এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • করোনা, রাষ্ট্র এবং যুদ্ধপরিস্থিতি

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১১ এপ্রিল ২০২০ | ৪২০১ বার পঠিত
  • আমি করোনা বিশেষজ্ঞ নই। জীবাণু বা জনস্বাস্থ্য বিষয়েও বিশেষজ্ঞতার ধারেকাছেও যাইনা। তাহলে এটা লিখছি কেন? কারণ, চারদিকে দেখছি, লকডাউনে হাঁফিয়ে যাওয়া মানুষ, নানারকম পাগলামি করছেন, এবং লকডাউন উঠে গেলেই করোনামুক্ত পৃথিবীতে আবার নিঃশ্বাস ফেলবেন, এই আশায় দিন কাটাচ্ছেন। এই লেখা নেহাৎই সাধারণজ্ঞান নির্ভর। কিন্তু স্পষ্ট করে সাধারণ কথাগুলোই বিশেষ কেউ লিখছেন বলে দেখছি না। তাই এই পুচকে লেখা।
    ---------
    লকডাউন উঠে গেলেই কি করোনা ফিনিশ? স্পষ্ট করে প্রথমেই বলে নেওয়া দরকার, না। এই ধুন্ধুমার লকডাউন উঠে গেলে পৃথিবী আদপেই পৃথিবী করোনামুক্ত হবেনা। একবার যখন এসে পড়েছে, ভাইরাসটি আছে এবং থাকবে। নির্মূল হবেনা। সে চেষ্টাও পৃথিবীর কোনো দেশের কোনো স্বাস্থ্যসংস্থা বা সরকার করছেনা। অতএব, যদি নেহাৎই প্রশান্ত মহাসাগরের কোনো দ্বীপে গিয়ে একাকী বসবাস না করতে পারেন, আজ হোক বা ছমাস পরে, এর সংস্পর্শে আপনি আসবেনই, যদি না ইতিমধ্যেই এসে গিয়ে থাকেন। তার মধ্যে কোনো টিকা বেরিয়ে যাবার সম্ভাবনা খুবই কম। (যখন বেরোবে তার পরেও, ফ্লুয়ের মতোই ভাইরাসের নতুন কোনো গোষ্ঠী সম্ভবত উদয় হবে, টিকা যার কোনো প্রতিষেধক নয়।) ফলে ভাইরাস নাকের ডগায় এলে আপনার ভরসা আপনার প্রতিরোধক্ষমতা। কোনো লকডাউন, কোনোভাবেই আপনাকে তার থেকে বাঁচাবেনা। গোষ্ঠীগতভাবে মানুষ যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জার বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা অর্জন করেছে, সেভাবেই করোনার বিরুদ্ধেও করবে। এইটিই একমাত্র পথ। কোনো সরকার, কোনো স্বাস্থ্যব্যবস্থা, অন্য কোনো পথ এখনও দেখায়নি, দেখানোর সুযোগও নেই। এবং এই লকডাউন, তথাকথিত সামাজিক দূরত্ব, এসব কেবল এক সাময়িক ব্যবস্থা। এতে করে ভাইরাস নির্মূল হয়না। ভাইরাল নির্মূল করার কোনো চেষ্টা আদপেও কোথাও করাও হচ্ছেনা।

    তাহলে হচ্ছে টা কী? এই দূরত্ব বজায় রাখা, দরজা বন্ধ রাখা, এসব দিয়ে একটাই জিনিস হচ্ছে। খুব কায়দা করে যেটাকে বলা হচ্ছে বক্ররেখাকে সিধে করা। ফ্ল্যাটেনিং দা কার্ভ। অর্থাৎ, ছড়ানোর গতিটা একটু কমানো। নানা জায়গায় লোক সমাগম হলে খুব দ্রুত ভাইরাস ছড়াবে। দরজা বন্ধ করে রাখলে ধীরে। অর্থাৎ, আপিস-কাছারি-দোকান-বাজার করলে আপনি হয়তো আগামী কালই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসতেন। এখন দরজা বন্ধ করে রাখার ফলে তিনমাস বা ছমাস পরে আসবেন। কিন্তু আসবেনই যে, এতে বিশেষ কোনো সন্দেহ নেই। ফলে, যারা করোনাক্রান্ত বা তার পরিবারকে কুষ্ঠরোগীর মতো করে দেখছেন, পাড়ায় গিয়ে হামলা করছেন, কীটনাশক দিয়ে চান করাচ্ছেন, ডাক্তার-নার্সদের বাড়িছাড়া করছেন, তাঁদের একটাই কথা বলার। উন্মাদনা দিয়ে ভাইরাস আটকায়না। করোনা যদি কুষ্ঠ হয়, তো এই কুষ্ঠের সংস্পর্শে আপনাকে আসতেই হবে। আজ বা কাল। এই লকডাউনে ব্যাপারটা একটু ধীরগতিতে চলছে। এই মাত্র। পরশুদিন আপনার জ্বর হলে, শুকনো কাশি হলে, আপনাকেও অবিকল এইভাবেই দেখা হবে। পাড়ার লোকে আপনাকেও বলবে, দেকেচো কীরকম ভাইরাস ছড়াচ্ছিল ব্যাটা? গণশত্রু কোথাকার। মনে রাখবেন, সাবধানতা আর উন্মাদনা এক জিনিস নয়। সাবধান হয়ে আপনি ভাইরাসকে ধীরগতিকে ছড়াতে দিচ্ছেন। আর উন্মাদ হয়ে যেটা করছেন, সেটা সামাজিক অস্থিরতা তৈরি।

    এবার কথা হল, আজ বা কাল, যখন ভাইরাস নাকের ডগায় আসবেই, তখন এই ধীরগতিতে ছড়িয়ে লাভটা কী? দুখানা লাভ।

    ১। বহু লোক একসঙ্গে ভাইরাসের কবলে পড়লে, বেশিরভাগেরই হয় কিচ্ছু হবেনা, কিংবা সামান্য জ্বর-কাশি হবে, কিন্তু একটা ভগ্নাংশের অবস্থা গুরুতর হবেই। খুব দ্রুতগতিতে ছড়ালে এই ক্ষুদ্র ভগ্নাংশের সংখ্যাই অনেক বেশি হবে। তাদের চিকিৎসা করা যাবেনা। ভারতবর্ষে যদি ১০ কোটি লোক ৭ দিনে করোনা ভাইরাসের সংস্পর্শে আসেন, তাঁদের মধ্যে ১০ লাখ লোককে যদি হাসপাতালে যেতে হয়, তাহলে চিকিৎসা দূরস্থান, হাসপাতালের করিডোর পার করে রাস্তায় অবধি রোগশয্যা পাততে হতে পারে। পরিকাঠামোর এমনই হাল। তখন চিকিৎসার অভাবেই বেশ কিছু লোক মারা যাবেন, যারা হয়তো বেঁচে থাকতেন। এই অবস্থা যাতে না হয়, অসুস্থতা যাতে ধীরেসুস্থে ছড়ায়, হাসপাতালে চাপ না পড়ে, সেই কারণেই ধীরগতিতে ছড়ানোর প্রস্তাব।

    ২। ধীরগতিতে ছড়ালে গোষ্ঠীগত প্রতিরোধক্ষমতা, কোনো অলৌকিক পদ্ধতিতে বেড়ে যেতে পারে। এটা কী করে হবে স্পষ্ট নয়। বিশেষ্জ্ঞরা এ ব্যাপারে আমার আপনার চেয়ে বেশি কিছু জানেন বলেও মনে হয়না। কীকরে কিছু দেশে ভাইরাস কম ছড়াচ্ছে, কিছু দেশে বেশি, যেখানে কম ছড়াচ্ছে, সেখানে আদৌ কম ছড়াচ্ছে কিনা, নাকি মানুষ প্রতিরোধ করে ফেলছে, নাকি অন্য কোনো গূঢ় ব্যাপার আছে, সেসব কেউই জানেননা। কিন্তু, প্রতিতুলনা দিয়ে বলতে গেলে, এক লহমায় সবাইকে বাঘের মুখে ফেলার চেয়ে একটু একটু করে ফেললে হয়তো লোকজন বাঘকে আটকেও দিতে পারে প্রস্তুত হয়ে, চিন্তাপদ্ধতিটা অনেকটা এরকম।

    দুটো কারণই সহজবোধ্য। কিন্তু এগুলো ভাইরাস নির্মূল করার পদ্ধতি নয়। লকডাউন দিয়ে ভাইরাস নির্মূল হবেনা। চিকিৎসার পরিকাঠামো যাতে ভেঙে না পড়ে, সে জন্য লকডাউন একটি সাময়িক ব্যবস্থামাত্র। এই সাময়িক ব্যবস্থাপনায় এমনিতে কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অন্য জায়গায়। চিকিৎসা ব্যবস্থা, এই মূহুর্তে, কয়েকটি দেশ বাদ দিলে, প্রায় সারা পৃথিবীতেই একটি লাভজনক ব্যবসা। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে সরকারি ব্যয়বরাদ্দ কোথাওই প্রয়োজনের চেয়ে অনেক নিচে। এবং চিকিৎসা যে মানবাধিকার, এটা প্রায় কেউই স্বীকার করেনা। স্বাস্থ্য এবং জনস্বাস্থ্যব্যবস্থার অপ্রতুলতার যে দায় সরকারের নেবার কথা, লকডাউন করে দিয়ে সেই দায় বস্তুত মানুষের ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে। দিগ্বিদিকে কেবলই শোনা যাচ্ছে লকডাউনই করোনা মোকাবিলার একমাত্র রাস্তা। এবং লকডাউন ভেঙে মানুষ কী দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ করে ফেলেছে। কিন্তু সরকারের দায়ের আলোচনা কোথাও নেই। কেন হাসপাতালে রোগির ভিড় সামাল না দেবার অসুস্থতার চিকিৎসা স্রেফ লকডাউন দিয়ে করা হবে, কেন চিকিৎসাব্যবস্থা এমন হবে, যে, একশো কুড়ি কোটির দেশে এক কোটি লোককে একদিনে জরুরি চিকিৎসা দেওয়া যাবেনা, কেন বাজেট বরাদ্দে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা বহু বহু নিচে, সে আলোচনা উধাও। এখন সব দায়িত্বই মানুষের। এবং বাদবাকিটা ধীরে-চলো নীতি। এতদ্বারা কোনো অজানা উপায়ে মানুষ যদি প্রতিরোধক্ষমতা অর্জন করেই ফেলে, তাহলে বলা যাবে, এই ব্যবস্থা দিব্যি কাজ করছে। না পারলে, সব দোষ দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষের। অনেকে একসঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়লে কীকরে সবাইকে চিকিৎসা দেওয়া যাবে? অতএব আপনারই দায়িত্ব অসুস্থ না হওয়া। রাষ্ট্র তাই আপনাকে বন্দী করে রাখবে। চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেনা। রাষ্ট্রের বিশেষ দায় নেই, আপনি অসুস্থ হয়ে যাতে না পড়েন, তার জন্য তো তারা কারফিউ জারি করে রেখেইছে। ব্যস দায়িত্ব খতম।

    এবং এটা ভাবা হচ্ছে এমনভাবে, যেন এর কোনো বিকল্প নেই। বলা হচ্ছে এমনভাবে, যেন লকডাউনই এক ও একমাত্র অমোঘ ওষুধ, যা ভাইরাস ঠেকাবে। অথচ, তা আদৌ নয়। লকডাউন ভাইরাস মারেনা। এবং এর বিকল্প বিলক্ষণ আছে। খুব স্বল্পবুদ্ধিতেই, বিকল্প হিসেবে যেটা হতে পারত, বা পারে, সেটা হল স্পষ্ট করে বলা, যে, লকডাউন কোনো চিরস্থায়ী সমাধান দেবেনা। ভাইরাস আছে ও থাকবে। সরকার যেটা করতে পারে, তা হল আক্রান্তদের চিকিৎসার সুযোগ। সেইটুকু করার জন্য লকডাউন কেবল একটু নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ দেবে। এবং সেই সময়ে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় বিপুল বিনিয়োগ করে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে চিকিৎসার সুবন্দ্যোবস্তো করে ফেলা হবে। সরকার সেই দায়িত্ব নেবে। সমস্ত মানুষের জন্য নেবে। একটা ভাইরাসের জন্য না, আগামীর সমস্ত সমস্যার জন্য নেবে। বাজেট বরাদ্দ বহুগুণ বাড়বে। এবং স্বাস্থ্য যে মানবাধিকার, এটা স্বীকৃত হবে। কিন্তু সেই দাবীই কোথাও নেই, ঘোষণা তো পরের কথা।

    এই দাবীগুলো আলোচনায় নেই কেন? তার কারণও পরিষ্কার। পৃথিবী জুড়েই এক যুদ্ধপরিস্থিতি তৈরি করে ফেলা হয়েছে। যুদ্ধের উন্মাদনা তৈরি করে ফেলা হয়েছে। কোনো যুদ্ধ ছাড়াই। রাষ্ট্র সমস্ত ক্ষমতা নিয়ে নিয়েছে, কিন্তু প্রাথমিক বিষয়গুলো নিয়ে তার আর কোনো দায়িত্ব নেই। কারণ এখন যুদ্ধপরিস্থিতি। এখন শুধু জরুরি ভিত্তিতে শত্রু ঠেকানোর লড়াই। বাকি সবই গৌণ। এই লড়াইয়ে প্রতিটি মানুষই সৈন্য। তাদের শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে হবে। শৃঙ্খলা ভাঙলে শাস্তি। কেউ কেউ আবার শৃঙ্খলা ভেঙে ভাইরাস পক্ষের গুপ্তচরও হতে পারেন, তাঁরা গণশত্রু। সেই কারণে প্রয়োজন তীব্র নজরদারি। কারণ এখন যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধের জয়-পরাজয় সবার আগে, সেনার কোর্ট মার্শাল হয়, তাদের জন্য অন্য নিয়ম। তাদের কোনো নাগরিক অধিকার নেই, থাকতে পারেনা। ব্যক্তির যে অধিকারগুলি গত একশ বছরে অর্জন করা গেছে, সেসবের আর কোনো মূল্য নেই। যে অধিকারগুলি, যেমন সবার জন্য স্বাস্থ্য, গণতান্ত্রিক পরিসরে রাষ্ট্রীয় নজরদারি বন্ধ করা, এসব এখন পিছনের আসনে। করোনা তো আগে তাড়াই দাদা।

    গত একশ বছরে কোনো যুদ্ধ নিয়ে, পৃথিবী জুড়ে এমন ঐকমত্য দেখা যায়নি। গত পঞ্চাশ বছরে নাগরিক জীবনে রাষ্ট্রের অবাধ হস্তক্ষেপ নিয়ে ডান ও বাম উদারনৈতিক ও রক্ষণশীলদের মধ্যে এমন একমত হওয়া দেখা যায়নি। গোটা পৃথিবী এখন শৃঙ্খলার নিগড়ে বাঁধা। সেনাবাহিনীর মতই শৃঙ্খলিত। শুধু মজা এই, যে, এই যুদ্ধ শত্রুকে নির্মূল করার নয়। ভাইরাস এভাবে নির্মূল হবেনা। স্বাস্থ্যকে মানবাধিকার হিসেবে ঘোষণার, স্বাস্থ্যের পরিঠামো বাড়ানোর, স্বাস্থ্যে রাষ্ট্রের দায়িত্ব সুনিশ্চিত করার একটা চেষ্টা করলে বরং একটা দীর্ঘমেয়াদি বদল আসতে পারত। কিন্তু সে চেষ্টাও কেউ করছেনা। এখন যুদ্ধ চলছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১১ এপ্রিল ২০২০ | ৪২০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ১১ এপ্রিল ২০২০ ০৮:৫৭92155
  • "যে অধিকারগুলি, যেমন সবার জন্য স্বাস্থ্য, গণতান্ত্রিক পরিসরে রাষ্ট্রীয় নজরদারি বন্ধ করা, এসব এখন পিছনের আসনে। করোনা তো আগে তাড়াই দাদা। "
    ব্যাক্তির পরিসরে রাষ্ট্রের নজরদারী প্রায় সবাই সানন্দে মেনে নিচ্ছে, নানারকম নজরদারীর উপ্যয় তৈরী হচ্ছে এবং নজরদারীর ক্ষেত্র বিস্তৃত হচ্ছে উদ্বেগজনকভাবে।
  • aranya | 173.245.***.*** | ১১ এপ্রিল ২০২০ ১২:৩২92162
  • ভাল লেখা। স্বাস্থ্য খাতে বাজেট প্রচুর বাড়ান হোক, স্বাস্থ্য হোক মানুষের মৌলিক অধিকার - এসব দাবী সত্যি ই চোখে পড়ছে না
  • sm | 172.69.***.*** | ১১ এপ্রিল ২০২০ ১৩:২৬92165
  • ধরা যাক , এবার ইতালি ও ইউ কে।দুটি ইওরোপীয় দেশ। লোক সংখ্যা 6 কোটি ও 5 কোটি।বাৎসরিক মর্টালিটি 10 শতাংশ মতন।এটা মোটামুটি সব উন্নত দেশের ই মর্টালিটি রেট।একটু উনিশ বিশ হয়,অবিশ্যি।
    অর্থাৎ প্রতি দিন গড়ে 1500 ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
    করোনা হেতু প্রতিদিন গড়ে এর সঙ্গে সাড়ে সাতশ (700) মৃত্যু যোগ হয়েছে।
    তাহলে কি এমন বিপুল চাপ হলো,যে এঁরা হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে?
    আমার মনে হয়,এক ই হাসপাতালে সাধারণ ও করোনা রোগী চিকিৎসা করতে গিয়ে ল্যাজে গোবরে হচ্ছে।
    মূল কারণ হলো স্টাফ খুব কম।অযথা প্রচণ্ড আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছে।
    এমতবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে ক্যাম্প হাসপাতাল বা স্টেডিয়াম,হোটেল,শপিং মল গুলো কে হাসপাতাল বানিয়ে শুধু করোনা রোগীর চিকিৎসার বন্দোবস্ত করলে যুক্তি যুক্ত কাজ হবে।
    আর্মি কে রাস্তায় পাহারা দেবার জন্য না রেখে হাসপাতাল নির্মাণ ও ম্যান পাওয়ার বাড়ানোর কাজে লাগিয়ে দিলে বেটার রেজাল্ট পাওয়া যাবে।
    ভারতের ক্ষেত্রেও এই স্টেপ নিলে,আখেরে বেটার রেজাল্ট পাওয়া যাবে। যতো স্ট্রিক্ট লক ডাউন হোক না কেন,কয়েক সপ্তাহ পর উঠিয়ে দিলে,যে কে সেই হয়ে যাবে।
    লক ডাউন হলো একটা নেগোশিয়েশন।ভাইরাস নামক শত্রুর কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেওয়া।এই সময়ের মধ্যেই প্রস্তুতি পর্ব সেরে ফেলতে হবে।
    অনন্ত কাল লকডাউন চালিয়ে গেলে বিরাট সংখ্যক লোক স্রেফ অনাহারে,অর্ধাহারে,কাজ হারিয়ে,চিন্তা ও আতঙ্কে শেষ হলে যাবে।
  • !! | 162.158.***.*** | ১১ এপ্রিল ২০২০ ১৩:৫৭92166
  • প্রতিদিনের গড় মৃত্যু দেড় থেকে দুগুণ হয়ে যাওয়া অযথা চাপ!!৷ তাও আবার এত সাবধানতা নিয়ে। না নিলে আরো কতগুণ হত কে জানে।৷ এই এত ছোঁয়াচে, এত বেশি সাবধানতা, চিকিতসা করার লোকেদের এত বেশি রিস্ক আর আর রিস্ক পেশেনটদের জন্য এত বেশি ফ্যাটালিটি রেট, এছাড়া সুস্থ হলেও ফুসফুসের আংশিক ড্যামেজ, এসবই চাপ এত বাড়িয়েছে।
    ফ্লুয়ের সংগে তুলনা করলে মনে রাখবেন, এত এত সাবধানতা ডিস্ট্যান্সিং লকডাউন করে এই হাল তো না হলে, মানে ফ্লু র জন্য যেমন হয়না, তাহলে কী হতে পারত। এটা অযথা ভয় কেন হতে যাবে!
  • sm | 162.158.***.*** | ১১ এপ্রিল ২০২০ ১৪:০৯92168
  • সাবধান হওয়া আর আতঙ্ক গ্রস্ত হবার মধ্যে পার্থক্য আছে।
    আগের পোস্টে আজকালের লিঙ্ক দেখুন তিনটে দেশে লক ডাউন সেরকম ভাবে ইমপ্লিমেন্ট না করেও সাফল্য পেয়েছে।
    লক ডাউন হলো অতিরিক্ত সময় পাবার উপায়।
    প্রস্তুতি এই সময় টুকুর মধ্যেই নিয়ে নিতে হবে।
    কতো সপ্তাহ লক ডাউন চালানো উচিত ভাবছেন?
    লক ডাউন হেতু আর্থিক ও মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিপুল মানুষের জন্য কি রকম ত্রাণের কথা ভাবছেন?
  • !! | 172.69.***.*** | ১১ এপ্রিল ২০২০ ১৫:৫৫92176
  • ভারতের মত লক ডাউন আদর্শ বা একমাত্র রাস্তা কেন হবে!! কিন্তু সুইডেন, দঃকোরিয়ার সংগে ভারতের জনসংখ্যা জনঘনত্বের কোন তুলনাই হয়না! এসবের সংগেই টেস্টিং রোগ ছড়ানো রোগের ইমপ্যাক্ট সব নির্ভরশীল। বস্তিগুলোতে একবার ঢুকলে কী হবে ভেবে দেখছেন, যেখানে সোশ্যাল ডিস্টান্সিং, হাইজিন মেন্টেনেনেন্স প্রায় কিছুই সম্ভব না। বাথরুম পর্যন্ত ৫০-১০০ জন লোক পিছু একটা। ধারাভির দশা কী হয় দেখুন।
    এই লকডাউনে আরো বেশি করে ছড়াল তাদের মধ্যে, সারাদিন এত এত লোক সর্বক্ষণ একসংগে থেকে। লোকে ওদের সিল করে বাইরে আসা আটকানোতেই ব্যস্ত। ওদের মধ্যে ঢোকা আটকানো নিয়ে যদি এত তৎপরতা দেখাত হায়!
  • sm | 162.158.***.*** | ১১ এপ্রিল ২০২০ ১৬:০২92177
  • দেখুন,আপনাকে দুটো প্রশ্ন করেছিলাম। লকডাউন কতদিন রাখা উচিত মনে করেন আর ত্রাণ প্রকল্প কেমন হওয়া উচিত?
    টেস্টিং সম্পর্কে আপনার কি মত?কম হচ্ছে?
    উত্তর হ্যাঁ হলে,কেন?
    দুই,সেরোলোজি টেস্ট শুরু হয়েছে?
    উত্তর হ্যাঁ হলে,কত জনের হয়েছে?
    উত্তর না,হলে - কারণ টা কি?
    একটু বেশি প্রশ্ন হয়ে গেলো বোধ হয়। আগাম ক্ষমাপ্রার্থী।
  • !! | 162.158.***.*** | ১২ এপ্রিল ২০২০ ০১:৫২92194
  • খেটে ও খুঁটে খান।
  • দ্রি | 162.158.***.*** | ১২ এপ্রিল ২০২০ ২৩:৩২92245
  • "ব্যাক্তির পরিসরে রাষ্ট্রের নজরদারী প্রায় সবাই সানন্দে মেনে নিচ্ছে, নানারকম নজরদারীর উপ্যয় তৈরী হচ্ছে এবং নজরদারীর ক্ষেত্র বিস্তৃত হচ্ছে উদ্বেগজনকভাবে। "

    করোনা একদিন চলে যাবে। কিন্তু নজরদারীটা রয়ে যাবে।
  • hkg | 108.162.***.*** | ১৩ এপ্রিল ২০২০ ২০:৪২92278
  • পিনাকী রৌহিন হুতো দের সঙ্গে kothaay মামু প্রসঙ্গ উঠেছে ---

    রৌ হীনের দেবা লিংকের প্রতিক্রিয়ায়।

    গুরু একটা কথা বোলো, বলছি যে এই বাঁদিকের নাম্বার গুলো কি? সময় যদি হয়, এটা কি চ্যাট স্ক্রিপ্ট। ফোঙ হলে এতো সময় লাগবে কথা বলতে?
    [01:36.02] JOHN: You mention in the piece that in fact you think containment would prolong the duration of the virus. Can you talk about that?
    [01:45.00] WITTKOWSKI: With all respiratory diseases, the only thing that stops the disease is herd immunity. About 80% of the people need to have had contact with the virus, and the majority of them won’t even have recognized that they were infected, or they had very, very mild symptoms, especially if they are children. So, it’s very important to keep the schools open and kids mingling to spread the virus to get herd immunity as fast as possible, and then the elderly people, who should be separated, and the nursing homes should be closed during that time, can come back and meet their children and grandchildren after about 4 weeks when the virus has been exterminated.

    না আগে তো আর পড়িনি। কিন্তু পড়ে হেবি লাগলো, হার্ড ইউমিউনিটি ডেভেলোপ করার জন্য বাচ্চাদের এগোতে বলছেন, সেটা কি আর পাবলিক হেলথ বা পলিটিশিয়ান রা মানতে পারবে? মানুষ মানতে পারবে?
    আর হার্ড ইউমিনিটির প্রসেস তা কি এতো টা ডি টার রমাইন করা গেছে? বৈজ্ঞানিক এর ব্যাপার। কিন্তু অসম্ভব প্রভোকেটিভ আর্গুমেন্ট, শুধু সেই জন্যেই খুব ই আকর্ষণীয়। মামুর "অশিক্ষিত' আর্গুমেন্ট ও মোটামুটি কাছাকাছি। অতএব আমাদের মামু জিন্দাবাদ। সার্ভেলিয়েন্স এর বিপদ শুধু না ভাইরাস লক ডাউনে উবে যাবে না এই কমন সেন্স থেকে লেখা। মামুর লেখা এই জন্য আমার ভালো লাগে এই কারণে। কারণ এটা শুধুই সার্ভেলেনস বিপদ নিয়ে একটা একটা আর্গুমেন্ট শুধুই হতে পারতো, তাতে ক্ষতি হতো না, তবে আর্গুমেন্ট টি পরিচিত হতো। কাউন্টার ইন্টুইটিভ হতো না। এগুলো মামুর কাছে শেখার। এবার টুক টাক তর্ক তো করাই যায়।

    যাই হোক, এগুলো বৈজ্ঞানিক দে র ব্যাপার। দীর্ঘ ট্রেনিং, গবেষণার ব্যাপার। তারা বলতে পারবেন। আমার মনে যে sob প্রশ্ন লজিক এর দিক থেকে ঘুরছে। নিশ্চয়ই সবার মনেই এটা ঘুরছে।

    ক- কার্ভ যেটা ফ্ল্যাটেন করার কথা বলা হয়, সেটা বলার সময় মনে হয়, পপুলেশন বায়োলজির কথা বলা হচ্ছে কিন্তু কার্ভ টা তো এক ই সঙ্গে হেলথ কেয়ার এর স্ট্রেস সামলানোর ক্ষমতার , বা সেটা বাড়ানোর জন্য সময় নেবার গল্প, মানে সেটাই লক ডাউনের লজিক। কিন্তু ক্লিয়ারলি যে সময়টা এই ফ্ল্যাটেনিং চলে তাতে সঙ্গে যেগুলো বলা হয়, খুব ই জনহিতকর পলিটিকাল উইল, আকাউন্টেবল সরকার ওয়ালা দেশ ছাড়া সেই সময়ে বড় ইনফরাষ্ট্রাকচার তৈরী করা সম্ভব না। তাহলে লক ডাউন কে লোকালাইজড করা ছাড়া রাস্তা কি? মানে বড় দেশে গোটা দেশ লক ডাউন , বিশেষত গোটা দেশ জুড়ে সমস্ত ডোমেস্টিক মুভমেন্ট এক ই সময় ধরে লক ডাউন করাটা (এবং বিনাপ্রস্তুতিতে) বিজ্ঞান সম্মত কি? মানে কেরালা মহারাশট্র ---দিল্লী রাজস্থান - হরিয়ানা -তামিল নাড়ু ---বাকি দেশ বা আরও কয়েকটা ফেজ ইত্যাদি ভাবে করা যেত কিনা। সঙ্গে টেস্টিং তা প্রথম থেকেই এগ্রেসিভলি করে। মানে তাতে লোকালাইজড কার্ভ গুলো ( হেলথ কেয়ার এর কেপেবিলিটি অর্থে) প্রথম থেকে এমন অবস্থায় থাকতো কিনা, যে রিলেটিভলি বেশি শার্প হতে পারছে না।
    খ - যারা ভালো রেসপন্ড করেছে বলা হচ্ছে, বা বিজ্ঞান সম্মত টেস্টিং করেছে বলা হচ্ছে, বার বার করেছে বলা হচ্ছে, তারা কেউ কি হার্ড ইমিউনিটির স্বার্থে বাচ্চাদের ফ্রীডম অফ মুভমেন্ট দিয়েছে?
    গ - যারা এপিডেমিওজিকাল মডেলার তাদের আর্গুমেন্ট ইন ফেভার ও হ্যামার এন্ড ডান্স বলো, বা এই আর্গুমেন্ট বলো, তাদের মূল ট্রেনিং যেহেতু ডেটা প্রসেসে, তাদের এডভাইস কিছুটা এগ্রেসিভ। যেটা হেলথ কেয়ার প্রফেশনাল দের, ডাক্তার দের, এমন কি জিনোম রিসার্চার দের ও হওয়া মুশকিল। বায়োলজি র সারাজীবনের বিষয় হিসেবেও উদ্দেশ্য , ডাইভার্সিটি আর স্পেসিফিসিটি খোঁজা। অতএব বিষহয়ের স্কোপ তাই কি এই ডিবেট গুলোর মূল কথা? জানি না, সত্যি ই আউটসাইডার হিসেবে জানা সম্ভব না, সাবজেক্টের ভেতরে তো আর ঢোকার উপায় নাই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন