#পুস্তকালোচনা -- #রবীন্দ্রনাথ_এখানে_কখনও_খেতে_আসেননি -- #মোহাম্মদ_নাজিম_উদ্দিন
বই = রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি।
লেখক = মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।
প্রকাশক = অভিযান পাবলিশার্স।
পৃষ্ঠা সংখ্যা = ২৭১
মুদ্রিত মূল্য = ৩৪০ টাকা
———————————————————————————————————————
বাংলা সাহিত্যে সাম্প্রতিককালে সাড়া জাগানো বইটি নিয়ে আলোচনার দ্বিতীয় অংশ শুরু করি।
২১) পঞ্চম অধ্যায়ে নুরে আতরের কাছে ফালু নামে একজন ব্যক্তির কথা জানতে পারে যে কারোর মৃত্যুর আগেই কবর খুঁড়ে রাখে।
যে নুরে গ্রামের কাছে থাকা রেস্টুরেন্ট থেকে মানুষ হারিয়ে যাওয়ার তদন্ত করতে এসেছে, তার এই ঘটনা শুনে মনে কোনো সন্দেহ তৈরী হয় না। উল্টে লেখক জানান — "এইসব তারছেঁড়া লোকজনের ব্যাপারে তার কোনো আগ্রহ নাই", "এইসব কথায় সে বিরক্ত হয়ে ওঠে"।
যদিও আতর একটু প্রগলভ হয়ে বাড়তি কথা বলছিলো, আর নুরে অন্য কাজে যাচ্ছিল বলে সেই মুহূর্তে এই কথাগুলি তার কাছে ভিন্ন প্রসঙ্গের হলেও, নুরের সন্দেহের তালিকায় ফালুর নামটা এইখান থেকেই ঢুকে যায়নি দেখে আশ্চর্য হতে হয়। এমনকি তাকে একবারে উপেক্ষা করাটাও ভারী অবাক করে দেয়।
২২) পঞ্চম অধ্যায়ে লেখক জানান যে মানুষ — "শব্দকে ছয়টি সুরে-সা-রে-গা-মা-পা-ধা-নি-বেঁধেছে।", সাতটি সুরের নাম উল্লেখ করে সেটাকে ছয়টা বলার মতো বালখিল্য ভুল কেমন করে হয়, কে জানে।
২৩) এছাড়া পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গার মানুষের কাছে সুরের সংখ্যা বিভিন্ন এবং সেটা সাত নয় (শুদ্ধ সুর হিসেবে সাতটি ধরা হয় অনেক ক্ষেত্রেই, এছাড়া আরো সুর আছে)।
২৪) সপ্তম অধ্যায়ে আতর জানায় যে, ২০০৮ খ্রীষ্টাব্দের দিকে মুশকান সম্পত্তিগুলো নিজের দখলে নেয় যেটা ২০০৯ খ্রীষ্টাব্দের দিকে তার হাতছাড়া হতে শুরু করে; এরপরে স্থানীয় এমপির সাথে আপস করে নিয়ে কিছু সম্পত্তি সে দখলে নেয়; মুশকান ২০০৮ খ্রীষ্টাব্দে সুন্দরপুরের জমিদার বাড়িতে এসে ওঠে এবং অলোকনাথ বসুর বাকি সম্পত্তিগুলি নিজের দখলে নিয়ে দেখভাল করতে শুরু করে।
আতরের বক্তব্য সত্যি হলে পুরো সময়রেখার হিসেবটাই গুলিয়ে যায় কারণ তার বক্তব্য পরষ্পরবিরোধী। লেখক এটা বাজেরকম গোলমাল করেছেন।
২৫) ষষ্ঠ অধ্যায়ে মাষ্টার চরিত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০১০ খ্রীষ্টাব্দে রাশেদ জুবেরিকে দেখাশোনা করার মতো কেউ ছিলো না এবং তার সাত-আট মাস পরে (যার এক-দুই মাস আগে রাশেদ মারা গেছিলো) মুশকান সুন্দরপুরে এসে নিজেকে রাশেদের স্ত্রী বলে দাবী করে।
কিন্তু আগেই বলা অংশে সপ্তম অধ্যায়ে আতরের বক্তব্যের সাথে মাস্টার চরিত্রের বক্তব্যের সংঘাত হচ্ছে। লেখক এটা ঘেঁটে ঘ করেছেন।
২৬) সপ্তম অধ্যায়ে দেখি, "রমাকান্তকামার" শব্দটি দেখে নুরের খেয়াল হয় যে নামটি উল্টে বললে বা লিখলে একই থাকে এবং সেটি Ambigram বলে তার সন্দেহ হয় (বাস্তবে ওটি Palindrome)।
সাধারণ মানুষের পক্ষে এই ভুল করা এমন কিছু সমস্যার নয়, তবে নুরের যা খ্যাতি তাতে এতো কাঁচা ভুল করলে সেটা বেশ বেমানান লাগে।
২৭) চতুর্থ অধ্যায়ে নুরে ফোনে একজনকে জানায় — "কমপক্ষে সপ্তাহখানেক লাগতে পারে... তবে আমি শিউর না..." এবং তারপরেই বলে — "হোমরাচোমরা লোকজনের সাথে মহিলার খাতির... সাবধানে কাজ করতে হবে...টের পেয়ে গেলে কাজটা করা কঠিন হয়ে যাবে..."। আর সেই সময় অবধি নুরের কাছে যা তথ্য ছিলো তাতে এই সিদ্ধান্ত যুক্তিযুক্ত।
কিন্তু নবম অধ্যায়ে দেখি যে সে সেদিনেই হঠাৎই রাত এগারোটার সময় নিজে তদন্ত করতে চলে যায়। ঐ দুইটি অধ্যায়ের মাঝে ঘটা বিভিন্ন ঘটনা এবং তাতে পাওয়া তথ্য থেকে নুরের আচমকা সিদ্ধান্ত বদলের পিছনে কোনও কারণ পাওয়া যায় না, এমনকি লেখক নিজেও কোনো কারণ জানাননি।
২৮) দশম অধ্যায়ে দেখি, নুরে সাইকেলে চড়ে কানটুপি পরে কালো জিন্স-প্যান্ট এবং মরচে-পড়া রঙের গ্যাবাডিনের জ্যাকেট পরে ভাবছে যে এই পোষাক রাতের জন্য নিঁখুত ক্যামোফ্লাজ সৃষ্টি করবে। যার পরেই লেখক জানাচ্ছেন যে এর পরেও একজন ঠিকই তাকে দেখে চিনতে পেরেছে।
সেটাই স্বাভাবিক, কারণ মুখ যদি ঢাকা না থাকে তাহলে মুখ দেখে চিনতে পারাটা এমন কঠিন কিছু নয়। এ কেমন জাঁদরেল গোয়েন্দা যে মুখ না ঢেকে নিখুঁত ক্যামোফ্লাজ নেওয়ার কথা ভাবে।
২৯) দশম অধ্যায়ে এরপরেই দেখি, নুরে জমিদার বাড়ির দিকে যাওয়ার সময়ে "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি" হোটেলের সামনে দিয়েই যায়।
রেস্টুরেন্ট থেকে জমিদার বাড়ির যাওয়ার পথে যে লক্ষ্য রাখা হতে পারে এটা তার একবারও মনে হয় নি। বুদ্ধি বটে!
৩০) দশম অধ্যায়ে তারপরে দেখি, নুরে ভাবছে — "বোবা তার ঢিলের শব্দ কি করে শুনবে, সে তো কানেই শোনেই না।"
কিন্তু বাস্তবে, বোবা হলেই যে কেউ কানে শুনতেই পাবে না, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। এমনকি আতরও এটা তাকে জানায়নি যে বোবা দারোয়ান শুনতে পায় না। যদিও, ঊনত্রিংশ অধ্যায় থেকে জানতে পারি যে, ঐ ইয়াকুব নামের দারোয়ান সত্যিই কানে শোনে না। তবে এটা পরের ঘটনা।
৩১) এছাড়া একজন বোবাকে যেহেতু দারোয়ান হিসেবে রাখা হয়েছে তাই গোয়েন্দা হিসেবে নুরের এটা বোঝা বা নিদেনপক্ষে সন্দেহ করা উচিৎ যে জমিদার বাড়িতে দারোয়ান ছাড়াও তার ভেতরে নজর রাখার জন্য আরো ব্যবস্থা থাকা সম্ভব।
৩২) দশম অধ্যায়েই দেখি, জমিদার বাড়িতে কতজন আছে সেটা নিজে না জেনেই নুরে পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়ে। আতর নিজে যেদিন ঢুকেছে তারপরে মুশকান জমিদার বাড়ির ভেতরে আরো লোক লুকিয়ে ঢোকাতে পারে। তাই সে যতজন বলেছে তার থেকেও বেশী জন মানুষ সেখানে লুকিয়ে কাজ করতে পারতো এবং সেক্ষেত্রে নুরের বিপদ হতে পারতো।
৩৩) দশম অধ্যায়ে এরপরে নুর দেখে — "উজ্জ্বল আলোয় পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছে খালি গায়ের গোরখোদক ফালু ময়লা জিন্স প্যান্ট হাঁটু পর্যন্ত গুটিয়ে রেখেছে।"। কিন্তু নুরের পক্ষে ফালুকে শনাক্ত কথা কঠিন, কারণ এর আগে আতরের সাথে সে তার "আবছা অবয়ব" দেখেছে মাত্র বা অন্য কেউ তার কাছে ফালুর চেহারার বর্ণনা দেয়নি। ফালুকে জমিদার বাড়তে ঢুকতেও তারা দেখেনি, তারা আন্দাজ করেছে যে সে জমিদার বাড়িতে ঢুকবে।
৩৪) একাদশ অধ্যায়ে লেখক জানাচ্ছেন — "সম্ভবত এটাই বোবা দারোয়ান। মুশকান জুবেরি মাথা নেড়ে সায় দিয়ে কী যেনো বললো তাকে। সঙ্গে সঙ্গে গোরখাদক ছেলেটাকে নিয়ে চটের ছালাটা মেলে ধরল সে," এবং এর একটু আগেই তিনি লিখেছেন — "মুশকান জুবেরি তাদের সামনে দাঁড়িয়ে কী যেনো বলছে।"।
কাজেই, এর থেকে বোঝা যায় যে বোবা চরিত্রটি কানে শুনতে পায়।
যদিও, ঊনত্রিংশ অধ্যায় থেকে জানতে পারি যে, ঐ ইয়াকুব নামের দারোয়ান সত্যিই কানে শোনে না।
৩৫) চতুর্দশ অধ্যায়ে দেখি আতরের মন বলে — "ঐ সাংবাদিককে মাত্র দু-দিন ধরে চেনে।", কিন্তু বাস্তবে সে যেদিন রাতে এই কথাটি ভাবছে সেদিন বিকেলের শেষে তার আর সাংবাদিকের পরিচয় হয়েছে। অর্থাৎ সে সাংবাদিককে গোটা একদিনেরও কম সময়ে ধরে চেনে।
৩৬) পঞ্চদশ অধ্যায়ে আমরা দেখি যে, ফালু জমিদার বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছে দেখে আতরের মনে প্রশ্ন জাগে যে ফালু এতক্ষণ জমিদার বাড়িতে থাকলে একটু আগে আতর যখন ফালুর ঘরে ঢুকেছিলো তারপর তাকে সেখান থেকে কবরস্তান অবধি কে ধাওয়া করেছিলো। কারণ তখন সে ফালুর গলায় গালাগালি শুনেছিলো।
কিন্তু, এই প্রশ্নের উত্তর কাহিনীতেই নেই।
৩৭) পঞ্চদশ অধ্যায়ে লেখক জানান — "
"আপনেরে ওরা কেউ দেহে নাই? কেউ কিচ্ছু টের পাই নাই?!" ইনফর্মার খুবই অবাক।
গভীর করে দম নিলো ছফা। "অনেক ঘটনা আছে। সবই বলবো, তবে এখন না।"
"
এরপরেই ষোড়শ অধ্যায়ে আবার লেখক জানান — "
"হ্যা, হ্যা, আছি," তড়িঘড়ি বললো ছফা, "কিন্তু ঐ মহিলা আর কাজের মেয়েটা... ওরা তো দেখে ফেলতে পারে?"
"আপনে না কইলেন, হেরা আপনেরে দেখেছে?"
"
কিন্তু এই কথাটা নুরে আতরকে এখনো বলেই নি (যেটার পঞ্চদশ অধ্যায়ের কথোপকথন থেকেই বোঝা যায়)। কাজেই এটা তার জানার কথাই নয়।
৩৮) পঞ্চদশ অধ্যায়ে দেখি যে, নুরে জমিদার বাড়িতে পাঁচিল টপকে ঢোকে কিন্তু সেই একইভাবে বেরোতে পারে না। এমনকি কাহিনী থেকে বোঝা যায় যে বেরানোর ব্যাপারে পরিকল্পনা না করেই সে ঢুকে যায়।
আবার জানাই — চরিত্রটি ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চের জাঁদরেল গোয়েন্দা!
৩৯) এর পরেই দেখি যে আতর নুরেকে ফোন করেছে, তখন সে বেরোনোর জন্য সাহায্য না চেয়ে আতরকে জিজ্ঞেস করতে ব্যগ্র হয়ে পড়ে যে, আতর তার ফোন নাম্বার পেলো কেমন করে।
এরপর উল্টে আতর তাকে বলে যে, সে কীভাবে জানলো সেটা জরুরী নয়, নুরে এখন ঠিকঠাক আছে কি না সেটা যেন সে সুনিশ্চিত করে জানায়।
উপস্থিত বুদ্ধি দেখে বোঝা ভার যে, কে জাঁদরেল গোয়েন্দা আর কে খোচড়!
৪০) ষোড়শ অধ্যায়ে জানতে পারি যে নুরে তার মোবাইল ফোনটি খুব একটা Charge না করেই হোটেল থেকে বেরিয়ে গেছিলো, কারণ সে বুঝতে পারে নি যে তার এত দেরী হয়ে যাবে।
জমিদার বাড়িতে তার আরো বেশী সময়ও লাগতে পারতো, যদি ভেতরে মুশকানের তরফে আরো লোকজন লুকিয়ে থাকতো। অর্থাৎ তার ওখানে গিয়ে কোনও কাজের জন্য আরো বেশী সময় লাগতেই পারতো, তাই যতটা সম্ভব প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হতো।
নুরের বোধহয় মনে হয়েছিল যে, সে জমিদার বাড়িতে যাবে, যেখানে সমস্ত তথ্য তার জন্য কোনো বইয়ে লিখে দেওয়া থাকবে, সে গিয়েই বইটি নিয়ে চলে আসবে!
বার বার একটাই কথা মনে আসে — জাঁদরেল গোয়েন্দা। এমনকি সে case solve করতে পারে বলে তাকে নাকি case দেওয়া হয় না। বাপরে!
———————————————————————————————————————
অনেকেই, আগের অংশে থাকা মাত্র কুড়িটি অসঙ্গতি দেখেই লাফালাফি করছেন বলে আবার জানিয়ে রাখি যে আমি অনেক ক্ষেত্রেই ছোটখাটো অসঙ্গতিগুলো উপেক্ষা করি। নাহলে ভুলের সংখ্যা আরও অনেক বেশী হয়ে যেত।
উদাহরণ স্বরূপ জানাই - পঞ্চম অধ্যায়ে লেখক জানান — "জগতের সকল রঙকে সাতটি ভাগে ভাগ করেছে মানুষ।", কিন্তু তিনটি রঙ ব্যবহার করেই সমস্ত রঙকে মোটামুটিভাবে প্রকাশ করা যায়। এছাড়া মানুষের চোখ প্রায় এক কোটি ভিন্ন ভিন্ন রঙের মধ্যে দেখে পার্থক্য করতে সক্ষম।
এইরকম বেশ কিছু ক্ষেত্রে আমি ছোটখাটো অসঙ্গতিগুলোকে উপেক্ষা করেছি।
যাই হোক, সময় পেলে পরবর্তী অংশ নিয়ে আবার আসবো আলোচনা করতে। আর চিন্তার কোনো কারণ নেই, পরে এই বইটির ভালো দিক নিয়েও আলোচনা করা হবে।
শেষ লাইনটা পড়ে একটু ঘাবড়ে গেলাম - এই বইয়ের ভালো দিকও আছে নাকি?
চেয়ার পেতে বসলাম।
বইটায় জোর করে রহস্য বানিয়েছে লেখক। শেষটা একটু ঘাঁটা লেগেছে আমার। পড়ে বেশ খানিকটা সময় নষ্ট আর কি। এটা নাকি আবার বেস্ট সেলার। পাঠকের হাল দেখে কান্না পাচ্ছে।
একটু তুলি।
আরেকটা বইয়ের নাম শুনলাম, দুধ চা খেয়ে তোকে গুলি করে দিব।
তাহলে আমরা যে যাত্রাপালার নাম নিয়ে খিল্লি করতাম, সিঁথির সিঁদুর চেটে গেছে ইঁদুর বা সিঁড়ির নীচে বিড়ির দোকান সেসব এখন অতীত, পাঁচ তলা মল পুরোটাই এখন কাকলি ফার্নিচার!!
লেখকদের জন্য আমি আগে ভাগে আরো কয়েকটা নাম লিখে দিলাম। ব্যবহার করার সময় একটা ধন্যবাদ জানিয়ে দেবেন।
শব্দছকে ইঁদুরের রক্ত
অফিস থেকে ফিরে এসে বমি করে দেব
জগদীশচন্দ্র এই ইঞ্জেকশন ব্যবহার করেননি
খাটিয়ার তলায় খুটিয়ার সমাধি
গোলাপ জলের জোলাপ
মুশফিকুরের মুশকান
কাপুচিনো তে কোকেনের চুমুক
4567 : এটা কোনো পাসওয়ার্ড নয়
তালা লাগলে বলে দেবেন (সন্ধে সাতটার মধ্যে)
এসকেপ ভেলোসিটি
মজ্জায় মজ্জায় মজন্তালী
যে তারের ওপর মাছিরা ঘুমিয়েছিল
ধুতির কোঁচাতে বাদুড়ের ডানা
ওয়েব সিরিজটা দেখছি। রাহুল বোসের উৎকট অভিনয়, অনির্বান ভালো। নামের ব্যাপারটা জানা গেল। আমি ইউটিউবে গান গুলি শুনে দেখতে বসলাম, আদারওয়াইজ বোরিং, এখন পর্যন্ত ঘটনাক্রম প্রেডেক্টেবল। বেশিক্ষণ টানতে পারবো বলে মনে হয় না।
বাঁধন নাকি খুব ভাল করেছে শুনলাম।
বইটা পড়ছি এখনো। শুরুর দিকে খারাপ লাগছিলোনা কিন্তু শেষে এসে ঝুলে যাচ্ছে মনে হচ্ছে ...