এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • বিগ ক্যাটদের যুগ

    Sumit Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০২ মার্চ ২০২০ | ২৯৩৩ বার পঠিত
  • বিগ ক্যাটদের যুগ - ১ : চিতার বিবর্তনীয় ইতিহাস ও বর্তমান (করুণ) অবস্থা

    দেড় মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর ভূমির বেশিরভাগ অঞ্চলই ছোট ছোট ঘাসের স্তেপে আবৃত ছিল। সেই যুগের নাম ছিল প্লাইস্টোসিন যুগ। এরকম আলোড়নপূর্ণ সময় জুড়ে বরফ যুগ এসে পৃথিবীকে বারবার আঘাত করছিল। এই বরফ যুগ আসার সাথে সাথে বনাঞ্চল কমতে লাগল, আর তারফলে সর্বত্র ছেয়ে ফেল তৃণভূমিতে। আর এর ফলে শিকারী পশুদের হাতে শিকার হয়ে গেল সুরক্ষাহীন, নিরাপত্তাহীন।

    এখানে বিশাল দাঁত ওয়ালা স্যাবার-টুথেড মেগানটেরিয়ন (saber-toothed Megantereon) এর মত বেড়াল জাতীয় প্রাণী ওঁত পেতে আছে। চিতল হায়েনা (Spotted hyena), আইস এজড জায়ান্ট হায়েনারা (Ice age giant hyena) খুঁজে দেখছে সামনের পশুপালের মধ্যে কোন দুর্বলতা আছে কিনা। আর খাদ্য শৃঙ্খলের শীর্ষে আছে ড্যাগার-টুথেড হোমোথেরিয়াম (dagger-toothed Homotherium)। এরা হচ্ছে পশুদের পাল থেকে শিকার ধরা ঘাতক, যারা সেই সময় আফ্রিকা থেকে আমেরিকা পর্যন্ত প্রচণ্ড প্রতাপে বিরাজ করত। এরা বড় কিছুকে ধরার চিন্তা করছে, এমন কিছু যা আসলেই অনেক বড়। যেমন একটি তরুণ স্তেপ ম্যামথ। এটা ছিল সেবারটুথদের যুগ। এরাই ছিল তখন ভূমির শীর্ষ শিকারী।

    কিন্তু পরিস্থিতির আস্তে আস্তে পরিবর্তন হচ্ছিল। নতুন শক্তি এসে পুরনো নিয়মকে হুমকি দিচ্ছিল। এই নতুনরা এমন কিছু দক্ষতা নিয়ে এসেছিল যা এর আগে পৃথিবী কখনই দেখেনি। এরা হল বিগ ক্যাটস। এই সময় থেকে সেবারটুথদের ডিঙ্গিয়ে এই ক্ষমতায় এলো বিগ ক্যাটরা, আর তারা সেবারতুথদের লক্ষ বছরের বিশ্ব-আধিপত্যের যুগের সমাপ্তি ঘটালো। আর এর ফলে আজ এই সেবারটুথরা বিলুপ্ত। এই সেবারটুথদের প্রত্যেকটা প্রজাতি আজ উধাও, যেখানে প্রায় সব বিগ ক্যাটই টিকে গেছে। কিন্তু কেন তারা টিকে গেছে? কী তাদের গল্প?

    প্রথম এপিসোডে আমরা কেবল তাদের আবির্ভাবের সূত্রপাত নিয়েই কথা বলব। আমরা জানব কিভাবে চিতারা এত দ্রুত হল, কেন স্নো লেপার্ডরা এত অবিশ্বাস্য ঝুঁকি নেয়, আর কিভাবে জাগুয়াররা পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।

    উদ্ভব

    মধ্য এশিয়া - ১৫ লক্ষ বছর পূর্বে

    এই সময়ে বিগ ক্যাটদের আবির্ভাব হচ্ছে। সবার আগে যাদের আবির্ভাব হয় তাদের মধ্যে একটি ছিল চিতা (cheetah)। তাদের কাছে সেবারটুথদের মত ইয়বিশাল দাঁত ছিল না, আর ছিলনা হায়েনাদের মত হাড় ভাঙ্গানো চোয়াল। কিন্তু বেশিরভাগ বেড়ালের মতই, এই চিতাদের মধ্যেও এমন কিছু ছিল যা আর কারও মধ্যে ছিল না। এদের মধ্যে ছিল অনেক বেশি বিশেষ ধরণের অতিরিক্ত শক্তিশালী মাংসপেশী, যেগুলোকে ভেরি ফাস্ট-টুইচ মাসল (very fast-twitch muscle) বলে। আর এই মাংসপেশী চিতার হালকা ভারের কঙ্কাল এর সাথে মিলে যাওয়ার ফলে প্রাণীটি সক্ষম হল রেকর্ড ভাঙ্গা গতি তৈরি করতে। এটি অন্য যে কোন শিকারীকে দৌঁড়ে হারাতে সক্ষম ছিল। আর তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল, এটি তার সকল শিকারকে দৌঁড়ে হারাতে সক্ষম ছিল। আর আজ পর্যন্ত চিতাই হল সবচেয়ে স্থলের সবচেয়ে দ্রুতগামী স্তন্যপায়ী, বর্তমানের তো বটেই, সেই সাথে অতীতেরও যেকোন সময়ের মধ্যে এটি সবচেয়ে দ্রুত। কিন্তু তাদের এই অর্জনের জন্য ত্যাগও স্বীকার করতে হয়েছে। তাদের কোন স্টামিনা নেই, অর্থাৎ এরা খুব দ্রুত হাঁপিয়ে যায়।

    এশিয়ায় বরফ যুগের সময় এর তৃণভূমিগুলো সব দিকেই হাজার হাজার মেইল জুড়ে বিস্তৃত ছিল। লক্ষ লক্ষ শিকার পশুগুলো তাদের সুবিধা মত স্থানে চড়ে বেড়াত, আর ঘাস খেত। আর এই পরিস্থিতির সুযোগ নেবার জন্যই এখানে চিতার বিবর্তন ঘটে।

    আজকের দিন

    আজকের দিনে এশিয়া মহাদেশে চিতারা কার্যত বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কিন্তু সৌভাগ্যবশত আফ্রিকায় অসাধারণ শিকারীগুলোর প্রায় ৭,০০০ টি এখনও টিকে আছে। আজকের দিনের চিতাগুলোকে পর্যবেক্ষণ করে আমরা আরও বেশি করে জানতে পারি যে, তারা প্রাচীন পৃথিবীতে কিভাবে তাদের জায়গা করে নিয়েছিল, আর এখন কেন তাদের অস্তিত্ব এতটা নড়বড়ে।

    চিতার দরকার মুক্ত সমভূমি, ঠিক যেমনটা ছিল বরফ যুগে। এখানে এখনও হাতি রয়েছে, যারা কচি চাড়াগাছকে খেয়ে সমভূমিকে গাছপালা থেকে মুক্ত রাখে। সেরেনগেতির (serengeti) স্তেপ অঞ্চল এখনও পৃথিবীতে বেঁচে যাওয়া কিছু অঞ্চলের মধ্যে একটি, যেখানে বিস্তীর্ণ মুক্ত ভূমি রয়েছে, যা সাম্ভাব্য শিকার দ্বারা পরিপূর্ণ। আর অতীতের মত আজও সেখানে শিকারের কোন অভাব নেই, যারা খুব সহজেই শক্তিতে একটি চিতাকে পরাভূত করতে পারে (যেমন হায়েনা)। আর এখনও শকুনেরা মৃত শিকারের চারদিকে ভিড় করে। বেশিরভাগ তৃণভোজী পশু এই শিকারীদের থেকে যত দূরে পারা যায় থাকার চেষ্টা করে, যাতে তারা তাদের দিকে বিপদ ধেয়ে আসলে দূর থেকেই দেখতে পারে। চুপিসারে ওঁত পেতে থাকা কোন শিকারীর চিহ্নমাত্র দেখলে এই পশুর পাল দৌঁড়ে পালায়, অথবা শিকারীদের সামনে তাদের অসাধারণ ফিটনেস প্রদর্শন করে। তাই শিকার বা খাদ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে চিতাদের সমস্যাও আছে। কিন্তু এই সমস্যাটিকে তারা একটি বিশেষ ও অনন্য উপায়ে সমাধান করে।

    বিষুবীয় অঞ্চলে মধ্য গগণের সূর্য মাটিকে ঝলসে দেয়। কোন ছায়া না থাকলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রীতে পৌঁছয়। বেশিরভাগ শিকারীই দিনের এই সময়ে সবচেয়ে কম সক্রিয় থাকে। কিন্তু চিতা এই নৈশব্দের সময়কে কাজে লাগায়। তাদের রয়েছে সাংঘাতিক তীক্ষ্ণ দিনের আলোর দৃষ্টিশক্তি, যার ফলে তারা অনেক দূরেরও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খুটিনাটি দেখতে দেকতে সক্ষম হয়। যেমন তারা দেখতে পায় এক কিলোমিটার দূরের হরিণের (gazelle) ক্ষুদ্র পালটিকেও। এত দূরের পশুকে শিকার করতে গেলে, হরিণদের স্টামিনা খুব সহজেই চিতার স্টামিনাকে হার মানাবে। তাই চিতার দরকার প্রচণ্ড পরিমাণে ধৈর্য, যাতে তারা শিকারের যথেষ্ট কাছাকাছি চলে আসতে পারে। শিকারদের চোখকে ফাঁকি দেয়ার জন্য এরা সুবিধা নেয় এই সাংঘাতিক তাপমাত্রায় সৃষ্ট মরিচিকার। হরিণদের নিম্ন অবস্থান থেকে কেবল চিতার শরীরের উপরের অংশই দেখা যায়। চিতাকে তার শিকারের রেঞ্জে পৌঁছতে প্রায়ই এক ঘণ্টা লেগে যায়। কম স্টামিনা ও দ্রুত বেগ থাকার ফলে চিতার এই শিকারের রেঞ্জ ১০০ মিটারেরও কম।

    এবার চিতাটি সেই মুহূর্তে পৌঁছে গেছে যার জন্য সে এক ঘণ্টা ধরে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছিল। এবার তার প্রচণ্ড শক্তিশালী মাংসপেশী কাজ করতে শুরু করে। সে দ্রুত বেগে দৌঁড়ায়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তার বেগ প্রায় ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারে পৌঁছে যায়। ভূমিতে চিতার থাবার আওয়াজ যখন হরিণটির কানে গিয়েছে ততক্ষণে চিতাটি ৫০ মিটার পাড়ি দিয়ে ফেলেছে। যতক্ষণে হরিণটি তার নিজের সর্বোচ্চ বেগে পৌঁছায় ততক্ষণে চিতাটির সাথে তৃণভোজীটির দূরত্ব ৫ মিটারে এসে গেছে।

    স্লো মোশনে দেখলে মনে হবে চিতাটি যেন অনায়াসে, কোন ক্লান্তি ছাড়াই দৌড়চ্ছে। কিন্তু চিতাটি এখন বাতাসকে ভেদ করে সামনে এগোনোর জন্যই তার শক্তির অনেকটাকে ব্যবহার করছে। বাতাসের বাঁধা বা ড্র্যাগকে কমানোর জন্য সে তার শরীরের নিচে পাগুলোকে শক্ত করে টেনে ধরে। কিন্তু তার সাবধান হওয়া প্রয়োজন। তার দৌঁড়ানোর একটা সময়সীমা রয়েছে। হরিণটির ক্ষুদ্র ক্ষুর সহজেই ভূমিকে গেঁথে ফেলে। ফলে তাদের পক্ষে খুবই দ্রুতবেগ নিয়ে হঠাৎ করে দিক পরিবর্তন করা বা বাঁক নেয়া সম্ভয় হয়। তৃণভোজীটির এই দিক পরিবর্তনের সাথে মিলিয়ে চিতাকেও দিক পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য চিতাটির বর্ধিত নখর ভূমিকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরতে চায়। চিতাটি বিষ্ময়কর হারে শক্তি খরচ করছে, আর তার শক্তি ফুরিয়ে আসতে মাত্র কয়েক সেকেন্ডই বাকি থাকে। চিতাতির ভেরি ফাস্ট-টুইচ মাংসপেশী অতিরিক্ত একে অতিরিক্ত শক্তি প্রদান করে, কিন্তু তা খুব কম সময়ের জন্যই। চিতাটির শক্তি শেষ হয়ে এল। তার স্টামিনাও আর নেই। সে থেমে গেল। এবারে তাকে আবার খাদ্যের খোঁজে বের হতে হবে।

    বলতে গেলে এটাই সেই প্রান্তিক মুহূর্ত যার ফলে বিবর্তন হয়। হরিণগুলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে জিন পাস করে তার নিজের বেঁচে থাকার সম্ভাবনাকে বৃদ্ধি করেছে। এখন চিতাকে তার খাদ্যের সন্ধানে আরও খোঁজ করতে হবে, যা এতটা দ্রুতগামীও নয়।

    একটি মা চিতা এবং তার তার প্রায় প্রাপ্তবয়স্ক শাবক এমন এক জায়গায় এসেছে যেখানে কোন হরিণ নেই। তবে এখানে নু-হরিণ (wildebeest) রয়েছে। হরিণের তুলনায় নু-হরিণেরা তুলনামূলকভাবে ধীর ও কম চটপটে। তাই হরিণের তুলনায় একটা নু-হরিণ শিকার করা সহজ হবার কথা।

    মা ও শাবক চিতা মিলে একটি নু-হরিণকে ধাওয়া করে। মা চিতাটি নু-হরিণটিকে ধরে ফেলে, কিন্তু সে তার নিজের ভরবেগকে ব্যবহার করে তার শিকারটিকে ধরে থামিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়। সৌভাগ্যবশত চিতাটির শাবকও এখানে তাকে সাহায্য করার জন্য উপস্থিত। সেবারটুথদের মধ্যে তাদের শিকারকে থামাবার জন্য ভারি শরীর ও শক্তিশালী অগ্রপদ বা সামনের পা ছিল। কিন্তু এই হালকা চিতাদের মধ্যে এই দুটোর কোনটাই নেই। তারা তাদের সামর্থের খুবই প্রান্তসীমায় কাজ করছে। কেবল একসাথে কাজ করলেই তারা নু-হরিণকে ভূমিসাৎ করতে সক্ষম হতে পারে।

    চিতার অধিক গতির জন্য তার শরীরের ভর কমিয়ে ফেলতে হয়েছে, কিন্তু তাদের বেড়ালের মত আদর্শ ছোট মুখমণ্ডলের কারণে তারা খুব সাংঘাতিক কামড় বসাতে সক্ষম। এদের কামড় এতটাই শক্তিশালী যা এদের শিকারকে চুপ করিয়ে দিতে ও চামড়া দিয়ে এদেরকে দ্রুত বিদ্ধ করার জন্য যথেষ্ট।

    ইতিমধ্যেই শকুনেরা নিচে এদেরকে ঘিরে আকাশে উড়তে শুরু করেছে। তারা ৩,০০০ মিটার উপর থেকেই এরকম শিকারের ঘটনাকে সনাক্ত করতে সক্ষম। এই চিতাদেরকে যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব খাওয়া শেষ করতে হবে। কেননা শকুনের এরকম নিচে নেমে আসা হল এমন একটি সংকেত যাকে হায়েনারা বিনামূল্যে পাওয়া খাবার খুঁজে পেতে ব্যবহার করে, যা তারা প্লাইস্টোসিন যুগেও করত। প্রথম হায়েনা আসার সাথে সাথে চিতারা চলে যায়। ততক্ষণে এরা যতটা পারা যায় খেয়ে নিয়েছে।

    সব কটা বেড়ালের মধ্যে চিতারাই একমাত্র প্রজাতি, যারা সত্যিকারের যাযাবর। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা স্থান ত্যাগ করতে থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের থেকেও শক্তিশালী শিকারীদের মধ্যে টিকে থাকে। প্লাইস্টোসিন যুগে এই অসাধারণ প্রাণীগুলো বাঁধাহীনভাবে মহাদেশ থেকে মহাদেশে হেঁটে বেড়াতে পারত। তারা আফ্রিকার দক্ষিণ প্রান্ত থেকে রাশিয়ার দূর প্রান্ত পর্যন্ত হেঁটে বেড়াত। কিন্তু আজ তারা তাদের প্রায় সমস্ত পরিসরই হারিয়ে ফেলেছে। আর অনেক স্থানেই তাদের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে পতিত হয়েছে। এশিয়া থেকে চিতা উধাও হয়ে যাবার পর, আফ্রিকাতেও তাদের জন্য একই দুর্ভাগ্য আসতে চলেছে। সেরেনগেতির মত বিস্তৃত স্তেপ তৃণভূমিগুলো একের পর এক বিরল হয়ে যাচ্ছে।





    (চলবে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০২ মার্চ ২০২০ | ২৯৩৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন