ে হুউউউশ্শ্ কনট প্লেস। ওডিয়ন সিনেমাতে অবতার থ্রিডি দেখাচ্ছে। সেইটি দেখেই গেঁড়ি টুক করে আপিস চলে যাবে, গ্যাঁড়া চলে আসবে বাড়িতে।
দেড়শো দেড়শো, তিনশো ইন্ডিয়ান কারেন্সি খচ্চা করে দুটি টিকেট কেনা হল। বাহ্, এর আগে গ্যাঁড়া কখনো আসে নি ওডিয়নে, বেশ সাজানো গোছানো তো!
ঢোকা গেল হলে, ক্যাপ্টেনভাই সবার টিকিস্ চেক করে একটা করে চশমা ধরিয়ে দিলেন, সে চশমা ঠিক করে চোখে লাগে না। মানে, চশমার ফ্রেমে তো একটা সামান্য কার্ভেচার থাকে, এই চশমাটা পুরো স্ট্রেট লাইন, স্কেল কেটে বানানো যেন। তা হোক, দেখতে পেলেই হল।
হল ভর্তি। অবতার শুরু হল। গ্যাঁড়ার ইতিপূর্বে একটিবারই থ্রিডি মুভি দেখার সুযোগ হয়েছিল, মেলবোর্নে আইম্যাক্স থিয়েটারের জায়ান্ট স্ক্রিনে। সে অভিজ্ঞতা ভোলার নয়। গেঁড়ি কখনো দ্যাখে নি। কিন্তু গ্যাঁড়ার কেবলই মনে হতে লাগল, সে জিনিস যেন এখানে মিলছে না। ক্যামেরার সামনে যে ফোকাসে আছে, তাকে চশমা পরলেও পষ্টো দেখায়, না-পরলেও পষ্টো দেখায়। পেছনের আউট অফ ফোকাসের ব্যাপারস্যাপার, সেগুলান চশমা পরলেও ব্লার্ড লাগে, না-পরলে ঝাপসা লাগে। মানে সিনেমাটা কিছুই দেখা বা বোঝা যাচ্ছে না, না চশমা পরে, না না-পরে।
উসখুস উসখুস। ফিসফিসানিতে বোঝা গেল গ্যাঁড়া গেঁড়ি একা নয়, আশেপাশে সকলেরই এই প্রবলেম হচ্ছে। কিন্তু দিল্লির লোকেরা কী ভদ্র কী ভদ্র, কেউ সিটি মারলো না, শোর মচালো না, চেয়ারগুলো অবিশ্যি এমন গাব্দাগোব্দা আর গদি আঁটা, ওগুলো ভাঙা সম্ভব নয়। আমাদের চুঁচড়োর অরো কিংবা হুগলির মিলন সিনেমা হলে এতক্ষণে ফ্রন্ট রোয়ের সব চেয়ার ভাঙা হয়ে যেত।
কুড়ি মিনিট পর মুভি বন্ধ হয়ে গেল। দেখলাম ভদ্র দেলহিআইটরা বিনীত ভাবে উঠে গিয়ে বক্স আপিসে বলেছেন যে তাঁরা এই চশমা পরে মুভি দেখতে পারছেন না।
এইবার আস্তে আস্তে গলা চড়ল। সকাল দশটার শো। বেশির ভাগই কলেজ স্টুডেন্ট। স্টপ দা শো, গিভ আস দা রিফান্ড, গ্লাসেস আর নট ওকে ইত্যাদি প্রভৃতি। দিল্লিবালারা রেগে গেলে ইংরেজি বলে। রিফান্ড ছাপিয়ে এইবার কমপেনসেশনের গলাও শোনা গেল। এরই মধ্যে ওডিয়নের কে একজন এসে জানিয়ে গেল, চশমার পুরো সেটটাই ডিফেক্টিভ, নতুন লট আসছে, কিছুক্ষণের মধ্যেই এসে যাবে, এখন শো বন্ধ রাখলে পরের শোগুলোও অ্যাফেক্টেড হবে, তাই শো চলুক, নতুন চশমা এলেই আপনাদের দিয়ে দেওয়া হবে।
আর বুলাও। ম্যানেজার তখন কনট প্লেসেই নেই। কটি নিরস্ত্র সিকিওরিটির ভরসায় কর্মচারিদের ছেড়ে রেখে তিনি ভাগলপুরগামী। সিকিওরিটির হাতে, জিনিস বলতে, একটা ওয়াকি টকি। কাজ করে কিনা কে জানে! কিন্ত কোনো লাঠি নেই। তবু দিল্লিবালারা কী ভদ্র কী ভদ্র, কেউ ওর কলারটা চেপে ধরল না। সামনে এত এত কাচের জিনিস, ওপরে ঝাড়বাতি, সামনে এলসিডি টিভি, কেউ তাতে হাতও লাগাল না। কেবল বক্স আপিসের বন্ধ দরজায়্দুম দুম ঘুষি লাথি পড়তে লাগল, সিকিওরিটি নার্ভাস মুখ করে দেখতে লাগল। খানিক বাদে দরজার সামনেটা ফাঁকা হতেই সিকিওরিটিও নিজের গলার আওয়াজে দরজা খুলিয়ে সাঁ করে আপিসের ভেতরে। দরজা আবার লক।
গুটিপাঁচেক চশমা শহীদ হল। পা আর থ্রি ইডিয়ট্সের ফ্লেক্স ব্যানার দু তিনটি ছেঁড়া হল। দু একজন নিচে নেমে ঝাড়লণ্ঠন তাক করে নিজেদের চশমা ছুঁড়ে মারল, দু এক টুকরো কাচ সহযোগে চশমাটা ভেঙে পড়ল মাটিতে। সিকিওরিটির কিছুই করনের নাই।
নিচে রিফান্ডের লম্বা লাইন আর লম্বা ঝগড়া। যারা কাউন্টারে টিকিস কেটেছে তাদের তো পয়সা ফেরৎ দিল, কিন্তু যারা অনলাইন টিকিট কিনেছে, তাদের পয়সা ফেরৎ হবে না, কারন অনলাইনটা থার্ড পার্টি। অতএব, মুষ্ঠিপ্রদর্শন, গালিগালাজ। এর মধ্যে একতি মোটরসাইকেল থেকে দুটি দিল্লি পুলিশ নেমে এল। লোকজনের গলা আরো চড়ল। পুলিশদুটোর মুখ দেখে মনে হল না তারা "অনলাইন' কী জিনিস আদৌ বোঝে কিনা। সেই মুহূর্তে গ্যাঁড়া কাউন্টারের সামনে এসে গেল আর টিকিস দিয়ে টাকা ফেরৎ পেয়ে গেল বলে তাড়াতাড়ি সেখান থেকে কেটে পড়ল। থ্রিডি সিনেমা দেখা গেল ভোগে, মনের দুখে কেএফসিতে গিয়ে চিকেন সাঁটিয়ে গেঁড়ি আপিসে ও গ্যাঁড়া প্যাভিলিয়নে।
aka | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৯:২০ | 24.42.203.194
হাজার হাজার সমর্থক। হাজার হাজার।
sinfaut | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৯:১৫ | 117.194.194.155
হুঁ। আর ঐ যে পেনড্রাইভ খারাপ হয়ে যাওয়া। মানুষ আমার সাথে তেমন প্রবলেম করে না জানো... মাও করে না, মাটি জানিনা।
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন