এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • এক দুগুণে শূণ্য -১

    Kishore Ghosal লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১১ ডিসেম্বর ২০২২ | ৯৭৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)


  • উনুনের আগুনটা সবে উস্কে উঠেছে কী ওঠেনি, সনৎবাবু চায়ের দোকানের সামনে রাখা বাঁশের বেঞ্চিতে বসলেন। আধখানা চেরা বাঁশের বেঞ্চি। বেঞ্চিতে বসেই তিনি হাঁক পাড়লেন, “কই রে পতিত, চা হল?”
    ভাঙ্গা হাতপাখা দিয়ে ফটাফট উনুনে হাওয়া করতে করতে পতিত বলল, “জল চাপিয়েছি অনেকক্ষণ, এই ফুটল বলে”।
    “এই সময়ে কত ফুল ফুটে যায় রে পতিত, তোর জল আর ফুটল না! তোর চায়ের জল ফুটতে ফুটতে আমিই না ফুটে যাই!”
    “কী যে বলেন, বাবু? এই কাকভোরে অমন কথা বলতে আছে? কীই বা বয়েস আপনার”?
    “বলিস কী রে? আটবছর হল রিটায়ার করেছি, বয়েস কম হল বলছিস, তুই?”
    এই সময়েই সেখানে এসে উপস্থিত হলেন কমলবাবু, একই রকম বয়স্ক, বেঞ্চে সনৎবাবুর পাশে বসতে বসতে বললেন, “বড্ডো বাজে বকিস তুই, সনৎ। বয়সের কথা দুনিয়ার লোককে ঢাক পিটিয়ে বলার কী দরকার? এর মধ্যে তোর কী বাহাদুরি আছে বল তো?”
    অবাক হয়ে সনৎবাবু বললেন, “তার মানে? এর মধ্যে বাহাদুরির কথা আসছে কোত্থেকে?”
    “তুই যে ম্যাট্রিকে জলপানি পেয়েছিলি, তারপর ধর আমাদের মধ্যে তুইই প্রথম চাকরি আর বউ বাগিয়েছিলি, সে সব কথা বুক ফুলিয়ে গর্ব করে বলিস, সেটা বুঝতে পারি। কিন্তু এই যে তুই “বয়েস বাড়লো, বয়েস বাড়লো” করে ঢাক বাজাচ্ছিস, এর দরকার কী?”
    “বাঃ রে বয়েস বাড়লে, বয়েস বাড়লো বলবো না?” 
    “কী হবে বাড়িয়ে? কিছু লোক আহা-উহু করবে। কিছু লোক গায়ে পড়ে উপদেশ ছাড়বে, “শরতের হিম মাথায় নিও না, মিষ্টি খেও না, তেলেভাজার দিকে ফিরে দেখো না, রাস্তাঘাটে আড়চোখে তাকিও না, ধর্মে কর্মে মন দাও...ওফ্‌ হরিব্‌ল্‌”।
    “তোর ইচ্ছে না হয় তুই বয়েস ভাঁড়িয়ে শিং ভেঙে বাছুরের দলে ভিড়ে যা, আমাকে জ্ঞান দিচ্ছিস কেন?”
    সনৎবাবুর রাগে, কমলবাবু খুব হাসলেন হো হো করে, বললেন, “বোঝো, সামতাবেড়ে শহরে সব্বাই জানে তুই আর আমি মানিকজোড় বন্ধু। এক ক্লাসের দোস্ত। তুই না কমালে আমি বয়েস কমাই কী করে? লোকে হাসবে যে! হাঃ হাঃ হাঃ, ও সব এখন ছাড়, বেশ কদিন পর তোর দেখা পাওয়া গেল! কদিন ধরেই তোর বাড়ি যাবো যাবো করেও যাওয়া হয়নি। তা কী খবর কী? এখানে ছিলি না, মেয়ের বাড়ি গিয়েছিলি”?
    “নাআআআ, এখানেই ছিলাম। শরীরটা ঠিক জুতে ছিল না। প্রেসারটা গড়বড় করছিল। তার ওপর একটু ঠাণ্ডা লেগে শরীরটা বেশ কাবু হয়ে গেছিল”।
    “অ্যাই, এটাই বলছিলাম, যত ভাববি বয়েস বাড়ল, ততই বলতে শুরু করবি, “শরীরের আর দোষ কি? এ হচ্ছে বয়েসের বিড়ম্বনা” – বুজলি হতভাগা? আমারও কদিন বুকটা ধড়ফড় করছিল। গিন্নি বিধেন দিল কটা দিন বাড়ি থেকে বেরোতে পাবে না। আমি বললাম, আর যা বলো সব শুনবো, কিন্তু এইটি শুনবো না। ভোরের এই হাওয়াটা না খেলে আমার আবার হজমের গণ্ডগোল হয়। বুজলি না? পাঁচটা বাজলেই মনটা কেমন পালাই পালাই করে”!
    “হ্যাঅ্যাঅ্যা। আমারও একই দশা। তবে প্রেসারের জন্যে কদিন উঠে দাঁড়ালেই মাতাটা কেমন চক্কর কাটছিল। তাছাড়া সিজন্‌-চেঞ্জের সময় তো, বুকে ঠাণ্ডাটা চেপে বসলে আর রক্ষে পেতাম না। তাই কদিন বাড়ির বের হইনি”।
    “বেশ করেছিস, কিন্তু এদিকের খবর শুনেছিস?”
    “কিসের খবর”?                                                   
    “শুনিস নি? আমাদের মংলার কন্যাটি ভেগে পড়েছে!”
    “বলিস কী? কার সঙ্গে কবে?”
    “তাই তো বলছি। গত বুধবার দিন, ভর সন্ধেবেলায়। ওই যে ছোঁড়াটা ওদের বাড়িতে থাকত, আর বাজার হাট করে দিত, তার সঙ্গে”। 
    সনৎবাবু মুখ বেঁকিয়ে খুব তাচ্ছিল্যভরে বললেন, “মংলার খুব পয়সা হয়েছিল, ব্যাটা ধরাকে সরা দেখছিল”।
    কমলবাবু আরো একটু উস্কে দিয়ে বললেন, “উড়ছিল রে, উড়ছিল। নিজের মেয়েই মুকে ঝামা ঘষে দিল”।
    সনৎবাবু দুলে দুলে সুর করে বললেন, “অতি বাড় বেড়ো নাকো ঝড়ে পড়ে যাবে”।
    মিচকি হেসে কমলবাবু সুরে সুর মেলালেন, “হুঁ হুঁ, অতি ছোট হয়ো না হে, ছাগলে মুড়োবে। য্যাগ্‌গে, আমাদের কী দরকার ওসব কথায়!”
    “তা যা বলেছিস, আমরা বাপু ওসব সাতেও নেই পাঁচেও নেই”। 
    কমলবাবু তেঁতো খাওয়া মুখ করে বললেন, “হ্যাঅ্যাঅ্যা, পরনিন্দা পরচর্চা একদম সহ্য হয় না”।
    “তবে কথাটা যখন উঠলই, তখন না বলে পারা যায় না”। সনৎবাবু হাত রকেটের ভঙ্গিতে উপরের দিকে তুলে বললেন, “মংলার উত্থান একদম হাউয়ের মতো, সাঁ সাঁ সাঁ...”।
    কমলবাবু হা হা হা হা করে হাসতে হাসতে বললেন, “পতনও হল, হাউইয়ের মতো, ধাঁ ধাঁ ধা...” ওপর থেকে নিচেয় রকেটের মতো গোঁত্তা খাওয়ার ভঙ্গী দেখালেন হাতে।
    সনৎবাবু হাসতে হাসতে বললেন, “চার বছরে টাকা ডবল! ধাপ্পা দিয়ে কম টাকা কামিয়েছে? খুব লটর পটর বারফট্টাই!”
    “হ্যাঅ্যাঅ্যা, বাড়িতে নিত্যি মোচ্ছোব চলছিল। হোমড়া চোমড়া সব লোক আসছে যাচ্ছে। খানা পিনা হুল্লোড়!”  
    “সেদিনের মংলা থেকে মঙ্গলবাবু। মঙ্গল সায়েব, মঙ্গল স্যার”!
    একথায় কমলবাবু গম্ভীর মুখে উটের মতো আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, “য্যগ্‌গে, আমাদের কী দরকার ওসব কথায়? আমরা বাপু সাতেও নেই পাঁচেও নেই”।
    কমলবাবু সম্মতির ঘাড় নেড়ে বললেন, “তা যা বলেছিস, পরনিন্দা পরচর্চা, আমার ধাতেই নেই! কই রে, পতিত, তোর চায়ের জল ফুটল?”
    “অনেকক্ষণ” পতিত কান খাড়া করে এই দুই বাবুর কথা শুনছিল, উত্তর দিল, “চা সেদ্ধ হচ্ছে, এই হয়ে এল বলে”।
     
    চায়ের সংবাদ পেয়ে নিশ্চিন্ত কমলবাবু বললেন, “তবু একটা কথা না বললেই নয়! লোকের পাঁজর নিংড়োনো পয়সা চুরি করে, এত বাড় ভালো নয়”।
    “সে আর বলতে? ও জিনিষ সামলে চলা যায়? সারা গায়ে ফুটে উঠবেই, পারদের ঘায়ের মতো! হাজার লোকের অভিশাপ, দীর্ঘশ্বাস! ছ্যা ছ্যা ছ্যা ছ্যা, কাঁচা পয়সায় সংসারটাই বিগড়ে যায়, পরিবারের বাঁধন ঢোস্‌কে যায়”।
    “তাই তো হল” কিছুটা উত্তেজিত স্বরে কমলবাবু বললেন, “মংলার একটি রক্ষিতে হল, আর ওদিকে মংলার বউ, মংলারই এক স্যাঙাতের সঙ্গে আজ মিরিক, কাল মন্দারমণি করে বেড়াচ্ছে! এদিকে মেয়েটাও উটকো ছোঁড়ার সঙ্গে ভেগে পড়ল”!
    আদিরসের গন্ধ পেয়ে সনৎবাবু উলসে উঠলেন, বললেন, “মংলার এই বয়েসে আবার রক্ষিতে? বলিস কী রে?”
     
    লোকের হাঁড়ির খবর রাখা কমলবাবু আত্মবিশ্বাস নিয়ে বললেন, “আমার কাছে শোন না, আমার কাছে সব খবর পাবি! ধোপাপুকুরের পশ্চিমপাড় বুজিয়ে যে নতুন তিনটে ফ্ল্যাট বাড়ি উঠল? ঊর্বশী, মেনকা আর রম্ভা? সেই রম্ভায় দুকামরার ফ্ল্যাটে মংলা তার রম্ভাকে পোষে”।
    আবেশে সনৎবাবুর একটা চোখ বন্ধ করে বললেন, “বেশ বলেছিস! রম্ভায় রম্ভা? হি হি হি হি, এ যে একেবারে অষ্টরম্ভা! অ্যাঁ, ষোলো কলার আদ্ধেক? তা কলাটি দেখতে কেমন?”
    এসব ব্যাপারে একটুও আগ্রহ নেই যেন, সেভাবে কমলবাবু বললেন, “ছ্যা ছ্যা, ছ্যা, সে এক পাপের প্রতিমূর্তি, চোক তুলে তাকানো যায় না! হাঁটা-চলা, কথা বলায় পাপ ঝরে ঝরে পড়ছে!”
    “তা তো হবেই, যত্তো সব নষ্টা”। সনৎবাবুও খুব যেন বিরক্ত, এমনভাবে বললেন।
     
    কিন্তু কমলবাবু আবার উস্কে তুললেন, “তবে হ্যাঁ। গতরখানি খাসা। যাকে বলে ডবকা। ভাদরের ভরা গাঙ, রসে জলে একেবারে মাখামাখি”!
    “মংলার থালে খুব সুখ বল? ভাদরের ভরা গাঙে ঝাঁপাচ্ছে, সাঁতার কাটছে, ডুব দিয়ে দিয়ে নাইছে...?” সনৎবাবুর মুখে মিচকে হাসি, একটা চোখ টিপে বললেন।
    উত্তরে কমলবাবু, আবার যেন উদাসীন, বললেন, “সে আর বলতে? তবে যাগ্‌গে যাক, আমাদের কী দরকার ওসব কথায়? পরনিন্দা পরচর্চা মোটে সহ্য হয় না”।
    “হ্যাঅ্যাঅ্যা। ঠিক বলেছিস, আমরা বাপু খাই দাই গান গাই, কারো সাতেও নেই, পাঁচেও নেই”।
     
    (পরের সংখ্যা -  ১৮/১২/২২ তারিখে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১১ ডিসেম্বর ২০২২ | ৯৭৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন