এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  সীমানা ছাড়িয়ে

  • কামু থেকে কামেল: একটি দেশ, একটি খুনের বৃত্তান্ত ও দুই যুগের দুই ঔপন্যাসিক

    পার্থপ্রতিম মণ্ডল
    পড়াবই | সীমানা ছাড়িয়ে | ১৬ আগস্ট ২০২০ | ২৬৭১ বার পঠিত | রেটিং ২ (১ জন)
  • আলব্যের কামু-র মতো কালজয়ী ঔপন্যাসিকের ভাষ্যও আজকের আলজেরিয়ার ফরাসি সাহিত্যে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে। ম্যর্সো, কন্ত্র-অঁকেত (ম্যর্সো, পালটা অনুসন্ধান) নামের সাম্প্রতিক উপন্যাসে L’Etranger বা ‘আউটসাইডার’-এর কাহিনিকে পালটা ভাষ্যে পাঠকের সামনে হাজির করে হইচই ফেলেছেন এ সময়ের ফরাসি সাহিত্যের অন্যতম নাম কামেল দাউদ, যাঁকে হত্যার ফতোয়া জারি করেছেন এক উগ্রপন্থী ইমাম। লিখছেন ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার শিক্ষক পার্থপ্রতিম মণ্ডল


    (আর তা ছাড়া, আমার এই ভাষা বলতে শেখার কারণ কিন্তু এটাই, লিখতে শেখারও; যাতে করে এক মৃত ব্যক্তির জায়গায় আমি কথা বলতে পারি, তার হয়ে তার বাক্যগুলো কিছুটা চালিয়ে যেতে পারি। খুনটা এখন বিখ্যাত, আর সেটার গল্প এত সুন্দর করে লেখা হয়েছে যে সেটাকে অনুকরণ করার কথা আমার মাথাতেই আসে না। সে কাহিনি লেখা হয়েছে লেখকের নিজস্ব ভাষায়। আর আমি যা করতে চলেছি তা স্বাধীনতার পর এ দেশে সবাই যা করেছে তা-ই: ঔপনিবেশিকদের পুরোনো বাড়িগুলো থেকে একটা একটা করে পাথর সরিয়ে এনে, তা দিয়ে নিজের বাড়ি বানানো, নিজের একটা ভাষা তৈরি করা।)


    —ম্যর্সো, কন্ত্র-অঁকেত, পৃষ্ঠা ১, হারুন নামের চরিত্রের ভাষ্য।




    কামেল দাউদ। জন্ম ১৯৭০। আলজেরিয়ার সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। ল্য ক্যোতিদিয়ঁ দোরঁ পত্রিকার সম্পাদক



    বিশেষ কিছু বলার থাকে না। কোনো উপন্যাসের শুরুতেই যখন পাঠক এই কথাগুলির মুখোমুখি হন, তখন হালফিলের ছবিটি তাঁর কাছে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ঊনবিংশ শতাব্দীর ধ্রুপদি ফ্লব্যের থেকে নাতালি সারোৎ, আল্যাঁ রব-গ্রিয়ের নুভো রমাঁ আন্দোলন পার হয়ে ঠিক কোন্‌খানে এসে দাঁড়িয়েছে আজকের ফরাসি উপন্যাস তার একটা ছবি তিনি তৈরি করে নিতে পারেন সহজেই। কেননা ইংরেজি সাহিত্যের ক্ষেত্রে যে কথাটা সবাই সহজেই স্বীকার করে নেন, ফরাসি সাহিত্যের ক্ষেত্রেও সেটা জেনে রাখা জরুরি। ফরাসি সাহিত্য আজ আর শুধু ফ্রান্সের মূল ভূখণ্ডের সাহিত্য নয়, দেশের সীমান্তরেখা পার হয়ে বৃহত্তর বহির্বিশ্বে, বিশেষত সাবেক উপনিবেশগুলিতে, তা বিস্তৃত হয়েছে বহু আগেই। হালফিলের ফরাসি উপন্যাসের সেই ভাষাটিকে বোঝার জন্যে ওপরের ওই উদ্ধৃতিটিই যথেষ্ট। ‘ম্যর্সো, কন্ত্র-অঁকেত’ (Meursault, contre-enquête), বাংলা করলে যা বলা যাবে, ‘ম্যর্সো, পালটা অনুসন্ধান’: কামেল দাউদের লেখা এই উপন্যাসটি বলা যেতে পারে সাম্প্রতিককালের সেই গোত্রের সবচেয়ে হইচই ফেলা উপন্যাস।

    নামেই যে ইঙ্গিত স্পষ্ট, কামেল দাউদের এ উপন্যাস আলব্যের কামু-র L’Etranger-র (পেঙ্গুইনের ইংরেজি অনুবাদে বহুখ্যাত ‘আউটসাইডার’) পালটা ভাষ্য। নামটা শুনেই আমাদের মনে পড়ে যায় ‘আউটসাইডার’-এর মূল চরিত্র ও কথকের নাম — ম্যর্সো! বলা ভালো, আউটসাইডারের বহুখ্যাত কাহিনিটিকে নতুন করে শোনাতে বসেছেন কামেল, তাঁর নিজের দৃষ্টিকোণ থেকে, কামু-র কাহিনির মুখ্য চরিত্র ম্যর্সোর জবানিতে নয়, মুসার ভাই হারুনের জবানিতে। মুসা কে? মনে করুন আউটসাইডারের কাহিনির ম্যর্সোর হাতে খুন হওয়া সেই আরব যুবার কথা, গোটা উপন্যাসের কোথাও কামু যার কোনো নাম দেওয়ারও প্রয়োজন বোধ করেননি, শুধু উল্লেখ করেছেন একজন আরব বলে। ‘Un Arabe bref, techniquement fugace, qui a vécu deux heures et qui est mort soixante-dix ans sans interruption, même après son enterrement.’ (‘এক আরব যুবা, ব্যস, যে বেঁচে থাকে মাত্র দুটো ঘণ্টা, আর তারপর সত্তর বছর ধরে যার শুধু মৃত্যুই হয়ে যায়, এমনকি কবরস্থ হওয়ার পরেও।’)। এই যুবকটিকে একটি নাম দিলেন দাউদ—মুসা। কেন দিলেন? পরে এক জায়গায় নিজের উপন্যাস সম্পর্কে বলতে গিয়ে দাউদ যার ব্যাখ্যা করেছেন এইভাবে: ‘সেই মধ্যযুগ থেকে শেতাঙ্গরা আফ্রিকা আর এশিয়ার পর্বতমালার নামকরণ করে এসেছে, নামকরণ করেছে সেখানকার কীটপতঙ্গের, অথচ যে মানুষদের সংস্পর্শে তারা প্রতিদিন এসেছে তাদের কোনো নাম ধরে ডাকেনি। তাদের নাম অস্বীকার করে শেতাঙ্গরা আসলে নিজেদের যাবতীয় হত্যা আর অপরাধকে লঘু করে দিতে চেয়েছে।’ নিজের কাহিনিতে দাউদ তাই সেই নিহত আরব যুবার নাম রেখেছেন ‘মুসা’। আর পুরো কাহিনিটি বলে গেছেন মুসার ভাই হারুনের ভাষ্যে।

    ‘আজ মা মারা গেছেন। কিংবা হয়তো কাল। ঠিক জানি না’ কামু-র উপন্যাস শুরু হয় এই বিখ্যাত কথাগুলি দিয়ে। ম্যর্সোর বিবৃতিতে। যে অ্যাবসার্ডিটি ম্যর্সোর অস্তিত্বকে অর্থহীন করে তোলে, তার পরিচয় পাঠক এই শুরুর শব্দ ক-টিতেই পেয়ে যায়। আর এই উক্তিরই পালটা জবাব হিসেবে যেন ‘কন্ত্র অঁকেত’-এর প্রথম বাক্যটি উচ্চারিত হয়: ‘আজ, মা এখনও বেঁচে রয়েছেন’ (Aujourd’hui, M’ma est encore vivante.)। এ যেন এক অমোঘ উচ্চারণের বৈপরীত্যে হৃদয়মথিত আর-এক পালটা বিবৃতি। মা-র ইচ্ছেকে পূরণ করতেই হারুনকে শিখে নিতে হয় শাসকের ভাষা। মুসার মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছানোর পর থেকে সারাটা জীবন শোকে পাগল তার মা বেঁচে থাকেন একটাই প্রশ্নকে আশ্রয় করে। কেন মরতে হল তার সন্তানকে? মা-র সেই আকুল অনুসন্ধান যেন এক হ্যামলেটীয় দায়িত্বভার হয়ে নেমে আসে হারুনের কাঁধে। কী দায়িত্ব? মুসার মৃত্যুর প্রতিশোধের দায়িত্ব।

    কিন্তু ফরাসি ভাষা আয়ত্ত করার পর মা-র সংগ্রহে থাকা মুসার মৃত্যু বিষয়ক যে দু-একটি প্রতিবেদন সে পাঠোদ্ধার করে সেখানে মা-কে সন্তুষ্ট করার মতো কিছুই খুঁজে পায় না সে। তা আউটসাইডারের কাহিনিতে আদালতে ম্যর্সোর বিবৃতিরই নামান্তর। মুসার মৃত্যু যেখানে নিছকই ‘এক অর্থহীন ঘটনা। গ্রীষ্মের দাবদাহ আর ঈশ্বরের অনুপস্থিতিই যার কারণ’। মা-র কাছে প্রতিবেদনগুলির যে অর্থ হারুন পেশ করে, তাতে সে অনেক রং চড়ায়, মুসাকে একপ্রকার শহিদ বানিয়ে তোলে।

    নতুন চোখে পুরোনো কাহিনির পুনর্গঠন সাহিত্যে নতুন নয়। মহাভারত বা ইলিয়াড: মহাকাব্যগুলির কথা ছেড়েই দেওয়া যাক, কিং লিয়রের কাহিনির আদলে জেন স্মাইলির ‘এ থাউজেন্ড একর্স’ কিংবা জোসেফ কনরাডের ‘হার্ট অফ ডার্কনেস’-এর আদলে তায়েব সালিহ্-র ‘সিজন অফ মাইগ্রেসন টু দ্য নর্থ’ জনপ্রিয় কাহিনির তালিকাতেই পড়ে। কামুর উপন্যাসে নিহত আরব যুবা ছিল রেমঁর রক্ষিতার ভাই। সেই রক্ষিতার কারণেই খুনটি সেখানে ঘটেছিল। কিন্তু ‘ম্যর্সো, কন্ত্র-অঁকেত’-এ হারুন আমাদের জানায় তাদের কোনো বোন ছিল না। হারুন মনে করে মেয়েটি আসলে ছিল মুসার গোপন প্রণয়িনী। তার সম্মান বাঁচাতেই সে ম্যর্সোর সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে। হারুনের ভাষ্যে, কামু নন, আউটসাইডারের কাহিনিটির লেখক আসলে সে উপন্যাসের চরিত্র ম্যর্সো। আর ম্যর্সো কথিত সে কাহিনির কথা সে প্রথম জানতে পারে মেরিয়েমের মুখ থেকে। প্রথমবার পড়ে ম্যর্সোর লেখনি জাদুতে অভিভূত হয়ে পড়ে সে; এটাও উপলব্ধি করে, মুসার মৃত্যু ওই কাহিনিতে নায়কের এক দার্শনিক সমস্যা মাত্র, তা কোনো ট্র্যাজিক ঘটনার আওতায় পড়ে না।

    এই মেরিয়েমের প্রেমে পড়ে যাওয়া হারুনের জীবনের একমাত্র অর্থবহ সম্পর্ক। সে প্রেম এ কাহিনিতে দানা বাঁধে না। তার জীবনের এই সব কথা নিঃসঙ্গ হারুন শোনাতে বসে এই বৃদ্ধ বয়সে জনৈক শ্রোতাকে। কিন্তু এ পর্যন্তই। এরপর দাউদের উপন্যাস আবর্তিত হতে থাকে তার নিজস্ব অক্ষপথে। নিছকই সাহিত্যের পুনর্গঠন তাই এ কাহিনিকে বলা যাবে না। ২০১৪ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর ২০১৫ সালে ‘প্রি গঁকুর দু প্রমিয়ের রমাঁ’ পুরস্কার পায় বইটি। এ ছাড়াও ‘প্রি দে স্যাংক কঁতিনঁ দ্য লা ফ্রাঁকোফনি’ পুরস্কারও অর্জন করে। জনপ্রিয়তা অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে মৌলবাদীদের ফতোয়া নেমে আসে, এ বইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। এর কারণ বুঝতে গেলে আমাদের আবার ফিরে যেতে হবে গল্পের ভেতর, কাহিনির সেই পর্বে, যেখানে লেখক আমাদের স্বাধীনতা-পরবর্তী আলজেরিয়ার কথা বলেন। ফরাসিরা সে দেশ ছেড়ে গেলে হারুন তার মা-কে নিয়ে বসবাস শুরু করে এক ফরাসির ফেলে যাওয়া বাড়িতে। মায়ের এতদিনকার ইচ্ছেপূরণের এক সুযোগ হাতে পেয়ে যায় তারা। এক রাতে বাড়ির পুরোনো বাসিন্দাদের এক পারিবারিক বন্ধু বাইরের সংঘর্ষ এড়াতে হঠাৎ সেই বাড়িটিতে ঢুকে পড়ে। জোসেফ নামের সেই ফরাসিকে হারুন পরপর গুলি করে হত্যা করে।

    এই খুনের খবর গোপন রাখার চেষ্টা করলেও হারুন ধরা পড়ে যায়। স্বাধীন আলজেরিয়ার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। না, কোনো ফরাসিকে হত্যার অপরাধে নয়, বরং সঠিক সময়ে সে হত্যা না করার অপরাধে। তারা জানতে চায় কেন হারুন মুক্তি ফৌজে যোগদান করেনি, কেন সে আর সমস্ত যুবকের মতো সেই লড়াইয়ে শামিল হয়নি! দেশ যখন মুক্ত, তখন এই হত্যার তো আর কোনো অর্থ হয় না। এহেন তিরস্কারের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যে কথাটা তারা বুঝতে পারে না তা হল, হারুনের ব্যক্তিগত লড়াই শুরু হয়েছিল স্বাধীনতাযুদ্ধের অনেক আগেই। স্বাধীনোত্তর আলজেরিয়া নিয়ে হারুনের কোনো মোহ নেই। সে জানে ফরাসি ঔপনিবেশিকদের হাত থেকে ক্ষমতার হস্তান্তর হয়েছে শুধুমাত্র ইমামদের হাতে। স্বাধীন আলজেরিয়ায় সে যেন আরও বেশি বহিরাগত। “En listant tous les details de mon impiété. Crier que je ne prie pas, que je ne fais pas mes ablutions, que je ne jeûne pas, que je n’irai jamais enpèlerinage et que je bois de vin.” হারুনের ইচ্ছে হয় তার ঈশ্বরহীনতার বিশদ তালিকাটি সে চিৎকার করে পড়ে শোনায়। সে সালাত পড়ে না, ওজু করে না, রোজা রাখে না, সে কোনোদিন হজে যাবে না। সে মদ্যপান করে। আর তার চেয়েও বড়ো কথা, সে চিৎকার করে বলতে চায়, সে স্বাধীন। যে, আল্লাহ্ কোনো উত্তর নয়, একটা প্রশ্ন মাত্র (“Hurler que je suis libre et que Dieu est une question, pas une réponse.”)।

    মুসার মৃত্যুর অর্ধশতাব্দী কেটে যাওয়ার পর বার্ধক্যে উপনীত হারুন তার শুঁড়িখানায় বসে ফ্ল্যাশব্যাকে জনৈক শ্রোতাকে পরপর এইসব ঘটনার কথা বলে যায়। তার ব্যক্তিগত জীবনের কাহিনি। মুসার মৃত্যু, মা-র কথা, জোসেফের হত্যা, মেরিয়েমের প্রেমে পড়া। মুসার মৃত্যুর কথা তার দেশের কেউ আর মনে রাখে না। মা বেঁচে আছেন আজও, কিন্তু তিনি মূক (M’ma est encore vivante, mais elle est muette.)। দাদার মৃত্যু কবে আবার সেই ‘কোন্‌ এক আরব যুবার মৃত্যু’-তে পর্যবসিত হয়েছে! কেউ তার নাম আর মনে রাখে না। “Personne ne parle de nous, de mon frère, de M’ma, de moi. Personne.” (কেউ আমাদের কথা বলে না, দাদার কথা, মা-র কথা, আমার কথা। কেউ না।)

    ‘দ্য নিউইয়র্কার’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাউদ বলেছেন, ‘কামুর উপন্যাসের বহিরাগত ওই উপন্যাসের এক চরিত্র। কিন্তু তাকে নিছকই চরিত্র বললে ঠিক হবে না, কেননা সে মানুষের দার্শনিক অস্তিত্বের প্রতীক। আমি তার সেই সংকটকে আর-একভাবে দেখার চেষ্টা করেছি। আমার এ উপন্যাস কামুর রচনার জবাব নয়, বরং কামুর ভেতর দিয়ে আমি আমার নিজের উত্তরকে খুঁজে পেতে চেষ্টা করেছি।’

    দাউদের এ উপন্যাস পড়লে আজকের ফরাসি সাহিত্যের একটা ছবি আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়। রেয়ালিসম্, নাত্যুরালিসম্, স্যুররেয়ালিসম্, একজিস্তাঁসিয়ালিসম্-এর পরীক্ষানিরীক্ষা ও আন্দোলন পার হয়ে এসে আজকের ফরাসি সাহিত্য ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে আছে তার একটা ছবি। সেখানে আজ আর কোনো মহান ন্যারেটিভ নয়, বরং ব্যক্তিমানুষের খণ্ডিত জীবনের বাস্তব সত্যই প্রাধান্য পাচ্ছে বেশি।




    The Meursault Investigation উপন্যাসটি নিয়ে কামেল দাউদের সাক্ষাৎকার

    কামেল দাউদের বই অনলাইনে এখানে অথবা এখানে কেনা যেতে পারে


    থাম্বনেল গ্রাফিক্স: স্মিতা দাশগুপ্ত
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ১৬ আগস্ট ২০২০ | ২৬৭১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অমর মিত্র | 116.206.***.*** | ১৬ আগস্ট ২০২০ ২২:১৯96371
  • গুরুত্বপূর্ণ এই প্রবন্ধটির জন্য লেখককে ধন্যবাদ। আসলে মনে হলো, বহু বছর বাদে আলব্যের কামু  আবার তাঁর উপন্যাস নিয়ে ভাবতে বসেছেন। উপন্যাস শেষ হয় না। উপন্যাস থেকে উপন্যাসের সূচনা হতে পারে। সমৃদ্ধ হলাম।

  • কুশান | 115.187.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ০০:৪৬96422
  • খুব ভালো লাগলো রিভিউ। মূল উপন্যাসটি কি ইংরিজিতে অনুদিত? ইংরিজি ভার্সনটির নাম কী?

    আর, গ্র্যান্ড ন্যারেটিভের দিন নাহয় শেষ। কিন্তু সমকালীন সাহিত্য খন্ডিত মানুষেরই বাস্তব, এটি কি স্থিরভাবে বলা যায়? প্রশ্নটি রাখলাম।
  • মৌলিক মজুমদার | 2409:4066:16:c9c8::190b:***:*** | ২০ আগস্ট ২০২০ ০১:১২96433
  • খুব সুন্দর আলোচনা ।ভালো লাগল। 

  • দেবাশিস মুখার্জি | 117.204.***.*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৮:০৪96902
  • আমি সদ্য গুরুচন্ডালির ব্যাপারে জানলাম । কৌতুহল বশত এই রিভিউ বা পর্যালোচনা পড়লাম । সত্যিই ভাল রিভিউ। যথাযত। বইটি সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি করার পজ্ক্ষে যথেষ্ট। পড়ার সিদ্ধান্তে নিলাম

  • পার্থপ্রতিম মন্ডল | 42.***.*** | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৩:৩০97146
  • @কুশান,  

    ধন্যবাদ। ইংরেজি অনুবাদটির নাম  The Meursault Investigation।  অনুবাদ John Cullen । প্রকাশক : Oneworld।

    গ্রান্ড ন্যরেটিভ সম্পর্কে যে মন্তব্য এখানে করা হয়েছে তা সমসাময়িক ফরাসি উপন্যাসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

  • পার্থপ্রতিম মন্ডল | 42.***.*** | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৩:৪০97148
  • আলোচনাটি পড়ে যাদের ভালো লেগেছে তাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন