নর্থে আমি থাকিনি। কিন্তু দক্ষিণের লোকেদের ভদ্র ব্যবহারে আমি রীতিমত মুগ্ধ।
Samik | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:১৬ | 122.162.75.90
হ্যাঁ, আমরা প্রকাশ্যে কিসি করতে দেখলে ছি-ছি করি, প্রকাশ্যে হিসি করতে আমাদের বাধে না। সায়েবরা প্রকাশ্যে হিসি করে না, তারা প্রকাশ্যে কিসি করে।
দিল্লির অবস্থাও খুব একটা আলাদা নয়। কলকাতায় আমজনতা তাও হেল্পফুল। রাস্তা বাসের নম্বর জিজ্ঞেস করলে বলে দেয়। দিল্লিতেও বলে দেয়, তবে ইচ্ছে করে ভুল বলে দেয়।
দিল্লি আপাদমস্তক শহর। কিন্তু সিভিক সেন্সের ভীষণ কমতি এখানকার লোকজনের। এখানে লোকে গাড়ি পার্ক করার সময়ে অন্য লোকের অসুবিধার কথা মাথায় রাখে না। অন্য লোক কীভাবে গাড়ি রাখবে, বা পাশের গাড়িটা কীভাবে বেরোবে, সে নিয়ে কারুর মাথাব্যথা নেই। রিক্সাওলা ঠিক পাশ কাটাবার জায়গাটাতেই রিক্সা দাঁড় করিয়ে তোমার গাড়ির দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকবে, কিন্তু তুমি গিয়ে তাকে না-বলা পর্যন্ত সে রিক্সা হটাবে না কিছুতেই।
Arijit | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:১২ | 61.95.144.122
অপ্পনকের লাস্ট পোস্টে ক। এখানে ফেরার পর এটাই সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক করেছিলো।
Arijit | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:১১ | 61.95.144.122
আমি অন্য শহর খুব একটা দেখিনি - দিল্লী ছাড়া। এবং আমার দেখা দিল্লীতেও দৃশ্যটা আলাদা নয়। রহস্যটা হল অন্য উন্নত দেশগুলোতে এটা করলো কি করে? নেহাত বেহেড মাতাল ছাড়া নিউক্যাসলে আর কাউকে আমি শহরের রাস্তায় ওয়াটার-আউটপুট করতে দেখিনি - সে আশেপাশে ইউরিনাল থাকুক বা না থাকুক। এখানে এখন সুলভের সংখ্যা কম নয়, অথচ রাস্তাটা প্রেফারড স্পট। নেহাত বেয়াক্কেলে ড্রাইভার ছাড়া কেউ দুমদাম লেন ভাঙতো না, বা গলি থেকে বড় রাস্তায় না দেখে ঢুকতো না - কেউ ঢুকলে অন্যরা বকে দিত। এখানে বকতে গেলে উল্টে চাপে পড়বে। সেদিন সরু গলিতে জ্যামে আটকে আছি (মহরমের জন্যে আনোয়ার শাহ রোড বন্ধ লর্ডসের পর থেকে, তাই লেক গার্ডেন্সের গলি দিয়ে ঘুরতে হচ্ছিলো), পিছনের ট্যাক্সিটা উত্তাল হর্ন বাজিয়ে যাচ্ছে - যেন আমি চাইলে উড়ে যেতে পারি। আমি নেমে গিয়ে বল্লুম "দাদা আমার গাড়িতে কি ডানা দেখতে পাচ্ছেন? সামনে জ্যাম না কাটলে এগোবো কি করে?' বল্ল "আমার হর্ন আমি যেমন খুশি বাজাবো, আপনার কি?' ট্যাক্সির প্যাসেঞ্জারদুটো হ্যা হ্যা করে হাসলো...
Arpan | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:০৯ | 122.252.231.12
আরেকটা পোস্ট করতে যাচ্ছিলাম। রাজদীপের পোস্টটা পড়ে মুছে দিলাম। কলকাতার লোকের একটা অদ্ভুত খেঁকিয়ে ওঠার মনোবৃত্তি হয়ে গেছে। সরকারি হোক, বা বেসরকারি। আসল বক্তব্য হল, এইখানে আমি দরজায় দাঁড়িয়ে সিকিওরিটি চেক করার জন্য মাইনে পাই। বাথরুমটা কোনদিকে বলে দেওয়ার জন্য আমাকে তো এক্সট্রা পয়সা দেয় না। অতএব দাঁত খিঁচিয়ে কামড়াতে আসা।
Samik | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:০৪ | 122.162.75.90
একটা কমন মাইন্ডসেট আছে আমাদের বেশির ভাগ ভারতীয়ের মধ্যে। সেটা হল, নিয়ম ভাঙাটাই বাহাদুরি। সেটা যে বাহাদুরি নয়, নিয়ম মেনে চলাটাই প্রকৃত বাহাদুরি, এই বোধটা আমজনতার মধ্যে নেই। বোধ জাগ্রত করার কোনও চেষ্টাও হয় না।
Rajdeep | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:০৪ | 125.22.62.70
কলকাতার বেসরকারি কর্পোরেট হসপিটাল গুলোতেও একই অবস্থা , পরিকাঠামো থাকলে কি হবে অ্যাটিচুড প্রবলেম আছেই সব স্টাফই দেখি কেমন যেন খেঁকিয়ে আছে - কিছু জিগ্গেস করলেই যেন ঘ্যাঁক করে কামড়ে দেবে.... ডাক্তার-নার্স সবাই পেদোমুখ করে ঘুরছে
চেন্নাই অ্যাপোলো বা MIOT কে দেখে শিখতে পারে
Arpan | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:০০ | 122.252.231.12
সর্বক্ষেত্রে অদ্ভুত শৈথিল্য এবং সকলেই দায় এড়াতে ব্যস্ত। গুরুতেই লিখেছিলাম। বেশ কয়েকমাস আগে সল্লেকের সরকারি অফিসে গেছিলাম একটা কাজে। ঢোকামাত্র পেচ্ছাপের তীব্র গন্ধ নাকে ধক করে এসে লাগে। সরকারি কর্মচারীরা তার মধ্যে বসে নির্বিবাদে কাজ কচ্ছেন, মুড়ি চানাচুর খাচ্ছেন, পোস্টারে পোস্টারে দেওয়াল ঢেকে ডিএ কেন দেওয়া হল না তাই নিয়ে সরকারের বাপের গুষ্টি তুষ্টি করছেন। একটা পোস্টারেও লেখা দেখলাম না কাজের পরিবেশের মান উন্নত ও স্বাস্থ্যসম্মত করতে হবে।
aka | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:৫৯ | 24.42.203.194
গতবার গিয়ে দেখি রাজারহাটের হাইওয়েতে দুটো লেন। সমস্ত গাড়ি লেনের মাঝখান দিয়ে যায়। আমি তিনজনকে জিগ্যেস করলাম কেন? কেউই সদুত্তর দিতে পারে নি, সামনের গাড়ি দেখিয়ে দিয়েছে।
Arijit | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:৫৮ | 61.95.144.122
ডিম/মুরগী কেসটা হল কড়াকড়িটা করবে কে? যাদের করার কথা তারাও যে একই রোগে ভোগে!
Sudipta | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:৫৫ | 122.169.159.240
অরিজিৎদার পোস্টের শেষ লাইনটা লোক জন কে বলে বলে হেজে গেলাম, নিয়ম ভাঙার নিয়ম টা যতদিন না কড়াকড়ি করে বন্ধ হবে, ততদিন একে ওকে তাকে আলাদা করে দোষ দিয়ে লাভ নেই, আমরা নিজেরাই কালপ্রিট
Arijit | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:৩৯ | 61.95.144.122
খিস্তি দিয়ে লাভ নাই। আমার ছোটদিদা কদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি ছিলো - বেহালা পর্ণশ্রীর ওখানে বিবেকানন্দ না কি যেন নাম। বেসরকারি নার্সিং হোম। কিন্তু হালত দেখে আমার পুরো গা গুলিয়ে উঠছিলো।
রোজ রাস্তায় যেতে যেতে ট্রাফিক পুলিশকে খিস্তি মারতে ইচ্ছে করে। তাপ্পর ভাবি রুবির মোড়ে ওই হাজারখানেকের "মব'-এর সামনে একটা ট্রাফিক পুলিশ কি করবে? নিয়ম ভাঙাটাই নিয়ম - সবাই চান্স পেলেই একটু করে নিচ্ছে - অটো, বাস, গাড়ি, লোক, পুলিশ...
Samik | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:২৮ | 12.191.136.3
এসব পড়লে কাঁচা খিস্তি ছাড়া আর কিছু বেরোয় না মুখ থেকে।
আমি মোটেও পোমো না। ওসব লেবেলিং। নেহাৎ কিছু বলিনা তাই। ঃ)
Arijit | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:১৩ | 61.95.144.122
সব জায়গাতেই ইস্যুটা এক। পরিকাঠামো ঠিক করতে হবে। সিস্টেম শুড বি ইন প্লেস। এবং সেই জন্যেই দিন দিন আরো কনভিন্সড হচ্ছি যে কিস্যু হবে না।
kc | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:০৯ | 213.132.250.2
''ঢেলে সাজান"" কথাটা বাংলাতে, ক্লিশে হয়ে যাওয়া শব্দাবলীতে নতুন সংযোজন। ইহা একটি পোমো বিরুদ্ধ কথা। ঃ)
Arijit | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:০৭ | 61.95.144.122
না, মানে কোর্স আলাদা হল, লোকে আলাদা ভর্তিও হল। কিন্তু তার পর কেউ আর কেরিয়ার শিফট করতে পারবে না। যে গ্রামে ডাক্তারি করবে ভেবে সাড়ে তিন বছরের কোর্স করলো, সে আর কখনো অন্য কিছু ভাবতে পারবে না - যদি না একই সাথে ব্রীজ কোর্স জাতীয় কিছু শুরু হয় - যেমন পলিটেকনিক থেকে ডিপ্লোমার পর AMIE করলে বিই-র ইক্যুইভ্যালেন্ট - এরকম কিছু।
Arpan | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:০৪ | 112.133.206.20
আরে আলাদা কোর্স হবে তো। বোঝা যাবে না কেন?
Ishan | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:০১ | 173.26.17.106
চিনে নগ্নপগ ডাক্তার ছিল। এই একই ফান্ডায়। ছত্তিশগড়ে মাওবাদীরাও নাকি এইরকম ডাক্তারদের দিয়ে গাঁয়ের লোকেদের চিকিৎসা করায়।
ডিপ্লোমা ডাক্তারদের ফান্ডাটা ভালোই তো। গ্রামে কেন, শহরেও ভালো। কিন্তু শুধু ঐ দিয়ে কাজের চেয়ে অকাজই বেশি হবে। হাসপাতাল, পরিকাঠামো, সব ঠিক করতে হবে। পুরো জিনিসটা ঢেলে না সাজালে কিসু হবেনা।
Arijit | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৯:৫২ | 61.95.144.122
http://tinyurl.com/yj98he6 - গ্রামে ডিপ্লোমা ডাক্তার নিয়ে সেদিনই এখানে বিল পাশ হল, সেই নিয়ে হইচই হল - এবার মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়াও একই জিনিস বলছে - গ্রামের ডাক্তারদের জন্যে সাড়ে তিন বছরের কোর্স! "হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে, ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরো'? ;-)
কিন্তু সাড়ে তিন বা যত বছরই হোক, আগে থেকে কে গ্রামে ডাক্তারি করবে বা কে শহরে করবে এটা কি করে ঠিক হবে?
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন