এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বই

  • দ্য সিল্ক রোড - স্বেন হেদিন

    ইন্দ্র
    আলোচনা | বই | ১৪ এপ্রিল ২০০৬ | ৮২৬ বার পঠিত
  • সিল্ক রোড নিয়ে ভালোবাসার শুরু বেশ ছোটবেলায়। এবং মধ্য এশিয়া,আফগানিস্তান। স্বপ্নে গোবি-তাকলামাকানের বরফঢাকা প্রান্তর। তারপর তো দেশে-বিদেশে হাতে পেলাম-সেই ঘোর লাগা rugged terrain। গৌতম ঘোষের তথ্যচিত্র। ডিসকভারি-ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের কল্যাণে মাঝেমধ্যে মঙ্গোলিয়া-ইউরেশিয়ান স্তেপ। বিলেতে এসে সম্প্রতি হাতে পেলাম সান শুয়ানের বই, যার কথা লিখেছি আগে। আগ্রহ আর একটু বাড়লো, মনে হলো আর একটু পড়ি। তাই হাত বাড়ালাম স্বেন হেদিনের দিকে। সিল্ক রোড নিয়ে সম্ভবত: সবচেয়ে বিখ্যাত বইটির দিকে।

    পাবো বলে ভাবিনি। এক অলস ঠান্ডা ও মেঘলা দুপুরে বার্নলে লাইব্রেরীতে নেহাত কিছু করবার নেই বলে, তাছাড়া বাইরে বৃষ্টিও হচ্ছে, আমি লাইব্রেরীর ক্যাটালগ হাতড়াই। এবং আমাকে বিস্মিত করে কম্পিউটারের স্ক্রিনে ভেসে ওঠে Hedin, Sven-The Silk Road, 1938। একটিমাত্র কপিই রক্ষিত আছে প্রেস্টনের সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে, আর এই মুহূর্তে রিজার্ভেশনও নেই কোনো। তার ঠিক এক সপ্তাহ বাদে ক্রিস্টিন আমার হাতে তুলে দিচ্ছে পৃথিবীবিখ্যাত লেখকের পৃথিবীবিখ্যাত সেই বই, আর অবাক হয়ে বলছে- Wow ! It was written long back !

    বইখানা হাতে নিয়ে হাত বুলোই খানিকক্ষণ। বাদামী চামড়ায় বাঁধানো হার্ড বাউন্ড কভার, কালের প্রহারে ঈষৎ বাঁকা, পাতাগুলো হলদে হয়ে এসেছে, মাঝেমধ্যে আঠা দিয়ে সাঁটা, কোথাও কোথাও শক্ত টোন সুতোর সেলাই। ৬৭ বছর বয়স এই বইয়ের, আমার প্রায় দ্বিগুণ, আমার বাবার চেয়ে বয়সে বড়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দেখেছে এই বই, দেশে দেশে কলোনির অবসান ও নয়া কলোনির পত্তন; হেদিন মরেহেজে গেছেন কবে।

    পাল্টায় নি এইসব স্টোয়িক অক্ষরমালা, ঠিক যেমন পাল্টায় নি রেশম রাস্তার ধারে জেড পাথরের দোকান সাজিয়ে বসা প্রাচীন কিরঘিজ বৃদ্ধ অথবা বরফের স্তেপ পার হওয়া মঙ্গোল যুবকের চোখের ভাঁজ, যাদের বয়েস হেসেখেলে দেড়-দু হাজার বছর হতেই পারে।

    এই এক্সপিডিশনের সময়কাল ১৯৩৩-৩৪; একবছরের কিছুটা বেশী সময়। স্বেন হেদিন তদ্দিনে একজন ভুঁইঞা অভিযাত্রী। পৃথিবীশুদ্ধ লোক, যারা ম্যাটার করে, বেশ একডাকে চেনে।

    এখানে একটু ধরতাই দেওয়া দরকার। ম্যাপ দিতে পারলে খুব ভালো হত, সেটা দেওয়া যাবে না যখন, মুখেই বলি। রুটটা হল তখনকার পিকিং থেকে পশ্চিমমুখে পুরো গোবি মরুভূমির মধ্য দিয়ে মধ্য এশিয়ার বিশাল প্রান্তর পেরিয়ে সিনকিয়াং প্রদেশে পৌঁছনো, যা কিনা চীনা তুর্কীস্তানের পশ্চিমতম প্রান্ত; এবার সেখান থেকে ওয়ে ব্যাক। ফেরার সময় অবশ্য হামি থেকে আলাদা হয়ে যাবে রাস্তা, পিকিং এর বদলে ওঁরা পৌঁছবেন সিয়ান। উল্লেখ থাক, এই সেই সিয়ান(প্রাচীন ছাঙ্গান) যেখন থেকে হিউয়েন সাং তাঁর যাত্রা শুরু করেছিলেন ভারতবর্ষের উদ্দেশ্যে।

    এই বিশাল রাস্তা, লেখকের ভাষায় পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশের অন্ধকারতম এলাকা, চলে গিয়েছে প্রায় জনহীন গোবি, ইনার মঙ্গোলিয়া, সিনকিয়াং প্রদেশের হামি, তুরফান, ভ্রাম্যমান লেক লপ-নর হয়ে রুশ তুর্কীস্তান পর্যন্ত, প্রায় সাইবেরিয়ার কাছাকাছি অবধি। এই এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে চীনা, মঙ্গোল, উইঘুর, তুঙ্গান, তুর্কী ও কিরগিজ জনজাতি, পালে পালে গ্যাজেল জাতীয় অ্যান্টিলোপ, ফেস্যান্ট, বুনো উট ও গাধা, নেকড়ে, শেয়াল; টুকটাক মরুভূমির ঝোপঝাড়, পপলার-কনিফার। হাজার বছরের পুরনো বৌদ্ধ স্তূপ আর কবরখানা, ছুঁলেই গুঁড়ো হয়ে যাবে এইরূপ কঙ্কালবাহিনী। শীতে আদিগন্ত বরফ, গ্রীষ্মে ঝলসানো সূর্যতাপ, হলুদ, ধূসর, লাল, কালচে হাজার রংএর নেত্য, মাথার ওপরে ঘন নীল অকাশ তো রয়েইছে। রাস্তা নামের কোনো পদার্থ প্রায় কোথাওই নেই, যত্রতত্র বুনো নদী-ধূলো-কাদাগোলা কিম্বা জমাট বরফ - যে সময়কার যা - এসবের মধ্যে গাড়ি যে কোনো সময় ফুস হয়ে যেতেই পারে। এমন টেরেইনের উপযুক্ত কোনো গাড়ি, হেদিন বলছেন, তখনো জন্মায় নি। আর খেটেখুটে ঐ ধূ ধূ নিষ্প্রাণতার মাঝখানে গাড়ি একবার বিকল করতে পারলে তো মজার অন্ত নেই; বেশ দেখতে পাবেন হয়তো আপনার ঠিক পাশেই ধবধবে ফর্সা উটের কংকাল সাজানো রয়েছে, শকুনের দলবল চক্কর খাচ্ছে অনতিদূর আকাশে। কোন টিলার পেছনে ডাকাতের দলবল বন্দুক নিয়ে গুঁড়ি মেরে এগোচ্ছে, আপনি জানেন না। রাত বাড়লে তারায় ভরা পিচ-কালো অন্ধকারের নিচে তাঁবু খাটিয়ে শোয়া, সামনেই ক্যাম্পফায়ার করা হল উটের গোবর আর কাঠকুটো জ্বালিয়ে; ভোররাতে ঘুম ভেঙে যাবে সুরেলা টুং টাং আওয়াজে, বাইরে বেরিয়ে দেখবেন শয়ে শয়ে উটের দল-ক্যারাভান চলেছে পূব থেকে পশ্চিমে অথবা উল্টো। সওদা, বিশ্বময় পণ্য স্রোত; সেই সঙ্গে হাজার বছরের ভাষা-খাবারদাবার-পোষাক-আশাক-ধর্ম-রাজনীতির নানামুখী এতোল-বেতোল ঢেউ চলেছে মরুভূমির জাহাজের পায়ে পায়ে।

    প্রাচীন সিল্ক রোডের (the Imperial Highway) পূব প্রান্ত শুরু ছাঙ্গানে; সেখান থেকে লেক লপ নর পর্যন্ত একটাই রাস্তা; তারপরে তিন ভাগ হয়ে যায়। সবচেয়ে উত্তরের রাস্তা ফারগনা (বাবরের ফারগনা) হয়ে সমরখন্দ, যেখানে বাকি দুই রাস্তা এসে মিলবে; মাঝের রাস্তা কাশগর হয়ে, দক্ষিণতমটি খোটান হয়ে। এবার এই ফাইনাল কমন পাথওয়ে পারস্য, সিরিয়া হয়ে পৌঁছে যাবে রোমে। মজার কথা এই রাস্তার একখানা শাখা নেমে এসেছিল তিব্বত পেরিয়ে তাম্রলিপ্ত অবধি। সওদা কি কি হত শুনুন: তিব্বত থেকে যেত সোহাগা, চমরী গাইয়ের লেজ, উট ও বাঁধাকপি, বার্মা থেকে অ্যাম্বার ও ময়ূরপুচ্ছ, খোটান থেকে জেড পাথর, কাশগর থেকে নীলকান্তমণি, কুচা থেকে পেস্তা বাদাম আর ক্রীতদাস (?দাসী), মথুরা থেকে পালং শাক, মধ্য ও দক্ষিণ ভারত থেকে যুঁই (?সুগন্ধী বানানোর extract ), ওষুধপত্তর আর চন্দনকাঠ, তক্ষশীলা থেকে জাফরান আর জলজ লিলি, পারস্য থেকে পীচ গাছ, উল, খেজুর আর ট্যাপেস্ট্রি, ফারগানা থেকে ল্যাপ ডগ, সিরিয়া থেকে কাঁচের বাসনকোসন। আর সবার ওপরে চীনা মসলিন, যে জিনিষ চীনারা আবিষ্কার করেছিল খ্রীষ্ট জন্মের প্রায় তিন হাজার বছর আগে।

    মজার কথা হল ঠিক এখনকার মতই সেযুগেও উপভোক্তাদের আদৌ কোনো ধারণা ছিল না এইসব পণ্যের জন্মস্থান, জন্মবেত্তান্ত সম্বন্ধে। রোমানরা সিল্কের ব্যাপারে বেশ অগাই ছিল; যদিও সিল্কের কাপড় রোমের বাজারে এসে পড়তে পেত না, হটকেকের মতই উবে যেত। কথিত আছে ৫৩ বি.সি.-তে ইউফ্রেটিসের ধারে পার্থিয়ান সৈন্যদের বিশাল চকমকে সিল্কের ব্যানার দেখে রোমান সৈন্যরা ভ্যাবাচাকা খেয়ে যুদ্ধ না করেই পালিয়ে যায়। কেউ কেউ বলেন সিরিয়ার বিখ্যাত অধিপতি মার্কাস লিসিনাস ক্র্যাসাসের সময় থেকেই রোমানরা সিল্কের ব্যবহার শুরু করে। এক বিশেষ ধরণের চীনা সিল্কের দাম নাকি ছিল সে সময়ে একজন সাধারণ রোমান সৈন্যের একবছরের মাইনের সমান। এবং সিল্কের প্রতি রোমানদের এই দুর্নিবার লোভ নাকি, বলছেন কোনো কোনো ঐতিহাসিক, রোমান অর্থনীতি তথা সাম্রাজ্য ভেঙ্গে পড়ার একটা বড় কারণ। সে হিসেবে সিল্ক রোড বেয়েই প্রাচ্যের বজ্র আঁটুনি পশ্চিমের ওপরে গেঁড়ে বসেছিল বলা চলে।

    তেমনি অবশ্য আবার চীনা রেশম তাঁতীরাও জানত না তাদের হাতে বোনা রেশমী কাপড় কোন দূর রোমান সেনেটরের গায়ে গিয়ে উঠছে; তারা তো দালালের হাতে মাল তুলে পয়সা গুনে নিয়েই খালাস।

    যে সব উৎসাহী মানুষ এই বইখানা পড়তে ইচ্ছুক, তাঁদের অনুরোধ, পেছনের দিক অর্থাৎ অ্যাপেন্ডিক্স থেকে শুরু করুন। নইলে আমার মত ট্যান যাবে। সে সময়কার চীনের রাজনৈতিক-সামরিক টালমাটাল না বুঝতে পারলে হেদিনের যাত্রার অনেককিছু গোল ঠেকবে।

    আমি যদ্দুর পারি বলছি। নানকিং-য়ে তখন চিয়াংকাইশেক সরকার। হেদিন নিজে চিয়াং-এর বড় ভক্ত ছিলেন, উদার ও ক্রীশ্চান চিয়াং। মাঞ্চুরিয়া অবধি দখল করে জাপ বাহিনী এবার কোনদিকে এগোবে ভাবছে। দূর সিনকিয়াং প্রদেশে সেং টুপানের স্বতন্ত্র সরকার, যাদের নানকিং আনুগত্য নামেই। চীনা ও তুর্কী মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ টুপান রাশ্যান বলশেভিকে্‌দর কাছ থেকে দুহাত পেতে সাহায্য নিচ্ছেন। এমত শান্তিকল্যাণ পরিস্থিতিতে হেদিনের যাত্রা। ঘোষিত উদ্দেশ্য প্রাচীন রেশম পথকে রিভাইভ করে একটি নতুন মোটরেবল রাস্তা নির্মাণপ্রকল্পে ম্যাপ তৈরী।

    কিন্তু আমরা এখন বিটুইন দা লাইন পড়তে শিখেছি। আমরা জানলাম, হেদিনের অন্যতম স্পন্সর লুফথানসা। কি চায়? বেশী কিছু না, গোটা মধ্য এশিয়া জুড়ে একটি মনোপলি বিমান চলাচলের শুভযোগ। তারপর কি পেছন পেছন আসবে নাজী জার্মানির ভ্যানগার্ড বাহিনী? কে জানে! হেদিন নিজে এ ব্যাপারে আশ্চর্জ নিশ্চুপ। আলোকপ্রাপ্ত আর্য ও নাজী জার্মান নেতা হিটলারের সঙ্গে তাঁর মাখামাখি নিয়ে ইতিহাস লিখবেন ভবিষ্যতের ঐতিহাসিকরা।

    এইভাবে আর্যত্ব, ইউরোপ, পশ্চিম আমাদের প্রাচ্য অন্ধকারে আলো আনবে। স্বেন হেদিন সখেদে জানাবেন প্রাচ্যবাসীরা কি অবহেলায় তাদের সুপ্রাচীন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ধূলোয় মিলিয়ে যেতে দেয়, চুরিচামারি করে; অথচ কোনো ইউরোপীয় পর্যটক যদি তুচ্ছ কোনো কবরখানার তুচ্ছতম কঙ্কালকরোটিতেও হাত দেয়, তাকে বলা হয় ট্রেসপাসার। পাশাপাশি উল্লেখ থাক এটুকু তথ্য যে গোটা উরুর্মচি ও তুরফান এলাকা জুড়ে এক অশ্রুতপুর্ব এক্সক্যাভেশন চালিয়ে জার্মান প্রত্নত্বাত্তিক লী কক ও আরো পরে অরেলস্টাইন খুবলে, চিরে, ছেনে নিয়ে যান বৌদ্ধ সংস্কৃতির যাবতীয় প্রত্ন অবশেষ, কেননা চীনারা জানে না কিভাবে এই ইতিহাস সংরক্ষণ করতে হয়। আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগুনে পুড়ে যায় সেইসব প্রাচ্য নৈ:শব্দ, ফ্লাডলাইটে যেমন ভেসে যায় অনার্য রাত্রি। সিল্ক রোডের ইতিহাস এইরকম।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৪ এপ্রিল ২০০৬ | ৮২৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন