এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • সরল দোল গতি

    টিম লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ | ৯০৯ বার পঠিত
  • দোল নিয়ে ক্রোড়পত্র। তো, মনে করে দেখলাম ক্লাস সেভেনের পরে বিভিন্ন কারণে দোল খেলা হয় নি আমার। (এক্ষেত্রে, দোল বলতে রংটং নিয়ে যে উৎসব তাকেই বোঝানো হচ্ছে, বলাই বাহুল্য)।

    সুতরাং, সেইসব অল্পস্বল্প অভিজ্ঞতা, যাদের চৈত্রসেলে কখনও সখনও মেদুর বলে চালিয়ে দেওয়া যেতে পারে, তাদের আর নাই বা টেনে আনলাম। বরং দোলের অন্যবিধ ভূমিকা নিয়ে কিছুক্ষণ কথা চালাচালি করা যেতে পারে। শেষপাতে চাটনির মত একটুখানি ভেজাল দিলেও দেওয়া যেতে পারে, মেন কোর্সে যা পাবেন, সব ভেজাল দোল। বা বলতে পারেন, অন্য দোল। এইযে ভূমিকাতেই প্যারাডাইম শিফটের মত একটা জিনিস গছানোর আপ্রাণ চেষ্টা, এই আকূলতাকেই সমাজতাত্ত্বিকেরা অন্য দোল বলে থাকেন। ক্রমশ প্রকাশ্য।

    দোল অনেকরকম হয়। আপনি বাঙালি হলে একরকম, ভারতীয় হলে আরেকরকম। যদিও এইদুটো দোল, মানে কিনা একটা দোল আর একটা হোলি, আসলে দুটো-ই হোলি। একই ইয়ের এপিঠ-ওপিঠ আরকি। সেই দোলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং তাঁর দেখাদেখি যাবৎ মেনস্ট্রিম নায়ক-নাইকা ইতিউতি পিচকিরি ছোঁড়েন, আবির ছড়ান। চারদিকে রং এর ছড়াছড়ি, জামাকাপড়ের ইতরবিশেষ করা যাচ্ছেনা, ক্যামেরা রং এর উৎসব কভার করতে এসে ক্রমাগত সফেদ পট্টবস্ত্রে আটকে যাচ্ছে ( অবশ্য আপনার টিভি বা সিনেমার একটা যদি সাদাকালো যুগের হয় তো অন্য কথা। সেক্ষেত্রে কালো-ধূসর ইত্যাদি ঘোলে সন্তুষ্ট থাকতে হবে)--- এসব নিয়েই আধুনিক সিনেমার দোল। এর পরেই পরিচালকের রুচি, বাজেট, টার্গেট দর্শক ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে কখনও বা ধুন্ধুমার লড়াই হবে, কখনও বা মুখে ছোপছোপ রং মেখে ( অ্যাজ ইফ যারা রং দিতে এসেছিলো তারা জানত ছদ্মবেশ দরকার) বজ্জাত ভিলেন নাইকাকে ধর্ষণের ব্যর্থ বা সফল চেষ্টা করবে। তারপর আবার নাচ-গান-কান্না ও মারামারি করে সমস্ত গোলমালের নিষ্পত্তি হবে।

    এ তো গেল সিনেমার কথা। সিনেমার বাইরেও দোল হয় বইকি। সেই কবেই কবি বলেছেন ""লাগলো যে দোল''। দোল আন্তর্জাতিক হতে পারে। আজকাল বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে দোল খায়। এখন যেমন চিলিতে হচ্ছে। কদিন আগেই হাইতিতে দোল হলো। আগেকার দিনে, যখন কন্সপিরেসি থিওরির কথা লোকে জানতো না, তখন এইরকম দোল এলে মানুষ পুজোআচ্চা করে বাঁচার চেষ্টা করত। আজকাল সবাই জানে, দোল এলো মানেই প্রথম বিস্‌সো ছুঁচোবাজি ছেড়েছে। তা, একথা অবশ্য স্বীকার করতেই হবে যে যারা সারাবছর কম্পিটিশন করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে, তারাই দোলের (বা ধরুন তজ্জনিত সুনামির) সময় মুক্তকচ্ছ হয়ে আর্ত উদ্ধারে ছুটে যান।

    ক্ষেত্রবিশেষে দোল রাজনৈতিক হতে পারে। গেরিলা নায়ক বিপ্লবের প্যারালাল বারে দোল খেতে খেতে হঠাৎ উল্টোপথে চলতে পারেন। গতকাল অবধি কিসিপন্থী নেতা, আজ দোল খেয়ে সিল্পোবন্ধু হয়ে যেতে পারেন। দোলে অনেক কিছুই হতে পারে।

    খেলাধুলোয় তো দোলের রাজত্ব। যেমন কিনা, ড্রিবলারের দোল। স্বর্গত অজয় বসু এই ধরণের দোলের উদাহরণে বলেছেন, ""অমুক শরীরের দোলায় তমুককে ছিটকে দিয়ে যুবভারতীর সবুজ মখমলের ওপর দিয়ে ...." ইত্যাদি ইত্যাদি। এছাড়াও কবাডি, কুমীর-ডাঙা, বাস্কেটবল বা হকি সর্বত্রই দোল উপস্থিত। ক্রিকেটে অনেকদিন অবধি দোলের অনুপ্রবেশ প্রায় বন্ধ ছিলো। টিভি ক্যামেরা ছাড়া সে দোল কেউ দ্যাখেনি, যতই না কেন মেক্সিকান হোক সে ঢেউ। কিন্তু টি-টোয়েন্টি মারফৎ দোল এলো, দেখলো ও জয় করলো। এখন সমস্ত বিশ-কুড়ির মাঠে বাধ্যতামূলকভাবে চি:লি:রা দোল খ্যালেন।

    খেলার কথাতেই শরীরের কথা এলো। শরীর আর দোল ওতপ্রোতভাবে জড়িত। হলি-বলি-টলিউড থেকে নাগেরবাজার, পোস্টাপিস থেকে বইমেলা যেখানেই যান, সর্বত্রই ""দোলে প্রেমের দোলনচাঁপা''। গানেও দোল আছে। বিপ্লবীর বলিষ্ঠ কণ্ঠের সামান্য কান্নিক লাগা ""দোলা, হে দোলা, হে দোলা'' বলিউডি সংস্করণে হয়ে যাচ্ছে ""ডো-ও-লা রে''। জাতীয়তাবাদী নিন্দুকেরা বলে এসবই সায়েবদের উচ্চারণের সুবিধে করে দেওয়ার জন্য। আমরা অতশত বুঝিনা। তাছাড়া, দোল খেলতে নেমে রং দেখলে চলেনা।

    শেষমেষ আসলি দোলে ফিরে আসি। আসলি লছমিবাবুকা আসলি সোনাচাঁদিকা দুকানের মত আর চিহ্নযুক্ত দোল। হ্যাঁ, যেকথা হচ্ছিলো। দোল এবং পানীয়। ছোট থেকেই দেখেশুনে আসছি, দোল এলেই লোকে জলপথে যাওয়া-আসা করে। ঠিক ঐদিনটাতেই কেন মাল খাওয়ার চল (বা ছল) বেশি সে নিয়ে ঐতিহাসিক হিসেবনিকেশ করার মত পুঁথিপত্র কাছে নেই। আমাদের পাড়ায় দোলের পরদিন একদল হিন্দীভাষী বিপুল উদ্যমে খোল বাজিয়ে দুর্বোধ্য সঙ্গীত পরিবেশন করতেন। সেইসাথে চলতো পান। মানে পহলে পান ফির গান এইরকম একটা জটিল প্রক্রিয়ায় ব্যাপারটা শুরু হয়ে যখন চেনসিস্টেমে দুপুর অবধি গড়াতো ততক্ষণে সঙ্গীতের গতি বর্ষার কূলপ্লাবী নদীর মত অবাধ হয়েছে। অত:পর গায়ক ও নর্তকেরা নিজেদের মধ্যে খামচা-খামচি করে জামা ছিঁড়ে রাস্তায় নেমে আসতেন। প্রায় প্রায় ঐ সময়েই রাবিন্দ্রিক (ঠিক ঐ দিনটায় ধবধবে সাদা পাজামা-পাঞ্জাবী পড়ে এরা দোল খেলতে বেরোতেন) ও বিপ্লবী দোলখেলুড়েরা (এঁরা পরতেন খাদি বা গাঢ় রং এর পাঞ্জাবী ও জিনস) বাড়ি ফিরতেন। এরপর যা হত তা অবিশ্বাস্য। চিন্তা ও কাজে সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী দুটো দল (একমাত্র মিল নেশায় দুদলই টাল্লি খেয়ে আছে), একদল হিন্দীতে ও আরেকদল বাংলায় নাচগান করতে করতে ইন্টার‌্যাক্ট করতো। আলোর ইন্টারফিয়ারেন্সের মত এ-বছর মারামারি হলে পরের বছর কোলাকুলি, এইরকম নিয়মে ব্যাপারটা হওয়ায় পাড়ায় এই নিয়ে কোন টেনশন হয়নি। বরং দোলের অস্থির সময় মাতব্বরেরা হালকা মনে সুদৃশ্য পানপাত্র নিয়ে সন্ধের মুখে বসতেন, কপালে এক আধজনের টিপছাপ থাকতো আবিরের। দামী সিগারেট, বেঁটে-মোটা গেলাস আর অ্যাশট্রেতে বুড়ির ঘর পুড়ছে --- এর থেকে চিত্তসুখকর দৃশ্য আর কিই বা হতে পারে? এছাড়াও দোল এলেই সবাইকে চাট্টি নেশা করে আছে বলে মনে হত। হয়ত সেটা আবহাওয়ার গুণ। হয়ত সেটা মানসিক ধুমকি, রাক্ষুসী হোলিকার নাগাল এড়িয়ে পেল্লাদ পগাড় পার হওয়ার উল্লাস। সে যাই হোক, দোল ও মানুষের পানপ্রবণতা এমনই অমোঘ যে খোদ মার্কিনমুলুকে পজ্জন্ত ফলের রসের বোতলে বড়ো বড়ো করে ডি ও এল ই লেখা শুরু হয়েছে।

    বিদ্বজনেরা বলেন (সবচে আগে যথাবিহিত আরেন্টিস্যারও বলে গেছেন), সবকিছুই বিদেশীদের থেকে শেখো। এই সুবাদে বিদেশের দোল (যা কিনা হোলি) নিয়ে দুকলম লেখা যাক। বিদেশের ভারতীয় কমিউনিটিগুলোর বাকিসমস্ত ব্যাপারের মতই দোলেও স্কেলিং ফ্যাক্টর আছে। ধরুন কলকাতার কোন অঞ্চলে আপনি দোল খেলতে বেরোলেন, আপনার সাথে জনা দশেক বন্ধু, আর বিপরীতে অগণিত জনতা। পরিচিত-অপরিচিত সকলেই আপনাকে এসে এক পোঁচ করে রাঙিয়ে দেবে, মায় প্রতিবেশীর পাঁচ বছুরে শিশু পর্যন্ত, হয়ত তার সেবছরই দোলে হাতেখড়ি হয়েছে। অন্যদিকে বিদেশের মাটিতে পুরো স্যাম্পল স্পেসটাই হয়ত দশজনের। এই বৃত্তের বাইরে আরো দশজন লাইভ দেখছে, তারও বাইরে আরো লাখখানেক লোক ইউটিউবে আপলোডেড ভিডিও দেখছে আর ভাবছে, অহো:! কি দু:সহ স্পর্ধা! দশজন পরষ্পরকে রং দেওয়ার জন্য কাকুতিমিনতি করছে, প্রায় হাতেপায়েধরে ""রাঙিয়ে দিয়ে যাও'' কেস, কিন্তু রং দেওয়ার লোক নেই। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের প্রচারে এইসমস্ত ভিডিও সিডি ব্যবহার করা উচিত।

    শেষে একটু কাব্যি করে নেওয়া যাক। গুরুপাকের পর হজ্‌মি, আর ভাটের পর কাব্যিসেবন করলে শরীর-মন দুইই ভাল থাকে। কবিরা দোল বা বাদল (আধুনিক বানান) নিয়ে প্রচুর লিখেছেন। সবার রচনা নিয়ে আলোচনার জায়গা নেই। যেহেতু রবীন্দ্রনাথ কবিদের গুরু, অতএব গুরুদেবের কবিতা নিয়ে কয়েকটা কথা বললেই বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে। রবীন্দ্রনাথ একটা আঠেরো পাতার কবিতা লিখেছিলেন। সেখানে দোল বা বসন্তোৎসব নিয়ে প্রচুর কথাবার্তা আছে। তারই কিছু কিছু অংশ তুলে দিচ্ছি :

    ".......................
    অপরাহ্নে ধূলিচ্ছন্ন নগরীর পথে
    অবরুদ্ধ ছিল বায়ু; দৈত্যসম পুঞ্জ মেঘভার
    অযুত বৎসর আগে, হে বসন্ত , প্রথম ফাল্গুনে
    অরবিন্দ, রবীন্দ্রের লহো নমস্কার।''

    কবিতাটা মূলত দোল নিয়েই। আবিরে পথ ধূলিচ্ছন্ন, ইতস্তত হাওয়া দিচ্ছে, বসন্ত আর ফাল্গুনের উল্লেখ আর শেষে প্রণামের কথা মানেই দোল। আরো একটু এগোলে এই ধারণা মজবুত হবে:

    ""কল্লোলমুখর দিন
    কহিল গভীর রাত্রে সংসার বিরাগী
    কাঁকন-জোড়া এনে দিলেম যবে
    কান্নাহাসির-দোল-লাগানো পৌষ-ফাগুনের পালা''

    বা

    ""দোলে রে প্রলয়দোলে অকূল সমুদ্র-কোলে''

    এইসমস্ত পংক্তি ক্রমশই দোলের গুরুত্ব সম্পর্কে আপনাকে অবহিত করবে। কবিতায় আরো আছে :

    ""প্রেমের আনন্দ থাকে
    ফাল্গুনমাধুরী তার চরণের মঞ্জীরে মঞ্জীরে
    ফাল্গুনের র ঙিন আবেশ
    ফুরাইলে দিবসের পালা
    .............
    বসন্ত পাঠায় দূত''

    (প্রথম ছত্রের সূচী, সঞ্চয়িতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

    এরপরেও কেউ দোল নিয়ে ইয়ার্কি করলে নিজ দায়িত্বে করবেন।

    ২৮শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ | ৯০৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন