এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • বেগম সুফিয়া কামালঃ জন্মশতবার্ষিকী

    কবীর সুমন লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৯ জুন ২০১১ | ১০২৪ বার পঠিত
  • ওঁর শততম জন্মদিন এল, চলেও গেল, পশ্চিমবাংলায় তা নিয়ে তেমন কোন সাড়াশব্দ জাগল না। পশ্চিমবাংলার তরুণপ্রজন্ম ওঁর সম্পর্কে বিশেষ খবর রাখে না, তাতে অবাক হবার কিছু নেই, তাদের গুরুজনরাই বা ওঁর বিষয়ে কতটুকু জানার চেষ্টা করেছিলেন? বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে কলকাতার দু'একটা কাগজে বেগম সুফিয়া কামালকে নিয়ে ছুটকোছাটকা কয়েকটা লেখা বেরিয়েছিল। তার মধ্যে একটা লেখার কথা আমার বেশ মনে আছে। অন্নদাশংকর রায় লিখেছিলেন। ভারী চমৎকার লেখা, প্রচুর তথ্যও ছিল, আর লেখকের স্নেহও যেন পরতে পরতে জড়িয়েছিল। আমার সাথে যখন যখন খালাম্মার (মাসিমা)দেখা হয় -- আমাদের বয়সী লোকরা ওঁকে এই বলেই ডাকি -- উনি অনেকবার করে বলেছিলেন অন্নদাশংকর রায় ওঁকে কত উৎসাহ দিয়েছিলেন, পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। শুনে মনে হয়েছিলো ঠিক যেন ছোটবোন দাদার কথা বলছেন।

    বেগম সুফিয়া কামাল লেখিকা ছিলেন,নিরপেক্ষ গণতন্ত্রের সক্রিয় কর্মী ছিলেন, সমাজ যাদের হেনস্থা করেছে সেই সব নারীদের অধিকার নিয়ে উনি লড়াই করেছিলেন। উনিই প্রথম নারী যিনি বাংলার সামাজিক আর রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে কাজ করতে নেমেছিলেন। বাংলার সংস্কৃতিকে উনি যা দিয়েছেন তারও কোন তুলনা হয় না। অল্পবয়সে নিজের কিছু কিছু লেখা উনি রবীন্দ্রনাথ আর কাজী নজরুল ইসলামের কাছে পাঠিয়েছিলেন। ওঁরা দুজনেই সে লেখার অনেক প্রশংসা করেন। কিন্তু বেগম সুফিয়া চার দেওয়ালের জগতের মধ্যে, শুধু লেখালেখির গণ্ডীতেই নিজেকে আটকে রেখে দেননি। তার বদলে উনি সমাজের কাজে নেমেছিলেন। উনি বরাবর নিরপেক্ষ গণতন্ত্রের রাস্তায় চলেছেন মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য পাকিস্তানের বিরাগভাজনো হয়েছেন। কিন্তু পাকিস্তানি সেনা অন্য বুদ্ধিজীবিদের সাথে যেমন ব্যবহার করেছিল, ওঁর সাথে তেমনটা করার সাহস পায়নি। ঢাকার বন্ধুবান্ধবদের কাছে শুনেছি যে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে নাকি একবার গুজব রটেছিল যে উনি খুন হয়েছেন। কিন্তু সে নিয়ে এমন বিক্ষোভ শুরু হয়ে গেছিল যে পাকিস্তানি সামরিক দপ্তর ভয় পেয়ে তড়িঘড়ি রেডিওতে ওঁর একটা সাক্ষাৎকার প্রচার করতে বাধ্য হয়েছিলেন, যাতে বোঝা যায় যে ওঁর খুনের খবরটা শুধু গুজবই।

    মুক্তিযুদ্ধের মিউজিয়ামের টাকা তোলার জন্য একবার গান গাইতে বাংলাদেশ গেছি -- ১৯৯৬ সালে -- তখনই খালাম্মার সাথে প্রথম দেখা। মহিলাদের মধ্যে "মা' খুঁজে বেড়ানোটা আমার ঠিক আসে না, জানেন? কিন্তু খালাম্মাকে দেখার সঙ্গে সঙ্গেই মনে হয়েছিলো এ যেন আমার আরেক মা। ওঁর পায়ের কাছে মেঝেতে বসে পড়েছিলাম, কয়েক সেকেন্ড পরেই দেখি উনি আমায় আদর করছেন আমার টাকে,গালে হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলেন। আমি দুহাতে ওঁর মুখটা ধরে চোখের দিকে তাকিয়েছিলাম। কী যে ঝকঝকে দৃষ্টি, কী বলব! আমি নিজের মা-কে যেমন করে আদর করি, ওঁকেও ঠিক তাই করেছিলাম। ... সে সময় আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্বের জন্য খুব চেষ্টা করছি। খালাম্মাকে সে কথা বললাম। উনি আমার কপালে চুমু খেয়ে বললেন "ওরে সোনা, তুই তো এদেশের একটা রত্ন রে। এ দেশটা তো তোরই।' সবার সামনে কাঁদার অভ্যেস টভ্যেস আমার কোনদিনই নেই, কিন্তু খালাম্মার এ কথাটা শুনে আমার চোখে জল এসে গেছিল। ঠিক এইরকম একটা আবেগে এইভাবে আমি কোনদিন কাঁদিনি!

    পরে আরো দুবার বাংলাদেশে গিয়ে ওঁর সাথে দেখা হয়েছে। শেষবার যখন যাই ওঁকে বড় দু:খী মনে হয়েছিল। অনেক দু:খ নিয়ে ব্যথা নিয়ে বললেন "হ্যঁ¡রে, এই দিন দেখার জন্যই কি আমায় এতদিন বেঁচে থাকতে হল?' আমি সত্যি কিছু বলার খুঁজে পেলাম না। আমার অন্য মা উমা চ্যাটার্জীও একদিন আমাকে নিজের সম্বন্ধে, নিজের দেশ ভারত সম্বন্ধে ঠিক এই কথাটাই বলবেন, যেদিন ওঁর যাবার দিন এগিয়ে আসবে।

    ১৯৯৮ এ আবার বাংলাদেশ যাই, এবারেও ঐ মুক্তিযুদ্ধ মিউজিয়ামের কাজে টাকা তোলার জন্য গান গাইতে। তার ঠিক আগেই আমি "সুফিয়া কামাল' গানটা লিখেছি। এই গানটা আমার নিজেরই ভীষণ পছন্দ। আমি আজ অবধি যা লিখেছি তার মধ্যে এ গানটাকে সামনের সারিতে রাখবো। সত্যি বলতে কি এটা লিখে আমার নিজেরই এত গর্ব হয় যে বলার নয়! দুনিয়াতে কিছু মানুষ আছেন যাঁদের নিয়ে গান বাঁধা উচিৎ। তবে সবাই যে ঠিক এমনি গান বাঁধতে পারবে না সেটাও বলতে বাধ্য হচ্ছি। ঢাকাতে প্রথম যেবার এই গানটা গাইলাম সে ঘটনা স্পষ্ট মনে আছে। মীরপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানটা হয়েছিল, তরুণ শ্রোতাদের ভিড়। সেদিন এটাই ছিল আমার প্রথম গান। প্রথম ছত্রটা "ঐ তো লক্ষ ছেলেমেয়ে নাতি-নাতনী দামাল/ সবুজ দ্বীপের মত মাঝখানে সুফিয়া কামাল' ... গাওয়ার পরেই শ্রোতাদের মধ্যে যে খুশীর উচ্ছ্বাস উঠেছিল তা কোনদিন ভুলতে পারব না। এক সেকেন্ডের জন্য যেন দুনিয়ার সব শব্দ থেমে গেছিল, তারপরেই হাততালিতে সবাই ফেটে পড়েছিলেন। মনে হয় শ্রোতাদের মধ্যে ছেলে বা বুড়ো কেউই ঠিক ঐ পরিবেশে এরকম একটা গান শুনবেন সেটা ভাবতেই পারেন নি। এই গানের পর সেদিন তরুণ শ্রোতাদের কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখেছিলাম। একই সাথে মানুষের চোখে জল মুখে হাসি দেখেছিলাম।

    খালাম্মা যখন মারা যান, শুনেছি বাংলাদেশের একটা টিভি চ্যানেলে এই গানটার রেকর্ড করে রাখা ভার্শন সারাদিন ধরে দেখানো হয়েছিলো। ঠিক তার আগের বছরই ঐ চ্যানেল থেকে আমার গিটার নিয়ে এই গানটা গাওয়ার ভিডিও তুলে নিয়ে গেছিলেন।

    ক'বছর আগে দক্ষিণ কলকাতায় গাঙ্গুলীবাগানের কাছে একটা স্থানীয় বইমেলায় টাঙানো পোস্টারে ঐ গানেরই লাইন তুলে দিয়েছে দেখলাম -- "কারা ভাত কেড়ে নেয়/ সাবধান সামাল সামাল/ ভাত মানে ভাষার খালাম্মা সুফিয়া কামাল' -- কার কাজ, কে জানে!

    কয়েক মাস আগে ঢাকা গেলাম, সেখানে ঢাকার "দেশ টিভি' আমার একটা সরাসরি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। এটা ঐ "ফোন ইন' ধরণের প্রোগ্রাম ছিলো। খালাম্মার মেয়ে ফোন করে এই গানটা শুনতে চেয়েছিলেন।

    কাল বিকেলে সাবিনার কাছ থেকে একটা "ফরওয়ার্ডেড টেক্সট' পেলাম, খালাম্মার মেয়ে ওঁর মা-কে নিয়ে গান লেখার জন্য আমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন -- ঢাকার "দেশ টিভি' বেগম সুফিয়া কামালের জন্ম শতবার্ষিকীতে এ গান টিভিতে বাজিয়েছেন।

    জীবনে অনেক সময়ই এসেছে যখন আমার স্বদেশবাসী আমার গান নিয়ে নিন্দের ঝড় তুলেছেন,তীক্ষ্ণ সমালোচনায় আমাকে ছিঁড়েখুঁড়ে দিয়েছেন,সে সময়গুলোয় নিজেই নিজেকে অভিশাপ দিয়েছি। নির্বোধ আর ছোটমনের কতজনকেই তো আমাকে নীচু করার চেষ্টায় উঠেপড়ে লাগতে দেখলাম! কিন্তু এই জীবনেই আবার এইরকমও কিছু দুর্লভ মুহূর্ত আছে যখন মনটা কৃতজ্ঞতায় ভরে ওঠে -- জীবন আমাকে এই রকম অসাধারণ কিছু ব্যক্তিত্বের কাছাকাছি আসার সুযোগ দিয়েছে বলে, আমার হাত দিয়ে ওঁদের নিয়ে এরকম গান লিখিয়ে নিয়েছে বলে।

    পশ্চিমবাংলায় বেশিরভাগ লোকই হয়তো খালাম্মাকে চেনে না, কিন্তু এটা ভাবলেই আমার মন ভরে যায় যে অন্তত কিছু লোককে আমি দেখেছি যাঁরা বাংলা গানের মত একটা অলীক জিনিষের মধ্যে দিয়ে ওঁর কথা জেনেছেন।

    খালাম্মার শততম জন্মদিনে আমি ওঁকে সেলাম করি। যে মাটিতে উনি জন্মেছেন, পা রেখে দাঁড়িয়েছেন, যে মাটিকে উনি ভালোবেসেছেন, যার জন্য লড়াই করেছেন, সেই মাটিকে আমি চুমু খাই। শেষ যেবার ওঁর সাথে দেখা হল সেদিনের কথা বেশ মনে আছে। উনি বলছিলেন "কী যে দিনকাল পড়েছে! এই সেদিন কজন মুসলমান এসে বললে কোত্থাও নাকি মিটিং করার জায়গা পাচ্ছে না। যেখানেই যাচ্ছে কোন না কোন ঝামেলা হচ্ছে। আমি বললাম আমাদের উঠোনে যে জায়গা আছে সেখানেই না-হয় মিটিং করুক'। হ্যঁ¡, ওঁরা ওখানেই মিটিং করেছিলেন। এর কদিন পরেই কজন হিন্দু এসে খালাম্মাকে একই কথা বললেন, মিটিং এর জায়গা নিয়ে এঁদেরও সমস্যা। খালাম্মা এঁদেরও ঐ উঠোনেই জমায়েত হাবার প্রস্তাব দেন, কয়েক দিন আগে যেখানে মুসলিমরা মিটিং করে গেছেন।

    আমি শুধু ভাবছি এর থেকে আমাদের দেশের রাজনীতিকদের কিংবা আম লোকেদের কি কোন শিক্ষা হবে?

    লেখাটির মূল ইংরেজি সংস্করণ এখানে: http://www.kabirsumanonline.com/home/2011/06/21/begum-sufia-kamals-birth-centenary/

    অনুবাদ: কৃষ্ণকলি রায়


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৯ জুন ২০১১ | ১০২৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন