এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • আর নয়, কেন?

    কবীর সুমন লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৯ আগস্ট ২০১১ | ১০৭২ বার পঠিত
  • আমরা, এই উপমহাদেশের গানওলারা যখন হলভর্তি শ্রোতাদের সামনে গান করি, এটুকু প্রত্যাশা করি যে কিছু অবাক হওয়া মুগ্ধ বিশেষণ, কিছু তারিফ ছুটে আসবে আমাদের লক্ষ্য করে, গানের ফাঁকে ফাঁকে। পশ্চিমী শ্রোতাদের ব্যাপারটা আলাদা, তাঁরা একেবারে নি:শব্দে পারফরমেন্স শোনেন, যদি সেটা কোনো রক শো টাইপের কিছু না হয়, যেখানে গানবাজনার সাথে সাথে উদ্দাম নাচাটাই রীতি। আমাদের উপমহাদেশে শ্রোতৃবৃন্দের সংস্কৃতিতে, নি:শব্দে গানবাজনা শোনার রীতি নেই, তাঁরা শব্দের মাধ্যমেই তাঁদের খুশি ব্যক্ত করেন। আবার খুব বেশি মাত্রায় যাঁরা তারিফ প্রকাশ করেন, তাঁরা প্রায়শই আশেপাশের অন্যান্য সঙ্গীতবোদ্ধাদের বিরক্তির কারণ হয়ে থাকেন। গত প্রায় দুই দশক ধরে আমি দেখেছি কিছু লোক কারণে অকারণে "কেয়া বাত' বলে থাকেন, এমনকি কলকাতায় বসে রিহার্সালের সময়ও এ রকম ঘটতে দেখেছি। তারিফটা সবসময়েই "কেয়া বাত' এবং শুধুই "কেয়া বাত'! এই কেয়া-বাত জনতাদের ভোক্যাবুলারিতে আর কোনো শব্দ নেই, আর বিশেষত সেটাই আমার কানে কেমন কেমন যেন কৃত্রিম আর অসৎ লাগে। এখানে ওখানে দু একটা অবাক হবার আওয়াজ, মাঝেমধ্যে দু-একটা "আহা!' দিলে হয় তো তারিফটা খুলত ভালো, খেলত ভালো। এতটাই ভালো জমত যে গানওলাদের দল এই রকমের সমঝদার শ্রোতার অভাবে সত্যিকারের হা-হুতাশ করে উঠতেন।

    সেই ১৯৯১ সাল থেকে আমি পশ্চিমবঙ্গ আর বাংলাদেশের বিভিন্ন রকমের শ্রোতাদের কাছে গান গেয়ে চলেছি। যেদিন থেকে সিপিআইএম পশ্চিমবঙ্গের কনসার্ট ইন্ডাস্ট্রির প্রতিপালক হয়ে দাঁড়াল, আর যেদিন থেকে আমি একজন তাদের বশ-না-মানা গানওলা হয়ে তাদের বিরাগভাজন হয়ে উঠলাম, সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত কোনো সিপিআইএম সমর্থক বা সিপিআইএম-এর অবিরোধী গায়ক যত পরিমাণ অনুষ্ঠানের জন্য ডাক পেয়েছেন, আমি তার একটা ভগ্নাংশও পাই নি। কিন্তু তবুও আমি শো করে গেছি, এবং আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, কখনও আমি কোনো অনুষ্ঠানে কোনো উচ্ছ্বসিত প্রশংসা পাই নি। সাধারণ হাততালি ছিল, স্বাভাবিক প্রশংসা ছিল। আমার গান যখন খুব জনপ্রিয় হয়ে গেল, তখন আমি সেই সব চেনা গান যখন শুরু করতাম, লোকে প্রশংসা করত, শেষ হলে সব্বাই হাততালি দিত। কিন্তু যেটা আমাকে সবচেয়ে বেশি বিস্মিত করত, গান চলাকালীন কোনো তারিফ শোনা যেত না। আমি সম্ভবত এই উপমহাদেশের একমাত্র গীতিকার-সুরকার-গায়ক যে টানা কুড়ি বছর ধরে স্টেজে একক পারফরমেন্স করে গেছে। একটা সময় ছিল, যখন আমি একা হাতে দুটো ইলেকট্রনিক কীবোর্ড নিয়ন্ত্রণ করতাম, সাথে সাথে একটা ইলেকট্রনিক অ্যারেঞ্জার ব্যবহার করতাম যেটা ড্রাম আর পারকাশনের কাজ করত, বাঁ হাতে সেটাকে ক®¾ট্রাল করতাম। ওই বাঁ-হাত দিয়েই আমি বেস্‌ ক®¾ট্রালও করতাম। প্রিল্যুড বাজাতাম, ইন্টারল্যুড বাজাতাম। কঠিন পরিশ্রম করে সুরের টুকরোগুলো বানাতাম যেটা সেই সময়ে সেই গানের সাথে খাপে খাপে বসবে। ব্যক্তিগতভাবে, আমি আর কাউকে এইভাবে একলা হাতে এই ধরণের সুর সমস্ত অনুষ্ঠানে বাজিয়ে বেড়াতে দেখি নি। কিন্তু এই কুড়ি বছরে, একবারও, একটি বারের জন্যেও এসবের জন্য আমি কোনো প্রশংসা পাই নি, গানের পরেও কেউ আমার সুর নিয়ে, আমার সুর বাজানোর পদ্ধতি নিয়ে কোনো তারিফ করেন নি।

    গিটার আর কণ্ঠ নিয়েও আমি অনেক পরীক্ষানিরীক্ষা করেছি। আমি নিজে জানি যে, আমার এমন কোনও গান নেই যেটা একাধিকবার আমি একইভাবে বাজিয়েছি। সবসময়েই কিছু না কিছু বদল ঘটিয়েছি। কিন্তু যতই না কেন আমি আমার মস্তিষ্ক আর কণ্ঠকে পরিশ্রান্ত করি, যতই না কেন আমি আমার হাত আর হাতের আঙুলকে বিশ্রাম না দিই, যতই না কেন আমি অক্লান্ত পরিশ্রম করি এসবের পেছনে, ফলাফল সেই একই, শূন্য। কোনো প্রশংসাসূচক বাক্য কখনো আসে নি, আমি যে সুর বানিয়েছি, তার তারিফ করে।

    আমি এমন "গায়ক'এর গানও শুনেছি যিনি আমার নিজের বানানো গানের তাল পালটে সেটিকে আত্মস্থ করে গেয়েছেন। শ্রোতারা খেয়ালও করে নি যে গানটার রিদমটাই পালটে গেছে। এইভাবেই আমার একটা ৫ মাত্রার গান নির্দ্বিধায় ৬ মাত্রা, কখনও কখনও ৮-মাত্রাও হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং একজন শ্রোতার একটা ভুরুও বাঁকে নি, বরং গানশেষে সেই গায়ক অজস্র তারিফ এবং তারিফ পেয়েছেন। এইসব বিখ্যাত আর জনপ্রিয় শিল্পীরা গানের মাত্রা বদল কেবল শস্তা জনপ্রিয়তা পাবার জন্যেই করেন নি, তাঁরা এটা করেছেন কারণ ৫-মাত্রার গান হ্যান্ড্‌ল করা তাঁদের কাছে কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। তাই একজন সেটাকে ৬ মাত্রায় বদলে নিলেন, আরেকজন, ৮ মাত্রায়। পরিশেষে, শ্রোতাদের তৃপ্ত মুখগুলি আর শিল্পীর খুশি-খুশি মুখ দেখে আমি চুপ করে দাঁড়িয়ে ভাবলাম, একদিন আমার কিছু শুভানুধ্যায়ী আমাকে এই দেশে ফিরে এসে গানকে জীবিকা হিসেবে নেবার বিরুদ্ধে সাবধান করেছিলেন, তাঁদের কথা সেদিন শুনলে আজ আমাকে এই জিনিস দেখতে হত না। আমি কিছুই করতে পারি নি, নিজের ক্ষোভ, রাগ, হতাশা, কিছুই ব্যক্ত করতে পারি নি সেই দিন। আজ, তেষট্টি বছর বয়েসে, জীবনে অনেক কিছু দেখবার পরে, আজ হয় তো সময় হয়েছে, আমি গলা ছেড়ে বলতে পারি এই বং সোসাইটি (ঞ্ছবাঙালিঞ্জ নয়) আর এই বং জীবনযাত্রার প্রতি আমার অপছন্দ, আমার ঘেন্নার কথা। "বাংলা' বলে আর কিছু বেঁচে নেই। অনেকদিন আগে মরে গেছে। অনেকদিন আগে শোনা এক বাউল-গান মনে পড়ে যাচ্ছে - "বাউল বাউল করো তোমরা / বাউল কে আছে / বড় দু:খ পাইয়া বাংলার বাউল মইরাছে।'

    বহু বছর ধরে আমি দেখেছি, এই বং-দের দল ("বাঙালি' নয়, গত তিরিশ বছরে আমি প্রায় একটিও বাঙালি দেখি নি) "সঙ্গীত' শোনে না। তাদের উৎসাহের কমতি নেই। তারা প্রচুর চাপ নিয়ে রাত জেগে কনসার্টের টিকিটের জন্য লাইন দেয়, "ফেভারিট সিঙ্গার' কে তাই নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ঝগড়া করে, যাকে গায়ক হিসেবে পছন্দ করে তার চারপাশে একটা সাবকালচার স্তাবকের দল বানিয়ে ফেলে কিন্তু সঙ্গীত নিয়ে তারা কথা বলে না। সঙ্গীত শোনে না। তারা তাদের পছন্দের গানওলা নির্বাচন করে কিছু অন্য কারণের জন্য, হয় তো সে-সব কারণও যুক্তিযুক্ত, কিন্তু সেই গানওলা যে সঙ্গীত, যে মিউজিক বানাচ্ছে, সেটা তাদের কাছে তত গুরুত্বপূর্ণ হয় না। এইটাই, আমার কাছে সবসময়েই অপছন্দের বিষয়।

    একটা সময় এসেছে, যখন আমি তিতিবিরক্ত হয়ে গেছি। মনে হচ্ছে, মানুষকে অপছন্দ করা হয় তো সত্যিই আমার অভ্যেস হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যাঁরা সত্যিই আমার গান ভালোবাসেন তাঁদের কাছে আমি এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী, কিন্তু আজ এই উপমহাদেশের একজন গানওলা হিসেবে, তেষট্টি বছর বয়েসে পৌঁছে, আমি এতদিন ধরে যে সুর তৈরি করলাম তার সম্পূর্ণ অনুল্লেখে, তার বিনা কদরে আমার সাঙ্গীতিক উদ্ভাবনী শক্তির প্রতি অপরিসীম অবজ্ঞা, আমার কাছে অত্যাচারের সমান মনে হয়েছে। আর তাই আমি বিদায় নিয়েছি, মঞ্চ থেকে।

    ন'মাসে ছমাসে হয় তো একদিন আমি নিজের খুব কাছের, পরিচিত লোকজনদের নিয়ে কোনও ঘরোয়া আসরে বসেও যেতে পারি। ... অনেককাল আগে, এই বাংলার বুকেই বড় বড় হলঘরে "মজলিশ' বসত, পারফর্মার আর তার নিকটবৃত্তের সমঝদার লোকজনদের নিয়ে। কল্পনা করি, আমিও সেই রকম এক মজলিশে বসে গান করছি, সমঝদার হাতে গোণা কিছু শ্রোতা, একেবারে সঠিক জায়গাগুলোতে গিয়ে একটু "আ-হা' বলছেন, মাথা নাড়িয়ে স্মিতহাস্য করছেন। অনর্থক হাততালি নেই, কোনও মেকি "সাধু-সাধু' রব নেই । স্রেফ একটা দুটো সময়োচিত "আহা' বা মীড়ের আশ্চর্য বাঁকে সমঝদারির মাথা ঝাঁকানো, যা আলাদা করে উজ্জ্বল করে তোলে গানের একটা দুটো দুর্লভ মুহূর্ত। কেবল সঙ্গীতই পারে সত্যিকারের রসিকজনের দেহ আর মনকে একই তারে বাঁধতে।

    গান আমি বানিয়ে চলেছি -- কিন্তু মূলত আমার নিজের জন্যে। আমি জানি এখনও অনেক লোক আমার কাজ পছন্দ করেন। আমিও চেষ্টা করছি আমার এই সব গান নিয়ে কাজকর্ম আমার ওয়েবসাইটে আপলোড করে রাখতে। অডিও থাকছে, ভিডিওও থাকছে। যাতে করে, যে সমস্ত মানুষেরা আমার কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাঁরা আমার কাজ দেখতে পারেন, শুনতে পারেন। আমি শুধু এটুকুই করতে পারি।

    আচার্য পান্নালাল ঘোষের সৃষ্ট দু-তিনটি রাগ নিয়ে কাজ করছি এখন। সঙ্গীতাচার্যের জন্মশতবার্ষিকী এটা। প: বঙ্গে যদিও এনিয়ে কারুর বেশি হেলদোল নেই, বাংলাদেশেও তেমন আছে বলে মনে হয়না। তা হোকগে।

    আচার্য পান্নালাল ঘোষ সৃষ্ট অনেক রাগের মধ্যে চন্দ্রমৌলি, দীপাবলীর কথা আগেই জানতাম । ছোটবেলায় সুরও শুনেছি।

    নূপূরধ্বনির কথা জানতে পারলাম এই সদ্য, বিজ্ঞানীপ্রবর ড: বিশোয়াস এম কুলকার্নির সৌজন্যে। জানতে পারলাম রাগটির স্বরূপ, কোন পথে রাগটি আসে, কোন পথে যায়। রাগটির চলন শুধু না, নাম পর্যন্ত আগে শোনা ছিল না। যা বুঝলাম, হংসধ্বনির শুদ্ধ গান্ধারকে কোমল করলে নূপুরধ্বনি পাওয়া যাবে। এখনো এতে কোন বাংলা গান বাঁধিনি। করার ইচ্ছা আছে। আপাতত শুধুই সরগম।

    প্রয়াত পীযূষকান্তি সরকার, ব্যক্তি ও গায়ক হিসেবে যাঁকে আমার খুবই ইন্টারেস্টিং লাগত, তাঁর কাছে জেনেছিলাম প্রাচীন ভারতের "সরগমিয়া ঘরানা'র কথা । যে ঘরানায় কেবলমাত্র সরগমের ব্যবহার হত। আমার তো মনে হয়, সমস্ত ভাষাজনিত বাধা-ব্যবধান পেরিয়ে যাবার জন্য এটি একটি অসাধারণ মাধ্যম হতে পারে। আর তাছাড়া, এই গায়ন তো কেবলই সঙ্গীত। বিশুদ্ধ সঙ্গীত।

    এবার চন্দ্রমৌলি নিয়ে কিছু কথা।

    বলে রাখা ভাল, আমি কোন পণ্ডিত বা ওস্তাদ নই, আমি নিতান্তই সঙ্গীতের ছাত্র। এবং প্রেমিক। সঙ্গীতের।

    এই রাগটির মধ্যে একটা মধ্য রজনী, গভীর রাতের ব্যাপার আছে, শাস্ত্রজ্ঞরা বলবেন। কিন্তু আমার কীরকম মনে হয়, মানুষের সৃষ্টি অনেকসময়ই তার শাস্ত্রীয় যে নির্ঘন্ট, তাকে অতিক্রম করে চলে যেতে পারে।

    এই যে, রাগের এই জায়গাটা, দ নি স রে গ ম দ গ, গ নি, স নি দ, এই জায়গাটা ভীষণভাবে মধ্যরজনীর কথা বলছে। কিন্তু ম দ নি স ঋ, এই কোমল রে টা তো বলছে ভোরের কথা।

    ম দ ণ স ঋ র গে, স রে গ ম গ,

    এখানে যেন আবার সকাল হল।

    কয়েকটি লাইন লিখেছি। রাগটিকে বাংলায় ধরার জন্য। কিন্তু কালোয়াতি না করে, ঐ আমার বাবা যেমন বলেছিলেন, তোকে কিছু বাংলা খেয়াল কিছু রচনা করে মরতে হবে। তা, বাংলা খেয়াল রচনা করব,এমন ধৃষ্টতা আমার নেই। আমি এই আমার আজীবনের ছাত্রদশা, শিক্ষার্থীদশা থেকেই একটা গান বাঁধার চেষ্টা করছি, বিনীত চেষ্টা। চারটি লাইন। ষোল মাত্রায়।

    স্থায়ী:

    রাতের ওপারে রাত/ ছায়াপথ জেগে থাকে
    জাগে তারা জাগে সুর/ যে তোমায় মনে রাখে।


    অন্তরা:

    মুহূর্ত জাগরুক / জেগে থাকে মহাকাল
    নীহারিকা জাগে যেন/ বাঁশিতে পান্নালাল।


    http://www.kabirsumanonline.com/home/2011/06/02/why-no-more-2/ http://www.kabirsumanonline.com/home/2011/06/22/introducing-chandramouli/
    http://www.kabirsumanonline.com/home/2011/07/07/raater-opaare-raat/
    http://www.kabirsumanonline.com/home/2011/06/14/a-rendition-on-nupurdhwoni-rhythm-16-beats/

    উপরোক্ত ওয়েবপাতাগুলি থেকে শমীক মুখোপাধ্যায় ও ঈপ্সিতা পাল-ভৌমিক কর্তৃক অনূদিত, অনুলিখিত ও সম্পাদিত (কবীর সুমনের অনুমতিক্রমে ও সহায়তায়)।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৯ আগস্ট ২০১১ | ১০৭২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • www | 37.***.*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:২২97276
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন