কেহ না ভাটায়, সকলে কাজায়, বোর হয়ে আমি যাই মা আ আ আ আমার সাধ না মিটিল আশা না পুরিল ......
Lama | ০৯ এপ্রিল ২০১০ ০০:১৬ | 117.194.224.202
আমাকে মাঝে মঝেই কারা যেন ফোন করে "কালা' বলে একজনের খোঁজ করে । আজ সকালে আবার কে যেন জনৈক অসিতবরণের খোঁজ করছিল।
তবে ভুলভাল ফোন সম্পর্কিত আমার সবচেয়ে লোমহর্ষক ঘটনাটি নিম্নরূপঃ
একদিন সকাল দশটা নাগাদ, আমি তখন অফিসে, ফোন বাজল।
আমিঃ হ্যালো
অপর কন্ঠঃ তোমার নাম বলো
আমি (ভ্যাবাচ্যাকা)ঃ কেন বলুন তো?
অপর কন্ঠঃ আমি আর পি এফ থেকে বলছি
আমি (সন্দিগ্ধ)ঃ মানে রেল পুলিশ?
অ কঃ হ্যাঁ
আমিঃ তা, বলুন, কি সেবা করতে পারি?
রেলপুলিশঃ আমি তোমার নাম্বার রেলগাড়িতে পেয়েছি।
আমিঃ মানে রেলের কামরায় আমার নাম্বার লেখা ছিল?
রেপুঃ ইয়ার্কি হচ্ছে?
আমিঃ না না, অসময়ে আমাকে স্মরণ করলেন কেন, তাই ভাবছিলাম
রেপুঃ আমি আসব তোমাকে অ্যারেস্ট করতে
আমিঃ কি সৌভাগ্য
রেপুঃ তুমি কোথায় থাকো?
আমিঃ আপনারা বুঝি আজকাল আসামীকেই সরাসরি নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেন? আর তারা বলেও দেয়? সো সুইট!!!
রেপুঃ নাম বলো
আমি (হঠাৎ পরিবর্তন)ঃ আগে তোর নাম বল
রেপু (বিচলিত)ঃ মনীশ মর্তমান
আমিঃ ইন্সপেক্টর, না কনস্টেবল না হাবিলদার?
নৈঃশব্দ নৈঃশব্দ নৈঃশব্দ
মনীশ মর্তমান কর্তৃক লাইন কর্তন
d | ০৮ এপ্রিল ২০১০ ২৩:০২ | 219.64.72.127
এয়ারটেলে আবার নম্বর রিসাইক্ল করত। তো, দিল্লীতে যে নম্বর নিলাম সেটা কোন এক শর্মাজি'র ছিল। তার ইনস্যুওরেন্সের প্রিমিয়াম থেকে শুরু করে, ৩০০০ টাকা প্রাপক, তার ভানজির স্বশুর পর্যন্ত সবাই ফোন করে তাকে চাইত। একমাস যায়, দুমাস যায় তিনমাঅখন অস, পৌনে পাঁচমাসও চলে গেল। দিনে ৫-৭ টা কল বাঁধা। শেষে একদিন এক জাঁদরেল গলা যখন আমি সেক্রেটরি হয়ে এত স্পর্ধা দেখাছি কিকরে, কোন সাহসে তেনার ফোন শর্মাজিকে দিচ্ছি না বলে আমাকে বকতে শুরু করল, সেদিন গলায় খুব শোকদু:খ ঢেলে বললাম 'উন্কা তো দেহান্ত হো গিয়া, এন এইচ ৪ মেঁ বহোত বড়া অ্যাকসিডেন্ট হুয়া থা, পেপার মেঁ ভি আয়া, আপনে দেখা নহী? আরে্র উনে্কা পিতাজিকা হাল তো পুছৈ মত। বারবার বেহোঁশ হো রহেঁ হ্যায়। বডিকো ঠিকসে পহ্চান নহি যাতেঁ থে। ইত্যাদি ইত্যাদি। যতটা পারা যায় ভবহ বর্ননা দিলাম। এবং সেদিন বাকি দুটো ফোনেও একই গল্প বললাম। পরেরদিনও একটা কল এসেছিল। তার পরের দিন থেকে একদম বন্ধ। আর কোনও দিন আসে নি।
বেথেরও এমনি টাইপের একটা গপ্পো আছে।
Du | ০৮ এপ্রিল ২০১০ ২২:৪৩ | 65.124.26.7
আমার কলেজের বন্ধুর কথা মনে পড়ে - অসমীয়া কিন্তু অরুনাচলে বাড়ি। ছুটিচাটায় বাড়ি যেত নাইট সুপার বাসে। লম্বা কেঠো কেঠো গঠন ছিল একটু। একবার তার পাশের যাত্রী নিজের হাতটাকে নিজের কাছে রাখতে বোধ হয় একটু অসুবিধে বোধ করছিল। তো আমার বন্ধু তার হাতটা আস্তে করে নিজের হাতে নেয়। সহযাত্রী একটু হতভম্ব হলেও অ্যাডভেঞ্চারের আশায় ছাড়িয়ে নেয় না হাতটা। এরপরে আমার বন্ধু তার মুঠোটা টাইট করতে থাকে নির্বিকার মুখে এবং কি জোর ওর হাতে ছিল আমরা জানি। মিনিট কয়েকের মধ্যে ঐ লোকটা - 'বাইদেউ এড়ি দিয়ক (দিদি ছেড়ে দিন ) বলে প্রায় কাঁদতে বাকি আর কি? ঃ)
এটা তো মিসকল দেয়। কিন্তু যারা ফোন করে ভুলভাল বকে, তাদের জন্য খুব কার্য্যকরী উপায় হল ফোন রিসীভ করে পাশে রেখে নিজের কাজে মন দাও। ২-১ বার করে যেই বুঝবে ধরা খাচ্ছে তখন ছেড়ে দেবে। আমাকে গত সপ্তাহজুড়ে ৮৮ এস্টিডি কোডের নাম্বার থেকে ফোন করে গেল। প্রথম দুইবার জিগ্যেসবাদ করেই দেখলাম ভুলভাল পাবলিক। তখন মহানন্দে রিসীভ করে নামিয়ে রেখে দিতাম। ১৩-১৪ বার করেছিল। শেষে যেদিন ফ্রেন্ডস এফ এম চালিয়ে সামনে রেখে দিয়েছিলাম, সেদিন ২৫ মিনিট কলটা ছিল। তারপর বোধহয় বুঝতে পারে কেসটা। তারপর থেকে আর করে নি দেখছি।
Lama | ০৮ এপ্রিল ২০১০ ২১:৫১ | 203.99.212.54
প্রেম নামিয়ে দেবার সহজ উপায়ঃ কাগজে একটা অ্যাড দেওয়া "আপনি কি নিঃসঙ্গতায় ভুগছেন?'
তলায় ঐ নাম্বারটা দিয়ে দাও
Samik | ০৮ এপ্রিল ২০১০ ২১:২৩ | 219.64.11.35
আমার সেই অজানা ব্যথা এখনও মোবাইলটি অফ করেই রেখেছেন। দেখি, আজ রাতে আবার তঁর প্রেম জাগে কিনা!
a | ০৮ এপ্রিল ২০১০ ১৯:৪৭ | 122.167.246.73
দীপু, বড় করে ক। সেদিন পুরো অবাক হয়ে শুনেছি ন্যাড়াদার গান।
vikram | ০৮ এপ্রিল ২০১০ ১৯:০১ | 193.120.76.238
আবার অন্য পিঠের গল্প হলো, ফাধিলি স্কুলে গেছিলেন নাইরোবিতে। তো উনিশশো ষাট সালে উনি নাকি একটি মেয়েকে দেখে এই গান বাঁধেন ও সুর দেন। কিন্তু তখন কপিরাইটের চল বা খুব জানকারি না থাকায় উনি কিছু করেন নি। পরে লোকে ওনাকে ফাঁদে ফেলে দেয় এবং জীবনের শেষ দিন অবধি ওনাকে কপিরাইটের জন্য লড়ে যেতে হয়। মাঝখান থেকে নাকি মাকেবা গানটিকে বিখ্যাত করে অনেক পয়সা করেন।
এই তো কেস।
vikram | ০৮ এপ্রিল ২০১০ ১৮:৫৫ | 193.120.76.238
মালাইকা আসলে চলতি গান। কেনিয়াতে কলোনিয়াল শাসনের সময় "লোকাল" (মানে আমাদের পুরাতন গায়কদের যেভাবে গলের গানে আনানো হয় তার চাঁচ খানিকটা) লোকেদের দিয়ে কিছু রেকর্ড, টিপিকালি ৩৩১/৩ আর পি এম ও ৪৫ আর পি এম (দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ১ টি গান প্রতি পিঠে) বের করা হয়, ব্যবসার খাতিরে। অবশ্যই, টার্গেট অডিয়েন্স ছিলো ইউরোপ। তখন ফাধিলি উইলিয়ামস এটি রেকর্ড করেন এবং আরও গান গেয়ে অসম্ভব বিখ্যাত হন। এর আগে এটার রেকর্ডিং শোনা যায় না। অবশ্যাই, প্রথম রেকর্ড ১৯৮৫ র নয় কারন আমার কাছেই ষাটের দশকের রেকর্ডিং অছে। গোল বাধে এর পরে। ফাধিলি নানা রকম আজগুবি দাবি শুরু করেণ, ইনক্লুডিং মালাইকা ওপর ওনারই হক জন্মায় এইসব। তার কারণ ছিলো। ফাধিলিকে তাঁর গানের জন্য কখনই যথেষ্ট সম্মান ও টাকা ইত্যাদি দেওয়া হয় নি। অন্য দিক থেকে, হঠাৎ টাকা হওয়াতে ফাধিলির মাথা একটু বিগড়ে যায় বলে লোকের ধারণা।
এর পরে খুব ঘোলা জলে মাছ ধরা হয়। ফাধিলি মদ্যপ হয়ে পড়েন। তারপরে হারিয়ে যান। শেষে মরে যান।
nyara | ০৮ এপ্রিল ২০১০ ১৮:০৮ | 202.47.143.2
ফাদিলি উইলামসের ১৯৮৫-র রেকর্ডিং শুনলাম। ইনিও তো পশ্চিমি অ্যারেঞ্জমেন্টে গেয়েছেন, ভোকাল হারমনি-সহ। এনাকে কেন সবথেকে অথেন্টিক বলা হয়? একটা কারণ হতে পারে যে নার গলাই সবচেয়ে মেঠো - যাদের শুনলাম তাদের মধ্যে।
vikram | ০৮ এপ্রিল ২০১০ ১৭:৫৯ | 193.120.76.238
ন্যাড়াকে, মালাইকার সবথেকে অথেন্টিক রেকর্ড ধরা হয় ফাধিলি উইলিয়ামসকে। এনার বহু গান খুবই বিখ্যাত। দাউদি কাবাকা, ফাধিলি এরা হলেন একটা ধরণের। হ্যারি বেলাফন্তে আর মাকেবা র যে ডুয়েট সেটা অনেকটা পলিশড ও আর্বান। (যদিও খুব ভালো)। কিন্তু ফাধিলির মতো গিটার বাজায় নাই।
dipu | ০৮ এপ্রিল ২০১০ ১৭:৫৪ | 61.12.12.83
ন্যাড়াদার গলায় এই গানটা একদিন রেকর্ড করে রাখবো ....
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন