সম্পূর্ণ সহমত। শিক্ষাজগত এই এক অদ্ভূত বিভাজনের শিকা।।
এবং,
"
যারে তুমি নীচে ফেল সে তোমারে বাঁধিবে যে নীচে
পশ্চাতে রেখেছ যারে সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।
অজ্ঞানের অন্ধকারে
আড়ালে ঢাকিছ যারে
তোমার মঙ্গল ঢাকি গড়িছে সে ঘোর ব্যবধান।
অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান। "
সেকি! ভারতীয় লেনোভা ল্যাপটপ আর ভিভো স্মার্ট ফোনে এপারে বাজার ছেয়ে গেছে। এগুলো ব্র্যান্ডের না হলেও তুলনামূলক সস্তা ও কাজের, তাই দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
একারণে ধারণা হয়েছিল, ওপারে বোধহয় ডিজিটাল দুধ ও মধুর নহর বইছে। সত্যিই অবস্থা বেশ নাজুক।
এপারেও অবস্থা তথৈবচ। সরকারকেই আসলে ছাত্রদের কমদামে কম্পিউটার ও যথেচ্ছ বিনামূল্যে ওয়াইফাই নিশ্চিত করতে হবে।
মাঝে একবার ১০ হাজার টাকায় ল্যাপটপ নির্মাণ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু দুর্নীতিতে সে প্রকল্প ভেস্তে গেছে। আর এখন বাজারে দেশি নির্মাতা ছাড়াও ভারত ও চীনের পণ্যে ছেয়ে গেছে। তবু এসব ল্যাপটপ বা ট্যাব নিম্নবিত্তের হাতের নাগালে আসেনি।
তবে অনেক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ই ক্যাম্পাস ভিত্তিক ফ্রি ওয়াইফাই দিয়েছে। অবশ্য লক ডাউন পরিস্থিতিতে এসব খুব কাজে আসছে না।
তবু আমার এক কলেজের মাস্টার বন্ধু ফেসবুক পেজে কিছু লেকচার আপলোড করে পাঠ্যক্রমে ছাত্রছাত্রীদের এগিয়ে রাখার উদ্যোগ নিয়েছে। পরে তার সাথে যোগ দিয়েছে আরও কয়েকজন শিক্ষক। ফেসবুকেই প্রশ্নোত্তর পর্বও রয়েছে। এটি একটি উদাহরণ মাত্র। এরকম আরও অসংখ্য উদ্যোগ রয়েছে।
আর সরকারি পর্যায়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠদান চলছে টেলিভিশনে। তবে কোথাও বাধ্যবাধকতা নেই। লেখাপড়ার চর্চা রাখাই মূল উদ্দেশ্য।
অনেক বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁঁড় করিয়েছেন স্বাতী মৈত্র। আপনাকে ধন্যবাদ।
আরও লিখুন