এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • একটি বুকস্টল ও একটি শহর

    Samir Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১০ জুলাই ২০২৪ | ৬৩৫ বার পঠিত
  • ক্রমেই বদলে যাচ্ছে আমাদের শহর। আমরা তখন মাধ্যমিক/ উচ্চ মাধ্যমিক। ছুটি পেলেই আমাদের কয়েকজন বন্ধুর দুপুরগুলো কাটত বিশাল ভবনের নীচেতলার ঘরে গড়ে ওঠা শ্রীরামপুর পাবলিক লাইব্রেরির রিডিং রুমে। ছোট, মেজ, বড় কত রকমের ম্যাগাজিনই যে আসত। কাঠের বিশাল টেবিলে রেল লাইনের পাথর পেপারওয়েট হিসেবে ব্যবহার করে চাপা দিয়ে রাখা হত সে সব। (কারণ পাশ দিয়েই গেছে হাওড়া মেন ট্রেন লাইন) যার খুশি নাও, পড়। যেগুলো একটু দামি, ভেতরে রাখা থাকত। কাউন্টারে থাকা গফুরদাকে বার বার বিরক্ত করে চেয়ে নেওয়া হত সেসব। একটু বিকেল বা সন্ধ্যে হলেই সাইকেল নিয়ে এই লাইব্রেরি থেকেই সোজা চলে যাওয়া হত মানসী সিনেমার উল্টো দিকের গলির নন্দন বুক স্টলে। সে ছিল এক আশ্চর্য বই আর ম্যাগাজিনের দোকান। কী নেই? যেন গোটা ভারত, গোটা বাংলা থেকে প্রকাশিত  ম্যাগাজিন হাজির সেখানে। এ দোকান চালান কাঁচাপাকা চুলের ষষ্ঠীচরণ নন্দন (সকলের ‘ষষ্ঠীদা’) নামের এক রসিক মানুষ।এখানেই একদিন এ ম্যাগাজিন ও ম্যাগাজিন ওল্টাতে ওল্টাতে হাতে এসে গেল ‘ডেবোনেয়ার’। সে কান-ফান গরম হয়ে যাওয়ার পালা। আবার এখানেই একদিন অজান্তেই তুলে নিলাম সে সময়ের সাড়া জাগানো পত্রিকা ‘উৎস মানুষ’। আমাদের এ ম্যাগাজিন ঘাঁটাঘাঁটি করতে দেখে ষষ্ঠীবাবু বললেন, “এসব বই পড়লে ড. কোভুরের শিষ্য হয়ে যেতে হবে।” তখনও জানিনা কে কোভুর? জানিনা ডেবোনেয়ারের চরম আকর্ষণকে সাইডে রেখে ‘উৎস মানুষ’ আমাদের পেয়ে বসবে।  ভূত-ভগবান-শয়তানের এই সংসারে সবকিছুকে যুক্তি আর নিরপেক্ষ ভাবে দেখতে শিখব। আজ যদি বলি আমার মত নিতান্তই এক এলেবেলে,এলোমেলো মানুষকে কিছুটা হলেও এই পথ বাতলে দিয়েছিল অলস দুপুরের সেই লাইব্রেরি আর শ্রীরামপুরের ‘নন্দন বুক স্টল’ – তা মোটেই অতিকথন হবে না। 
     
    প্রশ্ন হল এতক্ষণ এই ব্যক্তিগত চর্চা কেন? আসলে পিছনে তাড়া করছে চোখের সামনে আমাদের শ্রীরামপুর শহরটার একটু একটু করে বদলে যাওয়ার গল্প। আমার কিশোর ও যৌবন বয়সের সেই ‘নন্দন বুক স্টল’ আর নেই। কালের নিয়মে সেখানে এখন ঝাঁ-চকচকে দোকান। ষষ্ঠীবাবুর ছেলে উদয় নন্দন (বয়সে ছোট হলেও আমাদের প্রায় বন্ধুস্থানীয়) গোপীনাথ সাহা স্মৃতি মার্কেটে বইয়ের দোকান দিল।প্রথমে বাইরে,তারপর তা সরে গিয়ে ভেতরে।আমাদের চাহিদা মেনে ডেকার্স লেন, কলেজ স্ট্রিটের অলি-গলি-পাকস্থলি থেকে কত বই-ম্যাগাজিন এনে দিয়েছে সে। জামাকাপড়, ইমিটেশন, সাজগোজ আর খাবারের স্টলের চাপে নাভিশ্বাস তুলে পাততাড়ি গুটিয়েছে ওই বইঘরও।
     

    এরপর শ্রীরামপুরের মত শহরে গুটিকয় পাঠ্যপুস্তকের ব্যাজারমুখো বইয়ের দোকান বাদ দিলে শেষ তারার মত জ্বলছিল জৈনদের প্রায় ৫৩ বছরের পুরনো ‘শ্রীরামপুর রেলওয়ে স্টেশন বুক স্টল’। বলা যায় বইপ্রেমী ট্রেনযাত্রীদের বই ও ম্যাগাজিন নেড়েচেড়ে দেখার সেরা জায়গা। খবরের কাগজে বা ম্যাগাজিনে জমা দেওয়া লেখা নির্দিষ্ট দিনে ছাপা হল কিনা তা দুরুদুরু বক্ষে পাতা উল্টে দেখার সাহসী ঠিকানা ছিল এই স্টেশন বুক স্টল। পকেটে রেস্ত কম থাকা পাঠকদের মনের কথা বুঝতেন অশোক জৈন। সে পরম্পরা ধরে রেখেছিল তার ছেলেরাও।স্টকে না থাকলেও চাহিদামত সব বই,ম্যাগাজিন আনিয়ে দিত সকাল থেকে রাত স্টল আঁকড়ে পড়ে থাকা অভিষেক। এই শহরে ইংরাজি, বাংলার পাশাপাশি লিটল ম্যাগাজিনের চাহিদা মত প্রাপ্তির শেষ ঠিকানা হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকা সে জায়গায় এখন জ্বলজ্বল করছে চা কফি নরম পানীয়ের স্টলের সাইনবোর্ড।
     

     
    অর্থাৎ ‘শ্রীরামপুর রেলওয়ে স্টেশন বুক স্টল’ও এখন ভ্যানিস। এমন পরিস্থিতির শুরুটা হয়েছিল আগেই। এই নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা  ডেইলিনিউজরিল ডট ইন জানাচ্ছে যে, বছর খানেক আগে ভারতীয় রেলের জারি করা নির্দেশনামায় ‘মাল্টিপারপাস স্টল’ই প্ল্যাটফর্মের বিপণী হিসেবে থাকার অনুমতি পায়। সেই নির্দেশনামায় জামা-কাপড়, খাবার ও কুটির শিল্পের পণ্য ইত্যাদির প্রস্তাব থাকলেও বাদ গিয়েছে বই। আইন আদালত করেও লাভ হয় নি বিশেষ। একেই বুঝি বলে কালের নিয়ম। একথা তো চালুই যে আজকের মানুষ বই পড়ে না। তাই কী হবে এমন ব্যস্ততম স্টেশনে বইয়ের দোকান রেখে? নীতি,দায়িত্বের কথা ভেবে কী লাভ?  তার থেকে কফি-কোল্ড ড্রিঙ্কস, প্যাটিস, পেস্ট্রির দোকান বসিয়ে মুনাফার ডালপালা মেলুক রেল। আরও আলোকিত, আরও স্মার্ট হয়ে উঠুক স্টেশনে স্টেশনে আমাদের দাঁড়াবার জায়গা।

    এমন পরিস্থিতেই গর্জে উঠেছে অক্ষর শহর শ্রীরামপুর। বইয়ের স্টল বন্ধ করা যাবে না এমন দাবি তুলে সরব হয়েছেন এ শহরের  বিখ্যাত কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, মানবাধিকার কর্মীরা।সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সকলের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে  - 
    শহরের প্রাচীন ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক গরিমা আমাদের গর্বের। এই শহরেই প্রথম হরফ তৈরি হয়। এই শহরে আছে ছ'শো বছরের প্রাচীন রথ, আছে দুশো বছরের কলেজ, আছে দেড়শো বছরের পৌরসভা সর্বোপরি এই শহরের সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল সতত প্রবহমান। এখানে নিয়মিত নাট্যচর্চার পাশাপাশি গভীর ভাবে সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চাও হয়। এই শহরের প্রাচীন  রেল স্টেশনও আমাদের গর্বের। ঐ বইয়ের স্টলটি শুধুমাত্র বাণিজ্যই করত না, শ্রীরামপুর শহরের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনেরও কাজ করত। রেলের চিরাচরিত সংস্কৃতি অনুযায়ী যা সাযুজ্যপূর্ণ নয়। সংস্কৃতির উপর এই আঘাত আমাদের গভীরভাবে ব্যাথিত করেছে।
     

    প্রাথমিক প্রতিবাদ, পদক্ষেপে কাজ না হওয়ায় মাননীয় রেল মন্ত্রীর কাছে এক খোলা চিঠি লিখে পুনরায় বইয়ের স্টলটি চালু করতে আবেদন করার উদ্যোগ নিয়েছে শ্রীরামপুরবাসী। বাজি ও ডিজের অত্যাচার হোক বা গাছ কাটা, সারমেয়দের হেনস্থা হোক বা গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা - বিভিন্ন সমস্যায় নানা ভাবে বারবার সরব হয়েছে শ্রীরামপুর।

    প্রশ্ন হল ঝলমলে শপিং মল, ধাঁধা লাগানো শো-রুম, উপছে পড়া খাবারের দোকানের ব্যস্ততম এই শহরে একটিও বই বা ম্যাগাজিনের দোকান না থাকলে কী এসে যায়? আশঙ্কা একটাই, আমাদের কম বয়সে পথ দেখানো বই আর ম্যাগাজিনের দুনিয়া থেকে আলোকবর্ষ দূরে সরে যাচ্ছে আজকের প্রজন্ম। বুকে একরাশ ব্যথা নিয়েই এই ঐতিহাসিক পরিবর্তনের সাক্ষী থাকতে হচ্ছে ইতিহাসের শহর শ্রীরামপুরকে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১০ জুলাই ২০২৪ | ৬৩৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সুসমীর / Samir | ১০ জুলাই ২০২৪ ২০:৩৭534481
  • কিছুতেই প্রয়োজনীয় কিছু ছবি যোগ করতে পারছি না। অপশন নেই। এর আগে অনেক পোস্টে করেছি। অ্যাডমিন একটু দেখবেন প্লিজ।
  • অভিজিৎ বসু। | 2402:3a80:1964:56a0:378:5634:1232:***:*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ০২:১১534487
  • সত্যিই তো ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে এই শহর। ঝাঁ চকচকে সুন্দর দোকানের ভীড়ে হারিয়ে যাচ্ছে পুরোনো সব দোকান তার ইতিহাস আর সাথে আমাদের অতীত। উপায় কি সব জেনেও মেনে নিতে হয়।
  • সুসমীর / Samir | ১১ জুলাই ২০২৪ ০৭:৪৩534491
  • ধন্যবাদ গুরু অ্যাডমিন। একটু ঘুরপথে হলেও করে ফেলা গেল।
  • Prabhas Sen | ১১ জুলাই ২০২৪ ১১:৩৪534497
  • আমি শ্রীরামপুরের বাসিন্দা নই। তবে এই জায়গাটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কে শুনেছি। উইলিয়াম কেরী ও বাংলা ছাপাই এর আদি ইতিহাস তো এখানেই শুরু। আর আমার যোগাযোগ (যদি তা বলা যায়) এখানেই থেকে প্রকাশিত একটি দ্বিমাসিক পত্রিকা। নাম "অন্তরীপ"। এই পত্রিকার মান বেশ ভাল। বিভিন্ন স্বাদের রচনায় এটি সমৃদ্ধ। 
  • কৌতূহলী | 103.249.***.*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ১১:৫৯534498
  • দুটো প্রশ্ন আছে একজন তরুণ শ্রীরামপুরবাসী হিসাবে।
    ১) উৎস মানুষ, যুক্তিবাদী আন্দোলন, সায়েন্স ক্লাব, এগুলো শ্রীরামপুরে কেমন প্রভাব বিস্তার করেছিল। উৎস মানুষের সংগঠকরা কি কখনও শ্রীরামপুরে প্রোগ্রাম করতে এসেছিলেন? 
    ২) শ্রীরামপুর পাবলিক লাইব্রেরীর লাইব্রেরিয়ানরা কিশোর বা তরুণদের সাথে এত অভদ্র ব্যবহার করেন কেন? সাধনা পাঠাগারে গ্রন্থাগারিকরা তো এরকম করেন না!!!
  • ধ্রুব বাগচী | 2409:4060:2db7:12a3::8549:***:*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ১২:২৬534499
  • একটি স্থির চিত্র। এস ওয়াজেদ আলী মনে পড়ে যাচ্ছে। আমার ক্নাস এইট - নাইন। এখনকার ৬০-৬৫র কবি লেখক এসব দেখেন নি। মনে পড়ে গেল, দৃষ্টির অমিয় চক্রবর্তী সংখ্যা। দীপক (লাহিড়ী) তখন বোধহয় কাগজের সম্পাদক। আলাপ হল ষষ্ঠী দার গলিতে। এরকম আরো কত কি! 
    গর্মেন্টের চামচেরা একটা কথা ঠিক বলেছে- এখন কবি সাহিত্যিকদের বেশিরভাগ পড়ে কম, লেখে বেশি, ভাবে তার থেকেও বেশি।
  • সুসমীর / Samir | ১১ জুলাই ২০২৪ ১৩:১৫534500
  • @কৌতূহলী
    ১। উৎস মানুষ ,যুক্তিবাদী আন্দোলন,সায়েন্স ক্লাব  ৮০-৯০-এর দশকে  শ্রীরামপুরে এসব নিয়ে এত কাজ,এত চর্চা আলোচনা হয়েছে যে তা নিয়ে আলাদা করে লেখা প্রয়োজন। সেই সময়েই  শ্রীরামপুরে গড়ে ওঠে 'ডিরোজিও গণবিজ্ঞান কেন্দ্র'। উৎস মানুষের সঙ্গে শ্রীরামপুরের যোগ ছিল গভীর। সংগঠকরা নানাভাবে এসেছেন।' উৎস মানুষের আড্ডা',আলোচনা  সবই হয়েছে শ্রীরামপুরের বুকে।
    ২। আপনার ২য় প্রশ্নের ব্যাপারে আমার কিছুই বলা সম্ভব নয়। তবে আমরা লাইরেরি থেকে অনেক  অনেক সুবিধে পেয়েছি। বারবার প্রচুর বই  চেয়েও সকল কর্মীর সাহায্য পেয়েছি। আনন্দময়ী দাশগুপ্ত  ছিলেন লাইব্রেরিয়ান।তাঁর স্নেহও পেয়েছি।    
  • সুসমীর / Samir | ১১ জুলাই ২০২৪ ১৩:২১534501
  • ধ্রুব বাগচী 
     আপনার মত ষষ্ঠীদার গলি অনেকের কাছেই এক অন্য অভিজ্ঞতা। আবার কারও কাছে এই গলি রাজপথ হয়ে উঠেছিল। 
  • কৌতূহলী | 103.249.***.*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ১৬:৫৯534502
  • @সুসমীরবাবু
    অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি যদি পরে কখনও আপনার সময়মতো শ্রীরামপুর শহর ও বিজ্ঞান আন্দোলন নিয়ে লেখেন, সমৃদ্ধ হব।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন