এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • অনলাইন শিক্ষা ও সোনার পাথরবাটি

    স্বাতী মৈত্র লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৯ এপ্রিল ২০২০ | ৩৬০১ বার পঠিত
  • এনএসএসের ২০১৮ সালের হাউজহোল্ড কঞ্জাম্পশন রিপোর্ট অনুযায়ী গ্রাম বাংলায় ২.২% পরিবারের কম্পিউটার অ্যাক্সেস আছে, ৭.৯% পরিবারের ইন্টারনেট (ফিক্সড ও মোবাইল কানেকশন) অ্যাক্সেস আছে। শহরে এটা ২৩% আর ৩৬%। সব মিলিয়ে দাঁড়ায় ৯.৪% আর ১৬.৫%।

    জাতীয় গড় ১০.৭% আর ২৩.৮%। সবথেকে বেশি দিল্লীতে - যেখানে 'রুরাল' এলাকাগুলোও শহরাঞ্চলের মধ্যে - ৩৪.৯% ও ৫৫.৭%। পূর্ণ রাজ্যের হিসেবে সবথেকে বেশি কেরালায়, যেটাও কিনা মাত্র ২৩.৫% ও ৫১.৩%। সবথেকে কম উড়িষ্যা, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্র প্রদেশ।

    ইন্টারনেট ব্যবহারের তথ্য দ্রুত পরিবর্তনশীল, তাই ধরে নেওয়া যায় ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে দাঁড়িয়ে এটা আরও বেড়েছে। কিন্তু, কতটা?

    সাধারণত এই প্রশ্নগুলোর উত্তর নিয়ে আমাকে বা আমার পেশার অন্য অনেককে খুব একটা মাথা ঘামাতে হয়না, কিন্তু কোভিড-১৯ অতিমারী আমাদের সরাসরি এই সমস্যার সম্মুখীন করে দিয়েছে। দেশের নানা প্রান্তে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ঝাঁপ বন্ধ করবার পর আদেশ এসেছে, অনলাইন পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করে ছাত্রছাত্রীদের যথাসম্ভব ব্যস্ত রাখতে হবে। কোথাও সেই আদেশ মোটামুটি মানবিক, যেমন পশ্চিম বাংলায় - কড়াকড়ি বা জোরাজুরি খুব একটা নেই, কঠিন এই সময়ের কথা মাথায় রেখে। কোথাও আবার সেই আদেশ জবরদস্তি - দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন ইতিমধ্যেই ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট জমা করে দিতে হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের। কুণ্ঠিত স্বরে কিছু কিছু পড়ুয়া জানিয়েছে, তাদের বাড়িতে কম্পিউটার নেই, সে কী হাতে লিখে লেখা স্ক্যান করে দিতে পারে? অনেকেই পাঠ্যবই ছাড়া আটকে গেছে নানা জায়গায়, সহকর্মীরা তাদের জন্য হন্যে হয়ে সফট কপি খুঁজে দিয়েছেন অন্তর্জালের আনাচ কানাচ থেকে, ফোনে পড়া বুঝিয়ে দিয়েছেন যথাসাধ্য। এই চিত্র সারা দেশে।

    এ কথা শুনে অনেকে হয়তো প্রশ্ন করবেন - করেছেনও - আজকাল তো সবার হাতে একটা স্মার্টফোন আছে, জিও সিম আছে, তাও এত অসুবিধা?

    এই 'কমন সেন্স' ধারণাটাই - "আজকাল তো সবার হাতে একটা স্মার্টফোন আছে, জিও সিম আছে" - কিন্তু কোভিড-১৯ অতিমারী একেবারে ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই বলি।

    ২২ মার্চ জনতা কারফিউ, ও তার পরবর্তী লকডাউন হওয়ার আগেই দেশের নানা প্রান্তে স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে যায়। এ রাজ্যেও তাই হয়। এ ধরণের কিছু একটা হতে পারে আশঙ্কা করে আমি ১১ই মার্চ নাগাদ একটি গুগল ফর্ম তৈরি করে আমার ছাত্রছাত্রীদের বলি সেটা ভরতে, যথাসাধ্য। শেষমেশ ৯১ জন ছাত্রের কাছ থেকে উত্তর পাই, যা স্যাম্পল হিসেবে খুব বৃহৎ না হলেও মোটামুটি আমার নিজের পরিসরের একটি চিত্র আমার সামনে তুলে ধরে। ৯১ জনের মধ্যে ৬৯ জন জানায় যে তারা ইন্টারনেট অ্যাক্সেসের জন্য কেবলমাত্র মোবাইল ফোনের উপর নির্ভরশীল, বাড়িতে কম্পিউটার বা ট্যাবলেট নেই। এ ছাড়াও দেখা যায় যে এদের মধ্যে বেশির ভাগেরই বাড়িতে ইন্টারনেট কানেকশন বলতে ফোনের ডাটা প্ল্যান। কয়েকজন জানায় যে তাদের পক্ষে অর্থনৈতিক কারণে ঘন ঘন ফোন রিচার্জ করা সম্ভব নয়। এই চিত্র দেখে মোটামুটি শুরুতেই পরিষ্কার হয়ে যায় যে আর যেখানে যাই হোক, আমার পক্ষে জুম বা হ্যাংআউট জাতীয় কোন সরাসরি ভিডিও কলিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ক্লাস নেওয়া সম্ভব নয়। লকডাউন যত এগিয়েছে, তত এই ধারণা দৃঢ় হয়েছে। একের পর এক ছাত্র জানিয়েছে যে তার নেটওয়ার্কের অবস্থা ভালো নয়। একজন জানিয়েছে যে লকডাউনের পর থেকে তার আর আদৌ ডাটা অ্যাক্সেস নেই, যেটুকু সে পেয়েছে তা পরিবারের এক সদস্যের হটস্পট ধার করে, যদিও সেটাও সীমিত। বেশ কিছু ছাত্রের সাথে কোন যোগাযোগ করাই যায়নি। জিজ্ঞাসা করা হয়নি, তারা কীরকম মোবাইল সেট ব্যবহার করে, জুম বা ক্যানভাসের মতন নতুন অ্যাপ ডাউনলোড করা তাদের পক্ষে কতটা সম্ভব, আদৌ সম্ভব কি না।

    এর মধ্যেই অনলাইন পঠনপাঠন চলেছে। আমার সহকর্মীরা অনেকে অডিও রেকর্ড করে ওয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আমি নিজে ওয়াটসঅ্যাপ অপছন্দ করি বলে গুগল ক্লাসরুমে রেকর্ড রাখা শুরু করেছি, ইউটিউবে লেকচার আপলোড করতে শিখেছি। কেউ কেউ অল্প লেখা লিখেও দেখিয়েছে, আমি সময় নিয়ে মতামত দিয়েছি। কেউ কিছু বুঝতে চেয়েছে, ফোনে-ওয়াটসঅ্যাপে বুঝিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এতে যে তথাকথিত ডিজিটাল ডিভাইডের অপর প্রান্তে থাকা ছাত্রছাত্রীরা একেবারেই বাদ গেছে, সেই নিয়ে কিন্তু কোন সন্দেহ নেই। এমনকি যেই বৃহৎ সংখ্যার পড়ুয়ার হাতে শুধুই মোবাইল ফোন, তারাই বা কতদূর পড়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে, এই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে -- এ কথা হয়তো কেউই অস্বীকার করবেন না যে মোবাইল ফোন ঠিক লেখাপড়ার জন্য তৈরি নয়।

    আর এর মধ্যে যদি খবর আসে কোন এক ছাত্রের মানসিক অবস্থা ভয়ানক, কারণ তার বাবার চাকরি গেছে? অথবা কারো উপরে পুরো গৃহকর্মের দায়িত্ব এসে পড়েছে? যদি খবর আসে যে কোন ছাত্র ইন্টারনেট কানেকশন পেয়ে থাকলেও ভিডিও কল ধরতে রাজি নয়, কারণ তার বন্ধুরা তাহলে তার ঘরের অবস্থা দেখতে পাবে? এরকম খবর পেয়েছেন বহু সহকর্মী, দেশের বহু প্রান্তে। আর এই সমস্ত কিছুর মধ্যে অসহায় হাসি হেসেছেন কাশ্মীরে নানা জায়গায় কর্মরত সহকর্মীরা, কারণ তাঁরা এই ভয়াবহ অতিমারী পরিস্থিতি ও অনলাইন টিচিংয়ের যুগেও ২জি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছেন।

    এই অবধি পড়ে হয়তো অনেকে বলবেন, এই কটা দিনের তো ব্যাপার, মানিয়ে নাও - তারপর তো ঠিক হয়ে যাবে। 'ঠিক' হয়ে যাবে, যদি মেনেও নিই, তারপরেও কিছু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার সাথে যারা যুক্ত, তাঁরা জানেন যে বেশ কিছু বছর যাবৎ - মোটামুটি একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশক থেকেই - ভারতীয় পলিসিমেকাররা 'শিক্ষা ক্ষেত্রে আইসিটি' প্রসঙ্গে উৎসাহিত, এবং সেই দৌলতে শোধগঙ্গা বা ন্যাশনাল ডিজিটাল লাইব্রেরীর মতন বেশি কিছু ভালো উদ্যোগ পাওয়া গেছে। অনুদানের টাকায় বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার বসেছে, প্রজেক্টর বসেছে, লাইব্রেরী ডিজিটাইজ হয়েছে। আবার তারই সাথে এআইসিটিইর ২০১৮ সালের 'মডেল কারিকুলাম' অনুযায়ী 'অনার্স' সহ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী পেতে গেলে ২০ ক্রেডিট অনলাইন কোর্সের মাধ্যমেই সম্পূর্ণ করতে হবে, এটাও কিন্তু কিছু জায়গায় 'নিউ নর্মাল' হয়ে গেছে অনেকের অজান্তে। জাতীয় শিক্ষানীতির নতুন খসড়ায় জোর দেওয়া হয়েছে ছাত্রসংখ্যা (গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও) বাড়ানোয় - এবং একই সাথে, প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমানোয় (খসড়া অনুযায়ী, ৫০,০০০ নানা মাপের প্রতিষ্ঠান থেকে ১২,৩০০ প্রতিষ্ঠানে নামিয়ে আনা হবে)। এ হেন আজগুবি অঙ্ক কিন্তু তখনই বাস্তব হতে পারে যখন একটা বৃহৎ সংখ্যক ছাত্রছাত্রীকে কেবলমাত্র অনলাইন শিক্ষার দিকেই ঠেলে দেওয়া হয়, এবং 'ইন পার্সন' শিক্ষা কেবল কিছু সংখ্যক ছাত্রের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়। কোভিড-১৯ অতিমারীর মতন একটা জনস্বাস্থ্য এমারজেন্সির মাঝেই কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের #ভারতপড়েঅনলাইন ক্যাম্পেন দেখে আশঙ্কা হয়, হয়তো অনলাইন শিক্ষা-নামক 'টেকনলজিকাল সলিউশনের' মোহ এ দেশের পলিসিমেকারদের এখনো আচ্ছন্ন করে রেখেছে। তাও এমন এক সময়ে, যখন সারা বিশ্বে ইন্টারনেট শাটডাউনের তালিকায় সর্বপ্রথম ভারতবর্ষ।

    কোভিড-১৯ অতিমারী আমাদের সমাজের বহু বিভাজনকে আরও বেশি প্রকট করে দিয়েছে। অতিমারী একদিন বিদায় নিলেও তার ক্ষতচিহ্ন কিন্তু অত সহজে বিদায় নেবেনা। অনলাইন শিক্ষার সোনার পাথরবাটির সন্ধান ভারতবর্ষের ডিজিটাল ডিভাইডকেও একই ভাবে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৯ এপ্রিল ২০২০ | ৩৬০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Prativa Sarker | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ১৫:৪৩92532
  • সম্পূর্ণ সহমত। শিক্ষাজগত এই এক অদ্ভূত বিভাজনের শিকা।। 

  • | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ১৮:১৬92536
  • এই ডিজিটাল ডিভাইডের আশঙ্কা আজ থেকে প্রায় বোচোর পোনেরো আগে আমরা কেউ কেউ করেছিলাম। 'হোল ইন দ্য ওয়াল' প্রোজেক্টের কথা শুনে থাকবেন অনেকেই, সেটাও তৈরী হয়েছিল এই ডিভাইড কমানোর জন্য। বোলাই বহুল্য সেসব বিশেষ প্রসারিত হয় টয় নি। এক অনলাইন ফর্ম ভরার ব্যবস্থা রাখলেই যে পরিমাণ ক্যাওস হয় তো আস্ত কারিকুলামই অনলাইনে তুলে দিলে পড়াশোনা ব্যপারটাই লাটে উঠবে একটা বড় অংশের।

    স্বাস্থ্য, শিক্ষা এগুলো হল বেসিক ইনফ্রা, তা সেটাতেই সরকার আদৌ টাকা পয়সার যোগান বাড়াবে না বরং কমাবে তো আর কি হবে।
  • একলহমা | ২১ এপ্রিল ২০২০ ১০:৩৪92587
  • এবং, 

    "

    যারে তুমি নীচে ফেল সে তোমারে বাঁধিবে যে নীচে

    পশ্চাতে রেখেছ যারে সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।

                  অজ্ঞানের অন্ধকারে

                  আড়ালে ঢাকিছ যারে

    তোমার মঙ্গল ঢাকি গড়িছে সে ঘোর ব্যবধান।

    অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান।   "

  • বিপ্লব রহমান | ২২ এপ্রিল ২০২০ ১৫:১৫92613
  • সেকি! ভারতীয় লেনোভা ল্যাপটপ আর ভিভো স্মার্ট ফোনে এপারে বাজার ছেয়ে গেছে।  এগুলো ব্র‍্যান্ডের না হলেও তুলনামূলক সস্তা ও কাজের, তাই দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। 

    একারণে ধারণা হয়েছিল,  ওপারে বোধহয় ডিজিটাল দুধ ও মধুর নহর বইছে। সত্যিই অবস্থা বেশ নাজুক। 

    এপারেও  অবস্থা তথৈবচ।  সরকারকেই আসলে ছাত্রদের কমদামে কম্পিউটার ও যথেচ্ছ বিনামূল্যে ওয়াইফাই   নিশ্চিত  করতে হবে। 

    মাঝে একবার ১০ হাজার টাকায়  ল্যাপটপ নির্মাণ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল,  কিন্তু দুর্নীতিতে সে প্রকল্প ভেস্তে গেছে।  আর এখন বাজারে দেশি নির্মাতা ছাড়াও ভারত ও চীনের পণ্যে ছেয়ে গেছে। তবু এসব ল্যাপটপ বা ট্যাব নিম্নবিত্তের হাতের নাগালে আসেনি। 

    তবে অনেক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ই ক্যাম্পাস ভিত্তিক ফ্রি ওয়াইফাই দিয়েছে। অবশ্য লক ডাউন পরিস্থিতিতে এসব খুব কাজে আসছে না। 

    তবু আমার এক কলেজের মাস্টার বন্ধু ফেসবুক পেজে কিছু লেকচার আপলোড করে  পাঠ্যক্রমে ছাত্রছাত্রীদের এগিয়ে রাখার উদ্যোগ নিয়েছে। পরে  তার সাথে যোগ দিয়েছে আরও কয়েকজন শিক্ষক।  ফেসবুকেই প্রশ্নোত্তর পর্বও রয়েছে। এটি একটি উদাহরণ মাত্র। এরকম আরও অসংখ্য উদ্যোগ রয়েছে।      

    আর সরকারি পর্যায়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠদান চলছে টেলিভিশনে।  তবে কোথাও বাধ্যবাধকতা নেই। লেখাপড়ার চর্চা রাখাই মূল উদ্দেশ্য। 

    অনেক বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁঁড় করিয়েছেন স্বাতী   মৈত্র। আপনাকে ধন্যবাদ। 

    আরও লিখুন                                                                           

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন