এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • বিসু, সিসু ও পাপাদের গপ্পো

    বৈজয়ন্ত চক্রবর্তী
    আলোচনা | বিবিধ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ | ৯২৪ বার পঠিত
  • মানুষকে বেঁচে থাকতে গেলে, এমনকি মরতে হলেও দুটি শব্দ বলা বা না বলার নিয়ম শিখতে হয়- হ্যাঁ এবং না। প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও সেই একই নিয়ম। আমরা যে দুটি প্রতিষ্ঠানের সাথে সবথেকে বেশি পরিচিত, অর্থাৎ, রাষ্ট্র ও বাজার- উভয়ই স্বধর্ম বজায় রাখে কিছু কাজে "হ্যাঁ" করে ও কিছু কাজে "না" করে। কয়েক দশক হল এই দুই বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের বাইরে আরও একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে যার নাম সিভিল সোসাইটি। খুব বেশি না ঘেঁটে এইটুকু বলা যায় যে রাষ্ট্র ও বাজার মিলে মানবসমাজের সব জরুরী কাজগুলো সেরে ফেলতে পরছে না দেখে মানবসমাজ কিঞ্চিৎ স্বালম্বনের প্রতিজ্ঞা নিয়ে ঠিক করেছে যে কিছু কাজ নিজেরাই সেরে ফেলা যাক। মানবসমাজের সিভিলিটি রক্ষার্থে গঠিত এই প্রতিষ্ঠান নাম পেয়েছে সিভিল সোসাইটি। এই সিভিল সোসাইটিরও কিছু কাজ, কিছু কথা "না"মূলক, আবার কিছু "হ্যাঁ"মূলক। ধরা যাক পাড়ার একমাত্র পুকুরটি বুঁজিয়ে প্রোমোটারবাবু বেআইনীভাবে ফ্ল্যাটবাড়ি বানাবেন। তখন পাড়ার লোক হৈহৈ দৌড়ে এসে "চলবে না চলবে না" করে সেই বেআইনী নির্মাণ বন্ধ করে দিল। এটি একটি "না"মূলক কাজ। এবার ধরেন পাশের বস্তিতে কোনো ইস্কুল নেই, যে কর্পোরেশন ইস্কুল ছিল সেটি রাষ্ট্রের অপদার্থতায় ভেঙেচুরে পড়েছে। বাজারের কোনো দায় নেই এইরকম অলাভজনক কাজকর্মে পয়সা ঢালার। তখন পাড়ার লোক হয় নিজেরাই একটা স্কুল খুলল, নয়তো এই স্কুল খোলা নিয়ে রাষ্ট্রের দোরে হত্যে দিয়ে পড়ল। এ হল "হ্যাঁ"মূলক কাজ। বিভিন্ন স্থানীয় নাগরিক সংগঠন, স্বেছাসেবী সংস্থা, ধর্মীয় সেবা প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক সংস্থা ইত্যাদি ইত্যাদি এই কাজগুলো করে থাকে সিভিল সোসাইটির অঙ্গ হিসেবে। সিভিল সোসাইটিকে রাষ্ট্রবিরোধী হতে হবে কি হবে না, বাজারনির্ভর হওয়া উচিত কি উচিত নয়- এই সব প্রশ্নের কোনো ধরাবাঁধা উত্তরও নেই বা সিভিল সোসাইটির জন্য মাপজোক করে বেঁধে দেওয়া কোনো স্ট্যান্ডার্ডও নেই। সারা পৃথিবীর মানুষ সিভিল সোসাইটি সম্পর্কে মোটামুটি এই ধারণা নিয়েই চলে।

    তবে চাওমিন থেকে সাম্যবাদ- সব কিছুরই যেমন একটি করে বঙ্গীয় সংস্করণ থাকে তেমনি সিভিল সোসাইটিরও একটি বঙ্গীয় সংস্করণ আছে যা "কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি"। প্রথমে সিভিল সোসাইটি নামটি সম্পর্কে একটি ক্ষুদ্র টীপ্পনী কেটে নেওয়া যাক। পশ্চিমবঙ্গীয় সিভিল সোসাইটির নেতৃপক্ষদের অনেকেই কিছুদিন আগে সাইনবোর্ডে বাংলা লেখার দাবীতে প্রবল হৈ হট্টগোল করেছেন। অতএব কনসিস্টেন্সির খাতিরে ""সিভিল সোসাইটি''র মত ম্লেচ্ছ নামটির একটি বঙ্গানুবাদ প্রয়োজন হয়ে পড়ল। যে দুই সরকার বঙ্গীয় সংস্কৃতির স্রষ্টা-পালক-সংহারক, মনে হল দুজনেই "সুশীল সমাজ" নামটিতে মতৈক্য প্রকাশ করছেন। কিন্তু সমাজে যেহেতু গোপালের থেকে রাখালের সংখ্যা চিরকালই বেশি, তাই এই সুশীল নামটিকে নিয়েও বিবেকহীন চাটাচাটি শুরু হয়ে গেল। বিব্রত নেতৃপক্ষ ও মিডিয়া একত্রে মধ্যবর্তী স্টেপ হিসেবে "বিদ্বজ্জন সমাজ "নামটি চালু করলেও নাম থেকে ভুরভুরিয়ে এলিটত্বের গন্ধ বেরোনোয় সে নামও বেশিদিন টেঁকে নি। ইদানীং চলছে "নাগরিক সমাজ" নামটি এবং আমরা আশা করি এই নামটিই চলবে কারণ এই নামটি সিভিল সোসাইটির মূল স্পিরিটের কাছে তাও গা ঘেঁষতে পেরেছে। কিন্তু মনে করিয়ে দিই, আমরা সিভিল সোসাইটি নিয়ে খেজুর করছি না। আমাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু বঙ্গীয় সিভিল সোসাইটি এবং আমরা বঙ্গীয় সিভিল সোসাইটির আদি নামটি ব্যবহারেই আগ্রহী কারণ আমরা মা শীতলার দিব্যি গেলে এনাদের সুশীলতায় বিশ্বাস করি।

    ২০০৬ সালে যখন ঘোষণা করা হয় যে সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণ করা হবে, তখনই পশ্চিমবঙ্গে প্রথম সিভিল সোসাইটি স্থাপিত হল। আদি ব্রাহ্মসমাজের মত সেটি ছিল আদি সুশীলসমাজ। মোটের উপর সেই সমাজের সদস্যরা ছিলেন সরকারবিরোধী। কিন্তু সাধারণত: দলাদলি ও গ্রুপবাজি ছাড়া আমাদের জীবন দু:সহ হয়ে ওঠে। যদিও বঙ্গব্র্যান্ড সাম্যবাদের সুদীর্ঘ সদভ্যাস ও চর্চার ফলে আমাদের পন্ডিতেরা এই পাতি দলাদলি ও গ্রুপবাজিকে মার্ক্ষীয় দ্বান্দ্বিক দর্পণে দেখে থাকেন অর্থাৎ গ্রুপবাজির নাম হয় মতাদর্শগত সংগ্রাম যেখানে স্রেফ দাড়িময় অস্তিত্বের ফলে বিভিন্ন লেখক শিল্পী ক্রমে ক্রমে নিজেদের লেনিন বা ট্রটস্কি ভাবতে থাকেন। অতএব আদি সুশীল সমাজের পালটা একটি সুশীল সমাজ গড়ে ওঠে, যাঁরা নিজেদের "হার্মাদ" উপাধি দিয়ে এক প্রবল মর্ষকামী আহ্লাদ উপভোগ করেন। সাধারণত: সুশীলসমাজের বিভিন্ন সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকে, অশিক্ষা, অপুষ্টি, অস্বাস্থ্য, অবিচার ইত্যাদি অ-পূর্বক বিশেষ্য নিয়ে মাথা এবং শরীর ঘামানো। বঙ্গীয় সুশীলসমাজের দায় একটিই- সরকারের/ সি পি এমের বিরোধিতা বা সরকার/ সি পি এমকে সমর্থন। এইজাতীয় সুশীলসমাজকে সি পি এমকেন্দ্রিক সুশীলসমাজ বলা হয়। যাঁরা নব্য সুশীল ওরফে হার্মাদ ওরফে সি পি এমপন্থী সুশীল তাদের এর পর থেকে আমরা বাইট বাঁচানোর জন্য সি.সু. বলব এবং যাঁরা আদি সুশীল ওরফে সি পি এমবিরোধী সুশীল তাদের আমরা বিরোধী সুশীল ওরফে বিদ্রোহী সুশীল, এবং সংক্ষেপে বি.সু. বলব।

    তবে এই সিসু বা বিসু যাই হতে চান না কেন, এই এক্সক্লুসিভ সদস্যপদ পাবার জন্য আপনার কতগুলো জরুরী অভ্যাস থাকা দরকার। প্রথমত: মস্তিষ্ক ও শরীর ঘামানোর কথা ভুলে প্রতিদিন দুই ঘন্টা হৃদয় ঘামিয়ে নেওয়া অভ্যাস করা দরকার। নইলে আপনি দু:খে-ক্রোধে-বিষাদে-বিরক্তিতে আবেগমথিত হয়ে উঠতে পারবেন না, আপনার আকুল পরান টি ভি স্টুডিওতে, মিছিলে, মিটিঙে মিনিটে মিনিটে কান্নাকাটি করতে পারবে না। বাঙালী পুরুষ যেমন রাস্তাঘাটে বেগ সংবরণের বুর্জোয়া রুচি পরিত্যাগ করেছে, আপনিও আবেগ সংবরণের পশ্চিমী এনলাইটেনমেন্টজনিত বদভ্যাস পরিত্যাগ করুন। ঘামানোর প্রায়রিটি ঠিক করুন- প্রথমে, হৃদয়, তারপর, শরীর, এতেও কাজ না হলে তখন মস্তিষ্কের কথা ভাবা যাবে। দ্বিতীয়ত:, সিসু এবং বিসুদের নেতৃপদ পেতে গেলে আপনার সেলিব্রিটি হওয়া অত্যাবশ্যক। সদস্যপদ পেতে গেলে সেলিব্রিটি না হলেও শিল্প-সাহিত্য-নাটক-চলচ্চিত্র-সঙ্গীতের সাথে পেশাদারী যোগাযোগ অথবা লিট্‌ল ম্যাগাজিন-এন জি ও-সাংস্কৃতিক সংস্থা চালাবার অভিজ্ঞতা থাকা বাঞ্ছনীয়। অন্যান্য পেশার মধ্যে অধ্যাপক, অর্থনীতিবিদ ও বিজ্ঞানীরা সাম্মানিক সদস্যপদ লাভ করতে পারেন। কিন্তু যদি ভাবেন স্রেফ প্রাইমারি স্কুলের টিচার, আলুপেঁয়াজের আড়তদার এমন কি সফটওয়ার এঞ্জিনীয়ার হয়ে সিসু বা বিসু হয়ে উঠবেন, তবে সে গুড়ে বালি। যে লোকটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আপার ডিভিশন ক্লার্ক, পড়ার মধ্যে পড়ে সকালের খবরের কাগজ, আপিসের ফাইল ও সাপ্তাহিক বর্তমান, দেখার মধ্যে দেখে ইন্ডিয়ার ক্রিকেট ম্যাচ ও ই-টি ভিতে তিথির অতিথি, জীবনের যাবতীয় ভাবনাচিন্তা শুধু পে কমিশন, বাড়ির লোনের ইনস্টলমেন্ট আর খোকার পড়াশুনা ঘিরে, সে ধর্মতলা মেট্রো চ্যানেল বা টাউন হলে গিয়ে কোন মিডিয়ার কোন বাইট মারাবে বলতে পারেন? অতএব উনি আমার আপনার মত সংখ্যাগরিষ্ঠের দলে, অর্থাৎ পাতি পাবলিক ওরফে পাপা। দরকারে অদরকারে যদিও এদেরই মেহনতী জনতা বলা হয়ে থাকে। এই পাপাদের জীবনের মূল সমস্যা হল প্রতিবাদী সেলিব্রিটিজীবনের মত পাপাজীবনের কোনো কনসিস্টেন্সি নেই। ছোটো করে বলে রাখা যাক যে কনসিস্টেন্সির হিসেবটা কিন্তু উত্তর-২০০৬। তার আগে কে কোন মিছিলে হেঁটেছেন, কোন প্যামফ্লেটে সই করেছেন, কি বিবৃতি দিয়েছেন ইত্যাদি নিয়ে আমরা রব নিরুত্তর। কিন্তু উত্তর-২০০৬ সিসু ও বিসু অ্যাজেন্ডার এই মহৎ কনসিস্টেন্সি দেখে ভয়েভক্তিতে পাপাদের মাথা হেঁট হয়ে আসে। সিসু অ্যাজেন্ডা হ্যাঁমূলক- সরকার এবং সিপিএম যা বলবে তাতেই হ্যাঁহ্যাঁ করো। বিসু অ্যাজেন্ডা যথারীতি দর্পণে সিসু অ্যাজেন্ডার প্রতিবিম্ব- "নানা" মত "নানা" পথ ইত্যাদি ইত্যাদি। পাপারা চিরকাল কহে সিসু ও বিসু বড়া নাম করেগা কিন্তু নিজেদের আর বড় হওয়া হয়ে ওঠে না, কোনো বড়সুলভ কনসিস্টেন্সিও আসে না।

    সমাজতন্ত্র গণতন্ত্র সাম্যবাদ পুঁজিবাদ তসলিমা রিজওয়ানের মা বার্ড ফ্লু মার্ডার ক্লু সৌরভ গাঙ্গুলি বইমেলা ডাঙ্গুলি ন্যানো হ্যানো ত্যানো- পাপারা সব জায়গায় আছে আবার কোনো জায়গায় নেই- এই হল সাবেকী পাপাধর্ম। যখন সিঙ্গুরে ঝামেলা হল পাপারা চ্‌চ্‌চ্‌ করে বিষাদে মাথা নাড়ল আর সেভিংসে টাকা জমানোর হার একটু বাড়িয়ে দিল। নন্দীগ্রামে বা পার্ক সার্কাসে পাপারা মারা গেলে উদুম খচে গিয়ে মিছিলে হেঁটে এল পোস্টারে সই দিয়ে এল মোমবাতি জ্বালিয়ে এল, আবার তসলিমা নিয়ে সিসুবিসুরা হৈচৈ শুরু করলে পাপারা পরম হেলায় জাস্ট কাটিয়ে দিল কারণ পাপাদের থেকে বিদেশী সেলিব্রিটি বেশি স্বাধীন হবেন কেন পাপারা বোঝে না। ন্যানো বেরোলে যে পাপাবদন গাড়ি কেনার আশায় উজ্জ্বল হল সেই পাপাবদনই পার্ক সার্কাস ময়দানের দূষণ নিয়ে হাইকোর্টের রায় শুনে উজ্জ্বল হয়ে বলে উঠল- ঠিক হয়েছে শা.....। এই পাপা বস্তুটি শুধু রাজনীতিকদের কাছে বিড়ম্বনা নয়, সিসু ও বিসুদের কাছেও বিড়ম্বনা।

    - বললে বিশ্বাস করবে না এদের অনেকে কো-অর্ডিনেশন কমিটি করে, দুর্গাপূজা করে!
    - আরও লজ্জার ব্যাপার হল এরা শুধু অর্থ চায়, শুধু ভোগ চায়!
    - এরা বই চায় না, গাড়ি চায়!
    - আর এদের ছেলেমেয়েরা বই পড়লেও লীলা মজুমদার চায় না, হ্যারি পটার চায়!
    - বড় হলে অধ্যাপক হতে চায় না, বি পি ও-তে চাকরি করতে চায়!
    - খোসা উঠে যাওয়া কফিহাউস চায় না, ঝাঁ চক্‌চকে শপিং মল চায়!
    - কলকাতার নস্টালজিক ঘেমো গন্ধ চায় না, হুস্‌হাস্‌ ফ্লাইওভার চায়!
    - শুধু চায় তাই নয়, এদের দেখাদেখি এদের নীচের লোকগুলো, মানে এদের বাড়ির রঙের মিস্তিরি, কাজের লোক, ইস্ত্রিওআলা, মাছের দোকানী-তারাও সেই একই জিনিষ চায়!
    - বিশ্বায়নের কুফলটা দেখেছেন?
    - সেই প্রজ্ঞাময় জীবনদর্শন কোথায়?
    - কোথায় সেই আলোকসম্ভব দিনের উজ্জ্বল সংগ্রামী চেতনা?
    - কোথায় সেই আবিশ্ব মানববন্ধনের সুদৃঢ় সংকল্প?
    - চতুর্দিকে স্বার্থপর আরামপ্রিয় স্থূলরুচি মানুষের ভিড়।
    - কই সে আগের মানুষ কই?
    - কই?

    এমতমূহুর্তে স্বর্গ হইতে আকাশবাণী ভাসিয়া আসিল-

    নাই স্যার। মানুষ নাই। আপনারাও কি আর মানুষ আছেন স্যার? কেউ টাউন হলের সিসু অবতার, কেউ পেজ থ্রির বিসু অবতার। প্রাইজ পেয়েছেন, ফ্ল্যাট পেয়েছেন, স্তাবকের দল পেয়েছেন, আর বেশি লোভ করবেন না। বিদ্যাসাগর বলে গেছেন- "যাহা পায় তাহাই খায়, যাহা পায় তাহাই পরে; ভাল খাইব, ভাল পরিব বলিয়া উৎপাত করে না।" এত বড়মানুষের কথা মিথ্যা প্রমাণ করবেন না। পাপাদের নিয়ে ভেবে কি আর করবেন স্যার? এ আমার পাপা, এ আপনারও পাপা।

    ফেব্রুয়ারী ৩, ২০০৮
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ | ৯২৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন