এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • বিজয়ার পর / সুসমীর ঘোষ  

    Samir Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ১৭৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  •  
    প্রতি বছরই ঠাকুর বিসর্জনের পর মনটা বিষণ্ণ হয়ে ওঠে সুবিনয়ের। এইমাত্র চলে গেল এপাড়ার ঠাকুরটা। বিকেল থেকে চলছিল ঢাক-ঢোল-কাঁসির লাগামছাড়া বোলপরান। পাড়ার ছেলেদের ঢাকের সঙ্গেই উদ্দাম নৃত্য। এখন তো ছেলেদের সঙ্গে মেয়েরাও নাচে। যৌথ এই নাচে ঢুকে পড়ছে উশৃঙ্খলতা, বাড়াবাড়ি রকমের ঘনিষ্ঠতা। মা দুর্গা আর উৎসবকে সামনে রেখে তৈরি হওযা এই বিসদৃশ ভঙ্গিগুলোকে মান্যতা দিয়ে দিচ্ছে সমাজও। প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছে এসব একদম ভাল লাগে না তার। চার বছর হয়ে গেল এই নতুন পাড়ায় ফ্ল্যাট কিনেছেন সুবিনয়। মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন আসানসোলে। ছেলে চাকরি আর পরিবার নিয়ে থিতু হলদিয়ায়। ৬২ বছর বয়সে পারিবারিক বিবাদের জেরে সোদপুরের পৈতৃক সম্পত্তি ভাগাভাগি করে এখন ব্যারাকপুরে ফ্ল্যাট নিয়েছেন তিনি। প্রাণী বলতে নিজে আর স্ত্রী তপতী। বহুতল ফ্ল্যাটের ফোর্থ ফ্লোরের বারান্দা থেকেই পাড়ার পুজোটা দেখা যায়। বড় বড় দালান, বৈঠকখানা, ছাদ, বাগান ছেড়ে শেষ বয়সে সাতশো ছাব্বিশ বর্গফুটের ঘেরাটোপ উপহার দেওয়ার জন্য তপতীর কাছে প্রতিনিয়তই গঞ্জনা শুনতে হয় সুবিনয়কে। বাঁচোয়া শুধু এই তিরিশ বর্গফুটের বারান্দাটাই। গত দশবছরে আশেপাশে তালগাছের মত মাথাচাড়া দিয়েছে অসংখ্য ফ্ল্যাটবাড়ি। ফলে জনসংখ্যার খাতায় এলাকার লোকজনের সঙ্গে মিশে গেছে বহিরাগতরাও। কিন্তু এত সহজে কী মানুষে মানুষে মেলে? গত চার বছরেও এলাকাটাকে নিজের পাড়া ভাবতে পারেননি সুবিনয়। নিজেকে কেমন যেন বিচ্ছিন্ন মনে হয় তার। এমনিতে এলাকাটা শান্ত। পাড়ার কিছু লোকজনের সঙ্গে বাজার দোকান বা ব্যাঙ্কে যাওয়ার পথে কথাবার্তাও হয়। কিন্তু 'কেমন আছেন..... ভাল তো?', 'কী গরম পড়েছে দেখছেন!'  বা ‘যা বিচ্ছিরি বৃষ্টিটা এবার আর থামবে না বলে মনে হচ্ছে।‘ – এ জাতীয় বাক্যালাপই চলে। এর বেশি আর এগোতে পারেন না সুবিনয়। আগ্রহ থাকে না উল্টোদিক থেকেও। রান্না করে খাওয়াতে ভালবাসে যে তপতী সেও খুব একটা ভাব জমাতে পারে নি ফ্ল্যাটের টিভি সিরিয়াল সর্বস্ব মহিলাদের সঙ্গে। ফলে ভোর হোক বা সন্ধ্যে, সুবিনয়-তপতীর ভাললাগার ঠিকানা এই বারান্দাটাই।
    ঠাকুরটা চলে যাওয়ার পরই কেমন যেন একটা থম মেরে যাওয়া ভাব। বিকেল থেকে বিপুল ডেসিবেলের ঢাক-কাঁসর, নাচ-গান, হৈ-হুল্লোড় এর আওয়াজ উধাও। সকালেই খুলে নেওয়া হয়েছে রাস্তার বাহারি আলোগুলো। পাড়ার প্রায় সকলেই গেছে গঙ্গায় ঠাকুর ভাসান দিতে বা দেখতে। দূরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঢাকের আওযাজ, লাইটের আলো ভেসে এলেও এই এলাকাটায় মন খারাপ করা নিস্তদ্ধতা। ঠাকুর চলে গেলে এই বয়সকালেও কেন যে এত বিষণ্ণতা মনের ভেতর চেপে বসে তা বুঝতে পারেন না সুবিনয়। খুব ছোটোবেলায় পাড়ার বড়দের সঙ্গে বাবার হাত ধরে সে নিজেও যেত ঠাকুর ভাসান দেখতে। ঢাকের তালে তালে পাড়ার দাদা-কাকাদের ধুনুচি নাচ সহযোগে ভাসান যাত্রায় ছিল আলাদা উন্মাদনা। ঠাকুরভাসান দিয়ে এসে পাড়ার পুজোমন্ডপে সবাই মিলে মাথা নীচু করে বসে শান্তিজল নিয়ে তবেই ছিল ঘরে ফেরা। বাড়ি ফিরেই গা ধুয়ে পরিচ্ছন্ন হয়ে চলে যেতে হত ঠাকুর ঘরে। সেখানে তিনটে করে বেলপাতায় শ্রীদুর্গাসহায় সহ লক্ষ্মী-সরস্বতী-কার্তিক-গণেশ সকলের নাম লিখতে হত। তারপর পাতাগুলোকে গঙ্গাজলে ভিজিয়ে দিয়ে দিতে হত ঘটের মাথায়। এরপর মা-বাবা সহ বাড়ির সব গুরুজনকে প্রণাম করে মিষ্টিমুখের পর যেতে হত আশেপাশের বিভিন্ন বাড়িতে। প্রতিটি বাড়িতেই টকাটক প্রণামের পরই মিলত নারকেল নাড়ু, মুড়ির নাড়ু, খই-এর নাড়ু, লাড্ডু, মিহিদানা, গজা, নিমকি, ঘুগনি সহ অসাধারণ সব খাবার-দাবার। এত খেয়ে রাতের বেলা আর নড়াচড়ার উপায় থাকত না। বেশ কিছুদিন ধরে পাড়ার প্রতিবেশী আর আত্মীয় স্বজনের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চলত এই বিজয়াপর্ব। সোদপুরের বিশাল বাড়িতে আসতেন মাসি-পিসি-কাকা-কাকিমারা। বাড়িতে নানা রকমারি রান্নার ম'ম গন্ধের মধ্যেই তুতো ভাইবোনেদের সঙ্গে চলত হৈ-চৈ। সে এক দারুণ ব্যাপার।
    বারান্দায় চেয়ারে বসে গভীর এই ভাবনার মধ্যেই দরজা টানার আওয়াজ পেলেন সুবিনয়। দুর্গাঠাকুরকে সিঁদুর পরাতে গিয়ে এখন ফিরল তপতী। হয়ত কোনও নতুন বান্ধবী পেয়েছে। আটকে গেছিল ঘর গেরস্থালির গল্পে। বারান্দায় এসে জিজ্ঞাসা করল 'বাবান কী ফোন করেছিল?'
    আসানসোলে থাকে সুবিনয় তপতীর একমাত্র মেয়ে সঙ্গীতা। প্রতিবছর বিজয়ার পর ওই-ই প্রথম ফোন করে বাবা-মাকে বিজয়ার নমস্কার জানায়। তারপর রাতে বা একদিন পরে ফোন করে বাবান। তবুও তপতী ছেলের ফোন আগে আসবে এমনই আশা করে থাকে প্রতিবার।
    'এখনও কেউ ফোন করে নি'- উত্তর দিলেন সুবিনয়। দেখলেন উত্তরে আশাহত হয়ে ভাবলেশহীন মুখ করে দূরের দিকে তাকিয়ে আছে তপতী।
    একটু চা করি বলে ফের ঘরের ভেতর চলে গেল সে। নতুন জায়গায় এসে তপতীও কেমন যেন নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছে। উৎসবের সময় বা বাড়ির সকলে মিলে একসময় পালন করে চলা কোনও অনুষ্ঠানের ভাবনা মাথায় এলেই তৈরি হয়ে যায় মন খারাপের আবহ।
    বিজয়ার পর এখন ফোনে ফোনেই প্রণাম সেরে নেওয়ার রেওয়াজ। ইদানিং হোয়াটস-অ্যাপ করেই কাজ সারছে অনেকে। উঠে গেছে চিঠি লেখালিখির রেওয়াজ। অথচ ছোটবেলায় বিজয়ার পরের দুপুরগুলো ভাই- বোন সবাই মিলে জানলার পাশে বসে থাকতেন সুবিনয়রা। পোস্টম্যান প্রায় প্রতিদিনই বেশ কিছু পোস্টকার্ড, ইনল্যান্ড লেটার, খাম দিয়ে যেতেন। সেগুলো ঘরে বড়দের কাছে নিয়ে গিয়ে জোরে জোরে পড়া হত। চিঠিতে থাকত কুশলের বার্তা। বড়দের প্রণামের পাশাপাশি ছোটদের নাম করেও লেখা থাকত আশীর্বাদের কথা। তাতেই মন ভরে যেত সকলের। যে যেখানেই থাকুক বিজয়ার পর একটা করে চিঠি আসতই। বাবাও চিঠি লিখতেন প্রচুর। বিজয়ার চিঠির জন্য স্টক করে রাখা হত পোস্টকার্ড। আসত ইনল্যান্ড লেটারও। অনেক জায়গা থাকায় তাতে মোটামোটা বেলাইন হয়ে যাওয়া হরফে গুরুজনদের চিঠি লেখার সুযোগ পেতেন সুবিনয়রাও। আমৃত্যু সব আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে চিঠিপত্রে যোগাযোগ রেখে গেছেন তাঁর বাবা। বছর পনেরো  আগেও হাতে লেখা চিঠি আসত সোদপুরের পুরোনো বাড়িতে। আর এখন ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্ট, ইলেকট্রিক বিল ইত্যাদি ছাড়া আর কিছুই দিতে আসে না পোস্টম্যান বা কুরিয়ারের লোক। কেউ আর চিঠি লেখে না। চিঠি লেখেন না সুবিনয়ও। বাবার মৃত্যুর পর এদিক সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আত্মীয় স্বজনকে বিজয়ার চিঠি লেখাটা চালিয়েই যেতে পারত সে। এজন্য এখন কেমন যেন আফশোষ হয়। আজ বিজয়ার দিন সে সবই বেশি বেশি করে মনে পড়ছে। ছোটবেলায় বিজয়ার সময় ঠাকুর চলে গেলে অফুরন্ত খেলাধূলোর আনন্দ ছেড়ে আবার নিয়মবদ্ধ পড়াশুনোর জীবনে ফিরতে হবে এই ভেবে মনখারাপ হত খুব। আর এখন অফুরন্ত সময়।হাজারো নিয়ম-রীতি পাশাপাশি সাজিয়ে কেউ দাঁড়িয়ে নেই মাথার পিছনে।তবুও ফেলে আসা দিনগুলোর জন্য বড় কষ্ট হয়। সুবিনয়ের মনে হল আলো ঝলমলে এতগুলো দিনের পর এই বিজয়ার সন্ধ্যায় তার সঙ্গেই বিষন্নতায় ডুবে গেছে আধা আলোয় দাঁড়িয়ে থাকা ফ্ল্যাট, কালো কালো মাথা তোলা গাছ, সারি সারি ল্যাম্প পোষ্ট সকলেই।
    এইসব চিন্তার মধ্যেই হঠাৎ করে একটা ছোট্ট ছেলে এসে সুবিনয়ের দু-পা ছুঁয়ে প্রণাম করল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাড়ির কাজের মেয়ে অঞ্জলিও এসে প্রণাম করে ফেলল।
    বিজয়ার দিনও বাসন মাজতে এসেছে অঞ্জলি। জগতের এই মহাযজ্ঞে ওদের কোনও ছুটি নেই। ছেলেকে এগিয়ে দিয়ে অঞ্জলি বলল "কাকাবাবু আর্শীবাদ করুন, ও যেন আপনাদের মতন হতে পারে।'
    ক্লাস নাইনে পড়া নির্মল মুখের ছেলেটির বিজয়ার প্রণামে খুব খুশি হলেন সুবিনয়। বিজয়ার পর দীর্ঘদিন এভাবে কেউ প্রণাম করেনি তাকে। সময়ের অভাবে বিজয়ার পর ছেলে-মেয়ে নাতি-নাতনিরা আসে না আর। নতুন ফ্ল্যাটে আসার পরে এলাকার কারোর সঙ্গে সে সুসম্পর্কও সে ভাবে গড়ে ওঠে নি। অভ্যাসের বশেই ছেলেটির মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন তিনি।ভারি মায়ামাখা মুখ।তারপর ওকে বসতে বলে গায়ে নতুন ফতুয়াটা চাপিয়ে চললেন মোড়ের মাথার মিষ্টির দোকানে। ওখানে কাল নাড়ু হতে দেখেছিলেন। বিজয়ার পর নতুন অতিথি বলে কথা, একটু নারকেলের মিষ্টি না হলে হয়?

    [ গল্পটি ইতিপূর্বে ‘অন্বেষী’ পত্রিকার বৈশাখ-চৈত্র সংখ্যা ১৪২৩-এ প্রকাশিত/ সামান্য পরিবর্তিত।]

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ১৭৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন