এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • ধরপাকড়ের রাজনীতি ও তৃণমূল কংগ্রেস

    সোমনাথ রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৫ অক্টোবর ২০০৯ | ১০৩৪ বার পঠিত
  • পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির গত আড়াই বছরের গতিবিধি থেকে এটা স্পষ্ট যে জনসমর্থনের ভরকেন্দ্রটি সিপিআইএমের হাত থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে নিশ্চিতভাবে প্রতিসৃত হয়েছে। বিগত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল থেকে শুরু করে সাধারণ স্কুলকমিটি-পুজোকমিটিগুলির বিন্যাস লক্ষ্য করলে নির্দ্বিধায় বলা যায় যে প্রায় সমস্ত গণতান্ত্রিক অঙ্গনেই সিপিআইএমের একাধিপত্যের অবসান হয়েছে এবং প্রায় সত্তর দশকের শেষার্ধের মতনই আরেকটা সার্বিক পালাবদল আসন্নপ্রায়। অথচ, ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও তৃণমূল কংগ্রেস এই অবস্থার ধারেকাছে ছিল না, বরং ২৩৫-৩৫ ফলাফলটি ইঙ্গিত দিচ্ছিল যে তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা-মিথ অস্তমিতপ্রায়। সেই অবস্থা থেকে আজকের পরিস্থিতিতে উত্তরণের পথে মমতা ব্যানার্জীর রাজনৈতিক পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় ছিল প্রায় সমস্ত বিরোধীমতকে নিজের নেতৃত্বের মধ্যে ধারণ করে নিতে পারাটা। ধর্মতলার অনশনমঞ্চ থেকে শুরু করে নন্দীগ্রাম, রিজওয়ানুর মৃত্যু, রেশন কেলেঙ্কারি সব কটি আন্দোলনেই দেখতে পেয়েছি বিভিন্ন মতাদর্শের জায়গা থেকে আসা বিরোধীরা মমতার মঞ্চে সামিল হচ্ছেন এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্যের গভর্নেন্সে ঘটে চলা একের পর এক জনবিরোধী ও জনবিচ্ছিন্ন কাজগুলির বিরুদ্ধে একটা সার্বজনীন প্রতিবাদ গড়ে উঠছে। সম্ভবত তৃণমূল কংগ্রেসের একনিষ্ঠতম কর্মীটিও অস্বীকার করবেন না যে ৩২ বছরের সিপিআইএম একশাসনের প্রকৃত মৃত্যুঘন্টা বেজে ওঠার পিছনে এই সবধরণের বিরোধিতার একীভবন একটা বিরাট উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে। এমনকি লালগড়ের আন্দোলনের ঘটনাক্রমেও যদি দেখি, এই ফেব্রুয়ারির চৌঠা মমতা ছত্রধর মাহাতো সহ জনসাধারণের কমিটির নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেন, লালগড়ের বিক্ষুব্ধ আদিবাসীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন এবং তাদের দাবিসনদ রাজ্যপালের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন (http://www.anandabazar.com/archive/1090205/5med1.htm) । অর্থাৎ সিপিআইএম পরিচালিত রাজ্যসরকারের বিরোধিতার একটি মঞ্চ হিসাবে তিনি জনসাধারণের কমিটিকেও বৈধতা দিয়েছিলেন।

    এই সকল ঘটনার প্রেক্ষিতে আজকের রাজনৈতিক অবস্থানগুলিকে দেখা যাক। মাওবাদীদের প্রাত্যহিক সিপিআইএম কর্মী হত্যা যে গণতান্ত্রিক কাঠামোকে ভীষণভাবে আঘাত করেছিল সন্দেহ নেই, আর, সেই হত্যালীলার সুযোগ নিয়ে সিপিআইএম মরণকামড় হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করল ইউএপিএ নামক বিনাবিচারে বিরোধীদের হয়রানি করার একটি প্রশাসনিক অস্ত্র। প্রথম গ্রেপ্তার হলেন গৌর চক্রবর্তী, যিনি শহর কলকাতা ও বিভিন্ন মিডিয়ার কাছে স্বঘোষিত মাওবাদী মুখপাত্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। গণতন্ত্রের মধ্য থেকে ক্রমাগত একটা দাবী উঠে আসছে মাওবাদীদের হিংসার রাজনীতি ছেড়ে গণতান্ত্রিক কাঠামোয় অংশগ্রহণ করানোর; আর গৌরবাবু ঠিক এই ভূমিকাটাই নিচ্ছিলেন। কোনরকম সন্ত্রাসজনক কাজে সরাসরি বা সাহায্যকারী হিসাবে তিনি জড়িত এ প্রমাণ আজ অবদি মেলে নি, বরং তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার আগের ৪-৫ মাস বিভিন্ন টেলিচ্যানেল ও আলোচনাচক্রে মাওবাদীদের অবস্থান, উদ্দেশ্য, কর্মসূচী ইত্যাদি নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন। নি:সন্দেহে গণতান্ত্রিক কাঠামোয় মাওবাদীদের অঙ্গীভূত করার একটি মিডিয়াম হয়ে উঠতে পারতেন গৌরবাবু - কিন্তু সরকারবাহাদুর সেই পথটি নিল না। এবং বিরোধী নেতৃত্বেরও সেই বিষয়ে বক্তব্য পেলাম না। আরও আশ্চর্য হতে হল লালগড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো নিয়ে, যখন প্রায় নিরস্ত্র আদিবাসীদের কোবরা জাতীয় কম্ব্যাট ফোর্সের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকা প্রায় নেই বললেই চলে গোছের। স্মর্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর তাঁরা সামলাচ্ছেন। অথচ এই লালগড়ের আন্দোলনকে তো তাঁরা স্বীকৃতি দিয়েছিলেন, নেত্রী নিজে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন গণতান্ত্রিক কাঠামোর উচ্চতম স্তরগুলিতে লালগড়ের অধিবাসীদের বক্তব্য পৌঁছে দেওয়ার। আর যখন সেই অধিবাসীরা মাওবাদ-বনাম-গণতন্ত্রের লড়াইয়ে উলুখাগড়া হয়ে পড়ছেন, দুটি রিলিফ ক্যাম্প খোলা ছাড়া বিরোধী দলের ভূমিকা শূন্য। এমনকি, গায়ক কবীর সুমন, যিনি আদিবাসীদের সঙ্গে বঞ্চনার কথা বিভিন্ন ফর্মে শহর কলকাতার নাগরিক সমাজের কাছে এক দশক ধরে পৌঁছে দিয়ে আসছেন, বিরোধীদলের সাংসদ হওয়ার গুরুভার তাঁরও কন্ঠ স্তব্ধ করে দিচ্ছে এরকম সন্দেহ হতে শুরু করল।

    এরপর আসা যাক সাম্প্রতিকতম ঘটনাগুলিতে। ছত্রধর মাহাতো গ্রেপ্তার হলেন, এবং সেই ইউএপিএ-তেই। ছত্রধরের বিরুদ্ধে মাওবাদী যোগাযোগের অভিযোগ অপ্রমাণিত, রাষ্ট্রদ্রোহিতা জাতীয় বাইশটি মামলা আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। লক্ষ্যণীয়, এই জননেতা, যাঁর বিরুদ্ধে বাইশটি জামিন-অযোগ্য মামলা এনেছে রাজ্যসরকার, গত এপ্রিল-মে নাগাদ-ই নির্বাচন কমিশনার সহ কয়েকজন পদস্থ সরকারী আমলা তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন। এবং আদালতের সাম্প্রতিক বিচারপর্বেও দেখা যাচ্ছে ছত্রধরের বিরুদ্ধে আনা মামলাগুলি তাঁকে পুলিশি হেফাজতে অনির্দিষ্টকাল বন্দী করে রাখার মত করে সাজিয়ে ওঠা যায় নি। ফলে এ কথা স্পষ্ট যে সরকারবিরোধী আন্দোলনের জের হিসাবে ছত্রধর গ্রেপ্তার হয়েছেন। লালগড়ে পুলিশ ঢুকতে না দিয়ে তিনি যতটুকু "রাষ্টবিরোধিতা' দেখিয়েছেন, নন্দীগ্রামে আবু তাহের বা শুভেন্দু অধিকারীও সেই একই "রাষ্টবিরোধী' স্পর্ধা দেখিয়েছিলেন। এবং ফেব্রুয়ারি মাসে মমতা ব্যানার্জী স্বয়ং সেই স্পর্ধাটিকে স্বীকৃতি ও সম্মান জানিয়ে এসেছিলেন। আজ, ছত্রধরবাবুর গ্রেপ্তারের পর যখন মমতা বলেন যে এসব সিপিআইএম ও ছত্রধরের গট-আপ খেলা, প্রায় তৃণমূল-পন্থী একটি বাংলা দৈনিক ছত্রধরকে সিপিআইএমের চর বলে হাত গুটিয়ে নেয়, লালগড় আন্দোলনের উপর নেমে আসা প্রতিহিংসার কোন স্পষ্ট প্রতিবাদ করা হয় না, যে সার্বজনীন বিরোধিতার অঙ্গীকার তৃণমূল কংগ্রেস দেখিয়ে এসেছিল তা নিশ্চিতভাবে অস্বীকৃত হয়। আর গ্রেপ্তার শুধুমাত্র ছত্রধর বা কিছু গণ-আন্দোলনের কর্মী হয়েছেন এরকম নয়। ও সি মুক্তির পণ হিসাবে মাওবাদীরা যাঁদের জামিনে মুক্ত করল, সেই আদিবাসী মহিলাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কেসগুলো দেখলে বোঝা যায় যে শুধুমাত্র প্রতিহিংসা ও রাষ্টীয় সন্ত্রাস ছড়ানো ছাড়া তাঁদের গ্রেপ্তারের আর কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ থাকতে পারেনা। পুলিশ গত দেড়মাসে এঁদের বিরুদ্ধে সামান্যতম প্রমাণ ও কোর্টে পেশ করতে পারেনি। এমনকি দেখা যাচ্ছে এক ভদ্রলোকের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা চালানোর এফ আই আর পুলিশ নিজে নথিভুক্ত করেছে ঘটনার একুশ দিন পর! (http://www.anandabazar.com/archive/1091023/23med4.htm) । এঁরা সকলেই দরিদ্র এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের, এঁদের কথা মিডিয়া সহজে লেখে না এবং কোর্টকাছারিও এঁদের পক্ষে অনায়াসসাধ্য নয়। কিন্তু অনুরূপে মঙ্গলকোট থেকে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম যেখানেই তৃণমূল কর্মীদের উপর রাষ্টীয় সন্ত্রাস এসেছে দলগতভাবে ও অন্যান্য গণসংগঠনের বিরুদ্ধে, তার যথাযথ প্রতিবাদ আমরা দেখেছি। এই ও সি মুক্তির ঘটনায় সম্ভবত আমরা হিমশৈলের চূড়াটি দেখছি, আর এও দেখছি যে জঙ্গলমহলের ব্যাপক সংখ্যক মানুষের উপর রাষ্টীয় সন্ত্রাসের বিরোধিতা সংসদীয় রাজনীতির আওতা থেকে করা হচ্ছে না। মূল বিরোধীদল তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকা নেই বললেই চলে আর সেই জায়গায় এঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন কেবল মাওবাদীরাই।

    এরফলে আরও বেশী করে প্রশ্ন উঠে আসে বর্তমান সংসদীয় গণতন্ত্রের কাঠামোর উপর। যেখানে গণতন্ত্রকে অস্বীকার করা একটি রাজনৈতিক সংগঠন দিনের পর দিন আরও বেশী জনসমর্থন জুটিয়ে ফেলছে, যখন গণআন্দোলনের নেতৃত্বের উপর প্রতিহিংসা ফলাতে প্রশাসনকে ব্যবহার করে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এবং তাদের বিরোধী দলটি, যেটি সার্বিকভাবে বিরোধী গণতান্ত্রিক চেতনার একটি আধার হিসাবে উঠে আসছে, সেও যথাযথ প্রতিবাদ করতে অস্বীকার করে, হিংসার রাজনীতি সম্ভবত আরও কিছুটা বেশী অক্সিজেন পেয়ে যায়। তাই এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর নিশ্চিতভাবে একটা দায়িত্ব আছে, ইউএপিএ জাতীয় কালাকানুন ব্যবহার করে বিরোধী মতের মধ্যে সরকার যখন উইচ হান্টিং চালাচ্ছে সেটাকে আটকানোর। সেই দায়িত্ব পালনে তারা অপারগতা দেখাতে থাকলে সেটা নিশ্চিতভাবে গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক হবে যদি না অন্য কোনও বিরোধী গণতান্ত্রিক প্ল্যাটফর্ম তৃণমূলের অক্ষমতার জায়গাটায় অ¡ত্মপ্রকাশ না করতে পারে।

    ২৫শে অক্টোবর, ২০০৯

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৫ অক্টোবর ২০০৯ | ১০৩৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন