পত্র-পত্রিকা
স্বাস্থ্য আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বেশ কয়েকটা পত্র-পত্রিকা।
গণসংগঠনের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য আন্দোলন
এই ধারায় উল্লেখ করার মত ছত্তিশগড় মাইন্স শ্রমিক সংঘ ও ছত্তিশগড় মুক্তি মোর্চা পরিচালিত শহীদ হাসপাতাল আন্দোলন, ইন্দো-জাপান স্টীল ওয়ার্কার্স’ ইউনিয়ন পরিচালিত বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতাল, কানোরিয়া জুট সংগ্রামী শ্রমিক ইউনিয়নে উদ্যোগে গড়ে ওঠা শ্রমিক-কৃষক মৈত্রী স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং মৈত্রী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্যোগে গঠিত শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ। ঘটনাচক্রে কর্মজীবনের বিভিন্ন পর্বে এই সব কটা আন্দোলনেই যুক্ত থেকেছি আমি।
কমরেড শংকর গুহ নিয়োগীর নেতৃত্বে ছত্তিশগড়ের শ্রমিক-স্বাস্থ্য আন্দোলন
১৯৭৭-এ দল্লী-রাজহরার ঠিকাদারী লোহাখনি-শ্রমিকদের ইউনিয়ন ছত্তিশগড় মাইন্স শ্রমিক সংঘকে নিয়োগী কেবল শ্রমিকের বেতন-বৃদ্ধি, বোনাস, চার্জশিটের জবাব লেখায় সীমিত রাখেন নি। শ্রমিক-জীবনের প্রত্যেকটা বিষয় স্থান পেয়েছিল ইউনিয়নের কর্মসূচীতে। ইউনিয়নের ১৭ টা বিভাগের অন্যতম ছিল স্বাস্থ্য বিভাগ।
১৯৭৯-এ ইউনিয়ন উপাধ্যক্ষা কুসুম বাই স্থানীয় ভিলাই স্টীল প্ল্যান্ট হাসপাতালে ডাক্তার ও সেবিকাদের অবহেলায় প্রসবের সময়ে প্রাণ হারান। নেত্রীর মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা নিজেদের প্রসূতি হাসপাতাল গড়ার শপথ নেন।
’৮০-র দশকের শুরুতে এক সফল শরাব-বন্দী আন্দোলন চালায় ইউনিয়ন।
‘স্বাস্থ্য কে লিয়ে সংঘর্ষ করো’ আন্দোলন আরম্ভ হয় ১৯৮১-র ১৫ই আগস্ট। ততদিনে ডা বিনায়ক সেন ও ডা আশীষ কুমার কুন্ডু আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। ডা পবিত্র গুহ যোগ দেন মাস চারেক বাদে। আন্দোলনের প্রথম রূপ ছিল সাফাই আন্দোলন—শ্রমিকরা খনি-ম্যানেজমেন্টকে বাধ্য করে শ্রমিক বস্তি পরিষ্কার রাখার বন্দোবস্ত করতে।
১৯৮২-র ২৬শে জানুয়ারী শহীদ ডিস্পেন্সারীর কাজ আরম্ভ হয়। ১৯৮৩-৩রা জুন ১৯৭৭-এর শহীদদের স্মৃতিতে গড়ে তোলা হয় শহীদ হাসপাতাল।
শহীদ হাসপাতাল ‘মেহনতকশোঁ কে লিয়ে মেহনতকশোঁ কা আপনা কার্যক্রম’ অর্থাৎ মেহনতী মানুষের জন্য মেহনতী মানুষের নিজস্ব কর্মসূচী।
যুক্তিসঙ্গত ওষুধ ব্যবহার আন্দোলনের তাত্ত্বিক কথাগুলোর প্রথম বড় মাপের প্রয়োগ ঘটে এ হাসপাতালে—
শহীদ হাসপাতাল জনশিক্ষার এক মাধ্যম রূপেও কাজ করে। যার উদ্দেশ্য—
দেওয়াল পত্রিকা ‘স্বাস্থ্য সংগবারী, দ্বিমাসিক পুস্তিকা ‘লোক স্বাস্থ্য শিক্ষামালা’ এবং মোহল্লা-গ্রামে প্রচার—স্লাইড শো, পোস্টার প্রদর্শনী, ম্যাজিক শো, ইত্যাদির মাধ্যমে স্বাস্থ্য-শিক্ষার কাজ চলত।
জনসচেতনতা থেকে কী ভাবে জন-আন্দোলন গড়ে ওঠে তার অভিনব নিদর্শন পাওয়া যায় এখানে—শুরু থেকে শহীদ হাসপাতালের প্রচারের বর্ষামুখ ছিল ডায়রিয়ায় মৃত্যুর বিরুদ্ধে। এই প্রচারে জনসাধারণ ডায়রিয়া-প্রতিরোধে যথাযথ পানীয় জলের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন হন। ছত্তিশগড় মাইন্স শ্রমিক সংঘ ও ছত্তিশগড় মুক্তি মোর্চা এই সচেতন মানুষদের নিয়ে পানীয় জলের দাবিতে যে আন্দোলন গড়ে তোলে তার চাপে ১৯৮৯-এ স্থানীয় প্রশাসন ও ভিলাই স্টীল প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ দল্লী-রাজহরা ও তার আশেপাশের গ্রামগুলোতে ১৭৯টা নলকূপ বসাতে বাধ্য হয়।
স্বাস্থ্যের সঙ্গে আর্থ-সামাজিক অবস্থার সম্পর্ক কত ঘনিষ্ঠ তা বোঝা যায় শহীদ হাসপাতালের আরেকটা অভিজ্ঞতা থেকে। শহীদ হাসপাতাল শুরুর ৬ বছর পর ১৯৮৯-এ দল্লী-রাজহরার সরকারী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র শ্রমিক-বস্তিগুলোতে এক সমীক্ষা চালায়, তাতে দেখা যায় পোলিও-র সংখ্যা শূন্য। কারণ কেবল টীকাকরণ কর্মসূচী নয়। কারণ—ইউনিয়নের আন্দোলনের ফলে মজুরী বৃদ্ধি, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, বাসস্থানের উন্নয়ন, পানীয় জলের ব্যবস্থা,বয়স্ক-শিক্ষাকর্মসূচীর ফলে বাবা-মাদের সচেতনতা।
শহীদ হাসপাতালের উপস্থিতির চাপে স্থানীয় ভিলাই স্টীল প্ল্যান্ট হাসপাতাল নিজের পরিষেবার উন্নয়ন ঘটাতে বাধ্য হয়, দল্লী-রাজহরায় একটা এবং ডোন্ডী-লোহারা বিধানসভা ক্ষেত্রে সাতটা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র খুলতে বাধ্য হয় সরকার।
সংঘর্ষ ও নির্মাণের রাজনীতিঃ
শংকর গুহ নিয়োগী এক নতুন সমাজের স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিলেন—
স্বপ্নের সমাজ
যেখানে সবাই পানীয় জল পাবে,
যেখানে সব খেতে সেচের ব্যবস্থা থাকবে,
যেখানে সব কর্মক্ষম হাত কাজ পাবে,
যেখানে কৃষক ঊৎপাদনের ন্যায্য দাম পাবে,
যেখানে সব গ্রামে হাসপাতাল থাকবে,
যেখানে সব শিশুর জন্য স্কুল হবে,
যেখানে সবাই পাবে বাস্তু জমি আর ঘর,
যেখানে দারিদ্র্য, শোষণ আর পুঁজিবাদ থাকবে না।
সেই স্বপ্নের সমাজের ছোট্ট একটা টুকরো সাকার শহীদ হাসপাতালে। সমাজের শ্রেণী-বিভাজন অনুযায়ী যে ক্ষমতার সিঁড়ি দেখা যায় যে কোন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে তা নেই এখানে। ডাক্তার থেকে সাফাই কর্মী সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেন নীতিগত ও প্রশাসনিক সব বিষয়ে। এর অনুপ্রেরণায় নতুন নতুন মানুষ নতুন সমাজের স্বপ্নের প্রতি আকৃষ্ট হন।
বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতাল
শহীদ হাসপাতালের অনুপ্রেরণায় ১৯৮৩-তে পথ চলা শুরু ইন্দো- জাপান স্টীল ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন ও পিপলস’ হেলথ সার্ভিস এসোশিয়েসনের। খামারপাড়ার শ্রমিক-বস্তিতে প্রাথমিক স্কুলে চলে ক্লিনিক, স্বাস্থ্য সচেতনতা প্রয়াস, সার্জিকাল ক্যাম্প।
১৯৯৪-এর ১লা মার্চ বেলুড় মঠের কাছে জি টি রোডের ওপর শ্রমজীবী হাসপাতালের শুরু। নানা প্রতিকূলতা জয় করে বেড়ে উঠেছে এ হাসপাতাল। অত্যন্ত কম খরচে শল্য চিকিৎসার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
সম্প্রতি শ্রীরামপুরের কাছে বেলুমিল্কি গ্রামে শ্রমজীবী হাসপাতালের বিশাল ভবন তৈরী হয়েছে। কিন্তু প্রধান সমস্যা চিকিৎসকের। এছাড়া বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতালের একটা বড় দুর্বলতা যুক্তিসঙ্গত চিকিৎসার প্রতি যথাযথ দায়বদ্ধতার অভাব।
শ্রমিক-কৃষক মৈত্রী স্বাস্থ্য কেন্দ্র
কানোরিয়া জুট সংগ্রামী শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে যাত্রা শুরু ১৯৯৫-এর ২০শে মার্চ।
এলাকার কৃষিজীবী ও অসংগঠিত শ্রমজীবী মানুষের জন্য সংগঠিত শ্রমিকদের এ ছিল এক উপহার। চেঙ্গাইলের এক পরিত্যক্ত মুরগীর চালায় চলে প্রথম ৮ বছর। বিস্তীর্ণ এলাকার গরীব মানুষের আশা-ভরসার কেন্দ্র হয়ে ওঠে।
২০০২-এর পরের আট বছরে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে তিনতলা ভবন। এখন ১৯জন ডাক্তার, ১জন ফিজিওথেরাপিস্ট, ১ জন অপ্টোমেট্রিস্ট, ১ জন সাইকোলজিস্ট, ১ জন স্পেশাল এডুকেটর, ২৭ জন অন্যান্য কর্মী। এক্স-রে, ইসিজি, প্যাথোলজি, আল্ট্রাসোনোগ্রাফি হয় বাজারের কম খরচে। আছে কম খরচে যুক্তিসঙ্গত ওষুধের দোকান।
সংগঠকরা এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে গড়ে তুলেছেন এক মডেল হিসেবে, যে মডেল প্রমাণ করে খুব কম খরচে আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভবপর। যদি রোগীদের পুঙ্খানুপুঙ্খ ইতিহাস নেওয়া, সযত্ন শারীরিক পরীক্ষা করা হয়, পরীক্ষা-নিরীক্ষার যুক্তিসঙ্গত ব্যবহার এবং ওষুধের যুক্তিসঙ্গত ব্যবহার করা হয়।
শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ
শ্রমিক-কৃষক মৈত্রী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা এ সংগঠন গড়ে তোলেন ১৯৯৯-এ। মেহনতী মানুষের স্বাস্থ্যরক্ষার আন্দোলনে যুক্ত ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংগঠন হিসেবে এ পরিচিতি পেয়েছে। এরা ডা নর্মান বেথুন, দ্বারকানাথ কোটনিস, বিজয় বসু, পূর্ণেন্দু ঘোষের পদাঙ্ক অনুসরণ করায় প্রয়াসী।
চিকিৎসাব্যবস্থার ব্যাপক ব্যবসায়ীকরণের স্রোতের বিরুদ্ধে এ সংগঠন প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে, কম খরচে বৈজ্ঞানিক ও যুক্তিপূর্ণ আধুনিক চিকিৎসা জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। শ্রমিক-কৃষক মৈত্রী স্বাস্থ্য কেন্দ্র, চেঙ্গাইল; বাউড়িয়া শ্রমিক-কৃষক মৈত্রী স্বাস্থ্য কেন্দ্র; বাইনান শ্রমিক-কৃষক মৈত্রী স্বাস্থ্য কেন্দ্র; মদন মুখার্জী স্মৃতি জনস্বাস্থ্য কেন্দ্র, বেলিয়াতোড়, বাঁকুড়া এবং সুন্দরবন সীমান্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা, জেমসপুর, গোসাবায় চালানো ক্লিনিকগুলোতে এই প্রমাণ করার কাজ চলে।
এ সংগঠন বিশ্বাস করে, যতই রোগ প্রতিরোধ কর্মসূচী, জনস্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মসূচী নেওয়া হোক না কেন, জনতার স্বাস্থ্যের অবস্থার সামান্যতম পরিবর্তনও হতে পারে না, যদি না স্বাস্থ্য কর্মসূচী খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, সংস্কৃতির আন্দোলনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত থাকে।
তাই এ সংগঠন শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য আন্দোলনগুলোর পাশে থাকার চেষ্টা করে—
সিঙ্গুর জমিরক্ষার আন্দোলনে, নন্দীগ্রাম ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধে নন্দীগ্রাম গণহত্যাবিরোধী প্রচার মঞ্চ, নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য উদ্যোগ গড়ে তুলে, লালগড় আন্দোলনে, পস্কো-বিরোধী আন্দোলনে……
জনসাধারণকে রোগের আর্থসানাজিক কারণ সম্পর্কে জানানো এবং চিকিৎসা বিষয়টাকে ধোঁয়াশামুক্ত করে তাঁদের হাতে চিকিৎসার সহজ প্রযুক্তিগুলো তুলে দেওয়া এ সংগঠনের লক্ষ্য। নিজস্ব প্রকাশনা, অসুখ-বিসুখ পত্রিকা প্রকাশনায় অংশগ্রহণ, স্বাস্থ্যের বৃত্তে পত্রিকা প্রকাশনায় অংশগ্রহণ, গণ আন্দোলনের কর্মীদের স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে তৈরী করার কর্মসূচী চলে এই লক্ষ্যে।
এ সংগঠন বিশ্বাস করে, দেশী-বিদেশী, সরকারী-বেসরকারী ফান্ডিং এজেন্সির অনুদানের ওপর নির্ভরতা নয়, জনতার উদ্যোগে তাঁদের সামর্থ্যের ওপর দাঁড়িয়ে গড়ে ওঠা স্বনির্ভর কর্মসূচীই আসলে জনমুখী হতে পারে।
এ সংগঠন নিজের কর্মসূচীগুলোর রূপায়ণে চিকিৎসক ও অন্যান্য কর্মী এবং রোগীদের মধ্যে এমন সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়, যেমনটা হবে শোষণহীন নতুন সমাজে।
অন্যান্য জনস্বাস্থ্য উদ্যোগ
সরবেড়িয়ার সুন্দরবন শ্রমজীবী হাসপাতাল, কামারহাটির জনসেবা ক্লিনিক, পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে ভালোপাহাড় স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকে আমাদের হাসপাতাল, পশ্চিম মেদিনীপুরের কুসুমাশুলি গ্রামে প্রেমসেবা হাসপাতাল আরও কিছু জনমুখী স্বাস্থ্য কর্মসূচী, কোনটার ওপর বেলুড় শ্রমজীবীর প্রভাব, কোনটার ওপর শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগের।
কিন্তু হাজার জনস্বাস্থ্য কর্মসূচী দেশের সমস্ত নাগরিকের স্বাস্থ্যরক্ষা করতে পারে না। দায়িত্ব নিতে হবে রাষ্ট্রকে। যেমন নিয়েছিল/ নিয়েছে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো। এখনও যেমন নিচ্ছে ব্রিটেন, কানাডার মত দেশ।
স্বাস্থ্যের অধিকারের লড়াইকে এগিয়ে নিতে জনমুখী স্বাস্থ্য কর্মসূচীগুলোর পারস্পরিক আদান-প্রদান চাই। এক আন্দোলন থেকে অন্য আন্দোলনের শিক্ষা নেওয়া চাই। স্বাস্থ্য আন্দোলনকে বৃহত্তর সামাজিক আন্দোলনের অঙ্গ করে তোলা চাই।
চিকিৎসা ব্যবস্থার সামাজিকীকরণ চাই, যেমন বলেছিলেন ডা নর্মান বেথুন—
স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও চিকিৎসাব্যবস্থার সামাজিকীকরণের জন্য সংগ্রাম ছাড়া পথ নেই।
(১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ফ্রেন্ডস অফ ডেমোক্র্যাসি আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্যের ঈষৎ বিস্তৃত রূপ)