এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  বই পছন্দসই

  • ফরাসি সাহিত্যে আগ্রহী বাঙালি পাঠকের জন্য জরুরি রসদ

    পার্থপ্রতিম মণ্ডল
    পড়াবই | বই পছন্দসই | ২৪ জানুয়ারি ২০২১ | ৩৬০৬ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • ফরাসি সাহিত্যের সাত লেখক। অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতকের। তাঁদের নিয়ে একগুচ্ছ প্রবন্ধ। নানা দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁরা কী ভাবে পঠিত হয়েছেন বিভিন্ন যুগে তার খোঁজ। একটি নিবন্ধসংকলন। পড়লেন ফরাসি ভাষার শিক্ষক ও তরজমাকার পার্থপ্রতিম মণ্ডল


    কী বলা যাবে তাঁকে? এক মানসিক বিকারগ্রস্ত লম্পট, নাকি এক গ্রহণ-অযোগ্য দর্শনের জনক? নিজের সাহিত্যকর্মের জন্যে যে পরিমাণ ঘৃণা ও নিন্দা তিনি কুড়িয়েছেন সাহিত্যের ইতিহাসে তার তুলনা মেলা ভার। একদিকে তাঁর অবদান যেমন ফরাসি বিপ্লব কিংবা বাস্তিল দুর্গের পতনের প্রসঙ্গে স্মরণ করা হয়, অন্যদিকে তেমনিই তাঁর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ধর্ষণ, শিশুদের যৌননিপীড়ন, যৌনকর্মীদের হত্যার মতো ভয়ংকর সব অভিযোগ। মৃত্যুদণ্ড না হলেও জীবনের বত্রিশটি বছর তাঁকে কাটাতে হয়েছে কারাগারে আর পাগলাগারদে। তবু তাঁর মৃত্যুর দুশো বছর পরেও হারিয়ে যায়নি তাঁর লেখা। ভাটা পড়েনি তাঁকে নিয়ে চর্চা ও গবেষণারও। শুধু তাই নয়, ক-দিন আগেও ২০১৭ সালে ফরাসি সরকার তাঁর বইকে ‘জাতীয় সম্পত্তি’ বলে ঘোষণা করেছে।



    মার্কি দ্য সাদ। শিল্পী শার্ল আমেদে ফিলিপ ফান লু। ১৭৬০। সাদ-এর একমাত্র প্রামাণ্য প্রতিকৃতি। তখন তাঁর ১৯ বছর বয়স।

    ফরাসি সাহিত্যে মার্কি দ্য সাদ আসলে এক মস্ত প্রহেলিকা। তাঁর লেখা এই মুহূর্তে বিশ্বে কতখানি পঠিত হয় জানা নেই, তবে পাওলো পাসোলিনির ‘সালো, অর দ্য হানন্ড্রেড টুয়েন্টি ডেজ অফ সোডোম’ ছবিটির কল্যাণে অন্তত তাঁর নাম এই বঙ্গেও আজ যথেষ্ট সুপরিচিত। তা ছাড়া, ‘সাদিজম’, ‘সাদিস্ত’ (ইংরেজিতে ‘স্যাডিজম’, ‘স্যাডিস্ট’) জাতীয় শব্দ তো আমাদের কথায় কথায় হামেশাই উচ্চারিত হয়! (যদিও তাদের উৎপত্তির পিছনে ‘সাদ’ নামটির কথা আমরা প্রায়ই বিস্মৃত হয়ে যাই।) সেই সাদকে নিয়ে বাংলায় পূর্ণাঙ্গ কোনো আলোচনা চোখে পড়লে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মনে কৌতূহল জেগে ওঠে বইকি!

    শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘তিন ফরাসি গল্পকার ও অন্যান্য’ বইয়ের প্রথম ও সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধটি বিতর্কিত এই ফরাসি লেখক সাদকে নিয়েই। সে প্রসঙ্গে ফিরছি, কিন্তু তার আগে বলে রাখতেই হবে যে, এই বইটিতে শান্তনু আলোচনা করেছেন মোট সাত সাহিত্যিকের বিষয়ে—মার্কি দ্য সাদ, এদমঁ ও জুল গঁকুর, ভিক্তর য়্যুগো, আর্তুর রাঁবো, ওনোরে দ্য বালজাক, গুস্তাভ ফ্লবের এবং এমিল জোলা। এঁরা ১৮ ও ১৯ শতকের লেখক। ঠিক কীসের ভিত্তিতে এঁদেরই চয়ন করা হল সেটি আমার কাছে খুব স্পষ্ট হয়নি। যেমন, শান্তনু বালজাক-কে বেছেছেন ‘অপ্রধান’ গল্পকার হিসেবে। অথচ এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার এই লেখক বিষয়ে উক্তি—‘‘French literary artist who produced a vast number of novels and short stories collectively called La Comédie humaine (The Human Comedy).’’ কাজেই লেখক বাছাইয়ের যুক্তিটি আরও স্পষ্ট হওয়া দরকার ছিল। তা হলে যথেষ্ট পরিশ্রমজাত এই চমৎকার বইটি ফরাসি সাহিত্যের আগ্রহীদের কাছে আরও সুস্পষ্ট একটা ছবি তুলে ধরতে পারত।

    ফিরি সাদের প্রসঙ্গে। এক গতানুগতিক জীবনী বা তাঁর বইগুলি নিয়ে সাদামাটা আলোচনা নয়, সাদের দর্শনের এক গবেষণাধর্মী মূল্যায়ন, আধুনিক ইওরোপ তথা গোটা পাশ্চাত্যে সেই দর্শনের প্রভাব নিয়ে সুগভীর আলোচনা করেছেন শান্তনু তার এই প্রবন্ধে। “সাদ একটি ‘মিথ’, এক উপযোগী পানপাত্র যা থেকে চরমপন্থীরা সর্বক্ষণ দু-এক ঢোঁক অগ্নিপান করে থাকেন।’’ এহেন মন্তব্য দিয়ে প্রবন্ধ শুরু হলেও সাদকে কোনো ছকে বেঁধে ফেলেননি আলোচক। বরং বিশ শতকে এসে সাদকে নিয়ে যে নতুন করে আলোচনা, তাকে মানুষের ভেতরকার পশুটির মুক্তিদাতা হিসেবে পুনর্মূল্যায়ন, কিংবা ১৯৫১ সালে লেখা প্রবন্ধে (‘সাদকে কি পুড়িয়ে ফেলব আমরা?’ ‘Faut-il brûler Sade?’) সিমোন দ্য বোভোয়া যেমন বলেছিলেন (“ঘটনা হল, লেখক হিসেবে নয়, আবার বিকৃতকাম মানুষ হিসেবেও নয়, বরং তাঁর চরিত্রে এই দুই বৈশিষ্টের যে সম্পর্ক আমরা পাই সেটাই আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণের দাবি রাখে।” “En vérité, ce n’est ni comme auteur ni comme perverti sexuel que Sade s’impose à notre attention: c’est par la relation qu’il a crée entre ces deux aspects de lui-même.”) সেই আলোকেই সাদের মূল্যায়ন করতে চেয়েছেন প্রবন্ধকার। আলোচনা করেছেন বিজ্ঞান থেকে সাহিত্য, দর্শন থেকে চলচ্চিত্রে তাঁর অপরিমেয় প্রভাবের কথা। লেখক দেখিয়েছেন, ‘সাদিজিম’ ও ‘ম্যাসোকিজম’-এর নব্যমনস্তত্ত্বে সাদ যে শুধু মূল প্রেরণা হয়ে ওঠেন তাই নয়, ১৯০৯ সালে গিয়োম আপোলিনের মতো কবি “তাঁকে সম্বোধন করেন ‘স্বাধীনতম প্রাণ’ বলে, আঁতোয়াঁ আর্তো-র ‘নিষ্ঠুরতার থিয়েটর’-এর শিকড় নিহিত সাদ-এর ভূমিকাতেই। সাদ-এর অভিঘাত মূর্ত হয় বুনুয়েল-এর চলচ্চিত্রে।’’

    মোটকথা, লেখকের মতে, হাজারো বিতর্ক সত্ত্বেও সাদ পাঠবিবেচ্য সেইসব মানুষের কাছে যাঁরা বুর্জোয়া মূল্যবোধ বিরোধী। তবে উন্মাদ না হলেও তাঁকে সুস্থও বলা চলে না, সাদ “এমন এক ভয়াবহ দৃশ্যের স্রষ্টা যেখানে আশা, ইতিহাস ও মানবসভ্যতার অবলুপ্তি ঘটে।’’

    লেখকের দ্বিতীয় প্রবন্ধটি ফরাসি সাহিত্যের ভিন্ন দুই বির্তকিত এবং অধুনা-বিস্মৃত লেখককে নিয়ে। এদমঁ ও জুল দ্য গঁকুর, বা এককথায় গঁকুর ভ্রাতৃদ্বয়। এদমঁ ও জুল দ্য গঁকুরের রচনা নিয়ে উৎসাহী পাঠকের খোঁজ আজকের দিনে মেলা ভার। প্রতি বছর ‘প্রি গঁকুর’ পুরস্কার প্রদানের সময় গঁকুর ভ্রাতৃদ্বয়ের নামটি আমাদের স্মরণে আসে বটে, কিন্তু অভিন্নহৃদয় এই দুই ভাইয়ের যৌথভাবে লেখা উপন্যাস বা ঐতিহাসিক রচনাগুলি নিয়ে আজ আমরা ক-জনই বা আর মাথা ঘামাই!



    এদমঁ (বাঁ দিকে) ও জুল গঁকুর।

    গঁকুর ভ্রাতৃদ্বয়ের ‘দিনলিপি’ (Journal des Goncourt) অবশ্য নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও পরিচিত রচনা। আলোচ্য বইয়ের প্রবন্ধটিও মূলত এই ‘দিনলিপি’কে নিয়েই। এদমঁ দ্য গঁকুর ও জুল দ্য গঁকুরের অন্যান্য লেখার মতোই ‘দিনলিপি’ ও রচনা শুরু হয় যৌথ উদ্যোগে। ১৮৫০ থেকে ১৮৭০ টানা কুড়ি বছর যৌথভাবে এই দিনলিপি রচনার কাজ চলে, তারপর অকস্মাৎ জুলের মৃত্যুর পর এদমঁ একাই দিনলিপি লেখার কাজ চালিয়ে নিয়ে যান ১৮৯৬ সালে তার নিজের মৃত্যুর কয়েকদিন আগে পর্যন্ত। এদমঁ ও জুল-এর এই যৌথভাবে সাহিত্যসৃষ্টি সাহিত্যের ইতিহাসে এক অত্যাশ্চর্য ঘটনা। শুধু যে তাদের বইগুলি সমবেতভাবে লেখা তা নয়, জুলের মৃত্যুর আগে পর্যন্ত কুড়ি বছরেরও অধিককাল তারা কাটান এবং কাজ করেন একসঙ্গে মাত্র ঘণ্টাকয়েকের বিচ্ছেদ ছাড়া। বিস্ময়কর এই জুটির বাঁধন ও স্থায়িত্ব।

    ‘দিনলিপি’ নিয়ে লেখকের বর্তমান নিবন্ধটি বেশ আকর্ষণীয় ও কৌতূহলোদ্দীপক। ‘দিনলিপি’তে গঁকুর ভ্রাতৃদ্বয় ফ্লবের বা বোদল্যের-এর মতো সমসাময়িক ফরাসি সারস্বত সমাজের বিখ্যাত সব ব্যক্তিদের যে বিদ্রুপাত্মক রসালো বর্ণনা দিয়েছেন তার কিছু নিদর্শন আলোচক তার এই প্রবন্ধেও তুলে ধরেছেন। ‘দিনলিপি’ থেকে তুলে দেওয়া এইসব মজার ঘটনা পাঠককে এই জার্নাল সম্পর্কে আগ্রহী করবে সন্দেহ নেই।



    ‘লেওঁ অনিক মোনামি’। আমার বন্ধু লেওঁ অনিক-কে। সাক্ষর এদমঁ গঁকুর

    ভিক্তর য়্যুগোর উপন্যাসিকা Le Dernier Jour d’un Condamné উপরে লেখকের ‘রাষ্ট্র, মৃত্যুদণ্ড এবং একটি উপন্যাসিকা’ শীর্ষক আলোচনাটিও বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে। উনিশ শতকের ফ্রান্সে গিলোতিনে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত এক কয়েদির লিখে রাখা অনুভূতির কথা এই উপন্যাসিকার বিষয়বস্তু। দণ্ডিত ব্যক্তিটির অপরাধ কী তা এই কাহিনিতে অনালোচিত। আমরা বুঝতে পারি সে আবেগের বশে কাউকে হত্যা করেছে। এখানে যা গুরুত্বপূর্ণ তা হল, মৃত্যুর অপেক্ষায় কাটাতে থাকা কারাগারের দিনগুলি দণ্ডিত সেই ব্যক্তির লেখনিতে যেভাবে ফুটে উঠেছে সেকথা। শুধু সাহিত্যের বিচারে নয়, আইনসম্মত হত্যার বিরুদ্ধে য়্যুগো যে সক্রিয় অবস্থান নিয়েছিলেন তার জন্যেও এই বইটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। গিলোতিনে মৃত্যুর বীভৎসতাকে য়্যুগো দেখেছিলেন অত্যন্ত কাছ থেকে। এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের অবলুপ্তি ঘটানোর জন্যে তিনি সচেষ্ট হয়েছিলেন। পরবর্তী কালে মৃত্যুদণ্ড-বিরোধী আন্দোলনে য়্যুগোর এই উপন্যাসিকাটি এক প্রধান হাতিয়ার হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, প্রবন্ধকার উল্লেখ করেছেন, ঊনবিংশ শতকে ভিক্তর য়্যুগো মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে যে যুক্তির অবতারণা করেছিলেন তা আজও কতখানি প্রাসঙ্গিক। ১৮৩২ সালে য়্যুগো দৃষ্টান্ত দেখিয়েছিলেন, “উঁচুমহলের সঙ্গে উত্তমরূপে যুক্ত” থাকার সুবাদে চারজন মন্ত্রীর প্রাণদণ্ড কীভাবে প্রত্যাহৃত হয়েছিল। প্রবন্ধকারের মন্তব্য: “এই রাষ্ট্রীয় প্রাণদণ্ডের অধিকারবশত রাষ্ট্র হত্যা করতে সমর্থ রাজনৈতিক বন্দিদেরও, সে তিনি বুখারিন কিংবা চে গেভারা—যিনিই হন না কেন।”

    শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘তিন ফরাসি গল্পকার ও অন্যান্য’ বইটি সম্পর্কে যা ভালোলাগল তা হল, রাঁবো নিয়ে আলোচনাটি বাদ দিলে এই বইয়ে তিনি আর যে ফরাসি লেখকদের নিয়ে আলোচনা করেছেন তাদের নিয়ে বাংলায় সচরাচর কোনো লেখা চোখে পড়ে না। উনিশ শতকের ফরাসি ছোটোগল্প—এই ধারাটি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে প্রবন্ধকার এই শতকের তিন লেখক মোপাসঁ, দোদে ও মেরিমে-কে বাদ রেখেছেন। আলোচনা করেছেন তাঁর কথায় ছোটোগল্প-লিখিয়ে হিসেবে ‘অপ্রধান’ তিন ব্যক্তিকে নিয়ে। এই তিনজন হলেন, বালজাক, ফ্লবের ও এমিল জোলা।





    (উপর থেকে) ওনোরে দ্য বালজাক, গুস্তাভ ফ্লবের, এমিল জোলা

    যেমনটা গোড়াতেই বলেছি, উনিশ শতকের ফরাসি ছোটোগল্পের জগতে বালজাককে লেখকের ‘অপ্রধান’ বলে মনে হল কেন বোঝা গেল না। ফ্লবের বা জোলাকে আমরা মূলত উপন্যাস-লেখক হিসেবে চিনলেও, Une passion dans le désert (‘মরুতৃষ্ণা’), La Messe de l’athée (‘নাস্তিকের প্রার্থনা’), La Grande Bretèche (‘লা গ্রঁদ ব্রত্যাশ’—এটি একটি অট্টালিকার নাম)-এর মতো বিশ্ববিখ্যাত সব ছোটোগল্পের স্রষ্টা বালজাককে তো আমরা চিনি একাধারে ঔপন্যাসিক ও ছোটোগল্পকার হিসেবে। অবশ্য বালজাকের সর্বাধিক-পরিচিত গল্পগুলি নিয়ে মননশীল আলোচনা করেছেন লেখক তাঁর এই প্রবন্ধে।

    বইটি পড়তে গিয়ে একটি বিষয় মনে হয়েছে। আলোচক তাঁর প্রবন্ধগুলির নানান জায়গায় বিভিন্ন ফরাসি নাম ও শব্দের বাংলা প্রতিবর্ণীকরণ ব্যবহার করেছেন। এক্ষেত্রে মূল ফরাসিটি পাশাপাশি দেওয়া থাকলে ভালো হত। যাঁরা বিষয়গুলি নিয়ে অনুসন্ধান করে আরও বিস্তারিত পড়াশোনা করতে চান তাঁদের তাতে সুবিধা হয়। অনেকসময় অর্থ বোঝার ক্ষেত্রেও সুবিধা হয়। তবে একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কাজ লেখক করেছেন। তা হল, বিভিন্ন প্রবন্ধে উল্লিখিত ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত টীকা। এই অংশটি পাঠকের প্রভূত কাজে লাগবে। গ্রন্থশেষে যে নির্ঘণ্টটি লেখক তৈরি করে দিয়েছেন তাও প্রশংসার দাবি রাখে। বইয়ের প্রচ্ছদটি আরও একটু ভালো করা যেতে পারত।




    তিন ফরাসি গল্পকার ও অন্যান্য
    শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায়
    দ্য ক্যাফে টেবল
    মুদ্রিত মূল্য: ২০০ টাকা।
    প্রাপ্তিস্থান: কলেজস্ট্রিটে দ্য ক্যাফে টেবল অফিস(ভারতী বুক স্টলের উপরে), দে'জ, দে বুক স্টোর(দীপুদা)


    বইটি অনলাইন কেনা যেতে পারে এখানে

    বাড়িতে বসে বইটি পেতে হোয়াটসঅ্যাপে বা ফোনে অর্ডার করুন +919330308043 নম্বরে।


    গ্রাফিক্স: মনোনীতা কাঁড়ার

    এই বিভাগের লেখাগুলি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করে 'পড়াবই'এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ২৪ জানুয়ারি ২০২১ | ৩৬০৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সায়ন্তন চৌধুরী | ২৪ জানুয়ারি ২০২১ ১০:৪১101996
  • এই সিরিজটা ভালো হচ্ছে। উনিশ শতকের ফরাসী সাহিত্য বলতে একদম শেষদিকের ডেকাডেন্ট মুভমেন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। উইস্মাঁকে পড়া দরকার; আর র‍্যাঁবো ইত্যাদি তো অবশ্যই।


    তবে ফরাসী সাহিত্যের যেটা সবচেয়ে ভাল লাগে, তাদের সমালোচনার ধারা। আমেরিকাও হ্যারল্ড ব্লুমকে পেয়েছিল। আমাদের বাংলায় ও পৃথিবীর বেশিরভাগ ভাষাসাহিত্যে ভালো সাহিত্য সমালোচক আসেনি; ফলে সমালোচনার ধারা মুমূর্ষু নয়, মৃত। সাদ মনে হয় শুধুমাত্র ফরাসী সাহিত্যেই সম্ভব; অথবা বাতাইয়ের স্টোরি অফ দ্য আই প্রভৃতি।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন