এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  সমাজ

  • উৎসবের মাঝেই বিষাদ সুর! কার্নিভাল চায় না শ্রীরামপুর / সুসমীর ঘোষ

    Samir Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | সমাজ | ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৩৬৯ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)


  • সময়টা বড় অদ্ভূত। গোলমেলেও বটে। একই সঙ্গে একদল মানুষ দেদার উৎসবে মেতেছে আর অন্যদল বলছে এ বড় সুখের সময় নয়। তাঁরা বোঝানোর চেষ্টা করছেন, এ উৎসব আর আনন্দের সময় নয়। কারণ মন ভাল নেই মানুষের। আসলে আরজি কর কাণ্ড এক ঐতিহাসিক আন্দোলনের জন্ম দিয়েছে এই বাংলায়। একটা রাত দখলের ডাক ও তার পরবর্তী ঘটনাক্রম যেভাবে এগিয়েছে তার নজির ইতিহাসের পাতায় আর নেই। গত দু-তিন-চার দশকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক দখলদারির আন্দোলন বাদ দিলে এই বাংলায় সেভাবে আর বড় সামাজিক আন্দোলন দেখা গেছে কই? নজিরবিহীন ভাবেই সেই না থাকা তালিকায় নাম লিখিয়েছে আরজি কর কাণ্ডে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’-এর দাবিতে ছড়িয়ে যাওয়া আন্দোলন। ভাতঘুমে ঝিমিয়ে থাকা এই সমাজকে রীতিমত ঝাঁকুনি দিয়ে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে জন গর্জন।

    নিজের কর্মক্ষেত্রে একজন মহিলা চিকিৎসকের উপর হওয়া চরম অত্যাচার শুধু নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে গেছে হাসপাতালের ভেতরে বাসা বেঁধে থাকা দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, থ্রেট কালচারের মত মারাত্মক অভিযোগ। সরাসরি অপরাধ চাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সভ্যতার নামে বড়াই করা এই সমাজে নারীর বিন্দুমাত্র সম্মান, সমানাধিকার নেই এমন অভিযোগ তুলে পথে নেমেছেন মেয়েরা। সঙ্গী হয়েছেন পুরুষরাও। সামিল হয়েছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে নানা পেশার হাজার হাজার মানুষ। এমনকি যারা প্রতিদিনের জীবনে ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকেন সেই সেলেবরাও পা মিলিয়েছেন প্রতিবাদের শহরে। প্রতিবাদের গান ছড়িয়ে পড়েছে কলকাতা থেকে জেলা সদরে, মফস্বলের আনাচে কানাচে। শেষ কবে জন-গন-মন একযোগে এমন আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছে তা সমাজবিজ্ঞানী বা ইতিহাসবিদেরাই বলতে পারবেন।

    চলে এল উৎসব

    উৎসবের কোনও দোষ নেই। ফি বছরের মত সে আসবেই। উৎসবের কতগুলো ভাল দিক আছে। সে সবকিছুকে ভুলিয়ে দেয়, গুলিয়েও দেয়। সে জন্যই তো বছরভর উৎসবের শেষ নেই। এর পর তো ভুলেগুলে থাকার জন্য বছরভর আইপিএল থেকে আম্বানির ছেলের বিয়ের ভার্চুয়াল উদ্দীপনা আছেই। সে দিক থেকে দুর্গোৎসবের মত ঐতিহ্য ও অর্থনীতি মেশানো উৎসব অনেক বেশি নম্বর পাওয়ার যোগ্য। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ‘উৎসবে ফিরুন’ মন্তব্যের বিপুল সমালোচনা হলেও মানুষ হতাশ করে নি। বেরসিকের মত বৃষ্টির একটু ঝামেলাটুকু বাদ দিলে মার্কেটে মার্কেটে উপছে পড়েছ ভিড়। কেউ বলতে পারবেন না পুজোর ব্যবসা খারাপ হয়েছে, ব্যাপক মন খারাপের জেরে নতুন জামাকাপড় কেনায় বাধা পড়েছে ( তবে সমাজে কিছু অভাগা-হতভাগা আছে তাদের পুজো বলে আলাদা কিছু হয় না, তাদের কথা বাদ দিন)।

    এবারের পুজোতেও ঢাউস প্যান্ডেলের অভাব হয় নি, মিষ্টি গান আর নরম আলো গায়ে মেখে দিব্যি রাস্তার দখল নিয়েছে মানুষ। মনখারাপ করে বসে থাকে নি টিআরপি আর ভিউ সচেতন মিডিয়াও। ডাক্তারদের অনশনের কথা একটু আধটু রেখে, সক্কাল সক্কাল কী খেলে বিকেলেই মালাইকা আরোরা হয়ে যাবেন বা গ্যাঁটের সামান্য পয়সা খসিয়ে কোথায় গিয়ে রূপকথার ডিনার সারবেন তার অসাধারণ পরিবেশন করেছে।

    এবার আসছে কার্নিভাল

    যে কথা হচ্ছিল, উৎসবের-আনন্দের কোনও শেষ নেই। বাঙালির সেরা দুর্গোৎসব, সেরা প্রতিমা, সেরা প্যান্ডেলের চৌকাঠ পেরিয়ে এবার আসছে কার্নিভাল। আগে এ জিনিস দুর্গাপুজোর সঙ্গে ছিল না। বর্তমান রাজ্য সরকার চন্দননগরের ধার করে কলকাতার সেরা পুজোর বিসর্জন যাত্রা বা কার্নিভাল শুরু করেছে। তা শুরু হয়েছে বিভিন্ন জেলাতেও। ঠিক হয়েছে জেলা সদর চুঁচুড়ার বদলে এবার কার্নিভাল হবে মহকুমা সদর শ্রীরামপুরে। আর এতেই আপত্তি তুলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে এই সিদ্ধান্ত সংবেদনশীলতার সঙ্গে পুনর্বিবেচনা করার আবেদন জানিয়েছেন শ্রীরামপুরের নাগরিক সমাজের একাংশ।



    কেন কার্নিভাল চায় না শ্রীরামপুর?

    এ বড় সুখের সময় নয় - বহু আন্দোলন, প্রতিবাদ ও কিছু করে দেখানোর শহর শ্রীরামপুর তা বুঝেছে আগেই। আর. জি. কর মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষার্থী-চিকিৎসকের যে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড সহ হুগলি জেলায় ভয়াবহ বন্যায় বহু মানুষের বিধ্বস্ত, সর্বস্বান্ত হওয়ার কথা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লেখা চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছেন -

    মাননীয়া মহাশয়া,

    ৮ই অক্টোবর ২০২৪ গত ৯ই আগস্ট, ২০২৪-এ পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা মহানগরের আর. জি. কর মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষার্থী-চিকিৎসকের যে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটে গেছে, তার অভিঘাত আমাদের মনে গভীর দুঃখ, শোক এবং ক্রোধের জন্ম দিয়েছে। বহু মানুষের মনে এই ঘটনায় পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস নামক গভীর মানসিক ক্ষত মনস্তাত্বিকেরা লক্ষ্য করছেন।
    নিহত সেই শিক্ষার্থী-চিকিৎসকের বাবা-মায়ের শোক ও যন্ত্রণার অংশীদার হয়েছেন শুধু আমাদের রাজ্যের নয়, দেশের বিভিন্ন রাজ্যের এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বহু মানুষ। এবছর শারদোৎসবে তাঁরা আড়ম্বর বর্জন করে দুর্গাপুজোর আযোজন করছেন ভাবগম্ভীর পরিবেশ বজায় রেখে।

    কিন্তু, আমরা সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে জানতে পারলাম, আমাদের ঐতিহাসিক শহর, বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতির বহুবিধ কর্মকান্ডে অগ্নণী শহর শ্রীরামপুরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গাপুজোর বিসর্জন উপলক্ষ্যে 'কার্নিভাল'-এর আযোজন করা হচ্ছে। আমরা এই ঐতিহ্যমণ্ডিত শহরের অধিবাসী হিসাবে প্রশাসনের এই উদ্যোগে একাধারে সুষ্টিত এবং লজ্জিত। আর.জি.কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় বাংলার মানুষ এমনিতেই যথেষ্ট লজ্জা এবং পরিতাপের মধ্যে আছেন। শিক্ষার্থী-চিকিৎসকের নির্মম হত্যা ও ধর্ষণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষে যারা অভিযুক্ত, তাদের যথাযথ শাস্তি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবীতে পড়ুয়া চিকিৎসকেরা আমরণ অনশনে বসেছেন। তার ওপর আমাদের জেলায় ভয়াবহ বন্যার রেশ এবং ভার দুর্ভোগে বহু মানুষ বিধ্বস্ত, সর্বস্বান্ত।

    এই পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজোর নামে 'কার্নিভাল'-এর আড়ম্বর আমাদের লজ্জাকে আরও বাড়াবে। অনুগ্রহ করে এই সিদ্ধান্ত সংবেদনশীলতার সঙ্গে পুনর্বিবেচনা করুন।


    এই লেখার শুরুতেই যেটা ভাবছিলাম সময়টা বড় অদ্ভূত। গোলমেলেও বটে। শুধু রাত দখলের হিম্মত বা দিন বদলের ডাক নয়, প্রতিবাদের নামে কুনাট্যও কম চোখে পড়ছে না। অনেক মেকি সমাজসেবকের লোকদেখানো বেসুরো চেঁচামেচিও বাজছে সমানতালে। বোঝাই যাচ্ছে তারা ধর্মেও আছেন আবার জিরাফেও। কিন্তু প্রশ্ন হল প্রশাসনের নৈতিক অবস্থানটা কী? উৎসব না হয় সকলের, রুটিরুজি সহ অনেক প্রশ্ন জড়িয়ে। কিন্তু কার্নিভালের তো সেই দায় নেই। মন খারাপের শহরে এই বিসর্জনের শোভাযাত্রা আগামী কোনও সময়ের জন্য তুলে রাখা যেতেই পারে। নাহলে আড়ম্বরের আড়ালে আরও গাঢ় হতে পারে অন্ধকার। আয়োজকেরা সেই দেওয়াল লিখন পড়তে পারছেন কী?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৩৬৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অভিজিৎ বসু। | 2402:3a80:1960:4c9a:178:5634:1232:***:*** | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৩৩538419
  • বেশ ভালো একটা উপস্থাপনা। এই উৎসবের মাঝে কার্নিভাল চাইনা এই লেখা পড়লে মনে পড়ে যায় তিলোত্তমার বিচার না হবার কথা। এর মাঝে উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজ্য জুড়ে। লেখকের এই দৃষ্টিভঙ্গি প্রশংসা দাবি করে।
  • সুসমীর / Samir | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:৩০538428
  • মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
  • . | ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ০৪:২৩538478
  • সময়োপযোগী লেখা।
    তবে বাঙালি সমাজ এখন দ্বিধাবিভক্ত। একদল শাসকের পক্ষে, অন্যদল ন‍্যায়ের দাবি নিয়ে অনড়। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন