এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  অন্যান্য  মোচ্ছব

  • বাদামি হায়না বিষয়ে দু-চার কথা যা আমি জানি

    Anirban M লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | মোচ্ছব | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ | ১৩৮৮ বার পঠিত
  • লেখাটা আর পাঁচটা ফিল্ম সমালোচনার মত করে লেখা যেত। রাখা যেত খানিকটা দূরত্ব, নৈর্ব্যক্তিকতা। কিন্তু তাতে যেকথাটা বলা দরকার সেটা বলা হত না। তাই এটা প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো যে দেবালয় আমার বন্ধু। দেবালয়ের সাথে পরিচয় প্রায় আঠাশ বছর আগে, আমরা দুজনেই তখন কলেজে। সেই সময় থেকে নানান ভাবনা বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে আমাদের বেড়ে ওঠা। এই প্রসঙ্গে এটাও বলে রাখা যাক যে এই আদান প্রদানের সূত্রেই আমি আমার কবিতা ভাষা খুঁজে পেয়েছিলাম। দেবালয় আমার সাথে আদান প্রদানে জরুরি কিছু পেয়েছে কিনা জানি না। কিন্তু সেই সময়, যখন দেবালয় যখন ফিল্ম বানাবে বলে ভাবছে তখন বিভিন্ন ভাবনা, সিনেমার স্ক্রিপ্ট নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হত। সেটা এমন এক সময় যখন আমি, দেবালয় দুজনেই আমাদের সময়ের শিল্প ভাষা খুঁজছিলাম, পাচ্ছিলাম আবার পাচ্ছিলাম না। কিন্তু খুঁজছিলাম। সেই খোঁজাই আজ এসে পৌঁছেছে  শ্রীস্বপনকুমারের বাদামি হায়নার কবলে। এই পর্যন্ত পড়ে যাঁরা ভাবছেন আমি এক বন্ধুর প্রশংসা করার জন্যই এই লেখা ফেঁদেছি, তাঁদের জন্য দুটি কথা। এক, দেবালয় ইতিমধ্যেই যথেষ্ট প্রতিষ্ঠিত। আমার নিন্দা বা প্রশংসাতে ওর কিছু যায় আসে না। আর দুই, তিনটি বিষয়ে আমি কখনো মিথ্যে বলি না – অর্থনীতি, সাহিত্য আর ফিল্ম। তার মানে এই নয় যে আমি এই তিনটে বিষয়ে শেষ সত্য জেনে গেছি। কিন্তু এই তিনটি বিষয়ে আমি যা বুঝি সেটাই বলি। কাউকে খুশি বা দুঃখিত করার জন্য কিছু বলিনা।

    শ্রীস্বপনকুমারের বাদামি হায়নার কবলে দেবালয়ের পরিচালিত নতুন সিনেমা। সিনেমার গল্প নিয়ে খুব বিশদে যাচ্ছি না। শুধু বলি, এই গল্প শ্রীস্বপনকুমারের সস্তার ডিটেক্টিভ দীপক চ্যাটার্জি আর রতনলালের গল্প। এই গল্প স্বপনকুমারেরও গল্প। কিন্তু কাহিনী বিন্যাস পরিচালকের নিজের। দীপক, রতন এবং স্বপনকুমার সেই কাহিনীর চরিত্রমাত্র। এখনকার প্রজন্ম হয়ত জানে না যে শ্রীস্বপনকুমার সৃষ্ট এই দুই চরিত্র নিয়ে ছাপা বই একসময় সত্যি পাওয়া যেত কলকাতায়। শুধু স্বপনকুমার না, রহস্য রোমাঞ্চ সিরিজের বিভিন্ন সিরিজের বই (যদ্দুর মনে পড়ে প্রহেলিকা, কাঞ্চঞ্জঙ্ঘা এরকম সব সিরিজের নাম হত) পাওয়া যেত কলকাতার রাস্তায়। কিন্তু “ভদ্রলোক সংস্কৃতি” তার বৈঠকখানায় কখনই স্থান দেয় নি তাকে। বাঙ্গালির ভদ্রলোক সংস্কৃতির সবচেয়ে বড় আইকন সত্যজিৎ রায় তাঁর ফেলুদার বইতে জটায়ুকে নিয়ে যে হাসিঠাট্টা করেছেন তা আসলে এই বটতলা সংস্কৃতি প্রতি ভদ্রলোকের তামাশা। দেবালয়ের বাদামি হায়না সেই বিদ্রূপ ফিরিয়ে দিয়েছে মগজাস্ত্র ব্যবহারকারী ভদ্রলোকের গোয়েন্দাদের দিকে। দেবালয়ের ছবির দুটো দিক আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে – এক, এই ছবির রাজনীতি, আর দুই, এই ছবির ভাষা। আমি দুটো নিয়েই একে একে আলোচনা করব যদিও এই ছবির ভাষা থেকে তার রাজনীতিকে আলাদা করা যায় না।

    দেবালয়ের ছবির মূল রাজনীতি হল ভদ্রলোক সংস্কৃতির একটা বিরোধী স্বর তৈরি করা। কিন্তু ভদ্রলোকের সংস্কৃতি খারাপ কেন? ভদ্রলোক সংস্কৃতি কী খারাপ কিছু? বাঙালি ভদ্রলোক সংস্কৃতির দুই আইকন – রবীন্দ্রনাথ এবং সত্যজিৎ -- কী বিশ্বমানের শিল্পী ছিলেন না? আসলে শিল্পী হিসেবে রবীন্দ্রনাথ বা সত্যজিৎ এর মেধা নিয়ে কেউই প্রশ্ন তোলেন না, এমনকি (সম্ভবত) দেবালয়ও না। কিন্তু সংস্কৃতির মূল ধর্ম হল চলমানতা, তা যদি কখনও পথ হারিয়ে স্থবির হয়ে যায় তাহলে শিল্পীর কাজ তাকে আঘাত করা। রবীন্দ্রনাথ বা সত্যজিৎ তাঁদের সময়ের সংস্কৃতিতে নতুন ধাক্কা দিয়েছিলেন। কিন্তু বাঙালি যখন তাঁদের আইকন বানিয়ে পূজো করা শুরু করল তখন তাঁরা আর সংস্কৃতি রইলেন না, ক্লিশে হয়ে গেলেন। তাঁরা হয়ে উঠলেন ভগবান, ভক্তেরা যাঁদের বাল্যলীলা নিয়ে মেতে উঠল। এটা একটা চক্রের মত – সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে, সেই প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে আবার সংস্কৃতির পথ করে দিতে হয়। সেই দিক থেকে দেবালয় একটা চলমান প্রক্রিয়ার অংশ। কিন্তু ভাঙ্গার পথ কী? আগে যাঁরা ভাঙ্গার চেষ্টা করেছেন তাঁরা কি এই ব্যাপারে পথ দেখাতে পারবেন? এই প্রসঙ্গে দুটো নাম মনে পড়ছে – সুবিমল মিশ্র আর নবারুণ ভট্টাচার্য। আমি দুজনের লেখাই কিছু কিছু পড়েছি। এই দুটো নাম বললাম কারণ এই দুজনেই সচেতন ভাবে ভদ্রলোক সংস্কৃতির পালটা ছোটলোকের সংস্কৃতি তুলে এনেছেন প্রতিরোধের অস্ত্র হিসেবে। কিন্তু সুবিমলকে আমার অনেক বেশি রাগী মনে হয়, যে রাগ সত্তর দশকের ভাষা হতে পারে, কিন্তু আমাদের সময়ের নয়। অন্যদিকে নবারুণ তাঁর উনিশশ নব্বই পরবর্তী লেখালিখিতে এই নতুন প্রতি-সংস্কৃতির মাধ্যম হিসেবে তুলে এনেছেন হিউমরকে। হিউমরের একটা বৈশিষ্ট্য হল তার আক্রমণ সরাসরি হয় না। যাতে কেউ সেভাবে চেপে ধরলে বলা যায় “আরে রেগে যাবেন না, জোক বোঝেন না?” রাগের বদলে হিউমর যেন আঘাতের বদলে অন্তর্ঘাত – আর অন্তর্ঘাতই তো নব্বই পরবর্তী সময়ের অস্ত্র। এটা সেই সময়ের কথা যখন বার্লিনের পাঁচিল পড়ে গেছে, দরজায় ধাক্কা দিচ্ছে উদারনীতির হাওয়া, বিশ্বাস নেই প্রায় কিছুতেই। এই অবিশ্বাসী সময়ের সংস্কৃতিও তাই আর সরাসরি ধাক্কা দিতে পারে না, সে খুরপি দিয়ে খুঁড়ে খুঁড়ে ভিত আলগা করে দিতে পারে -- হিউমর তার তূণীরের অপরিহার্য অস্ত্র।

    দেবালয়ের ছবির রাজনীতির ভাষ্যে তাই হিউমরের অমোঘ প্রয়োগ। কিন্তু ঠিক কীভাবে শৈল্পিক হয়ে উঠবে হিউমর তার কোন বাঁধা ফর্মূলা নেই। দেবালয় যে এই চলচ্চিত্র ভাষায় পৌঁছল, তার পেছনে অনেক দিনের একটা হয়ে ওঠার প্রয়াস আছে। দেবালয়ের প্রথম দিকের দুটো সিনেমা – অভিশপ্ত নাইটি এবং রোগা হওয়ার সহজ উপায় সেই পথ সন্ধানের ব্যর্থ চেষ্টার ইঙ্গিত আছে। কিন্তু ওই দুটো সিনেমা না হলে, বাদামি হায়নাও হত না। বাদামি হায়নার ঠিক আগের সিনেমা ড্রাকুলা স্যারে ইঙ্গিত ছিল যে দেবালয় নতুন ভাবে গল্প বলতে পারে, যদিও ড্রাকুলা স্যারের গল্প আমাদের প্রজন্মের গল্প – আমরা যারা নকশাল আন্দোলনের গল্প শুনে বড় হয়ে নিজেদের জড়িয়ে নিয়েছি উদার অর্থনীতির হাওয়ায়। নতুন প্রজন্ম কতটা ড্রাকুলা স্যার বুঝবে এ নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েই গেছে। কিন্তু বাদামি হায়না তা নয়। বাদামি হায়না মিলেনিয়াল, জেন Z ইত্যাদি প্রজন্মের জন্য আমাদের প্রজন্মের উপহার। যদিও আমি নিশ্চিত আমরা যেভাবে বুঝছি, তারা অন্য ভাবেই বুঝবে এবং তাদের সেই অন্যরকম বোঝাও আমাদের বোঝার মতই সমভাবে যুক্তিযুক্ত হবে। আমি নন্দনে দেখেছি বাদামি হায়না। সেখানে দেখেছি ২০-২২ এর ছেলেমেয়েরা কতটা উচ্ছাস প্রকাশ করেছে সিনেমা দেখতে দেখতে, বাইরে বেরিয়ে চুপ করে শুনেছি তারা নিজেদের মধ্যে কীভাবে ফিল্মটা নিয়ে আলোচনা করেছে। একটা কথা নিশ্চিত, বাদামি হায়না যেভাবে বেড্রুম কেন্দ্রিকতা থেকে বাংলা সিনেমাকে বেরোনর রাস্তা দেখিয়েছে তার একটা অভিঘাত তরুণতর প্রজন্মের মধ্যে হয়েছে। 

    কিন্তু এই অভিঘাত কী শেষ পর্যন্ত দিশা পাবে? নতুন কোন পথ কী পাবে বাংলা ছবি বা আরো বৃহত্তর অর্থে বাংলা সংস্কৃতি? এর উত্তর দেওয়া খুব মুশকিল। কারণ চোখের সামনে যখন দেখতে পাই কাঙ্গাল মালসাটকে সামনে রেখে কেউ কেউ দাবী করতে থাকেন যে খিস্তিই আসল সংস্কৃতি, তখন মনে হয় হিউমরের সমস্যা হল যে পাঠক বা দর্শক হিউমরের মোড়ক তুলে ভেতরের রাজনীতিতে পৌঁছনর কষ্টটুকু না করলে এই প্রয়াস অনেকটাই ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু তাও আমার মনে হয় সৎ শিল্পের রাজনীতি সহজে মুছে দেওয়া যায় না। তা থেকে যায় – অন্তঃসলিলা ফল্গু নদীর মত। দেবালয়কে কুর্নিশ পরকীয়া আর নস্ট্যালজিয়া লাঞ্ছিত বাংলা ছবিতে একটি অন্য রাজনীতির চিহ্ন রেখে যাওয়ার জন্য। ছবিটা নিয়ে আলোচনা চলুক, পক্ষে বিপক্ষে মতামত পড়ুক। বাকিটা সময় বুঝে নেবে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • অন্যান্য | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ | ১৩৮৮ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ইঁদুর  - Anirban M
    আরও পড়ুন
    বটগাছ - Anirban M
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:৩৮527934
  • আগ্রহ পেলাম সিনেমাটা দেখবার।
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:৫২527938
  • আগে ওনার রোগা হওয়ার সহজ উপায় ও ড্রাকুলা স্যার দেখেছি। আমার একটা জিনিস মনে হয়েছে দুটো সিনেমা দেখে যে, শেষটা নিয়ে ওনাকে আরও ভাবতে হবে। দুটো সিনেমাতেই সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু শেষের দিকে বাঁধন আলগা হয়ে গেছে। এই ব্যাপারটায় যত্নশীল হলে আরও ভাল সিনেমা বাংলার দর্শক ওনার থেকে পাবে। সবচেয়ে যেটা পজেটিভ ওনার সিনেমার, একটা নতুন এঙ্গেল দিয়ে ভাবার চেষ্টা থাকে, নতুন ও এক্সাইটিং বিষয় নিয়ে কাজ থাকে যা অন্যান্য বাংলা সিনেমায় কমে যাচ্ছে। ওনার নতুন সিনেমার জন্য অভিনন্দন জানাই।
  • PRABIRJIT SARKAR | ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:১৪530959
  • আমি দেখতে চেষ্টা করেছিলাম। পুরো দেখা হয়নি। বিরক্ত হয়ে টিভি বন্ধ করে দিয়েছিলাম।
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন