এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  ইতিহাস

  • ভূস্বর্গ শাসিকা : কাশ্মীরের রানিদের সংক্ষিপ্ত উপাখ্যান : দ্বিতীয় পর্ব

    Suchetana Mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | ইতিহাস | ১০ অক্টোবর ২০২৩ | ৭৭৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • 1 | 2 | 3 | 4
    দ্বিতীয় পর্ব
     
    যশোবতীর পরে কাশ্মীরের সিংহাসনে বসেছিলেন রানি সুগন্ধা, রানি দিদ্দা, রানি কোটা। এর পাশাপাশি নাবালক রাজাদের অভিভাবিকা হিসেবে স্বাধীনভাবে রাজ্যচালনা করেছিলেন আরও অনেক হিন্দু এবং মুসলমান নারী। তবে ব্রাহ্মণ্য ধর্মের স্বীকৃতি সত্ত্বেও বিতস্তা তীরের জটিল রাজনীতিতে নারীদের এগোনোর পথ সুগম হয়নি কোনদিন। তবু তাঁরা দৃপ্তপদে এগিয়েছেন আর সকল প্রতিস্পর্ধার মুখোমুখি নির্ভীক দাঁড়িয়ে বুঝে নিয়েছেন তাঁদের ন্যায্য অধিকার। যশোবতীর বহু শতাব্দী পরেকার হলেও উৎপল বংশের রানি সুগন্ধার কাহিনীও বলে যায় সেই একই কথা…।
     
    মহারানি সুগন্ধা
    (৯০৪-৯০৬ সাধারণ অব্দ)

    ভূস্বর্গের প্রথম ঐতিহাসিক শাসিকা ছিলেন মহারানি সুগন্ধা। উৎপল বংশের রাজা শঙ্করবর্মণের ( ৮৮৫ - ৯০২ সাধারণ অব্দ) অন্যতমা রানি সুগন্ধা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রের পাশাপাশি রাজকীয় সামরিক অভিযানগুলিতেও প্রত্যক্ষভাবে
    অংশ নিতেন। ৯০২ সাধারণ অব্দে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ জয় করে ফেরার পথে উরুশ (বর্তমান পাকিস্তানের হাজারা অঞ্চল) নামক স্থানে তীরবিদ্ধ হয়ে মারা যান রাজা শঙ্করবর্মণ। এই অভিযানটিতেও রানি সুগন্ধা রাজার সঙ্গে ছিলেন। রাজার বাকি দুই পত্নী এবং কিছু সেবিকা রাজার চিতায় সহমৃতা হলেও তেজস্বিনী সুগন্ধা সতীদাহে জীবন শেষ করতে চাননি।
    চতুর্দিক থেকে ধেয়ে আসা সহমরণের প্রবল চাপ সামলে সুগন্ধা শঙ্করবর্মণের ও তাঁর বড়ো ছেলে নাবালক গোপালবর্মণকে সিংহাসনে বসান এবং নিজে রাজমাতা হিসেবে রাজ্যের সকল ক্ষমতা করায়ত্ত করেন। তিনি ছিলেন একজন সুদক্ষ ও ন্যায়পরায়ণ প্রশাসক। তাঁর জনকল্যাণমুখী কার্যাদি তাঁকে কাশ্মীরের জনগণের মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। দেশকাল নির্বিশেষে ইতিহাসের এমন দৃঢ়চেতা, উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং সফল নারীদের দিকে পুরুষ ঐতিহাসিকরা যে বারবার নিন্দার দশ আঙুল তুলেছেন, বলাই বাহুল্য সুগন্ধাও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না! অর্থমন্ত্রী প্রভাকরদেবের সঙ্গে সুগন্ধার ঘনিষ্ঠতাকে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছেন কহ্লণ সমেত আগামীর প্রায় সকল ঐতিহাসিক। তবে প্ৰভাকরদেব ছিলেন দুর্নীতিপরায়ণ। রানির সঙ্গে সম্পর্কের সুযোগে রাজকীয় কোষাগারের বিপুল অর্থ তিনি আত্মস্যাৎ করতে শুরু করেন। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাজা গোপালবর্মণ রুখে দাঁড়ালে প্রভাকরদেব তাঁকে হত্যা করার জন্য রামদেব নামক এক ব্যক্তিকে কাজে লাগান। ৯০৪ সাধারণ অব্দে গোপালবর্মণ প্রয়াত হন। রাজহত্যার ষড়যন্ত্র প্রকাশিত হয়ে পড়ায় আত্মহত্যা করেন রামদেবও। রাজমাতা সুগন্ধা এবার তাঁর ছোটো ছেলে সঙ্কটকে রাজপদ দান করেন। কিন্তু রহস্যময়ভাবে মাত্র দশদিনের মধ্যে মারা যান নতুন রাজাও।
    কাশ্মীরের দুই নবীন রাজার মৃত্যু এবং শঙ্করবর্মণের অন্য কোন পুরুষ উত্তরাধিকারী না থাকার কারণে স্বাভাবিকভাবেই কাশ্মীরের রাজনীতিতে গভীর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। এই সঙ্কটের সময় সামরিক অভিজাত গোষ্ঠী অর্থাৎ তান্ত্রিন, রাজকীয় দেহরক্ষী দল অর্থাৎ একনাগ এবং আঞ্চলিক শূদ্র সামন্তপ্রভুরা অর্থাৎ দামারা শিবির একযোগে রানি সুগন্ধাকে কাশ্মীরের পরবর্তী সার্বভৌম শাসক হিসেবে স্বীকৃতি দেন ( ৯০৪ - ৯০৬ সাধারণ অব্দ)।
    মহারানি হিসেবে সিংহাসনে আরোহণ করে সুগন্ধা তাঁর পূর্বতন সুশাসনের ধারাই বজায় রেখেছিলেন। 
    সমকালীন কাশ্মীরে সুগন্ধার প্রভাব প্রতিপত্তির অন্যতম পরিচায়ক হল তাঁর নিজের নামে প্রচলিত  মুদ্রাগুলি। এই মুদ্রাগুলির একদিকে রয়েছে সমকালীন শারদা লিপিতে উৎকীর্ণ সুগন্ধা নামক নারী নামটির বাঁকে রাজকীয় পৌরুষের উচ্চারণ মাখা 'শ্রী সুগন্ধা দেব' উপাধি এবং অন্য পিঠে খোদিত ললিতাসনে উপবিষ্টা 'অর্দোক্ষ' বা দেবী লক্ষ্মীর মূর্তি। প্রাচীন বা মধ্যযুগের প্রভাবশালী রাজা রানীদের সহজাত বৈশিষ্ট্য মতোই সুগন্ধা তাঁর উদ্যোগে নির্মিত স্থাপত্যগুলির মধ্য দিয়ে নিজের নামকে চিরস্থায়ী করে যেতে চেয়েছিলেন। স্বামী শঙ্করবর্মণ সুগন্ধার উৎসাহে শঙ্করপুরা নামক নতুন রাজধানী স্থাপন করেছিলেন। এই শহরে তাঁরা যুগ্মভাবে নির্মাণ করিয়েছিলেন শঙ্করা গৌরেশ এবং সুগন্ধেশ্বর নামক দুটি শিব মন্দির। আধুনিক পট্টনে আজও এই মন্দির দুটি ছাড়াও অক্ষত রয়েছে তাঁর দ্বারা নির্মিত সুগন্ধেশা মন্দিরটি। এই মন্দির ছাড়া একক উদ্যোগে সুগন্ধা নির্মাণ করান সুগন্ধাপুরা এবং গোপালপুরা নামের নতুন দুটি শহর, গোপালকেশব নামে একটি বিষ্ণুমন্দির এবং গোপালমঠ নামক এক মঠ নির্মাণ করেছিলেন। প্রখর বুদ্ধিমতী সুগন্ধা তাঁর রাজ্যের আপামর জনগন, অভিজাত সম্প্রদায় এবং সামরিক বাহিনীর কাছে জনপ্রিয় ও সম্মানিত ছিলেন। তাঁর প্রশাসন পরিচালনা বছরগুলিতে রাজ্যের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, শান্ত পরিবেশ এবং স্থাপত্য ও ভাস্কর্য শিল্পের প্রশংসনীয় উন্নতির কারণে ঐতিহাসিকরা মহারানী সুগন্ধার অভিভাবকত্ব তথা রাজত্বের সময়কালকে কাশ্মীরের ইতিহাসের "স্বর্ণযুগ" বলেও অভিহিত করে থাকেন। 
    তবে সুগন্ধার শান্তির দিন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তিনি গোপালবর্মণের স্ত্রী জয়লক্ষ্মীর অনাগত সন্তানকে তাঁর উত্তরাধিকারী মনোনীত করে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু জয়লক্ষ্মী একটি মৃত সন্তানের জন্ম দেওয়ায় তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন।উৎপল বংশের রক্তসম্পর্কের ভিতর কাউকে রাজসিংহাসন দেওয়ার জন্য তিনি নির্জিতবর্মণ 'পঙ্গু' নামে পূর্বতন রাজা সূর্যবর্মণের এক নাতিকে বেছে নেন। কিন্তু শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী
    নির্জিতবর্মণকে পরবর্তী রাজা হিসেবে মেনে নিতে রাজি ছিলেন না রাজ্যের মন্ত্রী পরিষদ এবং তান্ত্রিন সামরিক গোষ্ঠী। কিন্তু রানি সুগন্ধা নিজ মনোনয়নে অনড় থাকলে এই দুই অভিজাত গোষ্ঠী ৯০৬ সাধারণ অব্দে তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তাঁকে সিংহাসনচ্যুত করে এবং নির্জিতবর্মণের বালক পুত্র পার্থকে কাশ্মীরের সিংহাসনে বসান।
    সিংহাসন হারানো নির্বাসিত রানি সুগন্ধা হাসকাপুরা অঞ্চলে ( বর্তমান বারামুলার উস্কার বা উসকুর অঞ্চল) পরবর্তী আট বছর বসবাস করেছিলেন। কিন্তু এই সময়কালেও তিনি বারবার তাঁর হৃত প্রভাব প্রতিপত্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে গেছিলেন। একনাগ ও দামারা গোষ্ঠীর সহায়তায় পর্যাপ্ত শক্তি সংগ্রহের পর ৯১৪ সাধারণ অব্দে শ্রীনগরের কাছে তিনি রাজা পার্থ ও তান্ত্রিনদের চূড়ান্ত যুদ্ধে আহ্বান করেছিলেন। কিন্তু যুদ্ধে সুগন্ধা পরাজিত হন এবং তাঁকে নিশপালক বিহার নামক এক বৌদ্ধ মঠে তাঁকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। কাশ্মীরের রাজনীতির তিনটি দশক জুড়ে সর্বময় ক্ষমতাশালিনী রানী সুগন্ধার এই দুঃখজনক পরিণতিতে কহ্লণ লিখেছিলেন, " আশ্চর্য এই ভাগ্যের পথখানি; সতত উত্থান পতনে পরিবৃত..।"
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    1 | 2 | 3 | 4
  • আলোচনা | ১০ অক্টোবর ২০২৩ | ৭৭৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ১১ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:২৭524476
  • অজানা ইতিহাস জেনে খুবই ভাল লাগল। রাজমাতা বা রাজবধু না হয়ে স্বাধীন শাসিকা হতে পেরেছেন অতি মুষ্টিমেয় কজন নারী। 
    এ লেখা পড়তে পড়তে মনে পড়ছিল দ্য সিক্রেট হিস্টরি অব মোঙ্গল কুইনস, হতশেপসুত, নেফারতিতিদের কথাও। 
     
    অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই ইতিহাস জানানোর জন্য। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন