এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  সীমানা ছাড়িয়ে

  • আত্মজৈবনিক ম্যাগনাম ওপাস—ব্যক্তিগত স্মৃতিপর্দায় সমষ্টির ইতিহাস

    পার্থপ্রতিম মণ্ডল
    পড়াবই | সীমানা ছাড়িয়ে | ১৫ নভেম্বর ২০২০ | ১৭৫৪ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • আনি আর্নো। এ সময়ে ফরাসি সাহিত্য-নক্ষত্রদের অন্যতম। বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য তাঁর আত্মজৈবনিক লেখাগুলি। তেমনই একটি বই ‘লেজ়ানে’, ‘বছরগুলো’। বিশ্ববন্দিত। পড়লেন পার্থপ্রতিম মণ্ডল



    আনি আর্নো

    “Toutes les images disparaîtront.’’ ‘সমস্ত ছবি একদিন হারিয়ে যাবে’। হারিয়ে যাবে আমাদের দোলনা আর আমাদের মৃত্যুশয্যার মাঝে অভিধানের সব শব্দ। হারিয়ে যাবে ব্যাকরণ বইয়ের যত উদাহরণ, একসময়কার যত উদ্ধৃতি, যত গালিগালাজ, যত গান, নোট বইয়ে লিখে রাখা যত বাক্য। যা পড়ে থাকবে তা শুধু নিস্তব্ধতা। যে নিস্তব্ধতাকে বোঝানোর মতো কোনো শব্দ থাকবে না। ভাষা এই পৃথিবীকে নিত্যনতুন শব্দে প্রকাশ করে চলবে ঠিকই। কিন্তু আমরা? ‘‘কোনো এক ছুটির দিন টেবিলের আড্ডায় আমরা হয়ে উঠব নিছক একটি নাম, ক্রমশ মুখচ্ছবিহীন, তারপর দূরবর্তী প্রজন্মের কাছে একদিন নামহীনতায় হারিয়ে যাব।’’

    ১৯৪০ থেকে ২০০৬। আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে উত্তাল এই সময়ের যে রোমাঞ্চকর মাইলফলকগুলি, তারাও একদিন হারিয়ে যাবে। আর আশৈশব তার মনে গেঁথে যাওয়া যেসব ছবি সময়ের স্রোতে ইতিমধ্যেই হারিয়ে যেতে বসেছে, তারই কিছু টুকরো দিয়ে আনি আর্নো শুরু করেছেন তার জীবনের কথা, Les Années (লেজ়ানে। বাংলা তরজমায়—বছরগুলো)। ‘পাসিয়ঁ স্যাম্পল্’ (সাধারণ আবেগ), ‘ইউন ফাম’ (এক নারী), ‘লা প্লাস’ (সেই জায়গাটা)—একের পর এক চাঞ্চল্যকর আত্মজৈবনিক ন্যারেটিভ আনি আর্নোকে অনেক আগেই বিশ্বসাহিত্যের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে। ২০০৮–এ প্রকাশিত তাঁর ঐতিহাসিক আত্মজীবনী ‘লেজ়ানে’, সমালোচকদের ভাষায় তাঁর ‘ম্যাগনাম ওপাস’।

    ‘লেজ়ানে’ লেখিকার আত্মজীবনী, আবার আত্মজীবনী নয়ও। ১৯৪০-এ নরম্যান্ডিতে শ্রমজীবী পরিবারে জন্ম থেকে, যুদ্ধপরবর্তী সময়ে বড়ো হয়ে ওঠা, শিক্ষকতার জীবন, দুই সন্তানকে বড়ো করে তোলা থেকে বিবাহবিচ্ছেদ, এসবই এসেছে এই গ্রন্থের পরিসরে। তবু প্রথাগত আত্মজীবনী একে বলা যাবে না। ইতিহাসের যে সময়টি ধরা পড়েছে এই বইয়ে তা ‘আমি’ নয়, বলা হয়েছে ‘আমরা’র মুখ দিয়ে। প্রথম বচন থেকে সরে এসে এখানে লেখিকা হয়ে উঠেছেন ‘সে’। আর্নো নিজেই তাঁর এই রচনাকে অভিহিত করেছেন ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণা বলে নয়, বরং তাঁর সময়ের ‘সমষ্টির ইতিহাস’ বলে। ‘সমষ্টির ইতিহাস কীভাবে ব্যক্তিগত স্মৃতির পর্দায় প্রতিফলিত হয়েছে’ তারই উদাহরণ বলা যেতে পারে এই বই (‘…capter le reflet projeté sur l’écran de la mémoire individuelle par l’histoire collective.’)।



    আত্মজীবনী না বলে কেউ যদি আবার এই বইকে কতকগুলি ছবির কোলাজ বলেন, তাহলেও বোধহয় ভুল হয় না। বিগত দিনের সেসব ছবিতে লেখিকা ফিরে দেখছেন তাঁর ফেলে আসা অতীত। বর্তমানও। কিন্তু ছবিগুলিতে তো তিনি একা নেই। রয়েছে আরও অনেকে। ছবির পিছনে লিখে রাখা সাল ও তারিখে ধরা রয়েছে কালও, তাঁর ব্যক্তিগত কাল আবার সেই ‘সমষ্টির’ কালও। কালো সুইমস্যুট পরা ছোট্ট একটি মেয়ের সাদাকালো একখানি ছবি। নুড়ি বিছানো সমুদ্রসৈকতে সে বসে রয়েছে পা ছড়িয়ে। চুলের একটি বিনুনি এসে পড়েছে বুকে, আর-একটি পিছনে, পিঠে। বলে দিতে হবে না যে মেয়েটি ‘সিনেমোদ’-এর কোনো নায়িকার স্টাইলে পোজ দিতে চায়। মেয়েটি ছুটির দিন বেড়াতে এসেছে তার বাবা, কাকা আর কাকিমার সঙ্গে। তাঁরা সবাই দড়ির কারখানার শ্রমিক। তার মা কাজ করে তাদের কফি-কাম-মুদির দোকানে। যে দোকানটি কোনোদিন বন্ধ হয় না। তাই তারা এলেও মা তাদের সঙ্গে আসতে পারেনি। তার বাবা বা কাকিমা কেউই জানে না কীভাবে বিনুনি দুটিকে খোপা করে বাঁধতে হয়। আর সেই সুযোগেকে কাজে লাগিয়ে মেয়েটি বিনুনি দুটোকে সামনে আর পিছনে ঝুলিয়ে নিয়েছে, ঠিক যেমন সে সিনেমার পত্রিকার মলাটে দেখেছে। ছবির পিছনে তারিখ লেখা, অগাস্ট, ১৯৪৯, সোৎভিল-স্যুর-মের। মেয়েটির চোখ দেখে বলা মুশকিল সে কিছু ভাবছে, নাকি সে কোনো স্বপ্ন দেখছে! কিংবা বলা মুশকিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি জার্মানির দখলদারি থেকে লিবারেশনের পরবর্তী বছরগুলিকে সে কী চোখে দেখছে! অথচ সেই বছরগুলি তার স্মৃতিতে তখন স্পষ্ট।

    ১৯৫০-এর মাঝামাঝি, তখনও তো তারা নিতান্ত শিশুই। তখনকার কোনো ছবিতে বর্তমানের আর্নো দেখছেন, সেই বয়সেই তাদের দাদু-দিদিমা বা বাবা-মায়ের থেকে ভাবনার জগতে তারা কীভাবে দূরে সরে যাচ্ছে। খাবারের টেবিলে বড়োদের আলোচনায় লিবারেশন নিয়ে কথা হয়, যে দুটো বিশ্বযুদ্ধ তাঁরা কাটিয়ে এসেছেন তা নিয়ে কথা হয়। তাত্ত্বিক রাজনৈতিক আলোচনা নয়, তাঁদের শ্রমজীবী পরিবারের অভাবের কথা, অসুবিধার কথা। কিন্তু ছোটো ছেলেমেয়েদের সেসব স্পর্শ করে না। স্কুলের অনুষ্ঠানে তখনও তাদের প্রবাদপ্রতিম ফরাসি কবি জাক প্রেভের-এর ‘রাপেল তোয়া, বারবারা’ আবৃত্তি করে শোনাতে বলা হয় ঠিকই, তবু তাদের মনোজগত জুড়ে যুদ্ধপরবর্তী সমাজের নব্য আকর্ষণগুলিই প্রধান। ভোগবাদের সেই বিকাশের যুগে ধর্মই তখন একমাত্র নৈতিকতার ধারক ও বাহক। ধর্ম মানে চার্চ। আর চার্চ মানে ক্যাথলিক চার্চ। বাকি সব ধর্ম হাস্যকর, নয়তো ভুল। ছোটোবেলায় মেয়েরা ছড়া কাটত: “Mahomet était prophète /Du très grand Allah / Il vendait des cacahuètes /Au marché de Biskra /Si c’était des noisettes / Ce serait bien plus chouette/ Mais il n’en vend pas / Allah (3 fois). “মহান আল্লাহ-র পয়গম্বর মহম্মদ/ বেচতেন তিনি বিস্করার বাজারে চিনেবাদাম/ যদি বেচতেন সুতি-মিছরি হত আরও ভালো/ কিন্তু তিনি তা বেচেন না/ আল্লাহ, আল্লাহ, আল্লাহ।’’ (আজকে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এই কদর্য সাম্প্রদায়িক ছড়া পড়ে না বলে পারছি না—তা হলেই বুঝুন ফরাসি দেশে ইসলাম-বিদ্বেষ, ইসলামোফোবিয়া, কত গভীর!)

    এই বাহ্যিক নৈতিকতার আড়ালেই আর্নো তুলে ধরেছেন তাঁদের বড়ো হয়ে ওঠার কালে বদলে যাওয়া সমাজের ছবি। ভিন্ন দৃশ্য, ভিন্ন শব্দাবলি। বিবাহবহির্ভূত মাতৃত্ব, হোয়াইট স্লেভ ট্রেড, কন্ডোমের বিজ্ঞাপন, স্বাস্থ্য-পত্রিকার মলাটের ছবি, নতুন শব্দ—লেসবিয়ান, হোমোসেক্সচুয়েল। তবু যৌনতাই তখনও চরিত্রের মূল্যায়নের একমাত্র মাপকাঠি। “Rien, nil’intelligence, ni les études, ni la beauté, ne comptaitautant que la reputation sexuelle d’une fille…” ‘‘না, বুদ্ধি নয়, পড়াশোনা নয়, সৌন্দর্য নয়, মেয়ের জীবনে কোনোকিছুই ধর্তব্য নয়, শুধুমাত্র তার যৌন শুদ্ধতা ছাড়া।’’

    আলজেরিয়া নিয়ে আলোচনায় তারা কেউ আর তেমন উৎসাহ বোধ করে না। সেখানে মুক্তিকামীদের লড়াইয়ে কোনো ফরাসি যুবার মৃত্যু হলে তা নিছকই ব্যক্তিগত ক্ষতি। কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের অভিজ্ঞতাও নিছক ব্যক্তিগত ইতিহাস, অনেক সময় তা ডিনার টেবিলে বড়াই করে বলার মতো গপ্পোও। অথচ কিছুদিন আগেও একটা সময় ছিল যখন জর্জ ব্রাসঁর ‘লা প্রমিয়্যের ফি’-র সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল রেডিওতে, আর বাড়িতে মেয়েরা ফ্রঁসোয়া সাগানের ‘বোঁজ্যু ত্রিসতেস’ পড়ত লুকিয়ে। ছবিতে ষোলো বছরের যে মেয়েটিকে দিনপঞ্জি লিখতে দেখা যাচ্ছে, সে এবং তার সঙ্গীরা এই নতুন সময়কেই বুকে জড়িয়ে ধরল।




    জর্জ ব্রাসোঁ।

    লা প্রমিয়্যের ফি গানটি শুনুন এখানে



    ‘ভোগ্যবস্তুর আধিক্য ঢেকে দিল বিশ্বাস ও মতাদর্শের ঘাটতি’। স্বাচ্ছন্দ্যের একঘেয়েমি একধরনের অপরাধবোধেরও জন্ম দিল সংবেদনশীল মনে। যা থেকে কিছুটা মুক্তি এনে দিয়েছিল ১৯৬৮-র ছাত্র আন্দোলন। রায়ট পুলিশ, মলোটভ ককটেল আর্নোদেরও রাস্তায় ছাত্রদের পাশে এসে দাঁড় করাল। মানুষের লড়াইকে বিস্মৃত হয়ে একদিন যে অপরাধ তারা করেছিল এ যেন তারই প্রায়শ্চিত্ত।



    পারির রাস্তায় ছাত্রদের বিক্ষোভ, ১৯৬৮। ছবিসৌজন্য: দ্য প্যারিস রিভিউ

    ঝড় যখন ওঠে তার রেশ কিছু সময় পর কেটে যায়, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী কিছু পরিবর্তনতা সূচিত করে দিয়ে যায়। ৬৮ পরবর্তী ফ্রান্সের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। না হলে কেন মনস্তত্ত্ববিদ শার্ল পিয়াগের থেকে কারখানার শ্রমিক শার্ল পিয়াগে হয়ে উঠবে অধিকতর পরিচিত নাম? নারী-পুরুষের সমানাধিকার থেকে পরিবর্তনের জের গিয়ে পড়ল স্ট্রাকচারাল গ্রামার, সিমানটিক ফিল্ড-এর পরীক্ষানিরীক্ষায়। আর্নোর নিজের ভাষায়, “1968 était la première année du monde.” ‘‘১৯৬৮ ছিল পৃথিবীর প্রথম বছর।’’

    কিন্তু ওই যে শুরুতেই যে কথা বলেছেন তিনি! সমস্ত ছবিই একদিন হারিয়ে যায়! পৃথিবীটা বদলে যাওয়ার যে স্বপ্ন তারা দেখেছিল, ইতিহাস কিন্তু সেই পথে গেল না। নানা কমিটি গঠিত হল—ছাত্রদের, পরিবেশবাদীদের, অ্যান্টিনিউক্লিয়ার অ্যাকটিভিস্টদের, নারীবাদীদের, সমকামীদের, নানা বিক্ষোভ-বিদ্রোহের খবর, কিন্তু কোথাও যেন তাদের মধ্যে একটা সমন্বয় ঘটল না। তার জায়গায় নামহীন সমাজ এতদিনে একখানা জমকালো নাম পেল: Société de consommation (‘ভোগবাদী সমাজ’)।

    এখান থেকে তিনদশক পরের কোনো ছবি! ছবিটিতে গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই পুরুষ আর দুই নারী। পুরুষ দুজনের বয়স তিরিশের কোঠায়। ডানদিকে যে দাঁড়িয়ে রয়েছে তার হাত পাশের অল্পবয়সী কালো চুলের মেয়েটির কাঁধে রাখা। আর তাদের থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে যে মহিলাটি, তিনি প্রৌঢ়ত্বের দোরগোড়ায়। তার মুখে লেগে রয়েছে হাসি, সেই হাসি যা লেগে থাকে বাবা-মা বা মাস্টারদের মুখে যখন তারা অল্পবয়সীদের সঙ্গে ছবি তোলেন। ছবির পিছনে লেখা, ত্রূভিল, মার্চ ১৯৯৯। যুবা দুজন মহিলার দুই সন্তান। কালো চুল মেয়েটি বড়োজনের গার্লফ্রেন্ড। ছোটোজনের গার্লফ্রেন্ড ছবিটি তুলছে। পুরো ছবিটি যা বুঝিয়ে দেয় তা এক সচ্ছল নাগরিক মহিলা যে উইক-এন্ড কাটাতে এসেছে নরম্যান্ডি উপকূলে। এটাও স্পষ্ট, বিগত বছরগুলিতে শিক্ষকতার চাকরিতে সে উপার্জন করেছে ভালো। অস্থায়ী চাকরিতে কর্মরত ছেলেদের আর্থিক নিরাপত্তা দিতে সে দায়িত্ববদ্ধ। যেহেতু তাদের সে পৃথিবীতে এনেছে। তবু কোথায় যেন তার মাতৃত্বের একটা সীমাবদ্ধতা আছে। সামনে পূর্ণবয়স্ক যে পুরুষটি হেঁটে চলেছে সে কি সত্যিই তার সন্তান? শুধু গর্ভে ধারণ করেছে বলেই? আর যে অল্পবয়স্ক ছেলেটির সঙ্গে সে অন্য উইকএন্ডগুলোতে দেখা করে, কেন যায় সে তার কাছে? তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক যে তার খুব প্রয়োজন তা তো নয়! তবু যখন সে তার সঙ্গে দেখা করে, রেস্তোরাঁয় যায়, শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়, তখন তো সে আসলে তার অতীতকেই ফিরিয়ে আনে। তার ছাত্রীজীবনের দিনগুলিকে।

    ভিয়েতনাম যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে কবে! বার্তের মৃত্যু, সার্ত্র, বোভোয়া, ব্রাসঁ-র মৃত্যুর শূন্যতাই রয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার দিনগুলিতে যাদের চোখে উত্তাল স্বপ্ন লেগে থাকত তারা এখন কেউ মেট্রোতে উঠলে তাকিয়ে থাকে অপরিচিত সহযাত্রীটির পিঠের ব্যাগের দিকে, বিশেষ করে যাত্রীটি যদি হয় বিশেষ কোনও ধর্মের। তার ব্যাগে কোনো বিস্ফোরক রাখা নেই তো? তারই স্কুলের তিন ছাত্রী জানিয়ে দিয়েছে বোরখা তারা ছাড়বে না। লেডি মাও, তিয়েনানমেন স্কোয়ার, বার্লিন প্রাচীরের পতন, মাটির নীচে খুঁজে পাওয়া লাশ পক্ষবিপক্ষের সব ধারণা গুলিয়ে দিয়েছে। একদল মানুষ শুধু চায় তাদের কোণঠাসা করতে। বামপন্থার বিরোধিতাই আজ যেন তাদের একমাত্র কাজ।

    না, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে বর্তমান সময়ের ইতিহাস এ বই নয়। যদিও ইতিহাসকারেরা এর থেকে ভবিষ্যৎ গবেষণার অনেক উপাদানই খুঁজে পাবেন। চল্লিশ বছরে এ বই লিখতে শুরু করেছিলেন আর্নো। শেষ করেছেন তখন যখন তাঁর মনে হয়েছে ভবিষ্যৎ তাঁর ফুরিয়ে এসেছে। বইটি পড়তে পড়তে মনে হয় এবই তাঁদের সবার আত্মজীবনী যাঁরা এই স্বপ্ন আর স্বপ্নভঙ্গের দশকগুলিতে জীবন অতিবাহিত করেছেন। ভবিষ্যৎ বস্তুতই যাদের সবারই ফুরিয়ে এসেছে।





    আনি আর্নো-র লেজ়ানে, ইংরেজি তরজমায় কেনা যেতে পারে এখানে


    গ্রাফিক্স: স্মিতা দাশগুপ্ত
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ১৫ নভেম্বর ২০২০ | ১৭৫৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন