এটা কি বল্লে অক্ষদা ? তাহলে কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে ঝামেলা হলেই ঐ ধর্না, বিক্ষোভ প্রদর্শন এরকম দিনের পর দিন কোনো প্রোগ্র্যাম না নিয়ে একদিন গিয়ে সব ভাঙ্চুর করে ভয় দেখিয়ে দিলেই হয় ! কলেজ টলেজে ও ঘেরাও , ডেপুটেশন , পোস্টারিং , মিছিল, মিটিং এর কি দরকার, ডীন টীনকে পিটিয়ে এলেই হয়। হেব্বি ভয় পাবে তো।
কিম্বা মাওবাদীদের রাস্তা। একজন দুজনকে সোজা খতম।
গায়ের জোরের ভয় দেখিয়ে তো অনেক কিছুই হতে পারে। র্যাগিং করলে ও উল্টো করে ঝুলিয়ে দেওয়া উচিত। ভয়ে আর কেউ কিছু করবে না।
আর এসবের পরেও অন্যান্য জিনিসের সাথে এই ঘটনার প্রেক্ষিত একটু আলাদা ই । আরো গাদা গুচ্ছ রোগীকে অসুবিধেতে ফেলে হাসপাতালের ভিতর ভাংচুর করার মানসিকতা টা আর যাই হোক সুস্থ মানসিকতা বলে মানতে পারলাম না। মুমুর্ষু রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়ার মত ই অসংবেদনশীল কাজ এটা।
pi | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০৩:৩০ | 128.231.22.89
অন্য একটা কথা। এই পরে টাকার সেটলমেন্টের ক্লস টা দেখে। এদেশেও এমারজেন্সী কেয়ার থেকে ফেরাতে পারে না। নিয়ম আছে। কিন্তু অনেক কেসে ই পরে শুনেছি , এমন বিল আসে ( এমারজেন্সী সিচুয়েশন বলে রিস্ক না নিতে যতরকম যা সম্ভব পরীক্ষা ও চিকিৎসা করে থাকা হয়) যা হার্ট অ্যাটাক করাতে সক্ষম। এই সব টেস্টের অনেকগুলো ই হয়ত প্রয়োজনের অধিক। কিন্তু সেই রিস্ক কে নেবে। সেক্ষেত্রে রোগী মারা গেলে ও দোষ বর্তাবে ডাক্তার, হাসপাতালের উপর। আবার , উল্টোদিকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু করানো হয়েছে বলেও দোষ পরতী পারে ডাক্তার, হাসপাতালের উপর । এখানে অরণ্যদা ই এরকম কোনো কেসের উল্লেখ করেছিলেন বোধহয়। অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তারদের ও তো উভয়সঙ্কট।
Sibu | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০৩:১৯ | 68.29.134.132
@Arpanঃ
১। পাঁচিল ভাঙ্গা ও ভাঙ্গতে না দিলে ইঁট ছোঁড়া, সেটা ভায়োলেন্স। আন্দোলনের এজেন্ডায় রেখে দিলে সেটা নন-ভায়োলেন্ট হয়ে যায় না। ২। পাঁচিল ভাঙ্গা বেশ কিনা, তা নিয়ে আমি কোন কমেন্ট করিনি। বস্তুতঃ আমি পিয়ারলেস ও সিঙ্গুর নিয়ে কোন ভ্যালু জাজমেন্টই দিই নি। আমার মূল বক্তব্য ছিল দুটো ব্যাপারে একটা বেসিক মিল আছে। হিংসা ও কোল্যাটারাল ড্যামেজের যুক্তিতে একটার বিরোধীতা করলে অন্যটা সাপোর্ট করা ইনকনসিসটেন্ট আচরণ। রিমেম্বার, ইনকনসিসটেন্সি নিয়ে কোন ভ্যালু জাজমেন্ট দিলাম না। ৩। স্টেকহোল্ডারদের জন্য কাঁদার কথা আমি বলি নি। শুধু বলেছি তাদের স্বার্থ সিঙ্গুর আন্দোলনের কোল্যাটারাল ড্যামেজ। যেমন কিনা অন্য রুগীদের স্বার্থ পিয়ারলেসের ঘটনার কোল্যাটারাল ড্যামেজ।
এবারে তুমি গায়ের জোর দেখাতে পার। বেশ করেছ বলতে পার। এবং তার পর ফিরে কেউ কোন কথা বললে মাসীমাকে ডেকে আনতে পার।
a x | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০২:৩৭ | 143.111.22.23
দেখ, হয় ভয়, নইলে আর্থিক ক্ষতি, এই দুইএর কোনোটা না হলে কর্পোরেট জগতে ঘি ওঠেনা। যারা কল কারখানায় স্ট্রাইক কল করেন তারাও আর্থিক ক্ষতি হবে বলেই করেন। শুধু আইন দিয়ে কার্যসিদ্ধি হলে এত কিছুর দরকার ছিলনা। এবার কিভাবে এমন কিছু করা যায় যাতে পিয়ারলেস, রুবি ইত্যাদিরা বাধ্য হবে, সে ভয়ে হোক বা নিজেদের লোকসান কমাতেই হোক?
aka | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০১:৫৭ | 168.26.215.13
হ্যাঁ দেখলাম, এটা মনে হয় জালি। আবাপ লিখেছে কি একটা আইন আছে। কেউ ঠিক মতন জানে না।
পিয়ারলেসের ম্যানেজিং ডিরেক্টরটি মহা বজ্জাত। ওটার কয়েক বছর জেল হলে মন্দ হয় না।
pi | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০১:৫১ | 128.231.22.89
*অসমে
pi | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০১:৫০ | 128.231.22.89
এই মেলের অরিজিন কি মুন্নাভাই এফেক্টে ?
stoic | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০১:৫০ | 160.103.2.224
কমরেড অর্পণ কি রাত জেগে খেলা দেখছেন ? ;-)
pi | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০১:৪৮ | 128.231.22.89
শুধু first aid দেওয়া মাস্ট, আর can be shifter to higher centre এর ফাঁক দিয়ে ই তো অনেক কেস গলে যেতে পারে।
. | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০১:৪৮ | 115.117.229.185
এটা একটা ভুয়ো মেইল। তখন স্প্যাম করা হয়েছিল। অন্যান্য লিঙ্ক ঘেঁটে দেখ। ঃ-)
aka | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০১:৪৫ | 168.26.215.13
Title : Right to Emergency Care - Supreme Court. Date Of Judgment: 23/02/2007. Case No.: Appeal (civil) 919 of 2007. The Supreme Court has ruled that all injured persons especially in the case of road traffic accidents, assaults, etc., when brought to a hospital / medical centre, have to be offered first aid, stabilized and shifted to a higher centre / government centre if required. It is only after this that the hospital can demand payment or complete police formalities.
এইটা মনে হয়।
Arpan | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০১:৪৪ | 122.252.231.12
ভালো ভালো। এক মাঘে শীত যায় না। ঃ-)
. | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০১:৪২ | 115.117.229.185
বেসরকারী হাসপাতালের আইনী দিকটা ইন্টারনেট পাই নি। তবে শুনেছি এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা আছে। কাল থেকে মুখ্যসচিব, মুখ্যমন্ত্রী ও পিয়ারলেসের মালিকদের যা বক্তব্য শুনছি তাতে মনে হচ্ছে কোনো একটা নিয়ম আছে যা পিয়ারলেস লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে এবং পিয়ারলেস অস্বীকার করছে। আলাদা ভাবে তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এবং ফুটনোটঃ ভাঙচুরের ঘটনায় যাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে পথ অবরোধ ও থানা ঘেরাওয়ের জন্য পার্থবাবু নির্দেশ দিয়েছেন। আজ সন্ধেবেলা টিভির খবরে নিজের চোখে দেখলাম ও নিজের কানে শুনলাম। ঃ-)
pi | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০১:৪১ | 128.231.22.89
যাইহোক, কাটতে হবে। নইলে অশেষ দুঃখু কপালে। এমনিতেও অবিশ্যি কিছু কম নেই ঃ(
সেই ডোডোর ভূগোল পরীক্ষার ঠাকুর কি ডোডোর কথা শুনেছিল? শুনলে তিনি কোন ঠাকুর ছিলেন ? ডিটেইল্স চাই। আমি কাল আর পরশু দুটো দিন স্কিপ করে যেতে চাই। কিম্বা শুক্কুরবার সকালে বাস ট্রেন ইন্স্টইটিউট বন্ধ করে দেওয়া একটা তুষাড়ঝড় চাই। এই মধ্য এপ্রিলে এটা একটু বাড়াবাড়ি দাবী ই হয়ে যাচ্ছে বটে, তবে সাহারাকে অসমের ট্রান্সফার করা ঠাকুরের পক্ষে খুব চাপের তো হওয়া উচিত না।
pi | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০১:৩৭ | 128.231.22.89
আকাদা, প্রথম পাতায় তো খুব স্পষ্ট ভাবে বলছে, 'সরকারী' হাসপাতাল। অন্য পাতায় আছে কি ? সেটার তো অ্যাকসেস নেই।
Du | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০১:৩৬ | 65.124.26.7
* এই তো জেনেরালি দায় অন্যেকে বাঁচানোর।
pi | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০১:৩৪ | 128.231.22.89
হাসপাতালের ( সে কর্পোরেট হোক আর যাই হোক) পরিষেবা নষ্ট করা হলে কোনো না কোনো ভাবে তার এফেক্ট কোনো না কোনো মুমুর্ষু রোগীর উপর পড়বে বটেক। তা, সেই রোগী কর্পোরেট হাসপাতাল অ্যাফোর্ড করতে পারেন এই দোষে দুষ্ট বলে নিশ্চয় তাঁর অসুবিধাটা বৈধতা পেয়ে যায় না !
আর, প্রতিবাদ জানানো নিয়ে তো কোনো আপত্তি নেই। প্রতিবাদ জানানোর ধরণ নিয়ে আপত্তি।
Du | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০১:৩৩ | 65.124.26.7
সব সিচুয়েশনই আলাদা - তবু কোথাও যেন ঐ পুরোনো 'পাথর ছোড়ার অধিকার কার' -এর মর্যালিটির, নিজের কাছে নিজের অ্যাকাউন্টেবিলিটির দরকার।
ছেলে হবার আগে বাস অটোয় চড়া মানা ছিল ডাক্তারের - তবু বাগুইহাটি মোড় থেকে সল্টলেক কোনদিনই ট্যাক্সি জোটেনি আমার - মিটার বেশি ওঠেনা বলে। পড়ে থাকা লোকের এই তো জেনারেলি লোকের পাশ দিয়ে শ শ গাড়ি বেরিয়ে যায়। দায় অন্যেকে বাঁচানোর। হঠাৎ করে অন্যেকে শাস্তি দিতে সবাই যদি সারি সারি সুদর্শন চক্র নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে একটু আশ্চর্য্য লাগে বৈকি? ডাইমেনশনটা খুবই আউট অফ প্রোপোর্শন।
আকার পয়েন্টটা যে এর পরের মরণাপন্ন রোগীটা কোথায় যাবে - ভাবা দরকার।
ভাংচুরের ভয়েই কি হাসপাতালগুলো টাইট হয়ে যাবে? ভর্ত্তি করার পর কেউ মরে গেলেও তো ভাংচুরের চান্স থেকেই যায়।
aka | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০১:৩০ | 168.26.215.13
আইনটি তো সরকারী এবং বেসরকারী দুই ধরণের হাসপাতালের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
pi | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০১:২৭ | 128.231.22.89
এই 'রাইট টূ এমারজেন্সী মেডিকেয়ার' বেসরকারী হাসপাতালে প্রযোজ্য করার জন্য এতদিনে কোথাও থেকে কোনো কেস ফাইলড হয় নি ? তর্কের খাতিতে ধরে নিচ্ছি, এই ভাঙ্চুর যাঁরা করেছেন, শুধুই এই কর্পোরেট হাসপাতালের এই কালচারের উপর বহুদিনের ক্ষোভ বশতঃ করেছেন । তো, এনাদের কেউ এরকম খেত মজুর সমিতির হাকিম শেখ কেসের মত আইনি পথে হাঁটার কথা ভাবেন নি? কারণ ফিরিয়ে দেবার ঘটনা তো আগেও বহুবার হয়েছে।
aka | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০১:২৭ | 168.26.215.13
আপত্তি দুটোতেই
১। ভাঙচুর, পেটানো (এক্ষেত্রে হয় নি) - দুটো কারণে
ক) এতে অদূর ভবিষ্যতে ফেসিলিটিটি আর যাদের কাজে লাগতে পারত, তাদের কাজে লাগবে না।
খ) পুরো সিস্টেমের ওপর নেগেটিভ এফেক্ট ফেলে। আগেই বলেছি জনগণের ক্যালানির ভয়ে নব্য, যুবক ডাক্তারেরা এই ধরণের কেস অ্যাভয়েড করার আপ্রাণ চেষ্টা করে।
২। যেকোন রোগী যখন হাসপাতালে ভর্তি থাকে তখন সে যথেষ্ট মানসিক যন্ত্রনায় থাকে। সেখানে এই ধরণের টেরর তার পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর। হার্টের পেশেন্ট থাকলে হার্ট অ্যাটাক হতেই পারে। হয় নি, কপাল ভালো।
মুমূর্ষু মানুষকে যদি ইকুয়েশন থেকে বাদ দিই? ঐ টাটার শো'রুমের মত কেস হলে? মানে জানলা দরজা ভাঙ্গলে তখন ঠিক আছে? এখানে মুমূর্ষু মানুষদের ওপর এক্স্যাক্টলি কি হয়েছে? NDTV'র ক্লিপে যা দেখছি তাতে কাঁচ ভাঙ্গছে, ল্যাবের জিনিস ভাঙ্গছে দেখছি।
আপত্তিটা আরেকটু ডিফাইন করা হোক তাহলে? ভাঙ্গচুরে আপত্তি না অন্য মানুষের প্রাণনাশের আশঙ্কাতে আপত্তি?
. | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০১:১৮ | 115.117.229.185
সেটা বড় ইস্যু, কিন্তু এক্ষেত্রে নয়। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটে তার ঠিক পাশেই পিয়ারলেস বলে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ফেরৎ পাঠালে উল্টোদিকে অ্যাপেক্স নার্সিং হোমে যখন চিকিৎসা শুরু হয়, তখন সেখানে গিয়েও লুঠপাট, ভাঙচুর এবং চিকিৎসারত ডাক্তারদের পেটানো হয়।
pi | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০১:১৩ | 128.231.22.89
আর সেভাবে দেখতে গেলে, সরকারী হাসপাতালেও ভাংচুর করা উচিত। কেন সেখানে সেই অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা গুলো ঠিক মত পাওয়া যাবে না, যে কারণে এই বেসরকারী হাসপাতাল গুলোতে দৌড়তে হবে ? আসল গলদ টা তো সেই গোড়ায় হয়ে রয়েছে।
Arpan | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০১:১০ | 112.133.206.20
* তফাৎ
Arpan | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০১:১০ | 112.133.206.20
পাই কি আমায় বললে? তখাৎ তো আছেই।
. | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০১:০৫ | 115.117.229.185
সরকারী হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার সূত্রেই সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল- লিঙ্কে বিশদে আছে।
. | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০১:০৪ | 115.117.229.185
একই মানসিকতা। আমরা প্রতি মূহুর্তে কিছুটা প্রত্যক্ষ করি তো। কাজেই মনে হয় একটু বুঝতে পারি। যে কোনো ক্ষোভকে একটা রায়টের চেহারা দিয়ে মাঝখান থেকে লুটেপুটে নেওয়ার মানসিকতা। দাঙ্গাবাজ লুম্পেন আর গরীব অসহায় মানুষকে এক করে দেখা খুব একটা ভালো ব্যাপার নয়।
aka | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০১:০৩ | 168.26.215.13
অদূর অতীতে (আইন বলবৎ হবার পরে) কোন উদা হাতের কাছে নেই। তবে অনেক আগের ঘটনা অবশ্যই আছে।
হেলথকেয়ার কর্পোরেটাইজেশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়াতে গিয়ে আরও কিছু মুমূর্ষ মানুষের ওপর অত্যাচার?
pi | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০০:৫৭ | 128.231.22.89
আচ্ছা, বাস ধাক্কায় মৃত্যু হলে ড্রাইভারকে পিটুনি , ভাংচুর , আগুল জ্বালিয়ে দেওয়া যে মানসিকতা থেকে হয় , তার থেকে এই ভাংচুরের মানসিকতা কতটা আলাদা ? মানে কর্পোরেটাইসেশন নিয়ে ক্ষোভ ইত্যাদি ঠিক কতটা কাজ করেছে ?
আর ও একটা কথা। গাড়ির শোরুম ভাংচুর আর হাসপাতালে মুমুর্ষু রোগীর ওয়ার্ডে গিয়ে ভাংচুরের মধ্যেও কোথাও একটা তফাত আছে।
a x | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০০:৫২ | 143.111.22.23
তুমি কি এমার্জেন্সি/ট্রমা কেয়ারের কথাই বলছ? অ্যাডমিট করেনি?
aka | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০০:৪৮ | 168.26.215.13
অক্ষ, পিজিতে গিয়ে মরে গেলেও সিট পাওয়া যায় না। এ ঘটনা বহু ঘটেছে।
ঐ আইনটা আছে বলে হোটেলের থেকে হাসপাতাল বেশী লাভজনক ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঐ আইনটা আছে বলে অনেক সুজোগ সুবিধে পায় সরকার থেকে কর্পোরেট হাউস, হাসপাতাল খুললে। এবং মুনাফা ও আরো মুনাফার লোভেই সেই আইনকেই তারপর কলা দেখানো হয়।
a x | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০০:৩২ | 143.111.22.23
আরজিকর বা মেডিকাল কলেজ রোগী ফিরিয়ে দিয়েছে এমন শুনিনি। বেড নেই বলে মাটিতে রেখে দিয়েছে। নীলরতনে কুকুর ঘুরে বেরিয়েছে এগুলো শুনেছি।
হেলথ কেয়ার কে কর্পোরেটাইসই তো করা হচ্ছে!
aka | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০০:২৮ | 168.26.215.13
হেলথ কেয়ার ফেসিলিটি কে শুধুই কর্পোরেট এন্টিটি বলা যায় না। সেই জন্যই আইন আছে যেকোন হসপিটাল সে প্রাইভেটই হোক বা সরকারী হোক সেখানে মুমূর্ষ রোগীকে ভর্তি করতেই হবে। সেখানে এই জাতীয় ভাঙচুর মানে হল অদূর ভবিষ্যতে সেই ফেসিলিটি কেউই ব্যবহার করতে পারবে না। হসপিটালটা পিয়ারলেস না হয়ে আরজিকর বা মেডিকেল কলেজ হলেও কি অক্ষর অবস্থান একই থাকত?
Arpan | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০০:২৬ | 122.252.231.12
চৌরিচৌরার সঙ্গে তুলনাটা ঠিক হল না। সেখানে পুলিশভর্তি থানা জ্বালিয়ে দিয়েছিল। তাও বলি টাটার শোরুমে ভাঙচুরের ঘটনাকে আমি সাপোর্ট করিনি। করি না তার কারণ তাতে মূল আন্দোলনের ক্ষতিই হয়েছে।
Arpan | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০০:২৩ | 112.133.206.20
যাগ্গে, শিবুদা এড়িয়ে গেল সিঙ্গুরে কী হিংসাশ্রয়ী আন্দোলন হয়েছিল। পাঁচিল ভাঙ্গাটা আন্দোলনের অ্যাজেন্ডাই ছিল। বেশ করেছে। সরকার প্রোজেক্ট স্পনসর করার আগে সব স্টেকহোল্ডারের বাই-ইন নেয়নি কেন? নেয়নি যখন যার টাকা গেল তার জন্য কাঁদতে বসব? সরকার সেই টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে মিটিয়ে দিক (আমার তোমার ট্যাক্সোর টাকা দিয়েই)।
বেশ, টাটার শোরুম, যেটা বিতর্কিত ভূখণ্ডের বাইরে, সেখানে ভাঙচুরের ঘটনা বাদ দেব না। কিন্তু শিবুদা কি হঠাৎ গান্ধীবাদী হয়ে গেল যে একটা চৌরিচৌরা ঘটলে পুরো আন্দোলনটাকে শিকেয় তুলে দিতে হবে?
a x | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০০:২১ | 143.111.22.23
হ্যাঁ একস্ট্রাপোলেশন দ্বারা অনেক কিছুই একরকম লাগে, স্বাভাবিক। কিন্তু কত লাখ এরকম ঘটলে একটাও কর্পোরেট এন্টিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে ধারণা? রাজনৈতিক ফলো আপ কে করবে? কবে করেছে? কটা করেছে? এগুলো একটা পিরিয়ডের পর ফাঁকা আওয়াজ হয়ে যায়না কি?
aka | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০০:১৫ | 168.26.215.13
পিরিয়ডের পরের পয়েন টা মিস করে গেলে। নাহলে রাজনৈতিক ভাবে পার্সুয়েসিভ ফলো আপের দরকার আছে।
এই যুক্তিটা কদিন আগে কয়েকজন ডাকাতকে পুড়িয়ে মারার পরে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা যে বাইট দিলেন - যা হয়েছে জনরোষ, পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকলে জনতা নিজের হাতে আইন তুলে নেবেই- সেরকম লাগল।
a x | ১৫ এপ্রিল ২০১০ ০০:০২ | 143.111.22.23
পিরিয়ডটা আমরা যারা অনায়াসে পিয়ারলেসে ঢুকি তাদের পক্ষে ভারী সোজা। আইনি ব্যবস্থা নেবে। পিরিয়ড। এই পিরিয়ড কতদিন চলবে? কত বছর? কি অদ্ভূত। একদল লোক মরতেই থাকবে নানাভাবে। তাদেরকে বলা হবে, অপেক্ষা কর আইন ব্যবস্থা নেবে। তারাও বাধ্য হয়ে অপেক্ষা করতেই থাকবে।
আর বিরোধিতা, লেজিটিমাইস ইত্যাদির বাইনারি জগৎটা ঐ NDTVতেই থাক। হয় কনডেম কর, নইলেই তুমি সাপোর্ট করছ! এর বাইরে আর কিছু নেই? আমরাই তো স্বচ্ছন্দে ঘুষ দিই নানারকম অজুহাতে, কই, তখন তো অপেক্ষা কর আইনী পথে চল বলে বসে থাকিনা?
aka | ১৪ এপ্রিল ২০১০ ২৩:৫৯ | 168.26.215.13
যেকদিন আইসিইউ, অপারেশন থিয়েটার ঠিক হবে না, ততদিন কিন্তু আর কোন অ্যাকসিডেন্টের রোগীকেই পিয়ারলেস নেবে না। কারণ তাদের সেই ইনফ্রাস্ট্রাকচারই নেই। তখন কি হবে?
আমার চেনাজানা নব্য, যুবক ডাক্তাররা এই জাতীয় এমার্জেন্সী কেস দেখলে এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করে, আর কিছু না মব ভায়োলেন্স এড়াতে। আদতে এতে পুরো সিস্টেমের ওপর নেগেটিভ এফেক্ট বাড়ে, কমে না।
aka | ১৪ এপ্রিল ২০১০ ২৩:৫০ | 168.26.215.13
হসপিটালের উচিত ছিল ট্রিটমেন্ট করা। করে নি ভুল করেছে, আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, পিরিয়ড। রুবির ক্ষেত্রে মোস্ট প্রোবাবলি রেজিস্ট্রেশন ক্যানসেল হয়েছিল। না হলে তার পার্সুয়েসিভ ফলো-আপের দরকার আছে। রাজনৈতিক ভাবে।
কিন্তু সেটা হয় নি বলে কিছু লোক ঢুকে হসপিটালে তছনছ করবে, কার স্যালাইন চলছে, ব্লাড ব্যাংক থেকে ব্লাড নষ্ট করবে সেটা শুধু অসমর্থনযোগ্য নয় অত্যন্ত ক্রিমিনাল অফেন্স। শুধু তাই নয় যেখানে রুগীদের চিকিৎসা হয়েছে সেখানেও ভাঙচুর করেছে। কোন যুক্তিতে সেটা কে লেজিটিমাইজ করা যায়?
এই ভাঙচুরে পিয়ারলেস কর্তৃপক্ষের ছেঁড়া গেল। সব ইনসিওর করা আছে। হ্যাঁ একমাসের আয় খানিক কমল।
এই মব ভায়োলেন্সে কোন রুগীর প্রাণ যায় নি, কিন্তু যেতেই পারত। জঘন্য অপরাধের বিরোধীতা করতে গিয়ে আর একটা জঘন্য অপরাধকে লেজিটিমাইজ করা যায় না।
a x | ১৪ এপ্রিল ২০১০ ২৩:২৭ | 143.111.22.23
আর্য, কতগুলো শব্দ খাবলা মেরে বসিয়ে দিলেই ঠিক সার্কাসম প্রকাশ পায়না। আরো একটু খেটে লেখ, যদি সার্কাস্টিকই হতে চাও। এখানে বিপ্লব ইত্যাদি কোথা থেকে এল? অন্য রুগীরা মারা যেত বসল, সেত খুবই দুঃখের এবং হতাশার, কিন্তু যারা মারা যেত বসল না, মরে গেল, তাদেরকে তুমি কি বলবে একটু জানতে চাই।
Samik | ১৪ এপ্রিল ২০১০ ২২:৪৭ | 122.162.75.57
আর ১৭ পাতা। লাগে রহো ...
সক্কলকে আগাম শুভ নববর্ষ।
aka | ১৪ এপ্রিল ২০১০ ২২:৩১ | 168.26.215.13
আরে কি জ্বালা, বিপ্লব করতে গিয়ে যে অন্য রুগীরা মারা যেতে বসল। এবারে কি তাদের বাড়ির লোকজন এসে প্রতিবিপ্লব করবে? বিপ্লব, প্রতিবিপ্লবের রেকারিং ডেসিমেলে তো কারুরই জীবন থাকবে না।
I | ১৪ এপ্রিল ২০১০ ২২:০২ | 59.93.202.9
আমি করবো। একটা ভালো দেখে চাবুক দাও তো, শঙ্কর মাছের লেজের !
Arpan | ১৪ এপ্রিল ২০১০ ২১:১৪ | 216.52.215.232
হাসপাতালগুলির ইমিডিয়েটলি শাস্তি হওয়া দরকার। দরকার, কিন্তু করবেটা কে? বড়জোর একটা তদন্ত কমিশন বসবে। তারপরে সবাই - এই আমরা, মিডিয়া, বিরোধী রাজনৈতিক দল, প্রশাসন সবাই মিলে ভুলে যাবে। ইস্যুর কি কমতি পড়েছে বাজারে!
a x | ১৪ এপ্রিল ২০১০ ২১:০১ | 99.68.219.148
আচ্ছা যারা আইনের কথা বলেন, তাদের কাছে জানতে চাই, এই কিছুদিন আগে রুবি হাসপাতালেও ঠিক এরকম একটা ঘটনা ঘটেছিল, একটি ছাত্রকে ভর্তি করতে রিফিউস করে, অন্য হাসপাতালে নেওয়ার পথে ছেলেটি মারা যায়। এরকম বহু ঘটে। বহু। আত্মীয় স্বজনরা তাদের শোক পালনের সুযোগ পাবেন না আইন দিয়ে মোকাবিলা করবেন?
পিয়ারলেসে মারামারি ইত্যাদি করে লুম্পেনবাজির নিদর্শন ইত্যাদি দেখিয়ে আইন ভাঙ্গা হল, কেউ মরেনি কিন্তু পুলিশ গুলি চালালো। প্রাইভেট হাসপাতাল গুলো রিফিউস করল। তারা আইন ভাঙ্গল এবং এর ফলে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাবার দেরীতে মানুষ মারা গেল। এখানে পুলিশ/প্রশাসন কি শাস্তি দিল হাসপাতালগুলোকে?
তো এরকমটাই চলতেই থাকবে? যাদের জন্য সত্যি মানুষ মরল, তারা প্রোটেকশন পেতেই থাকবে? আইন খালি একদিকের জন্যই বলবৎ হতেই থাকবে? সৈকত যা বলেছেন ঐ আপাত শান্ত ওপরের লেয়ারের নীচে যে ভায়োলেন্স সেটা কি একদিনে তৈরি হয়েছে? টেলিগ্রাফের রিপোর্ট যদি বিশ্বাস করি, তো ঐ অল্পবয়সী যাদের সাক্ষ্য বিবরণ দিয়েছে, তারা তো কোনো পার্টির পোষা বলেও মনে হল না।
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন