দিনটি ১২ই আষাঢ় ১১৬৪ বঙ্গাব্দ। গ্রেগরিয় পঞ্জিকা মতে ২৩ জুন ১৭৫৭। পলাশীর যুদ্ধে সুবে বাংলার নবাব সিরাজ-উদ-দৌল্লা পরাজিত। কাপ্তেন ক্লাইভের পরিচালনায় বিজয়ী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বাহাদুর। যুদ্ধ জয়কে স্মরণীয় করে রাখতে কোম্পানী স্থির করে কলকাতায় নতুন কেল্লার পত্তন হবে। পুরানো কেল্লাটি ঠিক এক বছর আগেই সিরাজ গুঁড়িয়ে দেন। সে কেল্লাটি ছিলো আজকের বিবাদি বাগের পশ্চিম দিকে, জিপিও থেকে কয়লাঘাটে রেলের অপিস পর্যন্ত বিস্তৃত।
নতুন কেল্লার জায়গা বাছা হলো ডিহি গোবিন্দপুরে। সেখানেই পত্তন হলো কোম্পানীর নতুন কেল্লা ফোর্ট উইলিয়াম। স্বাভাবিক ভাবেই গোবিন্দপুরের অধিবাসীদের সরে যেতে হলো। আজকের দিনে বিষয়টাকে উচ্ছেদ বলেই বলা হতো। কিন্তু সেই ১৮শতকে ওভাবে ভাবাই যেতো না। তার ওপর কোম্পানী বাহাদুর তখন দেশের রাজা। রাজার ইচ্ছায় প্রজার কর্ম। ফলে গোবিন্দপুরের সম্পন্ন গৃহস্থেরা সুতানুটি বাজারের উত্তরভাগে জোড়াসাঁকো-পাথুরেঘাটা অঞ্চলে তাদের সাকিন গাড়লেন। আর সাধারণে এসে বসত গড়লো তারই প্রান্তে। গড়ে উঠলো বাবুদের মৌতাত যোগাতে শুঁড়িপাড়া, রান্না ও গাত্রমর্দ্দনের তেল যোগাতে কলুটোলা, আসবাব যোগাতে ছুতোরপাড়া, দুধ-ছানা-ননী যোগাতে আহেরীটোলা আর হাঁড়িকুড়ি, মাটির জিনিস আর পুজোর প্রতিমা যোগাতে কুমোরটুলী।
কুমোরদের বাসস্থান কুমোরটুলী। উৎসবের চাকচিক্য, নগর কলকাতার বৈভব থেকে অনেক দূরে, শীর্ণ অলিগলি, খাপড়া ছাওয়া ঘর আর দু-একটা জীর্ণ হয়ে যাওয়া বুনো লতাপাতায় ঢাকা প্রাচীন প্রাসাদের ভগ্নাবশেষ, এখানেই সৃজনের ঠিকানা। এখানেই দেবী দূর্গা মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ী হয়ে ওঠেন তিলে তিলে। এই ম্লান জনপদ, এই অপ্রশস্ত গলিপথ, এই পথিপার্শ্বের ছাউনিতে সৃষ্টি হয় এমন সব মায়াবী অবয়ব যা জন্ম দেয় এক অপার্থিব, অনিন্দ্য অনুভুতি চরাচর জুড়ে।
ঢাকের বাদ্যি এবছর বেজেছে ছন্ন ছন্দে। অতিমারী ও তার ফলে স্বাভাবিক জীবনের নির্বাসন কুমোরটুলীকেও তার দৈনন্দিন থেকে নির্বাসিত করেছে।
অন্যান্য বছরগুলিতে এই জনপদ ভরে থাকে দারুণ ব্যস্ততায়। ভরা বর্ষার মাঝেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। মাটির নৌকো ভেড়ে কুমোরটুলীর ঘাটে। মাটি আসে মূলতঃ উলুবড়িয়া থেকে। আরও নানান জায়গা থেকে আসে মাটি, তবে তা সবটাই আসে হুগলী নদীর ধার থেকে।
ঘাট থেকে মাটি আসে কুমোরদের ডেরায়। মাটি তৈরীর কাজ শুরু হয়। মাটির সাথে মিশে থাকা নানান আবর্জনা সাফ করে পাওয়া গেল যে মাটির তাল, তার ভূগোলশাস্ত্রীয় নাম এঁটেল মাটি, যা নরম অথচ এঁটে থাকে। ফলে এই মাটিকে যেমন খুশী রূপ দেওয়া সহজ। তবে মাটিকে প্রতিমা বানানোর উপযোগী করে তুলতে প্রভূত সময় ও শ্রমের প্রয়োজন। নানান জায়গার মাটিকে মেশাতে হয় খুব ভালো করে। প্রথমে হাতে, পায়ে ও কোদালে দলে মাটি মেশানোর কাজ শুরু হয়। মাটি ভালো ভাবে মিশে গেলে একেবারে মিহি করে তোলাটি মাটি তৈরীর শেষ পর্যায়। কারিগরেরা আরও বেশ কিছু সময় ধরে পায়ে দলে দলে মাটিকে মিহি করে তোলেন এক অপূর্ব ভঙ্গীতে। পায়ের চাপে তৈরী হয় বিমূর্ত আল্পনা যা মিলিয়ে যায় কাজের নিয়মেই।
এই মাটির সাথে সাথে মেশাতে হয় কতো কিছু। সেই অনেক কিছুর মধ্যে থাকে এক জরুরী উপাদান, যৌনকর্মীদের দরোজার সামনের মাটি। এ এক আশ্চর্য প্রথা যা আমাদের এক নীরব শিক্ষা দিয়ে চলে শতাব্দীর পর শতাব্দী – কেউ ব্রাত্য নয়। অন্তর্ভুক্তির যে বয়ান আজ উত্তরাধুনিক চিন্তায় বারবার উচ্চারিত হয় – মূল স্রোতে প্রান্তিকতার অন্তর্ভুক্তি, এ যেন তারই মূর্ত রূপ। “নিষিদ্ধপল্লীর” মাটি ছাড়া মহামায়ার নির্মাণ অসম্পূর্ণ। জীবিকা নয়, মানুষের পরিচয় তার অন্তরাত্মায়।
মাটি তৈরীর সাথে সাথে কাঠামো গড়ার কাজ শুরু হয়। কাঠের কাঠামো তৈরী হয় কুমোরটুলীর ভিতরেই ছুতোরদের ঘরে। কাঠামোটি যথেষ্ঠ শক্তপোক্ত হতে হবে। মহিষাসুরমর্দিনীকে ধারণ করা কি সহজকথা !
কাঠামোর কাজ শেষ হতেই খড় বাঁধা হবে কাঠামোয়। আমরা কথায় বলি বটে “খড়কুটো”। অথচ সেই খড়ই প্রতিমার অন্দরের গোপন কথা। হয়তো মহামায়া আবারও আমাদের বার্তা পৌঁছে দেন কোন কিছুই হেলা ফেলার নয়। খড়ের সামান্যতা ছাড়িয়ে ওঠে গোটা অবয়বকে ধারণ করার শক্তি-সংস্থান। এভাবেই প্রকৃতি ও ধর্ম মিলে মিশে যায় মানুষের শ্রম আর কুশলতায়।
এবার সময় এসেছে মাটি চাপানোর। খড়ের উপর দিয়ে দক্ষ হাত মাটির চাপান দিয়ে চলে। শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় ধীরে ধীরে ফুটে ওঠে প্রতিমার দেহসৌষ্ঠব। কাঁচা মাটির তাল শুকিয়ে ওঠার অপেক্ষায় থাকা যাবে না। বর্ষা তার জলকণা নিয়ে বাতাসে বিরাজ করছে। যাকে আমরা হাওয়া দপ্তরের ভাষায় আদ্রতা বলে চিনি। ফলে আগের কালে মালসার আগুন, আর আজ ছোট গ্যাস বার্ণার ভরসা। ঐ তাপে মাটি শুকিয়ে ওঠে, তাতে ফাটল দেখা দেয়। প্রতিমার অবয়বটি এখন প্রায় তৈরী।
পরের কাজটি নরম কাপড় দিয়ে সাবধানে ঘষে ঘষে চাপানো মাটিকে মসৃণ করা। খুব সাবধানে, খুব ধৈর্য ধরে এই কাজটি সমাধা করতে হয়। প্রতিমার বহিরাবরণ পুরোপুরি মসৃণ হয়ে উঠলে এবার তার উপর হাল্কা করে মাটির প্রলেপ দেওয়া শুরু। এটি যেন পেশীর উপর বসিয়ে দেওয়া চামড়ার আস্তরণ। এ কাজটিতে কয়েক মাস লেগে যায়। সারাদিনরাত ধরে চলে এই প্রলেপ দেওয়ার কাজ এ সময় শিল্পীরা কাজের জায়গাতেই থাকতে শুরু করেন। একতলায় কাজ চলে, আর তার উপর মাচায় শিল্পীরা তাঁদের অস্থায়ী সংসার পাতেন। খাওয়া-দাওয়া, বিশ্রাম-ঘুমানো সব সেখানেই। আক্ষরিক অর্থেই প্রতিমার সাথে সংসার ঐ কয়েক মাস।
রঙ ও সাজের কাজ শুরু হবে এর পরেই। একদল যখন প্রতিমার শেষ প্রলেপ দিতে ব্যস্ত, অন্যদলের তখন সাজ নিয়ে সাজোসাজো রব। গয়নাগাটি অস্ত্রশস্ত্র সব তৈরী করে ফেলতে হবে যে !
ওদিকে পরিবারের অন্যদের রূপদানের কাজও চলে পাশাপাশি। হাতির মাথা পেটটি নাদা গণেশ ঠাউর, দেবসেনাপতি টেরিকাটা কাত্তিক, রূপসী চঞ্চলা লক্ষী ঠাগরেণ আর বীণারঞ্জিত পুস্তকহস্তে শান্ত গুণবতী সরস্বতী রূপ পেয়ে গেছেন এরই মধ্যে। এঁদের কাজে হাত দিয়েছেন যাঁরা, তাঁরা তো ভবিষ্যতের শিল্পী হতে হাত মক্সো করছেন। এঁদের সাথে এঁদের বাহনেরাও তৈরী। ইঁদুর, প্যাঁচা, রাজহংসী ও ময়ূর সেজেগুজে তৈরী যার যার পোষ্টার পায়ের কাছে বসে পরার জন্য।
যুদ্ধে পরাজিত, কিন্তু সবচেয়ে বেশী চোখ টানেন মহিষাসুর। প্রায়শঃই দেহের অর্ধেকটি চ্যুতমুন্ড মহিষের ভিতর। পরাক্রান্ত গর্জনে তুলে আছেন ডানহাত, তাতে উদ্যত খড়্গ। খড়্গটি এমন লোহায় তৈরী যতে মর্চে ধরে না। একমাত্র অসুরেরাই সে জ্ঞানের অধিকারী। বাম মুঠিতে ধরে আছেন সিংহের কেশর। পেশীর সঞ্চালনায় ঠিকরে উঠছে অভিজাত ঔদ্ধত্য। তাঁর ত্রিশুলবিদ্ধ বুকে মহামায়ার বাম পদ। সব মিলিয়ে অসুরের মধ্যে এক নায়কচিত সৌন্দর্য।
প্রতিমা তৈরী হয় আনা আকারে নানা বিভঙ্গে। একসময় ছিলো একচালের প্রতিমা, যা এখনো গৃহস্থবাড়ির পূজায় দেখা যায়। পরের দিকে গত শতকের ৬০এর দশকে এলো আর্টের ঠাকুর। যেখানে দূর্গা, সিংহ, মহিষাসুর ও মহিষ একই কাঠামোয় ; কার্তিক, গণেশ, লক্ষী, সরস্বতী আলাদা আলাদা কাঠামোয়। এই ধরণটি বারোয়ারী পূজোয় আজও সাধারণভাবে মান্য। ৭০দশকের মাঝামাঝি শুরু হয় আধুনিক ভাষ্কর্য ও চিত্রকলার ভাবনা থেকে বিমূর্ত প্রতিমা।
মহালয়ার দিন প্রতিমার চক্ষুদানের নির্ঘন্টটি নির্দিষ্ট। ঐদিন শিল্পী প্রতিমার চোখটি ফুটিয়ে তোলেন। আর ঠিক সেই সময়েই মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ীতে উত্তীর্ণ হন মহামায়া।
মহামায়ার আরাধনা এক অর্থে স্ত্রীশক্তির আবাহন। শাস্ত্রে নবমাতৃকার কথা আছে। এরা – ব্রহ্মী, বৈষ্ণবী, মহেশ্বরী, ইন্দ্রাণী, কুমারী, বরাহী, চামুন্ডী, নরসিংহী। লক্ষণীয়, এরা প্রত্যেকেই কোন না কোন পুরুষ দেবতা বা অবতারের স্ত্রী।
সূত্র - https://en.wikipedia.org/wiki/Matrikas
অন্যদিকে তন্ত্র মতে নয় ধরণের মুক্ত নারীর আরাধনার নিমিত্ত নির্দিষ্ট অমানিশির দিন। এই নয় মুক্ত নারীরা হলেন - নটি, ক্ষৌরিকা, রজকীনি, ব্রাহ্মণী, গোপালিকা, কাপালিকা, শূদ্রা, বেশ্যা ও মালিনী।
সূত্র - http://yoniversum.nl/dakini/navakanya.html
কৌতুহলোদ্দীপক বিষয়, তন্ত্র অবিবাহিত ব্রাহ্মণ কন্যাকেও নটি, ক্ষৌরিকা, রজকীনি, গোপালিকা, কাপালিকা, শূদ্রা, বেশ্যা ও মালিনীর সাথে একই আসনে মুক্তনারী হিসাবে চিহ্নিত করেছে। একি ব্রাহ্মণকন্যার প্রতি মুক্তির ডাক ? তবে সে অন্য প্রসঙ্গ।
প্রতিমা গড়ার কাজ শেষ। এবার তারা চলে যাবে পাড়ায় পাড়ায় প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে। উৎসব শুরু হয়ে যাবে দশদিশায়। কুমোরটুলীর মানুষের কাছে প্রতিমা গড়া শুধুই সৃষ্টি নয়, তার চেয়েও অনেক অনেক বেশী। এ তাঁদের ধর্ম যা তাঁদের জীবন ও যাপনকে ধারণ করে। এতোদিনের ব্যস্ততা, হাড়ভাঙ্গা খাটুনি, চিন্তার অবসান ঘটে। চারিদিকে যখন উত্তাল ঢাকের বাদ্যি, কুমোরটুলীর শিল্পীর ঘর তখন শূণ্যতায় ছাওয়া। এক এক করে সমস্ত প্রতিমা চলে গেছে বায়নাদারের ঘরে। এ শূণ্যতা নিশ্চিন্দির শূণ্যতা। যেমন আমাদের উৎসবে মেতে ওঠা দিনগুলি পূর্ণ হয় বিসর্জনে। জলে ভেসে যায় আমাদের গতকাল, ভেসে আসে আগামী, অবগাহন শেষের জলবিন্দুতে ঝরে পড়ে ঘটমান বর্তমান।
ক্যাবাৎ কল্লোল! ক্যাবাৎ!
বেশ ভালো লাগল লেখাটি। এই মৃৎশিল্পের সঙ্গে ঘনিষ্ট পরিচিতির সুবাদে বলতে পারি, একমেটে মানে প্রাথমিক স্তরের মাটিতে মেশানো হয় ধানের তুঁষ। তারপরের স্তর অর্থাৎ দোমেটেতে পেলবতার স্তর তৈরি হয়। ফাটল ঢাকা হয় মাটি গুলে, তাতে কাপড়ের টুকরো চুবিয়ে। একে কুমোরদের ভাষায় বলে পটি মারা। অতঃপর খড়ির কাজ।
তবে আপনি যে লিখেছেন ---
//এই মাটির সাথে সাথে মেশাতে হয় কতো কিছু। সেই অনেক কিছুর মধ্যে থাকে এক জরুরী উপাদান, যৌনকর্মীদের দরোজার সামনের মাটি। এ এক আশ্চর্য প্রথা যা আমাদের এক নীরব শিক্ষা দিয়ে চলে শতাব্দীর পর শতাব্দী – কেউ ব্রাত্য নয়। অন্তর্ভুক্তির যে বয়ান আজ উত্তরাধুনিক চিন্তায় বারবার উচ্চারিত হয় – মূল স্রোতে প্রান্তিকতার অন্তর্ভুক্তি, এ যেন তারই মূর্ত রূপ।//
বিষয়টা কিন্তু ঠিক তেমনটা নয়। আসলে ওই দরোজার সামনে বাবুরা জুতো খুলে (বা জুতো পরিহিত অবস্থায়) অন্দরে প্রবেশ করেন। দরোজার বাহিরে স্বেচ্ছায় ছেড়ে যান যাবতীয় পুণ্য, অন্দরে তো কেবলই পাঁক ঘাঁটাঘাটি। কাজেই ওই মাটি বড়ই পুণ্য। সেই পুণ্য মাটিরই অংশ, প্রতিমার অংশ হয়ে ওঠে।
আসলে তো পুরুষতান্ত্রিকতাই। তাই চালচিত্রের মধ্যভাগে বিরাজ করেন মহাদেব।
এলেবেলে। অন্য মতটি তুলে ধরার জন্য, তা ছাড়াও মাটি তৈরীর বর্ণনায় অসম্পূর্ণতা ধরিয়ে দেবার জন্যও ধন্যবাদ।
"চালচিত্রের মধ্যভাগে বিরাজ করেন মহাদেব" - এইপ্রসঙ্গে একটা লৌকিক গপ্পো মনে পড়ে গেল। উমা তো বায়না ধরেছেন বাপের বাড়ি যাবেনই। মহাদেবের ভয়ানক আপত্তি। সে হাতটাত নেড়ে বলে দিয়েছে - ওসব হবে না। ভালোমুখে অনেক বলা-কওয়ার পর উমা ক্ষেপলেন ও তার মহামায়া রূপ ধারণ করে মহাদেবের সামনে এসে দাঁড়ালেন। তাতে মহাদেব যারপরনাই ভয় পেয়ে রাজি হলে তবে শর্ত সাপেক্ষে - আম্মো সাথে যাবো। উমা রাজ নন। তোমায় দেখলেই বাবা ক্ষেপে যাবেন। কটা দিন বাপের ঘরে এট্টু শান্তিতেও থাকতে পারবো না - অ্যাঁ !! শেষে রফা হলো - যাবে চলো, কিন্তুএতো ছোট্টটি হয়ে যাবে যেন কারুর চোখে না পড়ে। সেই থেকে চালচিত্রে মহাদেব থাকেন, তবে এতোটুকুন হয়ে।
খুব সুন্দর লিখেছেন।
ভাল আর কাজের লেখা কল্লোলদা। 'বেশ্যাবাড়ির মাটি'র যৌক্তিকতা এলেবেলে যেমন বললেন, আমিও তেমনই শুনেছি।