এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • একুশ দশকের মুক্তি - বাংলাদেশ, কেনিয়া, ভারত 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ০৭ আগস্ট ২০২৪ | ১০৩০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • এই মুহূর্তে, ​​​​​​​ঠিক ​​​​​​​বাংলাদেশের ​​​​​​​মতো ​​​​​​আন্দোলন ​​​​​​​চলছে ​​​​​​​আরেকটা ​​​​​​​দেশে। ​​​​​​​প্রায় ​​​​​​​অবিকল। ​​​​​​​কেনিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ।  আইএমএফ​​​​​​​এর ঋণে ​​​​​​​প্রায় ​​​​​​​আটকে ​​​​​​​পড়ে ​​​​​​​ঘুরে ​​​​​​​দাঁড়ানোর ​​​​​​​চেষ্টা ​​​​​​​করছিল নানা ভাবে। চিন তাদের উচ্চাকাঙ্খী বেল্ট ​​​​​​​অ্যান্ড ​​​​​​​রোড প্রকল্পে বড় বিনোয়োগ করেছিল কেনিয়ায়। এবং ​​​​​​​চিনের ​​​​​​​সবসময়ই ​​​​​​​আইএমফএর বিকল্প ​​​​​​​একটা ফাইনান্সিং ​​​​​​​এর ​​​​​​​ব্যবস্থা ​​​​​​​থাকে। ​​​​​​​আর ​​​​​​​ছিল ​​​​​​​আইএমএফএর প্রেসক্রিপশন, ​​​​​​​যে, ​​​​​​​সরকারি ​​​​​​​খাতে খরচা ​​​​​​​কমাও, ​​​​​​​ভরতুকি ​​​​​​​বন্ধ ​​​​​​​কর। ​​​​​​​এই ​​​​​​​প্রেসক্রিপশন ​​​​​​​অনুযায়ী ​​​​​​​একটা ​​​​​​​আর্থিক ​​​​​​​বিল ​​​​​​​আনা ​​​​​​​হয় ​​​​​​​কেনিয়ায়, ​​​​​​​যেটাতে ​​​​​​​জনতার ​​​​​​​বহু ​​​​​​​সুযোগসুবিধা কাটছাঁট ​​​​​​​করা ​​​​​​​হয়। ​​​​​​​গরীব ​​​​​​​দেশ, ​​​​​​​সরকারি ​​​​​​​দুর্নীতিও ​​​​​​​প্রচুর। ​​​​​​​এর ​​​​​​​পরেই ​​​​​​​আন্দোলন ​​​​​​​শুরু ​​​​​​​হয়, ​​​​​​​কয়েক মাস  ​​​​​​ ​​​​​​​আগে। সরকার ​​​​​​​প্রথমে ​​​​​​​দমনের ​​​​​​​চেষ্টা ​​​​​​​করে। ​​​​​​​তাতে ​​​​​​​আন্দোলন ​​​​​​​বেড়ে ​​​​​​​যায়। ​​​​​​​গোটা কেনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সরকার ​​​​​​​কিছুদিন পরে ​​​​​​​পিছু ​​​​​​​হটে। মাসখানেক ​​​​​​​আগে ​​​​​​​প্রেসিডেন্ট ​​​​​​​রুটো ​​​​​​​বিলটা ​​​​​​​বাতিল ​​​​​​​করে ​​​​​​​দেন। 

    এতেই ​​​​​​​আন্দোলন ​​​​​​​থেমে ​​​​​​​যাবার ​​​​​​​কথা ​​​​​​​ছিল। ​​​​​​​কিন্তু ​​​​​​​দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারের ​​​​​​​অভিযোগ ​​​​​​​ছিল ​​​​​​​প্রচুর। ​​​​​​​ক্ষোভ-বিক্ষোভও ​​​​​​​অনেক। ​​​​​​​তার ​​​​​​​উপর ​​​​​​​আন্দোলনের উপর প্রশাসনিক ​​​​​​​আক্রমন। ফলে থামার ​​​​​​​বদলে ​​​​​​​আন্দোলন ​​​​​​​বেড়ে ​​​​​​​যায়। ​​​​​​​সারা ​​​​​​​কেনিয়া ​​​​​​​জুড়ে ​​​​​​​বিক্ষোভ ​​​​​​​দাঙ্গা ​​​​​​​শুরু ​​​​​​​হয়। ​​​​​​​এবং ​​​​​​​আন্দোলনটা ​​​​​​​হয়ে দাঁড়ায় ​​​​​​​এক-দফা। ​​​​​​​রাষ্ট্রপতির ​​​​​​​পদত্যাগের। এখনও ​​​​​​​পর্যন্ত ​​​​​​​রুটোর ​​​​​​​পদত্যাগের ​​​​​​​খবর ​​​​​​​পাইনি, কিন্তু ​​​​​​​মিডিয়ার ​​​​​​​খবর ​​​​​​​অনুযায়ী দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে ​​​​​​​আন্দোলন ​​​​​​​প্রায় ​​​​​​​সফল। ​​​​​​​খুব নাটকীয় কিছু না ঘটলে রুটোর ​​​​​​​ক্ষমতা-হারানো ​​​​​​​সময়ের ​​​​​​​অপেক্ষা। ​​​​​​​শোনা ​​​​​​​যাচ্ছে, ​​​​​​​নাইজেরিয়া, উগান্ডা এইসব ​​​​​​​জায়গাতেও ​​​​​​​আন্দোলন ​​​​​​​ছড়াচ্ছে, ​​​​​​​আফ্রিকান ​​​​​​​বসন্ত ​​​​​​​আর ​​​​​​​দূরে ​​​​​​​নেই (গোটা পৃথিবীতেই একটা বদলের হাওয়া  উঠছে, যেমন এই মুহূর্তেই ভেনিজুয়েলা আর ব্রিটেনেও, কিন্তু প্রেক্ষিতটা আলাদা বলে ওসবে ঢুকলাম না)। ​​​​​​​

    বাংলাদেশের সঙ্গে এর মিলটা কী? প্রায় পুরোটাই। এক, রোড অ্যান্ড বেল্টের বিনিয়োগ, চিনে ফিনান্সের হাতছানি। আইএমএফ, মার্কিন স্বার্থ বনাম চিনে স্বার্থ - একটা দড়িটানাটানির সম্ভাবনা। দুই, হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারের অভিযোগ। তিন, আন্দোলনটা শুরু হয় কোটা দিয়ে। তার উপর বিপুল সরকারি পীড়ন চলে। সরকার পিছু হটে। কোট প্রত্যাহার করা হয়। নয়-দফ দাবী মেনে নেওয়া হয়। চার, এবং এরপর আন্দোলনটা হয়ে দাঁড়ায় এক দফা। হাসিনার পদত্যাগ। 

    হাসিনা সরে যাবার পর কী হয়? মার্কিন ব্লু-আইড বয় ইউনুস রাষ্ট্রপ্রধান হন। তাঁর বিরুদ্ধেও গুচ্ছের অভিযোগ ছিল, কিন্তু সে নিয়ে কেউ আর মাথা ঘামাবেননা, সব দুর্নীতি ঠিক দুর্নীতি নয়। মার্কিনী পরম মিত্র সৌদি এবং তার বাংলাদেশী দোসরদের যথাযথ তোল্লাই দেওয়া হবে। চিনে ফিনান্সের কালো ছায়া বাংলাদেশের মাথা থেকে সরে যাবে। মার্কিনী আধিপত্য সুনিশ্চিত হবে। বেল্ট-অ্যান্ড-রোড হবে, কিন্তু একটা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মতো, মার্কিনী প্রাধান্যের আওতায়। চিন বা আমেরিকা কেউই একে অপরের ল্যাজে পা দেবেনা। বড়দের এই খেলায় ভারত আব্বুলিশএর মতো লেজ নাড়বে, আর বাংলাদেশে একটা গুলি চললেও গাল খাবে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ 'স্বাধীন' হবে। 

    এটা চোখেই দেখা যাচ্ছে। কেনিয়ায় অবশ্য এতদূর এখনও হয়নি। কিন্তু আন্দাজ করা যায়, ​​​​​​​রুটো ​​​​​​​গেলে ​​​​​​​ঠিক ​​​​​​​কী ​​​​​​​হবে। "দুর্নীতি" দূর ​​​​​​​হবে। ​​​​​​​এখানেও চিনে ​​​​​​​ফিনান্সের কালো-ছায়া ​​​​​​​সরে ​​​​​​​যাবে। ​​​​​​​এবং ​​​​​​​একজন "জনপ্রিয়" রাষ্ট্রপ্রধান ​​​​​​​আসবেন, ​​​​​​​যিনি ​​​​​​​আইএমএফ ​​​​​​​এর ​​​​​​​প্রেসক্রিপশন ট্যাঁফোঁ না করে ​​​​​​​অনুসরণ ​​​​​​​করবেন। ​​​​​​​কাটছাঁট ​​​​​​​করবেন ​​​​​​​জনতার ​​​​​​​সুবিধে। ​​​​​​​এবং ​​​​​​​তিনি "জনপ্রিয়" হওয়ায়  তাতে ​​​​​​​কোনো ​​​​​​​অসুবিধে ​​​​​​​হবেনা। কেনিয়া 'স্বাধীন' হবে। 

    পুরো ​​​​​​​যেন ​​​​​​​কপিবুক স্ক্রিপ্ট। ​​​​​​​একটু ​​​​​​​আধটু ​​​​​​​রদবল ​​​​​​​করে ​​​​​​​নেওয়া। ​​​​​​​ভাষান্তর, ​​​​​​​রূপান্তর ​​​​​​​ইত্যাদি। ​​​​​​​চিত্রনাট্যে ​​​​​​​দু-একটা ​​​​​​​চরিত্রকে ​​​​​​​বাদ ​​​​​​​দেওয়া, হিংসা-টিংসা না ঘটানো, এইসব দু-একটা ​​​​​​​স্বাধীনতা ​​​​​​​নিলে ​​​​​​​ভারতেও ​​​​​​​একটা কাছাকাছি ​​​​​​​গল্প ​​​​​​​পাওয়া ​​​​​​​যাবে। 

    সন ২০০৪ থেকে ১৪। ইউপিএ সরকার ক্ষমতায়। মনমোহন সিং এবং চিদাম্বরম। দুজনেই কাছাখোলা নিও-লিবারাল নীতির জন্য বিখ্যাত। টুজি থ্রিজি নিলাম হচ্ছে। মাওবাদী বিপদ দেখা যাচ্ছে চারদিকে, কারণ জঙ্গল এবং খনিকে বেদান্ত আর আদানির হাতে তুলে দেওয়া হবে মোটামুটি ঠিক। কিন্তু পুরোটাই নির্বিঘ্নে হচ্ছেনা। বিরোধিতা প্রবল। কলিঙ্গনগর থেকে নন্দীগ্রাম। সরকারের দিকেও বিরোধিতা প্রচুর, বাইরে থেকে সমর্থন দিচ্ছেন বামরা। তাঁদের মধ্যে অন্তর্বিরোধ আছে, পশ্চিমবঙ্গকে চিন বানাবেন ভাবা হচ্ছে, কিন্তু দিল্লিতে নিও-লিবারাল রাজনীতির বিরুদ্ধে বিরোধিতায় কোনো ঘাটতি নেই। নিও-লিবারাল কথাটা তখনও আপত্তিকর একটা শব্দ। একশ-দিনের-কাজ চালু হল মূলত বামেদের চাপে। সরকারি সম্পত্তি বেচে দেওয়ায় প্রবল আপত্তি। এইসব করে সরকারের অনেকদিন গেল। তারপর একদিন বামরা সমর্থন তুলে নিল, আমেরিকার সঙ্গে পরমানু চুক্তির বিরুদ্ধতা করে। ইউপিএ সরকার থাকল, কিন্তু খোঁড়াতে শুরু হল। আর এরপরই শুরু হল ম্যাজিক। দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ ছিল প্রচুর। হঠাৎই বাজারে এলেন দুর্নীতিবিরোধী সংগ্রামের নায়ক আন্না হাজারে। দিল্লিতে অবস্থান শুরু করলেন। সে আন্দোলন প্রচুর ভিড় টানল। অন্যদিকে বামদের পরমানু চুক্তি বিরোধিতা। নানা শক্তির এসইজেড বিরোধী অবস্থান, জমিজঙ্গল কর্পোরেটের হাতে তুলে দেবার বিরুদ্ধে কথা বলা( সেই দলে এই শর্মাও ছিলেন)। সবকটা মিলিয়ে ইউপিএর বিরুদ্ধে তৈরি হল তীব্র জনমত। এর আগে বিজেপির কাছা খুলে দিয়েছিল তেহেলকা। বিজেপি শাসিত গোয়ায় জেলে চলে গেলেন তরুণ তেজপাল, বাম এবং লিবারালদের অকুণ্ঠ সহযোগিতায়। এবং এই মোক্ষম সময় আদবানিকে সরিয়ে যাদুমন্ত্রবলে মঞ্চে এলেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। দিগ্বিদিকে আশ্বাস দিলেন আচ্ছে দিন এর। খেলা ঘুরে গেল। নির্বাচন হল এবং প্রথমবার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এল এনডিএ। 

    তারপরের গপ্পো আমরা জানি। নিও-লিবারাল শব্দটা বলাই বন্ধ হয়ে গেল। বামরাও আর বলেননা। কর্পোরেটের হাতে সবকিছু তুলে দেওয়াটাই  রেওয়াজ হয়ে গেল। এক-আধটা পরমানু চুক্তি নিয়ে আর কে মাথা ঘামায়। এক অদ্ভুত শাইনিং প্রজন্মের উত্থান হল। যারা একদিকে রাম ও হনুমানভক্ত, অন্যদিকে ঝা চকচকে কর্পোরেট। সবার জন্যই এই জমানায় কিছু কিছু রইল। ভক্তদের জন্য রাম, শাইনিংদের জন্য কর্পোরেট, বাম-প্রগতিশীলদের জন্য আইডেন্টিটি পলিটিক্স, নিও-লিবারাল কথাটা বলাই বন্ধ হয়ে গেল। সাম্প্রদায়িকতার উত্থান হল, আর ফাঁকতালে চিদাম্বরম জমানায় যেগুলো করতে ইউপিএর মাথার ঘাম পায়ে পড়ত, সবই ঝপাঝপ করে ফেলা শুরু হল, চোখের পলকে। একসময় নরেন্দ্র মোদীকে ভিসা দেয়নি মার্কিন সরকার। তিনি গিয়ে ট্রাম্পকে জড়িয়ে ধরলেন। মোট কথা আম্বানি-আদানি এবং গাঁটছড়াবাঁধা বহুজাতিকদের জীবনে আর কোনো সমস্যা রইলনা। গাঁটছড়া শুনে চোখ কপালে তুলবেননা। এই বিয়ে খেতে যাঁরা এসেছেন, কেউ এমনি আসেননি, একটু রিসার্চ করে দেখুন, যৌথ অংশীদারিত্ব আছে। 

    চিন এই খেলায় ছিলনা। বা থাকলেও উপর থেকে বোঝার উপায় নেই।  হিংসাও হয়নি। দরকার পড়েনি। কিন্তু বাদবাকিটা একই ধাঁচের। 

    তা, কথা হল, সব একই ধাঁচের জিনিস ঘটছে কীকরে। নানারকম 'মুক্তি' ঘটছে বিশ্বে, সবকটাতেই আমেরিকার লাভ, এ কীকরে হয়। অনেকেই বলেন, সিআইএ নানা আন্দোলনে ঢুকে পড়ে। সে নিশ্চয়ই পড়ে, কিন্তু আমি জানিনা বলে বলতে পারবনা। কিন্তু যেটা বলতে পারি, সেটা হল, মার্কিন নিয়ন্ত্রণ বা বহুজাতিক পুঁজির নিয়ন্ত্রণ এখন আর সেই সত্তর বা নব্বই দশকের মতো আদিম জায়গায় পড়ে নেই। এ নিয়ে আলাদা একটা লেখ লিখতে হবে। কিন্তু মোদ্দা কথা হল সিআইএ টাকা ধরিয়ে রিক্রুট করছে, এ জিনিসের খুব কিছু প্রয়োজন এখন পড়েনা। ধরণটাই বদলে গেছে। সেই ফ্রিডম্যানের আমল থেকে পুঁজিবাদ একটা মতাদর্শ খুঁজছিল, এখন তারা  মোটের উপর সেই বস্তু পেয়ে গেছে। একটা না। অনেক। একটা পুরোনো। একটু মোটাদাগের লোকেদের জন্য আছে ধর্ম। আফগানিস্তান থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে। আইসিস ধরণের এক আধটা একটু ব্যাকফায়ার করেছে, কিন্তু মোটের উপর সৌদি ছায়াসঙ্গী হয়ে থেকে গেছে মুসলমান দুনিয়ার ক্ষেত্রে। ভারতের ক্ষেত্রে মুসলমানত্ব কাজে লাগবেনা, আছে হিন্দুত্ব। কিন্তু যারা অতটা  মোটাদাগের না, একটু 'শিক্ষিত' ধরণের, তাদের জন্য আছে শাইনিং জীবনের হাতছানি আর দুর্নীতি-বিরোধিতা। বুদ্ধিজীবীদের জন্য আছে লড়াইয়ের ময়দান, জেন্ডার, কাস্ট, রেস। যেটা কোত্থাও নেই, সেটা হল, অসাম্য। ফলে অসুবিধে কিছু তো নেইই, বরং সুবিধের ব্যাপারটা হল, এই প্রতিটা লাইনেই আলাদা করে কাউকে রিক্রুট আর করতে হয়না। ফান্ডিং এর জন্য লোকে লাইন দিয়ে দাঁড়ায়। কেউ আবার শুধু গৌরবের জন্যই দাঁড়ায়। ফান্ডিং ও লাগেনা। এই বাংলাদেশেই দেখুননা, ধর্মীয় ফান্ডিং আসে আরব থেকে। লোকে এমনিই তাতে উন্মত্ত। রিক্রুট করার দরকার পড়েনা। শিক্ষিতরা অরাজনৈতিক কিন্তু দুর্নীতিবিরোধী। চমৎকার একটা সহাবস্থান হতেই পারে, কোনো অসুবিধে নেই। ভারতেও দুর্নীতিবিরোধী শাইনিং ভক্ত, সব একসঙ্গে হত কোনো সমস্যাই নেই। তরুণ তেজপালের মতো কেসে প্রগতিশীলদের জুটে যেতেও কোনো অসুবিধে নেই। এইসব নানা পরস্পরবিরোধী সুতো, এসবকে একসঙ্গে নাড়ানো একেবারেই সোজা কাজ না। সবসময় পারাও যায়না নিশ্চয়ই। কিন্তু তারপরেও দুনিয়া এইভাবেই চলে। এই দেখুননা, ট্রাম্পের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে বাইডেনের জমানায় দুনিয়াবাসী পেল প্যালেস্তাইন। তারপরেও, সব জেনে বুঝেও, আমি, এই শর্মাই ট্রাম্পের হাত থেকে মুক্তি পেতে আবার বাইডেনের সহযোগী কমলাকেই চাইছি। এই ম্যানিপুলেশন কি আর সোজা কথা?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৭ আগস্ট ২০২৪ | ১০৩০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:317f:43fc:8a3f:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ০৮:১১535939
  • "তরুণ তেজপালের মতো কেসে প্রগতিশীলদের জুটে যেতেও কোনো অসুবিধে নেই"
     
    সৈকতবাবুর সেই পুরনো ব্যাথা laugh
  • Ranjan Roy | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ০৮:১৯535940
  • তেতো কথা, কিন্তু সত্যি। 
     
    "  সাথী, ওগো সাথী, আমি কোন পথে যাব"?
  • Sankha | 38.26.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ০৯:০২535945
  • "মার্কিন নিয়ন্ত্রণ বা বহুজাতিক পুঁজির নিয়ন্ত্রণ এখন আর সেই সত্তর বা নব্বই দশকের মতো আদিম জায়গায় পড়ে নেই। এ নিয়ে আলাদা একটা লেখ লিখতে হবে।"
     
    - খুব ইন্টারেষ্টিং হবে। অপেক্ষায় রইলাম . 
  • NRO | 165.124.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ১০:১০535948
  • সৈকতবাবু , ভালো লিখেছেন - Probably the best piece at this site. আমি অনেকটাই agree করি but not with everything. সবকটাতেই আমেরিকার লাভ কারণ Foggy Bottom এর অফিস ভর্তি প্রচুর Ivy league graduate, মাথাওয়ালা মানুষ , যাঁরা State Dept চালান। আমাদের South Block ভর্তি বাবু-type ম্যাদা মারা career officer রা যাঁরা এককালে হয়তো বিশ্বাস করতেন যা Pravda ছাপে সেটাই সত্যি। So, the writing is in wall who will win out.
  • অরিন | 119.224.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ১২:৩৫535951
  • সৈকতের থিওরীটা বুঝতে পারলাম না।
    এ কি ডীপ স্টেটের কথা বলতে চাইছেন?
    না কিঅন্য কোন রকম আরো গভীর কনস্পিরেসি। থিয়োরী?
  • পাপাঙ্গুল | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ১৪:২৯535956
  • হাসিনা আমেরিকার ছায়াসঙ্গী এই ব্যাংকগুলোর নিয়মের চক্কর থেকে বেরিয়ে আসতে অনেক দিন ধরেই পিপিপি মডেলে সরবার কথা ভাবছিলেন। ইউনুসের ইন্ধনে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক পদ্মাসেতুর টাকা দেয়নি। ঢাকা মেট্রোর মত বহু প্রোজেক্ট ভারত চীনের থেকে টাকা ধার নিয়ে বা আদানির থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে শেষ হচ্ছিল। এসব আমেরিকার পছন্দ হয়নি। আইএমএফ ২০২৩ র ধারটা টোপ হিসেবে দিয়েছিল সম্ভবত অবাধ মুক্ত নির্বাচন হাসিনা করাবেন সেই কথা ভেবে। অবাধ মুক্ত নির্বাচন তো হয়নি। 
  • হীরেন সিংহরায় | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ১৬:১৪535959
  • লাল নীলের ঠাণ্ডা লড়াই দেখেছি আফ্রিকার রঙ্গ মনচে - এ্যাংগোলা নামক সোভিয়েত উপগ্রহের কিউবান সেনা আমেরিকান তেল কোমপানির অফ শোর অয়েল রিগ করেছে। আমরা কিনশাসায় শাখা খুলেছি মুগাবেকে 
    সুলভে অর্থ দিতে ( তখন সিটির দুটি মাত্র বরানচ গোটা আফ্রিকায় )। রাজনৈতিক পেশির সংগে এসেছিল টাকা। 
    আজ তিরিশ বছরে কোন আমেরিকান ইনভেসটমেনট আসে নি। আদ্দিস আবাবার Rapid Transit System তাক লাগানো । দীর্ঘ দিনের ভুক্ত ভোগী হিসেবে বলি নাইরোবি- ঠিকা হাইওয়ে উচ্চমানের। চিন রাজনৈতিক শক্তি কিনছে। আমেরিকার উদ্দেশ্য বুঝি না ঠিক- পকেটে হাত দেবে না তারা।

    ( বিস্তৃত বিবরণ আমার আফ্রিকা বইতে ) 
  • হীরেন সিংহরায় | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ১৬:২৭535960
  • "কিউবান সেনা অফ শোর অয়েল রিগ রক্ষা করেছে "
     
    রক্ষা বাদ পডে গিয়েছিল
  • হীরেন সিংহরায় | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ১৯:৩৫535967
  • আবার ভুল - মোবুতুকে টাকা যোগাতে! প্যারিসে এখন এত রকমের কাণ্ড কারখানা চলছে। গোলমাল হয়ে যায়! 
  • Guru | 2409:4060:2ec1:75a9:31d4:387b:5e23:***:*** | ০৮ আগস্ট ২০২৪ ০০:২৬535980
  • হাসিনার পুরো ফ্যামিলি তো ব্রিটেন বা আম্রিকাতেই সেটলড l এটাই তো আম্রিকার সবচেয়ে বড় প্রেসার পয়েন্ট আম্রিকা 
  • জয়া চৌধুরী | 203.17.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০২৪ ১১:১৯536083
  • কী যথাযথ যে লেখাটা!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন