‘‘সুদীর্ঘ কাল আমি বিশ্বাস করে এসেছি, লেখা মানে হল মারা যাওয়া, ধীরে ধীরে মৃত্যুকে বরণ করে নেওয়া। হাতড়ে হাতড়ে টেনে খোলা বালির কিংবা পশমের একটা আচ্ছাদন, কাঁপতে থাকা, আঁচড়াতে থাকা কিছুর ওপর। একঝলক হাসি—হিমায়িত। উঠে আসা কান্না—পাথরে পরিণত।’’
ফরাসি ভাষায় লেখা, তবু এ শুরুর সঙ্গে আমাদের পরিচিত কোনো ফরাসি উপন্যাসের শুরুর মিল নেই। ফরাসি হয়েও এ স্বর যেন সম্পূর্ণত আলাদা। ইউরোপীয় নয়, বরং তা অনেক বেশি আমাদের। সামাজিক অনুশাসনে কণ্ঠ রুদ্ধ এই উপমহাদেশের কোনো পরিচিত স্বরেরই বেশি কাছাকাছি। কেন-না আমাদের মনে রাখতে হবে এ ফরাসির জন্ম সমৃদ্ধ সাহিত্যরসে সিঞ্চিত ফ্রান্সের মূল ভূখণ্ডের উদার মৃত্তিকায় নয়, এই ভাষার জন্ম সুদীর্ঘ কালের পুরুষতান্ত্রিকতা আর এক শতকেরও বেশি ঔপনিবেশিক শাসনের যৌথ নিপীড়নে স্বাধীনতাচ্যুত তৃতীয় বিশ্বের এক লেখিকার কণ্ঠে।
আলজেরিয়ার সাম্প্রতিক কালের সর্বাধিক আলোচিত লেখিকা আসিয়া জাবার। আসল নাম ফতিমা-জোহরা ইমালাহয়েন। যদিও আসিয়া জাবার, এই ছদ্মনামেই তিনি পরিচিত আমাদের কাছে। (প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, আলজেরিয়ার ‘বারবের’ উপভাষায় ‘জাবার’ (Djebar) বলা হয় তাকে যে সান্ত্বনা দেয়, আর আরবিতে তার অর্থ ‘সর্বশক্তিমান’)। আসিয়া জাবারের জন্ম ১৯৩৬-এ, ফ্রান্স-অধিকৃত আলজেরিয়ায়। মৃত্যু ২০১৫ সালে। একাধারে ঔপন্যাসিক, কবি, চলচ্চিত্র-নির্মাতা আসিয়া জাবার পাঠকের কাছে কোনো নতুন নাম নয়। বস্তুতপক্ষে উত্তর আফ্রিকার সাম্প্রতিক কালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানিত নারীবাদী কণ্ঠ হিসেবে সারা পৃথিবীর পাঠকসমাজে তিনি বিশেষ ভাবে সমাদৃত। ১৯৬২ সালে প্রকাশিত হয় তার সাড়া জাগানো উপন্যাস ‘লেজঁফঁ দু নুভো মঁদ’ (Les Enfants du Nouveau Monde/‘নতুন বিশ্বের শিশুরা’)। আলজেরীয় নারীবাদের ইতিহাস, বিশেষ করে ফরাসি শাসন থেকে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আলজেরীয় নারীর অবদানের এ ছিল উল্লেখযোগ্য দলিল। এরপর তার তৎকালীন স্বামী ওয়ালিদ গার্ন-এর সঙ্গে যুগ্মভাবে প্রযোজিত নাটক ‘রুজ লোব’ (‘Rouge l’aube’/‘লাল ভোর’), কাব্যগ্রন্থ ‘লালজেরিওরোজ’ (‘l’Algérieheureuse’/‘সুখী আলজেরিয়ার কবিতা’), ছোটোগল্প ও উপন্যাসিকার সংকলন ‘ফাম দালজের দঁ ল্যর আপার্তমঁ’ (‘Femmes d’Alger dans leur appartement’/‘মহলের অভ্যন্তরে আলজিয়ের্সের রমণীরা’) ফ্রঁকোফোন সাহিত্যের ইতিহাসে অনবদ্য কাজ হিসেবে স্বীকৃত। আলজেরিয়ার এক মহিলা প্রযুক্তিবিদ যে সুদীর্ঘ নির্বাসনের পর ফিরে আসছে তার স্বাধীনোত্তর দেশে তার কাহিনি নিয়ে নির্মিত জাবারের চলচ্চিত্র ‘লা ন্যুবা দে ফাম দু মঁ শেনুয়া’ (‘La nouba des femmes du Mont-Chenoua’) ছবিটি অনেকেই হয়তো দেখে থাকবেন।
তবে আসিয়া জাবারের নামটি আমাদের কাছে অধিকতর পরিচিত পরবর্তীকালে লেখা ‘ল্য ব্লাঁ দ্য লালজেরি’ (‘Le Blanc de l’Algérie’/‘আলজেরীয় শ্বৈত্য’), ‘ভাস্ত এ লা প্রিজঁ’ (‘Vaste est la prison’/‘বিস্তীর্ণ এই কারাগার’) ও ২০০৩ সালে প্রকাশিত ‘লা দিসপারিসিয়ঁ দ্য লা লাঙ্ ফ্রঁসেজ’ (‘La Disparition de la langue française’/‘ফরাসি ভাষার অন্তর্ধান’) উপন্যাসের জন্যেই। আত্মজৈবনিক ‘ল্য ব্লাঁ দ্য লালজেরি’-তে জাবার বর্ণনা করেছেন ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের হাতে নিহত তার বন্ধুদের কথা, অনেক পরিচিত লেখকের নামও উঠে এসেছে, যাঁরা হয় প্রাণ দিয়েছেন স্বাধীনতা যুদ্ধে ফরাসিদের হাতে, কিংবা রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের হাতে (উদাহরণ সমকামী কবি জাঁ সেনাক)। আবার কারও কারও মৃত্যু হয়েছে অন্য কোনো ভাবে (ফ্রাঁৎস ফানঁ, আলবের কামু)। আর ‘লা দিসপারিসিয়ঁ দ্য লা লাঙ্ ফ্রঁসেজ’ উপন্যাস দীর্ঘ কুড়ি বছর পর স্বদেশে প্রত্যাগত এক নির্বাসিতের অন্তর্ধান আর ফরাসি ভাষার অন্তর্ধানের এক সমান্তরাল কাহিনি। তবে এই আলোচনায় আমরা চোখ রাখব জাবারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও জনপ্রিয় উপন্যাস ‘ভাস্ত এ লা প্রিজঁ’-র উপর।
১৯৯৫ সালে প্রকাশিত এই উপন্যাসে আসিয়া জাবার তুলে ধরেছেন একদিকে ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসন আর অন্যদিকে পুরুষতান্ত্রিক সংরক্ষণশীল সমাজ, এই দুই পরিস্থিতির মধ্যে দমবন্ধ করা আলজেরীয় নারীজীবনের ছবি। জাবারের নিজের ভাষাই যেন এখানে হয়ে উঠেছে নারীর এই অবস্থানের প্রতীক। ফরাসি, যা বলা যেতে পারে তাঁর পিতৃভাষা, তাঁকে এনে দিয়েছে তাঁর সামাজিক বন্ধনমুক্তির পথ। কিন্তু সে তো ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ববাদের ভাষা। ফ্রাঁৎস ফানঁ-র কথা স্মরণ করে আমরা বলতে পারি, নতুন কোনো ভাষাকে গ্রহণ করে নেওয়ার মানে তো ভিন্ন এক চোখ দিয়ে পৃথিবীকে দেখা। অন্যদিকে আরবি, যা তাঁর মায়ের ভাষা, তার সঙ্গে তাঁর নাড়ির বন্ধন। নিজের প্রকৃত সত্তাকে খুঁজে পেতে হলে তাকে তো ফিরে যেতেই হবে তার পূর্বপুরুষদের সেই আদি ভাষায়। ফরাসি তার সেই নাড়ির বন্ধনকে ছিন্ন করেছে। আত্মজীবনী, ফিকশন, ইতিহাস, সাংবাদিকতা বা ইংরেজিতে আমরা যাকে বলি ‘সিনেমাটিক জার্নালিজম’ সবকিছুর মিশেলে নির্মিত এই উপন্যাস চারটি পর্বে বিভক্ত। প্রথম পর্ব L’effacement dans le cœur’ (‘হৃদয়ে যা মুছে গেছে’) ইসমা ও তার কাহিনিকে নিয়ে। ইসমা ভালোবাসে তার চেয়ে বয়সে অনেক ছোটো একজনকে। তার প্রেমিক, যাকে সে কল্পনা করে নিতে চায় তার শৈশবের সাথি বলে, যে তার সম্পর্কে ভাই (বাবার দিক থেকে নয়, মায়ের দিক থেকে), তাকে এনে দেয় সেই ভালোবাসার অনুভূতি যা তাকে দেয় কারাগার থেকে মুক্তির আনন্দ। তার জীবনে প্রথমবার। কেন-না স্বামীর সঙ্গে তার সম্পর্কটি নিছকই প্রাতিষ্ঠানিক, বা বড়ো জোর বলা যেতে পারে দুই পুরোনো বন্ধুর মধ্যেকার সম্পর্ক। এই ‘প্রেমিক’ (Aimé) শব্দটিকে ইসমা ফরাসিতে ভাবতে চায় না, ভাবতে চায় আরবিতে, যা তার মায়ের ভাষা। “...est-ce que je me trahis moi-même, pensant ce dernier mot en langue arabe?” [‘এই শেষ শব্দটিকে (aimé) আরবি ভাষায় ভেবে আমি কি নিজেকে প্রতারণা করছি?’]
স্বামীকে বিশ্বাস করে সে তার এই ভালোবাসার কথা তাকে সব বলে। ইসমার ভালোবাসার কাহিনি শোনার পর তার আপাত সহানুভূতিশীল স্বামীটির ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে আদ্যিকালের পুরুষ জন্তুটি। প্রবলভাবে সে চড়াও হয় ইসমার উপর। সবচেয়ে বড়ো কথা ইসমার চোখ দুটি, যে চোখ দিয়ে যে এই স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখে, সেই চোখ দুটিকে আক্রমণ করে সেই পুরুষ। ইসমাকে সে অন্ধ করে দিতে চায়। সামান্যের জন্যে পুরোপুরি অন্ধত্বের হাত থেকে বেঁচে গেলেও ইসমা পুনরায় বন্দি হয় তার কারাগারে। ‘Vaste’ (বিস্তীর্ণ) শব্দটি যে উন্মুক্ততার, যে স্বাধীনতার ধারণার জন্ম দেয় আমাদের মনে সেই শব্দটিকে ‘Prison’ (কারাগার) বিশেষণ হিসেবে ব্যবহার করে এক তীর্যক আক্রমণ হেনেছেন জাবার চলতি সমাজব্যবস্থার উপর। ঠিক যেমন বিশেষ তাৎপর্য নিয়ে হাজির হয়েছে আরবি ‘l‘e’dou’ শব্দটিও, যার অর্থ ‘শত্রু’। কাহিনির শুরুতে প্রস্তাবনা অংশে (‘Le silence de l’écriture’/‘লেখার নৈঃশব্দ’) জাবার আমাদের শোনান আলজেরিয়ার ছোট্ট শহরের এক স্নানাগারে (hammam) আগত মহিলাদের কথোপকথন। সেখানে প্রস্থানরত এক মহিলার মুখে আমরা শুনতে পায় যে সে আরও একটুক্ষণ সঙ্গীদের সঙ্গে কাটাতে পারবে না কেন-না বাড়িতে তার ‘শত্তুর’ রয়েছে। শত্তুর? হ্যাঁ, শত্তুর তার গৃহস্বামী। না, কোনো রাগের কথা নয়, এভাবেই বাড়ির লোকটিকে সম্বোধন করে তারা নিজেদের মধ্যে। “...L’<
স্বামীর এই প্রত্যাঘাত ইসমার আত্মোপলব্ধির পথ খুলে দেয়। ইসমা বুঝতে পারে তার নিজস্ব জীবন বলে কিছু নেই। কয়েকটা দিন ঘর করার পর সে যখন শেষ পর্যন্ত স্বামীকে ত্যাগ করে তখন শুরু হয় চলচ্চিত্র-নির্মাতা হিসেবে তার নতুন জীবন।
মাতৃভাষা আর ঔপনিবেশিক ভাষার যে বিরোধের কথা আমরা আগেই উল্লেখ করেছি তা আরও বিস্তারিত করেছেন জাবার উপন্যাসের দ্বিতীয় পর্ব L’effacement sur la pierre’ (‘পাথরে অপসৃত’)-এ। ফলকের গা থেকে মুছে যাওয়া এক লিপি, মানুষের স্মৃতি থেকেও, তার অর্থ উদ্ধারের কাহিনিই এই পর্বের বিষয়বস্তু। আমরা জানতে পারি হারিয়ে যাওয়া এই ভাষাটি ‘বারবের’ উপভাষার একটি শাখা। এবং এই ভাষা মাতৃকুলভিত্তিক এক সমাজের ঐতিহ্য বহন করে। কিন্তু সে ভাষা তো ছিল মৌখিক, তার কোনো লেখ্য রূপ ছিল না এবং তা বিলুপ্ত। আলজেরিয়ার ইতিহাসকে লিখতে গেলে সেই ভাষা আর কোনো কাজেই লাগবে না, তাকে নির্ভর করতে হবে ঔপনিবেশিকদের শেখানো ভাষার ওপর।
উপন্যাসের তৃতীয় পর্ব (‘Un silencieux désir’/‘নীরব বাসনা’) শুরু হচ্ছে ‘দন কিহতে’ উপন্যাসে জোরাইদার কাহিনি দিয়ে। ‘দন কিহতে’র পাঠকরা জানেন আলজিয়ের্স-এ বন্দি সেই যোদ্ধার গপ্পো জোরাইদা যাকে কারাগার থেকে মুক্ত করার অর্থ জুগিয়েছিল, কিন্তু যার নিজেকে মুক্ত করার কোনো স্বাধীনতা ছিল না। জাবার মন্তব্য করেছেন, ‘জোরাইদার এই কাহিনি আজকের আলজেরিয়ায় যে মহিলারা লেখালিখি করছেন, যার মধ্যে তিনি নিজেও পড়েন, তাদেরই রূপক’। স্পেনে ফেরার পথে জোরাইদার সব সম্পত্তি ফরাসি জলদস্যুরা লুট করে নেয়। জাবার মনে করেন যেহেতু ‘বারবের’ ভাষা তার অজানা সেহেতু যে সম্পদ দিয়ে তার যাত্রা শুরু হয়েছিল তা আজ তার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ভাষাই একটি সমাজকে প্রতিনিধিত্ব করে, একটি হারিয়ে যাওয়া ভাষা মানে তো একটি হারিয়ে যাওয়া সমাজ। উপন্যাসের এই পর্বে পাঠকের আবার দেখা হয় ইসমার সঙ্গে। বিবাহবিচ্ছেদের পর সে এখন যুক্ত ‘Femme arable’ (আবাদী নারী) ছবি নির্মাণের কাজে। একেবারে সিনেমাটিক ধাঁচে এই তৃতীয় পর্বটি সাতটি মুভমেন্ট-এ বিভক্ত। চলচ্চিত্র আর উপন্যাস, দুটি ফর্ম যেন এখানে মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে। উপন্যাসের এই পর্বে দিদিমার প্রসঙ্গটি উল্লেখযোগ্য। দিদিমা ফতিমাকে তুলে দেওয়া হয়েছিল বুড়ো সলিমানের হাতে। বিয়ের অল্প পরেই সলিমান মারা গেলে ফতিমা চলে যায় পার্বত্য প্রদেশে মেয়েদের নিয়ে। মাতৃকুলভিত্তিক পরিবারের ধারা চলতে থাকে ছোটো মেয়ে বাহিয়া পর্যন্ত। বড়ো মেয়ে শেরিফা মারা যায়। শেরিফার মৃত্যুতে চাচাতো বোনের পার্বত্য ‘বারবের’ উপভাষায় গাওয়া বিলাপ গাথাতেই আমরা শুনতে পাই সেই কথাগুলি উপন্যাসের নামকরণে লেখিকা যা ব্যবহার করেছেন। ফরাসি অনুবাদে সেই কথাগুলি হল: “Vaste est la prison qui m’écrase/ D’où me viendras-tu, délivrance?” (“বিশাল এই কারাগার আমায় পিষে মারে/ কোথা থেকে আসবে তুমি, মুক্তি?”)।
চতুর্থ পর্ব ‘Le sang de l’écriture’ (‘অক্ষরের শোণিত’) ইয়াসমিনার কাহিনি। ইয়াসমিনার কাটা দেহ একদিন খুঁজে পাওয়া যায় এক গর্তে। পারি শহর থেকে সে ফিরে এসেছিল আলজেরিয়ায়, এক পোলিশ বান্ধবীকে সঙ্গে করে। পুলিশের ছদ্মবেশে উগ্রপন্থীরা পোলিশ বান্ধবীটিকে আটক করে, তুলে নিয়ে যেতে চায়। ইয়াসমিনা পিছু নিলে তারা তার বান্ধবীকে ছেড়ে ইয়াসমিনার উপরই চড়াও হয়। পোলিশ বান্ধবীটি পালিয়ে যেতে পারলেও ইয়াসমিনাকে তার জীবন দিতে হয়। আজকের আলজেরিয়ার ছবি তুলে ধরেছেন জাবার উপন্যাসের অন্তিম এই পর্বে। প্রশ্ন করেছেন: “অতঃপর কী বলে ডাকব তোমায়, আলজেরিয়া!” বলেছেন আর-এক আলজেরিয়ার লেখক কাতেব ইয়াসিন যা বলেছিলেন চল্লিশ বছর আগে: “গুলিবিদ্ধ মানুষেরা পৃথিবীটাকে টেনে নিচ্ছে চাদরের মতো গায়ে/এরপর জীবিত মানুষের ঘুমোনোর মতো কোনো জায়গাই তো আর থাকবে না!”
যথারীতি দুর্দান্ত লিখেছেন - বইয়ের রিভিউ ঠিক এমনটি হওয়া উচিত। প্রতিটি পর্বের নামগুলোই কি সুন্দর ! অনেক ধন্যবাদ।
@যদুবাবু, অনেক ধন্যবাদ।