এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  ইতিহাস

  • ভূস্বর্গ শাসিকা : কাশ্মীরের রানিদের সংক্ষিপ্ত উপাখ্যান : তৃতীয় পর্ব

    Suchetana Mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | ইতিহাস | ১১ অক্টোবর ২০২৩ | ৪৫০ বার পঠিত
  • 1 | 2 | 3 | 4
    রানি সুগন্ধার করুণ পরিণতির প্রতি কহ্লণ যেটুকু সহানুভূতিশীলতা দেখিয়েছেন, তার ছিটেফোঁটাও তাঁর মধ্যে দেখা যায় না, কাশ্মীরের পরবর্তী মহাশক্তিশালিনী শাসিকা দিদ্দার কাহিনী বিবৃত করার সময়। দিদ্দা সম্পর্কে এর আগে যেহেতু বাংলায় বেশ কিছু লেখালেখি হয়েছে, তাই কাশ্মীরের এই মহাপরাক্রমশালিনী কিন্তু তুমূল বিতর্কিত রানি বাঙালি পাঠকের অনেকটাই চেনা জানা....।

    মহারানি দিদ্দা 
    (৯৫৮ - ১০০৩ সাধারণ অব্দ)

    পীরপঞ্জালের বুকে বসা লোহরিন উপত্যকার রাজা সিংহরাজের সঙ্গে কাবুলের অন্যতম দোর্দন্ডপ্রতাপ হিন্দু শাহী উদ্ভান্ড রাজ্যের রাজা ভীমদেবের কন্যার বিবাহের পরিণতিতে জন্ম  নিয়েছিল এক রাজকন্যা। নাম তার দিদ্দা। পরমা সুন্দরী হলেও পায়ের ত্রুটির জন্য তিনি তেমন হাঁটতে পারেন না যদিও (রাজতরঙ্গিনীতে কল্হণ দিদ্দাকে "চরণহীনা" বলেছেন)। তীক্ষ্ণ মেধাবী কিন্তু নিঃসঙ্গ রাজকন্যা তাঁর কৈশোর, যৌবন জুড়ে মন দিয়ে শুধু শিখে চলেন প্রশাসন ও কূটনীতির জটিল বিদ্যা। আশৈশব বাবা মায়ের উদাসীনতার পাশে এহেন দিদ্দার একমাত্র সঙ্গী ভলজা বা ভলগা নামের এক সহায়িকা, যাঁর পিঠে চেপে তিনি যাতায়াত করেন সর্বত্র। 

    ২৬ বছর বয়সকালে নিজের কাশ্মীর রাজ্যের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য "চরণহীনা" দিদ্দাকে বিবাহ করলেন কাশ্মীররাজ ক্ষেমগুপ্ত ( ৯৫০ - ৯৫৮ সাধারণ অব্দ)। কাশ্মীরে এসে দিদ্দা যে দিকে তাকান, দেখেন তিনি কেবলই শত্রু দ্বারা পরিবেষ্টিত। দেখেন অত্যাচারী, দুশ্চরিত্র ক্ষেমগুপ্তের বকলমে রাজপাট চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী তথা ক্ষেমগুপ্তের অন্যতমা রানি চিত্রলেখার পিতা ফাল্গুন। কিন্তু প্রবল বুদ্ধিমত্তার জোরে দ্রুত বাকি সকলকে সরিয়ে ক্ষেমগুপ্তের ওপর নিজের একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার করলেন দিদ্দা। ফাল্গুন রাজ্যত্যাগ করতে বাধ্য হলেন। প্রতিদ্বন্দ্বীহীন দিদ্দায় মন্ত্রমুগ্ধ রাজা অচিরেই পরিচিত হয়ে উঠলেন 'দিদ্দাক্ষেমা' নামে, এমনকি যুগ্মনামে প্রচলন করলেন 'দাক্ষেমাগুপ্তাদে' নামক এক বিশেষ মুদ্রাও। 

    কিন্তু দিদ্দার সহজ সময় থাকল না বেশিদিন। মৃগয়া করতে গিয়ে এক অজানা জ্বরে মৃত্যু হল ক্ষেমগুপ্তের। তাঁদের সন্তান অভিমন্যু তখন নিতান্তই শিশু। মৃত রাজার মন্ত্রী সান্ত্রী, আত্মীয় পরিজনেরা ক্ষেমগুপ্তের চিতায় সহমরণে বাধ্য করে দিদ্দা নামক শক্তিটিকে চিরতরে সরিয়ে দিতে চাইছিলেন। কিন্তু শত্রুদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিদ্দা বেঁচে রইলেন তাঁর শিশুসন্তানের রক্ষাকবচ হয়ে। কঠোর হাতে সমস্ত শত্রুকে দমন করে শিশু অভিমন্যুকে সিংহাসনে বসালেন দিদ্দা। রাজার অভিভাবিকা হিসেবে কাশ্মীরে শুরু হল দিদ্দার প্রত্যক্ষ শাসনকাল (৯৫৮ - ৯৮০ সাধারণ অব্দ)। 

    শুরু থেকেই তাঁর বা অভিমন্যুর সর্বময় কর্তৃত্বের প্রতিদ্বন্দ্বী যে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে দিদ্দা বিনা বাক্যব্যয়ে নাশ করতে শুরু করেছিলেন। ক্ষেমগুপ্তের দুই মন্ত্রী মহিমান ও পাতালার মাথা তিনি স্বহস্তে কেটেছিলেন যেমন, তেমন প্রভূত ধনরত্ন দিয়ে সমর্থন জুটিয়েছিলেন ললিতপুরার প্রভাবশালী ব্রাহ্মণদের। দিদ্দা তাঁর সফল সেনাপতি যশোধরের নেতৃত্বে সেনা বিদ্রোহকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করেছিলেন। অন্যদিকে বিশ্বস্ত মন্ত্রী নরবাহন ও রাক্কা তাঁর আদেশে আশপাশের রাজ্যগুলিতে অভিযান চালিয়ে সকল দিদ্দা-বিরোধী শক্তিকে হত্যা করছিল। এই উত্তাল রক্তক্ষয়ী দিনগুলিতে রানি দিদ্দার সম্পর্কে জনমনে ছড়িয়ে পড়ছিল নানা গুজব। দিদ্দার ঘোর বিরোধী কল্হণ রাজতরঙ্গিনীর ষষ্ঠ তরঙ্গে বড়ো গুছিয়ে লিখে রেখেছেন মন্ত্রতন্ত্র - বশীকরণে পারঙ্গমা, রাতের অন্ধকারে দেওয়াল বেয়ে হেঁটে সরীসৃপের মতো হেঁটে বেড়ানো পিশাচসিদ্ধা রাজমাতা দিদ্দার নানা 'কুকীর্তি'। এবার মারা গেল দিদ্দার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অনুচর তথা মন্ত্রী নরবাহন। কল্হণ বলেছেন, রানির নেকনজর সরে যাওয়াতেই নাকি বিষাদে আত্মহত্যা করেছিল সে। কিছুদিনের মধ্যেই মৃত্যু হল রাক্কারও। রানিকে ক্ষমতা থেকে সরানোর লক্ষ্যে এসময় শক্তিশালী দামারা সামন্তগোষ্ঠীর প্রবল বিদ্রোহে কেঁপে উঠেছিল কাশ্মীর উপত্যকা। বিপদের দিনে দিদ্দা ফিরিয়ে আনলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ফাল্গুনকে। দেহরক্ষী একনাগ গোষ্ঠী এবং ফাল্গুনের সাহায্যে নির্মমভাবে দামারা বিদ্রোহ দমন করলেন তিনি।

    ৯৭২ সাধারণ অব্দ। রহস্যজনকভাবে প্রয়াত হলেন দিদ্দার একমাত্র পুত্র অভিমন্যু। দিদ্দা বিদ্বেষীরা বলল, ''ডাইনি রানি" নাকি এবার পুত্রঘাতিনীও! দিদ্দার অপার অপশক্তি সম্পর্কে অজস্র কল্পকাহিনী পল্লবিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ছিল কাশ্মীরময়। কিন্তু সমাজের কোন কুকথাকে কোনকালেই কী পরোয়া করেছেন তিনি! পরবর্তী উত্তরাধিকারী হিসেবে নাবালক নাতি নন্দীগুপ্তকে (৯৭২ - ৯৭৩ সাধারণ অব্দ) সিংহাসনে বসিয়ে রাজনীতি থেকে সাময়িক অবসর নিলেন পুত্রশোকাতুরা মা। মন্দির, মঠ, বিহার স্থাপনের জন্য গোটা রাজ্যে ভ্রমণও করলেন। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠল দিদ্দাস্বামীন মন্দির, দিদ্দাপুরা জনপদ, সহায়িকা ভলগার সম্মানে ভলগা মঠও। কিন্তু বছর ঘুরতেই হঠাৎ মারা গেলেন নন্দীগুপ্ত। পরবর্তী বালক রাজা ত্রিভুবনগুপ্তও( ৯৭৩ - ৯৭৫ সাধারণ অব্দ) বছর দুয়েকের মধ্যে প্রয়াত হওয়ায় অভিমন্যুর শেষ জীবিত পুত্র ভীমগুপ্তকে সিংহাসনে বসালেন রাজপিতামহী দিদ্দা। ইতিমধ্যে মারা গেছেন অশীতিপর ফাল্গুনও। কাশ্মীরের বাতাসে আবারও প্রবলতর হয়ে উঠল দিদ্দা কর্তৃক ডাকিনীবিদ্যা প্রয়োগের মাধ্যমে স্বজনহত্যার সেই পুরোনো তত্ত্বই। 

    দিদ্দার জীবনের শেষ তিন দশকে তাঁর সবচেয়ে কাছের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তুঙ্গ নামক এক যুবক মেষপালক। তুঙ্গের সঙ্গে পিতামহীর ঘনিষ্ঠতায় ক্রুদ্ধ হয়ে বিদ্রোহ করলেন কিশোর রাজা ভীমগুপ্ত। কিন্তু দিদ্দার অঙ্গুলিহেলনে নির্মম মৃত্যুদন্ড পেলেন তিনি। শ্লেষভরে কল্হণ লিখেছেন, "সকল বিদ্রোহীকে সমূলে উৎপাটিত করেছেন এই পঙ্গু নারী। মনে হয়েছিল যাঁর গোষ্পদসম ধরণীতেও চলার ক্ষমতা নেই, তিনি আজ হনুমান যেভাবে একটি লাফে সাগর পার করেছিলেন, ঠিক সেভাবেই অবলীলায় শত্রুদের জয় করেছেন।" ভীমগুপ্তের পরে কাশ্মীরের সিংহাসনের অধিকারী রক্তসম্পর্কের অন্য কোন পুরুষ আর জীবিত না থাকায় এবার প্রৌঢ়া দিদ্দা স্বয়ং নিজের মাথাতেই তুলে নিয়েছিলেন কাশ্মীরের রাজমুকুট এবং পরবর্তী ২৩ বছর (৯৮০ - ১০০৩ সাধারণ অব্দ) তুঙ্গের সহায়তায় একচ্ছত্র রাজত্ব করেছিলেন কাশ্মীর জুড়ে। 

    তাঁর রাজত্বের এই শেষপর্বও কিন্তু রক্তপাতহীন হয়নি। রানির প্রশ্রয়ে তুঙ্গ ও তাঁর ভাইরা একদিকে যেমন প্রশাসনে একাধিপত্য কায়েম করেছিলেন, তেমনই জনগণের ওপর শুরু করেছিলেন প্রবল অত্যাচার। ফলে স্বাভাবিকভাবেই লোহারা রাজ বিগ্রহরাজের নেতৃত্বে রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রীরা এবং
    ব্রাহ্মণ গোষ্ঠী রানি ও তুঙ্গের বিরুদ্ধে তুমুল বিদ্রোহ শুরু করেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন বিক্ষুব্ধ আমজনতা, দামারা অভিজাতরা, এমনকি পার্শ্ববর্তী রাজাপুরীর(বর্তমান রাজৌরি) শাসক পৃথ্বীপালও। কিন্তু কখনও কূটনীতি, কখনও বা চূড়ান্ত নিষ্ঠুরতার আশ্রয় নিয়ে তুঙ্গ এই প্রতিটি বিদ্রোহকে দমন করেছিলেন। তুঙ্গর বিশ্বস্ততার পুরস্কার স্বরূপ রানি দিদ্দা তাঁকে কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান সেনাপতির যুগ্মপদ দান করেছিলেন। বিদ্রোহ দমনের পাশাপাশি তুঙ্গের সহায়তায় দিদ্দা যেমন কাশ্মীরের সামরিক তথা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছিলেন। তেমন অন্যদিকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সত্তরটির মতো আধুনাবিলুপ্ত মন্দির, মঠ ও বিহারও।  

    প্রায় আশি বছর বয়সে আবার একবার আপন উত্তরাধিকারীর খোঁজ শুরু করেন মহারানি দিদ্দা। ভাই উদয়রাজার পুত্র তথা লোহারা বংশের যোগ্যতম রাজনীতিক সংগ্রামরাজাকে কাশ্মীরের পরবর্তী রাজন হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে সংগ্রামরাজার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী তুঙ্গও দিদ্দার কাছে নতুন রাজাকে সাহায্য করার শপথ করেছিলেন। অবশেষে সুদীর্ঘ চারটি দশকের নিরবচ্ছিন্ন নেতৃত্বদানের মধ্য দিয়ে ১০০৩ সাধারণ অব্দে কাশ্মীরকে একাধারে এক মহাশক্তিধর রাজ্যে পরিণত করে এবং রাজপদকে তাঁর যোগ্যতম উত্তরসূরী সংগ্রামরাজের হাতে অর্পণ করে নিশ্চিন্তে চোখ বুজেছিলেন কাশ্মীর তথা ভারতীয় ইতিহাসের এক অনন্য নারীচরিত্র মহা ক্ষত্রাণী মহারানি দিদ্দা। 

    নিচে রানি দিদ্দার মুদ্রার ছবি। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    1 | 2 | 3 | 4
  • আলোচনা | ১১ অক্টোবর ২০২৩ | ৪৫০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন