এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • কলোনির ক্রিকেট

    কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০২ এপ্রিল ২০১১ | ৬৬৯ বার পঠিত
  • বোরিয়া মজুমদার, ক্রিকেট ইন কলোনিয়াল ইন্ডিয়া, ১৭৮০-১৯৪৭। লন্ডন: রুটলেজ, ২০০৮। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৪১৫-৪০০১৪-৫, পৃষ্ঠাসংখ্যা ৪৪৩ + ১২, মূল্য ১৪০ ডলার

    ক্রিকেট - ভারতে কার্যত: জাতীয় খেলা নয়, একমাত্র জাতীয় ধর্ম বলা চলে। এও বলা যায় যে আপামর ভারতবাসী ক্রিকেট নিয়ে কথা বলতে, ক্রিকেট দেখতে - শুধু মাঠে বা টিভিতে নয়, স্বপ্নেও - পছন্দ করে, বুঁদ হয়ে তাদের জাতীয় দলকে খেলতে দেখে, এবং মাঠের নায়কদের রীতিমত পুজো করে। দেখে শুনে বুঝে ক্রিকেট ইন্ডাস্ট্রীতে লগ্নিও করে। তবুও, ক্রিকেট নিয়ে দৈনন্দিন জীবনে এত হইহুল্লোড় সত্ত্বেও, এই বিষয়ে ভালো বইয়ের সংখ্যা নেহাতই কম। বোরিয়া মজুমদারের "ক্রিকেট ইন কলোনিয়াল ইন্ডিয়া' ভারতের ক্রিকেটসংক্রান্ত অল্পসংখ্যক লেখার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংযোজন। বোরিয়ার লেখার স্টাইল অনন্য, বইটা অনেক গবেষণার ফসল, এবং একইসাথে মৌলিক ও ইল্যুমিনেটিং। ক্রিকেট সংক্রান্ত অনেক বিষয় নিয়ে তথ্যমূলক এবং বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা পাঠকের কাছে বইটাকে আরো ইন্টারেস্টিং করে তুলেছে। ভারতীয় পটভূমিতে ক্রিকেটের ইতিহাস ফিরে দেখতে দেখতে বোরিয়া খেলা এবং জাতীয় পরিচয়ের এমন একটা প্রশ্নে ঢুকে পড়েন যে প্রশ্নটা ভারতীয় সমাজে বারবার ফিরে আসে। স্পোর্টস ঐতিহাসিক বা ক্রিকেটভক্তদের কাছে তো অমূল্য বটেই, স্পোর্টস নিয়ে আগ্রহী নন অথচ দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে আগ্রহী পাঠকদেরও বইটা ভালো লাগবে।

    বইয়ের প্রথম দুটি পরিচ্ছদে লেখক ঔপনিবেশিক ভারতে ক্রিকেটের বিবর্তনের বিভিন্ন দিক নিয়ে লিখেছেন রীতিমতন অ্যাকাডেমিক দক্ষতায়। প্রথম পরিচ্ছদে রয়েছে ক্রিকেটের সঙ্গে বেশ কিছু রাজপরিবারের জড়িত থাকার বিভিন্ন জটিল কারণের বিশ্লেষণ- যেমন সোশ্যাল মোবিলিটির টিপিক্যাল কারণ ছাড়াও রাজপরিবারগুলোর মধ্যে বিরোধ (উদাহরণস্বরূপ কুচবিহারের মহারাজা এবং নাটোরের মহারাজার মধ্যে বিরোধ), নিজের ক্ষমতার প্রদর্শন (রণ্‌জি) বা প্রাদেশিক উত্থান (বাংলা এবং মুম্বই)। রাজপরিবার আর শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজের মধ্যে ঐতিহাসিক বিরোধের প্রচলিত তত্ত্বকে খানিকটা খারিজ করেই বোরিয়া একটি নতুন ধরণের কথা বলেছেন - যে এই মহারাজারা অনেকসময়েই নিজের ব্যক্তিগত আকাঙ্খা মেটানোর ইচ্ছেতে জাতীয়তাবাদীদের সঙ্গে হাত মেলাতেন। বাকি পরিচ্ছদগুলোতে বোরিয়া আঠারোশো শতকের মাঝামাঝি থেকে ১৯৪৭-এ স্বাধীনতা অবধি ক্রিকেটের বিবর্তনের রেখা এঁকেছেন। প্রায় ১৮৮০ অবধি ক্রিকেট শুধুমাত্র উচ্চবর্ণ/শ্রেণীর মধ্যেই আটকে ছিলো - উনিশ শতক থেকে অপেক্ষাকৃত তলার দিকের মানুষেরা তাঁদের ছাপ ফেলতে শুরু করেন। স্বাধীনতার সময় অবধি ক্রিকেটের মাঠে সমাজের বিভিন্ন তলার মানুষের মিশ্রণ দেখা যেত - যেটা পাল্টায় স্বাধীনতার পর - এক্সপেক্টেশনের উল্টোদিকে হেঁটেই ক্রিকেট মাঠ মোটামুটি সোশ্যাল এলিটদের জায়গা হয়ে যায়। এই কুক্ষিগত অবস্থা থেকে ক্রিকেট রাতারাতি বেরিয়ে আসে ২৫শে জুন, ১৯৮৩ - যেদিন ভারত প্রুডেনশিয়াল কাপ জেতে। ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের পর সাধারণ লোকে স্বপ্ন দেখা শুরু করে - তাদের চোখে ক্রিকেটাররা আইকন হয়ে ওঠে - আর শুধুমাত্র একটা এলিট খেলা থেকে বড় কেরিয়ার অপশন হয়ে দাঁড়ায় ক্রিকেট। একইসাথে পোস্টকলোনিয়াল ভারতে ক্রিকেটের বিবর্তনের পিছনে ভারতীয় বোর্ডের অবদানকেও বোরিয়া স্বীকার করে নিয়েছেন।

    বইয়ের ভূমিকায় লেখক একটা জরুরী কথা বলেছেন - "the aim is to demonstrate that a history of cricket in Bombay cannot pass as the social history of cricket in India.' - এই বক্তব্যকে জোরদার করতে বোরিয়া ভারতীয় ক্রিকেটে বম্বের ট্র্যাডিশনাল আধিপত্বের বিপক্ষে একটা ব্যালেন্স এনেছেন। বইয়ের তৃতীয় পরিচ্ছদে কলোনিয়াল আমলে বাংলার ক্রিকেটের নানা জটিলতাকে তুলে এনে বোরিয়া লিখেছেন যে ক্রিকেটের শুরুর দিনগুলোতে সাম্প্রদায়িক লাইনে গঠিত মুম্বই মডেল ভারতের অন্যত্র বৃহত্তর সামাজিক কনটেক্সটে ক্রিকেটের প্রভাবের ব্যাখা দিতে চুড়ান্ত অক্ষম। যদিও একইভাবে তিনি যদি দক্ষিণে চেন্নাই এবং উত্তরে পঞ্জাবের ক্রিকেটের কথা আনতেন হয়তো তাঁর এই যুক্তি আরো জোরদার হত। এক্ষেত্রে লেখক নিজের তামিল এবং মালয়লাম ভাষাজ্ঞানের অভাবে ক্রিকেটীয় আর্কাইভে ঢোকার অক্ষমতার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন - যেটা কিছুটা হলেও এই খামতির কারণ।

    একটা চলতি ইউরোকেন্দ্রিক ধারণায় ভারতে ক্রিকেটের মত খেলা চালুর পিছনে ব্রিটিশ স্পোর্টস এথিক্‌স এবং সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদের ভূমিকাকেই শুধু গুরুত্ব দেওয়া হয় - বাংলার ক্রিকেটের হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে বোরিয়া এই চলতি ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেন। এতদিন না-দেখা আঞ্চলিক ভাষার বেশ কিছু নানা ধরণের লেখাপত্র ঘেঁটে তিনি দেখাচ্ছেন কিভাবে কলোনিয়াল আইডিওলজির উল্টোপথে হেঁটে ব্রিটিশ কলোনিগুলোতে ক্রিকেট আর ফুটবল প্রতিরোধের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। এই তত্ত্বের পিছনে তিনি বাংলার ক্রিকেটের জাতীয়তাবাদী চরিত্র সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য দাঁড় করিয়েছেন। এছাড়াও তাঁর দাবী যে প্রতিরোধের পন্থা হিসেবে বাঙালী মধ্যবিত্ত এবং অভিজাত সমাজের ব্রিটিশদের মাঠে তাদের খেলাতেই হারানোর ইচ্ছে এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত দন্দ্বের তত্ত্বকে খারিজ করে। পরের অংশে বোরিয়া ১৯৩০-৪০ নাগাদ বাংলার ক্রিকেটের প্রান্তিক খেলা হয়ে যাওয়ার পিছনে কারণ খুঁজতে গিয়ে রাজনীতি, বাণিজ্য এবং খেলার মধ্যে জটিল সম্পর্কের বিশ্লেষণ করেছেন - বহুব্যবহৃত খেলা এবং রাজনীতির না মেশার তত্ত্বের বিরুদ্ধে গিয়ে। আঞ্চলিক রাজপরিবারগুলোর মধ্যে গভীর বিরোধই বাংলার ক্রিকেটের প্রান্তিক দশার প্রধান কারণ - যার ফলে পোস্ট-কলোনিয়াল আমলে মুম্বই ভারতের ক্রিকেটের কেন্দ্রস্থল হয়ে দাঁড়ায়।

    পঞ্চম পরিচ্ছেদে লেখক ঔপনিবেশিক বম্বের ক্রিকেট ইতিহাসের ওপর আলোচনা করেছেন। ১৯০০ থেকে ১৯৪০-এর মধ্যে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সাপেক্ষে বম্বের ক্রিকেটের বিবর্তনকে বিশ্লেষণ করেছেন তিনি। একটা ঔপনিবেশিক শহরের নাগরিক চরিত্রের পরিবর্তনকে বম্বে ক্রিকেটের উদীয়মান পেশাদারিত্বের সঙ্গে মিলিয়ে বোরিয়া ঔপনিবেশিক ভারতে ক্রিকেটের বাণিজ্যিক প্রাসঙ্গিকতাকে তুলে ধরেছেন। এই তত্ত্বকেই আরো এগিয়ে নিয়ে গিয়ে বইয়ের শেষ এবং সম্ভবত: সেরা পরিচ্ছদে লেখক বম্বে পেন্টাঙ্গুলার ক্রিকেট টুর্নামেন্টের একটি বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিশ শতকের প্রথম ভাগে ক্রিকেট আর উদীয়মান নাগরিক সমাজের সম্পর্ককে দেখিয়েছেন। পেন্টাঙ্গুলার টুর্নামেন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার স্বপক্ষে প্রচলিত যুক্তি যা ক্রিকেট ইতিহাসে পাওয়া যায় তা হল এই টুর্নামেন্টের সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সমস্যা। এই প্রচলিত যুক্তিকে খারিজ করে বোরিয়া এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক নানা শক্তি - যেমন - বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি, আমলাতান্ত্রিকতা, পেশাদারিত্ব - অর্থাৎ বম্বে/ভারতের সমাজে নতুন নাগরিক চেতনার বিকাশকে দায়ী করেছেন।

    বইয়ের শেষে বোরিয়া লিখেছেন যে ২০০৩-এর বিশ্বকাপের পর থেকে ক্রিকেট মিডিয়া বিপ্লবের অংশ হয়ে গেছে; পাশাপাশি বাণিজ্যিক শক্তি-পরিচালিত এক অনন্য দ্রষ্টব্য। অন্যভাবে বলা চলে ২০০৩-এর বিশ্বকাপ খেলা হিসেবে ক্রিকেটের শেষ হয়ে যাওয়ার শুরু। তবে তার চেয়ে জরুরী ঘটনা হল একুশ শতকে ক্রিকেটে ভারতের একটা জয় এমন একটা জাতীয় উন্মাদনা তৈরী করে যার সামনে দেশের অন্য সমস্ত সমস্যা, লোকের সমস্ত ক্ষোভ এক ধাক্কায় দূর হয়ে যায়। বদলে যাওয়া এক অচেনা দৈনন্দিন সংস্কৃতির প্রতীক এখনকার ভারতীয় ক্রিকেটারদের মাঠের মধ্যের আচরণ। খেলা হিসেবে ক্রিকেটে অনুৎসাহী যারা তৃতীয় বিশ্বে ক্রিকেটের বাণিজ্যিকরণের মূলে, তারাই ভারতে এই নয়া ক্রিকেট সংস্কৃতির প্রবর্তক - দুর্ভাগ্যক্রমে, যার ফলে ক্রিকেট "ভদ্রলোকের খেলা' থেকে ক্রমশ: দূরে সরছে।

    বই শেষ হচ্ছে একটা ইন্টারেস্টিং অ্যাপেন্ডিক্স দিয়ে - যেখানে ঔপনিবেশিক আমলে ফুটবলের সবচেয়ে বিখ্যাত জয়ের কথা রয়েছে। ১৯১১ সালে মোহনবাগানের প্রথম অ্যাসোসিয়েশন শিল্ড জয়ের কথা ক্রিকেটীয় ইতিহাসের লেখার মধ্যে প্রথমে অদ্ভুত মনে হতে পারে। কিন্তু লেখক এই অংশটুকুতে বোঝাতে চেয়েছেন যে আঞ্চলিক ভাষায় খেলা সংক্রান্ত লেখা পড়া খেলার ইতিহাস বোঝার জন্যে অত্যন্ত জরুরী আর এই ধরণের সুত্রগুলোকে এড়িয়ে গেলে খেলার ইতিহাস অসম্পূর্ণই থেকে যায়। বোরিয়ার এই লেখাটাই এই ধরণের আঞ্চলিক ভাষায় লেখা সুত্র ব্যবহার করে ঔপনিবেশিক ভারতে খেলার ইতিহাস রচনার অসাধারণ উদাহরণ।

    অনুবাদক: অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০২ এপ্রিল ২০১১ | ৬৬৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন