এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খবর  খবর্নয়

  • মেডিকাল কলেজ

    ডাঃ মৃণ্ময় বেরা লেখকের গ্রাহক হোন
    খবর | খবর্নয় | ১২ জুলাই ২০১৮ | ৩২৯৪ বার পঠিত
  • ও মশাই জানি খুব ই ব্যস্ততা আপনার, তবুও কয়েকটা কথা শুনে যান। কোন এক দলে তো পড়বেনই যাদের সম্বোধন করে এই খোলা চিঠি। বিশ্বকাপ দেখার মাঝে যদি এক দুবার খবরের চ্যানেলে চোখ পড়ে গিয়ে থাকে বা খবরের কাগজের ভেতরের পাতায় যদি চোখ পড়ে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই অন্তত এটুকু জেনেছেন যে মেডিক্যাল কলেজ কোলকাতায় তৃতীয়, দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ষের প্রায় শ'খানেক ছেলে-মেয়ে ৯ দিন ধরে কলেজের কমন রুমে থাকছে হোস্টেল না পেয়ে। ৫ ই জুলাই হোস্টেলের দাবি নিয়ে প্রিন্সিপাল এর কাছে গেলে তিনি শান্তিপূর্ন অবস্থানের ওপর ২০০ জন পুলিশ ও তৃণমূল গুন্ডা বাহিনীকে লেলিয়ে দেন। তার ফলে বেশ কিছু ছাত্র গুরুতর আহত হয়। তার পরেও ছাত্ররা দমে থাকে নি। তারা এখনো কলেজের কমন রুমে থাকছে। ৯ ই জুলাই সোমবার অন্যান্য বন্ধু চিকিৎসক-চিকিৎসাকর্মী সংগঠন ও ছাত্র সংগঠন মিলে প্রায় ৪৫০ জন কলকাতার রাজপথে মিছিল করে পাল্টা বুঝিয়ে দিয়েছে যে তারা আরো দৃঢ় ভাবে তৈরি। পুলিশ গুন্ডাদের সঙ্গে মিলে অনশন মঞ্চ ভেঙ্গে দিয়েছে। অন্যায়ভাবে নতুন হোস্টেলে কোন কাউন্সিলিং ও অফিশিয়াল নোটিশ ছাড়া রাতারাতি স্নাতকোত্তর মেয়েদের ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এই স্নাতকোত্তর মেয়েদের কোন অফিশিয়াল থাকার জায়গা না দিয়ে তাদেরকে ব্যবহার করা হচ্ছে ছাত্রদের মধ্যেকার(স্নাতকোত্তর এর সাথে প্রাক-স্নাতক) সংহতি নষ্ট করার কাজে। সারা ক্যাম্পাস জুড়ে অঘোষিত কার্ফু জারি হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা এর পরেও কিন্ত হার মানেনি। ১০ তারিখ দুপুর থেকে তারা প্রশাসনিক ভবনে অনির্দিষ্টকালীন অনশনে বসেছে। স্বচ্ছ হোস্টেল কাউন্সিলিং এর দাবীতে ও কলেজ ক্যাম্পাসের গণতন্ত্র বজায় রাখতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
    এসব শুনতে বলছি কেন? কোন মেডিক্যাল কলেজের ঝামেলা বা কে মার খেল বা কে হোস্টেল না পেল তাতে আপনার আমার দিন গুজরানে সরাসরি কিছু যায় আসে না তো ঠিকই, কিন্তু আসতেও তো পারে কখোনো। হঠাৎ করে আপনার নিজের বা কাছের কারোর শরীর খারাপ তো হতেই পারে। এমনই অবস্থা, যে মেডিক্যাল কলেজের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট এ (CCU) তে ভর্তি করতে হল। জানেন এই CCU এর ডেপুটি ইনচার্জ কে? এমন একজন ডাক্তার, যিনি ২০১৬ সালে এমবিবিএস পাশ করেন। CCU এর কাজ, অর্থাৎ ক্রিটিকাল কেয়ারে কাজের জন্য প্রথামত কোনো বিশেষ প্রশিক্ষণ ও ডিগ্রী তার নেই। উপরন্তু তিনি পাশ করার পর বড়জোর দুবছর রোগী দেখেছেন (যদিও এই দুবছরে কতদিন ডিউটি দিয়েছেন তার খবর যদি আপনি সঠিক ভাবে নেন তাহলে আপনি বাকরুদ্ধ হবেন এ নিশ্চিত) ।
    মেডিকেল কলেজে CCU এ বা ক্রিটিকাল কেয়ারে যথেষ্ট অভিজ্ঞ ডাক্তার আছেন। তাঁদের অনেকের অ্যানাস্থেশিয়োলজি বা মেডিসিন-এ পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রী আছে। তাঁরা ক্রিটিকাল কেয়ার (CCU / ITU) তে কাজও করছেন। তাঁদের মাথার ওপর বসিয়ে দেওয়া হল এরকম অভিজ্ঞতাহীন ও বিশেষ প্রশিক্ষণ বিহীন এক ডাক্তারকে, যিনি সাধারণ সমস্ত মাপকাঠিতেই ডাক্তারি ছাত্র হিসেবে বা ডাক্তার হিসেবেও যথেষ্ট যোগ্যতার পরিচয় কোনদিনই দেন নি। যোগ্যতা একটা অবশ্য আছে, শাসক দলের ঘনিষ্ঠ হওয়া। ভাবুন একবার, মেডিক্যাল কলেজের CCU এর ডেপুটি ইনচার্জ এর anesthesiology তে স্নাতকোত্তর বা এমডি ডিগ্রী নেই। ভাবুন আপনার চিকিৎসা হবে কার হাতে। আর সেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থার তদারকি করেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। ধরেই নিলাম এই কারচুপি তাঁর কাছে অজানা। ভাবতেই ইপারেন, আমি কি আর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হব? সে না হয় কিছু সাধারণ মানুষ মরবে। সমস্যা হল এই ভদ্রলোক আপ্যোলো হাসপাতালেও যুক্ত। কী এবার। কোথায় যাবেন? ভয় করছে না? তা এই ভদ্রলোকই হলেন মেডিক্যাল কলেজের নতুন হোস্টেলের সুপার। যার অধীনে প্রিন্সিপাল মহাশয় প্রথম বর্ষের ছাত্রদের রাখবেন বলে ঠিক করেছেন। মেডিক্যাল এর ছাত্ররা হোস্টেলের দাবীর পাশাপাশি লড়ছে এটার জন্য যে এই রকম এক জনকে তারা হোস্টেলের সুপার হিসেবে মেনে নিতে নারাজ। আর এর প্রধান মদতদাতা হলেন 'কুকুরের ডায়ালিসিস' করানো (কু)খ্যাত আরেকজন 'চিকিৎসক'। ছবিটা ভাবুন, আপনি মেডিক্যাল কলেজের CCU তে ভর্তি আপনার চিকিৎসক হলেন ইনি। হয়ত আপনার পাশের বেডে কুকুরের ডায়ালিসিস চলছে। এর পর ভয় করছে না! ভাবুন ছেলেমেয়েগুলো আপনার জন্যও কিন্ত পরোক্ষ ভাবে ৯ দিন ধরে লড়ছে।
    শুধু চিকিৎসাপ্রার্থী কেন? আপনি যদি সেই সমস্ত বাবা - মা ও আত্মীয়দের একজন হন, যাদের ছেলে-মেয়েরা হয়তো ভবিষ্যতে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হবে, তাহলে ভেবে দেখুন, কার দায়িত্বে ছেলেকে রাখতে চলেছেন? এতো স্বপ্ন করে মেয়ে বা ছেলেকে ডাক্তারি পড়তে পাঠাবেন পশ্চিমবঙ্গ এর সেরা মেডিক্যাল কলেজে, রাখবেন কার অধীনে? কী পরিবেশে সে থাকবে? কী শিক্ষা পাবে?
    আপনি যদি চিকিৎসক বন্ধুদের একজন হন তো, শেষ দুই বছর ধরে ডাক্তারদের যে গণশত্রু হিসেবে দেখান হল তার সাথে মিলিয়ে দেখুন। ভাবুন এমন লোক যদি CCU এর ডেপুটি ইনচার্জ হয় তবে রোগী গাফিলতি তো হবেই। আর এরকম কিছু ডাক্তারের জন্য সারা ডাক্তার সমাজ কে গণশত্রু তে দেখান হবে আর সাধারণ মানুষ ও এটাই ভাবতে বাধ্য হবেন। এর পর ও চুপ থাকবেন? আপনি প্রাইভেট চেম্বার করলেও এই কিছু ডাক্তারের জন্য আপনার রোগী আপনার পেশার জাতি কে অসুর বানাবে। চুপ থাকবেন নাকি ভাই বা ছেলের বয়সি এই ছাত্রদের পাশে দাঁড়াবেন। লড়াইটা ময়দানে ওরা লড়লেও এটা কিন্তু পুরো ডাক্তার সমাজের লড়াই।
    পুলিশ আর প্রিন্সিপাল এর জন্য অবশ্য শব্দ খরচ করাও পাপ। একজন নিজে ছাত্রাবস্থায় থাকতেন হোস্টেল জবরদখল করে। আর আজ ছাত্র পিটিয়ে কুকুরের ডায়ালিসিসকারী ও তার কোম্পানির কাছে পুষ্পস্তবক নিয়ে হাসি বদনে ছবি তুলছেন বুক ফুলিয়ে। নিজে তিনি কলেজের আনাটমি বিভাগের ওপরের হোস্টেল জবরদখল করে থাকতেন প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রদের সাথে পাশ করার পরেও হাউসস্টাফশিপের সময়। আর এখন তিনি মেডিক্যাল কলেজের ১৮৪ বছরের ঐতিহ্য কে নষ্ট করে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের আলাদা করে দাললদের অধীনে রাখতে তৎপর। যিনি একসময় মালদা মেডিক্যাল কলেজে তৃণমূল এর হাতে মার খেয়েছিলেন আজ তিনি সেই তৃণমূলের হাতের পুতুল।
    পুলিশ কিছুদিন আগে একটি পোস্টার দিয়েছিল যে 'ডাক্তারেরা সমাজবন্ধু বিপদে-আপদে আমাদের সহায়। ওদের গায়ে হাত তোলা দণ্ডনীয়। জেল হতে পারে ১০ বছর পর্যন্ত।' ঘটনা এই, যে আজ তারাই ১০০ জন মিলে শাসক গুন্ডাদের সাথে হাত মিলিয়ে ডাক্তারি ছাত্রদের পেটাচ্ছে।
    হায় সেলুকাস কি বিচিত্র এ দেশ!


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • খবর | ১২ জুলাই ২০১৮ | ৩২৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • pi | ***:*** | ১৯ জুলাই ২০১৮ ০১:৫০85578
  • কাল। অনেকে যাচ্ছেন, একসাথে। যাঁরা হয়তো একে অপরের চেনাও না, কিন্তু এরকম একটা ইস্যুর জন্য তো চেনা অচেনা লাগেনা। বাকিরাও যে পারবেন চলে যান, সংখ্যার জোর কিছুটা হলেও ম্যাটার করে হয়তো, এই অনড় কর্তৃপক্ষের উপর ততই চাপ পড়বে, যত বাড়বে চাপ দেওয়ার সংখ্যা। সেটা এখনো এত কম, যেখানে কটা বাচ্চা ছেলে ২০০ ঘ্ণটা না খেয়ে মরণপণে রয়েছে, এটা সত্যি অবাক কাণ্ড!৷ মিডিয়াতেও হইচই এত কম!৷
    অনতত কাল অনেকে যাওয়া, এটুকু কি করা যাবে?

    কাবেরী বসু দের মত কেউ কেই কাল ওখানে গিয়ে অনশনে বসছে, তারপর সবাই যাবে আকাদেমিতে জমায়েতে। এই প্রতিবাদ এবারে বাইরে এভাবে ছড়িয়ে পড়াও খুব দরকার!

    আর কাল কি, আমাদের মত দূরে থাকা লোকজন, যে যেখানে আছি একসাথে অনশন করতে পারিনা? যাদবপুরের সময় তো এত এফেক্টিভলি এটা করা গেছিল, নানা প্রান্ত থেকে সলিডারিটি, এবারে এখানে কেন সেটা হচ্ছেনা?
    কাল একটা চেষ্টা করা হোকনা।
    কাল সকাল দশটাা থেকে, আমরা যে যেখানে আছি।

    আর কিছু না হলেও সবাই মিলে অন্যদের জানানো, শেয়ার, ইনভাইট, এটুকু তো করাই যায়!৷ খুবই অল্প সময় লাগে কিন্ত।

    আর যারা পারবেন, চলে তো যাচ্ছেনই, এগারোটায়, মেডিক্যাল কলেজে, ওখন থেকে লাইভ হবে, আর তিনটের সময়, আকাদেমির সামনে।
    #হোকপ্রতিবাদমেডিকেলকলেজ

    https://www.facebook.com/events/655063454853495/?ti=cl
  • pi | ***:*** | ১৯ জুলাই ২০১৮ ০৩:১৫85574
  • মেডিক্যাল কলেজের এই অনশন নিয়ে বাকিদের ও কিছু করতে হবে। কর্তৃপক্ষের হেলদোল নেই, কিন্তু বাইরে বাকিদের ও তো তেমন নেই!
    যাঁ্রা কোল্কাতায়, মেডিক্যাল কলেজে যেতে পারেন। কেউ কেউ গেছেন। ।কাল এগারোটায় অনেকে একসাথে যাচ্ছেন শুনলাম। অনেকে একসাথে গেলে খুব ভাল হয়।
    কিন্তু যারা দূরে, দূর থেকে কী করা সম্ভব জানিনা। তবে যাদবপুরের সময় কয়েক বছর আগে সারা পৃথিবীতে ছড়াানোছিটানো সবাই তাদের নজেদের জায়গায় অনশন শুরু করেছিলাম। সবাই নিজেদের ওয়ালে অন্য অনশনকারীদের ও জুড়ে নিয়ে। এরক্লম কিছু করা যায়? অবশ্যই ওদের অনুমতি থাকলে।
  • Pi | ***:*** | ১৯ জুলাই ২০১৮ ০৩:১৬85575
  • সৈকতদার পোস্টটাও রইল।

    'মেডিকাল কলেজের অনশন, আজ কততম দিনে যেন পড়ল, কেউ বিশেষ খবর রাখছে বলে মনে হয়না। আজকের অনলাইন আনন্দবাজারে একটি বাক্যও পেলামনা, হয়তো ছাপা কাগজে আছে। এই সময়ে একটা খবর আছে, কিন্তু সেটা অধ্যক্ষের অসুস্থতা বিষয়ে ফোকাস করে। শিরোনাম 'অনশনে এবার সমালোচনা'। মোদ্দা কথা হল গুন্ডা ছাত্ররা শিক্ষক অধ্যক্ষের সঙ্গে এমন ব্যবহার কীকরে করল, যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন? এই নিয়ে নাকি সমালোচনা সর্বত্র। ব্যস। ন দিন অনশনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে অনিকেত চট্টোপাধ্যায় নামে একটি ছেলে, এইটুকু অবশ্য নমো নমো করে লেখা আছে, কিন্তু বাকিটা মূলত ছিছিক্কার। এর সবটাই অবশ্য ভিতরের পাতায়, কারণ খবরের কাগজের প্রথম পাতায় আজকাল বিজ্ঞাপন থাকে। সেখানে, আজই দেখি জায়গা করে নিয়েছে কোনো এক 'ভিভো হেল্থকেয়ার'এর পাতাজোড়া বিজ্ঞাপন। সেখানে এক হাস্যমুখী তরুণী মাথায় টুপি আর গায়ে অ্যাপ্রন পরে ঘোষণা করছে 'আমি বেছে নিয়েছি হেল্থকেয়ারকে। এবার আপনার পালা'।

    হ্যাঁ, এটা, আজ এই উনিশে জুনের কথা। এটা কোনো আপতিক ব্যাপার নয়, যে, একদিকে যখন আমাদের নিকটজনরা, অনিকেত, পুণ্যব্রত গুণ, এবং অবশ্যই আরও অনেকে অনশন করছেন একটা ভেঙে পড়া সিস্টেমের উন্নতির লক্ষ্যে। অনিকেত ইতিমধ্যেই গুরুতর অসুস্থ, পুণ্যদার মতো প্রবীণ চিকিৎসকরা চিকিৎসা চেড়ে নিজেরাই অসুস্থ হবার দিকে এগোচ্ছেন। ঠিক সেই সময়, বেছে নেওয়া হচ্ছে কুকুরের ডায়লিসিস খ্যাতদের পক্ষ এবং একই সঙ্গে ভিভো হেলথকেয়ারকে।

    এটা কোনো সমাপতন নয়। হতে পারেনা। বরং এটাই একলাইনে বুঝিয়ে দেয় ব্যবস্থাটা কোন দিকে চলেছে। একদল চাইছে সিস্টেমটাকে উন্নত করতে, বাঁচাতে। বাকিরা চাইছে তুলে দিতে। মেডিকেল কলেজে কুকুরের ডায়ালিসিস হোক, আর 'মানুষ' এর চিকিৎসা করুক ভিভো, এই তো ব্যাপার। ছোটো থেকে শুরু হয়ে মেডিকাল কলেজের যুদ্ধটা এখন এই জায়গায় পৌঁছেছে। ছোটো স্কেলে কিছু দাবী নিয়েই ব্যাপারটা শুরু হয়েছিল। তার খানিকটা আমি পড়েছি। কিন্তু লিখছিনা। ওসব লেখার জন্য এই পোস্ট নয়। যারা জানার তাঁরা এমনিই জানবেন। গুরুতে একটা লেখাও বেরিয়েছে। পড়তে পারেন। সে অবশ্য খুব অগোছালো। গুছিয়ে লেখা চাওয়া হয়েছিল। যারা অনশন করছেন, তাঁরা গুছিয়ে লিখতে পারেননি। সময়ের জন্য পারেননি। অসুস্থতার জন্য পারেননি। তাঁরা বারবার যেটা বলেছেন, সেটা বলার জন্যই এই লেখা। মূলত যখন চতুর্দিকে আন্দোলন নিয়ে ব্ল্যাক্ আউট চলছে, আন্দোলনকারীরা বারবার বলছেন, সামাজিক চাপ তৈরির কথা। পাশে দাঁড়ানোর কথা। সশরীরে মেডিকাল কলেজে, আন্দোলনমঞ্চে গুরুর থেকে এক, একাধিক বা বহু লোককে সশরীরে উপস্থিত হতে বলছেন তাঁরা। এই বার্তাটুকু, জরুরি মনে হওয়ায় পৌঁছে দেবার জন্যই এই লেখা।

    যদি পারেন তো ঘুরে আসুন মেডিকাল কলেজ। স্বচক্ষে দেখুন। কথা বলুন। আর ফিরে এসে অবশ্যই একটা লেখা লিখে ফেলুন। কারো পক্ষ নিয়ে লিখতে হবেনা। একদম নির্মোহভাবেই লিখুন। কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে, আন্দোলনকারীরা কী করছেন, দুনিয়ার সব লোকের সেটা জানার প্রয়োজন আছে। গুরু তো মূলত পাবলিকের মিডিয়া হয়ে ওঠার দাবী রাখে। গুরুর পাবলিকের কাছে আমি তাই সাংবাদিক হয়ে ওঠার দাবীটুকু রাখলাম।'
  • সিকি | ***:*** | ১৯ জুলাই ২০১৮ ০৩:৩২85577
  • উনিশে জুন-টা জুলাই হবে।
  • Pi | ***:*** | ১৯ জুলাই ২০১৮ ০৫:০৩85579
  • এই মুহুর্তে মেডিকেলে প্রায় ১০০ পুলিশ জমা হয়েছে।
  • Pi | ***:*** | ১৯ জুলাই ২০১৮ ০৬:০৬85580
  • জিন্না আহমেদের দেওয়াল থেকে

    অনেকেই বলছেন মেডিকেলের ছাত্রদের অনশনের কারণ তারা জানেন না। এই আন্দোলন প্রসঙ্গে একজন সিনিয়র ডাক্তারের লেখা খোলা চিঠি এখানে কপি-পেস্ট করলাম। পড়তে অনুরোধ করছি-

    মহামান্য অধ্যক্ষ সমীপেসু -
    ●●●●●●●●●●

    । প্রথম পর্ব ।

    হোষ্টেলের দাবিতে অনশনের ২০০ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও, কতৃপক্ষ নামক এক আঁটি আপদের অস্মিতায় টোলও পড়ে নি ! অস্মিতা বা এগো শব্দটার মধ্যে তাও একটা মূল্য এবং গুরুত্বের ব্যাপার থাকে- হোক তা নিজেকে নিয়ে । এদের ক্ষেত্রে বরং এগোমনিঅ যথাযত। ছ' জন ভবিষ্যতের ডাক্তারের প্রতি এ ধরনের অমানবিক এবং উন্নাসিক উদাসীনতা এ সময়ের সমাজপতিদের মানসিকতা কে উলঙ্গ করে আমাদের সামনে দাঁড় করাচ্ছে । চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে কতৃত্বের আহাম্মকি, দাম্ভিকতা আর নাৎসী মানসিকতা । একজন বর্ষীয়ান শিক্ষকের তার অনশনরত ছাত্রদের সাথে কী বশংবদ বিরোধ থাকতে পারে যে , উনি মিঃ হাইড হয়ে গেলেন ! আর স্বার্থন্বেষী নোংরা রাজনৈতিক নেতাদের নিজের হাতেই সযত্নে দায়িত্ব নিয়ে গাঁজা সেজে দিচ্ছেন ! নিজের ছাত্রদের হষ্টেলের নায্য দাবিকে ঈ এর নিয়ম দেখিয়ে মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন? তাহলে প্রশ্নগুলির উত্তর দিন --

    ১।।।তিন বছর ধরে নিয়মানুযায়ী হষ্টেল কাউন্সেলিং হয়নি কেন - ঈ বারণ করেছিল ?

    ২।।।।ঈ নিয়মে ৭৫% প্রথম বর্ষের ছাত্রদের হষ্টেল দিতে কি একটা ১১ তলা বাড়ি পুরোটা লাগবে ?

    ৩।।।।।দ্বিতীয়, তৃতীয় বর্ষের ছাত্রদের মাথা গোঁজার ঠাঁই দেয়া কি আপনার দায়িত্ব নয়, তাহলে শত্রুর মত ব্যবহার করছেন কেন ?

    ৪ ।।।।।।যে হস্টেলে 'পুরনো ' ছেলেরা থাকছে ( মইন বোয়'স) তার ছাদ তো ৩ দিন আগেও খুলে পড়লো, উপরন্তু ড বলেই দিয়েছে ওই হষ্টেল আর ঠেকনা দেয়া যাবে না - তাহলে সেটাকে ঠিক না করে এসব তৃণভোজী নাটক কেন করছেন ?

    ৫।।।।।।১১ তলা বিল্ডিং বানানোর জন্য ড কে প্রিন্সপাল যা নির্দেশ দেন তাতে - ইডেনের ক্যান্টিন ঈট, ট ট, আডী ট, একদম উপরের তলায় ঈ ঈণটR বা বাইরের অতিথিদের গেষ্টরুম ইত্যাদি সহ যা প্লান ছিল তার কোথাও সারা বিল্ডিং জুড়ে প্রথম বর্ষ কেন্দ্রিক মহা মগজধোলাই আগার গড়ে উঠবে তার বিন্দুমাত্র আভাস নেই কেন ?

    ৬ ।।।।।ঈ এর আণ্ডাট অনুযায়ী যা যা প্রয়োজন তা যে এখনো সারা বঙ্গ জুড়ে অপ্রতুল আপনি ভালো করে জানেন , আর তার জন্য বছরের পর বছর আমরা বিভাগীয় প্রধান সহ প্রতিটি শিক্ষক এবং অন্য সহকারিরা মিথ্যাচার , নাটক, অভিনয় করেই চলেছি ঈণটR দের সামনে - তখন একবারও বলেননি আপনারা কেন এর মিথ্যে দায় নেবেন " এটা তো ঈ এর আণ্ডাট " ! তাহলে আজ ঈ এর নির্দেশকে বানীতে পরিনত কেন করছেন ,যেখানে পুরনো ছাত্রদের সত্যিকারের হষ্টেল প্রয়োজন ?
    ঈ এর নির্দেশ একটা ইউনিটের জন্য ৩০ টি করে ইনডোর বেড, সেখানে বেশ কয়েকটি ডিপার্টমেন্টে ১০টা বেড দিয়ে আমরা কাজ চালাই, আর পরিদর্শনে এলে অবলীলায় মিথ্যে অন্য ডিপার্টমেন্টের বেড দেখিয়ে প্রশাসনের সাথে সহযোগিতা করি, সরকারের মুখ রক্ষা করি। এ সময়ে ঈ এর নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখানোটা আপনাদের কাছে বিপ্লব ! আর।।।

    ৭।।।।।।।হোষ্টেলের দাবি করলে মাওবাদি বা মাকু কেন ? তার মানে ছেলেদের দাবি ন্যায্য, শুধু আপনাদের দলদাস নয় - সেটাই অপরাধ ? আর , মাও বা মার্ক্স কি, আপনাদের মতে, পৃথিবী জোড়া নিষিদ্ধ? রাজ্যের শাসকদল, এখন যার আপনি প্রতিনিধি , ভোটের আগে এবং অব্যবহিত পরে তাদের তো মাওবাদীদের সাথে বেশ ভালো রকমের মাখামাখি এবং দরদ দেখেছি - তার বেলা ? আপনি নিজে একসময় ডআ করেছেন - তাহলে আপনার এই পদাধিকারীর পুরস্কার কেন?

    ৮ ।।।।।। আপনার গলায় যে বরমাল্য আমরা অহরহ দেখি তা তো রীতিমত এ রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সর্বোচ্চ হোতাদের হাতে সযত্নে গাঁথা ।তাহলে আপনি সমস্যা সমাধানের জন্য কথায় কথায় ' হায়ার অথরিটি" দেখান কেন ?
    আর রুগি কল্যাণ সমিতির রাজনৈতিক লোকগুলো কলেজ কাউন্সিলে নাক গলায় কেন ? এটা ওদের এক্তিয়ারে পড়ে ? আর আপনিই বা এই অনধিকার চর্চাকে আপনার তেল মারার ওভার টাইম হিসেবে নেন কেন ?

    ৯।।।।।।আপনি যদি মনে করেন আপনি যথেষ্ট উচ্চ পদাধিকারী নন, তাহলে উন্মত্ত ইগো দেখাচ্ছেন কেন ? আপনার ছাত্রদের কাছে আপনার অক্ষমতা স্বীকার করছেন ( কানে কানেই করুন না ! ) না কেন ? তাহলেও তো আপনার ভালো পড়ানোর মান থাকতো !

    ১০।।।।।হঠাৎ আপনি এবং আপনার অলম্বুস সহচরেরা "রগ্গিঙ্গ , রগ্গিঙ্গ " বলে যে তারস্বরে চিৎকার করছেন , লজ্জা করছে না ? এ রাজ্যের কোনো মেডিক্যাল কলেজে আপনি বাপের জন্মে রগ্গিঙ্গ দেখেছেন বা শুনেছেন ? নিজে এত বছর ধরে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে পড়িয়ে এরকম একটা ডাহা মিথ্যে ছাত্রদের সামনে বলতে লজ্জা করলো না ? কিসের শিক্ষক আপনি ? যেখানে সারা বঙ্গের সব বয়সের ডাক্তার স্টুডেন্টস এই আন্দোলনে সামিল , সেখানে কটা রাজনৈতিক ভেড়ার তাঁবে এসে আপনি এরকম বলে ঘোলা জলে রাজনৈতিক প্রভুদের মাছ ধরার প্রয়াসে প্রবৃত্ত হতে পারলেন ??

    ১১।।।।।আপনার এত শরীর খারাপে আপনি নিজের কলেজ ছেড়ে পিজি তে ভর্তি হলেন কেন ? ভয় করে ? কেন অন্যায় করেছেন কোনো ? রাতের অন্ধকারে পুলিশ আর গুন্ডা ডেকে ছাত্রদের নৃশংস অত্যাচার করলেন , তখন আপনার শরীর খারাপ করে ছিলো? আপনি কি সদিস্ত ?

    এবার আমাদের কথা শুনে নিন। মেডিক্যাল কলেজ কোনো রাজনৈতিক দলের বাপের নয় । সুতরাং আমরা মেডিকোজরা এই আন্দোলন আমরন চালাবো। আর কোনো সত্যের জন্য মাওবাদি কেন রেপিস্ট তকমাও ( হ্যাঁ! রাজনৈতিক পিশাচের দল তাও পারে !!) লাগান আমাদের কিচ্ছু যায় আসে না । ডাঃ নর্মান বেথুন প্রথম জীবনে অরাজনৈতিক ভোগ বিলাসী ডাক্তার ছিলেন । নিজের দুরারোগ্য ( তখনকর দিনে চিকিৎসা ছিল না ) যক্ষ্মার মৃত্যু ভয়ে চেতনা ফিরলে , তিনি রোগের কারণ এবং চিকিৎসার অনুসন্ধানে সারাজীবন উৎসর্গ করে বুঝতে পারেন যে, দারিদ্র্য ই অন্যতম কারণ । তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষিতে তিনি রীতিমত জনসভায় সোচ্চারে শ্রমিকদের জীবন যাত্রার মানোন্নয়নের দাবি করেন - একজন চিকিৎসকের দৃষ্টি থেকেই । কিন্তু শাসকশ্রেণি তাঁকে কম্যুনিষ্ট ইত্যাদি নানারকম তকমা লাগিয়ে পীড়ন করে । সুতরাং আপনাদের এই শ্রেণিগত দুরভিসন্ধি আমাদের অনেক আগেই জানা । আর একটা কথা খুব ভালো করে জেনে ন
  • π | ***:*** | ২০ জুলাই ২০১৮ ০১:১৪85581
  • পুলিশ একটু আগে চলে গেছে।
  • π | ***:*** | ২০ জুলাই ২০১৮ ০৩:৩৭85583
  • লিখছি।

    আপাতত ওখান থেকে এই আপডেট
  • Pi | ***:*** | ২০ জুলাই ২০১৮ ০৯:১৭85584
  • সাড়ে এগারোটার পোস্ট ছিল।

    মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র-আন্দোলনকে সংহতি জানিয়ে আজ সন্ধ্যায় মালদা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র-জুনিয়র ডাক্তারদের বিশাল মিছিল ও জমায়েত।

    মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।।
  • ... | ***:*** | ২০ জুলাই ২০১৮ ১২:৪৭85582
  • আচ্ছা, অনশন তো বেশ কয়েকজন ছাত্র করছে দেখলাম। কিন্তু শুধু অনিকেত চ্যাটার্জি হাইলাইট হচ্ছে কেন? সব জায়গায় তারই নাম আর ছবি।
  • ... | ***:*** | ২১ জুলাই ২০১৮ ০৫:২৫85585
  • বামুন বলে অনিকেতকে নিয়েই হৈ চৈ হবে? শূদ্র বলে বাকীদের পাত্তা দেওয়া হবে না?
  • pi | ***:*** | ২২ জুলাই ২০১৮ ০৭:২৯85586
  • আগেরদিন ভেবেছিলাম উত্তর দেব, অন্য অনেক জরুরি কাজ থাকায় দেওয়া হয়নি। এখন ঠিক করলাম দেবনা।
    ট্রোল বলেই পাত্তা দেওয়া হবেনা।
  • pi | ***:*** | ২২ জুলাই ২০১৮ ০৭:৩০85587
  • আর আপডেটটা এখানেও থাকুক।

    সুখবর হল, কাল প্রিন্সিপাল মেনে নিয়েছেন, যে দাবিগুলো নায্য আর সে মর্মে চিঠি দিয়েছেন।
    এবারে সমস্যা হল, এই চিঠি আবার গেছে 'হায়ার অথরিটি' র কাছে, আর সেটি হল ডি এম ই, যিনি নাকি সোমবার সকালে দেখবেন। এবারে তারপর সেই হায়ার অথরিটি মানে মুখ্যমন্ত্রী ও হতে পারে। তো, না আঁচানো অব্দি বিশ্বাস এই, আর এই সব স্তরে প্রিন্সিপালের হ্যাঁ, না ও হয়ে যেতে পারে, এমন আশংকাও থেকেই যাচ্ছে। যদিও প্রিন্সিপালের মেনে নেওয়া, এই দাবিগুলোকে নায্য দাবি বলে মেনে নেওয়া অবশ্যই আন্দোলনের নৈতিক জয় বটে। এ হিসেবে একটা বড় পদক্ষেপ এগিয়ে যাওয়াও বটে।
    এদিকে মেডিকেল কলেজের মত প্রিন্সিপালের কথাই কেন শেষ কথা হবেনা, কেন আর অপেক্ষা করতে হবে। আর 'জায়ার অথরিটি' নিতান্ত লাগলেই সেটা কেন এই এমারজেন্সি পরিস্থিতিতে, যেখানে অনশনের ১২ দিন হয়ে যাওয়ার পরে বহু ছাত্রের শরীরের হাল বোঝাই যায়, কাল দেবাশিসকেও ভর্তি করতে হল, সেখানে আরো দুদিন ঝুলিয়ে রেখে এমারজেন্সি ভিত্তিতে কাল বা আজ করা যাবেনা, সেসব প্রশ্নও সঙ্গত কারণেই উঠে আসছে। আর সেসব কারণেই আজ বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে মেডিকেল কলেজে যে গণকনভেনশনটি হচ্ছে, তাতে যত বেশি মানুষ যান, ততই ভাল। এই শেষ ধাপে, চাপ যাতে কোনোমতে আলগা না হয়, বরং বাড়ে আরো।
    আজকের কনভেনশনে দূরে থাকা লোকজনও যাতে অংশ নিতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও হচ্ছে। কেউ অংশ নিতে চাইলে এখানে বা মেইলে, মেসেজে জানাবেন। রেকর্ড করা মেসেজও পাঠিতে দিতে পারেন। যাদবপুরে হোক কলরবের সময়কার গণকমভেনশনের মত এখানেও সেসব দেখানোর বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।

    প্রিন্সিপালের চিঠি পরের পোস্টে দিচ্ছি।
  • তাতিন | ***:*** | ২২ জুলাই ২০১৮ ০৮:০১85588
  • অনশন কোনও ব্ল্যাকমেইলিং স্টেপ নয়। অনশন কোনও ট্যাক্টিকাল মুভও নয়। অনশন আন্দোলনের ভিত্তি হল নীতিগত একটা অবস্থান। আমার দাবি জাস্টিফায়েড, এই অবস্থানটা। এবং এই অবস্থানটা আমার অস্তিত্বের মতই দৃঢ়। এর স্বার্থে আমি মরেও যেতে পারি।
    মেডিকেল কলেজে হোস্টেল কাউন্সেলিং এর দাবি যে নৈতিক, তা সমাজ জুড়ে ছড়িয়েছে এই অনশন আন্দোলন থেকেই। এবং যে হোস্টেল নিয়ে গত কুড়ি বছরে ভাবনা চিন্তা হয় নি, সেগুলোও মিডিয়া ও পাশাপাশি আমরা দেখছি, তার কারণও অনশন। অনশনের জন্যেই হোস্টেলে ঘরে ঘরে কলেজ কর্তৃপক্ষ কাল ঘুরেছেন।

    অনশনের কারণ ছিল কলেজ কর্তৃপক্ষের অনমনীয়তা। এইবার ছাত্রদের দাবি যে জাস্টিফায়েড সেটা প্রিন্সিপাল স্বীকার করে নিয়েছে, যে প্রিন্সিপালকে ডি এম ই আন্দোলন চলাকালীন অ্যাপয়েন্ট করেছে। এইটা নীতিগত অবস্থানের জয়। অনশন নামক ফর্মটারও জয়। এবার টেকনিকাল খুঁটিনাটি নিয়ে অন্যভাবে আন্দোলন করা যায়।

    আন্দোলনের মধ্যে আছে, যারা গত পনেরো দিন ধরে অনশন করছে, তাদের শারীরিক ও মানসিক স্টেক অন্যমাত্রায়, তারা পাকা রসিদ ছাড়া উঠে আসতে চাইবে না। মনে হয় ঘর অ্যালট হওয়া অবধি অনশন চালিয়ে যেতে চাইবে।
    সহনাগরিকদের এই বার্তাটা তাদের কাছে পোঁছে দেওয়া উচিত, যে নীতিগত জয় পাওয়া গেছে । অনশন কারীরা এবার সুস্থতায় ফিরুন। টেকনিকাল ইস্যুকে অন্য ফর্মে অ্যাড্রেস করা হোক।

    আর, পরবর্তীকালে যদি দাবি মানা না হয়, সেটা অনেকগুলো স্টেজে হতে পারে। প্রিন্সিপালের চিঠি ডি এম ই না মানতে পারে , মানলেও আসল অ্যালটমেন্টের সময় কোনও একটা উটকো ক্লজ দেখিয়ে অন্য কিছু করতে পারে। এগুলো কে পরিস্থিতি অনুযায়ী মোকাবিলা করা হোক। কিন্তু, হোস্টেলে নতুন কাউন্সেলিং এর দাবি গৃহীত হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষের দ্বারা, অতএব অনশন সফল। আজকের কনভেনশনে অনশনকারীদের সুস্থ হয়ে উঠতে অনুরোধ করা হোক।
  • π | ***:*** | ২২ জুলাই ২০১৮ ০৮:২৪85589
  • চিঠিটা।

  • sm | ***:*** | ২২ জুলাই ২০১৮ ০৮:৪০85590
  • ধরা যাক,নতুন হোস্টেল ছাড়া, অন্যান্য হোস্টেল গুলি থাকার অযোগ্য।
    এবার নতুন হোস্টেলে ৬৫০স্টুডেন্ট ধরার পরও অনেক স্টুডেন্ট বাকি থাকবে।
    যারা অন্যান্য হোস্টেল গুলিতে থাকবে, তাদের প্রতি অবিচার হবে না?
    দুই, নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল, আন্দোলন কারী স্টুডেন্ট দের দাবি ন্যায্য বলে মেনে নিয়েছেন।অর্থাৎ তিনি ভালো।কিন্তু অন্য দুজন মানেন নি, তার মানেই তারা খারাপ!
  • pi | ***:*** | ২২ জুলাই ২০১৮ ০৯:১৮85591
  • তাতিনের পোস্ট নিয়ে যেহেতু গুরুর গ্রুপে প্রচুর বিতর্ক হয়ে চলেছে, আমার উত্তরের অনেক কথাও চলে এসেছে, এখানে রেখে দিলাম,

    Ray Manini Khub thik kotha, ebare chelegulo hunger strike chere sustho hoye uthuk
    পরিচালনা করুন
    লাইক · প্রত্যুত্তর · ৫২মিনিট
    Taposh Dash
    Taposh DashTaposh এবং অন্যান্য ১২ জন গুরুচন্ডা৯ guruchandali -এর জন্য সদস্যতা, মডারেটর, সেটিংস এবং পোস্টগুলি পরিচালনা করেন। ব্যক্তির তার শরীরের উপর অধিকার রয়েছে। সেই শরীর, থ্রি ডাইমেনশনাল সেই টিস্যু স্পেস, সে আর কারো নয়, আনলেস সে বন্দি। কৌমের চাপ সেই ব্যক্তির উপর পড়বে কিনা, সে তখন তার শরীর নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা তারই সিদ্ধান্ত। কিন্তু, তারই সিদ্ধান্ত। নিজের শরীরকে ভালবেসে, বা না ভালবেসে। (১৩ দিন না খেয়ে থাকিনি, ভাবিও নি কখনো, এসব তত্ত্ব করতে একটু গা গুলোয়, তবু।)

    পরিচালনা করুন
    লাইক · প্রত্যুত্তর · ৪৭মিনিট
    1টি জবাব
    Ipsita Pal
    Ipsita Palআপনি এবং অন্যান্য ১২ জন গুরুচন্ডা৯ guruchandali -এর জন্য সদস্যতা, মডারেটর, সেটিংস এবং পোস্টগুলি পরিচালনা করেন। তবে অনশন তোলার কথায় অনিকেতরা রেগে যাচ্ছে, দুঃখ পাচ্ছে। ওদের অন্যরা বলেনি, ওরাই চায়না অন্যরা বলুক।
    পরিচালনা করুন
    লাইক · প্রত্যুত্তর · ৪৬মিনিট
    ২টি উত্তর · ৪৩ মিনিট
    Rakesh Bhattacharyya
    Rakesh Bhattacharyya আসলে লড়াইটা existential, যারা ভেতরে আছেন জানেন, আর বললাম না, ফলে বাস্তবত allotment না হওয়া পর্যন্ত ওরা উঠতে চাইবে না, শুধু মানসিক স্টেক এর কারণে নয়, আমিও চাই না ওরা এখনি উঠুক, যদি পারে তো আর কদিন চালিয়ে যাক, আর কদিন লেগে থাকলেই ফাইনাল ভিক্ট্রি এসে যেতে...আরও দেখুন
    পরিচালনা করুন
    লাইক · প্রত্যুত্তর · ৪৪মিনিট
    Somnath Roy
    Somnath RoySomnath এবং অন্যান্য ১২ জন গুরুচন্ডা৯ guruchandali -এর জন্য সদস্যতা, মডারেটর, সেটিংস এবং পোস্টগুলি পরিচালনা করেন। 'আমিও চাই না ওরা এখনি উঠুক, যদি পারে তো আর কদিন চালিয়ে যাক, আর কদিন লেগে থাকলেই ফাইনাল ভিক্ট্রি এসে যেতে পারে, এখন উঠে গেলে পরে দাবি না মানলে নতুন করে মোমেন্টাম গ্যাদার করা খুব কঠিন হতে পারে , "

    ঠিক এইজন্য বললাম অনশন কোনও ট্যাক্টিকাল মুভ নয়। ব্ল্যাকমেইলিং স্টেপ হিসেবে অনশনকে প্রোজেক্ট করার ভুল আমরা করছি। যারা অনশনের বাইরে আছি, সেইটা থেকে বিরত হই।

    পরিচালনা করুন
    লাইক · প্রত্যুত্তর · ৪০মিনিট
    Rakesh Bhattacharyya
    Rakesh Bhattacharyya tactical move o hotei pare, ato bisuddho nitigoto jayga theke byaparta dekhtei hobe kano ? tachara, abaro bollam, puro movement tai hcche existential karone
    পরিচালনা করুন
    লাইক · প্রত্যুত্তর · ৩২মিনিট
    Somnath Roy
    Somnath RoySomnath এবং অন্যান্য ১২ জন গুরুচন্ডা৯ guruchandali -এর জন্য সদস্যতা, মডারেটর, সেটিংস এবং পোস্টগুলি পরিচালনা করেন। অনশন একটা ট্যাকটিকাল মুভ হলে আসলে সেটা কি ভয়ংকর ব্যাপারের জন্ম দিতে পারে ভেবে দেখ। যে কোনও জায়গায় ব্ল্যাক্মেলিং হতে পারে এইভাবে
    পরিচালনা করুন
    লাইক · প্রত্যুত্তর · ৩০মিনিট
    Ipsita Pal

    একটি জবাব লিখুন...

    Taposh Dash
    Taposh DashTaposh এবং অন্যান্য ১২ জন গুরুচন্ডা৯ guruchandali -এর জন্য সদস্যতা, মডারেটর, সেটিংস এবং পোস্টগুলি পরিচালনা করেন। সোমনাথ, ওদের শরীরকে ওরা ওদের মত করে ব্যবহার করছে। সংহতি জানালে, সেই ভাবে ব্যবহার করতে দেয়ার দায় থাকে। আমরা এত ভারী দায় কেউ নিতে চাইছি না আসলে। যত সময় যাচ্ছে, আমরা ওদের জন্য, মানে আমাদের জন্য ভীত হচ্ছি। এত ভার নেয়ার অভ্যেস আমাদের নেই।

    পরিচালনা করুন
    লাইক · প্রত্যুত্তর · ৪২মিনিট
    Somnath Roy
    Somnath RoySomnath এবং অন্যান্য ১২ জন গুরুচন্ডা৯ guruchandali -এর জন্য সদস্যতা, মডারেটর, সেটিংস এবং পোস্টগুলি পরিচালনা করেন। সংহতি আর সহমর্মিতা এক কী? সংহতি একটা কারণে জানানো হয় কিন্তু।
    পরিচালনা করুন
    লাইক · প্রত্যুত্তর · ৩৮মিনিট
    Ipsita Pal

    একটি জবাব লিখুন...

    Indrani Sengupta
    Indrani Sengupta একটা পজেটিভ দিক যখন পাওয়া গ্যাছে তখন ওদের অনশন ভাঙতে বলাই উচিত। না চাইলে ভবিষ্যতের আশ্বাস দেওয়া হবে যে ডিএমই ভোল পাল্টালে অন্যরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। কিন্তু এবার অন্তত থামা উচিত।
    পরিচালনা করুন
    লাইক · প্রত্যুত্তর · ৪২মিনিট
    Rakesh Bhattacharyya
    Rakesh Bhattacharyya আর একটা ব্যাপার, অনুরোধ কেই করতেই পারে, কিন্তু বেশি লোক বারবার করলে সেটা ওদের কাছে মানসিক চাপ হতে পারে, আমরা যদি নিজেদের দাবি নিয়ে ওদের আমৃত্যু অনশনের অধিকারের পক্ষে থাকি তাহলে যেন বেশি চাপ না দিয়ে ফেলি, কনভেনশন থেকে তো একদম নয়
    পরিচালনা করুন
    লাইক · প্রত্যুত্তর · ৩৫মিনিট
    Swarnendu Sil
    Swarnendu Sil আমি কদিন ধরেই একটা অদ্ভুত জিনিস দেখছি... সাধারণভাবে নানান শুভাকাঙ্ক্ষী সমর্থক লোকজন এই জাতীয় কথাবার্তা বলছেন, সে একরকম বোঝা যায়, কিন্তু এক সময় রাজনীতি করা লোকজনও নানান মোড়কে কতৃপক্ষের ওপরে নানাভাবে চাপ বাড়াবার কথা বলার থেকে অনশন তুলে নেওয়া নিয়েই বেশী ...আরও দেখুন

    পরিচালনা করুন
    লাইক · প্রত্যুত্তর · ২৯মিনিট · সম্পাদনা করা হয়েছে
    Rakesh Bhattacharyya
    Rakesh Bhattacharyya একদম
    পরিচালনা করুন
    লাইক · প্রত্যুত্তর · ২৭মিনিট
    Ipsita Pal

    একটি জবাব লিখুন...

    Rakesh Bhattacharyya
    Rakesh Bhattacharyya অনশন কোনো ট্যাক্টিকাল মুভ হতে পারে না কেন, এক্ষেত্রে নীতি আর tactics এত বিভাজন করা হচ্ছে কেন।? আমার অস্তিত্ব মোছার চেষ্টা হচ্ছে, তাই আমি আমার দাবি মেটা না পর্যন্ত অনশন চালাচ্ছি, ব্যাস, এতে এত নীতিগত না tactical আসে কোত্থেকে?

    পরিচালনা করুন
    লাইক · প্রত্যুত্তর · ২৯মিনিট
    Swarnendu Sil
    Swarnendu Sil আমরণ অনশন শেষ ট্যাক্টিক্স আসলে, চেকমেট, আর উপায় নেইকো তখনই করতে বসার স্টেপ নিয়ে আলোচনা হয়। আজ অবধি কোন মুভমেন্ট দেখিনি যাতে আরও কিছু ফর্মে লড়াই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অপশন থাকতেও আমরণ অনশনের কল দেওয়া হয়েছে।
    পরিচালনা করুন
    লাইক · প্রত্যুত্তর · ২৫মিনিট · সম্পাদনা করা হয়েছে
    Ipsita Pal

    একটি জবাব লিখুন...

    সবার জন্য স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য - অব্যবস্থা - Health For All Initiative
    সবার জন্য স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য - অব্যবস্থা - Health For All Initiative একটা প্রশ্ন আছে। প্রিন্সিপাল নীতিগতভাবে ছাত্রদের দাবি মেনে নেবার পরেও "হায়ার অথরিটি" অনুমোদন করতে অহেতুক এত সময় নিচ্ছেন কেন? তাঁরা কি অনশনরত ছাত্রদের মৃত্যু নিশ্চিত করতে চাইছেন? নাকি অপেক্ষা করছেন, এই অবকাশে বুঝিয়ে অনশন তুলে দিতে পারলেই প্রিন্সিপালের বক্তব্যকে নাকচ করে তাঁকে পদচ্যুত করবেন বলে?

    এই প্রশ্নের উত্তর পেলে তবেই মূল পোস্টের বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব।

    পরিচালনা করুন
    লাইক · প্রত্যুত্তর · Koushik Dutta মন্তব্য করেছে · ২৬মিনিট
    Taposh Dash
    Taposh DashTaposh এবং অন্যান্য ১২ জন গুরুচন্ডা৯ guruchandali -এর জন্য সদস্যতা, মডারেটর, সেটিংস এবং পোস্টগুলি পরিচালনা করেন। আপনি কে?
    পরিচালনা করুন
    লাইক · প্রত্যুত্তর · ২৪মিনিট
    সবার জন্য স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য - অব্যবস্থা - Health For All Initiative
    সবার জন্য স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য - অব্যবস্থা - Health For All Initiative আরে এরকম অদ্ভুতভাবে গ্রুপের নাম দেখাচ্ছে কেন মন্তব্যে? আমি তো ইন্ডিভিজুয়াল হিসেবে কমেন্ট করছি। আমার নাম কৌশিক দত্ত।

    পরিচালনা করুন
    লাইক · প্রত্যুত্তর · Koushik Dutta মন্তব্য করেছে · ৯মিনিট
    Ipsita Pal

    একটি জবাব লিখুন...

    Taposh Dash
    Taposh DashTaposh এবং অন্যান্য ১২ জন গুরুচন্ডা৯ guruchandali -এর জন্য সদস্যতা, মডারেটর, সেটিংস এবং পোস্টগুলি পরিচালনা করেন। কনভেনশন থেকে অনশন প্রত্যাহারের আহবান করা হতে চলেছে নাকি! কী কাণ্ড!
    পরিচালনা করুন
    লাইক · প্রত্যুত্তর · ২৫মিনিট
    ২টি উত্তর · ২০ মিনিট
    Rakesh Bhattacharyya
    Rakesh Bhattacharyya একটা ১১ তলা বিল্ডিং্যে শুধু ফার্স্ট ইয়ারকে ঢোকানোর সিদ্ধান্ত, তাও একজন কমিটেড অযোগ্য তৃণমূলী কে সুপার বানিয়ে, এটা করার একটাই উদ্দেশ্য ছিল, মেডিক্যালের স্টুডেন্ট ফোর্সকে সম্পূর্ণভাবে TMCP cadre বানানো, তার বিরোধিতার এই অনশন অত্যন্ত effective tool হয়ে উঠেছে, নাহলে কিছুতেই অথরিটি ঢোঁক গিলত না, এখনো কি করবে কিচ্ছু বলা যাচ্ছে না, হতেই পারে আংশিক দাবি মানার ভান করে অনশনটা তুলিয়ে নিতে চাইছে, পরে পালটি খাবে বেমালুম
    পরিচালনা করুন
    লাইক · প্রত্যুত্তর · ২১মিনিট
    Swarnendu Sil
    Swarnendu Sil দ্বিতীয় অ্যাক্টিং প্রিন্সিপালের বক্তব্য, যাতেও উচ্চতর কতৃপক্ষের ক্যাভিয়াট আছে, তাইতে ভরসা করে অনশন তুলে নেওয়া??!!! যারা এইটা সাজেস্ট করছেন তাঁরা হয় আমরণ অনশনকে ছেলেখেলা ভাবেন, নইলে উন্মাদ।
    পরিচালনা করুন
    লাইক · প্রত্যুত্তর · ১৮মিনিট · সম্পাদনা করা হয়েছে
    Ipsita Pal

    একটি জবাব লিখুন...

    Somnath Roy
    Somnath RoySomnath এবং অন্যান্য ১২ জন গুরুচন্ডা৯ guruchandali -এর জন্য সদস্যতা, মডারেটর, সেটিংস এবং পোস্টগুলি পরিচালনা করেন। এখানে আমার একটাই প্রশ্ন। ধরো কালকে এই অ্যালটমেন্ট পলিসির ওপর সিলমোহর এল। তারপর অ্যালটমেন্ট হল না। তখন আবার আন্দোলন শুরু করা সম্ভব হবে না? সেটা হলে আন্দোলনের শক্তির ওপর প্রশ্ন উঠে যায়
    পরিচালনা করুন
    লাইক · প্রত্যুত্তর · ১৭মিনিট
    Swarnendu Sil
    Swarnendu Sil এই যুক্তিটা শুনে ২০০৫এর কথা মনে পড়ে গেল। ভিসি আমাদের ঠিক এই কথাটা বলেছিলেন। কোন পক্ষের ভাষাকে ঠোঁট ধার দিছ ভেবে দেখো।
    পরিচালনা করুন
    লাইক · প্রত্যুত্তর · ১২মিনিট · সম্পাদনা করা হয়েছে
    Ipsita Pal

    একটি জবাব লিখুন...

    Taposh Dash
    Taposh DashTaposh এবং অন্যান্য ১২ জন গুরুচন্ডা৯ guruchandali -এর জন্য সদস্যতা, মডারেটর, সেটিংস এবং পোস্টগুলি পরিচালনা করেন। সোমনাথ আর কবীর সুমন একই কথা বলছে।
  • sswarnendu | ***:*** | ২২ জুলাই ২০১৮ ১২:২৯85593
  • তাতিনের পোস্টের নিচে গুরুর ফেবুগ্রুপে আমার মন্তব্যটা এখানে পুরোটা আসেনি ( অনেকগুলোই পুরো আসেনি )... আমারটা আমি এখানে দিয়ে গেলাম

    " আমি কদিন ধরেই একটা অদ্ভুত জিনিস দেখছি... সাধারণভাবে নানান শুভাকাঙ্ক্ষী সমর্থক লোকজন এই জাতীয় কথাবার্তা বলছেন, সে একরকম বোঝা যায়, কিন্তু এক সময় রাজনীতি করা লোকজনও নানান মোড়কে কতৃপক্ষের ওপরে নানাভাবে চাপ বাড়াবার কথা বলার থেকে অনশন তুলে নেওয়া নিয়েই বেশী কথা বলছেন। দাবী মেনে নেওয়ার আগে অনশন তুলে নিতে কেউ আমরণ অনশনে বসে না, মরে যেতেও বা সিরিয়াস শারীরিক সমস্যা হয়ে যাবে দীর্ঘমেয়াদি, সেজন্যেও বসে না। কিন্তু আন্দোলনের সমর্থক অংশও আন্দোলনের দাবী, আন্দোলনের স্টেপ, সহায়ক স্টেপ এসবের পরিবর্তে অনশন তুলে নেওয়ার কথাই ক্রমাগত বলতে থাকলে সেটা আন্দোলনে থাকা লোকজনের ওপর প্রবল মানসিক চাপ সৃষ্টি করে শুধু, যারা অনশন করছে তাঁদের ওপরও, তাঁদেরই বন্ধুরা যারা অনশনে বসেননি কিন্তু আন্দোলনের সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছেন তাঁদের ওপরেও।

    কনভেনশন আন্দোলনের সহায়ক স্টেপ, তা না হলে আদৌ না করাই ভাল। সেই কনভেনশন থেকে অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ করা যেতে পারে না তা নয়, কিন্তু সেইটাই করা হলে সেইটা বেশ বাজে ব্যাপার বলেই মনে হয়।"
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন